Tag: news in bengali

news in bengali

  • Bihar by poll: বিহারের উপনির্বাচনে ভোটকুশলী পিকের কৌশলই ব্যর্থ! চার আসনেই ক্লিন বোল্ড

    Bihar by poll: বিহারের উপনির্বাচনে ভোটকুশলী পিকের কৌশলই ব্যর্থ! চার আসনেই ক্লিন বোল্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar by poll) ভোটকুশলী পিকের (Prashant Kishor) কৌশল খাটল না। চার আসনে লড়ে চারটি আসনেই জামানত জব্দ তাঁর নতুন দলের। বিহারের ইমামগঞ্জে জিতেন্দ্র পাসোয়ান, বেলাগঞ্জে মহম্মদ আমজাদ, রামগড়ে সুশীলকুমার সিং-কে প্রার্থী করেছিল ‘জন সুরাজ’। তাহলে কি ভোট কারবারির কোনও কৌশল খাটল না? প্রথম ম্যাচেই ফেল?

    নিতীশকে চ্যালেঞ্জ (Bihar by poll)!

    গত ২ অক্টোবর পিকের জন সুরাজ দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল বিহারে (Bihar by poll)। ওই দিন তিনি দাবি করেছিলেন জন সুরাজ ভোটের ময়দানে নামলে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডিইউ ২০টির বেশি আসন পাবে না। প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি এটাও বলেছিলেন, অন্যকে জেতাতে পারা গেলেও নিজে জেতাটা খুব মুশকিল। এখন উপনির্বাচনের ফলাফলের পর দেখা গিয়েছে চারটি কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর অত্যন্ত খারাপ ভাবে হারের শিকার হয়েছেন পিকে। একটি আসনেও দ্বিতীয়স্থানে আসতে পারেননি।

    প্রথম ম্যাচে পিকে ক্লিন বোল্ড

    বিহারের (Bihar by poll) বেলাগঞ্জে মহম্মদ আজাদ পেয়েছেন ১৭,২৮৫ ভোট। এই আসনে জয়ী জেডিইউ প্রার্থী মনোরমা দেবী পেয়েছেন ৭৩,৩৩৪ ভোট। ইমামগঞ্জে জিতেন্দ্রকে প্রার্থী করেছিলেন প্রশান্ত। তিনি ৩৭,১০৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। এই আসনে জয়ী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঝির পুত্রবধূ দীপা মাঝি। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৩,৪৩৫। রামগড়ে জন সুরাজের সুশীলকুমার ৬,৫১৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। বিজেপির অশোককুমার সিংহ ৬২,২৫৭ ভোট পেয়েছেন এই আসনে। আবার তারারি আসনে জন সুরাজের কিরণ পেয়েছেন ৫,৫৯২ ভোট। এই আসনে বিজেপির বিশাল প্রশান্ত ৭৮,৫৬৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ফলে প্রথম ম্যাচে পিকে ক্লিন বোল্ড।

    টাকা নিয়ে কৌশল দিয়েছেন

    প্রশান্ত কিশোর ১০ দশ বছর ধরে একাধিক রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক দলের ভোট জয়ের নানা কৌশল দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। গত দুই বছর ধরে বিহারে (Bihar by poll) নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। ২০২২ সালের গান্ধী জন্ম জয়ন্তী থেকে শুরু হয়েছিল জন সুরাজের প্রাথমিক পর্যায়ের যাত্রা। রাজনৈতিক কুশলীরা যে এভাবে পরাজিত হতে পারেন সেই দৃষ্টান্ত এই উপনির্বাচনে আরও একবার প্রমাণিত হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ জরিপের কাজে বাধা, ইট-পাথর বর্ষণ দুষ্কৃতীদের

    Uttar Pradesh: সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ জরিপের কাজে বাধা, ইট-পাথর বর্ষণ দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সম্ভ্লের শাহী জামা মসজিদ জরিপ করতে গেলে ব্যাপক ভাবে পাথর বর্ষণ করল মুসলিম (Muslim) সম্প্রদায়ের একাংশ। শান্তিপূর্ণ ভাবে এই জরিপের কাজে গেলে সরকারি আধিকারিকদের উপর আচমকা হামলা করে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে “সরকারি কাজে বাধা এবং সরকারি কর্মীদের ব্যাপক ভাবে আঘাত করা হয়।”

    পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে (Uttar Pradesh)

    সম্ভলে (Uttar Pradesh) মজসিদের জমি নিয়ে বিবাদ দেখা দিলে সরকার পক্ষ  সম্পূর্ণ মসজিদকে জরিপ করতে যায়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেছেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। আদালতের নির্দেশে সম্বলে একটি মসজিদে সমীক্ষা চলছিল। কিন্তু স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের বেশ কিছু দুষ্কৃতী কাজে বাধা দেয় এবং লাগাতার পাথর-ইট বর্ষণ শুরু করে। যারা এই কাজের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু করেছে। বেশ কিছু সরকারি কর্মী ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    মসজিদ পূর্বে মন্দির ছিল!

    এই প্রসঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের দায়ের করা একটি পিটিশনে দেখা গিয়েছে এই সমীক্ষা একটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ ছিল। মসজিদ মূলত পূর্বে মন্দির (Uttar Pradesh) ছিল। মন্দির ভেঙে সেই জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও গত ১৯ নভেম্বরে স্থানীয় পুলিশ, মসজিদ (Muslim) কমিটির সহযোগে জরিপের কাজে তদারকি শুরু হয়েছিল। যদিও স্থানীয় মানুষের কাছে কোনও রকমের কাজে বাধা এবং কোনও রকম প্ররোচনা থেকে দূরে থাকার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও রবিবার সকালে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের (Muslim) চিহ্নিত করে ধরপাকড় শুরু করেছে।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    Amit Shah: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়, শাহ বললেন, ‘‘উন্নয়নের রাজনীতির জয়’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে শনিবারই। এনডিএ শিবিরের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সেখানে পরপর তিনটি নির্বাচনে জিতল তারা। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে সর্বোচ্চ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এনিয়ে বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ফলাফল সামনে আনল জনগণের বিশ্বাসকেই। জনগণ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডাবল ইঞ্জিন সরকারই উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।’’ অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোটের এই জয় আসলে উন্নয়নের জয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জয়।

    ঝাড়খণ্ডে সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি, সংখ্যায় ৫৯ লাখ ২০ হাজার

    নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে শতাংশের বিচারে সব চেয়ে বেশি মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়েছেন। এজন্য আমরা ওই প্রদেশের সমস্ত মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। ঝাড়খণ্ডের সমস্ত বিজেপি কর্মী নিরলস পরিশ্রম করেছেন। এজন্য তাঁদেরকে শুভকামনা জানাই।’’ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। সংখ্যার বিচারে যেটা ৫৯ লাখ ২০ হাজার। অন্যদিকে সরকার গড়লেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাপ্ত ভোটের হার ২৩ শতাংশ। বিজেপির থেকে প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে তারা।

    মোদির ওপর ভরসা রেখেছেন দেশের মানুষ

    একইসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএ প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সারা দেশ এক উন্নয়নের যুগের মধ্যে দিয়ে চলেছে। এর ওপরে ভরসা করছেন সাধারণ মানুষ। লোকসভা নির্বাচন হোক অথবা হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, সর্বত্রই বিজেপির জয়জয়কার।’’ প্রসঙ্গত, ২৮৮ আসন-বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ও অজিত পাওয়ারের এনসিপি ২৩০টি আসন ছিনিয়ে নিল। সেখানে ৪৬টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস জোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দেশের যুব সমাজের প্রশংসা করলেন মোদি, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: দেশের যুব সমাজের প্রশংসা করলেন মোদি, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদাত্ত কণ্ঠে দেশের যুব সমাজের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন যুবসমাজ একত্রিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন আইডিয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করে, তখন স্পষ্ট ফল পাওয়া যায়।”

    এনসিসি দিবস (PM Modi)

