Tag: pakistan

pakistan

  • Sikh Killing in Pakistan: পেশোয়ারে জঙ্গির গুলিতে মৃত দুই শিখ, নিন্দা পাক প্রধানমন্ত্রীর

    Sikh Killing in Pakistan: পেশোয়ারে জঙ্গির গুলিতে মৃত দুই শিখ, নিন্দা পাক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) জঙ্গি হামলার বলি হলেন দুই শিখ (Sikh) ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা পেশোয়ারে (Peshawar)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ব্যক্তির নাম কুলজিৎ সিং(৩৮) এবং রঞ্জিত সিং (৪২)। মশলার ব্যবসা ছিল তাঁদের। রবিবার সরবন্দ অঞ্চলের বট্টাতাল চকে নিজেদের দোকানে বসে বিকিকিনিতে ব্যস্ত ছিলেন ওই দু’জন। সেই সময়ই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বাইকে চড়ে আসা দুই আততায়ী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিবিদ্ধ হন দু’জন। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই ব্যক্তি। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইসিস (ISIS)। ঘটনার পরপরই আইসিসের খোরাসান (Khorasan) ইউনিটের তরফে জানানো হয়, পেশোয়ারে দুই শিখকে হত্যা করেছে তারা। 

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, আমি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে অনুরোধ করছি, তিনি যেন পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সেদেশে বসবাসকারী হিন্দু ও শিখদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

    [tw]


    [/tw]

     

    এই ঘটনার নিন্দা করে পাকিস্তান সরকারকে নিশানা করেছে শিখ নেতৃত্ব। এই ঘটনার নিন্দা করেছে শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি (SGPC)। শিখদের বিভিন্ন উপাসনালয়ের দেখভাল করে এই কমিটি। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, “এই ধরনের হত্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাকিস্তান সরকারের উচিৎ অবিলম্বে আততায়ীদের গ্রেফতার করা। নিজেদের কর্তব্য যেন ভুলে না যায় পাকিস্তান।” সংখ্যালঘুদের হত্যার বিষয়টি সারা পৃথিবীতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

     

    [tw]


    [/tw]

     

    এই হত্যার নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, “খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে আমাদের শিখ নাগরিকদের হত্যার (Terrorist Attack) ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনার তদন্ত করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সহানুভূতি জানাচ্ছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    হত্যার নিন্দা করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত সিং মান জানান, এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। গত সেপ্টেম্বরেও পেশোয়ারেই এক শিখ ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হামলার নেপথ্যেও ছিল আইসিস জঙ্গিরা। রবিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান পাকিস্তানের শিখরা। পেশোয়ারে শিখরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মিছিল করেছেন সেখানকার শিখরা। 

     

  • China Pakistan CPEC: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    China Pakistan CPEC: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর আগে ঘটা করে চালু হয়েছিল চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (China Pakistan Economic Corridor), সংক্ষেপে সিপিইসি (CPEC)-র কাজ। পাকিস্তানজুড়ে (pakistan) শুরু হয়েছিল হইচই। দেশ নতুন যুগের ভোরে জাতীয় প্রচারও করা হয়েছিল সরকারের তরফে। করিডর তৈরির কারিগররাও ভেবেছিল করিডরটি পাকিস্তানের বার্ষিক বৃদ্ধির হারে আরও ২.৫ শতাংশ যোগ করবে।

    পাকিস্তানের শক্তির ঘাটতি আজন্ম। তাই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থা আশা করেছিল, একবার সিপিইসি হয়ে গেলে পাকিস্তানের জ্বালানি প্রকল্পগুলি কেবল দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে না, রফতানির জন্য অতিরিক্ত শক্তিও তৈরি করবে।

