Tag: news in bengali

news in bengali

  • Murshidabad: পুলিশকে পেটানোর অভিযোগে গেফতার ৭ তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    Murshidabad: পুলিশকে পেটানোর অভিযোগে গেফতার ৭ তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ কর্মীকে এবার মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতি মধ্যে ৭ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) রানিনগর থানা এলাকায়। শাসক দলের অভিযোগ, অবশ্য দুই পক্ষের কথা না শুনে কেবল মাত্র বাম-কংগ্রেসের কথা শুনেছিলেন পুলিশ। রাজ্যে এই নির্বাচনী আবহের মধ্যে যে পুলিশকে বিরোধীরা দলদাস বলে থাকে, সেই পুলিশ এখন তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত। তাহলে কি পুলিশের উপর বিশ্বাস রাখছে না তৃণমূল? ফলে রাজনীতির একাংশের মানুষ বলছেন পুলিশ যদি নিজেই সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষকে কীভাবে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Murshidabad)?

    কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধর করার ঘটনায় মোট সাত জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ঘটেছে রানিনগর (Murshidabad) থানার মালিবাড়ি-১ অঞ্চলের মরিচা নিচু পাড়া এলাকায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং তাঁর ভাইয়ের নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল। তাতে একজন এএসআই, একজন কনস্টেবল এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন।

    ঠিক কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ মে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার দিন রানিনগরের (Murshidabad) আমিরাবাদ এলাকায় এক মহিলা তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অভিযোগে বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই মহিলা রানিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে পুলিশ মরিচা-নিচুপাড়া গ্রামে গেলে পুলিশ দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন কিন্তু শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ ছিল বাম-কংগ্রেসের কথা বেশি গুরুত্ব দিয়েছে পুলিশ। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রথমে আটক এবং এরপর তৃণমূলের কর্মীরা চড়াও হয়।

    আরও পড়ুনঃ অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    পুলিশের বক্তব্য

    এরপর খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী গ্রামে আটকে থাকা পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করতে ছুটে যায়। পুলিশের বক্তব্য তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করেছিল পুলিশের উপর। বিক্ষোভ সামলাতে এরপর লাঠিচার্জ করা হয়। ঠিক তারপর শুরু করা হয় গ্রেফতার। অবশ্য স্থানীয় (Murshidabad) তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির আলম বলেন, “পুলিশ সিপিএম এবং কংগ্রেসের দালালি করছে। আমরা এই অন্যায়ের সুবিচার চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাকি গাড়িও নেই আবার বাড়িও নেই! লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করে এমনটাই হলফনামা দিয়ে জানালেন তিনি। তবে এই সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ৩৫ টি প্লট এবং সুবিশাল বাড়ি, গাড়ির অভিযোগ বিরোধীরা সব সময় করে থাকেন। এমনকী হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ডায়মন্ডা হারবারের এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে বলেছিলেন, এত অল্প বয়সে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিকানার উৎস কী তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু নির্বাচনী এই হলফ নামা দেখে রাজনৈতিক মহলে বিরাট শোরগোল পড়েছে।

    অভিষেকের সম্পত্তি কত (Abhishek Banerjee)?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হলফ নামায় দেখা গিয়েছে, তাঁর কোনও বাড়ি, গাড়ি বা স্থাবর সম্পত্তি নেই। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ১ কোটি ২৬ লক্ষ ২০ হাজার ২০৪ টাকা। কিন্তু হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৫ টাকা। মোট পাঁচটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এখানে টাকার পরিমাণ রয়েছে ৮৫ হাজার ৪৩ হাজার ৯০৮ টাকা। তিনটি জীবন বীমা রয়েছে। সেখানে টাকার পরিমাণ ৩১ লাখ টাকা। একই ভাবে তার ঋণ রয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। সোনার পরিমাণ ২ লাখ টাকা। একই সঙ্গে রূপার পরিমাণ রয়েছে ৩ হাজার ৩৪০ টাকার। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যাতা হল নতুন দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করেছেন।

    স্ত্রীর সম্পত্তি কত?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা নারুলার সম্পত্তির পরিমাণ হলফনামা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনা এবং রূপার রয়েছে ৪৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৮২ টাকার। তাঁর কিছু ছবিও রয়েছে তাঁর দাম ৩ লাখ টাকা। একই সঙ্গে তাঁর জীবন বীমা রয়েছে ৩০ লক্ষ টাকার। দুই সন্তান তাঁদের হাতে রয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৯৪৪ টাকা। কন্যা আজানিয়ার নামে রয়েছে নগদ ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬০০ টাকা। একই ভাবে অপর ছেলে সন্তানের নামে ব্যাঙ্কে রয়েছে ২২ লক্ষ ২ হাজার ৪৩৩ টাকা।

