Tag: pakistan

pakistan

  • Pak Afgan Peace Talks: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা, জানুন আসল কারণ

    Pak Afgan Peace Talks: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা, জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা (Pak Afgan Peace Talks)। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওই আলোচনা হচ্ছিল তিন দিন ধরে। তার পরেও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেননি দুই দেশের প্রতিনিধিরা। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় দুই দেশই একে অন্যকে দুষছে। তবে হাল ছাড়েননি তুরস্ক ও কাতারের আধিকারিকরা, যাঁরা এই আলোচনার ব্যবস্থা করেছিলেন। মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও কাজ করছেন এঁরা। ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। শাহবাজ শরিফের দেশের দাবি, তারা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান, সংক্ষেপে টিটিপির (TTP) ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ, এই টিটিপি শ’য়ে শ’য়ে পাক সেনাকে হত্যা করেছে।

    প্রতিরোধ আফগানিস্তানের (Pak Afgan Peace Talks)

    পাকিস্তান হামলা চালাতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন। তারা সীমান্তজুড়ে পাল্টা-আক্রমণ চালায়। সংবাদ মাধ্যমের খবর, লড়াই ছিল অত্যন্ত তীব্র। তালিবানের দাবি, তারা পাকিস্তানের ২০টি নিরাপত্তা চৌকি ধ্বংস করেছে, খতম করেছে ৫৮ জন পাক সেনাকে। দুই দেশের এই সংঘাত থামাতে মাঠে নেমে পড়ে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ দেশ সৌদি আরব এবং কাতার। তাদের মধ্যস্থতায় দু’পক্ষই ১৯ অক্টোবর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। প্রথম দফার বৈঠক হয়েছিল দোহায়। দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনা হয় ইস্তাম্বুলে (Pak Afgan Peace Talks)।

    কেন ভেস্তে গেল শান্তি আলোচনা?

    কেন ভেস্তে গেল শান্তি আলোচনা? সূত্রের খবর, পাকিস্তানের দাবি ছিল, তালিবান প্রশাসন লিখিতভাবে জানাক যে তারা কড়া হাতে দমন করবে টিটিপিকে। যদিও ইস্তাম্বুলের আলোচনায় পাক প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয়, টিটিপি যদি পাকিস্তানে হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তানেরও অধিকার থাকবে আফগান ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালানোর। তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধি দলও পাকিস্তানকে জানিয়ে দেয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনগুলিকে আফগানিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া অবিলম্বে (TTP) বন্ধ করতে হবে।

    আফগানিস্তানের প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয়, টিটিপি পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা, আফগানিস্তানের নয়। তারা পাকিস্তানকে এই বলেও আশ্বস্ত করে যে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড অন্য কোনও দেশের ওপর আক্রমণের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের আক্রমণ শুরু করার অধিকারও তারা মেনে নেবে না। দু’পক্ষই তাদের দাবিতে অনড় থাকায় ভেস্তে যায় শান্তি আলোচনা (Pak Afgan Peace Talks)।

  • World Bank Report: পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নগামী, বলছে বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট

    World Bank Report: পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নগামী, বলছে বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতদৃষ্টিতে এক ঝলক দেখলে মনে হবে সব ঠিক আছে। কারণ শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী, সরকার আইএমএফ সমর্থিত সংস্কারের ঢাক পেটাচ্ছে (World Bank Report)। পাকিস্তানের এই ঝাঁ চকচকে ছবিটাই ধূলিমলিন হয়ে গেল বিশ্বব্যাঙ্কের সর্বশেষ মূল্যায়নের রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, শাহবাজ শরিফের দেশে নিত্য বাড়ছে দারিদ্র ও বৈষম্য, যা প্রভাবিত করছে লাখ লাখ পরিবারকে।

    দারিদ্র্য ও স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক রিপোর্ট (World Bank Report)

    বিশ্বব্যাঙ্কের দারিদ্র্য ও স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ম্যাক্রো ইকোনোমিক স্থিতিশীলতা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নগামী হয়েছে। দারিদ্র্যের হার, যা ২০০১ সালে ৬০ শতাংশের বেশি থেকে ২০১৮ সালে প্রায় ২১ শতাংশে নেমে এসেছিল, তা ফের ২০২৩–২৪ সালের মধ্যে বেড়ে হয়েছে ২৭ শতাংশেরও বেশি। নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মানদণ্ডে বিচার করলে দেখা যায়, বর্তমানে পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনগণ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করছে। রিপোর্টটি আঞ্চলিক বৈষম্যের দিকেও আলোকপাত করেছে। পাকিস্তানের গ্রামীণ এলাকাগুলি, বিশেষত বালুচিস্তান ও সিন্ধ প্রদেশ, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মতো শহরের তুলনায় নিদারুণভাবে বঞ্চনার শিকার। অপুষ্টি ছড়িয়ে রয়েছে কমবেশি সর্বত্র। পাঁচ বছরের নীচে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুই খর্বাকৃতির সমস্যায় ভুগছে। শিক্ষা ব্যবস্থার হাল করুণ হওয়ায় অসংখ্য তরুণ-তরুণী উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত নয় (World Bank Report)।

    পাকিস্তানের শ্রমবাজার

    পাকিস্তানের শ্রমবাজারও পরিকাঠামোগত দুর্বলতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। দেশটির প্রায় ৮৫ শতাংশ শ্রমিক কাজ করেন ইনফর্মাল খাতে। এখানে কোনও চুক্তি, সুযোগ-সুবিধা বা সামাজিক সুরক্ষা নেই। মহিলা শ্রমিকরা এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সামান্য আয় কমে যাওয়াও স্থবির মজুরি ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে লাখ লাখ মানুষকে আরও গভীর দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে।আইএমএফ-সমর্থিত সংস্কারগুলি ম্যাক্রো ইকনোমিক স্থিতিশীলতা এনেছে বটে, কিন্তু এই উন্নতির বাস্তব সুফল এখনও পৌঁছয়নি সাধারণ মানুষের কাছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও সতর্ক রয়েছেন। কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল। প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণেও অনেকেই তাঁদের কার্যকলাপ সীমিত করে ফেলেছেন।

