Tag: PM Modi

PM Modi

  • Modi At Red Fort: দেশের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হবে নিরাপদ, লালকেল্লা থেকে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর ঘোষণা মোদির

    Modi At Red Fort: দেশের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হবে নিরাপদ, লালকেল্লা থেকে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতের যে কোনও ধরনের প্রযুক্তি-ভিত্তিক হামলা থেকে দেশের প্রতিটা প্রান্তকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সেই যুগান্তকারী প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এদিন দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (79th Independence Day) উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি (Modi At Red Fort)। সেখানেই তিনি জানান, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটা কোনাকে সুরক্ষিত করতে জাতীয় সুরক্ষা ঢাল তৈরি করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় এই প্রকল্পের নাম ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ (Mission Sudarshan Chakra)। দেশকে সুরক্ষা দেওয়ার, শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত পাশাপাশি শত্রুদের ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই মিশনের। পুরোপুরিভাবে আত্মনির্ভরভাবে তথা দেশীয় প্রযুক্তিতে এই মিশন কাজ করবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর।

    কী এই ‘সুদর্শন চক্র মিশন’?

    নরেন্দ্র মোদি (Modi Independence Day Speech) বলেছেন, “২০৩৫ সালের মধ্যে রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরকে পুরোপুরি একটি নির্দিষ্ট সুরক্ষা কবচের মধ্যে আনা হবে। এর সেক্টরগুলির মধ্যে সামরিক সেক্টর যেমন রয়েছে তেমনই থাকবে হাসপাতাল, রেলও। নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পুরোপুরি সুরক্ষাকবচ দেওয়া হবে এই সব ক্ষেত্রকে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, এটি ভগবান কৃষ্ণের সুদর্শন চক্র দ্বারা অনুপ্রাণিত। এটি হবে একটি অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র ব্যবস্থা, যা শুধু শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধই নয়, প্রয়োজনে তাদের উপর নির্ভুল পাল্টা আঘাত হানতেও সক্ষম হবে। মহাভারতের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “সকলেই জানেন, কীভাবে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সূর্যকে ঢেকে দিনকে অন্ধকার করে দিয়েছিলেন, যাতে অর্জুন তাঁর প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে সক্ষম হন। একইভাবে, ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’ও শত্রুদের প্রতিটি আক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করতে এবং তাদের চেয়ে বহুগুণ বেশি শক্তি দিয়ে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হবে।”

    প্রতিরক্ষায় দেশীয় ঢাল ও বর্ম

    প্রধানমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেছেন যে, এই উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত গবেষণা, উন্নয়ন এবং উৎপাদন ভারতেই করা হবে এবং এটি দেশের যুবকদের হাতেই প্রস্তুত করা হবে। এই ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, যেখানে আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথ— তিন ক্ষেত্রেই শত্রুর যেকোনও আক্রমণ মুহূর্তের মধ্যে শনাক্ত ও প্রতিহত করা সম্ভব হবে। শুধু সামরিক সুরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না এই প্রযুক্তি; বরং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে— যেমন বড় শহর, কৌশলগত শিল্পাঞ্চল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, পারমাণবিক স্থাপনা এবং সীমান্তবর্তী এলাকায়— এটি স্থাপন করা হবে, যাতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।

    দেশীয় ইঞ্জিনের পক্ষে সওয়াল মোদির

    তিনি আরও বলেন, “এই সুরক্ষা নিয়মিত বাড়ানো হবে। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাকে মজবুত, আধুনিক করার জন্য এই সিদ্ধান্ত।” ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ যে প্রযুক্তিগত হামলা ঠেকানোর ঢাল হবে, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদি। এই মিশনের জন্য রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং সবটাই ভারতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে, যুদ্ধবিমানের জন্য মেড ইন ইন্ডিয়া ইঞ্জিনের জন্য জোরালো সওয়াল করেন তিনি। জানান, এটাই সময়ের দাবি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সম্মান পাওয়ার জন্য আত্মনির্ভর থাকা দরকার। অপারেশন সিঁদুরে দেখেছি আত্মনির্ভরতার ক্ষমতা। আত্মনির্ভর না হলে এত বড় সাফল্য আসত না।” প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ায় তেজসের উৎপাদন বিলম্বিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের জন্য ইঞ্জিন সরবরাহ করছে মার্কিন সংস্থা জিই।

  • PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর ভাষণে উঠে আসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর ভূয়সী প্রশংসা (RSS)। তিনি বলেন, “আজ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করতে চাই—১০০ বছর আগে যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল, সেটি হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বিগত ১০০ বছর ধরে এই সংগঠন সেবামূলক কাজ করে চলেছে। এটি ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবময় ও সোনালি অধ্যায়। চরিত্র গঠনের মাধ্যমে জাতি গঠনের সংকল্প নিয়েই পরিচালিত হয় এই সংগঠন।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনিয়ে লালকেল্লায় ১২ বার ভাষণ দিলেন। তিনি নিজেও একজন আরএসএস প্রচারক। ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে ১০০ বছরে পা দিচ্ছে আরএসএস। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক নিজেদের সমর্পণ করেছেন (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, “মাতৃভূমির সেবার লক্ষ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক সম্পূর্ণভাবে নিজেদের সমর্পণ করেছেন। দেশের উন্নতি ও মাতৃভূমির কল্যাণের জন্য তাঁরা আত্মনিবেদিত।” তিনি বলেন, “সেবা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য। এক অর্থে বলা যায়, আরএসএস বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর ইতিহাস নিঃস্বার্থ সেবার এক শতাব্দীর সাক্ষ্য বহন করে।”

