Tag: news in bengali

news in bengali

  • India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে (Turkey) সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। বিশেষ বিমানে করে ত্রাণ পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি। অথচ, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন নয়াদিল্লির অবদান ভুলে গিয়ে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়ায় ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক (India Greece Missile Deal)! উন্নত ড্রোন, অন্যান্য সামরিক যুদ্ধাস্ত্র এবং যুদ্ধ জাহাজ দিয়ে বন্ধু পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। সেই তুরস্ককেই এবার উপযুক্ত জবাব দিতে চলেছে ভারত! তুরস্কের জাতশত্রু গ্রিসকে লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত। সাম্প্রতিক গ্রিস সফরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল ভিআর চৌধুরি গ্রিসের বিমান বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গ্রিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উভয় দেশই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে একটি চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ভারত থেকে গ্রিসে লং-রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল সরবরাহের একটি সম্ভাব্য চুক্তির কথাও উল্লেখ রয়েছে।

    ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব (India Greece Missile Deal)

    তুরস্কের সংবাদসংস্থা টিআর হেবার জানিয়েছে, ডিআরডিও নির্মিত এই মিসাইল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। যদিও ভারত বা গ্রিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে ওই সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ভারত ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম একটি ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এই সম্ভাব্য মিসাইল দেওয়ার খবরে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তুরস্কে। ভারতের কাছ থেকে গ্রিস এই ধরনের কৌশলগত অস্ত্র পেতে পারে, এমন আশঙ্কায় কাঁটা আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)। ভারতের এই মিসাইলটি বিমানঘাঁটি, প্রতিরক্ষা (Turkey) ব্যবস্থা, রাডার ইনস্টলেশন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টার্গেটে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আঙ্কারার (India Greece Missile Deal)।

    ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক

    এই জল্পনা এমন একটা সময়ে উঠেছে যখন ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। বস্তুত তার পরেই ভারত-তুরস্কের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের অস্ত্রের ক্ষমতা চাক্ষুষ করেছে তামাম বিশ্ব। তাই আরও বেশি করে ভয় পেয়েছে তুরস্ক। কারণ গ্রিস যদি ভারতের এলআর-এলএএসিএম মিসাইল পায়, তাহলে তারা তুরস্কের বিমান ঘাঁটিতে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারবে। তখন পরিস্থিতি অনেকটা এমন হবে, যেমনটা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরে ভারত বেছে বেছে আঘাত হেনেছিল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

    এলআর-এলএএসিএম মিসাইলটি বৈশিষ্ট্য 

    প্রসঙ্গত, এলআর-এলএসিএম মিসাইলটি ব্রহ্মোস মিসাইলের মতোই তৈরি করা হয়েছে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল কম উচ্চতায় এবং অত্যন্ত উচ্চ গতিতে চলা, যার ফলে একে প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি এবং এটি প্রচলিত ও অপ্রচলিত—উভয় ধরনের যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম। এটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। ২০২৪ সালে এর প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় (Turkey)।

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমে জল্পনা

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম এই জল্পনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হেবারের একটি প্রতিবেদনের হেডলাইনই ছিল, “ভারত ১,০০০ কিমি রেঞ্জের ক্রুজ মিসাইল এজিয়ানে নিয়ে এসেছে! তারা তুরস্ককে টার্গেট বানাবে!” ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিস সম্ভবত ভারতের “অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত দিকগুলি বিশ্লেষণ করে তুরস্কে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে এও দাবি করা হয়েছে, গ্রিস ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের পারফরম্যান্স সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে (India Greece Missile Deal)।

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা নতুন নয়। এই দুই ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। সামরিক সংঘর্ষ এবং আইজিয়ান সাগর, আকাশসীমা লঙ্ঘন, সাইপ্রাস ইস্যু এবং সাম্প্রতিককালে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জ্বালানি সম্পদের ওপর প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা উঠেছে তুঙ্গে। একই সামরিক জোটের অংশ হওয়া এবং ইউরোপীয় (Turkey) ইউনিয়নের কিছু সহযোগিতা কাঠামো শেয়ার করা সত্ত্বেও, গ্রিস-তুরস্কের সম্পর্ক কার্যত সাপে-নেউলে (India Greece Missile Deal)।

