Tag: pakistan

pakistan

  • Operation Shield: শনিতে ফের মক ড্রিল! পাকিস্তান লাগোয়া ছয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হবে ‘অপারেশন শিল্ড’

    Operation Shield: শনিতে ফের মক ড্রিল! পাকিস্তান লাগোয়া ছয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হবে ‘অপারেশন শিল্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি (India-Pak Ceasefire) সত্ত্বেও পাকিস্তান লাগোয়া রাজ্যগুলিতে হামলার হুমকি রয়েই গিয়েছে। যে কারণে বাছাই করা কিছু এলাকায় যুদ্ধপরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি বৃদ্ধি এবং সেই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মহড়া পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ৩১ মে সন্ধ্যায় গুজরাট (Gujarat), পাঞ্জাব (Punjab), রাজস্থান (Rajasthan), জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir), হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) মক ড্রিল (Mock Drill) হবে বলে জানা গিয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তরফে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলিতে এখন প্রতি মাসেই এমন মহড়া চলবে। সেই সময় প্রশাসন যা যা নির্দেশ দেবে, তাই মেনে চলতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    কেন ‘অপারেশন শিল্ড’?

    মে মাসের শুরুতেও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের মক ড্রিল হয়েছিল। ৭ থেকে ১০ মে, চার দিনব্যাপী ভারত-পাক সংঘর্ষে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের নাগাড়ে গোলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয় বেশ কয়েকটি গ্রামের। বহু ভারতীয় নাগরিকের প্রাণও গিয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সেনা। পরবর্তীতে যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে এমন ঘটনা না ঘটে তাই এই ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) মহড়া শুরু করেছে ভারত। সূত্রের খবর, এই মহড়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য আকাশপথে হামলার সময়ে কন্ট্রোল রুম এবং সতর্কতা ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা। এ ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবী পরিষেবা, অসামরিক প্রতিরক্ষা পরিষেবা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, উদ্ধার কাজ পরিচালনা এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশ কতটা প্রস্তুত তারই মূল্যায়ন করা হবে।

    কী এই ‘অপারেশন শিল্ড’?

    ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) হল ভারতের সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শত্রুপক্ষের বিমান হামলা, ড্রোন অনুপ্রবেশ, ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ, এবং নাগরিকদের জরুরি স্থানান্তর ও সতর্কতা ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা পরখ করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। একজন উচ্চপদস্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তা বলেন, “এই মহড়ার লক্ষ্য হল সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আমাদের নাগরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা প্রস্তুত, তা যাচাই করা। এই অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিরক্ষায় ‘বাফার জোন’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসন, রাজ্য পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্স ইউনিট যৌথভাবে এই মহড়া পরিচালনা করবে।

    কেন সীমান্ত রাজ্যগুলোতে জোর?

    সীমান্তবর্তী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে এই মহড়া সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে সরকারের মূল যুক্তি হলো, এই এলাকাগুলোই সম্ভাব্য সংঘাতের প্রথম ধাক্কা সামলাবে। একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “এই রাজ্য ও অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিরক্ষার প্রথম স্তর। তাই এখানকার নাগরিক ও প্রশাসনের প্রস্তুতি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় করে এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে। অগ্নি নির্বাপন বাহিনী, চিকিৎসা দল এবং পুলিশ বাহিনী এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। প্রশাসন সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন মহড়ার সময় সরকারকে সহযোগিতা করে এবং সব ধরনের সরকারি নির্দেশ মেনে চলে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, “এটি একটি আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাঠামো আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

    মক ড্রিলের উদ্দেশ্য কী?

    মক ড্রিল হলো একটি সিমুলেটেড প্রশিক্ষণ, যার লক্ষ্য সিভিলিয়ান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি পরিষেবা দলগুলিকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, সন্ত্রাসী হামলা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত করা। এই মহড়ার মাধ্যমে এয়ার রেইড সাইরেন, ব্ল্যাকআউট প্রোটোকল, নাগরিক স্থানান্তর, এবং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় পরীক্ষা করা হয়। ‘অপারেশন শিল্ড’-এর উদ্দেশ্য হলো সীমান্তবর্তী এলাকায় জরুরি প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা বাড়ানো এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, যাতে তারা শত্রুপক্ষীয় হামলা বা অন্যান্য সংকটের সময় নিজেদের রক্ষা করতে পারে। এই ধরনের মহড়া জনগণের মধ্যে আতঙ্ক প্রতিরোধ এবং সংকটকালীন পরিস্থিতিতে শান্ত ও সংগঠিত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে।