    আরও পড়ুন :পাকিস্তানে নিজেদের সেনা চৌকি চায় চিন

    নিম্ম-মধ্য আয়ের দেশ পাকিস্তান। দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী। বেকারত্ব লাগামছাড়া। তাই সরকার আশা করেছিল, সিপিইসি প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দেশে ২৩ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু সাত বছর আগের ওই প্রকল্পের বিশেষ কোনও ফসল এখনও অবধি ঘরে তুলতে পারেনি শাহবাজের (Shehbaz Sharif) দেশ।

    সূত্রের খবর, সিপিইসির মাধ্যমে ১৫টি প্রকল্প হওয়ার কথা। এর মধ্যে দিনের আলো দেখেছে মাত্র তিনটি। বাকিগুলি বিশবাঁও জলে। যে প্রকল্পগুলি পাইল লাইনে ছিল কিংবা নতুন করে শুরু হওয়ার কথা, সেগুলির জন্যও চিন থেকে কোনও টাকা আসছে না। প্রকল্পগুলিতে টাকা ঢেলে কাজ শেষ করার মতো অবস্থায়ও নেই দেশটি। স্বাভাবিকভাবেই কবে শেষ হবে ওই প্রকল্পগুলির কাজ, তা নিয়েই ভাবিত পাকিস্তানের নয়া সরকারও।      

       আরও পড়ুন : ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    চিনা ঋণের ওপর ভর করে সিপিইসি প্রাথমিকভাবে ভালোভাবে এগিয়েছিল। করিডরের সার্বিক অগ্রগতির ভিত্তিতে সিপিইসি বিষয়ক পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী খালিদ মনসুর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিলেন যে ১৫.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২১টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৯.৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আরও ২১টির কাজ চলছে।

    তবে ওই কাজ যে পাকিস্তানের একার পক্ষে শেষ করা সম্ভব নয়, তা জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেশটির আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পাকিস্তানের মাথার ওপর ১৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা। বার্ষিক ঋণের কিস্তি হিসেবে শোধ করতে হয় ১৪ বিলিয়ন ডলার। তাই, ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে পাকিস্তান। ঠিক যে ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা!

    সিপিইসি প্রকল্পে চিনের দেওয়ার কথা ৯০ শতাংশ টাকা। আপাতত টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে চিন। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি পাকিস্তানে চিনা শ্রমিক ও সিপিইসি সম্পত্তির ওপর হামলার কারণে বন্ধ বরাদ্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্পে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই পাক সরকারেরও। তাই প্রকল্পগুলি আদৌ দিনের আলো দেখবে কিনা, দেখলেও কবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ পাকিস্তানিরাই।

    সঙ্কটের জন্য চিন অবশ্য দায়ি করেছে পাকিস্তানকে। এই সঙ্কট থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের কাছে রয়েছে একটিই বিকল্প, আইএমএফ বেলআউট। তবে পাকিস্তান এই ঋণ পাওয়ার মতো অবস্থায়ও নেই। তাই পাকিস্তানের হাতে আন্তর্জাতিক ঋণের বাধ্যবাধকতা এবং আমদানির চাহিদা মেটাতে অন্যান্য ঋণ, এমনকি বাণিজ্যিক ঋণের সন্ধান করা ছাড়া আর কোনও বিকল্পই নেই। শাহবাজের দেশ কি পারবে এই ঋণ জোগাড় করতে? উঠছে প্রশ্ন।

     

  • Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশে সন্ত্রাস চালানোর জন্য শিক্ষিত ভারতীয় তরুণদেরই (Indian Youths) ব্যবহার করা হচ্ছে! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে,  যে সব কাশ্মীরি (Kashmiri) তরুণরা ডাক্তারি (MBBS) পড়তে বা অন্য কোনও বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাকিস্তানে (Pakistan) যাচ্ছেন, তাঁদেরই একাংশের মগজধোলাই করে জঙ্গি শিবিরে টেনে নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় এর প্রমাণ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

    ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জাফর ভাট নামে এক হুরিয়ত নেতা-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি কাশ্মীরি যুবকদের সুলভে উচ্চশিক্ষার টোপ দিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সিট (Pak MBBS seats) বিক্রি করেছেন! পাকিস্তানে পৌঁছনোর পর এই যুবকদের মধ্যে থেকেই একাধিক জনকে বাছাই করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারপর এই যুবকদের আবার ভারতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। প্রতিবছর এরকম অন্তত ১০০ জন কাশ্মিরী যুবক পাকিস্তানে যায় উচ্চশিক্ষার জন্য।

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এবং সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (AICTE) এই প্রসঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক পাকিস্তান থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিয়ে আসেন, তাহলে তাঁরা সেই শংসাপত্রের ভিত্তিতে ভারতে উচ্চশিক্ষা বা চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন না।” বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই কারণেই ওই শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণদের নিশানা করে তাঁদের মগজধোলাই করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা (ISI)। তাঁদের বোঝানো হচ্ছে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ভারতে বঞ্চিত এবং অবহেলিত। 

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য বলছে, কাশ্মীর উপত্যকায় সাম্প্রতিক জঙ্গিদমন অভিযানে নেমে এমন অন্তত ১৭ জন তরুণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা পাকিস্তানে গিয়েছিল পড়াশোনা করতে। কিন্তু, দেশে ফেরত আসে সন্ত্রাসবাদী হয়ে। এই ১৭ জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, কারণ, এদের সকলেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। 

    নিহত এই জঙ্গিদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এঁরা সকলে বৈধ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে পড়তে গিয়েছিলেন। এবং সকলেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকেই কাশ্মীরি তরুণদের পাকিস্তানের যাওয়ার প্রবণতা নজরে আসার মতো বেড়ে গিয়েছে। এঁদের অধিকাংশই পড়াশোনা করতে গেলেও কেউ কেউ আবার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে কিংবা বিয়ের মতো পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও বৈধভাবে সীমান্তে পেরিয়ে ওদেশে গিয়েছেন। সেখান থেকেই নতুন করে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা।

    সূত্রের দাবি, এই বাছাই করা মেধাবী যুবকদের জঙ্গি বানানোর পিছনে রীতিমতো একটি লবি কাজ করছে। এমনকী, এই যুবকদের কাশ্মীর (Kashmir) থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) যেতে যাতে কোনও আইনি সমস্যা না হয়, তার জন্য ভারতের পাক দূতাবাসও (Pak High Commission in India) পূর্ণ সহযোগিতা করছে বলে খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।

  • China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা ছিল প্রজেক্ট হবে ১৫টি। খরচ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে (China Pakistan Economic corridor) মোট ১৫টি প্রজেক্টের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৩টি। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রত্যাশিতভাবেই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার।

    ২০১৩ সালে চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত চুক্তি হয়। ৪৬ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে চিন এই করিডর তৈরির চুক্তি চূড়ান্ত করে। পরে বিনিয়োগ আরও বাড়ে। শেষ হয় চিনের কাশগড় থেকে কারাকোরাম হাইওয়ে হয়ে পাকিস্তানের গ্বাদর (Gwadar) পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ। করিডর বরাবর পরিকাঠামোও তৈরি হয়েছে। শেষ হয়েছে আরও দুটি প্রকল্প। তবে বাকি ১২টি প্রকল্পের কাজ বিশ বাঁও জলে। এর মধ্যে রয়েছে জল সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টও। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার। তবে কাজ ঠিকঠাক গতিতেই এগোচ্ছে বলে দাবি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের।

    কথা ছিল, প্রজেক্টের ৯০ শতাংশ টাকাই খরচ করবে ড্রাগনের দেশ। বাকি টাকা দেবে পাক সরকার। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, চিনের আগ্রহের তালিকায় থাকা ৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকিগুলির কাজ কবে শেষ হবে, তা কেউ জানে না। এই অর্থনৈতিক করিডরের একাংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে। যার প্রতিবাদও জানিয়েছে ভারত। তবে ভারতের ওই প্রতিবাদ কানে তোলেনি পাক সরকার।

