Tag: news in bengali

news in bengali

  • India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (India Russia Relation) সঙ্গে নয়া চুক্তি চূড়ান্ত করতে চলেছে নয়াদিল্লি। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরে আসার কথা রুশ প্রেসিডেন্টের। সেই সফরেই নয়াদিল্লি একগুচ্ছ নয়া চুক্তি ও উদ্যোগ চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    পুতিনের সফর (India Russia Relation)

    তিনি পুতিনের সফরকে কেন্দ্র করে ২৩তম বার্ষিক ভারত–রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মস্কোয় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “এই বিশেষ উপলক্ষটি আমার কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।” তিনি জানান, উভয় পক্ষই বহু ক্ষেত্রে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, উদ্যোগ এবং প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরা এগুলি আগামী দিনগুলিতে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছি। এই সব পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে আমাদের বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ ও সুদৃঢ় করবে।” জানা গিয়েছে, ৫ ডিসেম্বরের আশপাশে ভারতে আসার কথা পুতিনের। এই সফরে তিনি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। গত বছর মোদি মস্কো সফর করেছিলেন বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে।

    বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলিকে সমর্থন করে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এই লক্ষ্যকে গঠনমূলকভাবে নেবে। সংঘাতের দ্রুত অবসান এবং একটি স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই।” তিনি বলেন, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার একটি উপাদান হিসেবে কাজ করেছে এবং এই অংশীদারিত্বের বিকাশ দুই দেশ এবং বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ করে (India Russia Relation)।” দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করব। এই খোলামেলা আলোচনা বরাবরই আমাদের সম্পর্ককে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন সংঘাত, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফগানিস্তানের ঘটনাবলিও।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মস্কোয় জয়শঙ্করের এই সফরটি আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক একটি পদক্ষেপ, যেখানে কৌশলগত সহযোগিতা আরও মজবুত করতে উল্লেখযোগ্য ফলের সম্ভাবনা রয়েছে (S Jaishankar)।প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার জন্য ফি বছর একটি করে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। এখন পর্যন্ত এই ধরনের ২২টি সম্মেলন হয়েছে। রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এটি নয়াদিল্লির বিদেশনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

    ডোভাল-নিকোলাই বৈঠক

    এদিকে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সোমবার পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন (India Russia Relation)। দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সহকারী ও রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভ ভারতে পৌঁছেছেন। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (S Jaishankar) অজিত ডোভাল এবং ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।” উল্লেখ্য যে, পাত্রুশেভের এই সফরটি এমন একটি দিনে হল, যেদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে বৈঠক করতে মস্কো পৌঁছেছেন।

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করছে ভারত। গত অগাস্ট মাসেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। গিয়েছিলেন ডোভালও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন নয়াদিল্লির মোদি এবং মস্কোর পুতিন সরকার (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর রুষ্ট ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করেই রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে রাজি হয়নি ভারত। ডোভাল, জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর এবং (S Jaishankar) নরেন্দ্র মোদি-পুতিনের ফোনে কথা, ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের সমালোচনা, পুতিনের ভারতে আসার সম্ভাবনা, এমন নানা বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সেই সময় যে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, তা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ইঙ্গিত ছিল। সেই সম্পর্কই আরও মজবুত হবে পুতিনের আসন্ন ভারত সফরে (India Russia Relation)।

  • Delhi Blast: আত্মঘাতী হামলার পক্ষে ব্যাখ্যা, রয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণের ইঙ্গিতও! উমরের শেষ ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে

    Delhi Blast: আত্মঘাতী হামলার পক্ষে ব্যাখ্যা, রয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণের ইঙ্গিতও! উমরের শেষ ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লা বিস্ফোরণ যে নাশকতামূলক হামলা, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। তবে, এই হামলা আত্মঘাতী হামলা নাকি দুর্ঘটনাবশত ঘটে যাওয়া, সেই নিয়ে দুই তত্ত্বের মধ্যে দোটানায় ছিলেন তদন্তকারীরা। একপক্ষের মতে, এটা ছিল আত্মঘাতী হামলাই। কারণ, আত্মঘাতী জঙ্গি-ডাক্তার উমর জানত কী হতে চলেছে। অন্য তত্ত্ব ছিল, বিস্ফোরক সরাতে গিয়ে স্পর্শকাতর বিস্ফোরক-ঠাসা গাড়িতে আচমকাই ঘর্ষণের ফলে ঘটে যায় বিস্ফোরণ। কিন্তু, সব জল্পনার অবসান। দিল্লি বিস্ফোরণ আদতে একটি আত্মঘাতী হামলা। আর এমনই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে খোদ আত্মঘাতী জঙ্গি-চিকিৎসক উমর নবির একটি পুরনো ভিডিও থেকে।

    প্রকাশ্যে জঙ্গি-ডাক্তার উমরে নবির ভিডিও …

    সম্প্রতি, নবি উমরের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। সূত্রের খবর, এটাই উমরের শেষ ভিডিও। দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই এই ভিডিও নিজে শ্যুট করে উমর। সেখানে তাকে আত্মাঘাতী হামলার স্বপক্ষে বলতে দেখা গিয়েছে। এমনকি, দিল্লি হামলার সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলেছে ওই ভিডিওয়। উমরকে আত্মঘাতী বোমা হামলার পক্ষে যুক্তি দিতে শোনা গিয়েছে। ভিডিওতে তাকে স্পষ্ট ইংরেজি ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘আত্মঘাতী বোমা হামলা নিয়ে বোঝার ভুল রয়েছে…।’ উমরকে ওই ভিডিওতে এমনও দাবি করতে দেখা যায় যে, এটা (আত্মাঘাতী হামলা) নাকি শহিদ হওয়ার সমান। এই ধরনের হামলাকে সমর্থনযোগ্য কাজ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে সে। শুধু আত্মঘাতী হামলার স্বপক্ষে সওয়াল করাই নয়। দিল্লি বিস্ফোরণের স্পষ্ট ইঙ্গিত উঠে এসেছে উমরের ভিডিও-বার্তা থেকে। যেখানে ওই চিকিৎসক-জঙ্গিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যখন আপনি জেনে যান ঠিক কখন, কোথায় আপনার মৃত্যু হবে…’’।

