Tag: PM Modi

PM Modi

  • Ayodhya: রামলালার পরে রাজা রাম! যোগীর উপস্থিতিতে অযোধ্যায় ৮ মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    Ayodhya: রামলালার পরে রাজা রাম! যোগীর উপস্থিতিতে অযোধ্যায় ৮ মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন অর্থাৎ ৫ জুন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফের হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা। গর্ভগৃহের পর এবার রাম দরবারে ৮টি মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল (Ayodhya)। এদিনের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    কোন কোন দেবতার মূর্তি বসল (Ayodhya)

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হয় রাম মন্দিরে। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, তিনদিন ধরে হয়েছে এই অনুষ্ঠান। এদিন তিথি মেনে সকাল ১১ টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা। চলে ১১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এরই মধ্যে রাম দরবারে আট দেব-দেবীর মূর্তির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। বৈদিক রীতি মেনে যজ্ঞ, পঞ্চ গব্য ও মন্ত্রোচারণের মাধ্যমে দেবতাদের অভিষেক করা হয়। ২০২৪ সালে গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রামলালা বালক রামের মূর্তি (Ayodhya)। এবার রাম দরবারে পূর্ণবয়স্ক রাজা রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল। শ্রীরামের পাশাপাশি মা সীতা, সূর্য দেবতা, দেবী দুর্গা, হনুমানজী, সপ্ত ঋষি, অন্নপূর্ণা দেবী সহ একাধিক দেব-দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠাও করা হয় এদিন।

    কী বলছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক?

    রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই এনিয়ে বলেন, “মন্দিরের ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে (Ayodhya)। কলসও বসানো হয়ে গিয়েছে। দেবতাদের মূর্তি স্থাপিত হয়েছে মন্দিরে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে যাবতীয় রীতি-নীতি ও আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। আজ প্রাণ প্রতিষ্ঠার শেষ দিন।” সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরে আগের মতোই দর্শন করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। তবে মন্দিরের দ্বিতীয় তলের মন্দির অর্থাৎ রাম দরবারে দর্শন আপাতত বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার পুণ্যার্থী রাম মন্দিরে আসছেন বলে জানান চম্পত রাই।

    গঙ্গা দশেরা উপলক্ষে রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে চলছিল উৎসব, এদিন সম্পন্ন হল

    রাম দরবারে রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার এই উৎসবে গোটা অযোধ্যায় এক আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, গঙ্গা দশেরা উপলক্ষে রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণ বিগত তিন দিন ধরেই চলছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এদিন তা সমাপ্ত হয়। আর এই দিনে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হল রাম দরবারের আটটি মূর্তির। বৈদিক মন্ত্র, শঙ্খধ্বনিতে মেতে ওঠে গোটা অযোধ্যা। ৫ জুন সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ মূল পুজো শুরু হয় বৈদিক রীতি মেনে। সকালেই যজ্ঞ বেদীতে দেবতাদের উদ্দেশ্যে আহুতি প্রদান করা হয় (Ayodhya)। এরপরে সকাল ন’টা নাগাদ অনুষ্ঠিত হয় হোম। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময়ে এক বিশেষ আরতিরও ব্যবস্থা করা হয় এদিন অযোধ্যায়। একেবারে শেষে প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রসাদ গ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সাধু-সন্ত বৈদিক পণ্ডিত, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এছাড়াও দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত হাজির ছিলেন এদিন।

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সাধু-সন্তরা

    উল্লেখযোগ্যভাবে এই দিনই হল আবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিন (Yogi Adityanath)। সেই উপলক্ষে তিনি ভগবান রামের কাছে আশীর্বাদও চান। আবার এই দিনটি হল সরযূ নদীর ত্রয়োদশী জন্মোৎসব। অর্থাৎ এদিনের তিথির আধ্যাত্মিকতার তাৎপর্যকে অনেক বেশি। রাম দরবারে রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যে সমস্ত সাধুসন্তরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অযোধ্যার প্রাচীন গৌরবকে পুনরুদ্ধারের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেন।

    অযোধ্যার উন্নয়ন যজ্ঞ

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) হন যোগী আদিত্যনাথ। বিগত আট বছর তিনি উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। অযোধ্যার উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে তাঁর সরকার। অযোধ্যায় ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাট, রেলপথের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর, সরযূ নদীর তীরের সৌন্দর্যায়ন এবং উন্নত পর্যটন ব্যবস্থা। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা নগরীতে বর্তমানে রাম কথা পার্ক, সরযূ ঘাটের উন্নয়ন বেশ চোখে পড়ে। প্রতিদিন জাঁকজমকপূর্ণভাবে সরযূ মাতার আরতিতে অংশ নেন হাজার হাজার ভক্ত। সারা বিশ্বের হিন্দুদের কাছে আধ্যাত্মিকতার মানচিত্রে অযোধ্যা এক বিশেষ স্থান দখল করেছে।

    এদিন জোরদার ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    প্রসঙ্গত, এদিনের অনুষ্ঠানটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বেশ জোরদার করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অযোধ্যার রাম মন্দির এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক নজরদারি চালানো হয়। সেখানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সন্ত্রাস দমন শাখা, সিআরপিএফ, স্থানীয় পুলিশ মোতায়ন করা ছিল। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, ব্যাপক নজরদারির মাধ্যমে অযোধ্যাকে এদিন দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল।

  • Errol Musk : ‘শিবকে অনুসরণ করলেই বিশ্বে শান্তি আসবে’ ভারতে এসে কী বললেন ইলন মাস্কের বাবা ইরল?