    সরকার গঠন করলেই জাতি গঠিত হয় না

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কথায়, “কেবলমাত্র সরকার গঠন করলেই জাতি গড়ে ওঠে না। এর পেছনে থাকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা—ঋষি, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কৃষক, যুবক, সৈনিক, শ্রমিক—সবার অবদানে গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী দেশ। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, উভয়ের অবদানেই নির্মিত হয় জাতির ভিত্তি।”  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “আজ লালকেল্লা থেকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সব নিঃস্বার্থ স্বয়ংসেবকদের, যারা গত এক শতকে দেশের সেবায় নিজেদের নিবেদিত করেছেন। দেশ গর্বিত এই শতবর্ষীয় আরএসএসের যাত্রাপথে এবং তাদের অবদানে।”

  • PM Modi: নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে ফের রাজ্য আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    PM Modi: নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে ফের রাজ্য আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে দুর্গাপুজোর বড় উপহার দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যেমন তেমন কোনও উপহার নয়, ঐতিহাসিক উপহার। নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতেই চলতি মাসেই কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখান থেকেই নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী (New Metro Routes)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য (PM Modi)

    খবরটি সংবাদ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের তরফ থেকে সেই আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ফাঁস করেন সুকান্ত। তিনি একে দুর্গাপুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক ঐতিহাসিক উপহার বলেও উল্লেখ করেছেন। জানা গিয়েছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী যে তিনটি নয়া রুটের মেট্রোর উদ্বোধন করবেন, সেগুলি হল, শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড, বেলেঘাটা-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) এবং নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ (বিমানবন্দর) স্টেশন।

    উদ্বোধন মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও

    তিনটি নয়া মেট্রো রুটের পাশাপাশি আগামী ২২ তারিখে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেল সংক্রান্ত নানা উন্নয়নমূলক কাজের জন্য শুধুমাত্র চলতি বছরের বাজেটেই ১৩ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। এই মুহূর্তে রেল পরিষেবা এবং পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য সব মিলিয়ে ৮৩ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকার কাজ চলছে পশ্চিমবঙ্গে। ১০১টি স্টেশনকে বিশ্বমানের রেলস্টেশন হিসেবে পুনর্নির্মাণ করার কাজ চলছে (PM Modi)। ইতিমধ্যেই ৯টি বন্দে ভারত ও ২টি অমৃত ভারত ট্রেনের যাত্রাও শুরু হয়েছে। এহেন আবহে এবার মেট্রো পরিষেবার পরিসর আরও বাড়ানোর পথে হাঁটল রেল।

    কোন লাইনে কোন কোন স্টেশন

    জানা গিয়েছে, ইয়োলো লাইনে নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রোর সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে (New Metro Routes)। ১৬ অগাস্ট শনিবার এই রুট পরিদর্শনে আসবেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সূচনা হবে মেট্রোর নিত্য যাত্রা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার প্রস্তুতি করতে মেট্রো রেলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। নিউ গড়িয়া বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের (ভায়া রাজারহাট) রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশ দীর্ঘদিন ধরেই তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। সিআরএস অনুমোদনও হয়ে গিয়েছে। তার পরেও চালু হয়নি। এদিন সেই অংশও চালু হবে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মোট মেট্রো স্টেশনের সংখ্যা পাঁচটি। ট্রেন রুবি ছাড়লেই প্রথম স্টেশন ভিআইপি বাজার, তারপর ঋত্বিক ঘটক, তারপর বরুণ সেনগুপ্ত (এটি সায়েন্স সিটি এলাকায়), এর পরেই সটান বেলেঘাটা স্টেশন (PM Modi)।

    নিউ গড়িয়া রুবি রুট

    এদিকে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি রুটের মধ্যেও রয়েছে পাঁচটি স্টেশন। এগুলি হল, কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া), সত্যজিৎ রায় (এসআরএফটিআই সংলগ্ন এলাকা), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (অজয়নগর এলাকা), কবি সুভাষ (কালিকাপুর) এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)। রেল সূত্রে খবর, নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত রুটটি চালু হয়ে গেলে এই লাইনেও যাত্রিসংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে অনেকখানিই। এদিনই সূচনা হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদা অংশের পরিষেবা (New Metro Routes)। এই অংশের পরিষেবা শুরু হলে মেট্রো পথে জুড়ে যাবে সল্টলেক-হাওড়া। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার খবরটি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, কলকাতার মেট্রো পরিষেবায় এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। ২২ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন তিনটি নতুন মেট্রো রুটের। এর মধ্যে রয়েছে গ্রিন লাইন ১ ও ২ এর সংযোগ, যা বহুদিনের দাবি পূরণ করবে (PM Modi)।

    গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো করিডর

    গ্রিন লাইন ১ বর্তমানে শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো করিডর, যা বহু অফিসপাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক কেন্দ্রকে যুক্ত করে। গ্রিন লাইন ২ যুক্ত হলে যাত্রীদের সময় ও খরচ – দুই বাঁচবে। একসঙ্গে জুড়ে যাবে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ১৬.৬ কিমি পূর্ণ করিডরেই যাত্রী চলাচল সম্ভব হবে। সব চেয়ে বেশি উপকৃত হবেন কর্মজীবীরা। কারণ এখন থেকে তাঁরা মাত্র একটি ট্রেনে করেই হাওড়া থেকে শিয়ালদা পৌঁছে যেতে পারবেন (New Metro Routes)। হাওড়া–শিয়ালদার মধ্যে সময় লাগবে মাত্র ১২ মিনিট। ব্যস্ত সময়ে প্রতি ৮ মিনিট অন্তর এবং অন্য সময়ে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লোকসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে চালু হওয়ার পর থেকে কলকাতা মেট্রোর যাত্রাপথ বাড়তে বাড়তে এখন দাঁড়িয়েছে ৬৯ কিলোমিটারে। ১৯৭২ থেকে ২০১৪ এই ৪২ বছরে কলকাতা মেট্রোর ২৮ কিলোমিটার ট্র্যাক তৈরিতে রেলের তরফে বরাদ্দ করা হয় ৫ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। ২০১৪ থেকে ২০২৫ – এই ১১ বছরে কলকাতা মেট্রোর ৪১ কিলোমিটার ট্র্যাক তৈরিতে বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা (PM Modi)।

