Tag: news in bengali

news in bengali

  • Muhammad Yunus: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে আজ বৈঠক ইউনূসের

    Muhammad Yunus: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে আজ বৈঠক ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশে, কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদলের পরও সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা থামেনি। জানা গিয়েছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ৫২টি জেলায় অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। তাই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার মোকাবিলার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন ইউনূস। 

    বৈঠকের উদ্দেশ্য কী? (Muhammad Yunus)

    বর্তমানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ আসছে নানা দিক থেকে। এমতাবস্থায়, এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশে কীভাবে স্থিতাবস্থা আনা যায় এবং উদীয়মান সঙ্কটের কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার বিকেলেই এই বৈঠক হওয়ার কথা।  

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ৮ দফা দাবি (Muhammad Yunus)

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের (Bangladesh Crisis) পর থেকে বাংলাদেশ নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে। তাই বর্তমানে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে সংখ্যালঘুরা সুরক্ষা আইনের দাবি করছে। জানা গিয়েছে, ইউনূস সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি জানাবে আন্দোলনরত হিন্দু ছাত্র সংখ্যালঘু অধিকার প্রতিনিধিরা। এই আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— হিন্দুদের উপর হামলার ক্ষেত্রে দ্রুত বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক ট্রাইব্যুনাল গঠন, জরুরি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে আপগ্রেড করার দাবি, পালি শিক্ষা পর্ষদের আধুনিকীকরণ, শারদীয় দুর্গাপুজোর সময় ৫ দিন ছুটি ঘোষণা এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা।  

    আরও পড়ুন: নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

    প্রসঙ্গত, রবিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে এই বিষয়ে প্রথম একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে লেখা হয়, “দেশের কোথাও কোথাও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার (Bangladesh Crisis) ঘটনা ঘটেছে। এটি উদ্বেগজনক।” এই বিবৃতি প্রকাশের পরেই জানা যায়, সোমবার সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Vande Bharat: আমেদাবাদ-মুম্বই রুটে প্রথম ২০ কোচ বিশিষ্ট বন্দে ভারত ট্রেনের ট্রায়াল শুরু

    Vande Bharat: আমেদাবাদ-মুম্বই রুটে প্রথম ২০ কোচ বিশিষ্ট বন্দে ভারত ট্রেনের ট্রায়াল শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম ২০ কোচ বিশিষ্ট বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেনের আমেদাবাদ-মুম্বই (Ahmedabad-Mumbai route) রুটে ট্রায়াল শুরু হল। বর্তমানে ১৬ কোচ বিশিষ্ট বন্দে ভারত ট্রেনের দুটি জোড়া ট্রেন এই রুটে চলাচল করছিল। প্রতিটি ১৬ কোচের ট্রেনে ১১২৮ জন যাত্রী নেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রথম শ্রেণীর বগি রয়েছে, যার একটিতে ৫২টি আসন রয়েছে এবং চেয়ার কার বগিগুলিতে ৭৮টি জন আসন রয়েছে। এবার নতুন ২০ কোচ ট্রেনটির ক্ষমতা প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যাত্রীদের আরও বেশি নিরাপদ, আরামের সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে।

    গতি হবে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা (Vande Bharat)

    যাত্রীদের সামগ্রিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। ট্রায়ালে এই ট্রেনের (Vande Bharat) সর্বোচ্চ গতি ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা হবে। ভারতীয় রেলের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার একটি মূল পদক্ষেপ ছিল মুম্বই-আমেদাবাদ-দিল্লি করিডোরে সেমি-হাই-স্পিড বন্দে ভারত ট্রেন চালানো হবে। ভারতীয় রেলের গবেষণা, ডিজাইন এবং স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (RDSO) এবং বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র রেল ইঞ্জিনিয়ারদের যৌথ উদ্যোগে ট্রায়ালটি সম্পূর্ণ হয়েছে।

    ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত কম লাগবে

    আগে জানানো হয়েছিল, বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেনগুলি মুম্বই-আমেদাবাদ (Ahmedabad-Mumbai route) রুটে ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে ট্রায়াল দেওয়া হবে। এর প্রস্তুতির জন্য লাইনের ধারণ ক্ষমতা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জিও-সেল ব্যবহার করে ১২০ টিরও বেশি সেতুপথকে শক্তিশালী করা হয়েছে। একই ভাবে অতিরিক্ত ১৩৮টি সেতুর পুনর্নির্মাণ এবং সাতটি সেতুকে ব্যালাস্টেড ডেক দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। রেলপথ বরাবর ১৩৪টি বক্রপথকে সোজা করা হয়েছে। কংক্রিট স্লিপার এবং ট্র্যাক কুশনিংয়ের ক্ষমতাকেও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই পরিমার্জনের উপর নির্ভর করে বর্তমানে ১২০-১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা থেকে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় গতি বৃদ্ধি করা হতে পারে। ফলে মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে যাওয়ার সময় ব্যবধান ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

    অনুমান খরচ ৩৯৫৯ কোটি টাকা

    মুম্বই-সুরাট-ভাদোদরা-দিল্লি করিডোরেও একইভাবে কাজ করা হচ্ছে। ভারতের পশ্চিম রেলের মুম্বই-আমেদাবাদের রুটের এই প্রকল্পটির (Vande Bharat) খরচ অনুমান বরাদ্দ হয়েছিল ৩৯৫৯ কোটি টাকা। অপরদিকে দিল্লির রুটের জন্য মোট খরচ বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা। বর্তমানে, বন্দে ভারত, তেজস এবং শতাব্দী এক্সপ্রেস সহ আরও ৫০ টিরও বেশি ট্রেন, মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে চলাচল করে। এই রুটের একাধিক ট্রেন বিভিন্ন বিভাগে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে ১১০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে চলে। ট্রেনের যাত্রী বৃদ্ধি করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, ভারতীয় রেল ১৪৭৯ কিমি দিল্লি-মুম্বাই করিডোর এবং ১৫২৫ কিমি দিল্লি-হাওড়া করিডোরের দিকেও নজর দিয়েছে। মুম্বই-দিল্লি রুটের প্রায় ৫০ শতাংশ পশ্চিম রেলের অধীনে রয়েছে। আর বাকিটা পশ্চিম মধ্য রেলওয়ে এবং উত্তর রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist: সাফল্য এনআইএ-র, কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি তারসেম সিংয়ের প্রত্যর্পণ ভারতে

    Khalistani Terrorist: সাফল্য এনআইএ-র, কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি তারসেম সিংয়ের প্রত্যর্পণ ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে একটি বড় সাফল্য পেল এনআইএ। কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) তারসেম সিংয়ের প্রত্যর্পণ হয়েছে ভারতে। ভারত সরকার আগেই এই জঙ্গির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল। সেই সূত্র ধরে গত বছর নভেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবিতে ভারত-বিরোধী এই খালিস্তানি জঙ্গিকে পাকড়াও করেছিল ইন্টারপোল। সেখানেই তাঁর এতদিন ট্রায়াল চলছিল। এবার তাঁকে ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কুখ্যাত খালিস্তানি সন্ত্রাসী হরবিন্দর সান্ধু (রিন্ডা) এবং লখবির সিং (লান্ডা)-এর মূল সহযোগী হিসেবে নাশকতা মূলক কার্যকলাপে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল তারসেম।

    ২০২৩ সাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল (Khalistani Terrorist)

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্ত তারসেম সিং (Khalistani Terrorist) পাঞ্জাবের ত্রন তরন জেলার বাসিন্দা। এই দুষ্কৃতী লক্ষবির সিং লান্ডার ভাই। ২০২৩ সালের জুন মাসে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা (এনবিডব্লিউ) জারি হয়েছিল।নভেম্বর মাসে তারসেম সিংকে আবুধাবির আদলাতে তুলেছিল ইন্টারপোল। এরপর তাঁকে ইন্টারপোলের যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। এনআইএ-র দায়ের করা মামলায় ওয়ান্টেড হিসেবে এতদিন ছিল তারসেম। সেইসঙ্গে এই জঙ্গি, বাব্বর খালিস্তান ইন্টারন্যাশনাল (BKI) সন্ত্রাসী সংগঠনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