    রবিবার ছিল এনসিসি দিবস। এদিনই ছিল ‘মন কি বাতে’র ১১৬ তম পর্বের অনুষ্ঠানও। এই অনুষ্ঠানেই ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর অমূল্য অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন, যখন তিনি এসিসি ক্যাডেট ছিলেন। তিনি বলেন, “কর্পস যুবসমাজের মধ্যে শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব এবং সেবার মানসিকতা গড়ে তোলে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ এনসিসি দিবস। এনসিসি আমাদের স্কুল এবং কলেজের দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়। আমিও একজন এনসিসি ক্যাডেট ছিলাম। তাই আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, এখান থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা আমার জীবনে অমূল্য।”

    তিনি বলেন, “এনসিসি যুবসমাজের মধ্যে শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব এবং সেবা প্রদানের মানসিকতা তৈরি করে। বিপর্যয়, বন্যা বা কোনও দুর্ঘটনা যাই হোক না কেন, এনসিসি ক্যাডেটরা সব সময় সেখানে উপস্থিত থাকেন। ২০২৪ সালে, দুই মিলিয়নেরও বেশি যুব এনসিসির অংশ রয়েছে। আগে যেখানে এনসিসিতে প্রায় ২৫ শতাংশ মেয়ে ক্যাডেট ছিল, এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।”

    তিনি (PM Modi) জানান, আগামী ১১-১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলা বিকশিত ভারত ইয়াং লিডারস ডায়ালগ-এ সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০০ যুবক অংশগ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে যুবসমাজের বড় ভূমিকা রয়েছে। যখন যুবসমাজ একত্রিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে, তখন আমরা অবশ্যই দৃঢ় ফল পাই। স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী, যা যুব দিবস হিসেবেও উদযাপিত হয়। জানুয়ারি ১১-১২ তারিখে দিল্লির ভারত মণ্ডপমে একটি বড় পরিসরের যুব ভাবনার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যা ‘বিকশিত ভারত ইয়াং লিডার্স ডায়ালগ’ নামে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০০০ যুবক এতে অংশ নেবে। ১ লক্ষ যুবককে (Mann Ki Baat) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে বিশেষ ক্যাম্পেইনেরও আয়োজন করা হবে (PM Modi)।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, রাজ্যে তাপমাত্রা আপাতত কমবে না, থাকবে মাঝারি কুয়াশা

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, রাজ্যে তাপমাত্রা আপাতত কমবে না, থাকবে মাঝারি কুয়াশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে নিম্নচাপ (Weather Update)। রাজ্যে আপাতত তাপমাত্রা কমবে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে নতুন করে তাপমাত্রা হ্রাসের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। ফলে যেমন আবহাওয়া চলছে ঠিক তেমনিই থাকবে। বড়সড় বদলের ইঙ্গিত নেই।

    দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোসাগর এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোসাগর এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে (Weather Update) পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি ক্রমে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে। সেই নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সোমবার নাগাদ তার শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। এর অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ু উপকূলে। এই প্রক্রিয়া অনেক দূরে থাকার ফলে সরাসরি বাংলায় তেমন প্রভাব পড়বে না।

    হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা

    দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নতুন করে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। রবিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলায় কুয়াশা থাকতে পারে। উত্তরবঙ্গে মূলত শুষ্ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেখানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় রবিবার সকালে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri Jagannath Temple: রত্নভাণ্ডার তাড়াতাড়ি সংস্কার করা হোক, চাইছে জগন্নাথ মন্দির কমিটি

    Puri Jagannath Temple: রত্নভাণ্ডার তাড়াতাড়ি সংস্কার করা হোক, চাইছে জগন্নাথ মন্দির কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রত্নভাণ্ডারে (Ratna Bhandar) মজুত রয়েছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার গয়নাগাটি (Puri Jagannath Temple)। সেই রত্নভাণ্ডার সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার কথা। সেই কাজ যাতে দ্রুত শুরু হয় সেজন্য ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (ASI) কাছে অনুরোধ জানালেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরই রত্নভাণ্ডার মাপজোক করে এএসআই। রত্নভাণ্ডার কী অবস্থায় রয়েছে, কী কী সংস্কার সাধন করা প্রয়োজন, তা নিয়ে রিপোর্ট করেছে এএসআইয়ের লোকজন। ৪৫ পাতার ওই রিপোর্ট হাতে এসেছে জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির। তার পরেই মন্দির কমিটি চাইছেন, রত্নভাণ্ডার মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত শুরু করুক এএসআই।