    এদিকে, বিশ্বব্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ২০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতের শক্তিশালী ভোগব্যয় বৃদ্ধি এবং বিশ্বের দ্রুততম প্রবৃদ্ধিসম্পন্ন প্রধান অর্থনীতি হিসেবে ভারতের অবস্থান। এই রিপোর্টই দুই প্রতিবেশী দেশের অর্থনৈতিক গতিপথের পার্থক্যকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে (World Bank Report)।

  • John Kiriakou: ‘পাকিস্তানের পারভেজ মোশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা’, ফাঁস করলেন সিআইএর প্রাক্তন কর্তা

    John Kiriakou: ‘পাকিস্তানের পারভেজ মোশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা’, ফাঁস করলেন সিআইএর প্রাক্তন কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কীভাবে ওয়াশিংটন কোটি কোটি ডলার সাহায্যের বিনিময়ে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফকে কিনে নিয়েছিল, তা ফাঁস করে দিলেন জন কিরিয়াকু (John Kiriakou)। তাঁর দাবি, একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখত। কিরিয়াকু সিআইএতে ১৫ বছর কাজ করেছেন। এর মধ্যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, পারমাণবিক কূটনীতিতে সৌদি প্রভাব এবং দক্ষিণ এশিয়ার পরিবর্তনশীল ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে একাধিক খোলামেলা মন্তব্যও করেছেন।

    মার্কিন বিদেশনীতির সমালোচনা (John Kiriakou)

    কিরিয়াকু আমেরিকার বিদেশনীতিতে বেছে নেওয়া নৈতিকতারও সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, ওয়াশিংটন স্বচ্ছন্দ্যে একনায়কদের সঙ্গে কাজ করে এবং গণতান্ত্রিক আদর্শের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেয়। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কিরিয়াকু বলেন, “পারভেজ মোশারফ পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।” তাঁর অভিযোগ, ওয়াশিংটন বিশাল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে মূলত তাঁকে কিনেই নিয়েছিল। তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একনায়কদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসে। সেখানে জনমত বা গণমাধ্যম নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আমরা আসলে মোশারফকে একরকম কিনেই নিয়েছিলাম।” কিরিয়াকু বলেন, “আমরা লাখ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছিলাম – সামরিক ও অর্থনৈতিক এবং তার বদলে মোশারফ আমাদের যা খুশি, তা-ই করতে দিয়েছিলেন।”

    মোশারফ দ্বিমুখী খেলা খেলেছিলেন

    প্রাক্তন সিআইএ কর্তা আরও বলেন, “মোশারফ দ্বিমুখী খেলা খেলেছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে আমেরিকার পাশে দাঁড়ালেও, গোপনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আল-কায়েদাকে নিয়ে মোটেই চিন্তিত ছিল না, তারা চিন্তিত ছিল ভারতের ব্যাপারে। মোশারফ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের ভান করতেন, অথচ ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালিয়ে যেতেন (Pakistan)।”

    বড় নীতিগত ভুল

    কিরিয়াকু (John Kiriakou) জানান, সৌদি আরব হস্তক্ষেপ করায় আমেরিকা পাকিস্তানের পারমাণবিক বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খানকে নিষ্ক্রিয় করার পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। সৌদিরা পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করেছিল। তিনি বলেন, “যদি আমরা ইজরায়েলের মতো পথ অবলম্বান করতাম, তাহলে আমরা তাঁকে হত্যা করতাম। তাঁকে খুঁজে পাওয়া খুব সহজ ছিল। কিন্তু সৌদিরা এসে বলল, ‘দয়া করে তাঁকে ছেড়ে দিন। আমরা একিউ খানকে পছন্দ করি। আমরা তাঁর সঙ্গে কাজ করছি।’” একে তিনি একটি বড় নীতিগত ভুল বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “হোয়াইট হাউস সিআইএ এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল যেন তারা খানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে। এটা নিশ্চিতভাবেই সৌদিদের চাপের কারণেই হয়েছিল।”

    বিনিয়োগের প্রতিদান চাইছে!

    কিরিয়াকুর (John Kiriakou) দাবি, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে খানকে রক্ষা করার কারণ তাদের নিজস্ব পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। তিনি ইঙ্গিত দেন, রিয়াধ দীর্ঘমেয়াদে একটি সমান্তরাল পারমাণবিক সক্ষমতা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছিল। তিনি বলেন, “আমরা প্রায়ই ভাবতাম, সৌদিরাও কি নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতা তৈরি করছে না?” তিনি এই পর্যবেক্ষণকে সাম্প্রতিক সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তির সঙ্গে যুক্ত করেন। তাঁর ইঙ্গিত, রিয়াধ হয়তো এখন তাদের বিনিয়োগের প্রতিদান চাইছে (Pakistan)।

    আমেরিকার বিদেশনীতির ভণ্ডামি

    কিরিয়াকু আমেরিকার বিদেশনীতির ভণ্ডামির সমালোচনা করে বলেন, “ওয়াশিংটন বেছে বেছে গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেয়, অথচ স্বচ্ছন্দে একনায়কদের সঙ্গে কাজ করে। আসলে আমরা নিজেদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বাতিঘর হিসেবে উপস্থাপন করতে ভালোবাসি। কিন্তু এটি সত্য নয়। আমরা যা করি, তা আমাদের তাৎক্ষণিক স্বার্থেই করি।”