    প্রসঙ্গত, পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে গ্রিস আর তুরস্ক। গ্রিসের দাবি, কোস, সামোস, লেসবস-সহ পূর্ব এজিয়ান সাগরের বেশ কয়েকটি দ্বীপে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে তুরস্ক। ওই দ্বীপগুলির ওপর দিয়ে তারা নাকি নিয়মিত যুদ্ধবিমানও ওড়ায়। ১৯২৩ সালে লুসানের চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিস আর তুরস্কের বর্তমান (Turkey) সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী লেসবস, চিওস, সামোসের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পেয়েছিল গ্রিস (India Greece Missile Deal)।

  • Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষমতা তাক লাগিয়ে গিয়েছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে। এবার আরও শক্তি বাড়তে চলেছে। এবার সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন করে আরও অস্ত্র কেনার (Defence Purchase) জন্য তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র। শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (Defence Acquisition Council) দেশীয় উৎস থেকে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা অপারেশন সিঁদুরের পর সামরিক বাহিনীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।

    কী কী থাকছে কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায়?

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিএসি-র (DAC) বৈঠকে যে যে সামরিক সরঞ্জামের কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাথায় রেখে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকেই (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামরিক কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায় অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, ‘ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র’, সাঁজোয়া গাড়ি (আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকল্‌) এবং অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন যুদ্ধব্যবস্থার (ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার) উপকরণ। নৌসেনার জন্য আকাশহানা প্রতিরোধী ‘সুপার র‌্যাপিড গান’, মাইন চিহ্নিতকারী জাহাজ এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ‘সাব-মার্সিবল অটোনোমাস ভেসেল’ রয়েছে এই তালিকায় (Defence Purchase)। দেশেই হবে ১২টি মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল (MCMVs) নির্মাণ। এই জল সুরক্ষা যান তৈরির বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪,০০০ কোটি টাকা। এই ৯০০-১,০০০ টনের বিশেষ যুদ্ধজাহাজগুলি জলের নিচে মাইন নিস্ক্রিয় করতে কার্যকরী, যুদ্ধের সময় বন্দর বা জলপথ অবরোধ করা প্রতিহত করতেও কাজে লাগবে।

    ১০,০০০ কোটি টাকায় তিনটি গুপ্তচর বিমান

    আবার বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে (Defence Purchase) বিশেষ গুপ্তচর বিমান। ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেলিয়ান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেসেন্স (ISTAR) বিমান। ৩৬,০০০ কোটি টাকার কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল (QRSAM) কেনা হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এটি তৈরি করবে সেনাবাহিনীর তিনটি রেজিমেন্ট ও বিমানবাহিনীর তিনটি স্কোয়াড্রনের জন্য। এই মিসাইলগুলি অত্যন্ত দ্রুত শত্রুপক্ষের বিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ধ্বংস করতে পারে, ৩০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে যে কোনও শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে।

  • Good Sleep: সন্ধ্যা ছ’টার পরেই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা! কোন রোগ রুখতে এই পরামর্শ?

    Good Sleep: সন্ধ্যা ছ’টার পরেই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা! কোন রোগ রুখতে এই পরামর্শ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানান শারীরিক জটিলতা। আবার অনেক সময়েই ডায়াবেটিস (Diabetes), উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) মতো জটিল রোগ খুব কম বয়সেও হানা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনে কিছু বদল একাধিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের (Healthy Lifestyle Tips) মধ্যেই দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সূর্যাস্তের পরে কিছু অভ্যাস (Good Sleep) নিয়মিত করলে শরীরে রোগের ঝুঁকি কমে। তাই সন্ধ্যা ছ’টার পরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কোন বাড়তি সতর্কতার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ ভাবে দীর্ঘ জীবনের জন্য সন্ধ্যার পরে খাদ্য ও পানীয়তে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাই তাঁদের পরামর্শ, সন্ধ্যা ছটার পরে কখনই একাধিকবার কফি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফিতে থাকে ক্যাফিন। এই প্রাকৃতিক ক্যাফিন শরীরের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। সাময়িকভাবে বাড়তি এনার্জির জোগান বলে মনে হলেও এই উপাদান শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্যাফিন অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ঘুম কম (Good Sleep) হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই নানান হরমোন ঘটিত সমস্যা হতে পারে।