    প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পাক ব্যবসায়ীদের তরফেও। জানা গিয়েছে, করিডর বেয়ে হু হু করে পাকিস্তানে ঢুকছে সস্তার চিনা পণ্য। আর পাকিস্তানের পণ্য চিনে ঢুকছে অত্যন্ত কম। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পাক ব্যবসায়ীরা। করিডর অথরিটিকে বাতিল করার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি বলেন, এটি একটি অপ্রয়োজনীয় সংস্থা। যে কেবল দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।

     

  • Pakistan: ঋণ মেটাতে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনকে সমর্পণ করতে পারে পাকিস্তান?

    Pakistan: ঋণ মেটাতে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনকে সমর্পণ করতে পারে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থসংকটে জেরবার দেশ। সংকট কাটাতে এবার চিনকে (China) গিলগিট বাল্টিস্তান (Gilgit Baltistan) লিজ দিতে পারে পাকিস্তান (Pakistan)। সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কারাকোরাম ন্যাশনাল মুভমেন্টের চেয়ারম্যান মুমতাজ নাগরি। একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নাগরিকে উদ্ধৃত করে এই মন্তব্য করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে কিছুদিন আগেই দেশবাসীকে চা খাওয়া কমানোর দাওয়াই দিয়েছিলেন শরিফের মন্ত্রিসভার এক সদস্য। এবার প্রকাশ্যে এল জায়গা লিজ দেওয়ার আশঙ্কা। 

    আরও পড়ুন : ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে পাকিস্তানে। ইমরান খানের সরকারের জায়গায় ক্ষমতায় এসেছে শেহবাজ শরিফের সরকার। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। অর্থসংকট কাটাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার। দিন কয়েক আগেই এক লপ্তে পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটার প্রতি ৩০ টাকা। দিন কয়েক আগে সংসদের বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, আগের সরকারের ভুল আর্থিক নীতির জন্য আইএমএফ-ও আর পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য করতে চাইছে না।আইএমএফের সব শর্ত পূরণ করলে তবেই মিলবে আর্থিক সাহায্য। এই সময়ই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেন, এই সংকট থেকে বেরতে গেলে পাকিস্তানকে আরও অনেক খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। 

    আরও পড়ুন : ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায় পাকিস্তান! বেনজির-পুত্রের মন্তব্যে বরফ গলার ইঙ্গিত?

    কাশ্মীরের বেশ খানিকটা অংশ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। দখলীকৃত এই অংশের মধ্যেই পড়ে গিলগিট বাল্টিস্তান। ভারতের থেকে জোর করে দখল করা সেই অংশই পাকিস্তানকে লিজ দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা নাগরির। শোনা যাচ্ছে, শি জিনপিংয়ের সরকার পাকিস্তানকে ২৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে। এই ঋণের বিনিময়েই কি পাকিস্তান গিলগিট ও বাল্টিস্তান লিজ দিতে পারে ড্রাগনকে? উঠছে প্রশ্ন।  

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

  • Yasin Malik: ইয়াসিনের সমর্থনে ট্যুইট আফ্রিদির, “সব তোমার বয়সের মতো…” পালটা অমিত মিশ্র

    Yasin Malik: ইয়াসিনের সমর্থনে ট্যুইট আফ্রিদির, “সব তোমার বয়সের মতো…” পালটা অমিত মিশ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের মদত এবং অর্থসাহায্য মামলায় (Terror funding) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik)। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। এই ঘটনার আঁচ পড়ল ভারত-পাক  ক্রিকেট বৃত্তেও। ইয়াসিন মালিককে নিয়ে ট্যুইট যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি (Afridi) এবং ভারতের অমিত মিশ্র (Amit Mishra)।

