Tag: tmc

tmc

  • RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, নার্সিংহোমে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, নার্সিংহোমে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে এবার সিবিআই-এর নজরে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ সিবিআইয়ের অপরাধদমন শাখার আধিকারিকরা সুদীপ্তের সিঁথির মোড় সংলগ্ন বিটি রোডের বাড়িতে পৌঁছন। বিধায়কের মালিকানাধীন বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোমেও যান অফিসাররা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে সুদীপ্তের বাড়ি এবং নার্সিংহোমে।

    দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি 

    প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি রাজ্যের হেল্‌থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ যখন সিবিআই আধিকারিকরা সুদীপ্তের বাড়িতে হানা দেন, তখন নীচের তলার অফিস ঘরেই ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। তদন্তকারীদের একটি দল নার্সিংহোমটিতেও তল্লাশি অভিযান চালায়। তিন জন সিবিআই আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন সুদীপ্তকে। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর সুদীপ্তের বাড়ি থেকে বেরোয় সিবিআই। 

    সুদীপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুদীপ্ত রায়। ঘটনার দিন সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা হয় সুদীপ্ত রায়ের। সকালে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছিলেন সন্দীপ। কল ডিটেলস রেকর্ডের সূত্র ধরে জানতে পেরেছে সিবিআই।  সেই সূত্র ধরেই তদন্তে সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও নার্সিংহোমে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সুদীপ্ত রায়কে নিয়ে প্রথম অভিযোগ করেছিলেন, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার নন-মেডিক্যাল আখতার আলি। তিলোত্তমা পর্বে তা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আখতার আলি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছিলেন, এক প্রভাবশালীর নার্সিংহোমে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হত। হাসপাতালের যাঁরা ভেন্ডার, তাঁদের দিয়ে সেই নার্সিংহোমের কাজ করানো হত। জানা যাচ্ছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার সুদীপ্তের নার্সিংহোমে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    নানা প্রান্তে ইডির তল্লাশি

    এদিন আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইডির একটি দল চিনার পার্কের ঘোষ ভিলা-তে যায়। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের বাবা মা থাকতেন। বর্তমানে বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল। আজ সকালে ইডির টিম সেখানে যায়। এরপর ঘোষ পরিবারের স্থানীয় এক পরিচিত এসে মূল দরজার তালা খুলে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, কলকাতায় ৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এর মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এছাড়া বাকি দুটি ঠিকানা হল, লেকটাউনে একটি মেডিক্যাল সাপ্লায়ারের অফিস ও টালা এলাকায় এক মেডিক্যাল ভেন্ডরের বাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Case: যুবকের মৃত্যুতে মিথ্যাচার! ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেককে’, দাবি ডাক্তারদের

    RG Kar Case: যুবকের মৃত্যুতে মিথ্যাচার! ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেককে’, দাবি ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। তিনি মিথ্যাচার করেছেন। ঠিক এই দাবিতে গর্জে উঠেছেন আন্দোলনরত আরজি করের (RG Kar Case) জুনিয়র ডাক্তাররা। হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হলে, তা নিয়ে সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তিনি বলেন, যুবক নাকি বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন, আর তাকে ঘিরেই ব্যাপক বিতর্কের দানাবাঁধে।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ (RG Kar Case)

    জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স, ওয়েস্ট বেঙ্গলের পক্ষ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা, তৃণমূল সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ তুলেছেন। একই ভাবে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেছেন ডাক্তার সংগঠন। তৃণমূল নেতার বিনা চিকিৎসার তত্ত্বকে অস্বীকার করে বলেছেন, “সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যুবকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যর সময় পর্যন্ত চিকিৎসা চলছিল। কাজেই তৃণমূল নেতার দেওয়া তথ্য ভুল।” অপর দিকে আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যুবককে নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসা করানো হয়েছিল। সমস্ত চিকিৎসার পরিষেবা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। অস্থিবিশারদ ও ট্রমা কেয়ারের টিমের সিনিয়র চিকিৎসকরা যুবকের চিকিৎসা শুরু করেছিলেন৷ বেশ কয়েকটি পরীক্ষাও করা হয়েছিল৷ সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও রয়েছে আমাদের কাছে।” জুনিয়র ডাক্তাররা সেইসঙ্গে বলেন, “আমাদের কর্মবিরতি চললেও পরিষেবা কোনও রকম ভাবে বন্ধ নেই।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    অভিষেক কী বলেছিলেন?