    আরও পড়ুনঃ “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই”, শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

    বুথ স্তরের নেতারাও লজ্জা পাবেন

    ইতিমধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে সমালোচনা করে বলা হয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সম্পত্তির পরিমাণ দেখে তৃণমূলের বুথ স্তরের নেতারাও লজ্জা পাবেন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের একটি বাড়িও নেই আবার গাড়িও নেই। এই নিয়ে তীব্র নিন্দা সূচক মন্তব্য উঠে আসছে সামাজিক মাধ্যমে। তাঁর দেখানো সম্পত্তির খতিয়ান দেখে অনেকেই বলেছেন এই হিসাব সঠিক নয়। কারচুপি করে এই হলফ নামা দেওয়া হয়েছে। তবে ইতি মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে গরুপাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে নাম জড়িয়েছে। একাধিকবার তলবে হাজিরাও দিয়েছেন অভিষেক।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Palestine Relation: ‘প্যালেস্তাইনকে স্থায়ী সদস্য করা হোক’, রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট ভারতের

    India Palestine Relation: ‘প্যালেস্তাইনকে স্থায়ী সদস্য করা হোক’, রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ইজরায়েলেরই পাশে থেকেছে ভারত। তবে নয়াদিল্লি যে প্যালেস্তাইনের (India Palestine Relation) সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, আরও একবার তার প্রমাণ দিল মোদির ভারত। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভোটাভুটি হয়। বিষয় ছিল, প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য করা হবে কিনা। এই নির্বাচনেই অংশ নেয় ভারত এবং (খানিকটা আশ্চর্যজনকভাবে) ভোট দেয় প্যালেস্তাইনের পক্ষে। ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে প্যালেস্তাইনের। বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদের আরও একবার বিরেচনা করে দেখা উচিত বলেও সওয়াল করে ভারত।

    রাষ্ট্রসংঘে সাধারণ সভা (India Palestine Relation)

    রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার সদস্য সংখ্যা ১৯৩। এদিন সকালে বসে সাধারণ সভা। মে মাসের সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করে আরব গোষ্ঠী। আলোচ্য বিষয়, আরব দেশগুলির একটি প্রস্তাব। প্রস্তাবটি হল, রাষ্ট্রসংঘে নয়া সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকরণ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে প্যালেস্তাইনকে স্থায়ী সদস্য করার পক্ষে জোরদার সওয়াল করা হয়। এনিয়ে ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত হয়। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, প্রস্তাবের (India Palestine Relation) পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৩টি। বিপক্ষে পড়েছে ৯টি ভোট। ভোটদানে বিরত থেকেছেন রাষ্ট্রসংঘের ২৫টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।

    কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ অব্যাহত। এই হামাসদের দখলে রয়েছে প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ড। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর প্রথম হামলা চালায় হামাসরা। হামাসরা ধর্মে মুসলমান। যুদ্ধ শুরুর সময় ইজরায়েলের পাশে ছিল ভারত। এখনও আছে। তবে ইজরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধের বার্তাও দিয়েছে। ইজরায়েলি সেনার হানায় গাজায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুর নিন্দাও করেছে ভারত। হামাস যখন প্রথমে ইজরায়েলে নৃশংসভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করতে শুরু করে, তখনও কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল ভারত। এহেন আবহেই প্যালেস্তাইনের পাশে দাঁড়াল ভারত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করল নয়াদিল্লি।