    মার্কিন-সৌদি সম্পর্ক লেনদেনভিত্তিক

    তাঁর মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে (John Kiriakou) সৌদির সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপেই লেনদেনভিত্তিক। তিনি বলেন, “সৌদি আরবে আমাদের বিদেশনীতি খুবই সহজ। আমরা তাদের কাছ থেকে তেল কিনি, আর তারা আমাদের কাছ থেকে অস্ত্র কেনে।” কিরিয়াকু মনে করিয়ে দেন, এক সৌদি প্রহরী তাঁকে বলেছিল, “তুমি ভাড়াটে কর্মচারী। আমরা টাকা দিয়ে তোমায় এনেছি, যাতে তুমি এসে আমাদের রক্ষা করো।” কিরিয়াকু বলেন, “বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য এখন পরিবর্তনের পথে। কারণ সৌদি আরব, চিন ও ভারত নিজেদের কৌশলগত ভূমিকা নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে (Pakistan)।” তিনি বলেন,
    “আমরা তেলের সমুদ্রে বসে আছি। আমাদের আর সৌদিদের প্রয়োজন নেই। তারা এখন তাদের সম্ভাবনা বিবেচনা করে চিন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে। আমরা আসলে বিশ্ব পরিচালনার এক নয়া রূপান্তর প্রত্যক্ষ করছি (John Kiriakou)।”

  • Pakistan: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    Pakistan: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ধারাবাহিকভাবে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘ (UNSC) দিবসের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পারভথনেনি হরিশ এই মর্মে আহ্বান জানান পাকিস্তানকে (Pakistan)।

    ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির আহ্বান (Pakistan)

    তিনি বলেন, “আমরা পাকিস্তানকে আহ্বান জানাচ্ছি যে বেআইনিভাবে অধিকৃত এলাকাগুলিতে অনবরত যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, সেখানে জনগণ পাকিস্তানের সামরিক দখল, দমন, নিষ্ঠুরতা এবং বেআইনি সম্পদ শোষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছে।” হরিশ এদিন আরও একবার জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অবিনশ্বর অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি বলেন, “আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল, আছে এবং চিরকাল ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অবিনশ্বর অংশ হিসেবেই থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ভারতের সুপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে তাঁদের মৌলিক অধিকারগুলি ভোগ করছেন। অবশ্যই আমরা জানি, এই ধারণাগুলি পাকিস্তানের কাছে একেবারেই অচেনা।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হরিশ জানান, অধিকৃত কাশ্মীরে নিত্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। অবৈধভাবে দখলদারির পাশাপাশি সেখানে সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। শাসনযন্ত্রের ওপর ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেই বিক্ষোভ থামাতে জনতার ওপরই খড়্গহস্ত প্রশাসন। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের, জখম শতাধিক। রাষ্ট্রসংঘে তথ্য দিয়ে শাহবাজ শরিফ সরকারকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলল ভারত।

    “বসুধৈব কুটুম্বকম”

    এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে হরিশ ভারতের “বসুধৈব কুটুম্বকম” – এই চেতনার প্রতি ভারতের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন (Pakistan)। ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও সবার সমৃদ্ধির পক্ষে ভারতের অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “এটি শুধু আমাদের বিশ্বদৃষ্টির ভিত্তি নয়, বরং এটাই সেই কারণ যার জন্য ভারত সর্বদা সকল সমাজ ও জনগণের জন্য ন্যায়, মর্যাদা, সুযোগ ও সমৃদ্ধির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই কারণেই ভারত বহুপাক্ষিকতা, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ওপর আস্থা রাখে।” রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) খোলা বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হরিশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাষ্ট্রসংঘের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এর প্রাসঙ্গিকতা, বৈধতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নগুলিও স্বীকার করেন।

    রাষ্ট্রসংঘের প্রাসঙ্গিকতা

    তিনি বলেন, “যে সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক সংস্থা – রাষ্ট্রসংঘের প্রাসঙ্গিকতা, বৈধতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি, সেই সময়ে এই বিতর্কের বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসংঘ উপনিবেশমুক্তি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে। এই সংগঠনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আশার প্রদীপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি উপনিবেশ-মুক্তির প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, গ্লোবাল সাউথের নতুন রাষ্ট্রগুলির উদ্ভবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির উচ্চাভিলাষী মানদণ্ড নির্ধারণ করেছিল, এবং আমাদের মনোযোগকে মহামারী, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির দিকে কেন্দ্রীভূত করেছিল (Pakistan)।”

    পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন প্রেমচন্দ্রনও

    হরিশের এহেন মন্তব্যের দিন কয়েক আগেই রাষ্ট্রসংঘের ফোর্থ কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন ভারতের প্রতিনিধি কেরলের বাম সাংসদ প্রেমচন্দ্রন। হরিশের মতোই তিনিও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তানের দমন-পীড়ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমরা পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে তারা যেন অবৈধভাবে দখল করে রাখা কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা বন্ধ করে। সেখানকার মানুষ নিজেদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছে। পাক সেনা ও তাদের সহযোগীরা সেই নিরীহ আন্দোলনকারীদের হত্যা করছে (UNSC)।” পাকিস্তানের (Pakistan) মুখোশ খুলে দিয়ে প্রেমচন্দ্রন বলেন, “পাকিস্তান হল এমন একটি দেশ, যেখানে সামরিক একনায়কতন্ত্র চলে। ভুয়ো নির্বাচন, জনপ্রিয় নেতাদের কারাদণ্ড, ধর্মীয় উগ্রবাদ, রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের জনক এই দেশ। ফলে অন্যকে জ্ঞান দেওয়া ওদের উচিত নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রসংঘ সনদ কার্যকর হওয়ার বার্ষিকী হিসেবে পালিত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-সহ অধিকাংশ স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের দ্বারা এই প্রতিষ্ঠাতা দলিলের অনুমোদনের পর জন্ম হয় রাষ্ট্রসংঘের (Pakistan)।

  • India Pakistan Relation: ‘‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান কোনওদিন যুদ্ধে জিততে পারবে না’’, দাবি প্রাক্তন সিআইএ কর্তার

    India Pakistan Relation: ‘‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান কোনওদিন যুদ্ধে জিততে পারবে না’’, দাবি প্রাক্তন সিআইএ কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে প্রথাগত যে কোনও যুদ্ধেই পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) পরাজয় নিশ্চিত। এমনই অভিমত আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন আধিকারিক জন কিরিয়াকুর। দেড় দশক সিআইএ-র হয়ে কাজ করেছেন কিরিয়াকু। সম্প্রতি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বাস্তবে যুদ্ধ হলে পাকিস্তানের ভালো কিছু হবে না। কারণ প্রথাগত যে কোনও যুদ্ধে ভারতের কাছে তাদের হার হবে। তাই ভারতকে ক্রমাগত প্ররোচনা দিয়ে পাকিস্তানের লাভ কিছু নেই।’’ একসময় পাকিস্তানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এই আধিকারিক।