    আত্মঘাতী হামলার তত্ত্বকেই সিলমোহর

    মৃত জঙ্গি-ডাক্তার উমর উন নবির নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ভিডিও দিল্লি বিস্ফোরণে আত্মঘাতী হামলার তত্ত্বকেই সিলমোহর দিল। স্পষ্ট হল, সঙ্গীরা ধরা পড়ায় মরিয়া হয়ে তড়িঘড়ি এই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল উমর। পুলিশ ও এনআইএ-র দাবি, দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানো কোনও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ছিল না, বরং অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনা করছিল অভিযুক্ত। হামলার আগে ভিডিও বার্তা রেকর্ড করা সেই পরিকল্পনারই অংশ। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ভিডিওটি ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের পর তৈরি করা হয়েছে। কীভাবে উমর এই পথে জড়িয়ে পড়ে, তা জানতে তার পুরনো যোগাযোগ ও অনলাইন কার্যকলাপ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উগ্রপন্থী প্রচারমূলক কন্টেন্ট দেখত এবং গোপনে তা প্রচারও করত।

    বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ

    তদন্তকারীদের মতে, যে কোনও নাশকতার কার্যকলাপের পিছনে দীর্ঘদিন ধরে চলে মগজধোলাই। বোঝানো হয় যে আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হওয়াটা ভালো। এভাবেই শিক্ষিত যুবক-যুবতীদেরও নাশকতার কার্যকলাপে টেনে আনা হয়। ভিডিও দেখে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে উমর সকলের মগজধোলাই করছে। গোয়েন্দারা বলেন, ভিডিওটি স্পষ্ট করে দেয় যে, হামলা করার আগে থেকেই উমর তা নিয়ে অত্যন্ত দৃঢ় ছিল এবং সমাজের সামনে নিজের কাজকে সঠিক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছিল। তাই স্পষ্টতই এই ভিডিও এখন দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়ে উঠেছে।

  • SIR: এসআইআর-এর জন্য কোনও ওটিপি চাওয়া হচ্ছে না! ভোটারদের সাবধান করল কমিশন

    SIR: এসআইআর-এর জন্য কোনও ওটিপি চাওয়া হচ্ছে না! ভোটারদের সাবধান করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া বা এসআইআর-এর (SIR) জন্য কোনও ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) দিতে হবে না। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্পষ্ট ভাবে তা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের নির্বাচন কমিশন কিংবা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এসআইআর-এর জন্য কারও থেকে ওটিপি চাইছে না। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে, কমিশনের নাম ভাঁড়িয়ে বহু মোবাইল ফোনে ওটিপি পাঠানো হচ্ছে এবং ফোন করে বলা হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য ওই ওটিপি জরুরি। অনেকেই তা বিশ্বাস করে ওই ভুয়ো ওটিপি নম্বর বলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ জানায় কমিশনের কাছে। মনে করা হচ্ছে, অসাধু উপায়ে টাকা পয়সা হাতানোর জন্যই একটা চক্র এই কাজ করছে।

    কেন এই বিবৃতি

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সাইবার প্রতারণা ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থায় এনুমারেশন ফর্ম পূরণকে হাতিয়ার করে সাইবার প্রতারকরা যাতে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা না করতে পারে, তার জন্য সতর্ক করল কমিশন। কারণ, ফর্ম ঠিকমতো পূরণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষ বিচলিত থাকবেন। ফলে ফর্মে ভুল রয়েছে জানিয়ে বিএলও কিংবা কমিশনের নাম করে কেউ ফোন করে ওটিপি চাইলে, অনেকে প্রতারকদের ফাঁদে পা-ও দিতে পারেন। তাই রীতিমতো প্রেস বিবৃতি দিয়ে সিইও অফিস জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন কিংবা সিইও অফিস এসআইআর সংক্রান্ত কাজের জন্য কখনও কারও মোবাইলে ওটিপি পাঠায় না। এবং ফোন করে ওটিপি জানতে চায় না। সিইও অফিসের এই প্রেস বিবৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে কলকাতা পুলিশও। গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিয়ে আসছেন বুথ স্তরের আধিকারিকেরা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখে সেই অনুযায়ী এই ফর্ম পূরণ করতে হচ্ছে। তার পর তা জমা নিয়ে কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপে এই সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করছেন বিএলওরা। রবিবার রাত ৮টার বুলেটিনে কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৯৯ শতাংশের বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে।

    আজ কলকাতায় কমিশনের টিম

    আজ, মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর কলকাতায় আসছে কমিশনের বিশেষ টিম। এদিন কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে তারা। দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক হবে। এরপর বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কমিশনের বিশেষ টিমের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন। এদিনই কৃষ্ণনগর রওনা দেবে কমিশনের টিম। রাতে সেখানে থাকবে। তারপর ১৯ নভেম্বর নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে বৈঠক করবে। ২০ নভেম্বর মালদায় পৌঁছবে কমিশনের টিম। সেখানে বৈঠক করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চেপে কলকাতায় ফিরে আসবে। কলকাতায় রাতে থাকবে কমিশনের টিম। ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে নিউটাউনে ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিং (FLC) নিয়ে একটি কর্মশালায় যোগ দেবেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।

  • Bharat Bangladesh Relation: ‘‘বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত’’, হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিবৃতি দিল্লির