    কফিতে নিয়ন্ত্রণের পাশপাশি বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ সন্ধ্যা ছটার পরে অতিরিক্ত ভারি খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। বিশেষত চর্বিজাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত তেল ও মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের চর্বিযুক্ত খাবার সন্ধ্যার পরে খেলে অন্ত্রের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রাতে খুব উচ্চস্বরে গান শোনার অভ্যাস বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দীর্ঘসময় খুব উচ্চস্বরে গান-বাজনা চললে মস্তিষ্কের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। যার ফলে স্নায়ুর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    সন্ধ্যার পরের বাড়তি সতর্কতা কোন রোগের ঝুঁকি কমাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম (Good Sleep), একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নানান রোগের দাপট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, অপর্যাপ্ত ঘুম। তাই সূর্যাস্তের পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে ঘুম হয়। প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম হলে শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্ধ্যার পরে একাধিকবার কফি খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করলে শরীরে স্নায়ু বাড়তি উত্তেজিত থাকবে না। বরং সারাদিনের পরিশ্রমের পরে ঠিকমতো বিশ্রাম (Good Sleep) পাবে।

    রাতের খাবারে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন লিভারের উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করে। আবার হজমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই রাতে নিয়মিত ভারী খাবার খেলে লিভারের রোগের (Liver Problem) ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রাতে হালকা খাবার খেলে, সহজপাচ্য খাবার খেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। আবার সহজেই হজমের গোলমাল এড়ানো‌ যায়। বারবার বমি, পেটের অসুখের মতো ভোগান্তিও কমে।

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Memory Loss) মতো সমস্যা এড়াতে সন্ধ্যা ছটার পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম (Good Sleep) হলেই মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমবে। কারণ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকলে এবং স্নায়ুর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে। পাশপাশি স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকিও কমে‌। তাই বয়স বাড়লে ডিমেনশিয়ার (Dementia) মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত ঘুমের (Good Sleep) দিকে নজরদারি জরুরি‌‌ (Healthy Lifestyle Tips) বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ভক্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয়রাও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সমর্থক। শুধু যখন শচিন বনাম লারা খেলা হতো তখন বিষয়টা আলাদা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারের এই ঐতিহাসিক ভাষণে মোদি কূটনৈতিক বন্ধুত্বের পাশাপাশি ক্রিকেটপ্রেমের উল্লেখ করে বলেন, “আমাকে বলতেই হবে, ভারতীয়রা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম উৎসাহী সমর্থক। আমরা তাদের জন্য মনপ্রাণ দিয়ে গলা ফাটাই — শুধু তখন নয়, যখন তারা ভারতের বিরুদ্ধে খেলছে।”

    ভারতীয় স্পন্দনের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান ছন্দ

    ক্রিকেটের মাধ্যমে ভারত ও ক্যারিবিয়ান দেশের বন্ধুত্বের উষ্ণতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর মজার মন্তব্যে অধিবেশনকক্ষে হাসি ও করতালির রোল পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তব্যে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক বন্ধনের উল্লেখ করেন। তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের প্রতি, যাঁরা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, “প্রায় ১৮০ বছর আগে দীর্ঘ ও কষ্টকর সমুদ্রযাত্রার পর ভারতীয়রা এই দেশে এসে পৌঁছেছিলেন। সেই ভারতীয় স্পন্দন আজ ক্যারিবিয়ান ছন্দের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি থেকে কবিতা, ক্রিকেট থেকে বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান আজ গর্বের বিষয়।”

    ২৫ বছর আগের ঘটনা

    ক্রিকেটে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানে পৌঁছনোর পরে ক্রিকেটারদের কথাও উল্লেখ করেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ক্রিকেট খুব জনপ্রিয়। এখান থেকে অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার এসেছেন। যাঁদের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার ব্রায়ান লারাও রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি ঘটনাও শোনান। তিনি বলেন, “২৫ বছর আগে যখন আমি এখানে এসেছিলাম, তখন সবাই লারার পুল শট, তাঁর কাট শটের প্রশংসা করতে ক্লান্ত হতো না।” প্রধানমন্ত্রী এর পরে পুরান এবং নারাইনেরও প্রশংসা করেন, এই দুজনেই ভারতে হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট লিগ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (IPL) খেলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সুনীল নারাইন এবং নিকোলাস পুরান আমাদের যুবকদের মধ্যে উৎসাহ জোগান, সেই থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে।”

