Tag: PM Modi

PM Modi

  • Vice-Presidential Election: ধনখড়ের উত্তরসূরী কে? নতুন উপরাষ্ট্রপতির নাম ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি

    Vice-Presidential Election: ধনখড়ের উত্তরসূরী কে? নতুন উপরাষ্ট্রপতির নাম ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরী (Vice-Presidential Election) ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি সংসদীয় বোর্ড (BJP Parliamentary Board Meeting)। সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকেই দলের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে। জানা যাচ্ছে, এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীরা উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মনোনয়নে অংশ নেবেন। দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। এমতাবস্থায় উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি সংসদীয় বোর্ড।

    কবে, কীভাবে হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন

    এনডি-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ২১ অগাস্ট মনোনয়ন জমা দেবেন। উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশন গত ৭ অগাস্ট নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত এবং নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে ১৭-তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি ইলেক্টোরাল কলেজ দ্বারা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

    জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ

    উল্লেখ্য, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন সভার কাজ করার পর জগদীপ ধনখড়ের আশ্চর্যজনক পদত্যাগের পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে লেখা চিঠিতে ধনখড় স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার কথা উল্লেখ করেছেন।

    বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে অন্য বিষয়

    নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি কৌশলগতভাবে তার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)-এর শরিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছে, যাতে ভোটের সর্বাধিক সমর্থন নিশ্চিত করা যায়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বিজেপি তার দুই কক্ষের সাংসদদের দিল্লিতে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এই কর্মশালা চলবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর উদ্বোধন করবেন বিজেপি জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেই নিয়েও সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সেশনে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এবং অভিজ্ঞ সংসদ সদস্যরা, যাঁরা সাংসদদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দিকনির্দেশ দেবেন। কর্মশালায় পূর্ণ সময় উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক এবং সাংসদদের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে রাজধানীতে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান আবশ্যিক

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের দিন সর্বাধিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এনডিএ শরিক দলের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাংসদদের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটির বৈঠক সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কর্মশালার অংশ হিসেবে থাকবে একটি ‘মক ভোটিং’ বা অনুশীলনী ভোটাভ্যাস, যেখানে প্রথমবার নির্বাচিত এবং তরুণ সাংসদদের ভোটদানের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত করানো হবে। কৌশলগতভাবে, এনডিএ-র পরিকল্পনা হল সাংসদদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে সেই দলে শরিক দলের নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া, যাতে ৯ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে সাংসদদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।

    একমত হওয়ার চেষ্টা

    সরকারের পরিকল্পনার আরও একটি দিক হল—সেইসব দলগুলিকে কাছে টানা যারা অতীতে নিরপেক্ষ বা নমনীয় অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজেডি, যারা প্রার্থীর প্রোফাইল দেখে অতীতে এনডিএ-র প্রার্থীদের সমর্থন করেছে। এখনও পর্যন্ত এনডিএ বা বিরোধী পক্ষ কেউই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভায় সদন নেতা জে পি নাড্ডা এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু – এই শীর্ষ মন্ত্রীরা বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন একটি ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে। তবে বিরোধী পক্ষের ঐক্যবদ্ধ মনোভাবের প্রেক্ষিতে এনডিএ-র সঙ্গে কোনও সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত। বিরোধী দলগুলিও নিজস্ব প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী।

    জয় নিশ্চিত

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ বিজেপি। জগদীপ ধনখড়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে ভোটের আগে আগামী সপ্তাহে এনডিএ সাংসদদের ওই মেগা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ এনডিএ শিবিরের সব শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন। সেখানেই প্রার্থীর নাম জানানোর কথা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে ইতিমধ্যেই দু-দুবার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেছে এনডিএ। গত বৈঠকেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে শরিক নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী জানান, সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রার্থী বাছাই করা হবে। এদিন শরিক নেতৃত্ব সেই প্রধানমন্ত্রী ও নাড্ডার ওপর প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, এনডিএ-র সকল শরিক একমত হয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী ও জেপি নাড্ডার উপর ছেড়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সবার মত নিয়েই প্রার্থী নির্বাচন হবে।

     

     

     

     

  • Viksit Bharat Rozgar Yojana: বিকশিত ভারত রোজগার যোজনায় যুবকরা পাবেন ১৫ হাজার টাকা, কীভাবে করবেন আবেদন?