    Errol Musk : ‘শিবকে অনুসরণ করলেই বিশ্বে শান্তি আসবে’ ভারতে এসে কী বললেন ইলন মাস্কের বাবা ইরল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবই শক্তির উৎস, শিবই শান্তির আধার। পুরো বিশ্ব যদি শিবকে অনুসরণ করে তাহলেই শান্তি আসবে। ভারতে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের বাবা ইরল মাস্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন তিনি। আশ্বাস দেন ভারতে হবেই টেসলার (Tesla In India) কারখানা। যদিও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইলন মাস্কের (Elon Musk) ওপরই সব ছেড়েছেন ইরল মাস্ক (Errol Musk)। তিনি জানান, ক্রম উন্নতি হচ্ছে এমন অর্থনীতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত। ভারতের জন্য এটা খুব ভালো সময়।

    শিব-বন্দনা, হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরাগ

    দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী ইরল মাস্ক রবিবার ৫ দিনের ভারত সফরে এসেছেন। দিল্লিতে এসেছেন তিনি। পলিসি নির্মাতা, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, আমলাদের সঙ্গে তাঁর মিটিংয়ের কথা রয়েছে। ৬ জুন তিনি ফের সাউথ আফ্রিকার জন্য রওনা দেবেন। ৭৯ বছর বয়সি ইরল মাস্ক (Errol Musk) রিয়ানার সাফিয়াবাদে সৌর ও ইভি চার্জার তৈরির ইউনিট পরিদর্শন করবেন। অযোধ্যার রামমন্দিরেও যাবেন তিনি। সোমবার, এক অনুষ্ঠানে হিন্দুধর্মও শিবের প্রতি তাঁর ভক্তির কথা জানান ইরল। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের হত্যার নিন্দা করে মাস্ক বলেন, “শিবের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। শিবই শক্তি, শিবই শান্তি। শিবকে অনুসরণ করলেই পৃথিবীতে শান্তি আসবে।”

    প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা

    সোমবার ভারতে টেসলার কারখানা হওয়ার বিষয়ে আশা দেখিয়েছেন ইরল মাস্ক (Errol Musk)। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, কোনও সন্দেহ নেই, ভারতে একটি টেসলার উৎপাদন কারখানা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইলন মাস্ককে এই বিষয়ে বসে আলোচনা করতে হবে। দেখতে হবে, আলোচনা যেন, উভয়ের জন্যই লাভজনক হয়। টেসলাকে দেশে আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতের স্বার্থের দিকে নজর দেবেন। ঠিক তেমনই ইলনকে একটি কোম্পানি হিসেবে টেসলার স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। সুতরাং, তাদের এমন কিছু ঠিক করতে হবে, যা টেসলার পাশাপাশি ভারতের জন্যও ভালো হয়। মাস্ক আরও বলেছেন, “আমার কোনও সন্দেহ নেই যে ভারতে একটি টেসলার উৎপাদন কারখানা থাকবে। ভারতে একটি টেসলা প্ল্যান্ট থাকা উচিত। ভারত বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান।” প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে মুগ্ধ ইরল বলেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। যে কোনও বিষয়ে তাঁর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেশকে সঠিক দিশা দেখায়। তাঁর বুদ্ধি ও দক্ষতা ভারতকে বিশ্বগুরু-র আসনে নিয়ে যাবে।”

  • PM Modi: ছ’বছরে এই প্রথম! কানাডায় জি৭ সম্মেলনে যোগ দেবে না ভারত, নেপথ্যে কোন কারণ?

    PM Modi: ছ’বছরে এই প্রথম! কানাডায় জি৭ সম্মেলনে যোগ দেবে না ভারত, নেপথ্যে কোন কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছ’বছরে এই প্রথম! এবার জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত নাও হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কানাডায়। সেখানেই উপস্থিত নাও হতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কানাডায় আয়োজিত এই জি৭ শীর্ষ সম্মেলন হবে ১৫ থেকে ১৭ জুন। এতে অংশ নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান এবং কানাডা-সহ প্রথম শ্রেণির শিল্পোন্নত দেশগুলি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসংঘও অংশ নেবে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউক্রেন এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিও অংশ নেবে বলে জানিয়েছে। তবে ভারতের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। সরকারি সূত্রের খবর, ভারত এখনও পর্যন্ত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পায়নি। যদি আমন্ত্রণ জানানোও হয়, ভারতের তরফে সেখানে যোগ দেওয়ার কোনও আগ্রহই নেই।

