Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • Jaishankar: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    Jaishankar: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরু হওয়ার পর ভারত (India) মস্কো থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি কিনেছে, ইউরোপিয় ইউনিয়নের তেল আমদানির পরিমাণ তার চেয়েও ছ গুণ বেশি। সোমবার সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Jaishankar)। জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলি দু রকম কথা বলছে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এদিন তিনি বৈঠক করেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে। তার পরেই পশ্চিমের দেশগুলির দু রকম কথার প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর।

    পরিসংখ্যান দিয়েও প্রমাণ…

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই দাবি যে নেহাতই কথার কথা নয়, এদিন তা পরিসংখ্যান দিয়েও প্রমাণ করে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি ২৪ (এদিনই শুরু হয়েছিল ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ) থেকে নভেম্বরের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ইউরোপিয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে যে জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করেছে, তা বিশ্বের ১০টি দেশের সম্মিলিত ক্রয় পরিমাণেরও বেশি। এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী (Jaishankar) বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করেছে, তার ছ গুণ বেশি করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। আমরা গ্যাস আমদানি করি না। তবে তারা কত গ্যাস আমদানি করেছে, তা গুণে বলা যাবে না। তারা প্রায় ৫০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের গ্যাস আমদানি করেছে। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া থেকে ভারত যে পরিমাণ কয়লা কিনেছে, ইউরোপিয় ইউনিয়ন কিনেছে তার চেয়েও ৫০ শতাংশ বেশি। জয়শঙ্কর যখন এই পরিসংখ্যান পেশ করছেন, তখন তাঁর পাশে বসেছিলেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী (Jaishankar) বলেন, রাশিয়ার তেল নিয়ে ভারতের বাধ্যবাধকতার দিকটি জার্মানি বুঝেছে। আমি আশা করব ইউরোপের প্রচারমাধ্যমও তা বুঝবে। প্রসঙ্গত, ভারতের বিদেশমন্ত্রী অনেক আগেই একবার বলেছিলেন, ইউরোপ একটি বিকেলে যত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে, ভারত তা করে গোটা মাসে। এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, শক্তির উৎস যখন সীমাবদ্ধ, তখন ইউরোপ এক রকম ভাবে চলবে আর ভারতকে অন্য রকম উপদেশ দেবে, এটা হতে পারে না। এদিন দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি তথা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার (Mumbai Attack) আজ ১৪তম বছর। ২৬/১১-য় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu), বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকতার আব্বাস নকভি-সহ বহু নেতারা। 

    নিহতদের স্মরণে ট্যুইট

    ২০০৮ সালে আজকের দিনেই দেশের বাণিজ্য নগরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার ১০ জঙ্গি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা-গুলি ও বন্দুক নিয়ে নাশকতা চালায়। প্রাণ হারান ১৬৬ জন নিরীহ মানুষ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন। জখম হন ৩০০-র বেশি মানুষ। বিশ্বের বহু দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।

    মুম্বই হামলার এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১৪টা বছর। কিন্তু, তার ভয়বহতা এখনও পিছু ছাড়েনি। সেই দিন যাঁরা ডিউটিতে থাকাকালীন প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর তরফে ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ‘সেদিন আমরা যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে গোটা দেশ। তাঁদের পরিবারের অশেষ যন্ত্রণা আমরা অনুভব করতে পারি। বীরত্বের সঙ্গে যে সব নিরাপত্তারক্ষী লড়াই করেছিলেন এবং কর্তব্যের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের সম্মান জানায় গোটা দেশ।’

    ট্যুইটারে বিদেশমন্ত্রী লিখলেন, ‘মানবতার পক্ষে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদ। আজ ২৬/১১-য় নিহতদের স্মরণে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। যারা এই হামলার পরিকল্পনা ও তদারকি করেছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। গোটা বিশ্বে যারা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন, এটা তাঁদের কাছে আমাদের ঋণ।’

    ট্যুইট করে শ্রদ্ধা জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিন্দিতে তিনি লেখেন, “মুম্বইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গি হামলায় নিরীহ নাগরিকদের হারায় দেশ। আমাদের সাহসী জওয়ানরা প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে তাঁদের প্রাণ হারান। তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাই। যাঁরা কাছের মানুষকে হারানোর মতো অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।”

