Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • S Jaishankar: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য হওয়া খুব সহজ নয়। তবে ভারতের (India) মতো শক্তিকে চিরকাল উপেক্ষা করাও যাবে না। বুধবার সাফ জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব রকম যোগ্যতাও ভারতের রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। নিরাপত্তা পরিষদের পুনর্গঠনের জন্য ভারত যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। ভারতের হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেছে রাশিয়াও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই।এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    এদিন জয়শঙ্কর বলেন, আমরা কখনওই ভাবি না যে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য হওয়া সহজ। তবে আমরা এটাও বিশ্বাস করি, এর সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের চিরকাল ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সংস্কার প্রয়োজন বলে সম্প্রতি জানিয়েছিল আমেরিকাও। কেবল রাষ্ট্রসংঘ নয়, তার নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সাধনও প্রয়োজন। ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এটা কোনও একটি দেশের দায়িত্ব নয়, সে দেশ যতই শক্তিশালী হোক না কেন। আমি মনে করি, এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা যা সফল করতে হবে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যদের। সংস্কার সাধনের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। কোথা থেকে বাধা আসছে, তা আপনারা জানেন।

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের স্থান হবে ওই তালিকার তিন নম্বরে। সেই কারণেই ভারতকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন জয়শঙ্কর।

     

     

  • S Jaishankar: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেখানে পাকিস্তান বা চিন ১-২ দিনেই মার্কিন ভিসা (US Visa) পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে ভারতীয়দের ৮০০- রও বেশি দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে কেন? মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken) সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্রশ্ন করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এর উত্তরে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে আশ্বস্ত করে বলেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট  অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভারতীয়দের ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৮৪৮ দিন, বিশেষ ক্ষেত্রে সেই সময়কাল ৪০০ দিন। সেখানে পাকিস্তানকে ভিসা দেওয়া হয় ৪৫০ দিনে এবং চিনকে ২ দিনে। ভারতীয়দের স্টুডেন্ট ভিসার জন্যে অপেক্ষা করতে হয় ৪৩০ দিন। পাকিস্তানিরা স্টুডেন্ট ভিসা এক দিনেই পেয়ে যায় এবং চিন পায় ২ দিনে। 

    আরও পড়ুন: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা
     
    মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের এক আলোচনায় ভিসার সমস্যার বিষয়টি উঠে আসে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভিসা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় সব রকমের সাহায্যে আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।    

    এ বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, “এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। দ্রুত এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা মূলত অতিমারির কারণে হয়েছে।” ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনার সময় বিশ্বজুড়ে ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল এটি মূলত তারই ফল। ব্লিঙ্কেন এদিন আরও বলেন, “আমি ভিসা ইস্যুতে খুবই সংবেদনশীল। এই সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    বিদেশের দক্ষ প্রযুক্তি কর্মীদের H-1B ভিসা দেয় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। এর মধ্যে ৭০%- ই পায় ভারতীয়রা। জয়শঙ্কর এদিন বলেন, “কিছু সমস্যা ছিল তা নিয়ে আমি মার্কিন বিদেশমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি নিশ্চিত যে তাঁরা এই সমস্যাগুলির গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে বলেছিলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।এবার সেই একই পথ অনুসরণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাসীর গায়ে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা, টান পড়েছে খাদ্যশস্যের ভাঁড়ারে। বাড়ন্ত সার এবং জ্বালানি।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, অভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বের অবসান এখন সময়ের দাবি। সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার টেবিলে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই নিরাপত্তা পরিষদ কূটনীতির সব চেয়ে শক্তিশালী প্রতীক। এটি লক্ষ্য পূরণে সদা সচেষ্ট। এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। অস্থায়ী দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এদিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। জয়শঙ্কর বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। বিশেষত বিশ্বের দক্ষিণ অংশ তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছে। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও। তিনি বলেন, সেই কারণেই ভারত যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে।এর পরেই মোদির প্রসঙ্গ টানেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। যুদ্ধ করে মানবাধিকার কিংবা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার কোনও যাথার্থ্যতা নেই বলেও সওয়াল করেন জয়শঙ্কর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    S Jaishankar: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামাতে হবে। এরপর আবার তিনি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UN General Assembly) বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, ভারত সবসময় শান্তির পক্ষে রয়েছে এবং সেখানেই অনড় থাকবে। গতকাল, ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭তম অধিবেশনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