  • India US Trade Deal: আমেরিকার চাপে নতিস্বীকার নয়! প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশেই দেশের কৃষকরা

    India US Trade Deal: আমেরিকার চাপে নতিস্বীকার নয়! প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশেই দেশের কৃষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির (India US Trade Deal) আবহে কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না ভারত, জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই দৃঢ় অবস্থানের জন্য দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে কৃষক সংগঠনগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন। আন্তর্জাতিক চাপের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমেরিকা। ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির ক্ষেত্রে অন্তরায় মূলত কৃষি এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য নিয়ে দুই দেশের একমত হতে না-পারা।

    জিএম বীজ ব্যবহারের বিরোধিতা

    আমেরিকা সহ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। যারা প্রধানত জিএম (জেনেটিকালি মডিফায়েড) বীজ, যান্ত্রিক চাষ এবং বিশাল জমির উপর নির্ভর করে কৃষিকাজ করে সেই দেশগুলিই এই দাবি জানিয়েছে। এই দেশগুলির দাবি, ভারত যেন তাদের গম, ভুট্টা, চাল ও সয়াবিনের রফতানি সহজ করে। কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ওদের কাছে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ হেক্টর জমি থাকে, ওরা জিএম বীজ ব্যবহার করে এবং উৎপাদন খরচ অনেক কম। আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক ১ থেকে ৩ একর জমির মালিক, অনেকের আবার আধা একরও নেই। এ প্রতিযোগিতা কি ন্যায়সঙ্গত?”

    কৃষকের স্বার্থে আপস নয়

    কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী চৌহান জানান, ভারতে হেক্টর প্রতি উৎপাদন খরচ বিদেশি রফতানিমুখী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বিদেশি কৃষিপণ্য বাজারে ঢুকলে আমাদের কৃষিপণ্যের দাম ধসে পড়বে এবং কৃষকদের জীবিকা চরম সংকটে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সুরেই চৌহান বলেন, “কোনও পরিস্থিতিতেই কৃষকের স্বার্থে আপস করা হবে না।” আগেই কৃষকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলে মোদি আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের স্বার্থ আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। ভারত কখনও কৃষক, গোপালক, মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমি জানি, ব্যক্তিগত ভাবে এর জন্য আমাকে চড়া মূল্য চোকাতে হবে। কিন্তু আমি তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। কৃষক, পশুপালক, মৎস্যজীবীদের স্বার্থরক্ষায় ভারত প্রস্তুত।”

    প্রধানমন্ত্রীর পাশে কৃষকরা

    প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থান দেশের কৃষকদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। দেশজুড়ে কৃষক সংগঠনগুলি একে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে এবং “কৃষক-প্রথম নীতি”-র প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। পাঞ্জাবের এক কৃষক নেতা বলেন, “এটা শুধু অর্থনীতির বিষয় নয়, এটা জাতীয় স্বার্থের বিষয়। বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থাগুলো সস্তায় বিদেশি শস্য আমদানি করে আমাদের দেশীয় কৃষিকে ধ্বংস করতে চায়।” মহারাষ্ট্রের চাষিরা মোদির পদক্ষেপকে “কৃষিগত স্বাধিকার”-এর ঘোষণা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারগুলো আন্তর্জাতিক চাপে মাথা নত করেছিল, যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    স্বদেশী হোক মন্ত্র

    এই পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে স্বাধীনতা দিবসের আগে কৃষিমন্ত্রী ‘স্বদেশী আন্দোলন’ পুনরায় জোরদার করার আহ্বান জানান। চৌহান বলেন, “এই মুহূর্তটা আমাদের জন্য পরীক্ষার। স্বদেশী হোক আমাদের মন্ত্র। যা ব্যবহার করব, তা হোক দেশে তৈরি। এতে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, যুবসমাজের চাকরি বাড়বে এবং আমাদের মায়েরা-বোনেরা স্বনির্ভর হবেন।” তিনি আরও বলেন, “ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এবং শীঘ্রই তৃতীয় স্থানে পৌঁছবে — যদি আমরা সকলে মিলে স্বনির্ভরতা গড়ে তুলি।”

    কৃষককে সেবা করা ঈশ্বরকে সেবা করার সমান

    সরকারের এই কঠোর অবস্থান শুধু অর্থনৈতিক নয়, খাদ্য সুরক্ষার মান নিয়েও গভীর প্রতিশ্রুতি বহন করে। আগেও বিভিন্ন দেশ জিএম ফসল আমদানির নিয়ম শিথিল করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল। এবার ভারত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে — দেশের কৃষিনীতি দিল্লি থেকেই নির্ধারিত হবে, বিদেশি রাজধানী থেকে নয়। ঘরোয়া ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে চৌহান বলেন, “কৃষি মন্ত্রক ও সার মন্ত্রক একসঙ্গে কাজ করছে যাতে ইউরিয়া, ডিএপি ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের সরবরাহ সময়মতো নিশ্চিত করা যায়। তাঁর আশ্বাস, “চাষিদের প্রয়োজন মেটাতে আমরা কোনও কসুর রাখবো না। খাদ্যই জীবন, আর কৃষক হলেন জীবনের দাতা। কৃষককে সেবা করা ঈশ্বরকে সেবা করার সমান। আমার প্রতিটি শ্বাসে কৃষকের অস্তিত্ব আছে। কৃষকের কল্যাণেই দেশের ভবিষ্যৎ নিহিত।”