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    উল্লেখ্য যে, ভারতই প্রথম নন-আরব দেশ যারা প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৭৪ সাল থেকে তারা যে প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের বৈধ প্রতিনিধিত্ব করছে, তাও স্বীকার করে নিয়েছে ভারত। ১৯৮৮ সালে ভারতই প্রথম রাষ্ট্র যারা প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে গাজায় রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসও তৈরি করেছিল। ২০০৩ সালে অবশ্য এই অফিসটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রামাল্লায় (India Palestine Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    PM Modi: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন বলে যা বলা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যা।” সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুদের নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতের হিন্দুর সংখ্যা কমেছে ৮ শতাংশ। আর সংখ্যালঘুরা বেড়েছেন ৪৩ শতাংশ। এই যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। যে যেভাবে পারছে, অর্থ করছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    তিনি (PM Modi) বলেন, “এটা যদি তথ্যই হয়, তাহলে মনে হবে ভারতে সংখ্যালঘুরা দমিত হয়ে রয়েছেন। এ দেশে তাঁদের স্বর পাত্তা পায় না। আসলে তো তা নয়। এই সমস্ত ব্যাখ্যা তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। দয়া করে সত্যটা জানুন, এবং ঠিকঠাক ব্যাখ্যা দিন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত সামনের দিকে এগোচ্ছে। এজন্য প্রত্যেকের সাহায্য প্রয়োজন। প্রত্যেকের কল্যাণের প্রয়োজন। প্রত্যেককেই মনে রাখতে হবে ‘বসুধৈব কুটুম্বকমে’র সেই চিরন্তনী আপ্তবাক্য।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইএসি-পিএম একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সাল এই পর্বে ভারতে সংখ্যাগুরু হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৭.৮২ শতাংশ। এই সময়সীমায় মুসলমানের হার ৯.৮৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ। 

    আরও পড়ুুন: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। এবং এজন্য যে মন্ত্র আমি অনুধ্যান করি তা হল, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। ২০১৪ সালে আমি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করি, আমি এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলাম আরও দু’টি শব্দবন্ধ। সেগুলি হল, ‘সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’। সরকার যে কাজ করবে, সেখানে কোনও বৈষম্য থাকা উচিত নয়। সেটা ধর্ম হোক কিংবা বর্ণ অথবা লিঙ্গ – কোনও দিক থেকেই কোনও বৈষম্য কাম্য নয়।” তিনি (PM Modi) বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ ভয়ঙ্কর জিনিস। কোনও দেশ এভাবে এগোতে পারে না। মোদি কখনও হিন্দু-মুসলমান দুই দুই করেনি। দেশের কাছে অগ্রাধিকার আপনার কাজ। আর দেশকে শিক্ষিত করা আমার কাজ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই”, শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

    Dilip Ghosh: “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই”, শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ বেলা আজ নিজের কেন্দ্রে প্রচার সারলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আমরাই ধোবি ঘাট এলাকায় রোড শো করে শেষে চা চক্রে যোগদান করেন তিনি। তাঁকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, মেদিনীপুর না দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা আসনে এসে কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে? উত্তরে দিলীপ বলেন, “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই।” এলাকার কর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন। অপর দিকে গতকাল তাঁর রোড শোকে কমিশন আটকালে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। দিলীপ বলেন, সময়মতো আমাদের রোড-শো চলায় আটকে দেওয়া হয়েছে।” আগেও তাঁর সভা আটকানোর বিরুদ্ধে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছিলেন তিনি।

    দেবের বিরুদ্ধে তোপ (Dilip Ghosh)

    আবার গতকাল ঘটাল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেব প্রচার করে গিয়েছেন দুর্গাপুর-বর্ধমানলোকসভা কেন্দ্রে। দেব কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বলেন, “মেদিনীপুর ছেড়ে এখানে আসতে হলো।” প্রত্যুত্তরে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি মেদিনীপুরের ছেলে মেদিনীপুরে ফিরে যাব কিন্তু ও কোথায় যাবে! তৃণমূলের স্টার প্রচারক কিন্তু সংসদে যান না। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কোনও ভূমিকা রাখেন না। তৃণমূল যেমন দেবও তেমনি। সব চোরের দল।” সন্দেশখালির কয়েকজন মহিলার বিরুদ্ধে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওই সমস্ত মহিলাদের চিহ্নিত করে মিথ্যা অভিযোগ এবং অপপ্রচার করা হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের হয়ে তাবেদারি করছে। পুলিশ নিয়ে আমরা ভাবি না।”

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী

    শেষ প্রচারের আসরে নেমে দিলীপ বলেন, “আমরা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করছি। আমাদের কর্মীরা বুথে বথে কাজ করে চলেছেন। আমি জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আমি শেষ বেলায় সব এলাকায় যাচ্ছি। এখানে কোনও বাধা নেই। তবে তৃণমূল যে আছে এটা জানাতে ওঁরা মাঝে মাঝে গো ব্যাক শ্লোগান দেন। এমনকী কোথাও কোথাও কালো পতাকা দেখিয়ে থাকেন। তবে পুলিশ যদি ঠিক করে কাজ করেন তাহলে মানুষ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ না করলেই ভালো।” তবে শেষ দিনের প্রচারে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যাপক জমজমাট চিত্র লক্ষ্য করা গেল।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি। এ নিয়ে অনেকগুলি দেশের সঙ্গে ভারতের আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।” শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “নতুন সরকারের অগ্রাধিকারই হবে এটি (রুপির বাণিজ্য চুক্তি)। নির্বাচনের কারণে বিষয়গুলি স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আমি আপনাকে বলতে চাই যে, আমরা অনেক দেশের সঙ্গে আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি।”