    আরও পড়ুনঃ কৃষকদের রোজগার বাড়াতে বড় উদ্যোগ মোদির, ১০৯ জাতের শস্যের সূচনা

    অর্থ জোগান সহ চোরাকারবারে যুক্ত 

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) তারসেম সক্রিয়ভাবে সান্ধু ওরফে রিন্ডা এবং লান্ডারদের তহবিলে অর্থ সরবরাহের কাজে যুক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২০ অগাস্ট, প্রথম স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করেছিল এনআইএ। তবে এই মামলাটি ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত। খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স (কেএলএফ), বিকেআই, ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন (আইএসওয়াইএফ)-এর মতো সংগঠনগুলি যারা, ভারতজুড়ে নাশকতা মূলক কাজ করে, তাদেরকে দমন করতে এনআইএ তদন্ত শুরু করেছিল সেই সময় থেকেই। এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, আইইডি ইত্যাদি পাচার করে অপরাধকে সংগঠিত করার কাজ করত। ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে মাদক পাচার, চাঁদাবাজি, হাওয়ালা ব্যবসা সহ ইত্যাদি অসামজিক কাজ করত এই জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vikram Sarabhai: আজ ইসরোর প্রাণপুরুষ বিক্রম সারাভাইয়ের জন্মবার্ষিকী, জানুন তাঁর অবদান

    Vikram Sarabhai: আজ ইসরোর প্রাণপুরুষ বিক্রম সারাভাইয়ের জন্মবার্ষিকী, জানুন তাঁর অবদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের জনক বিক্রম সারাভাই (Vikram Sarabhai)। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী। ১৯১৯ সালের ১২ অগাস্ট গুজরাটের বিখ্যাত সারাভাই পরিবারে জন্মগ্রহণ (ISRO Founder Birth Anniversary) করেন বিক্রম সারাভাই। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ বিক্রম সারাভাই। জাতীয় স্তরে গঠনমূলক বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আসুন জেনে নিন সারাভাই সম্পর্কে ৯টি আকর্ষণীয় তথ্য। 

    সারাভাইয়ের ভারতে প্রত্যাবর্তন এবং ইসরো প্রতিষ্ঠা 

    সারাভাইয়ের (Vikram Sarabhai) প্রাথমিক শিক্ষা ভারতের সেন্ট জন্স কলেজ থেকে। এরপর তিনি তাঁর উচ্চশিক্ষা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ করে ১৯৪৭ সালে তিনি ডক্টরেট উপাধি অর্জন করেছিলেন।এরপর সেখান থেকে ভারতে ফিরে আসার পর ডক্টর বিক্রম সারাভাই আমেদাবাদ ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করেন। একইসঙ্গে আমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন তিনি। 

    পিআরএল প্রতিষ্ঠা 

    ‘ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’ (পিআরএল) ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্মস্থান বলে বিবেচিত হয়। ১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে বিক্রম সারাভাই এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।  

    আইআইএম প্রতিষ্ঠা

    এছাড়াও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। কমিউনিটি সায়েন্স সেন্টারের ধারণারও পথপ্রদর্শক তিনি, যার লক্ষ্য শিশুদের ব্যাপকভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদান করা এবং তাদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনার বিকাশ ঘটানো।

    একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা 

    আমেদাবাদে নেহরু ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট, আমেদাবাদ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল প্ল্যানিং অ্যান্ড টেকনোলজি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান গুলির মধ্যে অন্যতম।

    বিজ্ঞান, শিক্ষা এবং শিল্পকলায় অবদান

    বিক্রম সারাভাই (Vikram Sarabhai) ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা যিনি ভারতের বিজ্ঞান, শিক্ষা এবং শিল্পকলায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলে। তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী সারাভাইয়ের সঙ্গে তিনি দর্পনা অ্যাকাডেমি অফ পারফরমিং আর্টস প্রতিষ্ঠা করেন।