    একপাক্ষিক চুক্তিতে নারাজ ভারত

    সবুজ বিপ্লব দেশের কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছিল বলে মনে করেন অনেকেই। গম আমদানির ক্ষেত্রে মার্কিন নির্ভরতামুক্তও হয়েছিল ভারত। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, আমেরিকা চায় ভারত কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক। কিন্তু তাতে নারাজ নয়াদিল্লি। তাড়াহুড়োয় কেবল আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি করতে নারাজ ভারত।

  • India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বরাজনীতির অঙ্ক বড় জটিল! এক সময় যে দেশ শত্রু ছিল, সেই দেশই পরে কোনও একটি দেশের বন্ধু হতে পারে। আবার বন্ধুও নিজের স্বার্থে পরিণত হতে পারে শত্রুতে। এই যেমন চিন ও ভারতের সম্পর্ক (India China Ties)। গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছিল তলানিতে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের (Mansarovar Yatra) বরফ ক্রমশ গলতে শুরু করে। এর সর্বশেষ পদক্ষেপ হল, ভারত ও চিন সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ফের শুরু করতে যাচ্ছে সরাসরি বিমান পরিষেবা। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে অগাস্টের শেষে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে।

    ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান (India China Ties)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা যায়, আগামী মাসের মধ্যেই যাতে ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান ফের চালু করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো বিমানসংস্থাগুলিকে অল্প সময়ের নোটিশে চিনে বিমান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। একই খবর জানিয়েছে ব্লুমবার্গও। তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে অগাস্টের শেষে এসসিও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন সফরের সময়। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যাত্রীবাহি ফ্লাইটগুলি কোভিড-১৯ অতিমারির পর স্থগিত রাখা হয়েছিল। যার ফলে ভারত থেকে চিনগামী যাত্রীদের ভায়া হংকং বা সিঙ্গাপুর হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এই বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো-সহ চিনের এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এবং চায়না ইস্টার্নের মতো বিমান সংস্থাগুলি উভয় দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে পরিষেবা দিত (India China Ties)।

    এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগেও

    উল্লেখ্য যে, এটি ভারত ও চিনের সরাসরি ফের বিমান চালুর প্রথম প্রচেষ্টা নয়। এরকম উদ্যোগ জানুয়ারি এবং জুন মাসেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে তা থমকে গিয়েছিল। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে ফের উড়ান চলাচল শুরু হওয়া এই ইঙ্গিতও দেয় যে, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফের ছন্দে ফিরছে ভারত ও চিনের সম্পর্ক। ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় ডিজেলের একটি চালানও চিনের পথে পাড়ি দিয়েছে (Mansarovar Yatra)। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নয়রার ভাদিনার টার্মিনাল থেকে প্রায় ৪,৯৬,০০০ ব্যারেল অতিনিম্ন সালফারযুক্ত ডিজেল বহনকারী একটি জাহাজ যাত্রা শুরু করেছে চিনের উদ্দেশে (India China Ties)।

    চিনে যাচ্ছেন মোদি

    চলতি মাসের শুরুর দিকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এই সফর হবে গত সাত বছরে মোদির প্রথম চিন সফর। এর মাধ্যমে ১০ মাস আগে রাশিয়ায় মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তাঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। কিন্তু শুধু এটুকুই সব নয়। যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন যে রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তখন চিন প্রকাশ্যে নয়াদিল্লির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিল, “ভারতের সার্বভৌমত্ব কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয় এবং এর বিদেশনীতির সিদ্ধান্ত অন্য কোনও দেশের দ্বারা প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না, তা সে যতই সেই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন।”

    অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে

    ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র একটি ছবিও এই বার্তার সঙ্গে যুক্ত করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি হাতি, যা ভারতের প্রতীক এবং একটি বেসবল ব্যাট, যা মার্কিন শুল্কের প্রতীক (Mansarovar Yatra)। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত পাঁচ বছরের বিরতির পর ভারত ২৪শে জুলাই থেকে চিনা নাগরিকদের জন্য ফের পর্যটন ভিসা ইস্যু করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ফের চালু হয়েছে ভারত ও চিন কৈলাশ মানসসরোবর যাত্রাও (India China Ties)। দুই দেশের এই কূটনৈতিক উষ্ণতা অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত-চিনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি কতদূর যাবে, সেটি আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে।”

    তবে এই সব কিছুই ঘটেছে গত বছরের অক্টোবরে ভারত ও চিন টহল ব্যবস্থা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছনোর পর। দুই দেশ একটি সীমান্ত (Mansarovar Yatra) পরিকল্পনায় একমত হয়েছিল যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে টহল দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে, এবং ভারতীয় রাখালরা আবারও পশুচারণ শুরু করতে পেরেছে (India China Ties)।

  • PM Modi in UNGA: ‘শুল্কযুদ্ধ’র আবহেই সেপ্টেম্বরে মার্কিন সফরে প্রধানমন্ত্রী! রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য করতে পারেন মোদি

    PM Modi in UNGA: ‘শুল্কযুদ্ধ’র আবহেই সেপ্টেম্বরে মার্কিন সফরে প্রধানমন্ত্রী! রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য করতে পারেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মার্কিন শুল্ক দ্বন্দ্বের (India-US Relations) আবহেই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in UNGA)। সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা যাচ্ছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে বক্তা হিসেবে নাম রয়েছে তাঁর। এই বৈঠকে থাকবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।

    মার্কিন সফরে যাবেন মোদি!

    সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে নিউ ইয়র্কে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। সেই বৈঠকেই যোগ দিতেই আমেরিকায় যাওয়ার কথা মোদির। তবে এ ব্যাপারে ভারত সরকারের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি। প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে মোদির মার্কিন সফর নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই নানা মহলে আলোচনা চলছিল। এমনকি, গত গত ১১ অগাস্ট রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা হয় মোদির। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যে কথা হয়েছে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন জেলেনস্কি। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকের ফাঁকে নিউ ইয়র্কে দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে আলাদা করে দেখা করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

    ট্রাম্পকে কি এড়াবেন মোদি?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আমেরিকায় (India-US Relations) গেলে তাঁর সঙ্গে কথা হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। মোদি এবং ট্রাম্প সেখানে মুখোমুখি বসলে, গত সাত মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বৈঠকে বসবেন তাঁরা। এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তাঁরা। জি৭ বৈঠকে যোগ দিতে মোদি যখন কানাডায়, সেই সময়ই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় আমেরিকায় ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, যাঁকে হোয়াইট হাউসে আপ্যায়ন করেন ট্রাম্প। সেই কারণেই সেবার ট্রাম্পের সঙ্গে মোদি দেখা করেননি বলে জানা যায়।

    আপস করবে না ভারত

    দ্বিতীয় বার আমেরিকার মসনদে ফেরার পর থেকেই শুল্ক নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন ট্রাম্প। ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক বার ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতকে প্রকাশ্য়ে ভর্ৎসনা করেন তিনি। আর তার পরই দু’দফায় ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেন তিনি। এরপরই মোদি ও ট্রাম্পের ব্যাক্তিগত সম্পর্কেও ছেদ পড়ে। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, দেশের স্বার্থে ব্যক্তিগত ভাবে মাশুল দিতেও প্রস্তুত তিনি। তাই মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকে।

    কবে ভাষণ দিতে পারেন মোদি

    উল্লেখ্য, ইউএনজিএ-র (United Nations General Assembly) ৮০তম অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। উচ্চপর্যায়ের সাধারণ আলোচনা চলবে ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, অধিবেশনের প্রথম বক্তা থাকবে ব্রাজিল, এরপর আমেরিকা। ২৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump) তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। বক্তাদের প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, ভারতের ‘সরকারের প্রধান’ (Head of Government) ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। একইদিনে ইজরায়েল, চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ‘সরকারের প্রধান’রাও সাধারণ আলোচনা অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন। তবে এখনও স্পষ্ট নয়, নরেন্দ্র মোদি এই সভায় যোগ দিতে যাচ্ছেন কি না।

    ভারত নিজের জায়গায় স্পষ্ট, মিলবে কি রফাসূত্র?

    এ বছরের অধিবেশন শুরু হচ্ছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং ইউক্রেন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, দ্বিতীয় মেয়াদের ছয় মাসে তিনি একাধিক যুদ্ধ মিটিয়ে দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড, ইজরায়েল-ইরান, রুয়ান্ডা-কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিশর-ইথিওপিয়া এবং সার্বিয়া-কসোভোর মধ্যে শান্তিচুক্তি। এছাড়াও, মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামানোর কৃতিত্বও বারবার নিজের বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও ট্রাম্পের সেই দাবিও অস্বীকার করছে ভারত। দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েন মধ্যে মোদি যদি আমেরিকায় যান এবং ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত অনেকের। ওই বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসতে পারে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, শুল্ক, বাণিজ্যচুক্তির প্রসঙ্গ। মিলতে পারে কোনও এক রফাসূত্রও! শুধু তা-ই নয়, ১৫ অগাস্ট (শুক্রবার) আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকও নজরে রয়েছে ভারতের।

  • Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে পাকিস্তানের গলাগলির সম্পর্ক ক্রমশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে নয়াদিল্লির। ক্রিপ্টো অংশীদারিত্ব ও তেল সরবরাহ থেকে শুরু করে বিরল খনিজ সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট। এই পরিবর্তনটা এসেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক-সমর্থিত জঙ্গি হামলার জবাবে নয়াদিল্লির অপারেশন সিঁদুরের পর (Pakistan)।

    ট্রাম্পের দাবি (Donald Trump)

    ট্রাম্প স্বয়ং বারবার নিজেকে কৃতিত্ব দিয়েছেন দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য সংঘাত প্রশমিত করার জন্য। তিনি পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন। সমর্থন করেন পাকিস্তানের বাণিজ্য চুক্তিকেও। এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান অপরিশোধিত তেল আমদানি করবে। পাকিস্তান তার কূটনীতিকে সাধুবাদ জানালেও, ভারতের সমালোচকরা এর নেপথ্যে দেখছে কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্যোগ ও খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার থেকে শুরু করে চিনা প্রভাব মোকাবিলা করা পর্যন্ত সব। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, মার্কিন দেশের এই উৎসাহ তেলের চেয়েও বেশি বিরল খনিজ পাওয়ার প্রবেশাধিকারের বিষয়ে, যা মার্কিন অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবুও, এই সময় পাকিস্তানের জেনারেলদের প্রতি প্রকাশ্য প্রশংসা এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এই দুয়ে মিলে ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্পের নীতিগত পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ।

    পাকিস্তান পেতে চলেছে অপরিশোধিত তেলের চালান

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তান এ বছরের শেষের দিকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের প্রথম অপরিশোধিত তেলের চালান পেতে চলেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামাবাদের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করার পর, এই প্রথম হবে অপরিশোধিত তেলের ব্যবসা (Pakistan)। ইসলামাবাদকে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি, ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে বৃহৎ তেল মজুদ উন্নয়নে সাহায্য করবে। আমেরিকা ও পাকিস্তানের এই চুক্তি একাধিক দফা আলোচনার ফল। এই আলোচনা শুরু হয়েছিল এপ্রিলে, যখন ট্রাম্প পাকিস্তানি আমদানির ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রিফাইনারি, সিনার্জিকো, আমেরিকান অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য ভিটল কোম্পানির সঙ্গে এক মিলিয়ন ব্যারেলের চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এটি পাকিস্তানের প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনার ঘটনা। ভাইস চেয়ারম্যান উসামা কুরেশি দুই দেশের এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তেল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় আমদানি পণ্য, যার মূল্য ১১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রিপ্টো চুক্তি