    ৬ সেপ্টেম্বর নিজের এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “৩ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা ছাড়াই আরজি করের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন দুর্ঘটনায় আহত কোন্নগরের ওই যুবক। জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Case) দাবি ন্যায্য হলেও, প্রতিবাদ এমন ভাবে করা উচিত, যাতে জরুরি পরিষেবা ব্যাহত না হয়।” উল্লেখ্য যুবককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুর হাসপাতালে। সেখানে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার বলেন, বিক্রম ভট্টাচার্য নামে ওই যুবককে আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Case) রেফার করাই হয়নি। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।” ফলে অভিষেকের মন্তব্যে ডাক্তার মহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jawhar Sircar: ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    Jawhar Sircar: ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষকে কথা দিয়েছি। তাই আর ফেরা সম্ভব নয়।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মুখের ওপর এ কথা বলে দিলেন প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar)। রবিবার সাংসদ পদে ইস্তফা ও রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানার কথা ঘোষণা করেন জহর। তার পরেই তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

    কী বললেন জহর? (Jawhar Sircar)

    বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের মধ্যে। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে আর সাংসদ পদে থাকা সম্ভব নয়। তাঁর ফিরতে না পারার কারণও ব্যাখ্য করেন প্রাক্তন আমলা।জানা গিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর দিল্লি যাবেন তিনি। সেখানে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন জহর। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি এই প্রাক্তন আমলা। শুধু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমায় ফোন করেছিলেন। আমার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে বা কী কথা হয়েছে, তা আমি প্রকাশ্যে বলব না।”

    সেই মমতা কই?

    দলনেত্রীকে পাঠানো চিঠিতে জহর (Jawhar Sircar) লিখেছেন, “গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যেসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এক কথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।” প্রাক্তন এই আমলা লিখেছেন, “আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষরা অরাজনৈতিক ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। তাই রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। শুধু এক বাক্যে বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।” জহর (Jawhar Sircar) লিখেছেন, “আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম। তবে আমার রাজ্যে (Mamata Banerjee) দুর্নীতি আর দলীয় নেতাদের একাংশের অন্যায় দাপট দেখে আমি হতাশাগ্রস্ত।”

    আরও পড়ুন: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shivraj Chouhan: “শাহজাহানকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে তো?”, মমতাকে মোক্ষম প্রশ্ন শিবরাজের

    Shivraj Chouhan: “শাহজাহানকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে তো?”, মমতাকে মোক্ষম প্রশ্ন শিবরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে তো?” মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এই প্রশ্নটাই ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Chouhan)। মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোটাভুটি ছাড়াই পাশ হয়েছে অপরাজিতা বিল, ২০২৪ (Anti Rape Bill)।

    চৌহানের প্রশ্ন (Shivraj Chouhan)

    আরজি করকাণ্ডের প্রেক্ষিতেই এই বিল পাশ করিয়েছে মমতার সরকার। ধর্ষণের কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে ভারতীয় দণ্ডসংহিতায়। তার পরেও পৃথক বিল পাশ করিয়ে মমতা আইওয়াশ করতে চাইছেন বলে অভিযোগ। এই বিল নিয়েই মোক্ষম প্রশ্নটি ছুড়ে দিলেন শিবরাজ। মঙ্গলবার ‘অপরাজিতা’ বিলকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “এটা জনগণের নজর ঘোরানোর চেষ্টা।” তিনি বলেন, “চাপে পড়েই দিদি এই বিল এনেছেন। আরজি করের ঘটনা থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই এই চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে তিনি কেন এই বিল আনেননি? আগে কেন নির্যাতিতার প্রতি সহানুভূতি দেখাননি?” মুখ্যমন্ত্রীর জবাবদিহিও দাবি করেন শিবরাজ। বলেন, “এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়া উচিত দিদির।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই আইনে কি শেখ শাহজাহানের মতো লোকদেরও মৃত্যদণ্ড দেওয়া হবে? এটা স্রেফ নজর ঘোরানোর চেষ্টা। এই ধরনের আইন আনার কোনও অর্থই হয় না (Shivraj Chouhan)।”