    সারাভাই কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কিছু সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান 

    তিরুবনন্তপুরুম বিক্রম সারাভাই (Vikram Sarabhai) স্পেস সেন্টার, কালপাক্কামে ফাস্টার ব্রিডার টেস্ট রিঅ্যাক্টর, কলকাতায় ভ্যারিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রোন প্রজেক্ট সহ আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আরব সাগরে ডুব, সাবমেরিনের চড়ে দ্বারকা দর্শনের সুযোগ

    অর্জন

    পরমাণু শক্তি কমিশনের (অ্যাটোমিক এনার্জি কমিশন) চেয়ারম্যানও ছিলেন বিক্রম সারাভাই। 

    উত্তরাধিকার   

    ভারতের চন্দ্রযান-২ মিশনের ল্যান্ডারের নাম ছিল বিক্রম। এর মাধ্যমে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা কর্তৃক মহাকাশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও গবেষণায় বিক্রম সারাভাই সকলের মনে থেকে যাবেন আজীবন। 

    ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ 

    ১৯৭৫ সালে রুশ কসমোড্রোম থেকে ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘আর্যভট্ট’-এর সফল উৎক্ষেপণ হয়। সাফল্যের নেপথ্যে বিক্রম সারাভাইয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। তবে সুদিন দেখার সৌভাগ্য হয়নি বিক্রমের। ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেরলের তিরুবনন্তপুরুমে মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াণ হয় এই বিজ্ঞানসাধকের।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mutual Funds: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নয়া আক্রমণের নিন্দা মিউচুয়াল ফান্ড সংগঠনের

    Mutual Funds: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নয়া আক্রমণের নিন্দা মিউচুয়াল ফান্ড সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেবির (SEBI) চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের ওপর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নয়া আক্রমণের নিন্দা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Funds) ইন ইন্ডিয়া। জানা গিয়েছে, রেগুলেটরের চেয়ারপার্সন সম্পর্কে মন্তব্য শুধু যে ভারতীয় ক্যাপিটেল মার্কেটে মাধবী বুচের অবদানকে ছোট করে তা নয়, তা ছোট করে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিকেও। এভাবে তারা মার্কেট ইকোসিস্টেমে একটা বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব তৈরি করতে চাইছে। বর্তমানে ম্যানেজেমেন্টের অধীনে রয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ কোটি টাকার সম্পদ।

    এএমএফআইয়ের সাবধানবাণী (Mutual Funds)

    অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ড ইন ইন্ডিয়ার সাবধানবাণী, অভিযোগ যদি পরীক্ষিত না হয়, তাহলে তা অযাচিতভাবে বিশ্বের দ্রুত বৃদ্ধির অর্থনীতির রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। হিন্ডেনবার্গের দাবিতে সারবত্তা কিছু নেই। ভারতের রেগুলেটরি পরিবেশ বোঝার অভাব রয়েছে। তারা আমাদের দেশের কঠোর অর্জিত অর্জনগুলিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে (Mutual Funds)।

    এএমএফআইয়ের দাবি

    এএমএফআইয়ের দাবি, ভারতের বাজার পরিকাঠামো অনেক বেশি শক্তিশালী (Mutual Funds)। তারা সমস্ত স্টেকহোল্ডারকে আস্থা রাখতে বলেছে। একটা সময় ধরে নিয়ন্ত্রক একটি ভালো কার্যকরী বাজার তৈরি করেছে যা স্থানীয় ও বিশ্বব্যাপী উভয় বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস অর্জন করেছে। এসবই সম্ভব হয়েছে সেবির বর্তমান চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে। স্বামীর সঙ্গে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে মাধবী বুচ তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। ব্যাঙ্কার থেকে রেগুলেটর বনে যাওয়া মাধবীর সঙ্গে বাণিজ্যিক কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি আদানি গ্রুপের।