    কী বলছে মন্দির কমিটি (Puri Jagannath Temple)

    মন্দির পরিচালন (Puri Jagannath Temple) কমিটির তরফে মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি বলেন, “এএসআই রত্নভাণ্ডারে যে জিপিআর-জিপিএস সমীক্ষা চালিয়েছিল, তার রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। মন্দিরের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের বিষয়টি এসজেটিএ সব সময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। তিনি জানান, রত্নভাণ্ডারের মেঝে ও দেওয়ালের বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে মন্দির কমিটির একটি দলও।”

    রত্নভাণ্ডারে মজুত প্রচুর গয়না

    পুরীর মন্দিরের তিন বিগ্রহের (Puri Jagannath Temple) প্রচুর গয়না রয়েছে। সোনা-রুপোর পাশাপাশি অনেক দামী দামী রত্ন দিয়ে তৈরি বহুমূল্য অলঙ্কারও রয়েছে। এ সবই থাকে রত্নভাণ্ডারে। স্বর্ণবেশ কিংবা অন্য কোনও বিশেষ দিনে বিগ্রহ তিনটিতে কার্যত গয়নায় মুড়ে ফেলা হয়। সেগুলি অবশ্য রত্নভাণ্ডারে থাকে না। ৪৬ বছর পর চলতি বছরের জুলাই মাসে খোলা হয়েছিল রত্নভাণ্ডারের বাইরের প্রকোষ্ঠ। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না হওয়ায় দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। প্রয়োজন হয়ে পড়েছে সংস্কারের। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত সংস্কার না করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কারণেই মন্দির কমিটির লোকজন চাইছেন দ্রুত সংস্কার করা হোক দেবতার রত্নভাণ্ডার (Ratna Bhandar)। সেই উদ্দেশ্যেই আর্জি জানানো হয়েছে এএসআইকে (Puri Jagannath Temple)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’’ এখন জাতীয় মন্ত্র! মহারাষ্ট্র জয়ের পরে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’’ এখন জাতীয় মন্ত্র! মহারাষ্ট্র জয়ের পরে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’’, অর্থাৎ আমরা এক থাকলেই নিরাপদ। শনিবারই মারাঠাভূমে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। এরপরই প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় দিল্লির বিজেপি সদর দফতরের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন, ‘‘বর্তমানে জাতীয় মন্ত্র হয়ে উঠেছে, এক হ্যায় তো সেফ হ্যায় ধ্বনি।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘হরিয়ানার পরে মহারাষ্ট্রের নির্বাচন এক বড় ঐক্যের বার্তা দিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়- এই মন্ত্র সেই সমস্ত অপশক্তিকে থামাতে সক্ষম হয়েছে, যাঁরা দেশকে ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে, ভাষার ভিত্তিতে, প্রাদেশিকতার ভিত্তিতে ভাগ করতে চায়।’’

    উন্নয়ন, সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার জিতেছে মহারাষ্ট্রে

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে এই মন্ত্র সেই সমস্ত বিভাজনকারীদের শাস্তি দিয়েছে, যাঁরা জনজাতি সমাজ, ওবিসি সমাজ, দলিতদের মধ্যে ভাগ করতে চায়। সমাজের প্রত্যেকটা ক্ষেত্র বিজেপি-এনডিএ এর পক্ষে দাঁড়িয়েছে।’’ প্রসঙ্গত শনিবারই মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পায় বিজেপি জোট, সেরাজ্যে ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩০টিই দখল করে বিজেপির জোট। প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ১৪৯ আসনে, এর মধ্যে তাদের দখলে আসে ১৩৩ আসন। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের জয় আসলে সামনে আনল নেতিবাচক ও পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির পরাজয়কেই।’’ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘উন্নয়ন, সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার জিতেছে মহারাষ্ট্রে। মিথ্যা এবং প্রতারণা পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। আমি সমস্ত বিজেপি ও এনডিএ কর্মীদের অভিনন্দন জানাই।’’