    গত এপ্রিলে ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সময় পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন (ডি-ফাই) প্ল্যাটফর্ম, যার ৬০ শতাংশ মালিকানাই ট্রাম্পের পরিবারের। এই প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর লক্ষ্য হল দেশের ব্লকচেইন প্রযুক্তির উন্নয়ন। উল্লেখ্য যে, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে যেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করেছিল ২৬ জন পর্যটককে, তার মাত্র পাঁচ দিন পরেই (Pakistan)। দ্য ডন  নামের সংবাদপত্র জানিয়েছে, ওয়ার্ল্ড লিবার্টির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সেখানে তারা পাকিস্তান জুড়ে ব্লকচেইন উদ্ভাবন, স্টেবলকয়েন গ্রহণ এবং বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন একীকরণকে ত্বরান্বিত করতে ইন্টেন্ট লেটারে স্বাক্ষর করেছে। ডিটি মার্কস ডি-ফাই এলএলসি যুক্ত ট্রাম্প (Donald Trump) পরিবারের সঙ্গে। এটি ওয়ার্ল্ড লিবার্টির মূল প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক এবং নির্দিষ্ট ক্রিপ্টো রাজস্বের ৭৫ শতাংশ পাওয়ার দাবি করে। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্প আছেন ‘চিফ ক্রিপ্টো অ্যাডভোকেট’ পদে, এরিক ও ডোনাল্ড জুনিয়র ‘ওয়েব৩ অ্যাম্বাসাডর’ এবং ব্যারন ট্রাম্প ‘ডি-ফাই ভিশনারি’ হিসেবে যুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি বজায় রাখতে ইসলামাবাদ ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। পাকিস্তানের বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে তাঁর সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের কৃতিত্বের জন্যই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত। আর ট্রাম্প স্বয়ং দাবি করেছেন, “আমার তো চার-পাঁচবার এটা পাওয়া উচিত ছিল। তারা আমাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না। কারণ তারা কেবল এটা উদারপন্থীদেরই দেয়।” পহেলগাঁও হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে তাঁর ভূমিকার দাবি প্রথম থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ট্রাম্প বলেছিলেন, “হ্যাঁ, আমিই যুদ্ধ থামিয়েছি। আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। আমি মনে করি মোদি একজন অসাধারণ মানুষ। তবে আমিই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি (Pakistan)।” ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক আবার পাকিস্তানের অনাবিষ্কৃত বিরল খনিজ ভাণ্ডারের দিকে শ্যেন দৃষ্টি দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিকস ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন এই খনিজের প্রধান সরবরাহকারী। সেই চিনের সঙ্গে বেড়ে চলা উত্তেজনার জেরে ওয়াশিংটনের আগ্রহ বেড়েছে বিকল্প উৎসের প্রতি। মার্কিন আধিকারিকরা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান মিনারেলস ইনভেস্টমেন্ট ফোরামেও অংশ নিয়েছিলেন বলে খবর (Donald Trump)।

    পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণে চিনের ভূমিকা

    চিন ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলকে দক্ষিণের গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করে ২ হাজার মাইল দীর্ঘ পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণ করছে। তবে বালুচিস্তানে স্বাধীনতাকামীদের বিদ্রোহ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় তালিবানদের তৎপরতা এসব প্রকল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সম্প্রতি বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খনির ট্রাকে হামলা চালিয়ে সতর্ক করেছে যে, যে কেউ বালুচ জাতীয় সম্পদ লুটে জড়িত থাকবে, তাদেরই টার্গেট করা হবে। এদিকে, সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA) এবং এর সশস্ত্র শাখা সংগঠন মাজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণাটি ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। তার আগে অবশ্য সমস্ত রীতি ভেঙে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজ সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক পাকিস্তানের অপ্রচলিত রেয়ার আর্থ খনিজ ভান্ডারের দিকে নজর দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিক্স ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Donald Trump)।

    মুনিরের আমেরিকা সফর

    এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের এক প্যানেলের সাক্ষ্যে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে এক অসাধারণ অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, তারা মার্কিন স্বার্থে হামলা চালানো জঙ্গিদের প্রত্যর্পণে সদিচ্ছা দেখিয়েছে। কুরিলা ভূয়সী প্রশংসা করেন পাক সেনাপ্রধান মুনিরের, যিনি ২০২১ সালের কাবুল বিমানবন্দর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ শরিফুল্লাহকে গ্রেফতার করে প্রত্যর্পণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল (Pakistan)। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের জন্য মুনির আমেরিকা সফর করেন। কিন্তু মুনিরের এই সফর পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র দমন করার অভিযোগ এনেছেন। ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা মুনিরকে “স্বৈরাচারী” ও “প্রতারক” আখ্যা দেন (Donald Trump)।

    সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলেছে। সমালোচকদের মতে, অসামরিক নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে আমেরিকার সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব আরও শক্তিশালী করছে (Pakistan)।

  • PMGSY: দেশের নানা প্রান্তের গ্রামে গ্রামে ৭.৮৩ লক্ষ কিমি পাকা রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন, জানাল কেন্দ্র