    ঘটনার সূত্রপাত আফ্রিদির একটি ট্যুইট থেকে। আফ্রিদি ট্যুইটে লেখেন “মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক মতামতকে চেপে রাখতে চেষ্টা করে ভারত। ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ করে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আটকে রাখা যাবে না।” এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন আফ্রিদি। তিনি বলেছেন, “কাশ্মীরি নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বেআইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    এই ট্যুইটের পালটা জবাব দিয়েছেন ভারতীয় লেগস্পিনার অমিত মিশ্র (Amit Mishra)। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, “ইয়াসিন মালিক আদালতে নিজেই সব দোষ স্বীকার করেছেন। সবকিছু তোমার বয়সের (Shahid Afridi Age) মতো বিভ্রান্তিকর নয়।” প্রসঙ্গত, গত বছর নিজের জন্মদিনেই আফ্রিদি জানিয়েছিলেন তাঁর বয়স ৪৪ বছর। কিন্তু আইসিসির রেকর্ড অনুযায়ী শাহিদ আফ্রিদির বয়স ৪১ বছর। আবার তাঁর আত্মজীবনী অনুযায়ী, আফ্রিদির বয়স ৪৬ বছর। সেই নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছিল। অমিতের ট্যুইটে ফের মাথাচাড়া দিল সেই বিতর্ক। 

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, ইউএপিএ (UAPA) ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ (Terror activities), সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা (waging war against nation), জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ সদস্যপদ গ্রহণ-সহ একাধিক মামলায় সাজা হয়েছে জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (JKLF)  নেতা ইয়াসিনের। বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে, ইয়াসিন তা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। এই কারণে একাধিকবার গৃহবন্দিও করে রাখা হয় তাকে। গত ১০ মে আদালতে দোষ কবুল করেছিলেন ইয়াসিন নিজেই। 

  • IAF Officer Honey Trapped: যৌনতার ফাঁদে পা দিয়ে আইএসআই-কে তথ্য পাচার! গ্রেফতার বায়ুসেনার আধিকারিক

    IAF Officer Honey Trapped: যৌনতার ফাঁদে পা দিয়ে আইএসআই-কে তথ্য পাচার! গ্রেফতার বায়ুসেনার আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি (Pakistan) সুন্দরীর জালে (Honey Trap) ধরা দিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (ISI) দেশের সুরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাচার করার অভিযোগ উঠল ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তদন্তে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) হাতে ধরা পড়লেন বায়ুসেনার ৩২ বছর বয়সী ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিসট্যান্ট’ (Administrative Asistant) দেবেন্দ্র নারায়ণ শর্মা (Devender Narayan Sharma)। দেবেন্দ্র দিল্লির সুব্রত পার্কে বায়ুসেনার রেকর্ড বিভাগে কাজ করতেন।

    এর আগেও বহুবার ভারতের সুরক্ষা (National Security) সংক্রান্ত তথ্য আদায় করতে যৌনতার ফাঁদ পেতেছে পাকিস্তান। এর আগেও বহু সামরিক আধিকারিক এই ফাঁদে পা দিয়েছেন। বায়ুসেনার সার্জেন্ট পদে কর্মরত দেবেন্দ্রও সেই ফাঁদে পা দেন বলে অভিযোগ। দিল্লি পুলিশ জানতে পারে, যৌন ফাঁদে পা দিয়ে দেশের গোপন তথ্য পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছেন বায়ুসেনার কোন এক আধিকারিক। তদন্ত কিছুটা এগোতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যায় দেবেন্দ্র শর্মার নাম। 

    তাঁকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে তথ্য। পুলিশের দাবি, দেবেন্দ্র স্বীকার করে নেন যে, পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে শরীরী প্রেমে মজে দেশের বিভিন্ন গোপন তথ্য তুলে দিয়েছেন আইএসআই- এর হাতে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও তথ্য পাঠাতেন বলেও জানিয়েছেন ধৃত বায়ুসেনা আধিকারিক। দেবেন্দ্র তথ্য পাচার করে অর্থ উপার্জনও করেছেন বলে ধারণা তদন্তকারী অফিসারদের।  