     

     

     

  • S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়রা কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সুবিধা পাবে, তা দেখা সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য, অভিমত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। রাশিয়া থেকে তেল কেনা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনবে। নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে চায় যে কোনও দেশই। ভারতীয়দের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে কম খরচে তেল কিনছে ভারত। দেশের মানুষের স্বার্থ নিশ্চিত করতে এটা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যতা।” ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনের পর রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল সংগ্রহ করে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে তার পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি।

    মস্কো সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড,ইকনমিক,সায়েন্টিফিক, টেকনিকাল ও কালচারাল কো অপারেশন সংক্রান্ত মিটিংয়েও অংশ নেন জয়শঙ্কর। দুদেশই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি সারাবিশ্বে খাদ্য ও শক্তিসম্পদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করার জন্য ভারত  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার কথাও বলেছে।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

     মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন,‘‘আজকের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মূল্যায়ন ও মত বিনিময় হয়েছে।’’রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভারভ জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ১৩০ শতাংশ ছুঁয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্ক প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে অন্তত ৩০ বিলিয়নে স্পর্শ করাতে হবে। ডলারের পরিবর্তে রুপি-রুবেল বিনিময়ে বাণিজ্য প্রসারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    অতিমারি পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছে তাতে বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এ কথা জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা শুধু জাতীয় স্বার্থটা দেখছি তেমনটা নয়, জি ২০ অর্থনীতির অঙ্গ হিসাবে আমরা বিশ্ব অর্থনীতিকেও স্থিতিশীল করতে চাইছি। যুদ্ধ নয়, ভারত সব সময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী।” বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সঙ্কটের আবহে কত সস্তায় অশোধিত তেল রাশিয়া থেকে ভারত আমদানি করতে পারে, তা নির্ধারিত করতেই জয়শঙ্করের এই সফর। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পরে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় জয়শঙ্কর এবং লাভরভ এই নিয়ে পাঁচ বার বৈঠক করলেন।

  • S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের সফরে রাশিয়া (Russia) পৌঁছলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। এই বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহণ, লজিস্টিক, এনার্জি সেক্টর, বিশেষত আর্কটিক সেল্ফ এবং রাশিয়ান ফার ইস্ট (Russian Far East) নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সফর নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতার মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। অর্থনীতির উন্নতি, অর্থনৈতিক, এনার্জি, মিলিটারি-টেকনিক্যাল, হিউম্যানিটেরিয়ান, সায়েন্টিফিক এবং টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা হবে। মূল বিষয়গুলিতে কীভাবে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, জাতীয় মুদ্রা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ, এসসিও, জি-২০ এবং আরআইসি নিয়েও মত বিনিময় করবে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং লাভরভের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে এসসিও, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ও। ইরানিয়ান নিউক্লিয়ার প্রবলেম সহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দুই দেশই বহন করে প্রিভিলেজড ও স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব। দুই দেশের সম্পর্কও বেশ কয়েক দশকের পুরানো।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে এখনও। এমতাবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ হলেও, ইউক্রেনের সঙ্গে নয়াদিল্লর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কারণ যুদ্ধ চলাকালীনও ভারত জ্বালানি কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে। রাষ্ট্রসংঘেও ভারতকে থাকতে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার পাশেই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে ভারত মধ্যস্থতা করবে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সে প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, আমরা তখনই সফল হব, যখন দু পক্ষই আমাদের কূটনৈতিক সততা সম্পর্ক নিঃসন্দেহ হবে। এ ক্ষেত্রে আস্থার অভাব রয়েছে। আর পুতিনকে বাদ দিয়ে কোনও মধ্যস্থতা কার্যকর হবে না। প্রসঙ্গত, এর আগে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাশিয়া গিয়েছিলেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: দু’দিনের সফরে রাশিয়া গেলেন এস জয়শঙ্কর! দেখা হতে পারে পুতিনের সঙ্গে?