    Bharat Bangladesh Relation: ‘‘বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত’’, হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিবৃতি দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত চায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক। সোমবার ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’-এর তরফে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina Verdict) বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর এই ইস্যুতে মুখ খুলল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ (Bharat Bangladesh Relation) আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে তা ভারতের নজরে রয়েছে। পাশাপাশি নয়াদিল্লি আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেখানকার সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সুষ্ঠু যোগাযোগ রাখবে দিল্লি।

    কী বলল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    জুলাই অভ্যুত্থানে দেশছাড়া হওয়ার পর থেকে মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে অসংখ্য মামলা হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। গুরুতর মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে জুলাই বিপ্লবী ছাত্রদের উপর গুলি চালানো তথা মানবতাবিরোধী অপরাধ, আয়নাঘর সংক্রান্ত অভিযোগ ইত্যাদি। সোমবার বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপরই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় হাসিনাকে। বাংলাদেশ আদালতে রায় ঘোষণার পর বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে তা ভারতের নজরে রয়েছে। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। নয়াদিল্লি চায় বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র, এবং স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক। সেই লক্ষ্যে নয়াদিল্লি সব পক্ষের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে যোগাযোগ রাখবে।’

    ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি

    বর্তমানে ভারতে (Bharat Bangladesh Relation) রয়েছেন আওয়ামি লিগ নেত্রী হাসিনা। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, হাসিনাকে ফেরাতে চেয়ে ভারতের কাছে আবারও চিঠি দেবেন তাঁরা। তবে বিচারের সম্মুখীন হতে ভারত তাঁকে আদৌ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী আদালতের রায়ে প্রত্যর্পণ করানোর মতো অপরাধ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এক দেশ অপর দেশের হাতে তুলে দেবে। ২০১৩ সালে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তখন কেন্দ্রে মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। অন্য দিকে, ঢাকার মসনদে হাসিনাই।

    কখন প্রত্যর্পণ হবে না

    চুক্তিতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, অপরাধটির যদি রাজনৈতিক চরিত্র থাকে, তা হলে প্রত্যর্পণ করা হবে না। খুন, গুম করা এবং অত্যাচার (যেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি হাসিনা অভিযুক্ত) রাজনৈতিক অপরাধের তালিকায় রাখা হবে না বলেও চুক্তিতে বলা হয়েছে। চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, সেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, বিচারের নেপথ্যে যদি সৎ কোনও উদ্দেশ্য না-থাকে, তা হলে ভারত বা বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করবে না। হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না-করার জন্য এই যুক্তিগুলি খাড়া করতে পারে ভারত। হাসিনা নিজেও বারবারই তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। বিচারের নামে প্রহসনের অভিযোগও তুলেছেন।

    ভারত হাসিনাকে প্রত্যর্পণে বাধ্য নয়

    বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি শর্তের জন্যই ভারত (Bharat Bangladesh Relation) হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে চুক্তি রয়েছে। কিন্তু সোমবারের রায়ের পর বাংলাদেশে হাসিনার প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, যদি কোনও দেশে কারও জীবনের ঝুঁকি থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া দেশ তাঁকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয়। হাসিনার ক্ষেত্রেও এই আইনের কথা তুলে ধরতে পারে ভারত। তাই নানা নিয়ম অনুসারেই ভারত হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য নয়। এই প্রসঙ্গে আইনগত দিকও রয়েছে। হাসিনা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু দেশে না-থাকার জন্য হাসিনাকে যদি তা করতে বাধা দেওয়া হয়, তবে তা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

    ভারতের বিবৃতি স্পষ্টবার্তা

    গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina Verdict) পাশাপাশি এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিন আসামির মধ্যে মামুন রাজসাক্ষী। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক। দুজনই এখন ভারতে (Bharat Bangladesh Relation) অবস্থান করছেন। মৃত্যুদণ্ডের পরই শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের প্রত্যর্পণের আর্জি জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ২ জনকে হস্তান্তরের আর্জি জানায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এই প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান জানায় দিল্লি। ইউনুসের শাসনে গোটা বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতার হাওয়া তোলা হয়েছে। অন্যদিকে, হাসিনা সরকার ছিল ভারতের বন্ধু। তবে, ভারতের বিবৃতি স্পষ্টবার্তা যে কোনও পক্ষপাত নয়, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ আওয়ামি লিগের পাশাপাশি কূটনৈতিক স্বার্থে সে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই সমানভাবে যোগাযোগ রাখবে ভারত। অর্থাৎ, ইউনুসের বাংলাদেশ আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করলেও ভারত সেই দলকে যেমন গুরুত্ব দেবে একইভাবে বিএনপি-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকেও সমান গুরুত্ব দেবে ভারত। পাশাপাশি এটাও ইউনুস প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ভারত সমর্থন করে না। গণতান্ত্রিক পথে আওয়ামি লিগকে বাকি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

  • Delhi Blast: শুধু আত্মঘাতী বিস্ফোরণ নয়, হামাসের ধাঁচে ভারতে ড্রোন-রকেট হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! দাবি এনআইএর

    Delhi Blast: শুধু আত্মঘাতী বিস্ফোরণ নয়, হামাসের ধাঁচে ভারতে ড্রোন-রকেট হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! দাবি এনআইএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে বিরাট চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। শুধুমাত্র গাড়ি বা আত্মঘাতী হামলাই নয়, ভারতের বুকে রীতিমতো হামাসের ধাঁচে ড্রোন ও রকেট হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র ছিল জঙ্গিদের! যার মাত্রা এতটাই বড় ছিল যে তার সামনে লালকেল্লার বিস্ফোরণ নমুনা মাত্র! এমনটাই আভাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সোমবার, জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে আত্মঘাতী জঙ্গি উমর-উল নবি ওরফে উমর মহম্মদের অন্যতম সহযোগী জাসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তার পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, কতটা ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা ছিল ‘হোয়াইট কলার মডিউল’-এর জঙ্গিদের। একেবারে হামাসের কায়দায় ভারতকে আকাশ থেকে ঝাঁঝরা করে দিতে চেয়েছিল তারা।