    ষড়যন্ত্র বন্ধ করুক পাকিস্তান

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই মার্কিন আধিকারিক দাবি করেছেন, পাকিস্তানের উচিত ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা। পাকিস্তান যতই পরিকল্পনা করুক না কেন, যে কোনও ধরনের গতানুগতিক যুদ্ধে পাকিস্তান ভারতের কাছে খুব খারাপ ভাবে হারবে। তাঁর মতে, ইসলামাবাদের উচিত কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে তার ফলে পাকিস্তানের জন্য ভালো কিছুই হবে না। একইসঙ্গে কিরিয়াকু যোগ করেছেন, “আমি পারমাণবিক অস্ত্রের কথা বলছি না, কেবল গতানুগতিক যুদ্ধের কথা বলছি। ভারতকে বারবার উস্কে দেওয়ার কোনও মানে হয় না।”

    ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, বরাবরই পাকিস্তানকে যুদ্ধে টেক্কা দিয়েছে ভারত। তবে গত এক দশক ধরে ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লি। ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯-এ বালাকোট স্ট্রাইক ও সব শেষে সিঁদুর অভিযানে পাকিস্তানকে উচিত জবাব দিয়েছে ভারত। তবে তাতেও সিধে হয়নি পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে এখনও চোরাগোপ্তা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। এমন প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে সতর্ক করে বার্তা দিলেন প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা আধিকারিক। কিরিয়াকুর দাবি, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে পারবে না পাকিস্তান। বরং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলে আখেরে পাকিস্তানেরই ক্ষতি বেশি হবে।

    পাক পরমাণু ভান্ডারের চাবি পেন্টাগনের হাতে

    ২০০১ সালে ভারতের (India Pakistan Relation) সংসদে হামলার পরই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ অবধারিত হয়ে উঠেছিল বলেও এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন সিআইএ কর্তা। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের যে একটা টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল, সে কথাও স্বীকার করেছেন কিরিয়াকু। তবে সেই সময় আল-কায়দা, আফগানিস্তান নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিল আমেরিকা। ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি বলেও দাবি মার্কিন গোয়েন্দাকর্তার। দু’দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেই সময় তিনি জানতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের চাবিকাঠি পেন্টাগনের হাতে তুলে দিয়েছেন তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট তথা সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফ।

    ভারতের মিসাইলে পাক ঘাঁটি অকেজো

    প্রসঙ্গত, সিআইএ-র গুপ্ত তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে ২০১২ সালে কিরিয়াকুকে গ্রেফতার করেছিল মার্কিন সরকার। বিচারে ৩০ মাসের জেল হয় তাঁর। কিন্তু তার পরেও তিনি থেমে থাকেননি। আমেরিকা এবং তার গোয়েন্দা সংস্থা সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের নাজেহাল দশা করেছিল ভারত। এই আবহে পরমাণু বোমা হামলার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিল পাকিস্তান। পালটা জবাবের বার্তা দিয়েছিল ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের মিসাইলে পাক ঘাঁটি অকেজো হয়ে পড়ে। এর জেরে ভারতের কাছে সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েছিল পাকিস্তান। এই সবের পরও পাকিস্তান দাবি করছে, তারা নাকি ভারতের সঙ্গে এই সংঘাতে ‘জিতেছে’।

    ভারত পরিপক্ক দেশ হিসেবে ধৈর্যশীল

    এই আবহে ভারত-পাক যুদ্ধ (India Pakistan Relation) নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সিআইএ অফিসার জন কিরিয়াকু। তাঁর দাবি, ভারত ও পাক যুদ্ধ হলে পাকিস্তান কোনওদিন জিততে পারবে না। এরই সঙ্গে জন কিরিয়াকু দাবি করেন, ২০০১ সালে যখন ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলা হয়, তার ২-৩ সপ্তাহ পরেই তিনি পাকিস্তানে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি জানান, আমেরিকা ভেবেছিল, ভারত পাকিস্তানের ওপর হামলা করবে। এবং তাঁর কথায়, ভারত সেই সময় পাকিস্তানের ওপর হামলা করলে তা ন্যায্য হত। এরপর ২০০৮ সালেও মুম্বই হামলার পরেও আমেরিকা মনে করেছিল যে ভারত হামলা চালাবে পাকিস্তানের ওপর। জন কিরিয়াকুর কথায়, ভারত পরিপক্ক দেশ হিসেবে ধৈর্যশীল। তবে পাকিস্তান বারবার ভারতকে খোঁচালে তারা যোগ্য জবাব পাবে।

    মুশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা

    মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন অফিসার জন কিরিয়াকু আরও দাবি করেন, প্রয়াত প্রাক্তন সেনাশাসক পারভেজ মুশারফের জমানায় পরমাণু অস্ত্রের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ। সিআইএ-র সন্ত্রাসবিরোধী ডেস্কের প্রাক্তন আধিকারিক কিরিয়াকু এক সময়ে ছিলেন পাকিস্তানেও। গত জুলাই মাসে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, ইসলামাবাদের যাবতীয় পরমাণু হাতিয়ার পেন্টাগনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পরমাণু অস্ত্রের কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ বেশ কয়েক বছর আগেই পাক সরকার একজন মার্কিন জেনারেলের হাতে তুলে দিয়েছে। ফলে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে।’’কিরিয়াকু মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘‘কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়ে জেনারেল পারভেজ মুশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা। তিনিই পরমাণু অস্ত্রের চাবি এক মার্কিন জেনারেলের হেফাজতে দিয়েছিলেন।’’ প্রায় ১৫ বছর সিআইএ-র নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কিরিয়াকুর কথায়, ‘‘আমরা পাক পরমাণু অস্ত্র কিনে নিয়েছিলাম।’’

  • Afghanistan: পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে কি ভারতের পথেই হাঁটতে চলেছে আফগানিস্তান?