    ভারত-কানাডা সম্পর্ক (PM Modi)

    সূত্রের খবর, ভারতের এই সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লির সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের বর্তমান শীতল পরিস্থিতিরই প্রতিচ্ছবি। এই ধরনের উচ্চ পর্যায়ের সফর হওয়ার আগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হওয়া প্রয়োজন। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডা সফর করেনও, তবে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কানাডায় আয়োজিত জি৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।

    কী বলছেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী

    এদিকে, কানাডার নয়া প্রশাসন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে (PM Modi) দেশের বিদেশমন্ত্রী অঙ্কিতা আনন্দ এক সাক্ষাৎকারে জানান, সদ্য নির্বাচিত মার্ক কার্নি সরকার ভারতের সঙ্গে আরও দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী। তিনি স্বীকার করেন, খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পরিণতিতে দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজ্জর হত্যায় সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ভারতের দিকে। যদিও ওই ঘটনার সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রুডোর পরে কানাডার কুর্সিতে বসেন কার্নি। তার পরেও যে ভারত-কানাডার সম্পর্কের উন্নতি হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর জি৭ সম্মেলনে যোগ না দিতে যাওয়ার ‘সিদ্ধান্ত’ই তার প্রমাণ (PM Modi)।

  • Operation Sindoor: সামরিক দিক ছাড়াও অপারেশন সিঁদুরের রয়েছে ৩ অসামরিক সাফল্য, জানুন বিস্তারিত

    Operation Sindoor: সামরিক দিক ছাড়াও অপারেশন সিঁদুরের রয়েছে ৩ অসামরিক সাফল্য, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে পহেলগাঁওয়ে। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রয়োগ করে ভারত সরকার। ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত যেমন এক নতুন স্থান দখল করেছে একইভাবে অসামরিক ক্ষেত্রেও অত্যন্ত তাৎপর্য রয়েছে এই অভিযানের।

    ঐক্যবদ্ধ ভারত দেখা গিয়েছে মোদি জমানায় (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হামলা এবং তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুর, এই আবহে সারাদেশে এক অভূতপূর্ব ঐক্য এবং সংহতি তৈরি করতে পেরেছে মোদি সরকার। শুধুমাত্র দেশের ভৌগলিক সীমানাতেই নয়, দেশের বাইরেও প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্য দেখা দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা ভারত এক এই বার্তা পৌঁছানো গিয়েছে। জনগণ রাস্তায় নেমেছেন। তাঁরা তেরঙ্গা পতাকা হাতে পদযাত্রা করেছেন। পাকিস্তান ও ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা সোচ্চার হয়েছেন।

    চুপ থাকত কংগ্রেস সরকার, আঘাত হানল মোদি সরকার (Modi Government)

    ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলার পরে কংগ্রেস সরকার যখন চুপ ছিল, তখন ঠিক তার বিপরীতে হাঁটতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও চলে হামলা। এর পরবর্তীকালে পাকিস্তান পাল্টা হামলার প্রচেষ্টা করলে ভারতের উন্নত প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা রুখে দেয়। জানা যায় যে ভারতবর্ষে ২৬টি শহরকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান। যার মধ্যে দিল্লিও ছিল। তারা চিন এবং তুরস্ক সহ আমেরিকার নানা যুদ্ধ সরঞ্জাম যা ব্যবহার করে। কিন্তু প্রতিক্ষেত্রেই তারা ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে ভারতীয় সেনার গর্জন শোনা যায় রাওয়ালপিন্ডি এবং ইসলামাবাদ পর্যন্ত। কোনও রকমের উপায় না দেখে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুদ্ধ বিরোধীর দাবি জানায় পাকিস্তান। সেই মতো ১০ মে তারা ফোন করে ভারতের কাছে। দুই দেশের সেনা পর্যায়ে কথাবার্তা হয়। তারপরে যুদ্ধ বিরোধী হয়। কিন্তু ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। কখনও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়নি।

    অপারেশন সিঁদুরের ৩ অসামরিক সাফল্য

    অপারেশন সিঁদুরের ৩ অসামরিক সাফল্য রয়েছে। প্রথমটি হল মোদি সরকার ক্ষমতা আসার পর বিগত ১১ বছর ধরে দেশের মধ্যে ঐক্য এবং সংহতির ভাবনা জেগেছে। সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পারে, এই আত্মবিশ্বাস ভারতবাসীর মনে জায়গা করতে পেরেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। সমস্ত সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে। তারা সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছেন সরকারের অপারেশন সিঁদুরকে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ভারত সরকার লড়াই চালিয়েছে সেটাকেও তাঁরা কুর্নিশ জানিয়েছেন। যেটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা এবং সত্যি কথা বলতে এই ঘটনা প্রথম মোদি জমানাতেই (Operation Sindoor) দেখা গেল।