    শিবরাজের মুখে শাহজাহানের নাম

    প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্তে গেলে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। উত্তর ২৪ পরগনার এই সন্দেশখালিতেই বাড়ি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। শাহজাহানের দলবল হামলা করেন তাঁদের ওপর। এই ফাঁকেই গা ঢাকা দেয় তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। তার পরেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন স্থানীয়রা। তখনই জানা যায়, তোলাবাজি, জমি দখল, খুন, ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই (Anti Rape Bill) মমতাকে নিশানা করতে গিয়ে শিবরাজের (Shivraj Chouhan) মুখে এল শাহজাহানের নাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandip Ghosh: এক-এক করে খুলছে মুখ, সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ‘বিদ্রোহ’ শুরু তৃণমূলে

    Sandip Ghosh: এক-এক করে খুলছে মুখ, সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ‘বিদ্রোহ’ শুরু তৃণমূলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তার পরেই তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে বিদ্রোহ (TMC Inner Clash)। আরজি করকাণ্ডকে ঘিরে তীব্র আন্দোলনের জেরে তৃণমূল যে ক্রমশ ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে, এই বিদ্রোহই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এতদিন চুপ করে রইলেও, এখন সুযোগ বুঝে দলের প্রতি চাপা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরের ছোট-বড় বিভিন্ন নেতা।

    সুখেন্দুশেখরের কটাক্ষ (Sandip Ghosh)

    গত কয়েকদিন ধরেই বেসুরো শোনাচ্ছিল সাংসদ তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়কে। সন্দীপের গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “মিডল স্ট্যাম্প আপরুটেড, হোয়াট নেক্সট?” বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘মাঝের স্টাম্প ছিটকে গেল, এবার কে?’ কখনও বাস্তিল দুর্গের পতনের ছবি, কখনও আবার আরকে লক্ষ্মণের কার্টুন শেয়ার করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন সুখেন্দুশেখর। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তাঁর বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের শান্তনু সেনও। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “ঈশ্বর বিচার করলেন। প্রমাণ হল আমি ভুল বলিনি। সঠিক জায়গায় দুর্নীতির তথ্যগুলো অনেক আগেই জানিয়েছিলাম।”

    দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন কুণাল

    তৃণমূলের কুণাল ঘোষ দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লবি হিসেবেই পরিচিত। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “সিবিআই তদন্ত করছে। সম্ভবত দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়টি সন্দীপ বা তাঁর আইনজীবীরা বলতে পারবেন। দলের কোনও বক্তব্য নেই। কিছু অভিযোগ অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল। তখন পদক্ষেপ নিলে এখনকার অস্বস্তি এড়াতে পারত স্বাস্থ্যভবন।” কুণালের মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। তাই কুণালের ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (Sandip Ghosh)।

    এদিকে, নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা তথা উত্তরপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের কাঞ্চন মল্লিক। ১ সেপ্টেম্বর হুগলির কোন্নগর শহর ও নবগ্রাম মহিলা তৃণমূলের উদ্যোগে ধর্না কর্মসূচি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চনও। সেখানেই বেফাঁস মন্তব্য করেন বিধায়ক। পরে চান ক্ষমা। বলেন, “আমি যা বলেছি, তার জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও দুঃখিত। আমার বাড়িতেও একজন বৃদ্ধ মানুষ রয়েছেন। তাঁকে মেডিক্যাল সাপোর্ট দিতে (TMC Inner Clash) হয়। আমি জানি, ডাক্তারের (Sandip Ghosh) প্রয়োজন কতটা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “এটা পশ্চিমবঙ্গ না মিনি পাকিস্তান?”, মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এটা পশ্চিমবঙ্গ না মিনি পাকিস্তান?”, মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা পশ্চিমবঙ্গ না মিনি পাকিস্তান (Mini Pakistan)?”, ঠিক এই ভাষায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিউটাউনে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বড় অভিযোগ করলেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সুকান্ত। একদিকে যখন আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য কলকাতার রাজপথ উত্তাল, তখন অপর দিকে খাস কলকাতার বুকে ঘটে চলেছে হত্যাকাণ্ড! প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন (Sukanta Majumdar)!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) নিজের এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হল। এতবড় অপরাধের পরেও খুনিরা এখনও অধরা। এই সরকার দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেয়। বাংলা যেন মিনি পাকিস্তানে (Mini Pakistan) পরিণত হয়েছে।”