    Afghanistan: পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে কি ভারতের পথেই হাঁটতে চলেছে আফগানিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) শিক্ষা দিতে তবে কি ভারতের পথেই হাঁটতে চলেছে আফগানিস্তান (Afghanistan)? ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) দিকে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে কাবুলও (আফগানিস্তানের রাজধানী)। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত সংঘাত ও কাবুলে ইসলামাবাদের বিমান হামলার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন পাঠানরা। আফগানিস্তানের তথ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, তালিবান নেতৃত্বাধীন সরকার একটি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যাতে পাকিস্তানের দিকে জলপ্রবাহ সীমিত করা যায়।

    আফগানিস্তানের বক্তব্য (Afghanistan)

    আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা মাওলাভি হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা ঘোষণা করেছেন, তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব কুনার নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। এভাবে কাবুল তাদের জলের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণে দেশীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে বাঁধ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য দ্রুত আলোচনা চলছে বলেও আফগানিস্তানের তথ্য উপমন্ত্রী মুহাজের ফারাহী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন। আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ, “বিদেশি সংস্থার জন্য অপেক্ষা না করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেই যেন দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।” বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পর এবার যদি আফগানিস্তানও জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে ঘোর বিপাকে পড়বে ভারত এবং আফগানিস্তানের এই পড়শি দেশটি। এমনিতেই দেশটি এখন দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক সংকট, বিশৃঙ্খল অভ্যন্তরীণ অবস্থা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার জালে জড়িত। এমতাবস্থায় কাবুল পদক্ষেপ করলে, ভয়ঙ্কর সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে ইসলামাবাদকে।

    পহেলগাঁওকাণ্ড

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে (Afghanistan) বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। তার পরেই ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দেন, “রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না।” এর ফলে পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত জল এখন ভারতের প্রয়োজন ও নীতির ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। ভারতের এসব সিদ্ধান্তের জন্য পাকিস্তানকে কোনও জবাবদিহি করতে হয় না। ফলে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে জলসঙ্কট, অপ্রত্যাশিত বন্যা বা খরার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

    সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। ওই চুক্তি অনুযায়ী, বিপাশা, শতদ্রু, ইরাবতীর জলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের হাতে। আর সিদ্ধু, বিতস্তা, চন্দ্রভাগার জল ব্যবহার করতে পারবে পাকিস্তান। সিন্ধু ও তার শাখা এবং উপনদীর ৩০ শতাংশ জল ব্যবহার করতে পারবে ভারত। বাকি ৭০ শতাংশ পাবে পাকিস্তান (Pakistan)। চুক্তিতে বলা হয়েছে, সিন্ধু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগা – এই তিন নদীর জল সেচের কাজের পাশাপাশি নৌ চলাচল, মাছ চাষ, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে ভারত। পাকিস্তানের হুঁশিয়ারির পরেও (Afghanistan) এই চুক্তি ফের লাগু করেনি ভারত।

    কুনার নদী

    এদিকে, ৪৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুনার নদীর উৎপত্তি আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায়। এই পর্বতমালা আবার রয়েছে পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি। নদীটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। এই পাকিস্তানের জালালাবাদ শহরে নদীটি কাবুল নদীর সঙ্গে মিশেছে। তার পর কাবুল নদী পাকিস্তানের অ্যাটক শহরের কাছে সিন্ধু নদের সঙ্গে মিশেছে। পাকিস্তানে কুনার নদীকে “চিত্রাল নদী” নামে ডাকা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই নদী আফগান-পাকদের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাবুল নদীতে জলের জোগান দিয়ে থাকে এই কুনার নদীই। এই জল কেবল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেই নয়, পাঞ্জাব প্রদেশেও কৃষি এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। আফগান সাংবাদিক সামি ইউসুফজাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “কাবুল এবং কুনার নদী পাকিস্তানের জলের অন্যতম উৎস (Pakistan)।”

    তালিবান সরকারের অগ্রাধিকার

    কাবুলে প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর তালিবান সরকার তাদের দেশের নদী ও জলবিদ্যুৎ সম্পদের ওপর সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল (Afghanistan), জ্বালানি, কৃষি ও সেচ ব্যবস্থায় আত্মনির্ভরতা অর্জন করা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো। ভারত ও পাকিস্তানের মতো ইসলামাবাদ (Pakistan) এবং কাবুলের মধ্যেও কোনও দ্বিপাক্ষিক নদীজল বণ্টন চুক্তি। ফলে আফগানিস্তানের পক্ষে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হবে। তবে কাবুলের সাম্প্রতিক এই অবস্থান নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের জন্য একাধিক দিক থেকে জলসঙ্কট সৃষ্টি করবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সঙ্কট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত দেশটি, নিজেদের ভুল নীতি ও জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে এখন নয়া জলসংঘাতের মুখোমুখি হতে চলেছে (Afghanistan)।

  • Pakistan: টমেটো ৬০০ টাকা কেজি! আফগান সংঘর্ষের ফলে পাকিস্তানে অগ্নিমূল্য সবজি, প্রবল ক্ষোভ জনমানসে

    Pakistan: টমেটো ৬০০ টাকা কেজি! আফগান সংঘর্ষের ফলে পাকিস্তানে অগ্নিমূল্য সবজি, প্রবল ক্ষোভ জনমানসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে জঙ্গি হামলা করে পাকিস্তানকে এখন কড়া মাসুল গুনতে হচ্ছে। অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কায় কার্যত নাজেহাল এই সন্ত্রাসের মদতপুষ্ট রাষ্ট্রটি। এবার আফগানিস্তানের সীমান্তে লাগাতার সংঘর্ষে পাকনাগরিকদের জীবন এখন আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। দেশের আম জনতার দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী এবং পানীয় পণ্যে লেগেছে আগুন (Food Crisis)। গত একমাসে ৩০-৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে। অত্যধিক অগ্নিমূল্যে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন চরম বিপাকে। টমেটোর কেজি ছুঁয়েছে ৬০০ টাকা। এই রকম খবর কেবল বাইরের দেশের নয় খোদ পাকিস্তানের (Pakistan) একাধিক সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য তুলে ধরেছে। একে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রতি হিংসাত্মক কার্যকলাপ এবং অপর দিকে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে না পারার অক্ষমতা শাহবাজ শরীফের সরকারকে বিরাট বেকায়দায় ফেলেছে। ইতিমধ্যে সাধারণ নাগরিকের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

    কাঁচামালের আমদানি নেই (Pakistan)!