    PMGSY: দেশের নানা প্রান্তের গ্রামে গ্রামে ৭.৮৩ লক্ষ কিমি পাকা রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY)-এর অধীনে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৭,৮৩,৬২০ কিলোমিটার পাকা গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাশওয়ান। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল দেশের প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া গ্রামাঞ্চলে সারা বছরের জন্য যান চলাচল যোগ্য সড়ক তৈরি করে তাদের মূল উন্নয়নধারায় যোগ করা। এর ফলে আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাস পাচ্ছে এবং গ্রামীণ সমাজের প্রতিটি স্তরে উন্নয়নের সুফল পৌঁছচ্ছে।

    করোনা-পরবর্তী সময়ে দ্রুত গতি

    ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে, ১,৫৭,৬৬৬ কিমি রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। এই সময়ে ১,২৩,৫৯৫ কিমি সড়ক প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ৭৪,৩২৪.৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY)-এর বাজেট ছিল ১৫,০০০ কোটি টাকা, যা বাড়িয়ে ২০২২-২৩ থেকে ১৯,০০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাশওয়ান জানান, এই প্রকল্পের অধীনে মোট ৮,৩৮,৬১১ কিমি সড়ক নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৭,৮৩,৬২০ কিমি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

    সময়ভিত্তিক নির্মাণ পরিসংখ্যান

    উল্লেখ্য, ২০০০ থেকে মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত ১৩ বছরে ৩,৮১,৩৯৫ কিমি রাস্তা সম্পন্ন হয়েছে। এপ্রিল ২০১৪ থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১০ বছরে ৩,৭৯,০৭৫ কিমি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের পর নির্মাণের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY) প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামের মানুষ প্রথমবারের মতো সারা বছরের জন্য যান চলাচল যোগ্য রাস্তা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-৩, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গেও। সে জন্য রাজ্যের পাওয়ার কথা ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় প্রথম দফায় তৈরি হবে ৮৫৭ কিলোমিটার রাস্তা। তা নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েত দফতরকে প্রথম দফায় ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

  • Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন-ভূম থেকে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন ভারতকে। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মার্কিন ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে সরাসরি হুমকি কী করে দিচ্ছেন মুনির? ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্ধন রয়েছে, নয়তো, এত দুঃসাহস মুনিরের হত না।

    ঠিক কী বলেছেন মুনির?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুরু করব ভারতের পূর্ব দিক থেকে, যেখানে তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ রয়েছে, তারপর পশ্চিম দিকে এগোব (Asim Munir)।” সিন্ধু জল চুক্তির প্রসঙ্গে মুনির বলেন, “এই চুক্তি স্থগিত করে ভারত ২৫ কোটি মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। আমরা অপেক্ষা করব ভারতের বাঁধ নির্মাণ করা পর্যন্ত। যখন তারা এটা করবে তখন ১০টি মিসাইল দিয়ে তা ধ্বংস করে দেব।” তিনি বলেন, “সিন্ধু নদ ভারতীয়দের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। আমাদের মিসাইলের কোনও অভাব নেই (Asim Munir)।”

    ভারত-মার্কিন বাণিজ্য জটকে হাতিয়ার

    এর পরেই ভারত ও পাকিস্তান প্রসঙ্গে (Inflammatory Nuke Speech) মুনির একটি মার্সিডিজ গাড়ি এবং নুড়ি-পাথর ভর্তি ট্রাকের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বোঝাতে আমি একটি সরল উদাহরণ ব্যবহার করছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে, আর আমরা নুড়ি-পাথরে ভর্তি একটি ডাম্প ট্রাক। যদি ট্রাকটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কে?”  ভারত-আমেরিকার মধ্যে বর্তমান বাণিজ্যিক উত্তেজনার প্রসঙ্গও তোলেন মুনির। ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বর্তমান বাণিজ্য উত্তেজনাকে নিশানা করে তাঁর কটাক্ষ, পাকিস্তানের উচিত প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় মাস্টারক্লাস অফার করা। মুনির বলেন, “আমাদের সাফল্যের আসল কারণ হল আমরা কৃপণ নই। কেউ ভালো কাজ করলে আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁকে স্বীকৃতি দিই। এই কারণেই আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।”

    মুনিরের বক্তব্য ওড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    মুনিরের উসকানিমূলক ভাষণে কী বললেন সেটা নয়, বরং কোথায় দাঁড়িয়ে মুনির কথাগুলি বললেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। মুনিরের এই বক্তব্যকে আসলে আমেরিকার তরফে একটি পরোক্ষ হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রাক্তন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র’)-এর প্রধান বিক্রম সুদ। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানকে বোঝাতে মুনির যে উদাহরণ দিয়েছেন – ভারতকে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং পাকিস্তানকে কাঁকরবাহী ট্রাকের সঙ্গে তুলনা—তা যথার্থ।  এক্স হ্যান্ডেলে বিক্রম বলেন, এক অর্থে, মার্কিন ভূমিতে মুনিরের ঘোরাঘুরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরোক্ষ হুমকি। এটিকেই সেইভাবে দেখা উচিত। মার্সিডিজ আর ডাম্প ট্রাকের উদাহরণটি সঠিক—শুধু পার্থক্য হল, ডাম্প ট্রাকে এক কণা নুড়িও নেই (Inflammatory Nuke Speech)।” মুনিরের বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল পিকে সেহগলও। তিনি বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র হল প্রতিরোধের অস্ত্র এবং সেগুলি কখনওই ব্যবহার করা যাবে না।”

    কেন আমেরিকার ভূমিকে বাছলেন মুনির?