    গত ৬ মে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police ) ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেফতার হন বায়ুসেনার ওই আধিকারিক। গ্রেফতারের সময় তাঁর সমস্ত পরিচয়পত্র এবং ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গত বছর জুলাইতেও একই অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে (Official Secret Act) এক সেনাকর্মী সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দুই ব্যক্তিও আইএসআই এজেন্টদের সরকারি তথ্য পাচার করছিলেন। পোখরানের বেস ক্যাম্প থেকে ৩৪ বছর বয়সী এক সবজি বিক্রেতাকে পাকড়াও করার পর বিষয়টি সামনে আসে। ওই সেনাকর্মীর থেকে তথ্য নিয়ে ওই সবজি বিক্রেতাই আইএসআই এজেন্টকে দিতেন। 

     

  • New Pak PM Shehbaz Sharif: গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    New Pak PM Shehbaz Sharif: গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই শান্তির বুলি আওড়েছেন পাকিস্তানের (pakistan) নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (prime minister shehbaz sharif)। তবে আদতে তা কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহল। কারণ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। পাল্টা টুইটে তিনিও মোদির সাফল্য কামনা করেছেন। এর পরেই শান্তির বার্তা দিয়েছেন শেহবাজ। যদিও উসকে দিয়েছেন কাশ্মীর ইস্যু। 

    পাক পার্লামেন্টে (Pakistan National Assembly) বিরোধীদের আনা অনাস্থায় (no confidence or trust vote) গোহারা হেরে যান পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Former Pak PM Imran khan)। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন শেহবাজ। তিনি পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে পরেই তাঁকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানান মোদি। তিনি লেখেন, ভারত চায় সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে শান্তি এবং স্থায়িত্ব, যাতে করে আমরা উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারি। দেশবাসীর উন্নতি এবং সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করতে পারি।
    মোদিকে পাল্টা টুইট করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রীও। তিনি লেখেন, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিতর্কিত ইস্যুগুলির শান্তিপূর্ণ সমাধানও অপরিহার্য। দেশবাসীর উন্নতি ও সমৃদ্ধিও যে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীর মূল ফোকাস, টুইটে তাও জানিয়ে দিয়েছেন শেহবাজ।

    [tw]


    [/tw]

    বস্তুত, কাশ্মীর ইস্যুই যে শেহবাজের মূল হাতিয়ার হবে, প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই তিনি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এর কারণও রয়েছে। পাকিস্তানের সরকার ব-কলমে চালনা ও পরিচালনা করে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। শেহবাজ যে পাক প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন, তার পেছনেও সেনার একটা অদৃশ্য হাত রয়েছে। এই সেনাই জিইয়ে রাখতে চায় কাশ্মীর ইস্যু।

    কাশ্মীর ইস্যু জিইয়ে রাখতে পারলে আদতে লাভ সরকারেরই। কারণ, তখন দারিদ্র, অশিক্ষা, অপুষ্টির মতো জ্বলন্ত ইস্যুগুলির দিক থেকে পাক নাগরিকদের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে। তখন সরকার চলবে মসৃণ গতিতে। সেই কারণেই কাশ্মীর ইস্যুকেই হাতিয়ার করেন পাকিস্তানের সব প্রধানমন্ত্রীই। সেই কারণেই মুখে শান্তির বার্তা দিলেও, তলায় তলায় মদত দিতে থাকে লস্কর-ই-তৈবা (lashkar-e-taiba) সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে। তার জন্য কনকনে ঠান্ডায়ও হিংসার তাপে পোড়ে ভূস্বর্গ। বাতাস ভারী হয় বারুদের গন্ধে। আচমকাই লাশ হয়ে যান জলজ্যান্ত কোনও কাশ্মীরি।