    পাকিস্তানের (Pakistan) সংবাদ মাধ্যম বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে, আফগানিস্তান সীমান্তে চলমান সংঘর্ষ-উত্তেজনার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম আকাশছোঁয়া। রাওয়ালপিন্ডি শহরে টমেটোর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকা প্রতি কেজি। স্থানীয় সবজি (Food Crisis) ব্যবসায়ী ইউনিয়ানের সভাপতি গোলাম কাদের বলেন, “টমেটোর চাহিদা খুব বেশি। অপর দিকে চাহিদার তুলনায় আমদানি নেই। আফগানিস্তান থেকে টমেটো রফতানি বন্ধ রয়েছে। কাঁচামালের সরবরাহ ঠিক করে না হলে দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।”

    সবজির অগ্নিমূল্য

    পাকিস্তান (Pakistan) দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন রাওয়ালপিন্ডিতে সবজির দাম নিয়ে বলেছে, দাম বেশি হওয়ার কারণে ছোট ছোট সবজি বিক্রেতারা টমেটো, মটর, আদা, রসুন বিক্রি ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছেন। রসুনের বাজার মূল্য দৈনিক ৪০০-তে পৌঁছে গিয়েছে। আদার দাম হয়েছে ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি। পিঁয়াজের দাম ১২০ টাকা প্রতি কেজি এবং মটরের দাম ৫০০ টাকা। ক্যাপসিকামের প্রতিকেজি (Food Crisis) মূল্য হয়েছে ৩০০ টাকা। ঢেঁড়সের দামও পৌঁছে গিয়েছে একই স্তরে। শসা ১৫০ টাকা কেজি এবং লাল গাজর ২০০ টাকা কেজি হয়েছে। লেবু হয়েছে ৩০০ টাকা কেজি। এছাড়াও ছোট ছোট ছোলার দাম হয়েছে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। এই ভাবে চড়া দামে জীবন কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    আকাশ ছোঁয়া ফলের বাজার

    শুধু সবজির বাজারই আকাশছোঁয়া (Food Crisis) নয়। একইভাবে আগুন লেগেছে ফলের বাজারেও (Pakistan)। আপেলের মূল্য হয়েছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি। আঙুর ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডালিমের মূল্য ৪০০ টাকা প্রতি কেজি। পেয়ারার দাম কেজিতে ১৭০ টাকা। একটি নারকেলের মূল্য ৪০০ টাকা। এক ডজন কলার মূল্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কমলালেবুর দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। অগ্নিমূল্যে আমজনতার জীবন এখন নাভিশ্বাসে উঠেছে।

    কেন সংঘাত?

    আফগানমুলুকে পাকিস্তানের (Pakistan) বিমান হামলার ঘটনা তালিবানের প্রশাসন মোটেও ভালো নজরে নেয়নি। সেই সঙ্গে শরণার্থীদের সঙ্গে পাকিস্তান আর্মির অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার দুই দেশের সম্পর্ক এখন একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। এক্স হ্যান্ডলে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা একে অপরের নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ এড়ানোর বিষয় এবং পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করে সমাধানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই বক্তব্যের বাইরে অন্যকোনও বক্তব্যকে অবৈধ হিসেবে ধরা হবে। তবে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয় কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার ঘটনা থেকেই। পাকিস্তানের একমন্ত্রী অবশ্য সমস্ত কিছুর জন্য ভারতকেই দায়ী মনে করেছেন। তবে আজ এই পাকিস্তান যে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ক্রমেই ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে একথা আন্তর্জাতিক গবেষকদের অধিকাংশইরাই মনে করছেন।

  • Diwali Phone Call: “দুই দেশ যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়”, ট্রাম্পকে বললেন মোদি

    Diwali Phone Call: “দুই দেশ যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়”, ট্রাম্পকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দীপাবলির শুভেচ্ছা (Diwali Phone Call) জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের যৌথ প্রচেষ্টার আশাও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই কথোপকথন হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন আমেরিকা ক্রমশ পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য কুখ্যাত এই পাকিস্তান।

    মোদির বার্তা (Diwali Phone Call)

    বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনার ফোন কল এবং উষ্ণ দীপাবলি শুভেচ্ছার জন্য।” তিনি বলেন, “এই আলোর উৎসবে আমাদের দুই মহান গণতন্ত্র যেন আশার আলোয় বিশ্বকে আলোকিত করে এবং সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়।” দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এই ফোনালাপ এমন একটা সময়ে হয়েছে, যখন বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক একপ্রকার তলানিতে ঠেকেছে। এদিন ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে এবং দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে তিনি ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।

    ‘একজন মহান ব্যক্তি ও খুব ভালো বন্ধু’

    প্রসঙ্গত, ওভাল অফিসে (Diwali Phone Call) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প মোদিকে ‘একজন মহান ব্যক্তি’ এবং ‘খুব ভালো বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতের জনগণকে দীপাবলির শুভেচ্ছাও জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি ভারতের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজই আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে খুব আগ্রহী।”  তিনি বলেন, “আমরা কিছুক্ষণ আগে কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, চলুন পাকিস্তানের সঙ্গে যেন কোনও যুদ্ধ না করি। সেখানে বাণিজ্য বিষয়টিও আলোচনায় এসেছিল। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পেরেছিলাম। আর এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও যুদ্ধ নেই। এটা খুবই ভালো একটা বিষয় (PM Modi)। তিনি একজন মহান মানুষ এবং বছরের পর বছর ধরে তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন (Diwali Phone Call)।”

  • JK Accession: জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তি কোন অবদান ছিল আরএসএসের গুরুজির?