    অন্যদিকে দ্বিতীয় সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল অপারেশন সিঁদুরের আবহে বিদেশি এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো, যারা সর্বদাই ভারতের নিন্দা এবং বদনাম করত, তারাই ভারতবর্ষের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়াতে ভারত যে উত্তর দিয়েছে সেটিকেও তারা স্বাগত জানিয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রী, তাদের মুখপাত্র এবং কূটনীতিকরা পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোন জবাবই দিতে পারেনি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া যখন জিজ্ঞেস করে যে কীভাবে তাঁরা বলছেন, ভারতের যুদ্ধবিমান নষ্ট করেছেন? তখন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছে এমনটা। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলও শেহবাজ সরকারের সমালোচনা করেছে।

    অন্যদিকে, তৃতীয় সব থেকে বড় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল ভারত সমগ্র বিশ্বের কাছে বার্তা পৌঁছাতে পেরেছে, এই দেশ এখন বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হিসেবে উঠে আসছে। এই বার্তা তারা দিতে পেরেছে আমেরিকা, চিন, তুরস্ক এবং অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলিকে। ভারতের প্রত্যাঘাতে এখন পাকিস্তান কাঁপছে এবং উন্নত আকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতের কোনও ক্ষতি পাকিস্তান করতে পারেনি। এই বার্তাও পৌঁছেছে বিশ্বের দরবারে। বিগত ১১ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির (Modi Government) দূরদর্শি নেতৃত্বের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এই আবহে পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের বার্তা দিতে সংসদীয় প্রতিনিধি দল বিশ্বের নানা দেশে ভ্রমণ করছে। তাঁরা তুলে ধরছেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য। কেন প্রয়োজন হল অপারেশন সিঁদুর তাও জানাচ্ছেন তাঁরা বিদেশে। একই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে জানাচ্ছেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান ঠিক কী।

  • Digipin: আসছে ডিজিপিন! আধার ও ইউপিআই-এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব

    Digipin: আসছে ডিজিপিন! আধার ও ইউপিআই-এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন এক যুগে প্রবেশ করতে চলেছে ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো। আধার ও ইউপিআই-এর সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার চালু করতে চলেছে দেশের এক অন্যতম বৃহৎ ডিজিটাল গভর্নেন্স উদ্যোগ — ডিজিপিন বা ডিজিটাল পোস্টাল ইন্ডেক্স নম্বর (Digital Postal Index Number)। এটি দেশের প্রতিটি বাড়ি, দোকান, অফিস এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও একটি ইউনিক ডিজিটাল ঠিকানা দেবে। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছে ডাক বিভাগ, আর গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তত্ত্বাবধানে চলছে। লক্ষ্য একটাই — ভারতের অগোছালো ও অপরিকল্পিত ঠিকানা ব্যবস্থাকে একটি সুনির্দিষ্ট, নিরাপদ ও সঠিক ডিজিটাল কাঠামোয় রূপান্তর করা।

    ডিজিপিন কী এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ?

    ডিজিপিন একটি ১০-অক্ষরের আলফানিউমেরিক কোড, যা উপগ্রহ চিত্রভিত্তিক অবস্থানের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো — যেমন বাড়ি, দোকান, সরকারি অফিস ইত্যাদি — চিহ্নিত করবে। এটি প্রচলিত পিনকোডের মতো নয়, যেখানে একটি এলাকা জুড়ে একই পিনকোড ব্যবহৃত হয়। বরং, এটি প্রতিটি স্থাপনার নিজস্ব ডিজিটাল ঠিকানা হিসেবে কাজ করবে। এই প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতও ডিজিটাল ব্যবস্থার মূল স্রোতে আসবে। যেসব এলাকা আগে ঠিকানা না থাকার কারণে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো — যেমন জঙ্গলমহল, পাহাড়ি এলাকা, বা বস্তি অঞ্চল — সেখানেও পৌঁছবে সরকারি পরিষেবা, জরুরি উদ্ধার, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি।

    গোপনীয়তা ও আইনি সুরক্ষা

    ডিজিপিন হবে ব্যক্তি সম্মতিভিত্তিক ব্যবস্থা। কোনো ব্যক্তি তাঁর ডিজিটাল ঠিকানা কেবল তখনই শেয়ার করবেন, যখন তিনি নিজে সম্মতি দেবেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমানে প্রচলিত ঠিকানা ব্যবস্থার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, যেখানে ই-কমার্স ও ডেলিভারি কোম্পানিগুলি নির্বিচারে ঠিকানা সংগ্রহ ও বিক্রি করে থাকে। ডিজিপিন চালুর ফলে এই অনিয়ন্ত্রিত ঠিকানা ব্যবহারের প্রথার উপরে কড়া নিয়ন্ত্রণ আসবে। একইসঙ্গে ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে অপরাধ, দুর্নীতি কিংবা সীমান্তে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা রুখতেও সাহায্য করবে এটি।