    নেতৃত্বে নারী শক্তি

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর নেতৃত্বে নারী শক্তির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দেশের জনগণ দু’জন অসাধারণ নারী নেত্রীকে তাদের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত করেছেন — রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে গর্বের সঙ্গে পরিচয় দেন।” ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সংসদে নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিতেও খুশি হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই সংসদে এত নারী সদস্য দেখে আমি আনন্দিত। ভারতে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, সংস্কৃতির অন্তর্গত। আমাদের পবিত্র স্কন্দ পুরাণেও বলা হয়েছে — একটি কন্যা সন্তান দশটি পুত্র সন্তানের সমান আনন্দ বয়ে আনে। আমরা আধুনিক ভারতের নির্মাণে নারী শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “অন্তরীক্ষ থেকে ক্রীড়া, স্টার্টআপ থেকে বিজ্ঞান, শিক্ষা থেকে উদ্যোগ, বিমান চলাচল থেকে সশস্ত্র বাহিনী — সর্বত্র নারীরা ভারতের ভবিষ্যৎ নির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

    গণতন্ত্রের জয়গান

    এদিন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারতের কাছে গণতন্ত্র শুধু একটি রাজনৈতিক মডেল নয়, বরং একটি জীবনধারা। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে উপস্থিত বহু সংসদ সদস্যের পূর্বপুরুষ বিহার থেকে এসেছিলেন, যা ছিল মহাজনপদের — প্রাচীন প্রজাতন্ত্রের — কেন্দ্র।” তিনি যোগ করেন, “আমাদের দুই দেশই ঔপনিবেশিক শাসনের ছায়া থেকে উঠে এসে সাহসের কালি ও গণতন্ত্রের কলমে নিজেদের গল্প নিজেরাই লিখেছে।”

    মোদিকে বিশেষ সম্মান

    উত্তর অতলান্তিক সাগরের ছোট্ট দু’টি দ্বীপ! আর তা নিয়েই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, একটা রাষ্ট্র। সেখান থেকেই বিশেষ সম্মানেও ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি হলেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রথম বিদেশি নেতা, যিনি এই মর্যাদা পেলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঝুলিতে এখন ২৫টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কাঙ্গালু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার প্রদান করেছেন। পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি এই সম্মান ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে গ্রহণ করছি। এই পুরস্কার দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের বন্ধনের প্রতীক।” তিনি আরও বলেন, “এই সম্পর্কের মূলে রয়েছে আমাদের যৌথ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যা ১৮০ বছর আগে এই দেশে আগত ভারতীয়দের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেই আশাবাদী দুই দেশ।

  • Rath Yatra 2025: আজ উল্টোরথ, তিনদিন মন্দিরে প্রবেশ করবেন না প্রভু জগন্নাথ! জানুন বিশেষ রীতি

    Rath Yatra 2025: আজ উল্টোরথ, তিনদিন মন্দিরে প্রবেশ করবেন না প্রভু জগন্নাথ! জানুন বিশেষ রীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৫ জুলাই, উল্টো রথের (Rath Yatra 2025) পুণ্য তিথি। আট দিন পর মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দির থেকে এবার ফেরার পালা (Lord Jagannath Homecoming) প্রভুর। আষাঢ় মাসের দশমী তিথিতে শ্রীক্ষেত্র জগন্নাথ ধামে ফিরে আসবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। গত ২৭ জুন তিন দেবদেবী মাসির বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। আট দিন সেখানে কাটিয়ে আজ গুণ্ডিচা থেকে জগন্নাথধামের (Jagannath Dham) পথে তিন দেবদেবী। সেদিন ছিল রথযাত্রা। আজকের গন্তব্য ঠিক উল্টো। তাই ফেরাকে বলা হয় উল্টো রথযাত্রা। আজকের এই ফিরতি যাত্রার মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হবে বার্ষিক রথযাত্রা উৎসব (Rath Yatra 2025)। তবে, সারা বিশ্ব এটিকে উল্টো রথ হিসেবে জানলেও, আসলে এর নাম ‘বহুদা যাত্রা’ (Bahuda Yatra)। মন্দিরের সামনে এসেও তিনদিন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। কিন্তু কেন? কেন তিনদিন নিজ গৃহে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রভুকে। এই তিনদিন কোথায় থাকবেন তাঁরা?