    ‘অপারেশন শিল্ড’-এর গুরুত্ব

    ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জরুরি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা এবং তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে এই মক ড্রিল সীমান্তবর্তী এলাকায় নাগরিক এবং প্রশাসনের প্রস্তুতি জোরদার করবে। এটি শুধুমাত্র প্রশাসনিক সমন্বয়ই নিশ্চিত করবে না, বরং জনসাধারণের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে যে তারা যেকোনো সংকটের জন্য প্রস্তুত। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই সময়ে, এই ধরনের প্রস্তুতি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

  • Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ব্রহ্মোস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। নিজে মুখেই এবার একথা স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শরিফ বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১০ মে ফজরের নামাজের পর ভারতে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। তবে, ভোরের আগেই পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে দূরপাল্লার সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইল (India-Pakistan Conflict)  বর্ষণ করা হয়েছিল। ভোরে আক্রমণের কথা মুনির আমাকে জানিয়েছিলেন।’’

    শেহবাজের ব্রহ্মোস স্বীকারোক্তি

    পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাত হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে এখনও। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতীয় সেনা সরাসরি এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে উত্তররপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগেই দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ব্রহ্মোস ব্যবহার করে পাক সামরিক ঠিকানায় আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। তবে ব্রহ্মসের নাম না করলেও ১০ জুন সকালে পাক সেনা জানিয়েছিল, সে দেশের রাজধানী রাওয়ালপিন্ডি এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এবার ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতপর্বে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া দেশ আজরবাইজানে গিয়ে শেহবাজ বলেন, ‘‘আমাদের বিমানঘাঁটি নিশানা করে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মস ছুড়েছিল ভারত। আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। পাকিস্তানের বহু প্রদেশেই আক্রমণ করে। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমান বন্দরও।’’

    নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস 

    সামরিক কৌশলগত দৃষ্টিতে তিনটি অবস্থান ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছিলেন পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি। এ প্রসঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান, শোরকোটের রফিকি এবং চাকওয়ালের মুরিদ বিমানঘাঁটির নাম করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, হামলায় পাক বিমানবহরের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও ১৫ মে পাক বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল মাসুদ আখতার জানিয়েছিলেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ মে গভীর রাতে ইসলামাবাদের ভালোরী বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের একটি ‘এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (অ্যাওয়াক্স) সম্বলিত বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শেহবাজ (Shehbaz Sharif) অবশ্য সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও বিমানঘাঁটির নাম করেননি। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-পরবর্তী সংঘাতপর্বের সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ জানিয়েছিল, পাক বায়ুসেনার রসদ সরবরাহের প্রাণকেন্দ্র নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস।

    ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে যায় পাকিস্তান

    পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরের পরই সংঘর্ষবিরতির জন্য দিল্লিকে ফোন করে ইসলামাবাদ। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রস্তাব যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল। কারণ, ততক্ষণে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে দিয়েছিল। যদিও এরপর সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেই সময়ই হটলাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমওর। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে।

    পাকিস্তান ভাবার আগেই পদক্ষেপ ভারতের

    কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারত আঘাত হানে বলে দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তাঁর দাবি, দেশের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে ভারত। ছোড়া হয় ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্র। রাওয়ালপিণ্ডি বিমানবন্দরেও ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন তিনি। ভারতের দেখাদেখি সংঘাত পর্ব নিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে পাকিস্তানও। নিজে আজেরবাইজান পৌঁছে গিয়েছেন শেহবাজ। সেখানে সহযোগী দেশগুলির সামনে বক্তৃতা করেন তিনি। জানান, সকালের নমাজ শেষ হলে ১০ মে ভারতের (India-Pakistan Conflict) উপর আঘাত হানার পরিকল্পনা ছিল আসিম মুনির নেতৃত্বাধীন পাক সেনার। কিন্তু তার আগে, ৯-১০ মে ভোর-রাতে ভারতের তরফ থেকে আঘাত নেমে আসে। পাক সেনা প্রতিক্রিয়ার সময় পায়নি বলেও স্বীকার করে নেন শেহবাজ। জানান, বুঝে ওঠার আগেই বিপর্যয় ঘটে যায়।