    বক্তব্য রাখেন জেপি নাড্ডাও

    এদিন দলীয় দফতরে বক্তব্য রাখেন বিজেপির জাতীয় সভাপতির জেপি নাড্ডাও। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘আজকে হল ঐতিহাসিক দিন। মহারাষ্ট্রের জনগণ এবং সারা দেশ জুড়ে যে উপনির্বাচন হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, এনডিএ-এর ওপরে মানুষ আস্থা এবং বিশ্বাস রেখেছে।’’ প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ইন্ডি জোটের নেতারা ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে ছিলেন যে তাঁরা ক্ষমতা দখল করতে পারবেন। জনগণের মধ্যে ভাগ করে, কিন্তু হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র তাদেরকে উত্তর দিয়ে দিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 200: “তুমি সন্ধ্যা তুমি গায়ত্রী, তুমি জগধাত্রী, গো মা, তুমি অকুলের ত্রাণকর্ত্রী, সদাশিবের মনোরমা”

    Ramakrishna 200: “তুমি সন্ধ্যা তুমি গায়ত্রী, তুমি জগধাত্রী, গো মা, তুমি অকুলের ত্রাণকর্ত্রী, সদাশিবের মনোরমা”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৭শে মে

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    জগন্মাতার পূজা ও আত্মপূজা—‘বিপদনাশিনী’ মন্ত্র ও নৃত্য 

    ঠাকুর (Ramakrishna) গঙ্গাস্নান করিয়া কালীঘরে গিয়াছেন। সঙ্গে মাস্টার। ঠাকুর পূজার আসনে উপবিষ্ট হইয়া, মার পাদপদ্মে ফুল দিতেছেন, মাঝে মাঝে নিজের মাথায়ও দিতেছেন ও ধ্যান করিতেছেন।

    অনেকক্ষণ পরে ঠাকুর আসন হইতে উঠিলেন। ভাবে বিভোর, নৃত্য করিতেছেন। আর মুখে মার নাম করিতেছেন। বলিতেছেন, “মা বিপদনাশিনী গো, বিপদনাশিনী!” দেহধারণ করলেই দুঃখ বিপদ, তাই বুঝি জীবকে শিখাইতেছেন তাঁহাকে ‘বিপদনাশিনী’ এই মহামন্ত্র উচ্চারণ (Kathamrita) করিয়া কাতর হইয়া ডাকিতে।

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণ ও ঝামাপুকুরের নকুড় বাবাজী 

    এইবার ঠাকুর (Ramakrishna) নিজের ঘরের পশ্চিম বারান্দায় আসিয়া উপবিষ্ট হইয়াছেন। এখনও ভাবাবেশ রহিয়াছে। কাছে রাখাল, মাস্টার, নকুড়, বৈষ্ণব প্রভৃতি। নকুড় বৈষ্ণবকে ঠাকুর ২৮/২৯ বৎসর ধরিয়া জানেন। যখন তিনি প্রথম কলিকাতায় আসিয়া ঝামাপুকুরে ছিলেন ও বাড়ি বাড়ি পূজা করিয়া বেড়াইতেন, তখন নকুড় বৈষ্ণবের দোকানে আসিয়া মাঝে মাঝে বসিতেন ও আনন্দ (Kathamrita) করিতেন। পেনেটীতে রাঘব পণ্ডিতের মহোৎসবে উপলক্ষে নকুড় বাবাজী ইদানীং ঠাকুরকে প্রায় বর্ষে বর্ষে দর্শন করিতেন। নকুড় ভক্ত বৈষ্ণব, মাঝে মাঝে তিনিও মহোৎসব দিতেন। নকুড় মাস্টারের প্রতিবেশী। ঠাকুর ঝামাপুকুরে যখন ছিলেন, গোবিন্দ চাটুজ্যের বাড়িতে থাকিতেন। সেই পুরাতন বাটী নকুড় মাস্টারকে দেখাইয়াছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ জগন্মাতার নামকীর্তনানন্দে 