    Viksit Bharat Rozgar Yojana: বিকশিত ভারত রোজগার যোজনায় যুবকরা পাবেন ১৫ হাজার টাকা, কীভাবে করবেন আবেদন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) কৃষক, পশুপালক, মহিলা এবং অন্যান্য শ্রেণির কল্যাণে একাধিক ঘোষণা করেন। যুবসমাজের উন্নতির লক্ষ্যে তিনি ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প চালুর কথা জানান। সদ্য চালু হওয়া “প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা”-র আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমবার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করা যুবকদের জন্য ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে (Viksit Bharat Rozgar Yojana)।

    প্রায় সাড়ে তিন কোটি যুবকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত

    এই প্রকল্পের অধীনে, যেসব সংস্থা অধিকসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে, তাদেরকেও সরকার অনুদান দেবে (Viksit Bharat Rozgar Yojana)। পাশাপাশি, সদ্য স্নাতক হওয়া যুবকদের যেসব কোম্পানি নিয়োগ করবে, সেসব কোম্পানি প্রতি কর্মীর জন্য ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবে। মনে করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন কোটি যুবকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। এই প্রকল্পটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট-এর অংশ হিসেবে ঘোষিত হয় এবং ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।

    বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা (Viksit Bharat Rozgar Yojana)

    প্রথমে এর নাম ছিল Employment Linked Incentive, যা পরবর্তীতে বদলে রাখা হয় বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা। এই প্রকল্পের মেয়াদ ৩১ জুলাই ২০২৭ পর্যন্ত এবং এর জন্য মোট ৯৯,৪৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    দুই কিস্তিতে মিলবে টাকা

    এই আর্থিক সহায়তা দুই কিস্তিতে সংশ্লিষ্ট যুবকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। পাশাপাশি, সরকার এমন কোম্পানি ও ব্যবসাগুলোকেও ভর্তুকি দেবে, যারা সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। প্রত্যেক যুবক, যারা প্রথমবার চাকরি পাচ্ছেন, তাঁরা মোট ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন। এই অর্থ দুই ভাগে দেওয়া হবে—প্রথম কিস্তি মিলবে নিয়োগের ছয় মাস পর এবং দ্বিতীয় কিস্তি একটানা ১২ মাস চাকরিতে থাকার পর। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে অবশ্যই নিজের UAN (Universal Account Number) তৈরি করে তা সক্রিয় করতে হবে এবং ফেস অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

    এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য (Viksit Bharat Rozgar Yojana)

    ১. দেশের যুবসমাজকে কর্মসংস্থানের সাথে সংযুক্ত করা:

    এই যোজনার অন্যতম মূল উদ্দেশ্য হল দেশের বিশাল যুব জনসংখ্যাকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূলস্রোতে নিয়ে আসা। যারা সদ্য পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে চায়, তাদের জন্য এই প্রকল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। প্রথমবার চাকরিতে প্রবেশ করা তরুণ-তরুণীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পথ তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে তারা কর্মজীবনের শুরুতেই সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে এবং দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।

    ২. ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগ, উৎপাদন, পরিষেবা ও প্রযুক্তি খাতকে উৎসাহিত করা:

    এই প্রকল্পটি কেবলমাত্র চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নয়, বরং নিয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা। বিশেষত যেসব সংস্থা অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম, যেমন—MSME (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প), উৎপাদন খাত, পরিষেবা শিল্প এবং তরুণ প্রযুক্তি-নির্ভর উদ্যোগ (startups)—তাদের আর্থিক ভর্তুকি এবং প্রণোদনার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

    এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, তেমনি দেশে উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হবে। প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন ও স্টার্টআপ সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে সরকার এদের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে।

    এই প্রকল্পের সুবিধা কে পাবেন?