    কেন ব্রহ্মোস-হামলা

    প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারত যে ১১টি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল, তার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি ছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিতে লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস এবং ইলিউশিন ইল-৭৮ রিফুয়েলারের মতো সামরিক বিমান ছিল। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে কমপক্ষে দুটি সামরিক বিমানের ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নূর খান ছাড়াও ভারত রফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার বিমান ঘাঁটিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানার জন্য সুখোই ৩০ এম কেআই জেট থেকে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস মিসাইল ছোড়ে ভারত।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) মানুষ ভারতীয় পরিবারের অঙ্গ। নিজে থেকেই তাঁরা একদিন ভারতে ফিরে আসবেন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকেও নিশানা করেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে একমাত্র কথা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

    সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা (Rajnath Singh)

    প্রসঙ্গত, ভারত বার বার দাবি করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসলে কেবল দুটি বিষয়েই আলোচনা হতে পারে –সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও নয়াদিল্লির সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ পাশাপাশি চলতে পারে না। জল ও রক্ত পাশাপাশি বইতে পারে না।” এদিন সিআইআই বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের আপন বলেই মনে করি। ওঁরা আমাদের পরিবারেরই অঙ্গ। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে ভাইরা ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, একদিন তাঁরা নিজেদের মনের তাগিদেই ভারতের মূল স্রোতে ফিরে আসবেন।”

    রাজনাথের বক্তব্য

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সিংহভাগ মানুষই যে ভারতের সঙ্গে গভীর সংযোগ অনুভব করেন, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেখানকার কিছু মানুষকেও ভুল বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরাও সঠিক পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন এবং ভারতে ফিরে আসবেন।” রাজনাথ বলেন, “ভারত সব সময় হৃদয়ের বন্ধনের কথা বলে। আমাদের বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং সত্যের পথে হেঁটেই একদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ ভারতে ফিরবেন এবং বলবেন, আমরা ভারতীয়। সেই দিন খুব বেশি দূরে নেই (Rajnath Singh)।” এদিন সন্ত্রাসবাদ নিয়েও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে পাকিস্তানকে। অপারেশন সিঁদুরের পর সেটা উপলব্ধি করেছে ইসলামাবাদ। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়ও এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান-সহ গোটা বিশ্ব পেয়ে গিয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৭ জন হিন্দুর। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদেরই হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপর প্রত্যাঘাত করে ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত (Rajnath Singh)।

  • Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর কথায় মোদি সরকারের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে। এর পরেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে কোন্দল। শশীকে ‘বিজেপির সুপার মুখপাত্র’ বলে দেগে দিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল (Operation Sindoor)।

    বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি দল (Shashi Tharoor)

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে এবং অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন দেশে সাতটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। তারই একটিতে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী। বর্তমানে পানামা সিটিতে রয়েছেন শশী ও তাঁর প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা যায় মোদি সরকারের গুণগান। তিনি বলেন, “চার দশক ধরে একের পর এক হামলা সয়েছি আমরা। শোক, যন্ত্রণা, আঘাত, ক্ষয়ক্ষতি আর সহ্য করা যাচ্ছে না। কাঁহাতক আর আন্তর্জাতিক মহলের কাছে দরবার করা যায়, কাঁহাতকই বা সাহায্য চাওয়া যায়!” ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “সব প্রমাণ ছিল আমাদের কাছে। এক জঙ্গিকে আমরা জীবিতও ধরে ফেলি। আজমল কাসভকে ধরতে গিয়ে আত্মবলি দেন এক পুলিশকর্মী। ওর পরিচয়, বাড়ি, ঠিকানা, পাকিস্তানের গ্রামের নাম পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছিল। পাকিস্তান থেকে হ্যান্ডলার প্রতি মিনিটে যে নির্দেশ দিচ্ছিল, তার রেকর্ডিং ছিল (Operation Sindoor) পশ্চিমি সংস্থাগুলির কাছেও।” তিনি বলেন, “কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হল? একজনকেও কি দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া গিয়েছে? পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত জোগানোর রাস্তাই বেছে নিয়েছে।”