    আরও পড়ুন: আরব সাগরে ডুব, সাবমেরিনের চড়ে দ্বারকা দর্শনের সুযোগ

    এএমএফআই জানিয়েছে, বর্তমান সেবি চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেবির বিধিগুলি মিউচুয়াল ফান্ডকে সব চেয়ে স্বচ্ছ ও কার্যকর পণ্য করেছে। হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে তাঁদের খ্যাতি (SEBI) কলঙ্কিত করার অভিযোগ করেছেন মাধবী ও তাঁর স্বামী ধবল বুচ (Mutual Funds)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tourist Submarine Adventure: আরব সাগরে ডুব, সাবমেরিনের চড়ে দ্বারকা দর্শনের সুযোগ

    Tourist Submarine Adventure: আরব সাগরে ডুব, সাবমেরিনের চড়ে দ্বারকা দর্শনের সুযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে এক যাত্রায় পৃথক ফল! তীর্থদর্শনে গিয়ে মিলবে সাবমেরিনের (Tourist Submarine Adventure) চড়ার অভিজ্ঞতা। আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে গুজরাটে (Dwarka)। দেশের মধ্যে প্রধম।

    সাবমেরিনে চড়ে দ্বারকা দর্শন (Tourist Submarine Adventure)

    হিন্দুদের কাছে অতি পবিত্রস্থান দ্বারকা। কথিত আছে, এক সময় দ্বারকার রাজা ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কালের গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে সেই নগরী। এবার সেই নগরীই সাবমেরিনে চড়ে ঘুরে দেখতে পারবেন পুণ্যার্থী এবং ভ্রমণ পিপাসুরা। এজন্য গুজরাট সরকার মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্সের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে রয়েছে দীপাবলি। সেদিন থেকেই চালু হওয়ার কথা সাবমেরিনে চড়ে দ্বারকা দর্শন। গুজরাট সরকারের এহেন উদ্যোগ ভারতে প্রথম।

    পর্যটন শিল্পে জোর নরেন্দ্র মোদির

    ক্ষমতায় এসেই পর্যটন শিল্পের ওপর জোর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দেশের তীর্থস্থানগুলিকে এক সুতোয় বাঁধতে চালু হয়েছে ট্রেন যাত্রা। ঐতিহাসিক যেসব জায়গার গায়ে ধর্মীয় কোনও উপাখ্যান জড়িয়ে রয়েছে, সেই সব জায়গায় পর্যটনে জোর দিয়েছে মোদি সরকার। এরকমই একটি জায়গা হল দ্বারকা। বর্তমানে এই নগরী রয়েছে আরব সাগরের গর্ভে। এখানেই আধ্যাত্মিক পর্যটনের ব্যবস্থা করতে চলেছে গুজরাটের বিজেপি সরকার। জানা গিয়েছে, ডুবো জাহাজে (Tourist Submarine Adventure) করেই দ্বারকা নগরী ঘুরে দেখবেন পর্যটকরা। দর্শন শেষে ফিরে আসবেন পাড়ে।

    আরও পড়ুন: কৃষকদের রোজগার বাড়াতে বড় উদ্যোগ মোদির, ১০৯ জাতের শস্যের সূচনা

    মোদি জমানায় ভারত সম্পর্ক আগ্রহ বেড়েছে তামাম বিশ্বের। তার প্রমাণ, ইদানিং ভারত-দর্শনে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। ২০১৪ সালের পর থেকে এই সংখ্যাটা একলপ্তে বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। বিদেশের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে। চলতি বছর জানুয়ারি-জুন মাসে ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩.৮০ লাখ। ২০২২ সালের এই সময় সংখ্যাটা ছিল ২১.২৪ লাখ। শতাংশের বিচারে বৃদ্ধির হার ১০৬।

    তীর্থস্থান দর্শনে যে আগের চেয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, তার প্রমাণ বারাণসী, অযোধ্যা ও প্রয়াগরাজে ক্রমবর্ধমান পর্যটকের সংখ্যা। গত এক বছরের ব্যবধানে এই তীর্থস্থানগুলি ভ্রমণ করেছেন ১৪ কোটি মানুষ। পর্যটক মন্ত্রকের মতে, ২০২২ সালে ভারতে ধর্মীয় পর্যটনে অংশ নিয়েছিলেন ১,৪৩৯ মিলিয়ন মানুষ (Dwarka)। ২০২১ সালের ৬৭৭ মিলিয়নের দ্বিগুণেরও বেশি (Tourist Submarine Adventure)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 101: “মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?”