    প্রথমবারের মতো EPFO-তে নাম নথিভুক্ত হয়েছে এমন তরুণ-তরুণীরা।

    যাদের মোট মাসিক বেতন ১ লক্ষ টাকা বা তার কম।

    কর্মচারীকে একটানা অন্তত ৬ মাস একই সংস্থায় কাজ করতে হবে।

    আর্থিক সহায়তা কত? (PM Modi)

    এই প্রকল্পের অধীনে কর্মচারীদের বেতনের ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। মাসিক বেতন যদি ১০,০০০ টাকার মধ্যে হয়, তাহলে ওই কর্মচারী ১,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পাবেন। যাঁরা মাসে ১০,০০১ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে বেতন পান, তাঁদের জন্য সহায়তার পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে ২,০০০ টাকা। আর যাঁদের মাসিক বেতন ২০,০০১ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে, তাঁরা ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা লাভ করবেন। এই আর্থিক অনুদান সরাসরি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হবে, এবং এতে যেমন কর্মীদের সুরক্ষা বাড়বে, তেমনি নিয়োগকর্তারা নতুন কর্মী নিয়োগে আরও উৎসাহিত হবেন।

  • Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর এবার দেশের মাটিতে ফিরতে চলেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla)। দীর্ঘ রিহ্যাবিলিটেশন পর্ব শেষ করে রবিবার তিনি ভারতের (India) মাটিতে পা রাখতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অক্টোবরে হতে চলা গগনযান মিশনের প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। বিমানে বসে ছবিও পোস্ট করেছেন শুভাংশু। লিখেছেন, “ভারতে ফেরার জন্য এবং সকলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য তিনি আর অপেক্ষা করতে পারছেন না।” প্রসঙ্গত, শুভাংশু শুক্লার বাড়ি লখনউতে। সেখানেই থাকে তাঁর পরিবার। রবিবার তিনি সেখানে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

    কী লিখলেন শুভাংশু (Subhangshu Shukla)

    নিজের পোস্টে শুভাংশু লেখেন, “ভারতে (India) ফেরার বিমানে বসে আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। মিশনের জন্য বিগত এক বছর ধরে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, যারা আমার পরিবার, বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের ছেড়ে আসতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আবার আমার বন্ধু, পরিবার ও দেশের সকলের সঙ্গে দেখা করতেও উৎসাহিত। এটাই হয়তো জীবন। গুডবাই বড় কঠিন, কিন্তু আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে হবে।” শেষে তিনি শাহরুখ খানের গানের দুটি পঙক্তিও লেখেন, “ইউ হি চলা চল রাহি, জীবন গাড়ি হ্যায় সময় পাহিয়া।”

    গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি

    গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla) অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অন্তর্গত একটি অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। সেখানে ১৮ দিন কাটিয়ে গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। মহাকাশ থেকে ফিরে শরীরকে আবার পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এতদিন তিনি রিহ্যাবে ছিলেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার তিনি ভারতে আসবেন এবং সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানা গিয়েছে (Subhangshu Shukla)।

  • Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ অগাস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস (Atal Bihari Vajpayee)। এই দিনেই তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিল্লিতে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং এ নিয়ে তিনি এক্স-এ একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “সমগ্র দেশবাসীর তরফ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীজিকে (Atal Bihari Vajpayee) তাঁর পুণ্যতিথিতে নমস্কার জানাচ্ছি। দেশের সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য তাঁর সমর্পণ, সেবাভাব ও বিকশিত এবং আত্মনির্ভর ভারতের নির্মাণে তাঁর অবদান আজও সকলকে প্রেরণা জোগায়।”

    শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং অন্যান্য সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও ‘সদৈব অটল’ — যা কিনা অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) সমাধিস্থল — সেখানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তাঁর বাগ্মিতা, রাষ্ট্রদৃষ্টিভঙ্গি, দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্য আজও তিনি দেশবাসীর হৃদয়ে অটল।

    প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে

    তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে, যদিও সে দায়িত্ব ছিল স্বল্পকালীন। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলেই ১৯৯৮ সালে পোখরানে ভারত সফলভাবে পরমাণু পরীক্ষা করে। তিনিই ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি ভারতবর্ষকে সড়কপথে যুক্ত করার লক্ষ্যে ‘সোনালী চতুর্ভুজ’ প্রকল্প চালু করেন। দেশের প্রতি তাঁর এই অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে ২০১৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’-এ ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সালের ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) প্রয়াত হন।