    অর্থনৈতিক সাশ্রয়

    সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের বর্তমান অপর্যাপ্ত ঠিকানা ব্যবস্থার কারণে প্রতি বছর ১০–১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় — যা দেশের জিডিপির প্রায় ০.৫ শতাংশ। ডিজিপিন চালুর ফলে পরিষেবা প্রদান, পণ্য ডেলিভারি, সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও জরুরি সেবায় অভূতপূর্ব গতি আসবে। ডাক বিভাগ ইতিমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করছে। এ নিয়ে গঠিত হবে একটি বিশেষ ডিজিটাল অ্যাড্রেস বা ডিপি অথরিটি, যা পুরো ব্যবস্থাপনাও নিয়ন্ত্রণ করবে। এ নিয়ে আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে আইন পেশ করা হতে পারে। যেভাবে আধার ভারতবাসীকে একটি আনুষ্ঠানিক পরিচয় দিয়েছে, এবং ইউপিআই ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করেছে — ঠিক সেইভাবে ডিজিপিন ভারতের প্রতিটি বাড়িকে ডিজিটাল জাতির অংশ করে তুলবে। এই উদ্যোগ কেবল প্রযুক্তি নয়, বরং অধিকার, অন্তর্ভুক্তি ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করার এক সাহসী পদক্ষেপ।

  • PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। শাসকদলের কাউন্সিলর বেছে বেছে লোকেদের বাড়ি আক্রমণ করেছেন। এখানকার সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রতি বার আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এ ভাবে কি কোনও সরকার চলতে পারে?’’ বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জনসভায় এভাবেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর এই প্রথম বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই আলিপুরদুয়ারের সভাস্থলে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই তোলেন মুর্শিদাবাদের হিংসার প্রসঙ্গ।

    তৃণমূলকে আক্রমণ (PM Modi)

    তার পরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতির জন্য এখানকার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এঁরা নিজেদের ভুল মানতেই চাইছেন না। উল্টে আদালতকে আক্রমণ করছেন। তৃণমূল সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি এটা হতে দেবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি করে তৃণমূল শুধু হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়নি, রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “তৃণমূল আদিবাসীদের ভালো চায় না। তাই ২০২২ সালে এনডিএ সরকার যখন একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানোর চেষ্টা করছিল, তখন সবার আগে তার বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল।”

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ

     রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘কেন্দ্রের অনেক বড় বড় প্রকল্প এ রাজ্যে কার্যকর করা হয় না। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এখানে চালু হতে দেওয়া হয়নি। এখানকার লোকেরা বাইরে গেলে ওই প্রকল্পের সুবিধা পান না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বাড়ি পেতে পারতেন। কিন্তু এখানে তা হতে দেওয়া হয়নি। তা করতে দেয়নি এখানকার নির্মম সরকার।’’ তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ নিষ্ঠুর সরকার চায় না। তৃণমূলের শাসন ব্যবস্থায় তাঁদের কোনও বিশ্বাস নেই। বাংলার শাসক দলের স্বার্থপর রাজনীতি সাধারণ মানুষকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”

    অপারেশন সিঁদুর

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী চলে যান অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আপনাদের প্রবল রাগ হয়েছিল। সেই রাগই আমাদের শক্তি জুগিয়েছে। যারা পহেলগাঁওকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কল্পনাই করতে পারেনি পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। তিন বার ঘরে ঢুকে মেরেছি। ফের হামলা হলে শত্রুদের আবার বড় মূল্য চোকাতে হবে (Alipurduar)।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বক্তব্যের আগে ভাষণ দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘটনার মিল রয়েছে। এই সরকারকে আমাদের উৎখাত করতেই হবে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই তা হবে।’’ তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের মতোই এ রাজ্যে অপারেশন তৃণমূল করতে হবে।”

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    সুকান্তর পরে ভাষণ দিতে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে চাই বিজেপির সরকার। নরেন্দ্র মোদির সরকার। আজ দেশের জন্য বাংলাকে বাঁচাতে হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে। এটাই এই সভার সংকল্প হওয়া উচিত। এই বাংলার তিন জনকে পহেলগাঁওয়ে খুন করা হয়েছে ধর্ম দেখে। নরেন্দ্র মোদি তার বদলা নিয়েছেন।’’

    বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়

    এদিন সরকারি প্রকল্পের শিলন্যাস করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়। আর তাই গত দশ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করেছে (Alipurduar)।” তিনি বলেন, “বাংলার উন্নয়ন ভারতের উজ্জ্বল আগামীর ভিত্তি স্থাপন করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলা মেক ইন ইন্ডিয়ার কেন্দ্র হয়ে উঠুক। বাংলার উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি স্টেশনের উন্নয়ন হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর উন্নয়নের কাজ হয়েছে।”