    শশীর গলায় মোদি-স্তুতি

    শশী বলেন, “সম্প্রতি পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। জঙ্গিরা বুঝতে পেরেছে, তাদের মূল্য চোকাতে হবে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরি হামলার পর প্রথমবার পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত, যা আগে কখনও করিনি আমরা। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বালাকোটে জঙ্গিদের আঘাত করি। আর এবার একেবারে পাকিস্তানের বুকে আঘাত হেনেছি। ন’জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির, জঙ্গিদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিয়েছি।” কংগ্রেসের এই সাংসদ বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। অপারেশন (Shashi Tharoor) সিঁদুর চালাতেই হত। ২৬ জন মহিলার কপালের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল, তাঁদের স্বামীদের ছিনিয়ে নিয়েছিল জঙ্গিরা। আমরা ওঁদের কান্না শুনেছি। আর তাই আমাদের মেয়েদের মাথার সিঁদুরের (Operation Sindoor) লাল রংয়ের সঙ্গে হত্যাকারী, হামলাকারীদের রক্তের লাল রং মিলিয়ে দেওয়ার সঙ্কল্প নিই (Shashi Tharoor)।”

  • Operation Sindoor: দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান

    Operation Sindoor: দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার নয়, দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথম অনুরোধটি এসেছিল ৭ মে সন্ধ্যায়। সেদিন পাকিস্তানের (Pakistan) ডিজিএমও আনুষ্ঠানিকভাবে বার্তা পাঠিয়েছিলেন ভারতের কাছে। পাকিস্তানের এই অনুরোধ আসে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) অধীন যখন পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের এই অনুরোধে সাড়া দেয়নি নয়াদিল্লি। কারণ ইসলামাবাদের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ ছিল নয়াদিল্লির। এরও কারণ রয়েছে। সেটি হল, শান্তির আহ্বানের পাশাপাশি ভারতীয় সামরিক পরিকাঠোমাগুলির ওপর নতুন করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান।

    সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব (Operation Sindoor)

    এর পরে দুই দেশের সংঘর্ষ চলে আরও তিনদিন। ১০ মে ফের বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে যুযুধান দুই দেশের ডিজিএমও স্তরের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানেই সমঝোতায় পৌঁছয় দুই দেশ। উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তজনা কমানো। এর আগে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিলেন, পাকিস্তানের ডিজিএমও তার ভারতীয় সমকক্ষের সঙ্গে আলোচনার অনুরোধ জানান। কারণ ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলির ওপর নির্ভুল আঘাত হেনেছিল।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সূত্রের খবর, এই অপারেশনে নিহত হয়েছেন ১৬০ জনেরও বেশি। এর মধ্যে যেমন জঙ্গিরা রয়েছে, তেমনি রয়েছে তাদের সহযোগী এবং পাক সেনাকর্মীরাও। এর মধ্যে ২০ জনেরও বেশি মারা গিয়েছে বাহাওয়ালপুরে (Operation Sindoor)। এটি জইশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বাহাওয়ালপুরে নিহতদের অনেকেই জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    পাক সশস্ত্র বাহিনীরও বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। অনুমান, ৩৫ থেকে ৪০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। যদিও পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ১১ জন সেনা নিহত ও ৭৮ জন জখম হওয়ার কথা কবুল করেছে। ১০ মে প্রতিশোধমূলক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানের বড় ধরনের ক্ষতি করেছে ভারত। এই হামলায় পাকিস্তানের (Pakistan) একাধিক বিমানঘাঁটিতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে (Operation Sindoor)।

  • Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক দ্বন্দ্বের আবহে ভারতীয় সেনার কাজের ধরন বদল করে দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এত দিন সীমান্তে সংঘাতের আবহে আলাদা ভাবেই কাজ করত ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী – স্থল, নৌ এবং বিমান। এবার থেকে (India Pakistan Tensions) তারা একই কমান্ডারের নেতৃত্বে (Unified Command) এক সঙ্গে কাজ করবে। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। ২৭ মে থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের বাদল অধিবেশনে এ সংক্রান্ত ইন্টার সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন বিল পাশ হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষেই। পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলে বিলটি পরিণত হয় আইনে। আইন কার্যকর হয় চলতি বছরের ১০ মে। এবার জারি হল বিজ্ঞপ্তি।