    তিনি বলেন, “ইউক্রেনের সংঘাত ক্রমাগত উদ্বেগ সৃষ্টি করার কারণে, আমাদের প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয় যে আমরা কার পক্ষে। আমরা প্রতিবার সহজ, সরল ও সৎ উত্তর দিয়ে এসেছি। ভারত শান্তির পক্ষে আছে এবং দৃঢ়ভাবে সেখানে থাকবে। আমরা সেই পক্ষে রয়েছি যারা রাষ্ট্রসংঘের সনদ এবং এর নীতিগুলিকে সম্মান করে। আমরা যুদ্ধ নয়, আলোচনা এবং কূটনীতিকে একমাত্র উপায় হিসেবে মনে করি।” অর্থনীতিতে যুদ্ধের প্রভাবের উপর জোর দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “চলমান ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাব অর্থনৈতিক চাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানীর ওপর।” ফলে এইসব কথা উল্লেখ করে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্ব জুড়ে শান্তির জন্য এবং কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের ৭৭ তম সাধারণ অধিবেশনে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, কীভাবে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে। তিনি এদিন পাকিস্তানের নাম না নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযানে চিনের ষড়যন্ত্রকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন তিনি। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ভারত আন্তঃসীামান্ত সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। ফলে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।

    তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদের কোনও যৌক্তিকতা হয় না। সন্ত্রাসবাদ কখনও কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না।  রক্ত কখনও কোনও সমস্যার উত্তর হতে পারে না বলেও তিনি মনে করেন। যাঁরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন, তাঁরা আদতে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনেন। কারণ যাই হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদকে কখনও সমর্থন করা যায় না।

    উল্লেখ্য, চলতি মাসেই চিন লস্কর-ই- তৈবার জঙ্গি সাজিদ মীরকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী ঘোষণা করার আহ্বানে বাধা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানা যায় যে ভারত এই আহ্বানে সমর্থন করেছিল। উল্লেখ্য, মীর ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মামলায় ওয়ান্টেড।

    তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ঋণ, খাদ্য এবং জ্বালানী সুরক্ষার গুরুতর সমস্যাগুলি মোকাবেলায় নয়াদিল্লি গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কাজ করবে।

  • S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফর শেষ করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (s Jaishankar)। এই সময় সীমায় তিনি বৈঠক করেছেন ৫০টিরও বেশি। এর মধ্যে ৪০টি বৈঠক হয়েছে মুখোমুখি। বাকিগুলির মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক এবং গ্রুপ মিটিংও। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলি হয়েছে তাঁর সম পর্যায়ের মন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে।

    সোমবার ওয়াশিংটনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বৈঠক করেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রায়মান্ডোর সঙ্গে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পাশাপাশি দু দেশের মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন জয়শঙ্কর। এই সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পেন্টাগনের মতে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি নয়াদিল্লির একটি পদক্ষেপ।

    চলতি সফরে পাঁচ বাণে আমেরিকাকে বিদ্ধ করেছেন জয়শঙ্কর। এফ-১৬ বিমানের যন্ত্রাংশ প্রদান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এগুলো বলে আপনি কাউকে বোকা বানাচ্ছেন না। প্রত্যেকেই জানেন কোথায় এবং কার বিরুদ্ধে এফ-১৬ ফাইটার জেট ব্যবহার করা হয়। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিশেষত ওয়াশিংটন পোস্টকেও একহাত নেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদ মাধ্যমের খবরে চোখ রাখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদপত্র রয়েছে, তারা জানে না তারা কী সংবাদ পরিবেশন করছে। এমন কী তার নিজের শহরের খবরও কীভাবে পরিবেশন করছে। পাক-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, সততার সঙ্গে বলছি, এটা এমন একটা সম্পর্ক যাতে পাকিস্তানেরও ভাল হবে না, আমেরিকারও লাভ হবে না। আমেরিকার কাছে এই সম্পর্কের মানে কী, এই সম্পর্ক থেকে তারা কীই বা পাবে?