    Ramakrishna 101: “মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    যতো বাচো নিবর্তন্তে। অপ্রাপ্য মনসা সহ।

    (তৈত্তিরীয় উপনিষদ/)

    ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা যায় না

    আমি কিন্তু যায় না

    আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল (হাস্য)। হাজার বিচার কর, আমি যায় না। তোমার পক্ষে ভক্ত আমি এ-অভিমান ভাল।

    ভক্তের (Ramakrishna) পক্ষে সগুণ ব্রহ্ম। অর্থাৎ তিনি সগুণ—একজন ব্যক্তি হয়ে, রূপ হয়ে দেখা দেন। তিনি প্রার্থনা শুনেন। তোমরা যে প্রার্থনা কর, তাঁকেই কর (Kathamrita)। তোমরা বেদান্তবাদী নও, জ্ঞানী নও—তোমরা ভক্ত। সাকাররূপ মনো আর না মানো, এসে যায় না। ঈশ্বর একজন ব্যক্তি বলে বোধ থাকলেই হল—যে ব্যক্তি প্রার্থনা শুনেন, সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় করেন, যে ব্যক্তি অনন্তশক্তি।

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্ত্যা ত্বনন্যায়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জুন।

    জ্ঞাতুং দ্রষ্টাং চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুং চ পরন্তপ।।

    গীতা—১১/৫৪/

    ঈশ্বরদর্শন—সকরা না নিরাকার?

    একজন ব্রাহ্মভক্ত জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করিলেন, মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?

    রামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, অবশ্য দেখা যায়—সাকাররূপ দেখা যায়, আবার অরূপ দেখা যায়। তা তোমায় বুঝাব কেমন করে?

    ব্রাহ্মভক্ত—কি উপায়ে দেখা যেতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ব্যাকুল হয়ে তাঁর জন্য কাঁদতে পার?

    লোকে ছেলের জন্য, স্ত্রীর জন্য টাকার জন্য একঘটি কাঁদে। কিন্তু ঈশ্বরের জন্য কে কাঁদছে? যতক্ষণ ছেলে চুষি নিয়ে ভুলে থাকে, মা রান্নাবান্না বাড়ির কাজ সব করে। ছেলের যখন চুষি আর ভাল লাগে না—চুষি ফেলে চিৎকার করে কাঁদে, তখন, মা ভাতের হাঁড়ি নামিয়ে দুড়দুড় করে এসে ছেলেকে কোলে লয়।

    আরও পড়ুনঃ “একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল…যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: কৃষকদের রোজগার বাড়াতে বড় উদ্যোগ মোদির, ১০৯ জাতের শস্যের সূচনা

    PM Modi: কৃষকদের রোজগার বাড়াতে বড় উদ্যোগ মোদির, ১০৯ জাতের শস্যের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি কৃষকবন্ধু। কৃষকদের কীভাবে রোজগার বাড়ে, তা নিয়ে সব সময় চিন্তাভাবনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কৃষকদের কল্যাণে ‘কিষান সম্মান নিধি’ চালু করেছেন তিনি। এহেন কৃষক দরদি প্রধানমন্ত্রী ফের উদ্যোগী হলেন কৃষকদের রোজগার বাড়াতে। রবিবার ১০৯টি জাতের ৬১টি শস্যের সূচনা করলেন তিনি। এই শস্যগুলি উচ্চ ফলনশীল, জলবায়ু সহনশীল।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    এদিন নয়াদিল্লিতে এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নয়া জাতের এই শস্যগুলির সূচনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষকদের সঙ্গে। আলোচনা করেন জৈব চাষের উপকারিতা নিয়েও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নয়া জাতের এই শস্যগুলির সুবিধা কৃষকদের কাছে তুলে ধরতে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রকে। কৃষিবিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষি বিজ্ঞানীরা জানান, অব্যবহৃত শস্যগুলিকে নতুন করে তুলে আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে কাজ করে চলেছেন (PM Modi) তাঁরা।