    তিন দিন প্রভুর অপেক্ষা

    কথিত আছে, মাসির বাড়ি থেকে ফিরে সহজে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মূল মন্দিরে (Jagannath Temple) প্রবেশের অনুমতি পান না। কারণ তাঁরা দেবীর লক্ষ্মীকে শ্রী মন্দিরে একা রেখেই মাসির বাড়িতে (Rath Yatra 2025) গিয়েছিলেন এবং আনন্দে মেতে ছিলেন। তাই অভিমানী দেবী সটান মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন। সেই থেকে টানা তিন দিন দরজার সামনেই অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। আর এই দিনগুলিতে হয় নানান ধরনের উৎসব।

    তিনদিন মহোৎসব (Bahuda Yatra)

    রীতি অনুযায়ী, মন্দিরের সামনে তিনদিন মহোৎসব পালন করা হয়। উল্টো রথের (Rath Yatra 2025) পরের দিন অর্থাৎ একাদশীতে ‘সুনা বেশে’ পুজো করা হয়। অর্থাৎ, সোনা দিয়ে সাজানো হয় তিন দেব-দেবীকে। তিন দেব-দেবী সোনার বেশভূষায় সজ্জিত হন রথেই। স্বর্ণালংকার পরিয়ে তাঁদের আরাধনা হয়। দ্বিতীয় দিন, দ্বাদশীতে পালন করা হয় ‘অধরপনা’ উৎসব। এই রীতি অনুযায়ী দ্বাদশীর দিন সন্ধ্যাবেলায় জগন্নাথ দেবকে সরবত খাওয়ানো হয়। তৃতীয় দিন হয় রসগোল্লা উৎসব বা ‘নীলাদ্রি ভেজ’। ত্রয়োদশীর দিন পালন করা হয় এই উৎসব। জগন্নাথ দেবকে কয়েকশো হাঁড়ি রসগোল্লা ও ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় তিন দিনের সাজা। তৃতীয় দিনই মূলরত্ন বেদীতে তোলা হয় জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রাকে।

    ‘বহুদা যাত্রা’র মাহাত্ম্য

    পুরীর জগন্নাথ ধামের রথযাত্রা (Rath Yatra 2025) জগদ্বিখ্যাত। বলা বাহুল্য, রথযাত্রার মতো উল্টো রথেও সেখানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। পুরীর এই উৎসবের অনেক মাহাত্ম্যও রয়েছে। সুভদ্রার (দর্পদলন) রথটি মাঝখানে, তার পরে পশ্চিমে বলভদ্রের (তালধ্বজ) রথ এবং সবশেষে পূর্বে জগন্নাথের (নন্দীঘোষ) রথ। অর্থাৎ, মাঝখানে সুভদ্রা, ডানে জগন্নাথ এবং বামদিকে বলভদ্র। উল্টো রথযাত্রার (Bahuda Yatra) সময় প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথগুলি মৌসিমা মন্দিরে থামে। ভগবান জগন্নাথের মাসিকে উৎসর্গ করা মৌসিমা মন্দিরে তিন দেবতাকে ‘পোদা পিঠা’ পরিবেশন করা হয়, যা ভাত, নারকেল, মসুর এবং গুড় সমন্বিত একটি অনন্য সুস্বাদু খাবার। এর পরে, জগন্নাথের রথ গজপতির প্রাসাদের সামনে লক্ষীনারায়ণ ভেতা বা লক্ষ্মীর সমাবেশের জন্য থামে। তারপর রথ টানা হয় এবং তার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছায়।