    JK Accession: জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তি কোন অবদান ছিল আরএসএসের গুরুজির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ কবলমুক্ত হয়ে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট। এরও দু’মাসেরও বেশি সময় পরে জম্মু-কাশ্মীর যুক্ত (JK Accession) হয়েছিল ভারতের সঙ্গে। দিনটি ছিল ২৬ অক্টোবর, ১৯৪৭।

    ভারত-ভঙ্গ (JK Accession)

    ভারতের স্বাধীনতা লাভ, দেশভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টির ঘটনা এত দ্রুত ঘটে গিয়েছিল যে, এর সঙ্গে যুক্ত কারও জন্যই সময়টি সহজ ছিল না (Guruji Golwalkar)। ব্রিটিশদের জন্য তো নয়ই, নয় দেশপ্রেমিক ভারতীয়দের জন্যও, যাঁরা স্বাধীনতা লাভ করতে জান-প্রাণ এক করেছিলেন। কারণ দেশপ্রেমিক ভারতীয়দের জন্য এই ভারত-ভঙ্গ ছিল এমন এক গভীর আঘাত, যা এর আগে কখনও অনুভব করেননি তামাম ভারতবাসী। দেশভাগ, যার ফলে জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের, তা আজও ভারতের জন্য এক দগদগে ঘায়ের মতো। ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে এটি ছিল একটি তাজা ও গভীর ক্ষত, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে। সেই সময় দেশীয় রাজ্য ছিল ভূস্বর্গ। এর অর্ধেকেরও বেশি ভূখণ্ড পাকিস্তানের হাতে চলে গিয়েছিল এক বিশ্বাসঘাতক হামলার মাধ্যমে। পাকিস্তান মহারাজা হরি সিংকে ধোঁকা দিয়ে বিশ্বাস করিয়েছিল যে তাদের উদ্দেশ্য সম্মানজনক ও সৎ। অগাস্ট ১৯৪৭-এ যখন মহারাজা স্ট্যান্ডস্টিল চুক্তিতে সই করেছিলেন, পাকিস্তান তখন সেই কথাই বলেছিল।

    সংঘচালক বদ্রী দাস

    পাঞ্জাব ও বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্থিরতা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পণ্ডিত প্রেম নাথ ডোগরা মহারাজাকে পরামর্শ দেন যাতে তিনি দ্রুত তাঁর রাজ্যকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি জনমত গঠন করেন এবং বহু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি মহারাজার কাছে পেশ করেন। প্রতিবেশী পাঞ্জাবের সংঘচালক বদ্রী দাস স্বয়ং মহারাজার সঙ্গে দেখা করেন। তার পরেও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন মহারাজা হরি সিং।

    হরি সিংয়ের প্রতি বৈরিতা

    কী কারণে মহারাজার এই দশা? এর উত্তর হল স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মহারাজা হরি সিংয়ের প্রতি বৈরিতা। সেই কারণেই মহারাজা দ্রুত স্বাধীন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহ দেখাননি। এই হিংসার শেকড় মেলে ১৯৪৬ সালের গ্রীষ্মকালের কোহালা ঘটনায়। সেই সময় নেহরু, তাঁর বন্ধু (দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত) শেখ মহম্মদ আবদুল্লাকে রক্ষা করতে শ্রীনগরে যাওয়ার (Guruji Golwalkar) চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় আবদুল্লা ছিলেন গারদে। পথে বাধা দেওয়া হয় নেহরুকে। তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, হরি সিংয়ের রাজ্যে আর এগোতে পারবেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনাই নেহরুর মানসিকতায় গভীর ছাপ ফেলেছিল। এর পর থেকে তিনি হরি সিংকে শত্রু হিসেবেই বিবেচনা করতে শুরু করেন (JK Accession)।

    জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন

    ১৭ অক্টোবর, জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। কারণ ১৯৪৭ সালের এই দিনেই শ্রী গুরুজি গোলওয়ালকর শ্রীনগরে মহারাজা হরি সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এজন্য গুরুজি দিল্লি থেকে বিমানে শ্রীনগর গিয়েছিলেন এবং মহারাজাকে তৎক্ষণাৎ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে রাজি করিয়েছিলেন। গুরুজি তিন দিন শ্রীনগরে থেকে দিল্লিতে ফেরেন ১৯ অক্টোবর। এর পর তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অসংখ্য কর্মীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারতে ৫৬০টিরও বেশি দেশীয় রাজ্য ছিল। এই দেশীয় রাজ্যগুলির নিজ নিজ ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার ছিল। তারা চাইলে ভারত কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারত। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমাও ছিল না। তা সত্ত্বেও হরি সিংয়ের প্রতি নেহরুর বৈরী মনোভাবের কারণেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন ভূস্বর্গের মহারাজা। অথচ, ১৯৩০-৩১ সালেই লন্ডনে অনুষ্ঠিত দেশীয় রাজ্যগুলির গোলটেবিল বৈঠকে মহারাজা স্পষ্টভাবে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন (JK Accession)।

    নেহরুর চালাকি!

    মনে রাখতে হবে, নেহরু মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছিল তাঁর ওপরই। অথচ, জম্মু-কাশ্মীর ছিল এমন এক দেশীয় রাজ্য, যেটির ব্যাপারে নেহরু নিজেই সিদ্ধান্ত নেন যে এটি তিনি তাঁর নিজের হাতে রাখবেন (Guruji Golwalkar)। নেহরু সরাসরি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। কারণ তিনি তাঁর বন্ধু শেখ আবদুল্লাকে একটি সুবিধাজনক চুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। নেহরুর এই ব্যক্তিগত ইচ্ছাই জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দেয়। নেহরু চেয়েছিলেন হরি সিংহকে জব্দ করতে। ইচ্ছে পূরণে তিনি যেসব পদক্ষেপ করেছিলেন, তার জেরেই জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কিত বহু জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়, যার মোকাবিলা আজও করতে হচ্ছে ভারতকে। হরি সিং জানতেন, পাকিস্তানে যোগ দিলে হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হবেন। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিতে চাননি তিনি।