    কী কী ফসলের সূচনা

    এদিন প্রধানমন্ত্রী যে ফসলগুলির সূচনা করেছেন, সেগুলির মধ্যে ৩৪টি মাঠ ফসল। উদ্যানজাত ফসল রয়েছে ২৭টি। মাঠ ফসলের মধ্যে রয়েছে বাজরা, চারায় ফসল, তৈলবীজ, ডাল, আখ, তুলো, আঁশ এবং অন্যান্য ফসল। উদ্যান ফসলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন জাতের ফল, সবজি, কন্দ ফসল, বৃক্ষরোপণ ফসল, মশলা, ফুল এবং ঔষধি ফসল। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতেই একথা বলা হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতকে অপুষ্টিমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী মিড-ডে মিল ও অঙ্গনওয়াড়ির মতো বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করে শস্যের জৈব-সুরক্ষিত জাতগুলিকে প্রচার করার ওপর জোর দিয়েছেন। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই পদক্ষেপগুলি কৃষকদের ভালো আয় নিশ্চিত করবে।

    আরও পড়ুন: নিশানায় কংগ্রেস, ‘দেশ বিরোধী শক্তি’ নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন ধনখড়

    প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত কৃষকরাও। তাঁরা বলেন, “নতুন জাতের এই শস্যগুলি চাষ করার ক্ষেত্রে খরচ কম হবে। লাভ হবে বেশি। পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এই শস্যগুলি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জৈব চাষের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। মানুষ এখন জৈব খাবার খাচ্ছেন। তাই জৈব খাদ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।” কেন্দ্রীয় সরকার জৈব চাষে জোর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানান কৃষকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আরজিকর কাণ্ডে জড়িত মমতার পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: আরজিকর কাণ্ডে জড়িত মমতার পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে মহিলা শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রশ্ন তুলেছেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের এক্তিয়ার এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। পুলিশ প্রশাসন কার্যত দুস্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার কাজ করে থাকে। এই রাজ্যে যে কোনও অপরাধীদের শাস্তি হয় না। এই খুনে ধৃত সঞ্জয় রায়, তৃণমূলের তৈরি করা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সক্রিয় সদস্য। ফলে মমতা সরকার খুনিদের শাস্তি নয়, আশ্রয় দেওয়ার জন্য সরকার চালাচ্ছেন। ঠিক এই ভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি এই রাজ্য সভাপতি।

    কী বলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রবিবার কলকাতার দলীয় কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আরজিকর কাণ্ডে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই সঞ্জয় রায় হলেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), শান্তনুকে দিয়ে যে পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি তৈরি করেছেন তার সক্রিয় সদস্য এই ব্যক্তি। এই খুনি কোন থানার ভলান্টিয়ার আমরা জানি না। ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ, কাজের এক্তিয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। কেন পুলিশের মতো আইন রক্ষকের ভূমিকা পালনে বিচারবিভাগ ছাড়পত্র দেয়নি সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। গত নির্বাচনগুলিতে আমরা দেখেছি এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটকর্মী হিসাবে ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারণ তৃণমূলের জন্য ভোট লুটে প্রধান ভূমিকা পালনের ঘটনা আগেই সকলের নজরে এসেছিল। ফলে রাজ্য সরকার কম বেতনে জোর করে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে তাঁদের। কাজের পরিসীমাকে ঠিক করা উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ নিহত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে ১১টির বেশি ক্ষতচিহ্ন, বারংবার ধর্ষণের প্রমাণ!