    প্রযুক্তিগত সহায়তা দিত দানিশ

    এনআইএ-এর (NIA) দাবি, দানিশ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিত সন্ত্রাসী মডিউলকে। ড্রোনকে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য পরিবর্তন করার পাশাপাশি, ছোট আকারের রকেট তৈরিরও চেষ্টা চালিয়েছিল সে। বড় ব্যাটারি বসিয়ে ভারী বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম ড্রোন তৈরি করাই ছিল তার প্রধান দায়িত্ব, বলে সূত্রের দাবি। তদন্তকারীদের দাবি, সন্ত্রাসী চক্রটির লক্ষ্য ছিল— ১১ নভেম্বরের হামলার আগে আরও বড় মাত্রার ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানো।

    হামাসের ইজরায়েল আক্রমণের ধাঁচে হামলা!

    তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পরিকল্পনাটি অনেকটাই মেলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইজরায়েল আক্রমণের মডেলের সঙ্গে, যেখানে ড্রোনই ছিল মূল আঘাত হানার উপায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই মডিউলের পরিকল্পনা ছিল জনবহুল এলাকায় অস্ত্রবহ ড্রোন উড়িয়ে সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া সহ বহু অঞ্চলে এমন কৌশল ব্যবহার করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি – যা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল এই মডিউলও।

    ড্রোন তৈরিতে সিদ্ধহস্ত দানিশ!

    তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র উমেশের সঙ্গে মিলে দিল্লি বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেননি উমেশ, তাঁকেও আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। কাশ্মীরের এক মসজিদে উমরের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল দানিশের। দিনে দিনে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই বন্ধুত্বের সুযোগে দানিশের মগজধোলাই করেছিলেন উমর!তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দানিশের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল ছোট অস্ত্রযুক্ত ড্রোন তৈরির কাজে, যা তাকে এই মডিউলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে পরিণত করেছিল।

    দিল্লি হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী দানিশ

    এই দানিশ ওরফে বিলাল ওয়ানিকে চারদিন আগেই আটক করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। তিনদিন ধরে জেরা করার পর, তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যেই, ছেলের কুকীর্তির কথা জেনে, অপমানে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হন পেশায় ড্রাই ফ্রুট বিক্রেতা দানিশের বাবা। বর্তমানে দানিশকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে এনআইএ। দিল্লি হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রীও ছিল এই দানিশ। প্রসঙ্গত, রবিবারই উমরের সহযোগী তথা এই হামলার ষড়যন্ত্রকারী আমির রশিদ আলি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গোয়ান্দাদের জালে ধরা পড়ে দানিশ।

    এনআইএ-র লক্ষ্য

    দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে দেশজুড়ে তল্লাশি চলছে। একাধিক রাজ্যে বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্ত চলার কারণে দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় রেখে চলেছে এনআইএ। তদন্তকারীদের এখন অগ্রাধিকার হল হামলার পেছনের নেটওয়ার্কটি খুঁজে বের করা। এনআইএ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য পুরো নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলা। এনআইএ জানিয়েছে, ‘হোয়াইট-কলার’ সন্ত্রাসী মডিউলটি বহু দিক থেকে ছক কষছিল এবং সে সব সূত্র ধরে তদন্ত এগোচ্ছে। পাশাপাশি, কোথা টাকা এসেছিল, তা-ও খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। যে কেউ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কর্মকর্তাদের ধারণা, তদন্ত এগোলে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে।

  • Daily Horoscope 18 November 2025: কোনও জটিল সমস্যা ভোগাতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 18 November 2025: কোনও জটিল সমস্যা ভোগাতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আগুন থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

    ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) স্বামীর সঙ্গে বিবাদ অনেক দূর যেতে পারে।

    ২) স্বজনবর্গের সঙ্গে মনোমালিন্য মিটে যেতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) বন্ধুদের সৌজন্যে প্রচুর আয় হতে পারে।

    ২) পথেঘাটে খুব সাবধানতা অবলম্বন করুন, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) কারও প্রতি আপনার ব্যবহার রূঢ় হতে পারে।

    ২) সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) দাম্পত্য কলহের কারণে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও জটিল সমস্যা আপনাকে ভোগাতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) বাইরের অশান্তি আপনাকে নাজেহাল করতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) আইনি কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) সারা দিন নানা দিক থেকে কাজের সুযোগ আসতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) মানসিক যন্ত্রণার কারণে ঘুমের ব্যঘাত হতে পারে।

    ২) কারও বিবাহ সংক্রান্ত কাজে কিছু দান করতে হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) বাড়ির সকলে মিলে তীর্থ ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ২) পুরনো কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) আপনার নিজের মতে কিছু করার জন্য বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) বন্ধুদের কথায় চললে আপনার খুব ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) কারও বিবাহের সংবাদে আনন্দ লাভ।

    ২) যানবাহনে ওঠানামায় বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) সাবধান থাকুন।

    মীন

    ১) ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ অনুকূল সময়।

    ৩) দিনটিতে আশাপূরণ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Sheikh Hasina: হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, মুজিব-কন্যাকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে বাধ্য ভারত?