    গুরুজির হাতযশ

    ক্রান্তিকাল। এহেন পরিস্থিতিতে গুরুজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ১০ দিনের মধ্যেই হরি সিং স্বাক্ষর করেন ভারতভুক্তির দলিলে। তাঁর পুরো রাজ্য একীভূত হয়ে যায় ভারতের সঙ্গে (Guruji Golwalkar)। তবে বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি, এ রাজ্যের বিরাট একটা অংশ, যেমন গিলগিট-বালতিস্তান, পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর (PoJK) এবং আরও কিছু অঞ্চল তৎকালীন সরকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এই অঞ্চলগুলি জোর করে দখল করে ফেলেছিল পাকিস্তান। যার মাশুল ভারতীয়দের গুণতে হচ্ছে আজও (JK Accession)।

  • India Pakistan: ‘‘প্রতিবেশীদের দোষারোপ পাকিস্তানের পুরনো অভ্যাস’’, পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    India Pakistan: ‘‘প্রতিবেশীদের দোষারোপ পাকিস্তানের পুরনো অভ্যাস’’, পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় ও মদত দিয়ে আসছে। নিজেদের ব্যর্থতার দায় প্রতিবেশী দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া তাদের পুরনো অভ্যাস। আফগানিস্তানের (Pakistan Afghanistan) সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের মধ্যেই সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ শানাল ভারত। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের (India Pakistan) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এমনই দাবি করেন। পাক-আফগান যুদ্ধে কার্যত আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আফগানিস্তান নিজেদের মাটিতে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। তাতে পাকিস্তান ক্ষুব্ধ। আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল।’’

    পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘর্ষ

    আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের বাহিনীর সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষ বেঁধেছে পাকিস্তানের। এই পরিস্থিতিতে গা বাঁচাতে ফের ভারতকেই ঢাল করতে চাইলেন পাক মন্ত্রী। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খওজা আসিফ। আফগানিস্তানের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের সমীকরণের প্রেক্ষাপটে কি ভারতের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে খওজা আসিফ বলেন, ‘পাকিস্তান দুই তরফের সঙ্গেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও দাবি করেছেন, ‘সীমান্তে ভারতের নোংরা নীতি নেওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে’। তাঁর দাবি, তাঁরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।

    দিল্লির হয়ে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’

    পাকিস্তানের (India Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আরও অভিযোগ ছিল, দিল্লির হয়ে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ করছে তালিবান। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা ঢাকতে প্রতিবেশীদের উপর দোষ চাপানো পাকিস্তানের পুরোনো স্বভাব।’ পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দেয় এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পৃষ্ঠপোষকতা করে। আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি ভারত সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এই বার্তা ছিল বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের। উল্লেখ্য, পাকিস্তান আফগানিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সেই দেশে হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি করেছিল তালিবান সরকার। তালিবানের দাবি ছিল, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে কাবুলে পাকিস্তানের এয়ারস্ট্রাইকের পরে আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষে বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।

    চিন্তিত পাকিস্তান

    দুই সীমান্তে দুই পড়শি দেশকে নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান (India Pakistan)। আফগানিস্তান সীমান্তে তালিবানের সঙ্গে সংঘাতের পর আপাতত সংঘর্ষবিরতির পথে হেঁটেছে পাকিস্তান। কিন্তু আর এক পড়শি ভারতকে নিয়ে চিন্তিত ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তাঁর দাবি, তালিবানের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে জড়াতে পারে নয়াদিল্লি। সে কথা মাথায় রেখেই দ্বিমুখী যুদ্ধের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনকি বৃহস্পতিবার পাক মন্ত্রী আসিফ দাবি করেন, ভারতের মদতে যুদ্ধ চালাচ্ছে কাবুল। সংঘর্ষবিরতি ৪৮ ঘণ্টাও স্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতি আদৌ বজায় থাকবে কি না সন্দেহ আছে। এই সিদ্ধান্ত তো দিল্লি থেকে নেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি আরও দাবি করেন, আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের পিছনে “গোপন পরিকল্পনা” ছিল। উল্লেখ্য, ডুরান্ড লাইন বরাবর পাকিস্তানি ও আফগান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের কেন্দ্রে রয়েছে ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ (টিটিপি)। এদিকে তালিবানের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার এবং সেনা ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করছে। এদিকে পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানের তালিবান সরকার টিটিপি সদস্যদের আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানে হামলা করছে।

    ভারতের পাল্টা

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের (India Pakistan) সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে পাক মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দেয়, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেয়। প্রতিবেশীদের দোষারোপ করা ওদের পুরনো স্বভাব।’’ তিনি আরও জানান, “আমরা পরিস্থিতির উপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছি। তিনটি বিষয় একেবারে পরিষ্কার — প্রথমত, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দেয় ও তাদের কার্যকলাপকে সমর্থন করে। দ্বিতীয়ত, নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতার দায় প্রতিবেশীদের ঘাড়ে চাপানো পাকিস্তানের অভ্যাস। তৃতীয়ত, আফগানিস্তান যখন নিজস্ব সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ করছে, তখন তাতে পাকিস্তান ক্ষিপ্ত হয়েছে।” রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন,“ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি সম্পূর্ণভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।”  ভারত বলছে, তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির দিল্লি সফর ছিল সম্পূর্ণরূপে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক। প্রসঙ্গত, এটি প্রথম নয়, খাজা আসিফ প্রায়ই এ ধরনের ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক অভিযোগ করে থাকেন, যা কোনও প্রমাণে টিকে না। সংবাদ সম্মেলনে রণধীর জানান, কাবুলে ভারতের একটি টেকনিক্যাল মিশন চালু রয়েছে। তিনি জানান, “এই মুহূর্তে কাবুলে আমাদের একটি টেকনিক্যাল মিশন কাজ করছে। খুব শিগগিরই এটি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসে রূপান্তরিত হবে।”

LinkedIn
Share