    S Jaishankar: দু’দিনের সফরে রাশিয়া গেলেন এস জয়শঙ্কর! দেখা হতে পারে পুতিনের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে ভারত। আশা আন্তর্জাতিক মহলের। এই আবহেই, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) আজ, সোমবার (৭ নভেম্বর) দুদিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন। যেখানে তিনি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভের সঙ্গে এক বৈঠক করবেন। তাঁর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) দেখা হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সারা বিশ্বের নজর এখন জয়শঙ্করের মস্কো সফরের দিকে।

    আরও পড়ুন: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে মতামত বিনিময় হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। আগামী দিনে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা-সহ নানা দেশ। সেখানে ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কীরকম অবস্থান নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, “রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সামগ্রিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে দুই দেশ।” রুশ বাণিজ্যমন্ত্রী ডেনিস মান্তুরোভের সঙ্গেও আলাদা ভাবে বৈঠক করবেন জয়শঙ্কর। তবে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    সম্প্রতি ৪,নভেম্বর একতা দিবস উপলক্ষে পুতিন ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর ভাষণে পুতিন বলেন, “ভারত তার সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দারুণ ফলাফল অর্জন করবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই এবং প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষের কাছে এখন এই সম্ভাবনা রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও প্রশংসা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, যেভাবে মোদির নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন পুতিন। পাশাপাশি ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসাও শোনা যায় তাঁর মুখে। আর এরপরেই জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার নিয়ে সাংহাই কোঅপারেশনের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে (SCO Meet) চিনকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির সামনে জয়শঙ্কর বলেন, “প্রতিটি দেশের কর্তব্য অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা।” জয়শঙ্কর তাঁর বক্তব্যে কারও নাম না নিলেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য আদতে চিনকেই খোঁচা দিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    তিনি আরও বলেন, “সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন রিজিয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল এশিয়ান স্টেটের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না সেটা দেখা দরকার।”

    আরও পড়ুন: অক্টোবরের জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা, এযাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

    বেশ কয়েক বছর সীমান্তে চিনের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত। চিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে সেনা শিবির তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে। অরুণাচলের সীমান্তবর্তী গ্রাম দখলে রাখারও অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকবার। কয়েকবার সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে  মুখোমুখি সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে চিন। তাই অনেকেই মনে করছেন জয়শঙ্করের এই মন্তব্য তির্যকভাবে চিনকে (China) উদ্দেশ্য করেই করা।   

    এসসিও কাউন্সিলের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই বৈঠকের আহ্বায়ক ছিলেন চাইনিজ প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং।  

    উল্লেখ্য চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে এর আগেই আপত্তি তুলেছিল ভারত। কারণ ওই করিডোর মূলত পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাচ্ছে। যে দেশগুলি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (BRI) স্বাক্ষর করেনি ভারত তাদের মধ্যে অন্য়তম। 

    তবে তিনি এও বলেন, “এসসিও রিজিয়নে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দরজাকে খুলে দেবে।” মূলত ইরানের চাবাহার পোর্ট এবং ইন্টারন্য়াশানাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোরের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি জানান, এসসিও সদস্যদের মধ্যে মোট বাণিজ্যিক লেনদেন ১৪,১০০ কোটি মার্কিন ডলার। আরও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: সোশ্যাল মিডিয়া হাতিয়ার করে মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: সোশ্যাল মিডিয়া হাতিয়ার করে মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্টারনেট (Internet) এবং সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) মাধ্যমগুলিকে হাতিয়ার করে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করছে। এমনকী যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে তাদের। শনিবার সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কমিটির এক সম্মেলনে এ কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    নয়াদিল্লিতে চলছে রাষ্ট্রসংঘের (UN) স্পেশাল মিট। আলোচ্যসূচি, কাউন্টারিং দ্য ইউজ অফ নিউ অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজ ফর টেররিস্ট পারপাসেস। এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন জয়শঙ্কর। তখনই তিনি জানান, কীভাবে সন্ত্রাসবাদীরা হাতিয়ার করছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। সন্ত্রাসবাদ যে মানবতার বিরুদ্ধে বড় বিপদ, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। উল্লেখ করেন রাষ্ট্রসংঘের চেষ্টার কথাও। তিন বলেন, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত দু দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তার পরেও নির্মূল হয়নি সন্ত্রাসবাদ। তাঁর অভিযোগ, কোনও কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায্য করছে। এশিয়া এবং আফ্রিকায়ও সন্ত্রাসবাদ ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিদেশমন্ত্রীর। সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদীরা, তাদের সহযোগীরা, বিশেষত মুক্ত সমাজ দ্রুত নিজেদের আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যায় শিক্ষিত করে তুলছে। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে, টাকা ব্যবহার করে, স্বাধীনতা, সহমত ও প্রগতিকে আক্রমণ করে।