    সিকিম সফর বাতিল…

    এদিন সকালেই রাজ্যে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বাগডোগরা থেকে তাঁর সিকিমে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেই সভা বাতিল হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। পরে চলে যান আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায়। সেখানেই তিনি তাক করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান হাসিমারায় (Alipurduar)। সেখান থেকে তিনি রওনা দেবেন পাটনার উদ্দেশে (PM Modi)।

  • PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Alipurduar)। আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে ন্যাচারাল গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। ১০১৭ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী। ২টি জেলায় ১৯টি সিএনজি স্টেশন তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। এই প্রকল্পের ফলে আড়াই লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন, বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

    আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন

    বাংলার সকলকে নমস্কার জানিয়ে, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদি (PM Modi in Alipurduar) বলেন, “বাংলার বিকাশ ভারতের ভবিষ্যতের ভিত্তি। আজ মজবুত ইট গড়ার দিন। আমরা মঞ্চ থেকে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের সিটি গ্যাসের শুভারম্ভ করলাম। পাইপলাইনের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ মানুষ সুবিধা পাবেন। সিলিণ্ডার কেনার দিন শেষ হয়ে যাবে। সিএনজি ষ্টেশনের ফলে পয়সা খরচ কম হবে। সময় বাঁচবে। পরিবেশ বাঁচবে। ২০১৪ সালের আগে ৬৬ জেলায় সিটি গ্যাসের সুবিধা ছিল। এখন তা বেড়ে ৫৫০ জেলায় এই নেটওয়ার্ক গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গতি এসেছে। ২০১৬ থেকে এই যোজনা চালু হয়েছে। মহিলাদের ধোঁয়া থেকে মুক্তি মিলেছে। রান্নাঘরের সম্মান বেড়েছে।”

    বাংলার বিকাশের কাজ চলছে

    একইসঙ্গে, এদিন বাংলার সংস্কারের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Alipurduar)। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে ১৪ কোটির থেকে কম এলপিজি ছিল। এখন ২১ কোটি হয়েছে। আমাদের সরকার কোণায় কোণায় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক মজবুত করেছে। এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে গিয়েছে। ভারত সরকার পাইপলাইন বিছানো থেকে সব কাজ করছে। বাংলা ভারতীয় সংস্কৃতির একটা বড় দিক। বাংলা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। কেন্দ্র সরকার দশ বছরে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করেছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, কলকাতা মেট্রোর উন্নতি করা হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনের উন্নতি করা হচ্ছে। বাংলার বিকাশের কাজ চলছে। এই একটা পাইপ লাইন নয়, প্রগতির একটা দিক বাংলায় বিকশিত হচ্ছে।”

    সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা

    বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাগডোগরায় অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Alipurduar) বিমান। প্রথমে সিকিম যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিন সিকিমের ভারত অন্তর্ভুক্তির ৫০ বছরের পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাহাড়ি রাজ্যটিতে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর৷ কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল হওয়ায় বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ভার্চুয়ালি তিনি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। হিমালয়ের কোলের এই রাজ্যটি জাতির গর্ব বলেও উল্লেখ করেন মোদি।

  • Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর কথায় মোদি সরকারের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে। এর পরেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে কোন্দল। শশীকে ‘বিজেপির সুপার মুখপাত্র’ বলে দেগে দিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল (Operation Sindoor)।

    বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি দল (Shashi Tharoor)

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে এবং অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন দেশে সাতটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। তারই একটিতে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী। বর্তমানে পানামা সিটিতে রয়েছেন শশী ও তাঁর প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা যায় মোদি সরকারের গুণগান। তিনি বলেন, “চার দশক ধরে একের পর এক হামলা সয়েছি আমরা। শোক, যন্ত্রণা, আঘাত, ক্ষয়ক্ষতি আর সহ্য করা যাচ্ছে না। কাঁহাতক আর আন্তর্জাতিক মহলের কাছে দরবার করা যায়, কাঁহাতকই বা সাহায্য চাওয়া যায়!” ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “সব প্রমাণ ছিল আমাদের কাছে। এক জঙ্গিকে আমরা জীবিতও ধরে ফেলি। আজমল কাসভকে ধরতে গিয়ে আত্মবলি দেন এক পুলিশকর্মী। ওর পরিচয়, বাড়ি, ঠিকানা, পাকিস্তানের গ্রামের নাম পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছিল। পাকিস্তান থেকে হ্যান্ডলার প্রতি মিনিটে যে নির্দেশ দিচ্ছিল, তার রেকর্ডিং ছিল (Operation Sindoor) পশ্চিমি সংস্থাগুলির কাছেও।” তিনি বলেন, “কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হল? একজনকেও কি দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া গিয়েছে? পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত জোগানোর রাস্তাই বেছে নিয়েছে।”