    শাহি আলোচনায় জার্মানি প্রসঙ্গ (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “আমাদের ডেফিসিট রয়েছে। কিন্তু দেখুন, জার্মানির মতো দেশ দু’ভাবে ব্যবসা করতে পারে। ইউরো দিয়ে এবং রুপি দিয়ে। আন্তর্জাতিক মুদ্রায় ট্রেড ডেফিসিট হতে পারে, বিরাট অঙ্কের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আমরা আমাদের দেশীয় মুদ্রায় শিফট করতেই পারি।” জেনোফোবিয়ার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থমকে গিয়েছে ভারত, চিন, রাশিয়া এবং জাপানের মতো দেশগুলিতে। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিন সে প্রসঙ্গও এসেছে সাক্ষাৎকারে।

    মার্কিন মন্তব্যে শাহি প্রতিক্রিয়া

    শাহ বলেন, “আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কী মন্তব্য করেছেন, তা জানি না। তবে এটা তো সত্যি যে, গত দশ বছরে আমরা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছি। আগামী দু’-তিন বছরের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার রোডম্যাপও তৈরি হয়ে রয়েছে।” তিনি বলেন, “এখন আমাদের রফতানি ক্রমবর্ধমান। অর্থনৈতিক উৎপাদনের জন্য ভারতকে একটি সম্ভাব্য কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি বছরের পর বছর অন্যদের চেয়ে ওপরে উঠছে। তাই এখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেই, এমন ধারণা করা কারও পক্ষেই ঠিক হবে না বলে আমি মনে করি।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২০১৪ সালের চেয়ে ঢের বেশি বেড়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “২০১৪ সালে ডিম্যাটের সংখ্যা ছিল ২.২২ কোটি। বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫.১ কোটি। এই বৃদ্ধির মূল কারণ হল ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বাজারে বিনিয়োগকারী মধ্যবিত্ত-উচ্চ মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত যুবক, গৃহিনী ও অন্যদের অংশগ্রহণ।” তিনি (Amit Shah) জানান, মনমোহন সিং সরকারের আমলে শেয়ার বাজার ছিল ৮৫ লক্ষ কোটি টাকার। বর্তমানে সেটাই দাঁড়িয়েছে ৪০০ লক্ষ কোটি টাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 14: “জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত বলিলেন, এর নাম সমাধি! মাস্টার এরূপ কখনও দেখেন নাই”

    Ramakrishna 14: “জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত বলিলেন, এর নাম সমাধি! মাস্টার এরূপ কখনও দেখেন নাই”

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    শ্রুতিবিপ্রতিন্না তে যদা স্থাস্যতি নিশ্চলা।

    সমাধাবচলা বুদ্ধিস্তদা যোগমবাপ্স্যসি।।

    সমাধিমন্দিরে

    সভা ভঙ্গ হইল। ভক্তেরা এদিক ওদিক পায়চারি করিতেছেন। মাস্টারও পঞ্চবটি ইত্যাদি স্থানে বেড়াইতেছেন, বেলা আন্দাজ পাঁচটা। কিয়ৎক্ষণ পরে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরের দিকে আসিয়া দেখিলেন, ঘরের উত্তরদিকের ছোট বারান্দার মধ্যে অদ্ভুত ব্যাপার হইতেছে!

    শ্রীরামকৃষ্ণ স্থির হইয়া দাঁড়াইয়া রহিয়াছেন। নরেন্দ্র গান করিতেছেন, দুই-চারিজন ভক্ত দাঁড়াইয়া আছেন। মাস্টার আসিয়া গান শুনিতেছেন। গান শুনিয়া আকৃষ্ট হইয়া রহিলেন। ঠাকুরের গান ছাড়া এমন মধুর গান তিনি কখনও শুনেন নাই। হঠাৎ ঠাকুরের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া অবাক্‌ হইয়া রহিলেন। ঠাকুর দাঁড়াইয়া নিস্পন্দ, চক্ষুর পাতা পড়িতেছে না, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বহিছে! জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত বলিলেন, এর নাম সমাধি! মাস্টার এরূপ কখনও দেখেন নাই, শুনেন নাই। অবাকহইয়া তিনি ভাবিতেছেন ভাগবানকে চিন্তা করিয়া মানুষ কি এত বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়? না জানি কতদূর বিশ্বাস-ভক্তি থাকলে এরূপ হয়। গানটি এই;