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ইকো পার্কের কাছে শ্যুটআউট করে খুন করা হয় এক ব্যবসায়ীকে। মৃত ব্যবসায়ীর নাম নাসিরউদ্দিন খান। তিনি ভাঙড়ের (Mini Pakistan) ইট ব্যবসায়ী ছিলেন। রাত দশটার সময় বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে হামলা করা হয়। এরপর দুষ্কৃতীরা দ্রুত সেখান থেকে চম্পট দেয়। তবে ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাঁর ব্যবসায়ীক পার্টনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম রফিকুল ইসলাম। পুলিশ তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে আরজি কর-কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনার মধ্যেই ইলামবাজারে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত নার্সের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। সাত বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে মধ্যমগ্রামের রাজবাড়ি এলাকায়। অপরদিকে হাওড়া সদর হাসপাতালে এক নাবালিকা রোগীকে নির্যাতন করেছে এক ল্যাবকর্মী। একই ভাবে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জেও। একের পর এক অমানবিক ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আরও পড়ুনঃজনতার ক্ষোভে ভাঙল ব্যারিকেড, বিজেপির ‘জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও’ অভিযানে উত্তাল বাংলা

    আইন শৃঙ্খলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক!

    একই ভাবে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনই বাংলার বীরভূমের ইলামবাজার, নদিয়া, মধ্যমগ্রাম এবং হাওড়ায় ৪টি পৃথক পৃথক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ, মহিলাদের জন্য সব থেকে অসুরক্ষিত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ নির্মাণ করার জন্য। কঠোর আইন প্রয়োগ এবং ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট নির্মাণ করতে পারেননি। ধর্ষণ ও পকসো আইন মামলায় অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য কোনও কাজ করেননি। চূড়ান্ত একজন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kakali Ghosh Dastidar: মহিলা চিকিৎসক নিয়ে কুমন্তব্য! বেগতিক বুঝে ক্ষমাপ্রার্থী তৃণমূল সাংসদ কাকলি

    Kakali Ghosh Dastidar: মহিলা চিকিৎসক নিয়ে কুমন্তব্য! বেগতিক বুঝে ক্ষমাপ্রার্থী তৃণমূল সাংসদ কাকলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহিলা চিকিৎসককে অসম্মানসূচক মন্তব্য তৃণমূলের মহিলা চিকিৎসক সাংসদেরই (TMC MP)! একজন মহিলা হয়ে কীভাবে আরেক মহিলাকে এহেন কুমন্তব্য করলেন? এই প্রশ্ন এখন রাজনীতির আঙ্গিনায় শোরগোল ফেলেছে। ঘটনায় তৃণমূল দল ব্যাপক অস্বস্তির মধ্যেও পড়েছে। এরপর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ক্ষমা চাইলেন বারাসত লোকসভার সাংসদ কাকালি ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar)।

    ছাত্রীকে কোলে বসিয়ে পাশ (Kakali Ghosh Dastidar)!

    এক বিতর্ক সভায় তৃণমূল সাংসদ কাকলি (Kakali Ghosh Dastidar) বলেন, “ছাত্রীকে কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছে। আমি তীব্র নিন্দা করি। আমার ছেলেরা নিন্দা করেছিল বলে কম নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এখন প্রথিতযশা চিকিৎসক। মুখ খুললে থিসিস আটকে দেওয়া হবে, আমি এটা ভাবতে পারিনি।” এরপর চিকিৎসক মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়, একাধিক সংগঠন তীব্র আপত্তি জানিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করে। এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বিতর্ক সভায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