    শশীর গলায় মোদি-স্তুতি

    শশী বলেন, “সম্প্রতি পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। জঙ্গিরা বুঝতে পেরেছে, তাদের মূল্য চোকাতে হবে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরি হামলার পর প্রথমবার পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত, যা আগে কখনও করিনি আমরা। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বালাকোটে জঙ্গিদের আঘাত করি। আর এবার একেবারে পাকিস্তানের বুকে আঘাত হেনেছি। ন’জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির, জঙ্গিদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিয়েছি।” কংগ্রেসের এই সাংসদ বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। অপারেশন (Shashi Tharoor) সিঁদুর চালাতেই হত। ২৬ জন মহিলার কপালের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল, তাঁদের স্বামীদের ছিনিয়ে নিয়েছিল জঙ্গিরা। আমরা ওঁদের কান্না শুনেছি। আর তাই আমাদের মেয়েদের মাথার সিঁদুরের (Operation Sindoor) লাল রংয়ের সঙ্গে হত্যাকারী, হামলাকারীদের রক্তের লাল রং মিলিয়ে দেওয়ার সঙ্কল্প নিই (Shashi Tharoor)।”

  • PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে ফের একবার দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে এমনটা আমাদের করতেই হবে।’’ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন গুজরাটের গান্ধীনগরে। সেখানে একটি সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরে। এখন সময় এসেছে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করার।’’ প্রতিটি নাগরিককে জাতির উন্নয়নে অংশীদার হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে চাই এবং আমাদের অর্থনীতিকে বিশ্বের চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে বিদেশি পণ্যের ওপর আমরা নির্ভর করব না।’’ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘এভাবেই গ্রামের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে হবে যে তাঁরা যেন বিদেশি পণ্য বিক্রি না করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের গণেশ মূর্তিও বিদেশ থেকে আসে। হোলির রং-ও আমাদের বাইরে থেকে আসে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনারা তালিকা তৈরি করুন। নিজেদের বাড়িতে যান এবং ২৪ ঘণ্টায় আপনি কতগুলি বিদেশি পণ্য ব্যবহার করেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন যে চুলের কাঁটা থেকে চিরুনি সবটাই বিদেশে তৈরি।’’

    এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য (Indian Made Goods)

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি ভারতকে আত্মনির্ভরভাবে গড়ে তুলতে চাই, ভারতকে উন্নত করতে চাই, তাহলে এটা কেবল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব নয়। এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘ওয়ান ডিসট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট, ভোকাল ফর লোকাল-এই সরকারি কর্মসূচিগুলো দেশীয় পণ্যের ব্যবহারকেও বৃদ্ধি করবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, মেড ইন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ডের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গর্ব হওয়া উচিত।’’

  • Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর ২০১৯ ও ২০২৪ সালেও তিনিই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। সোমবার হল মোদি সরকারের (Modi Govt) ১১ বর্ষ পূর্তি। এদিনই মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, সুসংহত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে গত ১১ বছরে মোদি সরকার একগুচ্ছ সাহসী ও সুদূরপ্রসারী সংস্কারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতি পরিবর্তন করেছে। বিজেপির তরফে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারতের উন্নয়নের পথে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।

    ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। সরকারের এই কর্মসূচি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ, স্বদেশি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্পক্ষেত্রে নয়া গতি এনেছে। এটি বিধিনিষেধ সহজতর করেছে, উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিয়েছে এবং ভারতকে বিশ্বের দ্বিতীয় সব চেয়ে আকর্ষণীয় উৎপাদন গন্তব্যে পরিণত করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’য় রূপান্তর আত্মনির্ভরতা ও বৈশ্বিক শিল্পক্ষেত্রে ভারতের আস্থা বৃদ্ধির প্রতীক।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Modi Govt)

    ২০১৫ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলিকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেয়।২০২৫ সালের শুরু পর্যন্ত এই যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৩২.৪ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিলি করা হয়েছে। সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারী, এবং প্রায় অর্ধেক ঋণ দেওয়া হয়েছে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির লোকজনকে। সর্বোচ্চ ঋণ বিলি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে (BJP)।

    বিমুদ্রাকরণ

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর কালো টাকা সাদা করতে, জাল নোটের রমরমা ঠেকাতে, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে (Modi Govt) এবং ডিজিটাল লেনদেনে দেশবাসীকে উৎসাহিত করতে ভারত সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। এর ফলে আয়কর রিটার্ন দাখিল বেড়েছে ২৪.৭ শতাংশ এবং অগ্রিম কর সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে ৪১.৮ শতাংশ। ‘অপারেশন ক্লিন মানি’র মাধ্যমে ১৮ লাখ সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যার ফলে ১৭,৫২৬ কোটি টাকার অবৈধ আয়ের সন্ধান মিলেছে। সরকারের এই পদক্ষেপে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