    চিন্তয় মম মানস হরি চিদঘন নিরঞ্জন।

    কিবা, অনুপমভাতি, মোহনমূরতি, ভকত-হৃদয়-রঞ্জন

    নবরাগে রঞ্জিত, কোটি শশী-বিনিন্দিত;

    (কিবা) বিজলি চমকে, সেরূপ আলোকে, পুলকে শিহরে জীবন।

    গানের এই চরণটি গাহিবার সময় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ শিহরিতে লাগিলেন। দেহ রোমাঞ্জিত! চক্ষু হইতে আনন্দশ্রু বিগলিত হইতেছে। মাঝে মাঝে যেন কি দেখিয়া হাসিতেছেন। না জানি কোটি শশী-বিনিন্দিত কী অনুপম রূপদর্শন করিতেছেন! এরই নাম কি ভগবানের চিন্ময়-রূপ-দর্শন? কত সাধন করিলে, কত তপস্যার ফলে, কতখানি ভক্ত-বিশ্বাসের বলে, এরূপ ঈশ্বর-দর্শন হয়? আবার গান চলিতেছেঃ

    হৃদ কমলাসনে, ভজ তাঁর চরণ,

    দেখ শান্ত মনে, প্রেমে নয়নে অপরূপ প্রিয়দর্শন!

    আবার সেই ভুবনমোহন হাস্য! শরীর সেইরূপ নিস্পন্দন! স্তিমিত লোচন! কিন্তু কি যেন রূপদর্শন করিতেছেন! আর সেই অপরূপ রূপদর্শন করিয়া যেন মহানন্দে ভাসিতেছেন।

    এইবার গানের শেষ হইল। নরেন্দ্র গাইলেনঃ

    চিদানন্দরসে, ভক্তি যোগাবেশে, হও রে চির গমন।

    (চিদানন্দরসে, হায় রে প্রেমানন্দ রসে)

    সমাধির ও প্রেমানন্দের এই অদ্ভুত ছবি হ্রদয়মধ্যে গ্রহণ করিয়া মাস্টার গৃহে প্রত্যাবর্তন করিতে লাগিলেন। মাঝে মাঝে হৃদয়মধ্যে সেই হৃদয়োত্তকারী মধুর সঙ্গীতের ফুট উঠিতে লাগিলঃ

    প্রেমানন্দরসে হও রে চিরমগন। (হরিপ্রেমে মত্ত হয়ে)

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৮ম পরিচ্ছেদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: পেট্রোল-ডিজেলে ‘অতিরিক্ত ট্যাক্স মমতার’, আক্রমণ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Himanta Biswa Sarma: পেট্রোল-ডিজেলে ‘অতিরিক্ত ট্যাক্স মমতার’, আক্রমণ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের সমর্থনে জগদ্দল বিধানসভার শ্যামনগর অন্নপূর্ণা মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। রাজ্যে তৃণমূল শাসনে একধিক বিষয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। আসাম সরকারের সরকারি প্রকল্প এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি প্রকল্পের নানা বিষয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন। পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের লিটার পিছু মূল্য নিয়ে অতিরিক্ত ট্যাক্স নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। একই সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকার পরিমাণ কম পান বাংলার মা-বোনেরা, এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।

    কী বলেল হিমন্ত বিশ্বশর্মা(Himanta Biswa Sarma)?

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “আসামে গোয়াহাটিতে পেট্রোলের লিটার ৯৬ টাকা আর পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোলে লিটার ১০৩ টাকা। পেট্রোলে লিটার পিছু সাত টাকা করে বেশি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ডিজেলের লিটার পিছু নিচ্ছে তিন টাকা করে। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায় কিন্তু আসামের মহিলারা ১২৫০ টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পেট্রোল ও ডিজেল এ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তাতে এই পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের ২০০০ টাকা করে লক্ষীর ভান্ডার পাওয়া উচিত।”