    ঠাকুর ভাবাবেশে গান গাইতেছেন:

    কীর্তন

    (১)।        সদানন্দময়ী কালী, মহাকালের মনোমোহিনী ৷
    তুমি আপন সুখে আপনি নাচ, আপনি দাও মা করতালি ৷৷
    আদিভূতা সনাতনী, শূন্যরূপা শশিভালি ৷
    ব্রহ্মাণ্ড ছিল না যখন (তুই) মুণ্ডমালা কোথায় পেলি ৷৷
    সবে মাত্র তুমি যন্ত্রী, আমরা তোমার তন্ত্রে চলি ৷
    যেমন করাও তেমনি করি মা, যেমন বলাও তেমনি বলি ৷৷
    নির্গুণে কমলাকান্ত দিয়ে বলে মা গালাগালি ৷
    সর্বনাশী ধরে অসি ধর্মাধর্ম দুটো খেলি ৷৷

    (২)।       আমার মা ত্বং হি তারা
    তুমি ত্রিগুণধরা পরাৎপরা।
    আমি জানি মা ও দীন-দয়াময়ী, তুমি দুর্গমেতে দুখহরা ৷
    তুমি সন্ধ্যা তুমি গায়ত্রী, তুমি জগধাত্রী, গো মা
    তুমি অকুলের ত্রাণকর্ত্রী, সদাশিবের মনোরমা ৷
    তুমি জলে, তুমি স্থলে, তুমি আদ্যমূলে গো মা
    আছ সর্বঘটে অর্ঘ্যপুটে সাকার আকার নিরাকারা।

    (৩)।       গোলমালে মাল রয়েছে, গোল ছেড়ে মাল বেছে নাও।

    (৪)।       মন চল যাই, আর কাজ নাই, তারাও ও তালুকে রে!

    (৫)।       পড়িয়ে ভবসাগরে, ডোবে মা তনুর তরী;
    মায়া-ঝড় মোহ-তুফান ক্রমে বাড়ে গো শঙ্করী।

    (৬)।       মায়ে পোয়ে দুটো দুখের কথা কি।
    কারুর হাতির উপর ছি, কারু চিঁড়ের উপর খাসা দই ৷

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 199: “গোপীদের এমনি নিষ্ঠা বৃন্দাবনের মোহনচূড়া, পীতধড়াপরা রাখালকৃষ্ণ ছাড়া আর কিছু ভালবাসবে না”

    Ramakrishna 199: “গোপীদের এমনি নিষ্ঠা বৃন্দাবনের মোহনচূড়া, পীতধড়াপরা রাখালকৃষ্ণ ছাড়া আর কিছু ভালবাসবে না”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৭শে মে

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    ঠাকুর (Ramakrishna) শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে নিজের ঘরে দাঁড়াইয়া আছেন ও ভক্তসঙ্গে কথা কহিতেছেন (Kathamrita)। আজ রবিবার, ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, কৃষ্ণা পঞ্চমী; ২৭শে মে, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। বেলা ৯টা হইবে। ভক্তেরা ক্রমে ক্রমে আসিয়া জুটিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টার প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)—বিদ্বেষভাব ভাল নয়, শাক্ত, বৈষ্ণব, বৈদান্তিক এরা ঝগড়া করে, সেটা ভাল নয়। পদ্মলোচন বর্ধমানের সভাপণ্ডিত ছিল; সভায় বিচার হচ্ছিল,—শিব বড় না ব্রহ্মা বড়। পদ্মলোচন বেশ বলেছিল—আমি জানি না, আমার সঙ্গে শিবেরও আলাপ নেই, ব্রহ্মারও আলাপ নেই। (সকলের হাস্য)