    জারি বিজ্ঞপ্তি (Unified Command)

    বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী যাতে যৌথভাবে দ্রুত কাজ করতে পারে, তাই এই নয়া নিয়ম। বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে, সীমান্তে তিন বাহিনী এক সঙ্গে কাজ করলেও, তারা যে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম মেনে চলে, তাতে কোনও বদল হবে না। জানা গিয়েছে, এতদিন সীমান্তে জরুরি পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন হত অত্যন্ত ধীর গতিতে। নয়া নিয়মে তেমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ তিন বাহিনীই একই কমান্ডারের অধীনে কাজ করবে। এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার, তা নেবেন নেতৃত্বে থাকা কমান্ডারই। যৌথ অপারেশনেও কোনও দ্বন্দ্ব বা বিভ্রান্তির জায়গা থাকবে না (Unified Command)।

    ডিফেন্স স্টাফের প্রধানের বক্তব্য

    এদিকে, ডিফেন্স স্টাফের প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান রবিবার অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তর ও পশ্চিম সমরাঙ্গণে যুদ্ধ প্রস্তুতির কৌশলগত পর্যবেক্ষণ করেন। অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই দুই কমান্ডের আলাদা আলাদা সফর করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সময়মতো দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের সামগ্রিক সমন্বয় ও দক্ষতার প্রশংসা করেন জেনারেল চৌহান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করেন জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি সকল স্তরের জওয়ানদের সাহস, দৃঢ়সংকল্প, নিখুঁততা ও শৃঙ্খলার প্রশংসা করেন (Unified Command)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    জেনারেল চৌহান জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিল্ড ফরমেশনগুলিকে “অপারেশনাল শ্রেষ্ঠত্বের” স্বীকৃতি দিয়েছেন। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ৭ মে সকালের দিকে ন’টি জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর নিখুঁতভাবে আঘাত হানা হয় ভারতের তরফে। পরবর্তী কালে পাকিস্তানি হামলার চেষ্টাগুলিকেও জবাব দেওয়া হয় কঠোরভাবে (India Pakistan Tensions)। ১০ মে তারিখে সামরিক অভিযান বন্ধ করার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হয় বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উধমপুরে, প্রতিরক্ষা প্রধানকে উত্তরাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করা হয় – যেখানে জঙ্গি নেটওয়ার্ক, শত্রুর জঙ্গি-সমর্থিত সম্পদ ধ্বংস করা এবং অপারেশন সিঁদুরের সময় নিজেদের সামরিক কাঠামো ও অসামরিক জনগণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানানো হয়।”

    এতদিন কী হত জানেন?

    প্রসঙ্গত, এতদিন সীমান্তে কোনও সংঘর্ষ হলে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করত তিন বাহিনী। এতে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগত। নয়া নিয়ম চালু হওয়ায় এখন একই কমান্ডারের নেতৃত্বে অপারেশন হলে, অপারেশনের গতি অনেকটাই বাড়বে। এতে অপারেশনের সময় তিন বাহিনীর দ্বন্দ্ব এড়ানো যাবে। এড়ানো যাবে বিভ্রান্তিও (Unified Command)। জানা গিয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহে সব চেয়ে সক্রিয় ছিল ভারতীয় সেনার পশ্চিম ও উত্তর কমান্ড। সূত্রের খবর, শুরুতে জম্মু-কাশ্মীরের পশ্চিম এবং উত্তর কমান্ডে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে এটি দেশের অন্যান্য সীমান্তেও কার্যকর করা হবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পক্ষকাল পরে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চালায় অপারেশন সিঁদুর। তাতে ওই এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর সংঘাতে জড়ায় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। ভারতের ওপর পাল্টা হামলার চেষ্টা করে শাহবাজ শরিফের দেশ। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, তারা পাক সেনার ওই হামলা প্রতিহত করেছে। পাল্টা জবাবও দিয়েছে। দিন তিনেকের ওই সংঘাতের পর সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। যদিও সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব ভারতকে আগে দেয় পাকিস্তানই (India Pakistan Tensions)। এখনও সংঘর্ষ বহাল রয়েছে। সেই আবহে ভারতীয় সেনার নয়া নিয়মকে রণকৌশল হিসেবেই দেখছেন সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Unified Command)।

  • Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাক-ভূমে ভারতীয় বায়ুসেনার তাণ্ডবের নতুন চিত্র সামনে এসেছে। কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো সেই চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্থানের মুরিদ বিমান ঘাঁটির (Murid Air Base) ব্যাপক ধ্বংসাবশেষের ছবি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্রায় তিন মিটার একটি গভীর গর্ত। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পূর্ব এবং পরবর্তী উপগ্রহ চিত্র এভাবেই সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, যেখানে আঘাত হানা হয়েছে তা পাকিস্তানের একটি ভূগর্ভস্থ গোপন অবকাঠামো থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে অবস্থিত।

    মুরিদ বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস (Murid Air Base)

    অপারেশন সিঁদুরের পরেই দেখা যাচ্ছে, ওই বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিমানঘাঁটির (Operation Sindoor) দেওয়ালগুলির ধ্বংসাবশের ছবি সামনে এসেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে হামলা ঠিক কতটা তীব্র ছিল! প্রসঙ্গত এই মুরিদ বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের চাকওয়ালে অবস্থিত (Murid Air Base)। জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানেই অপারেশন সিঁদুরে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।

    ১০ জায়গায় হামলা ভারতের (Murid Air Base)

    প্রসঙ্গত, ভারত পাকিস্তানের দশটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সারগোধা (মুশাফ), ভোলারি, জাকোবাবাদ, সুক্কুর এবং রহিম ইয়ার খান বিমান ঘাঁটি। জাকোবাবাদের বিমানঘাঁটিতে উপগ্রহ চিত্রে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ সামনে এসেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ভোলারিতে ধ্বংসের ছবি দেখা যাচ্ছে। সিন্ধুতে অবস্থিত সুক্কুর বিমান ঘাঁটিতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। এর পাশে ঝলসানো গাছপালাও দেখা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের পরেই এই ছবি সামনে এসেছে। দক্ষিণ পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানের বিমানঘাঁটির রানওয়েতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারপরেই ৭ মে অপারেশন সিঁদুর লঞ্চ করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।

  • Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান (Pakistan) মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।” ফ্রান্সে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।

    বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান (Shamik Bhattacharya)

    বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সাফল্যের কথা আন্তর্জাতিক মহলকে জানাতে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদলকে বিদেশে পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। পদ্ম সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধি দলটি ইউরোপে গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক সেই দলের সদস্য। ফ্রান্সে সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মঙ্গলবার প্যারিসের ভারতীয় দূতাবাসে প্রবাসী ভারতীয়দের জমায়েতেও পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে প্রতিনিধি দলটি। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন শমীক। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে, আমাদের (ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে)২ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের অনেক জায়গায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে ভারতে নাশকতা চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।”

    এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়

    প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শমীককে। সে সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বিজেপির এই নেতা বলেন, “মতভেদ থাকা সত্ত্বেও আমরা ভারতের সব রাজনৈতিক শক্তি একত্রিত হয়ে এখানে এসেছি একটাই বার্তা দিতে। তা হল, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে আমরা এখানে আসিনি। তাই আমি কিছু প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছি।”

    শমীক বলেন, “পাকিস্তান এমন একটা দেশ, যারা কোনওদিনই শুধরাবে না। আমরা দাবি করছি, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে এক ঘরে করতে হবে।” তিনি বলেন, “কোন পরিস্থিতিতে ভারত অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল, তা বিশ্বকে জানানো আমাদের কর্তব্য। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদকে লালনপালন করেছে (Pakistan)। ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের লেলিয়ে দিয়েছে (Shamik Bhattacharya)।”

  • Iran: পাত্তা দিল না ইরান! সব সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চান শেহবাজ

    Iran: পাত্তা দিল না ইরান! সব সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চান শেহবাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদ, জলবণ্টন, বাণিজ্য-সহ দ্বিপাক্ষিক সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত পাকিস্তান। সোমবার ইরান (Iran) সফরে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। চাপের মুখে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারত বিরোধিতা করে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সাহায্য পাওয়ার আশায় ইরান সফরে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে পাত্তা পাননি তিনি। তাই ফের একবার ভারতের সঙ্গে সমঝোতার কথা বললেন শাহবাজ।