  • Trump-Putin Meet: সমাধান মিলল না ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মোদিকে অনুরোধ জেলনস্কির

    Trump-Putin Meet: সমাধান মিলল না ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মোদিকে অনুরোধ জেলনস্কির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পদক্ষেপ করুক ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এমনই অনুরোধ জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে আলাস্কায় ইউক্রেনের অুনপস্থিতিতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের সমালোচনাও করলেন তিনি। অন্যদিকে, টানা তিন ঘণ্টা পর আলাস্কায় শেষ হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Trump-Putin Meet) বৈঠক। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেল না।  যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৈঠককে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন। ফের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বৈঠকে একমত হওয়ার চেষ্টা

    আলাস্কায় বৈঠকের পরে ট্রাম্প অবশ‍্য জানিয়েছেন, ‘ভাল অগ্রগতি’ হয়েছে। শান্তিচুক্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে হবে ইউক্রেন ও ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “বহু বিষয়েই আমরা একমত হয়েছি। তবে সবচেয়ে বেশি যে দুই বিষয়ে আমরা নজর রেখেছিলাম, তার সমাধান মেলেনি। কিন্তু কিছুটা এগনো গিয়েছে। বলা যায়, ততক্ষণ চুক্তি হবে না, যতক্ষণ আমরা ঐক্যমত্যে পৌঁছাই। তবে কয়েকটা বিষয় বাকি আছে। তার মধ্যে কিছু অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ নয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটাই। আর তার সমাধান হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেটা এখনও করতে পারিনি। আমরা আশাবাদী সেই সমাধানেও আমরা খুব দ্রুত পৌঁছোতে পারব।”

    সংঘাত শুরুর বিষয়গুলিকেই আগে দূরে সরাতে হবে

    আর বৈঠকের পর পুতিনের বক্তব্য, “যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সংঘাত শুরুর বিষয়গুলিকেই আগে দূরে সরাতে হবে।” সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, “আমেরিকা ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে।” যুদ্ধবিরতির জন্য ‘উদ্যোগী’ ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পুতিন। ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ‘শর্ত’ হিসাবে ‘ভূমি বিনিময়’ (ল্যান্ড সোয়াপিং)-এর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল মস্কো। পুতিনের বক্তব্য, শান্তিপ্রক্রিয়ায় ইউক্রেনবাসী বা রাশিয়াবাসী কেউই বাধা সৃষ্টি করবে না। শুক্রবারের বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে দাবি করেছেন তিনি। আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা হয়েছে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসঙ্গেও।

    সমাধানে পৌঁছোতে অন্তত আরও একটি বৈঠক

    শুক্রবারের বৈঠকের পরে শান্তি নিয়ে স্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে পৌঁছোতে অন্তত আরও একটি বৈঠক করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দু’জনে।  এই বৈঠকের আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, একটি বৈঠকে স্থায়ী বা চূড়ান্ত সমাধান হবে না। দ্বিতীয় বৈঠক হবে। এবং সেটিই হবে ‘আসল গুরুত্বপূর্ণ’। ট্রাম্পের উদ্দেশে পুতিনের বার্তা, দ্বিতীয় সেই সাক্ষাৎ হতে পারে মস্কোয়।  ট্রাম্প হাসিমুখে উত্তর দেন, “মজার প্রস্তাব,” যদিও স্বীকার করেন যে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন। তবে তিনি দরজা খোলা রেখেছেন, বলেছেন,“যদি সেটা সম্ভব হয়।”

    বৈঠকে না থাকতে পারায় হতাশ ইউক্রেন

    তবে, আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা, পুতিনকে দেখে ট্রাম্পের হাততালি দেওয়া বা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এক গাড়িতে যাওয়া, রেড কার্পেটে স্বাগত জানানো দেখে ইউক্রেনবাসীদের মধ্যে খানিক হতাশা দেখা গিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে আলাস্কার এই বৈঠকে আমন্ত্রিতই ছিলেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যথেষ্ট আপত্তি তুলেছে। বিবদমান দু’দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধবিরতি নিয়েই আলোচনা, তখন একপক্ষকে অন্ধকারে রেখে কীসের সিদ্ধান্ত হবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে ভারতকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন। জেলেনস্কি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্ভব সব ধরনের অবদান রাখতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের উচিত আমাদের শান্তি প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়া এবং আমাদের অবস্থান ভাগ করে নেওয়া… ইউক্রেনকে ঘিরে যে কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নেওয়া উচিত। আলাস্কার ওই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যেন ইউক্রেনের উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়।”