    চিকিৎসক সংগঠনের দাবি বহিষ্কার

    এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির চিকিৎসকেরা বিবৃতি দিয়ে বলেন, “কাকলির (Kakali Ghosh Dastidar) ওই মন্তব্য অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং নিন্দনীয়। এই মন্তব্য মহিলা চিকিৎসকের যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য। তাঁকে অবিলম্বে এই সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।” আবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফেডারেশেনের তরফে সঞ্জয় হোম চৌধুরী এবং কৌশিক চাকি লিখিত বিবৃতি দিয়ে বলেন, “তাঁর এই মন্তব্য গোটা দেশের মহিলা চিকিৎসকদের জন্য অসম্মানজনক। মন্তব্য প্রত্যাহার করার পাশাপাশি অবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে কাকলিকে।’’

    আরও পড়ুনঃ ২ সেপ্টেম্বর ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    চাপে পড়ে ক্ষমা চাইতে হল

    উল্লেখ্য নিজেও তিনি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। কুমন্তব্যের চাপে কাকলি (Kakali Ghosh Dastidar) ঘোষ দস্তিদার ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমি নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি, যদি ওই মন্তব্যের জন্য কেউ আঘাত পান, আমি তার জন্য দুঃখিত। আমার (TMC MP) মন্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি। আমি সব সময় মেয়েদের সুরক্ষার পক্ষেই কথা বলি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medinipur Medical College Hospital: মেদিনীপুর মেডিক্যালে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেন জানেন?

    Medinipur Medical College Hospital: মেদিনীপুর মেডিক্যালে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের রেশ এখনও মেলায়নি। এই আবহে এবার খবরে চলে এল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Medinipur Medical College Hospital)। এখানে কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Chatra Parishad) এক নেতা। নাম মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক। ঘটনাচক্রে তিনি আবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ জুনিয়র ডাক্তাররা বৃহস্পতিবার করলেন অবস্থান বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন চিকিৎসক মহম্মদ সিবি।

    কী বলছেন প্রতিবাদীরা? (Medinipur Medical College Hospital)

    তিনি জানান, তিন বছর আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই গ্র্যাজুয়েশন করেছেন মোস্তাফিজুর। পড়াশোনা শেষ হয়ে গেলেও, হস্টেল ছাড়েননি। সিবি বলেন, “তিনি (মোস্তাফিজুর) প্রতিনিয়ত আমাদের হ্যারাস করেন। হস্টেল থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের বের করে দেওয়ার হুমকিও দেন। আমরা যখন বলি, যে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করব, তিনি বলেন স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করলেও, তাঁর কিছু হবে না।” এই জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেন মোস্তাফিজুর।

    মোস্তাফিজুর গুণাবলী

    তৃণমূলের এই নেতার বিরাট ক্ষমতা বলেও জানান আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। মহম্মদ সিবি বলেন (Medinipur Medical College Hospital), “এই তৃণমূল নেতা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। ফেল করা স্টুডেন্টদের সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করা থেকে শুরু করে যাবতীয় কিছু।” মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে তোলা আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে। মহম্মদ সিবি বলেন, “মোস্তাফিজুর প্রত্যেক জুনিয়র ডাক্তারের কাছ থেকে ২০০০ টাকা করে নেন। জোর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের খাতায় নাম লিখিয়ে নেন।” তিনি বলেন, “একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই কলেজ হাসপাতালে তাঁরা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।”

    আরও পড়ুন: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    শ্রেয়া মণ্ডল নামে আর এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “প্রথম যেদিন আমরা এই কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম, শিক্ষকরা ক্লাস ছেড়ে চলে গেলেন। এই ইউনিট এসে দরজা বন্ধ করে দিল। মুস্তাফিজুরের রাস্কেলরা এসে আমাদের র‍্যাগ করে।” মেয়েদের আইটেম সং নাচতেও বাধ্য করা হত বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের (Trinamool Chatra Parishad) ওই নেতাকে অবিলম্বে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা (Medinipur Medical College Hospital)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভয়া’র সৎকারের পর সরকারি রেজিস্টারে পরিবারের সই নেই কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অভয়া’র সৎকারের পর সরকারি রেজিস্টারে পরিবারের সই নেই কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) নির্যাতিতার দাহ খরচ সংক্রান্ত রেজিস্টারে স্বাক্ষর পরিবারের কারোর নয়। ঠিক এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাধারণত শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করার পর পরিবারকেই স্বাক্ষর করে টাকা জমা দিতে হয়। কিন্তু অভয়ার ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। এই দাহ কাজে তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুলিশের ভূমিকা অতি সক্রিয় বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, সবটাই সন্দেহের বাইরে নয়। একই ভাবে তিনি আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও।

    ঠিক কী বললেন শুভন্দু (Suvendu Adhikari)?

    হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচীতে যোগদান করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, “ঘটনার দিন নির্যাতিতার (RG Kar Rape-Murder) দেহকে তড়িঘড়ি করে শ্মশানে সৎকার করা হয়েছে। এই কাজে যারা উপস্থিত ছিল তারা কেউ এলাকার লোক নয়। শেষকৃত্যের খরচ মৃত চিকিৎসকের পরিবার দেয়নি। তাহলে দিল কে? দাহের কাজ শেষ করার পর যেসব সরকারি খাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেখানেও কোনও বাড়ির লোকের স্বাক্ষর ছিল না। তাহলে সরকারি রেজিস্টারে সই কে করল?”

    আরও পড়ুনঃ ‘মর্গে পানশালা, দেহ ঘিরে দালাল চক্র’! বিস্ফোরক আরজি করের প্রাক্তন কর্মী

    প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক!

    উল্লেখ্য, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মৃতদেহের সৎকার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, “সেই রাতে শ্মশানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। চিকিৎসকের (RG Kar Rape-Murder) দেহ দাহ হয় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের আরও দুইজন আইসিও। সম্পূর্ণ ঘটনায় নজর রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।” ফলে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে দাহকাজে পুলিশকে ব্যবহার করেছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন। ঘটনার দিন থেকেই ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়কে ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ, এমন অভিযোগে বিজেপি সরব হয়েছে বার বার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা পুলিশের কাছে থেকে সিবিআইকে দেওয়া হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়, তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়, তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। সম্পূর্ণ তত্ত্ববাধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।” ঠিক এই অভিযোগ করে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের ধামাচাপা দেওয়ার প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় গোটা দেশ এখন ক্ষোভে ফুঁসছে। পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। মৃতার বাবা-মাও পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ছাত্রসমাজ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মাঠে ময়দানে, রাস্তায় নেমে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন করছেন।

    ঠিক কী বলেলন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সামজিক মাধ্যমে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “শ্মশানে গোটা অপারেশন হয়েছে পুলিশের নির্দেশনায়। অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। মমতার নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। মহিলা চিকিৎসকের দেহ দাহ করা হয় ব্যরাকপুর কমিশনারেট এলাকায় অথচ আশ্চর্য জনক ভাবে দেখা যায় বিষয়টির পরিচালনা করেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই আইসি। সম্পূর্ণ ঘটনায় নজর রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। আর তাহলেই ধামাচাপা দেওয়ার বিষয় প্রকাশ্যে সামনে আসবে।” ঠিক এই ভাবেই তৃণমূল সরকার এবং পুলিশকে নিশানা করে সিবিআইকে দ্রুত তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

    পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল!

    একইভাবে তড়িঘড়ি দাহ করা নিয়ে মুখ খুলেছেন নির্যাতিতা মহিলার বাবা-মা। মৃত ডাক্তারের বাবা-মা বলেন, মেয়ের সৎকারের সময় পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল। রাস্তায় জ্যাম ছিল, ধীরে ধীরে গাড়ি চলছিল। কিন্তু পুলিশ গাড়ির চালককে তাড়া দিচ্ছিলেন। প্রায় ৫০ কিমি বেগে শববাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “কীভাবে শ্মাশানঘাটে আগে থেকে লাইন দেওয়া দুটি মৃতদেহ পেরিয়ে দাহ করে দেওয়া হল নির্যাতিতার দেহ, কেন এতো তাড়াহুড়ো?” উল্লেখ্য একইভাবে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোলা থানা পর্যন্ত বিশাল পদযাত্রা করে প্রতিবাদ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিং, কৌস্তভ বাগচি। এই পদযাত্রা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি আরও জারালো করেন। এরপর ধর্নামঞ্চে যান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share