    “ব্যাকুলতা থাকলে সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায়। তবে নিষ্ঠা থাকা ভাল। নিষ্ঠাভক্তির আর-একটি নাম অব্যভিচারিণী ভক্তি। যেমন এক ডেলে গাছ, সোজা উঠেছে। ব্যভিচারিণী ভক্তি যেমন পাঁচ ডেলে গাছ। গোপীদের এমনি নিষ্ঠা যে, বৃন্দাবনের মোহনচূড়া, পীতধড়াপরা রাখালকৃষ্ণ ছাড়া আর কিছু ভালবাসবে না। মথুরায় যখন রাজবেশ, পাগড়ি মাথায় কৃষ্ণকে (Ramakrishna) দর্শন করলে তখন তারা ঘোমটা দিলে। আর বললে, ইনি আবার কে? এঁর সঙ্গে আলাপ করে আমরা কি দ্বিচারিণী হব?

    “স্ত্রী যে স্বামীর সেবা করে সেও নিষ্ঠাভক্তি, দেবর ভাসুরকে খাওয়ায়, পা ধোয়ার জল দেয়, কিন্তু স্বামীর সঙ্গে অন্য সম্বন্ধ। সেইরূপ নিজের ধর্মতেও নিষ্ঠা হতে পারে। তা বলে অন্য ধর্মকে ঘৃণা (Kathamrita) করবে না। বরং তাদের সঙ্গে মিষ্ট ব্যবহার করবে।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Coast Guard: আন্দামান জলসীমায় ভারতীয় নৌবাহিনীর বড়সড় সাফল্য, ৫ টন মাদক উদ্ধার

    Indian Coast Guard: আন্দামান জলসীমায় ভারতীয় নৌবাহিনীর বড়সড় সাফল্য, ৫ টন মাদক উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক চোরাচালান রুখতে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Coast Guard) বড়সড় সাফল্য। আন্দামান সমুদ্র (Andaman water) সীমায় ৫ টন মাদক আটক করেছে ভারতীয় নৌসেনা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, একটি মাছ ভর্তি নৌকায় করে এই মাদক পাচারের চক্র ফাঁদা হয়েছিল। অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এই সাফল্যে বিরাট চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    চোরাকারবারকে আটক করতে সক্ষম (Indian Coast Guard)

    ভারতীয় নৌসেনার (Indian Coast Guard) প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, “ভারতীয় উপকূল বাহিনীর বিশেষ অভিযানে আন্দামান জলসীমার (Andaman water) কাছ থেকে একটি মাছ ধরার নৌকায় প্রায় ৫ টনের বেশি একটি বিরাট চোরাকারবারকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই অভিযান ভারতীয় উপকূল রক্ষীর কাছে সব থেকে বড় মাদক পাচার চক্র ফাঁসের ঘটনা। ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করতে ইতিমধ্যে তল্লাশি চলাচ্ছে বাহিনী। সন্দেহজনক নানা সূত্র ধরে সবরকম তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা।”

    ৭০০ কিলোগ্রাম মেথামফেটামিন বাজেয়াপ্ত হয়েছিল

    সমুদ্রপথে (Andaman water) মাদক দ্রব্যপাচারের সঙ্গে যুক্ত একাধিক এজেন্সিগুলির চোরাচালানে এইবারের অভিযানে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বিশেজ্ঞরা। উল্লেখ্য এই মাসের শুরুর দিকে একটি বিশাল মাদকদ্রব্য পাচারের অভিযান চালিয়েছিল নিরাপত্তা রক্ষীরা (Indian Coast Guard)। সেই সময় এই অভিযানে ৭০০ কিলোগ্রাম মেথামফেটামিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মূলত গুজরাট উপকূল থেকে ভারতীয় আঞ্চলিক জলসীমা বরাবার এলাকা থেকে ৮ জন ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কোডনাম সাগর মন্থন-৪ গোয়েন্দাদের গোপন তথ্যের উপর নির্ভর করে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। একই ভাবে এনসিবি একটি বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, এই জাহাজগুলিকে এখন থেকে সমুদ্রে বিশেষ নজরদারিতে রাখার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সন্দেহজনক জাহাজগুলিকে এখন থেকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি করা হবে।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share