    ভারতকে অনুরোধ জেলনস্কির

    ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। ভারতকে শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। জেলেনস্কি বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত এই যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করবে, যাতে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সত্যিকার অর্থেই সুরক্ষিত হয়।” তিনি এটিকে “স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য লড়াই” বলে অভিহিত করেন। চলমান প্রায় চার বছরব্যাপী যুদ্ধে ভারত মস্কো ও কিয়েভ—উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে। যার ফলে ভারত একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে, বলে মনে করে কূটনৈতিক মহল। বিশ্বমঞ্চে ভারতের বাড়তে থাকা অবস্থান ও রাশিয়া এবং পশ্চিম বিশ্বের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভারতকে একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান একইসঙ্গে প্রতীকী ও কৌশলগত। একটি সার্বভৌম এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য ভারতকে “নৈতিক অংশীদার” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।

  • Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে (Pakistan) সতর্ক করে বলেন যে ভারত আর পারমাণবিক হুমকির কাছে নতি স্বীকার করবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আর কোনওভাবেই পরমাণু হুমকি সহ্য করবে না। আমরা কোনও ধরনের ব্ল্যাকমেলের ফাঁদে পা দেব না।” শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তানকে সতর্ক করে তিনি জানান, ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রক্ত ও জল একই সঙ্গে প্রবাহিত হবে না।

    রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না (Pakistan)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না। মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে সিন্ধু জল চুক্তি অন্যায্য। সিন্ধু নদী ব্যবস্থা থেকে প্রবাহিত জল শত্রুর জমি সেচের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ আমাদের দেশের কৃষকরা ভুগছেন। কেমন ধরনের চুক্তি এটি, যা গত সাত দশক ধরে আমাদের কৃষকদের এত বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে?” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছিলেন। এদিন লালকেল্লার অনুষ্ঠান থেকে তাকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে ব্ল্যাক চেক!

    শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বলেন, “দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রাপ্য এক ফোঁটা জলও ভারতকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না।” প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার একদিন পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্থগিত রাখাও অন্তর্ভুক্ত। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত জঙ্গি ও যারা তাদের সমর্থন করে, তাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করবে না এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে ভবিষ্যতে কোনও ধরনের দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড ঘটলে তার শাস্তি কী হবে, তা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীই ঠিক করবে (Pakistan)।”

  • Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে উচ্চমানের ও সাশ্রয়ী পণ্যের ওপর জোর দিতে হবে “দাম কম, দম (গুণমান) বেশি” মন্ত্র অনুসরণ করে, যাতে একটি সমৃদ্ধশালী,  স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে সম্মান জানায়।”  শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির লালকেল্লায় ভাষণ দিতে (Tariff War) গিয়ে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধু তাই নয়, দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “অন্যদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করতে পারে”। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক নিয়ে দড়ি টানাটানির আবহে তিনি বলেন, “যারা অন্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করে, তারা নিজের স্বাধীনতার ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন ডেকে আনে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Tariff War)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসল দুর্ভাগ্য শুরু হয় তখন, যখন নির্ভরতা অভ্যাসে পরিণত হয়। আর বুঝতেই না পেরে আমরা আত্মনির্ভর হওয়া বন্ধ করে দিই এবং অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে শুরু করি। এই অভ্যাস ঝুঁকিমুক্ত নয়, তাই আত্মনির্ভর থাকতে হলে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতা কেবলমাত্র আমদানি, রফতানি বা মুদ্রা বিনিময়ের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের সক্ষমতার সঙ্গেও যুক্ত। যখন আত্মনির্ভরতা ক্ষয় হতে শুরু করে, তখন আমাদের শক্তিও ক্ষয় হয়। আমাদের সক্ষমতা রক্ষা, বজায় রাখা এবং উন্নত করার জন্য আত্মনির্ভরতা অপরিহার্য।”

    বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতীয়দের করণীয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার এই (Tariff War) সময়ে (PM Modi), বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতকে অন্যদের সীমিত করার বদলে নিজেকে শক্তিশালী করায় মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের উচিত নয় অন্য কারও লাইন ছোট করার চেষ্টা করে নিজের শক্তি নষ্ট করা। বরং আমাদের নিজের লাইনকে সর্বশক্তি দিয়ে দীর্ঘায়িত করতে হবে। বিশ্ব আমাদের শক্তিকেই সম্মান দেবে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে, যেখানে অর্থনৈতিক স্বার্থপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেখানে প্রয়োজন কাঁদতে বসে থাকা নয়, বরং সাহসের সঙ্গে নিজের লাইন দীর্ঘ করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের কাজ করা উচিত এই মন্ত্র (PM Modi) নিয়ে—‘দাম কম, দম বেশি’, অর্থাৎ খরচ কম, গুণমান বেশি। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাধীনতা এসেছে অসীম ত্যাগের মাধ্যমে (Tariff War)।”

  • PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানান, ভারতকে সত্যিকারের আত্মনির্ভরশীল দেশ হতে হলে আগে জ্বালানি স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা জানি, আমাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে অনেক দেশের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে গেলে, সর্বপ্রথম আমাদের জ্বালানি স্বাধীনতা (Energy Independence) অর্জন করতে হবে।” প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির জমানায় আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচি ব্যাপক সফল হয়েছে। দেশের তৈরি জিনিসপত্রের বিদেশে রফতানির পরিমাণ আগের থেকে বেড়েছে অনেক কিছুই। এবার লালকেল্লা থেকে মোদি বললেন জ্বালানি স্বাধীনতার কথা। সেই লক্ষ্যে ঘোষণা করলেন ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশনের।

    ১১ বছরে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

    ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) উল্লেখ করেন, বিগত ১১ বছরে তাঁর শাসনকালে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা নতুন বাঁধ নির্মাণ করছি এবং ভারত এখন পারমাণবিক শক্তির ওপর সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই দিকটিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দশটি নতুন পারমাণবিক চুল্লি চালু হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন আমাদের লক্ষ্য হবে পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা ১০ গুণ বৃদ্ধি করা।

    ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন

    এদিন লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন-এর কথাও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “এই মিশনের মাধ্যমে ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। সমুদ্রের গভীরে খনন ও অনুসন্ধান প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে।” এই মিশন মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের গভীর জলে পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে সরকারি ও বেসরকারি—উভয় ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি অংশ নেবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে ভারত যে পরিমাণ তেল বাইরে থেকে আমদানি করে, সেই নির্ভরতা অনেকটাই কমবে এবং আগামী দশকে দেশের নিজস্ব উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে (PM Modi)।

  • PM Modi: “সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে”, লালকেল্লা থেকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে”, লালকেল্লা থেকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ আমি জাতিকে একটি উদ্বেগ, একটি চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করতে চাই। একটি সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে, এবং একটি নতুন সংকটের বীজ বপন করা হচ্ছে।” শুক্রবার দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের কিছু অঞ্চলে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশনের সূচনা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই অনুপ্রবেশকারীরা আমার দেশের যুবকদের জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে (Indias Demography)। এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের বোন ও কন্যাদের লক্ষ্য করছে – এটি বরদাস্ত করা হবে না। এই অনুপ্রবেশকারীরা নিরীহ আদিবাসী মানুষদের ভুল পথে চালিত করছে এবং তাদের জমি দখল করছে – জাতি এটি মেনে নেবে না।’’