    আরও পড়ুন : একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাওয়া প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সাল থেকে গত চল্লিশ বছর ধরে ভারতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ছিল না। আমি হলফ করে বলতে পারি আমার আত্মীয়, আমার বাবা, দাদু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজ করেছেন। তাই আমি ভাল করেই জানি ভারতের সঙ্গে আমেরিকার গাঁটছড়া বাঁধলে আদতে যে আমেরিকারই লাভ হবে সেকথা আমেরিকাকে বোঝাতে কত বেগ পেতে হয়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, যখন নাচ-গান চলছে তখন যদি আচমকাই ইন্টারনেট কেটে যায়… আপনি যখন মঞ্চে গেলেন আপনি বললেন মানুষের প্রাণহানির চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ইন্টারনেট কেটে যাওয়াটা, তখন আমি আর কীইবা বলতে পারি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • S Jaishankar: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একপেশে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে (American Media) একহাত নিলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টও। মার্কিন মিডিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশমন্ত্রীর অভিযোগ, ভারতের খবর করতে গিয়ে তারা অযথা এক পেশে সংবাদ পরিবেশেন করছে। রবিবার ইন্ডিয়া-আমেরিকান জমায়েতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদমাধ্যমের দিকে দেখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদ পত্র রয়েছে তারা ঠিক কী লিখছে, তাদের নিজেদের সম্পর্কেই বা কী লিখছে…।

    এদিন বিখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টকেও নিশানা করেন জয়শঙ্কর। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রতিদিন প্রকাশিত হয় সংবাদপত্রটি। একপেশে খবর প্রকাশ করার জন্যও তাকে আক্রমণ করেন জয়শঙ্কর। দেশে ভারত বিরোধী শক্তি ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, একপেশে  খবর পরিবেশন হচ্ছে। ভারত যত তাঁর নিজের পথে ও নিজের গতিতে এগিয়ে চলেছে, বহির্বিশ্বের কিছু শক্তি, যারা এতদিন নিজেদের ভারতের অভিভাবক বলে মনে করত, তাদের পায়ের তলার জমি সরে যাচ্ছে। যে কারণে, তারা প্রকাশ্যে এসে এধরনের (বিরূপ) মন্তব্য করতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন : মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, এই জাতীয় গোষ্ঠী ভারতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। তারা বরং চেষ্টা করেই চলবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই সব বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। প্রতিযোগিতা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সিংহভাগ আমেরিকান জানেন না যে কিছু শক্তিশালী গোষ্ঠী কীভাবে বিশৃঙ্খলা এবং জটিলতার সৃষ্টি করছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা পিছনের সারিতে থাকব না। অন্যকে আমাকে বিচার করতে দেব না। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আমেরিকায় অপব্যাখ্যা হচ্ছে কিনা, সে প্রশ্নও ওঠে এদিন। জয়শঙ্কর বলেন, যদি সেখানে(কাশ্মীরে) জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে প্রশ্ন ওটা উচিত নয়, জঙ্গি হামলায় যিনি নিহত হলেন, তিনি কোন ধর্মাবলম্বী। জয়শঙ্কর বলেন, এটা প্রতিযোগিতার বিশ্ব। এই সময় বিশ্বে পৌঁছে দিতে হবে আমাদের বার্তা। আপনাদের প্রতি আমারও বার্তা এটাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য  দেশ নয় ভারত (India)। এটা যে কেবল ভারতের পক্ষে কাম্য নয়, তা নয়, বিশ্বের পক্ষেও ভাল বার্তা নয়। বুধবার একথাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের কতদিন সময় লাগবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই জয়শঙ্কর জানান ভারতের সদস্য না হওয়ার বিষয়টি বিশ্বের পক্ষেও ভাল নয়।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নীতি আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দ পনাগারিয়ার সঙ্গে কথপোকথন হচ্ছিল জয়শঙ্করের। সেখানেই ওঠে ওই প্রশ্ন। তার জবাবও দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে পরেই গঠিত হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। জয়শঙ্কর বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হয়েছিল দীর্ঘ ৮০ বছর আগে। তখনকার বিশ্ব ও এখনকার বিশ্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই সময়সীমায় বিশ্বে স্বাধীন দেশের সংখ্যা হয়েছে তিনগুণ। তিনি জানান, বিশ্বের একটা বিরাট অংশই রয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের বাইরে। জয়শঙ্কর জানান, অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল সমাজেও পরিণত হবে এই দেশ। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এরকম একটা দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। এটা আমাদের পক্ষেও যেমন ভাল নয়, তেমনি ভাল নয় তামাম বিশ্বের পক্ষেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • UN Security Council: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে ভারত! বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা 