    আর কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাস্তার ট্রাফিক পরিচালনা করানো হয়। আবার ফাইন করানোর কাজেও ব্যবহার করে রাজ্য সরকার। সাধারণ মানুষ এবং হাসপাতাল, কেউ ভালো করে জানেই না ওদের কাজ কী। সরকার স্পষ্ট করে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। তাই বিরোধী দল করলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার কাজ করে সিভিক ভলান্টিয়াররা। অল্প বেতন এবং চুক্তি ভিত্তিক হওয়ায় তোলাবাজির কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-সমর্থকদের মন যুগিয়ে চলতে গিয়ে অসামজিক কাজে লিপ্ত হয়। এই সরকার এই ঘটনায় জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। আরজি করের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির যুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে। একক ব্যক্তির কাজ নয়। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) সিবিআইকে এখনও লিখিত অনুরোধ করেনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আইন পরিবর্তন করতে বলছেন, গুলি করতে বলছেন কিন্তু রাজ্যের শাসক দল তো তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি নয়। তাই পদক্ষেপ তাঁদেরই নিতে হবে। সম্পূর্ণ ঘটনা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির আস্কারায় ঘটেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: নিজের লক্ষ্যে অবিচল! সরকারি চাকরির প্রস্তাবে না অলিম্পিক্স পদকজয়ীর

    Paris Olympics 2024: নিজের লক্ষ্যে অবিচল! সরকারি চাকরির প্রস্তাবে না অলিম্পিক্স পদকজয়ীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য প্যারিস অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) থেকে দেশকে ব্রোঞ্জ মেডেল এনে দিয়েছেন হরিয়ানার শুটার সরবজ্যোৎ সিং (Sarabjot Singh)। এবার সেই প্যারিস অলিম্পিক্সে পদকজয়ী শুটার হরিয়ানা সরকারের সরকারি চাকরির প্রস্তাব ফেরালেন। হরিয়ানা সরকারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ২২ বছরের শুটার বললেন, শুটিংই এখন তাঁর অগ্রাধিকার। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত সরবজ্যোতের? (Paris Olympics 2024) 

    ব্রোঞ্জ পদক জিতে দেশে নিজের বাড়িতে ফেরার পরই সরবজ্যোৎকে হরিয়ানা সরকার রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে নিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু অলিম্পিক্সের সাফল্যেই থেমে যেতে চান না সরবজ্যোৎ। ২২ বছরের শুটারের লক্ষ্য দেশকে আরও আন্তর্জাতিক পদক এনে দেওয়া। তাই সরকারি চাকরির থেকে শুটিংকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এই মুহূর্তে।

    আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর পেনশন বিধি সংস্কার করবে কেন্দ্র, কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    কী জানিয়েছেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী? (Paris Olympics 2024) 

    হরিয়ানা সরকারের চাকরির প্রস্তাব ফেরানো প্রসঙ্গে সরবজ্যোৎ (Sarabjot Singh) বলেছেন, ”চাকরিটা ভালোই। তবে এখনই আমার চাকরি করার ইচ্ছা নেই। আমি শুটিং নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে চাই। শুটিংই এখন আমার অগ্রাধিকার।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘পরিবারের সকলেও চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি এখন শুধু শুটিং নিয়েই থাকতে চাই। নিজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করতে পারব না। তাই এখন চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছি না।”  

    উল্লেখ্য, প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ব্যক্তিগত ও মিক্সড টিম ইভেন্টে ভারতের হয়ে লড়াই চালান সরবজ্যোৎ সিং (Sarabjot Singh)। তিনি ব্যক্তিগত বিভাগে পদক জিততে পারেননি। তবে মনু ভাকেরকে সঙ্গে নিয়ে মিক্সড টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন সরবজ্যোৎ। তাই শুটারের সাফল্যে খুশি হরিয়ানা সরকার তাঁকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সরকারের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে ব্রোঞ্জ জয়ী তারকা শুটারের এরপরের টার্গেট ২০২৮-এর লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্স। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share