     

  • Karachi Blast: “শারি জান, তোমার জন্য আমি গর্বিত”, করাচির মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গিকে টুইটে ‘শ্রদ্ধা’ চিকিৎসক স্বামীর

    Karachi Blast: “শারি জান, তোমার জন্য আমি গর্বিত”, করাচির মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গিকে টুইটে ‘শ্রদ্ধা’ চিকিৎসক স্বামীর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী আত্মঘাতী জঙ্গি (suicide bomber)। করাচি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিস্ফোরণ (Karachi Blast) ঘটিয়ে তিন চিনা নাগরিককে হত্যা করেছে। স্ত্রীর সেই কাজকে শুধু সমর্থন করাই নয়, এই কাজে অত্যন্ত গর্বিত অনুভব করে টুইটে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন আত্মঘাতী মহিলা জঙ্গির স্বামী! যিনি কিনা পেশায় আবার দন্ত-চিকিৎসকও বটে! আর স্ত্রী? উচ্চশিক্ষিতা শুধু নয়, পেশায় শিক্ষিকা। একইসঙ্গে দুই সন্তানের মা। করাচি বিস্ফোরণের মূল কাণ্ডারীর এই প্রোফাইল প্রকাশ্যে আসার পর সকলেই চমকে উঠছেন। বলছেন, এ-ও কী সম্ভব!

    মঙ্গলবার করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Karachi University) ভিতরে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের কাছে একটি ভ্যানগাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তিন চিনা-সহ কমপক্ষে চারজনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা। আহত হন আরও অনেকে। মৃতেরা হলেন – কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের অধিকরতা হুয়াং গুইপিং, ডিং মুপেঙ্গ, চেন সা এবং পাকিস্তানের চালক খালিদ।

    হামলার দায় স্বীকার করে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (Balochistan Liberation Army)। গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়, বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মাজিদ ব্রিগেড ইউনিট। আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য মানববোমা হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছিল শারি বালোচ (Shaari Baloch) ওরফে ব্রামশকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বোরখা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের মুখে দাঁড়িয়ে এক মহিলা। চিনা নাগরিকদের নিয়ে সাদা একটা ভ্যান বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে যাওয়ার মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটে।

    [tw]


    [/tw]

    পাক সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, তিরিশ বছর বয়সী এই মহিলা উচ্চশিক্ষিত। দুই সন্তানের মা শারি বালুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় এম.এসসি ডিগ্রি অর্জন করার পর আলামা ইকবাল ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল নিয়ে পড়াশোনা করে। ২০১৪ সালে বিএড করে শারি। ২০১৮-তে এমএড। বালুচিস্তানের কেচ জেলায় একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছিল এই মহিলা। বিয়ে হয়েছিল দন্ত চিকিৎসকের সঙ্গে। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। এক জনের বয়স আট, অন্য জনের পাঁচ।

    ছাত্রাবস্থায় বালোচ স্টুডেন্টস’ অর্গানাইজেশন-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল শারি। বছর দুয়েক আগে সংগঠনের আত্মঘাতী স্কোয়াড মজিদ ব্রিগেডে যোগ দেয় সে। সেখানে যোগদানের পর থেকেই পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখে। সূত্রের খবর, সে এই সংগঠনের মাজিদ ব্রিগেডের অংশ ছিল। এই ব্রিগেডের প্রধান উদ্দেশ্য হল, চিনা নাগরিকদের টার্গেট করা। 

    কীভাবে একজন শিক্ষিকা শেষ পর্যন্ত জঙ্গি দলে নাম লেখাল তা বিস্ময়ের উদ্রেক করছে। জানা গিয়েছে, লিবারেশন আর্মিতে যোগদানের সময় হামলাকারী মহিলার প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার দুই সন্তান। সন্তান থাকার কারণে তাঁকে যোগদান করতে বারণ করা হয়, কিন্তু সেই সময় সে কোনও কথা শোনেনি। বরং লিবারেশন আর্মিতে যোগদান করার পর থেকেই সে নিজেকে করাচি হামলার জন্য প্রস্তুত করতে থাকে।