    পুরাণ মতে…

    কথিত রয়েছে, মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্নর আমলে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি তৈরি হয়। সেই সময়েই রথযাত্রাও চালু হয়। আবার অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, রথযাত্রার ইতিহাস আলাদা। ১০৭৮ সালে তৈরি হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) । ১১৭৪ সালে মেরামতি করানোর হয়। তার পরেই নাকি তা বর্তমান জগন্নাথ মন্দিরের চেহারা নেয়। তখন শুরু হয় রথযাত্রা। কপিলা সংহিতা, ব্রহ্ম পুরাণ, পদ্ম পুরাণ ও স্কন্দ পুরাণে রথযাত্রা সম্পর্কে পাওয়া যায় তথ্য। ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ বলছে, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত। সমুদ্রে ভেসে আসা কাঠের খণ্ড দিয়ে তিনি দেবমূর্তি নির্মাণে আদেশ পান। আরও এক সূত্র বলে, তিনি বিষ্ণু মন্দির গড়ার স্বপ্নাদেশ পান। তবে এই মন্দির গড়া নিয়ে ছিল না ধারণা। আদেশ ছিল মূর্তি গড়ার সময়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দিরে। মূর্তি গড়ছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা।

  • Ramakrishna 400: আর বলছিলাম, মা যেন একবার ছুঁয়ে দেন, তাহলে লোকের চৈতন্য হয়

    Ramakrishna 400: আর বলছিলাম, মা যেন একবার ছুঁয়ে দেন, তাহলে লোকের চৈতন্য হয়

    শ্রী রামকৃষ্ণ মাস্টারের প্রতি— “এখানে অপর লোক কেউ নাই। সেদিন হরিশ কাছে ছিল। দেখলাম খোলটি ছেড়ে সচিদানন্দ বাহিরে এলো, এসে বললে ‘আমি যুগে যুগে অবতার।’ তখন ভাবলাম বুঝি মনের খেয়ালে ওইসব কথা বলছি। তারপর চুপ করে থেকে দেখলাম— তখন দেখি আপনি বলছেন, ‘শক্তির আরাধনা চৈতন্য করেছিল।’”

    ভক্তেরা সকলে অবাক হইয়া শুনিতে চান। কেউ কেউ ভাবিতে চান— সচিদানন্দ ভগবান কি শ্রী রামকৃষ্ণের রূপ ধারণ করিয়া আমাদের কাছে বসিয়া আছেন? ভগবান কি আবার অবতীর্ণ হইয়াছেন?

    শ্রী রামকৃষ্ণ কথা কহিতেছেন, মাস্টারকে সম্বোধন করিয়া আবার বলিতেছেন, “দেখলাম পূর্ণ আবির্ভাব, তবে সত্য, গুণের ঐশ্বর্য।”

    ভক্তেরা সকলে অবাক হয়ে এই সকল কথা শুনিতেছেন।

    যোগমায়া, আদ্যাশক্তি ও অবতারলীলা

    শ্রী রামকৃষ্ণ ‘মাস্টার’-এর প্রতি- “এখন মাকে বলছিলাম, আর বকতে পারি না। আর বলছিলাম, মা যেন একবার ছুঁয়ে দেন, তাহলে লোকের চৈতন্য হয়।
    যোগমায়ার এমনই মহিমা। তিনি ভেলকি লাগিয়ে দিতে পারেন। বৃন্দাবনলীলা—যোগমায়া ভেলকি লাগিয়ে দিলেন। তারই বলে সুবল, কৃষ্ণের সঙ্গে শ্রীমতির মিলন ঘটিয়ে দিচ্ছিলেন।

    যোগমায়া, যিনি আদ্যাশক্তি, তাঁর একটি আকর্ষণশক্তি আছে। আমি সেই শক্তিরই আরোপ করেছিলাম।”

    — “আচ্ছা, যারা আসে, তাদের কিছু কিছু হচ্ছে।”

    মাস্টার: “আজ্ঞে, হ্যাঁ হচ্ছে বৈকি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “কেমন করে জানলে?”