    Sheikh Hasina: হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, মুজিব-কন্যাকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে বাধ্য ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলাদেশের (Bangladesh) পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফাঁসির সাজা দিয়েছে সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। হিংসায় উসকানি দেওয়া, হত্যার নির্দেশ এবং দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা – এই তিন অভিযোগে হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে ভারতেই রয়েছেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, হাসিনাকে দেশে ফেরাতে চেয়ে ভারতের কাছে ফের চিঠি দেবেন তাঁরা। তবে ভারত তাঁকে আদৌ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি (Sheikh Hasina)

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি। সেই চুক্তি মোতাবেক, আদালতের রায়ে প্রত্যর্পণ করানোর মতো অপরাধ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এক দেশ অন্য দেশের হাতে তুলে দেবে। ২০১৩ সালে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কেন্দ্রে তখন মনমোহন সিংয়ের নেতৃ্ত্বাধীন ইউপিএ সরকার, ঢাকার মসনদে হাসিনা স্বয়ং। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, যে অপরাধের ভিত্তিতে প্রত্যর্পণ করা হবে, তা দুই দেশেই শাস্তিযোগ্য হতে হবে। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সহজতর করতে চুক্তি সংশোধন করা হয় ২০১৬ সালে। সংশোধিত চুক্তিতে বলা হয়, কারও নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেই তাঁকে প্রত্যর্পণ করা যাবে। সংশোধিত এই চুক্তি অনুসারেই হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার আর্জি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

    চুক্তির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক

    ওই চুক্তিতে স্পষ্টভাবে (Bangladesh) বলা হয়েছে, অপরাধটির যদি রাজনৈতিক চরিত্র থাকে, তাহলে প্রত্যর্পণ করা হবে না। খুন, গুম করা ও অত্যাচার রাজনৈতিক অপরাধের তালিকায় রাখা হবে না বলেও চুক্তিতে বলা হয়েছে। ওই চুক্তির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিচারের নেপথ্যে যদি সৎ কোনও উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে ভারত বা বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করবে না। হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করার জন্য এই যুক্তিগুলি খাড়া করতে পারে ভারত। হাসিনা নিজেও বারংবার তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ তুলেছেন বিচারের নামে প্রহসনেরও।

    ভারতকে চিঠি ইউনূসের

    ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে (Sheikh Hasina) ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মহম্মদ ইউনূস সরকারের ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারও করেছিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের একটি চিঠি পেয়েছেন তাঁরা (Bangladesh)। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনই করা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, আগে ওই চিঠির বৈধতা যাচাই করতে চায় নয়াদিল্লি। কোনও দেশের অন্তর্বর্তী সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, অন্য রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

    বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

    বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি শর্তের জন্যই ভারত হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অনিন্দ্যজ্যোতি মজুমদার বলেন, “ভারত হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয়। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি থাকলেও, সেখানে এমন কিছু শর্ত রয়েছে, যার জন্য নয়াদিল্লি সেটি মানতে বাধ্য নয়।” প্রত্যর্পণ চুক্তির ওই শর্তের জেরে হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণে ভারত বাধ্য নয় বলেই জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়িও। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে চুক্তি রয়েছে ঠিকই (Sheikh Hasina)। তবে সোমবারের ওই রায়ের পর বাংলাদেশে প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে হাসিনার। তাই ওই চুক্তিতে থাকা নিয়ম অনুসারেই ভারত হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য নয় (Bangladesh)।”

    কী বলছেন আইনজীবী

    কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “হাসিনা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু দেশে না থাকার জন্য হাসিনাকে যদি তা করতে বাধা দেওয়া হয়, তবে তা হবে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।” ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিলিপি পাঠানো হলেও, ভারত তা মানতে বাধ্য নয় বলেও জানান তিনি। বলেন, “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী যদি কোনও দেশে কারও জীবনের ঝুঁকি থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া দেশ তাঁকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয়। হাসিনার ক্ষেত্রেও এই আইনের কথা তুলে ধরতে পারে ভারত (Sheikh Hasina)।”

  • Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ড দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সেই রায় সরাসরি সম্প্রচারিতও হয়েছে। হাসিনার পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। রাজসাক্ষী হওয়ায় শাস্তি ছোট করা হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আল মামুনের। কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হাসিনাকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এক, উসকানি দেওয়া, দুই হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। ঢাকা আদালতের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হাসিনা। সোমবার রায় ঘোষণার পরেই তিনি আদালতের এই রায়কে কারচুপিপূর্ণ, আগে থেকেই ঠিক করে রাখা এবং গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটহীন, অনির্বাচিত সরকারের সৃষ্টি বলে অভিহিত করেন।

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি (Sheikh Hasina)

    রায় ঘোষণার পর রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। বরং তাঁর আমলে মানবাধিকার এবং উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। সেজন্য তিনি গর্বিতও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর দাবি, এই রায় দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তাও আবার একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনস্থ অবৈধ ট্রাইব্যুনাল সেই রায় দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে হাসিনা বলেন, “এই রায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা চরমপন্থী ব্যক্তিদের নির্লজ্জতা ও খুনি মনোভাবের প্রতিফল মাত্র। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করতে এবং আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিকভাবে ভেঙে দিতে এই কাজ করা হয়েছে (Bangladesh)।”

    অভিযোগ অস্বীকার

    হাসিনা লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা ট্রাইব্যুনালের সব অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছি। গত বছরের জুলাই-অগাস্টে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, সেজন্য আমি শোকাহত। কিন্তু আমি কিংবা কোনও রাজনৈতিক নেতা কখনওই কোনও আন্দোলনকারীকে হত্যা করার নির্দেশ দিইনি। আমাকে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, আমাকে নিজের পছন্দ মতো আইনজীবীও বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই ট্রাইব্যুনাল পক্ষপাতদুষ্ট।” বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে হাতিয়ার করেছে দেশের বিচার বিভাগকে। এভাবে তারা একজোট হয়েছে আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে। বিশ্বের কোনও প্রকৃত পেশাদার আইনজীবী বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের এই রায় সমর্থন করবেন না।”