    [tw]


    [/tw]

    শারিকে অন্য কোনও স্কোয়াড বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিএলএ-র তরফে। কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করে। বরং আত্মঘাতী স্কোয়াডেই যে সে যোগ দিতে ইচ্ছুক, সে কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছিল। বিএলএ-র আত্মঘাতী স্কোয়াড মজিদ ব্রিগেডের নিয়ম অনুযায়ী শারিকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল।

    ফলে গত দু’বছর ধরে মজিদ ব্রিগেডের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে কাজ করে শারি। এই সময়ের মধ্যে আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিল। মাস ছয়েক আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে শারি জানায়, আত্মঘাতী হামলার জন্য সে পুরোপুরি প্রস্তুত। তার পরই তাকে সরাসরি আত্মঘাতী স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    তবে সবচেয়ে অবাক করছে হাবিতান বাশির বালোচ (Habitan Bashir Baloch) নামে তার স্বামীর টুইট (Twitter)। স্ত্রীর জন্য গর্ব অনুভব করার পাশাপাশি পেশায় ডাক্তার ওই ব্যক্তি তার পোস্টে লিখেছে, ”শারি জান, তোমার নিঃস্বার্থ বলিদান আমাকে নির্বাক করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে। আমাদের দুই সন্তান মাহরোচ ও মীর হাসান বড় হয়ে যখন জানতে পারবে তার মা ছিল একজন ‘মহান’ মহিলা, তখন তারা গর্ব অনুভব করবে। তুমি আমাদের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থেকে যাবে।”

    [tw]


    [/tw]

  • Kerala HC: পাকিস্তানকে বেশি সুন্দর ভাবলে ভুল হবে, অভিমত কেরালা হাইকোর্টের

    Kerala HC: পাকিস্তানকে বেশি সুন্দর ভাবলে ভুল হবে, অভিমত কেরালা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতের থেকে পাকিস্তানের ঘাস বেশি সবুজ নয়,বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উদ্দেশে এই অভিমত ব্যক্ত করল কেরালা আদালত। কাশ্মীরে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে একটি মামলা চলাকালীন এই মত দেয় কে বিনোদ চন্দ্রন এবং সি জয়চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চ।
     
    বিচারপতিরা জানান, দেশভাগের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে নানা প্রসঙ্গে সমস্যা চলছে ভারতের। তবু ভারতে সংখ্যালঘু  মুসলিমদের বন্দি বানানোর কোনও খবর কখনও শোনা যায়নি। তিনজন বাদে কেরালায় লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার নজির-সহ সবাইকে কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

    আদালতের তরফে জঙ্গিদের ধরার জন্য এবং সন্ত্রাস দমনে পদক্ষেপের জন্য কেরালা পুলিশ এবং এনআইএ কে ধন্যবাদ জানানো হয়। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রসঙ্গে আদালতের তরফে বলা হয়  ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, ভারতের থেকে পাকিস্তানের মাটি বেশি সুন্দর নয়। এপার থেকে ওপার প্রসঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী মুসলিমরা যা ভাবছেন তা ঠিক নয়।

    কেরলের কোচি এবং কুন্নুরের বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি শুরু করে এনআইএর আধিকারিকরা বহু জঙ্গি গোষ্ঠীর খোঁজ পায়। মূলত শিক্ষিত যুবকদেরও জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য টার্গেট করা হয়। অনলাইনে তাঁদের রেজিস্টার করে পাঠানো হয় সীমান্তের ওপারে। সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জঙ্গিরা দেশে সন্ত্রাসাদী কাজ চালায় যা কখনওই কাম্য নয় বলে জানায় আদালত।

LinkedIn
Share