Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ নভেম্বর ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর ১৮তম বর্ষপূর্তিতে নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শহিদ স্মরণ কর্মসূচিতে যোগদান করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১৮ বছর আগে এদিন ঘটেছিল ‘অপারেশন সূর্যোদয়’। নন্দীগ্রাম (Nandigram), শুধুমাত্র একটি জায়গার নাম নয়, নন্দীগ্রাম হল ইতিহাস, যা কোনও সময়েই বাংলার মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের মাটি আন্দোলনের মাটি, জমি রক্ষা, মাটি রক্ষা এবং এক আশ্রয়ের মাটি। মানুষের বিশ্বাসের মাটিকে কেড়ে নিতে পারেনি তৎকালীন বাম শাসনও। সিপিএমের অশুভ শক্তি জোর করে জমি দখল করতে চাওয়ার আগ্রাসী মনোভাবকে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সাধারণ মানুষ। এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।

    লালকৃষ্ণ-রাজনাথ-সুষমা স্বরাজ এসেছিলেন (Suvendu Adhikari)

    ১৮ বছর আগেকার অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৮তম বর্ষ। আমরা আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত ছিলাম, ৪২ টা মামলা খেয়েছি। আমরা এইদিন এইভাবেই উদযাপন করি। এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ নিরস্ত্র মিছিলে চপ্পল পরে কালো পোশাক পরা গড়বেতা কেশপুর থেকে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী আনা হয়েছিল। হামলা করেছিল সাধারণ জনতার উপর। মোট ১১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। এই জন্য আত্মবলিদান যারা দিয়েছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তবে শাসন ক্ষমতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা ভেবে এখানেই তৃণমূলের লোকজনও আসে। কিন্তু একক ভাবে শুধু তৃণমূল ছিল না, নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে লালকৃষ্ণ আডবাণীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। খেজুরির দিকে সমস্ত অবরোধকে তিনিই তুলেছিলেন। গণহত্যার একদিন পর লালকৃষ্ণ আডবাণী, রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ সকলে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় লোকসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। টানা ৬২ দিন সংসদ বন্ধ ছিল। তাই নন্দীগ্রামের উপর নেমে আসা তৎকালীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সকলেই আসতে পারেন।”

    কালো পতাকায় বিক্ষোভ

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন সকাল ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে নিজের কর্মসূচি পালন করেন। অপর দিকে শুভেন্দুর কর্মকাণ্ডের পর তৃণমূলের কর্মসূচি পালন করে। শুভেন্দু নিজের নির্ধারিত সময়েই শহিদ বেদিতে পৌঁছে যান। কালো পতাকা হাতে পদযাত্রা করে বেদিতে মাল্যদান করেন। তিনি মনে করেন কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকায় নয়, বাম শাসনের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে যে কোনও মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পারেন। তবে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে বিজেপি ছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান ভোলার মতো নয়। তিনি অবরোধ তুলে ধরেছিলেন।”

    চারপাঁচটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেননি

    তৃণমূল যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল পরবর্তী সময়ে সেই কথা পালন করেনি। আর তাই নন্দীগ্রামে এই শহিদ দিবসের দিনেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু আজও পর্যন্ত দিয়ে উঠতে পারেননি। আপনাকে শহিদ মিনার সভার উদ্বোধনে ডাকেনি বলে রাগ করেছেন। আপনাকে কেন ডেকে উদ্বোধন করতে হবে? আমি ফিরোজা বিবি এবং রাধারানী আড়িকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছি। আমি আপনি তো ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছি। উনারা কিছুই পাননি। একজন নিজের সন্তানকে হারিয়েছিলেন অপর জন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।” শুধু এখানেই শুভেন্দু থেমে থাকেননি, শুভেন্দু আরও বলেন, “নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেয়নি। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি। চারপাঁচটি পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। ওদের দোষ ছিল কারণ বিজেপিতে যোগদান করেছিল। আমি নিজে ওদের টাকা দিয়েছি। এই ঘটনার কথা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। আসল পরিবর্তন ২০১১ সালে হয়নি। আমরা ভুল করেছি। এইবার জনগণকে নিয়ে আসল পরিবর্তন আনবো।”

  • Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনবেন, কথা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বর্ধমান (Bardhhaman) থেকে তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একাধিক বড় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি তিনি রতন টাটার উল্লেখ করা “গুড এম, ব্যাড এম” মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন।

    গুড-এম, ব্যাড-এম মন্তব্য

    এসআইআর নিয়ে মিথ্য়াচারের অভিযোগ তুলে বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর সেখানেই টাটাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তৃণমূলকে হারাতে মানুষকে একজোট হতে আহ্বান জানান তিনি। রবিবার বর্ধমানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “রতন টাটা বলে গিয়েছিলেন, মাথায় ট্রিগার লাগিয়ে বাংলা ছাড়তে বাধ্য করল। আমি খারাপ এম-কে ছাড়লাম, ভাল এম-এর কাছে যাচ্ছি। খারাপ এম-এর নাম আমরা বলিনি, রতন টাটা বলেছেন। খারাপ এম-এর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর ভাল এম-এর নাম রতন টাটা বলে গিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি।” হুগলির সিঙ্গুর থেকে ন্যানোর কারখানা গুজরাতের সানন্দে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল প্রয়াত শিল্পপতিকে।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, বিজেপি সরকার আসলে টাটাকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি উন্নয়ন, শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন। তৃণমূলকে ‘চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দেন। তিনি সংখ্যা-ভিত্তিক সমস্যার কথাও তুলেছেন—“২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার, ৬০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ” এগুলির জন্য তিনি তৃণমূলকেই দায়ী করেন এবং পরিবর্তনের আহ্বান জানান। গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার কাজই নির্বাচন কমিশন করেছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এসআইআর নিয়ে শুভেন্দু তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেন, বাংলার পরিচয় ও ভোটার-তালিকা নিয়ে অভিযোগ তোলেন, এবং বলেন যে অনুপ্রবেশ বা অবৈধ এন্ট্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়ে হামলা চালাল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার নদিয়ায় পরপর কর্মসূচি ছিল সুকান্তর। সেখান থেকে ফেরার সময়ই এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার পিছনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের এক শ্রেণির মানুষকে উস্কে দিয়েছেন। যার ফলেই এই ধরনের হামলা হচ্ছে।

    আহত বিজেপি কর্মী হাসপাতালে

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের সরকার পাড়ায় বিজেপি-র একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সুকান্তর কনভয়ে থাকা একাধিক গাড়ি পিছিয়ে পড়ে ভুল রাস্তায় চলে যায়। তারপর নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ঘোরানোর সময় হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের দফতর থেকে অনেকে সুকান্তর কনভয়ে থাকা গাড়িতে হামলা চালায়। তারা কনভয়কে বাধা দেয়, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি ছিল বলেও অভিযোগ। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পেয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুকান্ত। তাঁর সঙ্গেই বিজেপি-র অনেক নেতা-কর্মীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

    সুরক্ষার জন্য ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা!

    প্রথমে নদিয়ার তাহেরপুরে একটি কর্মসূচি ছিল সুকান্ত মজুমদারের। পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত। এরপর পৌঁছন নবদ্বীপে। বর্তমানে সেখানে রাশ উৎসব চলছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সুকান্ত নবদ্বীপে গিয়ে রাস উপলক্ষে শ্যামা মায়ের পুজো দেন এবং বিজেপির একটি বুক স্টলের উদ্বোধন করেন। ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। এদিন কনভয়ে থাকা গাড়িতে এবং দলীয় কর্মীদের উপর হামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে সুকান্ত বলেছেন, “আমার দুই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, রক্তের হিসেব আমরা বুঝে নেব। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে, বিজেপি নিজেরাই ব্যবস্থা নিতে জানে। সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আবার আমরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি করব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমরা লড়ব। বার বার যদি আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়, তা হলে এ বার থেকে ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডাও রাখতে হবে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।”

    এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে

    কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে হামলা হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খগেন মুর্মু। সেই ঘটনার পর এবার হামলার শিকার সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এটা নিত্যদিনের কাজ হয়ে গিয়েছে। আইনের শাসন নেই। নেতাদের এই অবস্থা হলে কর্মীদের কী হবে! কেন্দ্রীয় সরকারের এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার পিছনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার নদিয়া জেলার নবদ্বীপে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের একাধিক গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় বিজেপি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপর্ণা নন্দী এবং নাদিয়া দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস আহত হয়েছেন। অর্জুন বিশ্বাস, শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মীরা গুরুতর জখম হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ‘অ্যান্টি-এসআইআর’ রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় সমাজের একাংশকে উস্কে দিয়েছিলেন। এসআইআর প্রক্রিয়াকে এনআরসি বলে আখ্যা দিয়ে তিনি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “যে এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেই জেলার পুলিশ সুপার হলেন ‘কুখ্যাত আধিকারিক’ অমরনাথ কে., যিনি প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত প্রিভিলেজ কমিটির তলবেও হাজিরা দেননি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে আতঙ্কে রয়েছে। তাঁদের এই প্রতিক্রিয়াই শেষ পর্যন্ত বাংলায় তাদের বিদায়ের পথ আরও মসৃণ করবে।”

  • Suvendu Adhikari: “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে, এখন সাপ বেরোচ্ছে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে, এখন সাপ বেরোচ্ছে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় নিবিড় সমীক্ষা (SIR) ঘোষণার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়তে শুরু করেছে। অবৈধ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ৪ নভেম্বর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর-এর কাজ শুরু হবে। তাই অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তোপ দেগে বলেন, “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে। এখন সাপ বেরোচ্ছে।”

    বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ (Suvendu Adhikari)

    ৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিএলওরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করবেন। টানা তিন মাস কাজ চলবে। ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। আর তাই কাগজে কলমে ধরা পড়ার আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারত ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট কথায় বলেন, “আজকে বলছি পালাও, হাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা রয়েছে। ৪ তারিখের আগেই পালাও। ৪ তারিখের পর যে ফর্মগুলি রিটার্ন (SIR) আসবে না, বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ। যে রাস্তা দিয়ে এসেছেন সেই রাস্তা দিয়ে পালান। ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে রাজ্যের পুলিশও বাঁচাতে পারবে না।”

    ২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে

    জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণার করার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গত কয়েকদিনে প্রচুর বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। আসলে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে যাতেই এই লোকগুলি ধরা পড়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে। সীমান্ত এলাকার গ্রাম ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। নিউটাউনে কাজের লোকেগুলি নেই। গর্তে কার্বলিক দিলে সাপ বেরোয়। জাতীয় নির্বাচন কমিশন অ্যাসিড দিয়েছে। সাপগুলি এখন বেরহচ্ছে।”

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে এতো বিরোধিতা কেন? এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সারা দেশে মোট ১২টি রাজ্যে হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন সাহেবের রাজ্যে হচ্ছে, শুধু অবিজেপি শাসিত নয়, একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এইআইআর হচ্ছে। কোথাও তো কোনও আন্দোলন বা হইচই নেই। সব কিছুতেই যেন গেল গেল রব। এই রাজ্যেই কেন?”

    অপর দিকে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “এসআইআরে গরিব লোকেরা খুব কষ্টে পড়বে, তাদের কাছে কাগজ কম আছে।” আবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনকে বিজেপি ব্যবহার করছে।” তবে নরমেগরমে ভোটের আগেই এসআইআর আবহে বঙ্গরাজনীতি এখন বিরাট উত্তাল।

  • Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি টেকাতে তৃণমূলের হাতিয়ার সেই এনআরসি জুজু! পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তি এনআরসির ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। রাজ্যে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পানিহাটির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মিথ্যাচার করছে বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের একাংশেরও দাবি, অযথা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসক দল।

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ (Suvendu Adhikari)