    ভারতের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের জঙ্গি ডেরায় ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তার প্রতিক্রিয়ায় সংঘাতের পর সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছে দুই দেশ। এই আবহে চারটি ‘বন্ধু’ দেশে সফর করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। রবিবার তিনি গিয়েছিলেন তুরস্কে। সেখানকার প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্দোগানের সঙ্গে আলোচনা হয় তাঁর। এর পরে ইরানের গিয়ে সোমবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজসকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলি খামেনির সঙ্গেও বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তেহরানে, ওই বৈঠক করার পরেই শেহবাজ শরিফ জানান, তাঁরা ভারতের সঙ্গে থাকা সব সমস্যার সমাধান করতে চান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সব সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আমরা উন্মুখ। আমরা আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা এবং জল সমস্যা-সহ সকল বিরোধের সমাধান করতে চাই। বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে আমাদের প্রতিবেশীর (ভারতের) সঙ্গে কথা বলতেও আমরা প্রস্তুত।’’

    সন্ত্রাস বন্ধ ছাড়া কথা নয়

    ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে কী শর্তে কথা হতে পারে তা জানিয়ে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা কেবলমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রত্যাবর্তন এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতেই হতে পারে। এ প্রসঙ্গে শাহবাজ শরিফ বলেন, “যদি ভারত শান্তির পথ বেছে নেয়, তাহলে আমরা আন্তরিকতা ও দায়িত্বের সঙ্গে শান্তির বার্তা দেব। কিন্তু যদি তারা আগ্রাসনের পথে থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করব, যেমন কিছুদিন আগেও করেছি।” ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি, এই নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি সমাজ মাধ্যমে শুধু লেখেন, ইরান আশা করে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের সমাধান হবে। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে বিরোধের অবসানে ইরান আনন্দিত।

  • NIA: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে এবার গ্রেফতার সিআরপিএফ জওয়ান

    NIA: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে এবার গ্রেফতার সিআরপিএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের খেয়ে, তথ্য জোগাচ্ছিলেন পাকিস্তানকে (Espionage Racket)। এই অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হয় সিআরপিএফের এক জওয়ানকে। ধৃত জওয়ানের নাম মোতিরাম জাট। অভিযোগ, মোতিরাম পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারের কাছে ভারতের বেশ কিছু (NIA) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে। সে পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। যদিও দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তুলে ৬ জুন পর্যন্ত তাকে হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    মোতিরামের পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে (NIA)

    সিআরপিএফ সূত্রে খবর, সাব ইন্সপেক্টর পদে থাকা মোতিরামের পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অবাধ বিচরণ দেখে সন্দেহ হয় তার সিনিয়রদের। তার পরেই মোতিরামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআরপিএফের কর্তারা। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে। গ্রেফতার করা হয় ইউএপিএ আইনে। সিআরপিএফের এক কর্তা জানান, ধৃত জওয়ান সিআরপিএফের আইন এবং প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। গত ২১ মে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে।

    পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করছিল মোতিরাম। এজন্য সে পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের কাছ থেকে টাকাও নিত বলে অভিযোগ। গত দু’বছরে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বহু ক্লাসিফায়েড ইনফর্মেশন সে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। বিশেষ এনআইএ বিচারক চন্দরজিৎ সিং বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ কেবল দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই নয়, বরং বিদেশি পর্যটক ও সাধারণ নাগরিকদের জীবন সম্পর্কেও গভীর আশঙ্কা তৈরি করে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে এই কাজ বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।”

    প্রসঙ্গত, গত (NIA) ২৪ মে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর নানা তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে গুজরাটের কচ্ছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী সহদেব সিং গোহিল নামে একজনকে। গুজরাট এটিএস সূত্রে খবর, এই কাজের জন্য পাক গোয়েন্দাদের কাছ থেকে মোটা টাকাও পেত সে। প্রসঙ্গত, মে মাসে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় (Espionage Racket) তল্লাশি চালিয়ে ১৯ জন পাক চরের হদিশ মিলেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাও (NIA)।

    এদিকে, রাজস্থানের ডিগ শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কাশেম নামে একজনকে। কর্তৃপক্ষের দাবি, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন কাশেম পাকিস্তানে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখে চলেছিল। এই অপারেশনের কিছুদিন আগেই সে পাকিস্তান ঘুরে এসেছিল বলেও অভিযোগ।

LinkedIn
Share