    সামাজিক উত্তেজনার বীজ (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কারণেই প্রিয় দেশবাসী যখন জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ঘটে বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলে, তখন তা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এটি দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং অগ্রগতির জন্য বিপদ ডেকে আনে এবং সামাজিক উত্তেজনার বীজ বপন করে। তিনি বলেন, কোনও দেশ নিজেকে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয় না। পৃথিবীর কোনও দেশ এটি করে না। তাহলে আমরা কেন ভারতের ক্ষেত্রে এটি মেনে নেব?’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের পূর্বপুরুষরা ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন এবং আমাদের একটি স্বাধীন ভারত দিয়েছিলেন। সেই মহান মানুষদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব হল দেশের ভেতরে এমন কার্যকলাপ মেনে না নেওয়া। এটাই হবে তাঁদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাঞ্জলি।’’

    প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা

    তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘লালকেল্লার প্রাচীর থেকে আমি ঘোষণা করতে চাই যে আমরা একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মিশনের মাধ্যমে যে ভয়াবহ সংকট আমরা ভারতের ওপর ঘনিয়ে আসতে দেখছি (Indias Demography), সেটির মোকাবিলা পরিকল্পিত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞভাবে, একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে করা হবে। আমরা সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি (PM Modi)।’’

  • PM Modi: “সরলীকৃত জিএসটি ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য উপহার হতে চলেছে,” লালকেল্লা থেকে বললেন মোদি

    PM Modi: “সরলীকৃত জিএসটি ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য উপহার হতে চলেছে,” লালকেল্লা থেকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সরলীকৃত জিএসটি (GST) ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য এক উপহার হতে চলেছে।” এর ফলে দেশব্যাপী করের বোঝা কমবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল (PM Modi)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন ১১বার। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখান থেকে ভাষণ দিলেন ১২বার। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে বক্তৃতা দিয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটাই তাঁর দীর্ঘতম ভাষণ। গত বছর ৯৮ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। এবছর ১০৫ মিনিট ধরে একাধিক ইস্যুতে বক্তব্য রেখেছেন মোদি। সেখানেই তিনি জানান, জিএসটি ব্যবস্থায় সরলীকরণ আনার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। জিএসটি পরিকাঠামোয় যে বদল আসতে পারে, সেই আভাস মিলেছিল গত জুলাইয়েই। এ বার লালকেল্লা থেকে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টার ভাষণে মোদি ঘোষণা করলেন, দীপাবলিতে জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল আসছে। তিনি বলেন, “এ বারের দীপাবলি আমি আপনাদের জন্য দ্বিগুণ আনন্দের করে দিচ্ছি। এই দীপাবলিতে দেশবাসী একটি বড় উপহার পাবেন। আমরা নয়া প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার আনছি। এর ফলে সারা দেশে করের বোঝা কমবে। দীপাবলির আগে এটিই হবে উপহার।” তিনি জানান, এই সংস্কারগুলির উদ্দেশ্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের বোঝা কমানো, যাতে নাগরিকদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আরও সাশ্রয়ী হয়।

    “ডাবল দীপাবলি” উপহার

    একই সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রের জন্যও উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেওয়া যায়। জিএসটি কার্যকর হওয়ার আট বছরের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এই পরিবর্তনগুলিকে জাতির জন্য “ডাবল দীপাবলি” উপহার হিসেবে বর্ণনা করেন। এক্স হ্যান্ডেলে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এটি একদিকে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি, অন্যদিকে ব্যবসার জন্য প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত করে (PM Modi)।  কর সংস্কারের (GST) পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ‘বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’ নামে যুবশক্তির ক্ষমতায়নে একটি জাতীয় কর্মসংস্থান কর্মসূচি চালু করেন। ১ লাখ কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে এই কর্মসূচি যোগ্য তরুণ উপকারভোগীদের প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দান করবে।

    এর উদ্দেশ্য হল, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সুযোগের বিস্তার এবং দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তির জন্য দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করা। এই ঘোষণাগুলি সরকারের দ্বিমুখী মনোযোগ – অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা স্পষ্ট করে। প্রধানমন্ত্রী জানান, কর ছাড়ের সঙ্গে সরাসরি কর্মসংস্থান সহায়তা যুক্ত করে, এই উদ্যোগগুলোকে একটি সমৃদ্ধ এবং আত্মনির্ভর (GST) ভারতের পথে পরিপূরক পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে (PM Modi)।

LinkedIn
Share