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ খুলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যিনি মারা গিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। তিনি তখন ভোট দিয়েছেন। ফলে এসআইআর হলে তো তাঁর চিন্তার কিছু নেই। তাছাড়া, যে পরিবারের কথা বলা হচ্ছে, তারা তৃণমূল করে। মৃতের আত্মীয় বলতেও তেমন কেউ নেই। দেখা উচিত, সুইসাইড নোট কে লিখেছেন।” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা বলেছিলেন এসআইআর হতে দেব না, ঘেরাও করা হবে। বাস্তবে দেখা গেল, এসআইআর হচ্ছে এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নামও বাদ পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। মমতা কালীঘাটে বাটি নিয়ে বসবেন, ভাইপো যাবেন জেলে।”

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে নথি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “ফলতার ১৭৬ নম্বর পার্টে চাঁদপালা সন্তোষপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের ক্ষেত্রে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত দিব্যেন্দু সরকার ফলতা ব্লকের হরিণডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।” তাঁকে বিএলওর পদ থেকে সরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বিএলওদের বিহারের কথা মনে করাব। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় ৫২ জন এখনও জেলে রয়েছেন। ভাবতে পারেন ওখানে নীতীশ কুমারের পুলিশ বলে জেলে, এখানে কিছু হবে না। কিন্তু আপনাদের জেলে পাঠাতে আমরা সবরকম বন্দোবস্ত করব। তাই বিজেপি কিংবা অন্য কোনও (SIR) পার্টির কথা না শুনে সঠিকভাবে কাজ করুন, কেবল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণা করেছে এই রাজ্যে। দেশজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২টি রাজ্যে রীতিমতো কাজও শুরু হয়েগিয়েছ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা এসআইআর-এর বিরোধিতা করে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ‘দেখে নেবো। যেখানেই থাকেন খুঁজে বার করব।’ এবার অভিষেককে আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কাছের আমলাদের নিয়ে তালিকা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারিতেই হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন।” এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবশ্য সাফ কথা কোনও অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা যাবে না। পাশাপাশি কোনও বৈধ ভোটারের নামও তালিকা থেকে বাদ যাবে না।

    ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট বানিয়েছে (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হুগলির ভদ্রেশ্বরে দক্ষিণপাড়া সারদাপল্লিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এসআইআর নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বিরুদ্ধে নাম না করে তোপ দাগেন। আইপ্যাক ও ভাইপো বলে সম্বোধন করেন। শুভেন্দু বলেন, “আইপ্যাক ভাইপো আর ভাইপোর কাছে আইএএস-রা ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট (SIR) বানিয়েছে। তবে কোনও লাভ হবে না। কমিশনের নজরদারি কঠিন থাকবে। আমরাও কড়া ভাবে নজর রাখব। এসআইআর কেউ আটকাতে পারবে না, এসআইআর হলেই ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত হবে।”

    ভারতীয়দের কোনও চিন্তা নেই…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসআইআর প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা বলেছিলাম এসআইআর হবে। অনুপ্রবশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। যারা ভারতীয় নয়, তারা কেন ভারতে ভোট দেবে? এই তালিকায় কোনও ভারতীয়দের চিন্তা নেই সে যে দল করুক না কেন। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের কোনও চিন্তা নেই। একইভাবে ভারতীয় মুসলমানদেরও চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারতীয়দের জন্য কোনও ভয় নেই। ভাষা ও জাতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে আলাদা না হওয়ার কথা বলছি। পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা কমছে। হিন্দুরা নিজের নিজের ধর্মপালনে সবরকম ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বছরের পরম্পরাকে মানতে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম-উৎসব, পালা-পার্বণে এক অশুভশক্তি বিরাট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে ৩৩ শতাংশ হিন্দু ছিল। এখন তা কমে মাত্র ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ। ২০৩১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা হবে ৬৫ শতাংশে নেমে আসবে।”