    UN Security Council: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে ভারত! বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর অস্থায়ী সদস্যপদ নয়। এবার কি তবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UN Security Council) স্থায়ী সদস্যপদ পেতে চলেছে ভারত? এমনই জল্পনা উসকে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারত। পরমাণুশক্তিধর আমাদের দেশ এখন পৃথিবীর পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির অধিকারী। সেই জায়গা থেকে ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য।” এই মুহূর্তে সৌদি আরবে (Saudi Arabia) রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই ভারতকে এই পদ দেওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা ভেবে রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। তবেই বিশ্বশান্তি রক্ষায় সক্ষম হবে এই সংস্থা।”

    আরও পড়ুন: ভোট রাজনীতি দেশের স্বার্থকে প্রভাবিত করবে, সেই দিন আর নেই, বললেন এস জয়শঙ্কর  

    শনিবার থেকে ৩ দিনের সৌদি আরবে সফরে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রবিবার সৌদির রাজপুত্র মহম্মদ বিন সালমানের (Crown Prince Mohammed Bin Salman) সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর হাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) লিখিত বার্তা তুলে দেন বিদেশমন্ত্রী। ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির বিষয়েও কথা হয় সেই  বৈঠকে। বর্তমানে ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা হয়। মধ্য প্রাচ্যের এই দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে অপরিশোধিত তেল কেনে ভারত। ভবিষ্যতে এই ব্যবসা ৪২০ কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে ভারতে। পাল্লা দিয়ে রফতানি বৃদ্ধির পরিকল্পনাও রয়েছে দেশের। 

     

    আরও পড়ুন: আবু ধাবিতে ‘সম্প্রীতির প্রতীক’ হিন্দু মন্দির নির্মাণ খতিয়ে দেখলেন জয়শঙ্কর

    এবারের সৌদি আরব সফরে গিয়ে সেখানকার বিদেশমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদর সঙ্গে বৈঠক করেছেন এস জয়শঙ্কর। ভারত-সৌদি আরব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশ্ব রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর। গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহ একাধিক বিষয়ে দুই দেশের সচিব পর্যায়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দেশই রাষ্ট্রসংঘ, জি-২০ এবং জিসিসি-তে তাদের সহযোগিতা এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের মহাসচিব এইচ. ই. নায়েফ ফালাহ মুবারক আল-হাজরাফের সঙ্গে জয়শংকরের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানে শিখ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি

    Pakistan: পাকিস্তানে শিখ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার পাকিস্তানের (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দিনা কৌর (Dina Kaur) নামে এক শিখ (Sikh) মহিলাকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ (Convertion) করতে বাধ্য করা হয়। ২০ অগাস্ট ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখার বানার জেলায়। প্রথমে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়, তারপর সেই অপহরণকারীর সঙ্গে পুলিশ এবং প্রশাসনের সামনেই জোর করে ওই মহিলার বিয়ে দেওয়া হয়। 

    এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শিখ সম্প্রদায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। সোমবার এই নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন। বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব শিখরা ভারতের বাইরে থাকছেন, তাঁরা খারাপ অবস্থায় রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: তিনদিনের স্বস্তি, আগাম জামিন মঞ্জুর ইমরান খানের, গ্রেফতার করা যাবে না ২৫ অগাস্ট অবধি

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের (NCM) চেয়ারম্যান ইকবাল সিং লালপুরা ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar) বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন। এরকম ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাকিস্তানে শিখদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হোক।” 

    সংখ্যালঘু সংগঠনের তরফ থেকে এই বিবৃতি আসার আগে, ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা (Manjinder Singh Sirsa) বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব জেপি সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। দিনা কৌরকে অপহরণ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার বিষয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনারকে তলব করার অনুরোধ করেন।

    আরও পড়ুন: বিলম্বিত বোধোদয় পাকিস্তানের! কাশ্মীর নিয়ে কী বললেন শাহবাজ শরিফ জানেন? 

    সিরসা বলেন, “আমরা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি আন্তর্জাতিকস্তরে উত্থাপন করার জন্য বিদেশ মন্ত্রককে অনুরোধ করেছি। জেপি সিং জি আমাদের এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” 

    বিজেপি নেতা আরও বলেন, “নির্যাতিতার বাবা গুরুচরণ সিং থানায় গেলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শিখ সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও, পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি পুলিশ, মেয়ের সঙ্গে বাবা- মাকে দেখা করতেও বাধা দেয়।”

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সীমান্ত চুক্তি (Border Pacts) উপেক্ষা করেছে। গালওয়ান উপত্যকায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। 

    আরও পড়ুন: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২
     
    জয়শঙ্কর বলেন, “১৯৯০ সালে চিনের সঙ্গে ভারতের যে চুক্তি হয়েছিল তা মানছে না চিন। সেই সময়ের চুক্তিতে সীমান্ত এলাকায় প্রচুর সৈন্যের জমায়েত না করার কথা হয়েছিল। কিন্তু পুরনো সেই চুক্তির শর্ত উপেক্ষা করছে  বেজিং। গালওয়ান উপত্যকায় কী ঘটছে – তা এখন সকলেই জানা। এই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।” 

    ভারত ও চিনের মধ্যে বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, “এটি একমুখী সম্পর্ক হতে পারে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। চিন আমাদের প্রতিবেশী। প্রত্যেকেই তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু এই অনুভূতি দুই দেশের তরফেই থাকা উচিৎ। কিছু শর্ত আছে। আপনি আমাকে সম্মান করলে, তবেই আমি আপনাকে সম্মান করতে পারব।” তিনি আরও বলেন, “ভারত এই দৃষ্টিকোন থেকেই চিনসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রস্তুত। কিন্তু চিন সম্পূর্ণ উল্টোপথে হাঁটছে। সেখানে চিন নিজের শর্ত আরোপ করছে। ভারতের শর্ত উপেক্ষা করছে।”

    আরও পড়ুন: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল
     
    ফিঙ্গার এরিয়া, গালওয়ান উপত্যকা, হট স্প্রিংস এবং কংরুং নালা সহ একাধিক এলাকায় চীনা সেনাবাহিনী সীমালঙ্ঘন করায় ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে ভারত-চিন সম্পর্কে ফাটল ধরে। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “যেকোনও সম্পর্কই দ্বিমুখী। একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক একমুখী হতে পারে না। আমাদের সেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতা প্রয়োজন। ভারত-চিন সম্পর্ক যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এটা আর লুকোনোর বিষয় না।”  
      
    অন্যদিকে এস জয়শঙ্কর ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সম্পর্কে আরও যাতে উন্নত হয় তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন দুই দেশের সদিচ্ছা, ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার কারণেই ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সুসম্পর্ক অব্যহত রয়েছে।  

    এই সফরে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিন দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তেমনই জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। প্যারাগুয়েতে ভারতে একটি দূতাবাসও উদ্বোধন করবেন বিদেশমন্ত্রী।

     

     

     

     

LinkedIn
Share