    প্রশ্ন হল, কেন মুনির ভারতকে হুমকি দিলেন মার্কিন ভূখণ্ড থেকে? মুনিরের আমেরিকাকে তাঁর উসকানিমূলক মন্তব্যের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনার নেপথ্য কারণ হল ট্রাম্পের আমলে পাক-মার্কিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নতি। তাই আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুনিরের (Asim Munir) এই হুমকি মোটেই বিস্ময়ের নয়। আয়ুব থেকে জিয়া এবং মোশাররফ থেকে মুনির—প্রত্যেকেই ভেবেছিলেন আমেরিকানরাই তাঁদের প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা হচ্ছেন আদতে দাবার বোড়ে। তাই মুনিরের পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দেওয়ার মূল কারণ হল ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাকিস্তানের পারমাণবিক ভয় দেখানোর কৌশল ভেঙে দেওয়া।

    উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার প্রয়াস মাত্র!

    মুনিরের হুমকি ছিল ভারতের সাহসী সামরিক অভিযানের জবাব, যেখানে ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাক ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল। এমনকি প্রতীকী বার্তা হিসেবে কাইরানা পাহাড়েও আঘাত হানা হয়, যা দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের (Asim Munir) ভান্ডার হিসেবে পরিচিত।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুনিরের এই সব মন্তব্য পাকিস্তানের উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার উদ্দেশ্যেও করা হয়েছে, বিশেষত যখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একের পর প্রশ্নবাণে বিদ্ধ মুনিরের নেতৃত্ব।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত জুন মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে আমেরিকায় গিয়েছিলেন মুনির। সেবার ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সেরেছিলেন তিনি। সেই প্রথম কোনও সরকারি আধিকারিক ছাড়াই পাক সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন কোনও প্রেসিডেন্ট। সেই সময় ভারত-পাক (Inflammatory Nuke Speech) উত্তেজনা প্রশমনেও মুনিরের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই পরমাণু যুদ্ধ রোখার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দেন পাক সেনাপ্রধান (Asim Munir)।

  • John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে দেশের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন কূটনীতিকদের কয়েক দশকের প্রচেষ্টা নষ্ট করেছেন – যার লক্ষ্য ছিল ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি আনা এবং রাশিয়া ও চিনের খপ্পর থেকে দূরে রাখা (Tariffs)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন (John Bolton), “ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছেন, অথচ চিনের প্রতি তুলনামূলকভাবে নমনীয়।” বোল্টন বলেন, “ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ একটি বিরাট ভুল হতে পারে। কারণ এতে ভারত রাশিয়া ও চিনের আরও কাছাকাছি চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “যদিও এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প চিনের সঙ্গে সামান্য বাণিজ্যিক বিরোধে জড়িয়েছিলেন, তিনি বেজিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির আশায় সেটিকে আর বাড়াননি। উল্টোদিকে, ভারতকে ৫০ শতাংশেরও বেশি শুল্কের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যার মধ্যে ছিল রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য শাস্তিমূলক ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কও।

    কী বলছেন বোল্টন (John Bolton)

    বোল্টনের মতে, রাশিয়াকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতের ওপর আরোপিত দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্কই বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই সবচেয়ে খারাপ ফল তৈরি করেছে। ভারত এ বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর একটা কারণ হল তারা দেখেছে চিনের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর সতর্কবার্তা, এই পরিস্থিতি ভারত, রাশিয়া ও চিনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে সমন্বয় সাধনে উৎসাহিত করতে পারে। মার্কিন বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার পাডিলা বলেন, “এই শুল্ক ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একজন অংশীদার হিসেবে কতটা নির্ভরযোগ্য, সে বিষয়ে ভারতের সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে।”

    বোল্টনের যুক্তি

    এর আগে দ্য হিল নামে এক পত্রিকায় প্রকাশিত (John Bolton) এক মতামত নিবন্ধে বোল্টন যুক্তি দিয়েছিলেন, বেজিংয়ের প্রতি ট্রাম্পের নরম অবস্থান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থকে বিসর্জন দিতে পারে। তিনি এও বলেছিলেন, “চিনের ক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় শুল্কে বেশি সুবিধা দেওয়া বিশাল একটি ভুল হতে পারে (Tariffs)। প্রসঙ্গত, ভারত রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ককে অন্যায় ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। রাশিয়া ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে। বোল্টনের আশঙ্কা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর আসন্ন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ভারত-শুল্ক বিরোধকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারেন।

    ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর প্রাক্তন মার্কিন সেনেটের

    এদিকে, ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সেনেটের তথা ডেপুটি সেক্রেটারি কার্ট ক্যাম্পবেল। তিনি সমর্থন করেছেন ভারতকে। কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ক্যাম্পবেল বলেন, “ট্রাম্পের এই অবস্থান ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে।” তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন কখনওই মার্কিন নেতার সামনে মাথা নত না করেন (Tariffs)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ক্যাম্পবেল বলেন, শুল্ক ঘোষণার পর থেকে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, “২১ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ভারতের সঙ্গে। কিন্তু এখন তা সংকটে। যেভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্পর্কে কথা বলেছেন, তা ভারত সরকারের জন্য পরিস্থিতিকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছে।” ক্যাম্পবেল জোর দিয়ে বলেন, মোদি যেন কোনও অবস্থায়ই ট্রাম্পের কাছে নতিস্বীকার না করেন (John Bolton)।

    ভারতের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক

    ৬ অগাস্ট ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যা আগে থেকেই কার্যকর থাকা ২৫ শতাংশ করের সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যই এই নতুন পদক্ষেপের কারণ, যা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। ভারত ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে অশ্রদ্ধাশীল ও অযৌক্তিক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সম্ভাব্য সব উপায় অনুসন্ধানের অঙ্গীকারও করে। ঘোষণার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। একে ওয়াশিংটনের প্রতি সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারত সফর করবেন পুতিন (John Bolton)।

    এখন দেখার কোথাকার জল কতদূর গড়ায়।

LinkedIn
Share