    মাস্টার সহাস্যে: “সবাই বলে—তার কাছে যারা যায়, তারা আর ফেরে না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে:
    “একটা কোলা ব্যাঙ হেলে সাপের পাল্লায় পড়েছিল। সাপ ওটাকে গিলতেও পারছে না, ছাড়তেও পারছে না। আর কোলা ব্যাঙটা যন্ত্রণায় ক্রমাগত ডাকছে। ঢোঁড়া সাপটারও যন্ত্রণা। কিন্তু গোখরো সাপের পাল্লায় যদি পড়ত, তাহলে দু’এক ডাকেই শান্তি হয়ে যেত।”

    — সকলের হাস্য।

    ছোকরা ভক্তদের প্রতি:

    “তোরা ‘ত্রৈলোক’-এর সেই বইখানা পড়িস—ভক্তি-চৈতন্যচন্দ্রিকা।
    তার কাছ থেকে একখানা চেয়ে নিস। বেশ চৈতন্যদেবের কথা আছে।”

  • Daily Horoscope 05 July 2025: স্বপ্ন পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 05 July 2025: স্বপ্ন পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি সাধারণ।

    ২) ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মানসিক দুশ্চিন্তা থাকবে।

    ৩) পেশাগত জীবনে ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেবে।

    বৃষ

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

    ২) পেশাগত জীবনে ব্যস্ত থাকবেন।

    ৩) পরিজনদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেন।

    মিথুন

    ১) ধন আগমনের পথ প্রশস্ত হবে।

    ২) স্টক মার্কেটে লগ্নি করবেন না।

    ৩) পেশাগত জীবনে উন্নতির একাধিক সুযোগ পাবেন।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করুন।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    ৩) সিঙ্গলরা প্রেমের প্রস্তাব পাবেন।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত বিশেষ।

    ২) পারিবারিক জীবনে আনন্দ থাকবে।

    ৩) স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    কন্যা

    ১) পড়াশোনায় ভালো ফল করবেন।

    ২) সকলে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

    ৩) সম্পত্তি বিবাদ এড়িয়ে যান।

    তুলা

    ১) পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

    ২) কেরিয়ারে উন্নতির নতুন সুযোগ পাবেন।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় ব্যাপক সাফল্য পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আর্থিক বিষয়ে কারও ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করবেন না, লোকসান হতে পারে।

    ২) আপনার স্বপ্ন পূরণ হবে।

    ৩) কেরিয়ারে উন্নতি লাভ করবেন।

    ধনু

    ১) আধিকারিকরা আপনার কাজের প্রশংসা করবেন।

    ২) চাকরিতে পদোন্নতির যোগ রয়েছে।

    ৩) ছোট ভাই-বোনের সাহায্য করতে হবে।

    মকর

    ১) পেশাগত জীবনে সমস্ত কিছু ভালো থাকবে।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে।

    ৩) আয় বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) পড়াশোনায় ভালো ফল পাবেন।

    ২) সামাজিক পদ-প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) পারিবারিক জীবন আনন্দে কাটবে।

    মীন

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

    ২) অবসাদ মুক্ত হবেন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Weather Update: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    Weather Update: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। ঘূর্ণাবর্তের জেরেই হতে পারে এই বৃষ্টি। শুক্রবার সকাল থেকেই মুখভার কলকাতার। যমজ শহর হওড়ায়ও এদিন সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। টিপটিপ করে বৃষ্টিও (Heavy Rain) হয়েছে। আরও কিছুদিন আবহাওয়া থাকবে এমনই। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে দেখা দিতে পারে দুর্যোগের ঘনঘটা।

    হাওয়া অফিসের খবর (Weather Update)

    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বিকানের, জয়পুর, আসানসোল এবং কলকাতার ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমি অক্ষরেখা। গাঙ্গেয় বঙ্গের উত্তরভাগে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। আরও একটি উচ্চ অক্ষরেখা গিয়েছে গুজরাট থেকে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড হয়ে গাঙ্গেয় বঙ্গের ওপর দিয়ে। সেটি মিশেছে ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে। রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ুও। এই ত্র্যহস্পর্শেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। আগামী চারদিনের পূর্বাভাস দিয়ে বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।

    ভারী বৃষ্টি

    শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে। বাকি জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়ায়। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং দুই ২৪ পরগনায়। রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হতে পারে ভারী বর্ষণ।

    ভারী বৃষ্টি হতে পারে সোমবারও। এদিন পুরুলিয়া (Heavy Rain), বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে (Weather Update)। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, শনি ও রবিবার বৃষ্টির দাপট তুলনামূলকভাবে কম থাকবে। সোমবার থেকে ফের হতে পারে ভারী বর্ষণ। চলবে বুধবার পর্যন্ত। এই পর্বে বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পংয়ে (Weather Update)।

  • BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঠিক এই প্রশ্ন তুলেই সিবিআইকে (CBI) ধমক দিল আদালত। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগেই (BJP leaders Death Case)। তার পরেও কেন অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হল চার বছর পর? প্রশ্ন আদালতের।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন (BJP leaders Death Case)

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই মামলায় মাত্র দু’দিন আগেই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে আবার তিনজনই হলেন তৃণমূলের নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। শুক্রবার কলকাতার বিচার ভবন সেই মামলায় ১৮ জনকেই সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাঠাতে বলা হয়েছে চার্জশিটের প্রতিলিপিও। আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, কেবল ওই ১৮ জনই নন, মূল চার্জশিটে যে ২০ জনের নাম রয়েছে, তাঁদেরও সমন পাঠাতে হবে।

    সিবিআইকে ধমক আদালতের

    বিচারকের এই নির্দেশের পর সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সকলকে চার্জশিট পাঠাতে তাদের মাসখানেক সময় লাগবে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, “চার বছর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিচ্ছেন। এটা কী ম্যাটার অফ জোক? চার বছর ধরে কী করছিলেন? চার্জশিটে তো দেখলাম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে দু’বছর আগেই।” তিনি বলেন, “তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে মানে সেটা আপনাদের খামখেয়ালির ওপর নির্ভর করতে পারে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ওই দিনই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হবে (BJP leaders Death Case)।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজয়ী দল তৃণমূলকে। ওই সময়ই ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ২ মে ফল ঘোষণার দিনই অভিজিৎকে পিটিয়ে, গলায় কেবল টিভির তার জড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত অরুণ দে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন গত সপ্তাহে (BJP leaders Death Case)।

  • Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama)। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রচলিত প্রথা মেনেই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন হবে। সেই অধিকার থাকবে তাঁদের সংস্থা গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই।

    ভারতের জবাব (Dalai Lama)

    তিব্বতি ধর্মগুরুর ঘোষণার পরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল চিন। শি জিনপিংয়ের নাম না নিয়েই এর জবাব দিল ভারত (India Slams China)। তিব্বতি ধর্মগুরু নির্বাচনে চিনের নাক গলানোর বিষয়টি যে ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না, সেকথা শি জিনপিংয়ের দেশকে বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনের অধিকার রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বর্তমান দলাই লামার হাতেই। সাংবাদিক বৈঠকে রিজুজু বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেন দলাই লামা। তাঁর অনুগামীরা চাইছেন, দলাই লামার ইচ্ছে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাই উত্তরসূরি বেছে নিক। এর বাইরে অন্য কারও এই প্রক্রিয়ায় নাক গলানোর অধিকার নেই।”

    তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন

    ৬ জুলাই ধর্মশালায় পালিত হবে তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন। সেখানে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু। থাকবেন আরও এক মন্ত্রী রাজীব রঞ্জনও। ৯০তম জন্মদিনের কয়েক দিন আগেই বুধবার তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে ফের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দলাই লামা। তিনি জানিয়েছিলেন, ছ’শো বছরের প্রাচীন প্রথা ও ঐতিহ্য মেনেই চলবে আমাদের সংস্থার কাজকর্ম (Dalai Lama)। উত্তরসূরি নির্বাচনের অধিকার থাকবে কেবল গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই। অন্য কেউ নাক গলাতে পারবে না।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে লাসা (তিব্বতের রাজধানী) থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন দলাই লামা। কারণ সেই সময় তিব্বত আক্রমণ করেছিল চিন। তার পর থেকে চিন তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে দেগে দিয়েছে। পরে তিনি আশ্রয় নেন ভারতে। ওয়াকিবহাল মহলের (India Slams China) মতে, তাঁর সাম্প্রতিক এই ঘোষণাটি কেবল তাঁর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা নয়, চিনা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ থেকে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মীয় ঐতিহ্যের স্বাধীনতাকেও জোরালোভাবে তুলে ধরে (Dalai Lama)।

LinkedIn
Share