    ইউনূসের আমল

    বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “ইউনূসের আমলে বাংলাদেশ আরও বিশৃঙ্খল, সহিংস এবং সামাজিকভাবে পশ্চাদগামী একটি শাসন ব্যবস্থায় পরিণ হয়েছে, যেখানে পদে পদে নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, ভিন্নমতের দমনপীড়ন চলছে। অর্থনীতিও ভেঙে পড়েছে। অথচ ক্ষমতায় থাকার জন্য এতদিন ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনে দেরি করেছেন ইউনূস। নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন আওয়ামি লিগকে।” বিবৃতিতে হাসিনা লিখেছেন, “বৈধ ট্রাইব্যুনালে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না। তবে আমি জানি, অন্তর্বর্তী সরকার এই চ্যালেঞ্জ মানবে না। কারণ তারা জানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা গেলে তারা আমায় অব্যাহতি দেবে (Bangladesh)।”

    এই আদালত অবৈধ

    বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত এবং থানায় এখনও পর্যন্ত হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৮৬টি মামলা দায়ের হয়েছে (Sheikh Hasina)। ৩৯৭ দিন ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর সোমবার সাজা ঘোষণা হয়েছে ওই মামলায়। ট্রাইব্যুনালের রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবীর নানক বলেন, “এই আদালত অবৈধ। বাংলাদেশের জনগণ এই রায় প্রত্যাখ্যান করছে। আগামিকাল সারা বাংলাদেশে সকাল-সন্ধ্যা শাটডাউন হবে। যতক্ষণ না অবৈধ ইউনূস সরকার পদত্যাগ করবে, আমাদের সংগ্রাম ততই তীব্র হবে। একদিন হাসিনা বীরের বেশে বাংলার জনগণের প্রিয় দল হিসেবে ফিরবেন। আমাদের জয় অবশ্যম্ভাবী।”

    প্রতিক্রিয়া হাসিনা পুত্রের

    ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদও। তিনি থাকেন আমেরিকার ওয়াশিংটনে। তিনি বলেন, “আমার মা ভারতে নিরাপদ আছেন। ভারত তাঁকে পুরো নিরাপত্তা দিচ্ছে।” ওয়াজেদ বলেন, “আমরা আওয়ামি লিগ ছাড়া নির্বাচন হতে দেব না। আমাদের আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে, আরও বিস্তৃত হবে এবং আমরা যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক সংস্থা কিছু না করলে, নির্বাচনের আগে হিংসা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অনিবার্য হয়ে উঠবে মুখোমুখি সংঘর্ষ।‘’ তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “দলীয় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে আরও আন্দোলন হবে।” যদিও সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই (Bangladesh)।

  • IPL Auction 2026: রাসেলকে ছাড়ল কেকেআর! আইপিএল নিলামের আগে কোন কোন দল কাকে-কাকে রাখল?

    IPL Auction 2026: রাসেলকে ছাড়ল কেকেআর! আইপিএল নিলামের আগে কোন কোন দল কাকে-কাকে রাখল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১১ বছরের সম্পর্কে ছেদ। আন্দ্রে রাসেলকে ছেড়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের ১০টি দল সব মিলিয়ে ৮২ জন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিল। তার মধ্যে ৭৪ জনের দল থাকল না ২০২৬ সালের আইপিএলের আগে। তাঁদের আবার নিলামে নামতে হবে। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল, ফ্যাফ ডুপ্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, রাচিন রবীন্দ্র, রবি বিষ্ণোইয়ের মতো ক্রিকেটার। কেকেআর ছেড়ে দিয়েছে ৯ জন ক্রিকেটারকে। তাঁরা হলেন আন্দ্রে রাসেল, বেঙ্কটেশ আয়ার, কুইন্টন ডি কক, মইন আলি, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, স্পেন্সার জনসন, চেতন সাকারিয়া, লাভনিথ সিসোদিয়া এবং অনরিখ নোখিয়া। এ ছাড়া ময়াঙ্ক মার্কন্ডকে বিক্রি করা হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। ফলে আগামী আইপিএলের আগে ৯ জনেরই কোনও দল থাকল না।

    রাসেলকে কেন ছাড়ল কেকেআর

    হাতে আর বেশি সময় বাকি নেই। আগামী মাসেই ২০২৬ আইপিএল (IPL 2026) টুর্নামেন্টের নিলাম অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে এই নিলাম অনুষ্ঠানের আগে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে রিটেনশন তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। অর্থাৎ, কোন কোন ক্রিকেটারকে তারা ধরে রাখতে চায়। আর কাদেরই বা দিতে চায় ছেড়ে! এই পূর্ণাঙ্গ তালিকা হাতে থাকলে নিলাম অনুষ্ঠানও সুষ্ঠভাবে আয়োজন করা সম্ভব হবে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা দেখে সমর্থকদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে। আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২৩.৭৫ কোটি), কুইন্টন ডি কক (৩.৬ কোটি), মঈন আলি (২ কোটি) এবং অনরিখ নোর্খিয়া (৬.৫ কোটি)।তবে এই তালিকায় যে নামটা সবাইকে হতবাক করেছে, তিনি হলেন আন্দ্রে রাসেল। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। গত বছর মেগা অকশনের ঠিক আগে ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে তাঁকে রিটেনও করেছিল নাইট ব্রিগেড। কিন্তু, গত আইপিএল মরশুমে রাসেল প্রত্যাশা অনুসারে পারফরম্য়ান্স করতে পারেননি। সেকারণে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে শেষপর্যন্ত ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    কেকেআর-এর নতুন বোলিং কোচ