    মা কালীকে উনি প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন…

    আবার একই দিনে দুর্গাপুরে স্বপ্ন উড়ান-এর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হাতে ত্রিশূল নিয়ে রণংদেহী মেজাজে তৃণমূলের অপশক্তির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “ঠিক ভাবে বাংলায় এসআইআর হলে অনেকেই প্রাক্তন হয়ে যাবে। মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন মমতা। আর ভাতা, ভিক্ষাতে তিনি চটকদারির রাজনীতি করেন। কারণ উনি জানেন, ওনার সঙ্গে সলিড ৩৫% ভোট রয়েছে। আরও ১০%-এর দিকে ভাতা ছুড়ে দেন। তাতে যা আসে। তারপর তো ছাপ্পা আছে। কিন্তু এসআইআর হলে কোনও কিছুই হবে না।”

    তবে বিহারে এসআইআর (SIR) ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই রাজ্যে যাতে জাল ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ যায় তা নিয়েই তৎপর কমিশন। মমতা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাজে বাধা দিলে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট হয় কিনা তাই এখন দেখার।

  • Suvendu Adhikari: সোমেই ঘোষণা এসআইআর-এর! “আপনারা প্রস্তুত তো?” বিএলওদের বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সোমেই ঘোষণা এসআইআর-এর! “আপনারা প্রস্তুত তো?” বিএলওদের বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সোমবার থেকেই এসআইআর (SIR) ঘোষণা হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তৃণমূল সরকারের হুমকিকে ভয় পাবেন না। নির্বাচন কমিশন কোনও রাজনতিক দল নয়। আপনারা সব রকম ভাবে প্রস্তুত তো?” ঠিক এই ভাবেই ভোটার তালিকা সংশোধনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অভয় বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার বিকেলেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন গোটা দেশ জুড়ে এসআইআর ঘোষণা করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে রাজ্যে এসআইআর নিয়ে শাসক বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে।

    ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যেই কাজ শুরু (Suvendu Adhikari)

    সোমবার ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন। কমিশন সূত্রে খবর, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এসআইআর-এর (SIR) কাজ শুরু হয়ে যাবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মনে করা হচ্ছে ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আর কাজ শেষ করার সময় দেওয়া হতে পারে আগামী মাসের জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত। আর তাই কমিশন সাংবাদিক সম্মলেনের ডাক দিতেই শুভেন্দু বলেন, “ভবানীপুর থেকেই এসআইআর শুরু হবে। ভাবানীপুরে বিজেপি নিজের জায়গা ধরে রাখার কাজ করবে।” এদিকে, বিএলও-দের সমীক্ষার কাজে সাহায্য করতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করার কথাও ভেবেছে কমিশন। মূলত স্কুলের স্থায়ী শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী বা সরকারি আধিকারিকদের এই কাজের জন্য নিয়োগ করতে চাইছে কমিশন। কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, যে সব ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১২০০-র বেশি, মূলত সেই সব জায়গাতেই স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। ২৯ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।

    কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না

    আগামী বছর তামিলনাড়ু, অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং পুদুচেরিতে ভোট। তাই নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই ভোটার তালিকা সংশোধন করতে ময়দানে নেমে পড়েছে। কমিশনের সাফ কথা অভারতীয়রা ভারতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ভোট দিতেও পারবে না আবার ভোটে নির্বাচিতও হতে পারবে না। গত সপ্তাহের বুধ-বৃহস্পতিবার সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বৈঠক করেছেন। বিহারে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই এখন গোটা দেশ জুড়ে এসআইআর-এর কাজের জন্য অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে কমিশন। তবে কমিশনের সাফ কথা, প্রতিবছর নিয়ম করে মৃত ভোটার বা অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয় এবং নতুন ভোটারদের নাম যুক্তও করা হয়। এটা দেশে কোনও নতুন বিষয় নয়। কোনও বৈধ ভোটারের নাম যেন বাদ না যায় আর অপর দিকে কোনও অবৈধ ভোটারের যেন নাম না থাকে, এই কাজই কমিশনের প্রাথমিক লক্ষ্য। প্রসঙ্গত, রাজ্যে সম্প্রতি বুথের সংখ্যাও বেড়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রায় ৮০ হাজার বুথ ছিল এত দিন। এখন তা বেড়ে প্রায় ৯৪ হাজার হয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: ‘ভবানীপুরে মমতাকে হারাবই, বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন’, অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘ভবানীপুরে মমতাকে হারাবই, বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন’, অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হবে, বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) ভবানীপুর আসনে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রার্থী হবেন ধরে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোর দাবি করেছেন তিনি। রবিবার অঙ্ক কষে শুভেন্দু বললেন, “ভবানীপুরে বিজেপির যিনিই প্রার্থী হবেন, তিনিই জিতবেন।” একইসঙ্গে শুভেন্দু দাবি করেছেন, আজ, সোমবারই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরুর ঘোষণা করতে পারে কমিশন।