    জিএসটি

    ২০১৭ সালের ১ জুলাই চালু হওয়া জিএসটি বিভিন্ন পরোক্ষ করের পরিবর্তে একটি একক কর ব্যবস্থা চালু করে। এটি করের বাধা দূর করেছে, ইনপুট ক্রেডিটের সুবিধা এনেছে এবং আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যকে উন্নত করেছে। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে দেশে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ পৌঁছেছে ২০.১৮ লাখ কোটি টাকায়, যা তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১১.৭ শতাংশ বেশি। এই সংস্কার কর দেওয়া সহজ করেছে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছে এবং অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করেছে।

    ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং ইউপিআই

    বিএইচআইএম, আধার এবং ইউপিআইয়ের মতো উদ্যোগগুলি ভারতের পেমেন্ট ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ইউপিআই মাসে ১৭৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন করেছে, যার আর্থিক মূল্য ২২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে। ২০১৯ সালে ডিজিটাল পেমেন্টে ইউপিআইয়ের অংশ ছিল ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশে। মোদি সরকারের এই ব্যবস্থা ডিজিটাল ফিনান্সে ভারতকে বিশ্বনেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে (BJP)।

    আয়ুষ্মান ভারত

    ২০১৮ সালে শুরু (Modi Govt) হওয়া আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (PM-JAY) প্রতি পরিবারে সেকেন্ডারি ও তৃতীয় স্তরের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কভারেজ প্রদান করে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩৬.৯ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। যার ফলে প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এখন ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিক এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সরাও অন্তর্ভুক্ত।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়ে যায় এবং এটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত হয়। এই অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ায় সমান নাগরিকত্বের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে এবং জাতীয় ঐক্য মজবুত হয়েছে।

    উরি, বালাকোট, অপারেশন সিঁদুর ও ব্ল্যাক ফরেস্ট  

    ২০১৬ সালে উরির হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার প্রতিক্রিয়ায় বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালায় মোদি সরকার। ২০২৫ সালে হয় অপারেশন সিঁদুর। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানে দেশীয় সামরিক সক্ষমতা ও মহিলা অফিসারদের নেতৃত্বের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়, যা আদতে আত্মনির্ভরতা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হয় অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট (BJP)। ২১ দিন ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের ১০,০০০-এর বেশি কর্মী অংশ নেন ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টালু পাহাড়ে মাওবাদী ঘাঁটি ও তাদের নেতৃত্ব কাঠামো ধ্বংস করতে। অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিকেশ হয়, যাদের মধ্যে ছিল সিপিআই (মাওবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও (বাসবরাজু)-এর মতো শীর্ষ নেতাও (Modi Govt)।

    আত্মনির্ভর ভারত

    কোভিড অতিমারী-উত্তর পর্বে শুরু হওয়া আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের লক্ষ্য হল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং বিশেষ করে এমএসএমইদের জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো। মোদি সরকারের এই উদ্যোগ ব্যাপক সাফল্য পায়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিরক্ষা রফতানি ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষে ৬৮৬ কোটি টাকা থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ২১,০৮৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০ গুণ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানি ৪,৩১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮,৩১৯ কোটি টাকায়।

    অগ্নিপথ স্কিম

    ২০২২ সালের জুনে চালু হওয়া অগ্নিপথ স্কিম অনুযায়ী ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের চার বছরের জন্য ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়, যাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে রাখা হয়। এই স্কিমটি শৃঙ্খলা গড়ে তোলে এবং বার্ষিক ৪.৭৬ লক্ষ টাকা বেতন, ১১.৭১ লক্ষ টাকা ‘সেবা নিধি’ এক্সিট প্যাকেজ এবং ৪৮ লক্ষ টাকার জীবন বীমা দেয়। প্রতিরক্ষা সেবার বাইরেও এটি যুবকদের ভবিষ্যতের (BJP) কেরিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জনেও সহায়তা করে। অপারেশন সিঁদুরে এই অগ্নিবীরদের অনেকেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন (Modi Govt)।

    সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

    কিছু যুগান্তকারী প্রকল্পের মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। ২০২৪ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বহু প্রতীক্ষিত একটি সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে। কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রকল্প বারাণসীর মন্দির চত্বরে এক নতুন রূপ এনে দিয়েছে, আর মহাকাল লোক করিডর উজ্জয়নের মহাকালেশ্বর মন্দিরকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এই সমস্ত উদ্যোগই ঐতিহ্য ও আধুনিক পরিকাঠামোর এক অসাধারণ সমন্বয়, যা ধর্মীয় পর্যটন ও সভ্যতাগত গর্বকে উৎসাহিত করছে। এই যুগান্তকারী কীর্তিগুলির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এবং বৈদেশিক নীতিতেও নিজস্ব ছাপ রেখেছে। এমনই একটি সাফল্য হল ভারতে (BJP) সফলভাবে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন। এছাড়াও, নানা সময় বিভিন্ন দেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত মানবিক সাহায্য দিয়েছে। যার ফলে ভারত অর্জন করেছে বিশ্বনেতার সম্মান (Modi Govt)।

LinkedIn
Share