    নিয়োগ নিয়ে আক্রমণ

    বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “আসামে আমরা প্রথম বছরে ১ লক্ষ যুবকের সরকারি চাকরি দিয়েছি। কিন্তু সেই চাকরি নিয়ে কোনও হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্ট হয়নি বা কোনও মন্ত্রীর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়নি, তাই আসামে গিয়ে কীভাবে সাধারণ যুবকদের চাকরি দিতে হয় তা মুখ্যমন্ত্রীকে শিখে আসার জন্য আহ্বান জানাই। অথচ এই রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেকার যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা।” বাংলায় তৃণমূল শাসনকে মুক্ত করতে এদিন জনসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে অর্জুন সিং-কে জেতানোর জন্য আহ্বান জানান।

    আরও পড়ুনঃসন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: বেআইনি ভাবে জমি দখলের মামলায় শাহজাহান শেখের ভাইকে ফের তলব ইডির

    Sandeshkhali Incident: বেআইনি ভাবে জমি দখলের মামলায় শাহজাহান শেখের ভাইকে ফের তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) ধৃত তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের ভাই সিরাজউদ্দিন শেখকে ফের তলব করল ইডি। শাহজাহানের আরও কয়েক জন আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদেরও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। এর আগে সিরাজকেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়। সিরাজ ও শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি তলব করা হয়েছে ধৃত শিবু হাজরার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদেরও।  

    কী কারনে তলব? (Sandeshkhali Incident)

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের ব্যাঙ্কের নথি, জমি লিজের কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে এবং ধৃতদের বয়ানে যে সব নাম উঠে এসেছে, তাঁদেরই তলব করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, সন্দেশখালির সরবেড়িয়া, ধামাখালি সহ বেশ কিছু এলাকায় আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের নাম ব্যবহার করে জমির লিজ নিতেন শাহজাহান। তাঁরা অবশ্য কেউই খুব বড় মাপের ব্যবসায়ী নন। শাহজাহান শুধু তাঁদের নামটুকু ব্যবহার করতেন। সেই সব ব্যক্তিদের নামেই জমির লেনদেন হত। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেই সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই শাহজাহান ও শিবুর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।

    সিরাজুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে ইডির পদক্ষেপ 

    উল্লেখ্য সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident)পরই শাহজাহানের ভাই সিরাজুদ্দিন শেখের নাম শিরোনামে উঠে আসে। একাধিকবার তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠায় ইডি। কিন্তু প্রতিবারই হাজিরা এড়ান সিরাজউদ্দিন। ইডির (ED) তদন্তকারীদের আশঙ্কা, তদন্ত থেকে বাঁচতে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করে থাকতে পারেন সিরাজউদ্দিন। তাই তিনি যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সে কারণে দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে সিরাজউদ্দিনের ছবি এবং তাঁর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, গত ১ মে কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) সরবেড়িয়া এলাকায় শাহজাহানদের বাড়ির সামনে যান সিবিআইয়ের একটি দল। সিরাজের বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। তালাবন্ধ বাড়ির বাইরে নোটিশ সেঁটে দিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর এই ঘটনার পর আবারও সিজিও কমপ্লেক্সে শাহজাহান শেখের ভাইকে তলব করল ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme court: টেটের শূন্যপদ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Supreme court: টেটের শূন্যপদ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার বড় নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্যানেলের মেয়াদ শেষে কোনও নিয়োগ নয়, নির্দেশে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ২০২০ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রয়ে যাওয়া শূন্যপদে নতুন করে কোনও নিয়োগ নয়, এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চের।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Supreme court) 

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে একটি ২০১৬ সালে এবং অপরটি ২০২০ সালে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের তরফে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু, বিভিন্ন কারণের জন্য ৩৯২৯ টি পদ শূন্যই থেকে গিয়েছিল। এই প্রায় ৪ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার কাদের রয়েছে? এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা ২০১৪ সালে টেট পাশ করে তাঁদের দাবি ছিল বাকি পদগুলিতে রয়েছে তাঁদের অগ্রাধিকার। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা গিয়েছিল তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। তিনি সেই সময় মেধার উপর ভিত্তি করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) সেই নির্দেশকে মান্যতা দিল না। 

    শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার মামলাটি আদালতে (Supreme court) উঠতে সেখানেই এই দাবি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের (Primary Recruitment) ক্ষেত্রে যে পদগুলি বাকি রয়েছে সেগুলি আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme court) তরফে। অর্থাৎ ২০২২ সালের যে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল তার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই করা হবে নিয়োগ।

    আরও পড়ুন: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমেছে ৮ শতাংশ, তরতরিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুরা

    অন্যদিকে আবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জলও গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই বাতিল করে দেয়। আর এই নির্দেশে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি যায়। আর অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের সুদ সমেত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সেই মামলায় আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share