    ভবানীপুর বিজেপির জায়গা

    রবিবার ভবানীপুর বিধানসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘আউটসাইডার’ মন্তব্য তুলে ধরে সরব হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। কয়েকদিন আগে ভবানীপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে উত্তরবঙ্গ থেকে ফোনে বক্তব্য রাখার সময় মমতা বলেছিলেন, ভবানীপুরে ‘আউটসাইডারদের’ দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে নিজের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কথা অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি বহিরাগত বলতে এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের কথা বলিনি।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাজস্থান, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের লোককে বলেছেন বহিরাগত। এটা কেউ বলতে পারে? এরা সবাই ভারতীয়। পরের দিন ঢোঁক গিলেছেন। বুঝেছেন, একটু গোলমাল হয়েছে। এই ভাগ করার রাজনীতি ওঁর রয়েছে, এটা সবাই বুঝেছে। এবার বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন।” ভবানীপুরকে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ বলে উল্লেখ করে জানালেন, ভবানীপুর বিজেপি-রই জায়গা, যা তারা ধরে রাখবে।

    ভবানীরে প্রার্থী কে

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) নন্দীগ্রামে মমতা এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মধ্যে জোর টক্কর দেখেছিলেন রাজ্যবাসী। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভবানীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জল্পনা উস্কে দিয়েছেন শুভেন্দু। ভবানীপুরে বিজেপির প্রার্থী প্রসঙ্গ বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিজেপিতে এভাবে হয় না। পার্টি ঠিক করবে, কে প্রার্থী হবে।” তারপরই শুভেন্দু অঙ্ক দিয়ে বোঝান কেন ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীই জিতবেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “ম্যাপিংয়েই এক লক্ষ ২০ হাজারের নাম বাদ গিয়েছে। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হলে কমপক্ষে ৫০ হাজার মৃত ও ভুয়ো ভোটার ও চেতলায় থাকা বাংলাদেশি ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর যাদের ক্যানিং ও ভবানীপুরে, ফলতা ও ভবানীপুরে নাম রয়েছে, এবার আর উঠবে না। তারপর তো এই সিটে লিড ৩০ হাজার দিয়ে শুরু করবে বিজেপি।”

    ভবানীপুর মিনি ইন্ডিয়া

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “আমাদের তথাগত রায়, শিক্ষাবিদ, ত্রিপুরার রাজ্যপাল হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি এখান থেকে ৪০০ ভোটের লিড নেন। এটা হচ্ছে মিনি ইন্ডিয়া…নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। ভবানীপুরে শিখ, সিন্ধি, মাড়োয়ারি, বিহার-উত্তরপ্রদেশের হিন্দিভাষী, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উৎকল, গুজরাটি, রাজস্থানের সব জেলার মানুষ রয়েছেন। সেই সঙ্গে আছেন বাঙালিরা। ধর্ম বাঁচাতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু বাঙালিরা রয়েছেন এখানে। বর্ধিষ্ণু পরিবার, শিক্ষিত মানুষ আছেন। এটা বিজেপি-র জায়গা। অতএব এই জায়গা ধরে রাখার কাজ করবে বিজেপি। বিজেপি এখানে আছে। কালীঘাটের কাছে…ওয়াকিং ডিসট্যান্স। কয়েকশো মিটার হাঁটলেই পৌঁছনো যাবে। ইয়ে তো পহেলে ঝাঁকি হ্যায়, অভি বহুত বাকি হ্যায়। পোস্টার ব্যালট গোনা চলছে, ইভিএম-এ হাত পড়েনি এখনও। লাফিয়ে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে আমাকে হারাতে। আমি ওঁকে হারিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। মরে গেলে উপনির্বাচন হয়। উনি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে খড়দা পাঠিয়ে, নিজে ছাপ্পা মেরে এখানে জিতেছেন।”