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) জয়শঙ্কর বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রসংঘের তহবিলে চলতি বছর পাঁচ লক্ষ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় চার কোটি ১০ লক্ষ টাকা) অনুদান দেবে ভারত। সেই অনুদান থেকে সদস্য দেশগুলির পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি জঙ্গি হামলা মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এদিনের ভাষণে সন্ত্রাসবাদীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধে সতর্ক হতে হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরের বাইরে এই ধরনের সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে। শুক্রবার শুরু হয়েছে এই বিশেষ সম্মেলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার জোগানই সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ। রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বৈঠকে এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে শুক্রবার শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস-বিরোধী (UN Terror Meet) কমিটির বৈঠক। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল দিকগুলির মধ্যে অন্যতম হল, এর টাকার জোগানকে দমন করা। কারণ এই মূলধনই হল সন্ত্রাসবাদের প্রাণ। বাস্তব এটাই যে, সন্ত্রাসবাদের অস্তিত্ব অব্যাহত রয়েছে। ক্রমেই তা প্রসারিত হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্নিহিত ছবি তুলে ধরছে। এর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, সন্ত্রাসবাদীরা প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থান পাচ্ছে।” 

    রাষ্ট্রসংঘে ‘স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদ ও তার অর্থায়ন মোকাবিলা’ শীর্ষক বৈঠকে এই কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “২৬/১১-এর মুম্বাই হামলার অপরাধীদের আনার কাজ অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছে। আর তার কারণ একটাই। এই ভয়ঙ্কর হামলার মূল চক্রীরা সুরক্ষিত অবস্থায় লুকিয়ে আছে।” তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপত্তা পরিষদ নিষিদ্ধ করতে পারেনি।  

    পাকিস্তানের নাম না করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসে জড়িতদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জ এখনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না। ২৬/১১ হামলা শুধু মুম্বাইয়ের উপর ছিল না। ছিল বিশ্ববাসীর উপর। তাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে সময় এসেছে হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করার।” 

    এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজনকে জীবিত ধরা হয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে বিচার হয়েছিল এবং দোষী সব্যস্ত করা হয়েছিল। দুঃখজনক বিষয় হল, নিরাপত্তা পরিষদ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু ক্ষেত্রে এই সন্ত্রাসবাদীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেনি।”

    জয়শঙ্কর রাষ্ট্রসংঘ কমিটির বিবেচনার জন্য পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কথাও উল্লেখ করেছেন। এই সংগঠন সম্প্রতি পাকিস্তানকে তাদের ধূসর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    পাঁচটি পয়েন্টে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 

    ১. সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অর্থায়ন প্রতিরোধে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এফএটিএফ-এর মতো অন্যান্য ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

    ২. শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে যাতে নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অকার্যকর না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। 

    ৩. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলিকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এভাবে সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

    ৪. অস্ত্র এবং অবৈধ মাদক পাচারের মত আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র এখন বেশ স্পষ্ট ও প্রমাণিত। এটি চিহ্নিত করতে হবে।  

    ৫. সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে বিভিন্ন সূত্র অর্থ সাহায্য করছে। সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তির মোকাবিলায় আমাদের কাছে উন্নত সমাধান থাকা প্রয়োজন।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India UK Relations: ঋষি প্রধানমন্ত্রী হতেই জয়শঙ্করকে ফোন ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের, কী আলোচনা হল জানেন?

    India UK Relations: ঋষি প্রধানমন্ত্রী হতেই জয়শঙ্করকে ফোন ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের, কী আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোক্ত হচ্ছে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক (India UK Relations)!

    ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। চলতি মাসের ২৮ তারিখে শপথ নেওয়ার কথা তাঁর। প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষি মনোনীত হতেই ট্যুইট বার্তা পাঠান ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর পরে পরেই ব্রিটিশ ফরেন সেক্রেটারি জেমস ক্লেভারলি ফোন করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে (S Jaishankar)। দুই দেশের দুই নেতা ইউক্রেন রাশিয়া দ্বন্দ্ব, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। প্রসঙ্গত, দুই দেশের এই দুই নেতার এহেন আলোচনা হল এমন একটা সময়ে যখন ইউক্রেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ভারতীয় নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছাড়তে বলেছেন।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর ট্যুইট করেন ব্রিটিশ ফরেন সেক্রেটারি। লেখেন, আজ ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ভাল লাগল। আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেছি। এবং এটাও জানিয়েছি, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বক্তব্য ও অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানাব। বছর বিয়াল্লিশের ঋষি একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার। পরে আসেন রাজনীতিতে। ২০১৫ সালে প্রথম জিতে পা রাখেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ব্রিটেনের ২১০ বছরের ইতিহাসে তিনিই সে দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী। তিনি ব্রিটেনের প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী। তিনি সে দেশের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রীও।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, কে তিনি জানেন?

    দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হওয়ার পর প্রথা মেনে বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পা রাখার আগে প্রথা মেনে ঋষি তা করেনও। পরে বলেন, তিনি এমন একটা সময় দেশের দায়িত্বভার নিচ্ছেন যখন ব্রিটেন গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। করোনা অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর যা আরও বেড়েছে। ব্রিটেনবাসীর আশা পূরণ করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, আগামী মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে রয়েছে জি-২০ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ঋষি এবং মোদির। সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলাপচারিতা হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: বিদেশমন্ত্রীর কাজ কী জানেন? রহস্য ফাঁস করলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: বিদেশমন্ত্রীর কাজ কী জানেন? রহস্য ফাঁস করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশমন্ত্রীর কাজ কী, তাঁর ভূমিকাই বা কী, মঙ্গলবার তা বিস্তারিত জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার গুজরাটের (Gujrat) আমেদাবাদে এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সভার আলোচ্যসূচি ছিল, মোদি জমানায় ভারতের (India) বিদেশ নীতি। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, তিনি কেবল জানাতে চান একজন বিদেশমন্ত্রী ঠিক কী কাজ করেন, আর দ্বিতীয়ত বিদেশ নীতি কীভাবে এখন প্রভাব ফেলে প্রত্যেকের ওপর।

    এদিনের আলোচনা সভায় জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, বিদেশমন্ত্রীর বড় দুটি কাজ রয়েছে। একটি হল, বিশ্বের সামনে ভারতকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। আর অন্যটি হল, অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং নয়া ভারতে ঠিক হচ্ছে, তা গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া।

    আলোচনা সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, আমি ঠিক কী করি, তা আমি আপনাদের বোঝাতে চাই। মোদি জমানায় যে দেশে অনেক কিছু বদল এসেছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিজেপি (BJP) সরকার। গত এই আট বছরে যে দেশে অনেক কিছু বদলেছে, তা তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, গত আট বছরে মোদি সরকারের আমলে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। বিদেশ নীতির তিনটি স্তরের ওপরও এদিন আলোকপাত করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    আরও পড়ুন: কেবল ব্যবসা নয়, মিশরের সঙ্গে কাজও করতে চায় ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    তাঁর ভাষায়, আমাদের বিদেশ নীতির তিনিটি স্তর রয়েছে। প্রথমত, এটি নিরাপত্তা কেন্দ্রিক। দ্বিতীয়ত, এটি উন্নয়ন কেন্দ্রিক। এবং তৃতীয়ত, এটি জনগণ কেন্দ্রিক। তিনি বলেন, আজ আমাদের ভিশন হল ১০ সপ্তাহের, ১০ মাসের এমন কি ১০ বছরের। এর অর্থ হল, আমাদের শর্ট টার্ম এবং লং টার্ম দু রকমের ভিশনই রয়েছে। বিশ্বের কোথাও কিছু ঘটলে তার প্রভাব এখন তামাম বিশ্বের ওপর পড়ে বলেও জানান জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড অতিমারির প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। এটা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে কোনও একটি বিশেষ দেশের ওপর নির্ভর না করতে। তিনি বলেন, বিশ্বে কাজের বাজার এবং বিশ্বে ব্যবসার বাজারের উন্নতি ঘটাতে হবে আমাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share