    ২০২৬ সালের আগে পুরো কোচিং স্টাফ বদলে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রধান কোচ, সহকারি কোচের পর এ বার নতুন বোলিং কোচের নাম ঘোষণা করল। KKR-এর প্রাক্তন তারকা ও কিউয়ি কিংবদন্তি টিম সাউদিকে বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করল। গত বার কেকেআর আইপিএল-এ সপ্তম স্থানে শেষ করে। এর নেপথ্যে ছিল খারাপ বোলিং। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের বছরেই এই ছবির পর দলে আমূল বদল আনা হয়। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, ভরত অরুণ সরে দাঁড়ান। মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভো অবশ্য দায়িত্বে রয়েছেন। অভিষেক নায়ারকে প্রথমে কোচ হিসেবে আনা হয়। এর পর সহকারি কোচ হন শেন ওয়াটসন আর এবার বোলিং কোচ করা হলো টিম সাউদিকে।

    কে কাকে ছাড়ল

    চেন্নাই সুপার কিংস: সিএসকে ছেড়ে দিয়েছে ১২ জনকে। রবীন্দ্র জাডেজা এবং সাম কারেনকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে। বাকি ১০ জনের দল থাকল না। তাঁরা হলেন রাহুল ত্রিপাঠি, বংশ বেদি, আন্দ্রে সিদ্ধার্থ, রাচিন রবীন্দ্র, ডেভন কনওয়ে, বিজয় শঙ্কর, দীপক হুডা, শেখ রশিদ, কমলেশ নাগরকোটি, মাথিশা পাতিরানা।

    মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: এমআই ছেড়ে দিয়েছে ন’জন ক্রিকেটারকে। তাঁদের মধ্যে অর্জুন তেন্ডুলকরকে বিক্রি করা হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে। দল থাকল না মুম্বইয়ের আট ক্রিকেটারের। তাঁরা হলেন সত্যনারায়ণ রাজু, রিসি টোপলে, কেএল শ্রীজিৎ, কর্ম শর্মা, বেভন জ্যাকবস, মুজির উর রহমান, লিজ়াড উইলিয়ামস এবং ভিগনেশ পুথুর।

    রাজস্থান রয়্যালস: রাজস্থান ছেড়ে দিয়েছে ন’জন ক্রিকেটারকে। তাঁদের মধ্যে সঞ্জু স্যামসনকে বিক্রি করা হয়েছে চেন্নাইয়ের কাছে। নীতীশ রানাকে বিক্রি করা হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে। এ ছাড়া হয়েছে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ, মাহিশ থিকশানা, ফজ়লহক ফারুকি, আকাশ মাধওয়াল, অশোক শর্মা, কুনাল রাঠোর এবং কুমার কার্তিকেয়। দল থাকল না সাত ক্রিকেটারের।

    পাঞ্জাব কিংস: পাঞ্জাব ছেড়ে দিয়েছে পাঁচ ক্রিকেটারকে। কাউকেই কোনও দলের কাছে বিক্রি করা হয়নি। ফলে পাঁচ জনেরই দল থাকল না ২০২৬ আইপিএলের আগে। তাঁরা হলেন জশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যারন হার্ডি, কুলদীপ সেন, প্রবীণ দুবে।

    রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: আরসিবি ছেড়ে দিয়েছে আট জনকে। কাউকেই বিক্রি করা হয়নি। ফলে কারও দল থাকল না। গত বারের চ্যাম্পিয়ন দল থেকে বাদ পড়লেন স্বস্তিক চিকারা, ময়ঙ্ক আগরওয়াল, টিম সেইফার্ট, লিয়াম লিভিংস্টোন, মনোজ ভানদাগে, লুঙ্গি এনগিডি, ব্লেসিং মুজ়ারাবানি এবং মোহিত রাঠি।

    সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ: হায়দ্রাবাদ ছেড়ে দিয়েছে আট জন ক্রিকেটারকে। তাঁদের মধ্যে মহম্মদ শামিকে বিক্রি করা হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে। দল থাকল না সাত জনের। তাঁরা হলেন অভিনব মনোহর, অথর্ব তাইদে, সচিন বেবি, উইয়ান মুলডার, সিমরজিৎ সিংহ, রাহুল চাহার এবং অ্যাডাম জ়াম্পা।

    দিল্লি ক্যাপিটালস: দিল্লি ছেড়ে দিয়েছে সাত জন ক্রিকেটারকে। কাউকেই বিক্রি করা হয়নি। ফলে কারও দল থাক না ২০২৬ সালের আইপিএলে। নিলামে নাম লেখাতে হবে ফ্যাফ ডুপ্লেসি, জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, ডনোভান ফেরেরা, সেদিকুল্লাহ অটল, মন্বন্ত কুমার, মোহিত শর্মা এবং দর্শন নালকান্দে।

    গুজরাট টাইটান্স: শুভমন গিলের ছ’জন সতীর্থকে ছেড়ে দিয়েছেন গুজরাত কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে শেরফান রাদারফোর্ডকে বিক্রি করা হয়েছে মুম্বইয়ের কাছে। ফলে দল থাকছে না পাঁচ ক্রিকেটারের। তাঁরা হলেন মাহিপাল লোমরোর, করিম জনত, দাসুন শনাকা, জেরাল্ড কোয়েৎজে এবং কুলওয়ান্ত খেজরোলিয়া।

    লখনউ সুপার জায়ান্টস: কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল ছেড়ে দিল ডেভিড মিলার-সহ আট ক্রিকেটারকে। শার্দূল ঠাকুরকে বিক্রি করা হয়েছে মুম্বইয়ের কাছে। সব মিলিয়ে এলএসজির সাত ক্রিকেটারের দল থাকল না। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার আকাশ দীপও। এ ছাড়া রয়েছেন রবি বিশ্নোই, আরিয়ান জুয়াল, যুবরাজ চৌধুরী, রাজ্যবর্ধন হাঙ্গারকর এবং শামার জোসেফ।

  • SSC Scam: তালিকায় অযোগ্যরা? ফল বেরোতেই ফের এসএসসি নিয়ে মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে

    SSC Scam: তালিকায় অযোগ্যরা? ফল বেরোতেই ফের এসএসসি নিয়ে মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে বসেই তোলাবাজি করছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডলে অডিও পোস্ট করে শুভেন্দুর অভিযোগ, এখনও চাকরির জন্য টাকা তুলছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। অবিলম্বে এই কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করুক ইডি। অপরাধী প্রমাণিত হলে নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলা রাজ্য থেকে সরানো হোক। ইডির কাছে এমনই আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সম্প্রতি এসএসসি ২০২৫-এর একাদশ-দ্বাদশের ফল প্রকাশ হয়েছে। তবে তা নিয়েও এক গুচ্ছ বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগে ফের মামলা দায়ের হয়েছে।

    জেলে বসেই চাকরি বিক্রি করছেন জীবনকৃষ্ণ 

    জেলে বসেই চাকরি বিক্রি করছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মোবাইল ফোনের স্ক্রিনশট ও অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এটাই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সততার প্রতীক’? প্রশ্ন তুলে কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য ইডি-র কাছে আর্জি জানিয়েছন তিনি। শুভেন্দু বলেন, এক্সামের রেজাল্টেও যেভাবে প্রভাব খাটিয়েছেন, জেলে উনি ফোন ব্যবহার করছেন। জেলে গিয়ে কিছু হবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো চোরেরা, জীবনকৃষ্ণ সাহাদের মতো চোরেদের ইডি ধরে পাঁচ দিন, দশ দিন পিসি-তে রাখছে, তারপর তো জেলে পাঠাতে হচ্ছে। জেলে তো ফাইভ স্টার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর পর ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এদিন তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠস্বর বলে দাবি করে, একাধিক অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে, শুভেন্দু অধিকারী আরও লিখেছেন, ইডি-কে অনুরোধ করছি, এই কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখুন এবং দোষী প্রমাণিত হলে, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলাগুলি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সরানোর চেষ্টা করুন।

    নতুন তালিকাতেও অযোগ্যদের নাম 

    শনিবর রাতেই, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য, কল ফর ভেরিফিকেশন তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। সেই তালিকা ঘিরেও নতুন করে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ভয়ঙ্কর অভিযোগ, এবারেও তালিকাতে অনেক অযোগ্যের নাম রয়েছে। এখন প্রশ্ন আবারও, কীভাবে তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারলেন? সুপ্রিম কোর্ট যেখানে আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল, অযোগ্যদের সবার আগে বাদ দিতে হবে, তাঁরা যেন কোনওভাবেই পরীক্ষায় না বসতে পারেন। সেখানে মামলাকারীর বক্তব্য, একাদশ দ্বাদশের ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন অযোগ্যের নাম তালিকায়। এমনকি তাঁদের কয়েকজন ইন্টারভিউতেও ডাক পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের নামেক তালিকায় নাম রয়েছে ক্লার্কদেরও। এই নিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। মামলা গ্রহণ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

    আদালতমুখী হওয়ার সিদ্ধান্ত

    কাট অফ’ যেখানে ৭০ শতাংশের বেশি, সেখানেই থমকে নতুনরা। পূর্ণ নম্বর ৬০ পেয়েও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থী ডাক পেয়েছেন। আবার ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের আন্দোলনের প্রথম সারির নেতৃত্বের অনেকেই ডাক পেলেন না। তবে এখনই আন্দোলন বা আদালতমুখী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তাঁরা। তবে এহেন পরিস্থিতিতে রবিবারই একটি চাঞ্চল্যকর নাম প্রকাশ্যে আসে। নীতীশ রঞ্জন প্রামাণিক! তাঁর নাম রয়েছে অযোগ্যদের তালিকায়। কিন্তু তাঁর নাম রয়েছে একাদশ দ্বাদশের পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাতেও। ইন্টারভিউয়ের জন্যও ডাক পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ চিহ্নিত অযোগ্যই ডাকা পেয়েছেন ইন্টারভিউয়ের জন্য। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই SSC-র নতুন ফল নিয়ে নতুন বিতর্ক তুঙ্গে। ধীরে ধীরে আরও অভিযোগ সামনে আসতে থাকে।

    বিশেষভাবে সক্ষম, তাই আবেদন

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চিহ্নিত অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। এরপর চিহ্নিত অযোগ্যদের কেউ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার জন্য আবেদন জানালেও তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, বিশেষভাবে সক্ষম চাকরিহারারা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। নীতীশের পরিবার দাবি করছে, বিশেষভাবে সক্ষম, তাই আবেদন করতে পেরেছেন । কিন্তু যাঁদের নাম ‘দাগীদের’ তালিকায়, তাঁরা আদৌ পরীক্ষায় বসতে পারবেন কিনা, তা স্পষ্ট বলা ছিল না সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারকপিতে। এবার এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই নতুন করে মামলা হল হাইকোর্টে।

     বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলা গ্রহণ করেন

    সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ এক পার্টটাইম শিক্ষক। মামলাকারীর দাবি, অভিজ্ঞতার জন্য কোনো নম্বর পাবেন না পার্টটাইম শিক্ষকরা বলে জানায় এসএসসি। যদিও তার অনেক সহকর্মী অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর পেয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর নাম ইন্টারভিউ তালিকায় থাকার কথা নয়। তবে তা সত্ত্বেও তালিকায় রয়েছেন বহু ‘অযোগ্য’। ফিরদৌস শামিম বলেন, “ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সুবিধা পেয়েছেন ‘অযোগ্য’রা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ‘অযোগ্য’ প্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু ইন্টারভিউ তালিকায় বহু ‘অযোগ্য’র নাম রয়েছে। এটা অসম্ভব বিষয়।” বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলা গ্রহণ করেন। আগামী বুধবার মামলা শুনানি সম্ভাবনা।

LinkedIn
Share