    সোমবারই এসআইআর ঘোষণা

    আজ, সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিনই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরুর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। সেই নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা জোট বেঁধে কাজ করুন। সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, সোমবার এসআিআর-এর (SIR) ঘোষণা করতে পারে কমিশন। আপনারা প্রস্তুত তো! বাড়ি বাড়ি বিএলও-রা যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র। বিএলও-রা চাপে থাকবেন। ভয় পাবেন না। চারটি ডব্লুবিসিএস অফিসার সাসপেন্ড হয়েছে। এফআইআর পেন্ডিং। আরও দু’জন সাসপেন্ড হওয়ার পথে। বিচার-বিবেচনা চলছে। আগে এসব করেনি কমিশন।” শুভেন্দুর আরও দাবি, “এমনিতে কয়েক লক্ষ পালিয়ে গিয়েছে। আবার এসআইআর ঘোষণা হলে তো দেখতে হবে না। ৮০ ভাগ এমনি পালাবে। আবার কমিশন যদি ঘোষণা করে, কোনও বাংলাদেশি মুসলিমকে ধরে দিলে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। তাহলে এই কাজটা বিএলও ও বিজেপিকে করতে হবে না। তৃণমূলই করে দেবে।” নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর কথা ফের স্মরণ করে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “ওকে হারাবই। শুধু সাহায্য করুন। ভয় পাবেন না। মিথ্যা মামলা করলে পাশে থাকব।”

  • Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে এসআইআর নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তীব্র ভাবে উত্তাল। তৃণমূলের তৈরি করা এসআইআর সম্পর্কিত বিভ্রান্তি আগুনে জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অপর দিকে নিবিড় তালিকা সংশোধনে হিন্দুদের অভয় দিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজয় সংকল্প যাত্রা থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ করলেন বিজেপির এই দুই হেভিওয়েট নেতা।

    চোর সরকারকে উৎখাত করবই (Sukanta Majumdar)

    এসআইআর নিয়ে কোনও ভয় নেই। চিন্তামুক্ত থাকতে বলেন রাজ্যবাসীকে। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা বিজেপির সকল নেতৃত্ব মিলে ঠিক করেছি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোর সরকারকে উৎখাত করবই। আর তা হলেই আমাদের শান্তি হবে। নয়তো আমাদের শান্তি নেই। তৃণমূল এসআইআর নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। আপনারা ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল বলবে মুসলমানদের বাদ দিয়ে দিয়ে দেবে। আমি বলব মসুলিমদের কোনও ভয় নেই। ভারতীয় নাগরিকদের কেউ ছুঁতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ থেকে আগতদের চিহ্নিত করা হবে। ভারতীয়রা এই দেশে আছেন থাকবেন।”

    ধর্মীয় বিভাজনের চক্রান্তকে সমালোচনা করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “আমরা প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষ, ওরা ছদ্মবেশী ধর্ম নিরপেক্ষ। আমরা লড়াই চাই না। নরেন্দ্র মোদি সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ চান। সিএএতে আবেদন করে নিজেদের অধিকারকে রক্ষা করুন।”

    ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত মালদা জেলায় শরণার্থী হিন্দুদের কাছে বিরোধী দলনেতার গ্যারান্টি এবং আবেদন সিএএ-তে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করুন। ভোটার তালিকায় আপনার নাম থাকবে। আমি আপনাদের গ্যারান্টি থাকছি, সমস্যা হবে না। মমতা এবং তাঁর পুলিশ বলছে সিএএতে আবেদন করলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। এটা ঠিক নয়। পেহেলগাঁওতে নিহত বিতান অধিকারীকে কেবলমাত্র হিন্দু বলেই খুন হতে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রীকে সিএএতে আবেদন করিয়ে আমরা ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি।”

  • Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর রায়ে খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২২ সালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করেছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এরপরই শুভেন্দু জানান, হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশিরভাগ মিথ্যা মামলা খারিজ করেছে আদালত। তাই রক্ষাকবচের প্রয়োজন সেই অর্থে নেই।

    কেন খুশি শুভেন্দু

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি হাইকোর্টের রায়ে খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুলিশকে দিয়ে গত ৫ বছরে আমার বিরুদ্ধে যত মামলা করেছিল, হাইকোর্ট সেই সব মামলার বেশিরভাগ খারিজ করেছে। বাকি মামলা সিবিআইকে দিয়ে সিট বানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ যে মমতার ক্রীড়নক, রাজনৈতিক টুল, এটা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আবার মিথ্যা মামলা করলে আবার হাইকোর্টে আমি যেতে পারব, সেই স্বাধীনতাও হাইকোর্ট দিয়েছে। অতএব দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। মমতাকে প্রাক্তন করব। ওর ভাইপোকে জেলে পাঠাব।”

     রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ

    ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) রক্ষকবচ দিয়েছিলেন। যার ফলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করার আগে অভিযোগকারীদের আদালতের অনুমতি নিতে হত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। আর তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা-সহ চারটি মামলায় সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের যুগ্ম সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আগে যা ছিল, এখনও তাই

    এদিন ২০২২ সালে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া হাইকোর্টের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে বিচারপতির মন্তব্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রক্ষাকবচের যে রায় ছিল, তা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ছিল। কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। এর ফলে থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজ্যকে আর আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। হাইকোর্ট রায় ঘোষণার পরই শাসকদের একাধিক নেতারা সব সুর চড়াতে শুরু করেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল বেকার নাচছে। এই মামলা আমারই পক্ষে গেছে”। ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যত গুলো মিথ্যে মামলা দিয়েছিল এই জেহাদি সরকার সব স্থগিত করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, খুন, হামলা থেকে শুরু করে যা যা মিথ্যে মামলা সাজিয়েছিল সেগুলোও খারিজ করেছে।” বিরোধী দলনেতার কথায়, “এই রায় আমার কাছে কোন নেগেটিভ রায় নয়। তৃণমূল নাচছে নাচুক। ওরা সারাদিন আমাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে।” বিজেপি নেতা তথা আইনজ্ঞ তাপস রায়ও বলেন, রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে হইচই করা হচ্ছে, এই ব্যাখ্যাটাই আসলে ভুল। তাপসবাবু বলেন, “বিরোধী দলনেতার আগেও কোনও রক্ষাকবচ ছিল না, এখনও নেই। আগেও আদালত বলেছিল, হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এফআইআর দায়ের করতে হবে। এখনও সেই অবস্থানই রয়েছে।”

    যে কোনও ঘটনায় শুভেন্দুকে জড়ানোর চেষ্টা

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক এফআইআর করছে পুলিশ। ছোটবড় যে কোনও ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে। এফআইআরগুলিকে ভুয়ো বলে উল্লেখ করে ২০২১ এবং ২০২২ সালে দু’বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই সময়ে বিচারপতি মান্থা এফআইআরগুলিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন এবং জানান, আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর আর করা যাবে না। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। তবে শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের(Calcutta High Court) সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি।

    শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বিচারপতি সেনগুপ্ত অধিকাংশ এফআইআর বাতিল করে দিয়েছেন। চার-পাঁচটি এফআইআর শুধু বাতিল করা হয়নি। আদালত জানিয়েছে, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের নিয়ে সিট গঠন করতে হবে। তাঁরা ওই মামলাগুলির তদন্ত করবেন। আগের মামলাগুলির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে। তাই একে ঠিক রক্ষাকবচ প্রত্যাহার বলা চলে না।’’ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে রাজ্য সরকার নানা ভাবে বিরোধী দলনেতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা শুভেন্দুর আইনজীবীর। রাজ্য পুলিশের কাজে আস্থা নেই বলেই সিবিআইকে সিটে শামিল করা হয়েছে, দাবি তাঁর।

LinkedIn
Share