Tag: tmc

tmc

  • Titagarh: টিটাগড়ে ফের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Titagarh: টিটাগড়ে ফের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল টিটাগড়ের উড়ানপাড়া এলাকা। টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার তৃণমূলের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে বলে অভিযোগ। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর ফলে ফের টিটাগড় পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। এক সপ্তাহ আগেই তৃণমূল কাউন্সিলার বিকাশ সিং এবং সনু সাউয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি হয়েছিল। সংঘর্ষের জেরে বিকাশের এক অনুগামীর মৃত্যু হয়। এনিয়ে পুলিশের ধমক খেতে হয় সনু সাউকে। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়। দলীয় নেতৃত্ব সতর্ক করার পরও ফের টিটাগড় পুরসভার অন্য দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে প্রকাশ্যে গন্ডগোল বাধল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ উড়ানপাড়া এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা টোটো, অটোতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ভাঙচুরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagarh)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিষ্ণু সিং এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহম্মদ জলিলের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। আসলে ঘটনার সূত্রপাত একটি ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রবিবার রাতে জি সি রোড এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আর তাতে দুই কাউন্সিলারের অনুগামীরা একে অপরকে দায়ী করে বচসা শুরু করে। বচসা থেকে হাতাহাতি বাধে। দুপক্ষই হামলায় জখম হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতেই উড়ানপাড়ার দিকে সকলেই পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের পিছনে ধাওয়া করে। তখনই উড়ানপাড়ার রাস্তায় থাকা অটো, টোটোতে পুলিশ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশের কাজ হচ্ছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখা। কোথাও কোন গন্ডগোল তা থামানোর কাজ পুলিশের। কিন্তু পুলিশ এসে সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এটা অন্যায় কাজ করেছে পুলিশ।

    পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল কাউন্সিলার তথা পুরসভার (Titagarh) ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিল বলেন, এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়। কী নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল আমরা জানি না। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। গন্ডগোল থামাতে এসে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের অটো, টোটোতে ভাঙচুর চালায়। এটা ঠিক হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: সৌমেন মহাপাত্রকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বললেন তৃণমূলের যুব নেতা, কেন জানেন?

    Tamluk: সৌমেন মহাপাত্রকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বললেন তৃণমূলের যুব নেতা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের কৃষক সমাবেশ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে সামনে চলে এল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা তমলুক (Tamluk) পুরসভার কাউন্সলির পার্থসারথি মাইতি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন ক্ষোভ তৃণমূল যুব নেতার? (Tamluk)

    একশো দিনের কাজ প্রকল্প, আবাস যোজনা-সহ কেন্দ্ৰীয় বিভিন্ন প্রকল্পে এই রাজ্যের প্রাপ্য টাকার দাবিতে তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে তমলুকে (Tamluk) কর্মসূচি নেওয়া হয়। তাতে সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা মন্ত্ৰী শ্ৰীকান্ত মাহাত, দলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এবং শহরের বিভিন্ন নেতৃত্ব ছিলেন। ওই সমাবেশে তমলুকের পুরপ্রধান, উপ- পুরপ্রধান, একাংশ কাউন্সিলরকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পার্থসারথি মাইতি। যা নিয়ে তিনি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

    কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের যুব নেতা?

    তৃণমূল যুব নেতা পার্থসারথিবাবু সমাজ মাধ্যমে সৌমেন মহাপাত্রের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আজ আছি কাল নেই। নোংরামি বন্ধ হোক। আমরা বিরোধী দলকে জেতাতে চাই না, হারাতে চাই।’ এরপরেই সৌমেনের নাম না করেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সভাপতি তুমি কার । তুমি তো জেলার সভাপতি। তুমি যে তমলুকের বিধায়ক। তোমার কাছে সবাই সমান। তুমি কি জানবে না, কেন নেই চেয়ারম্যান? কেন নেই ভাইস-চেয়ারম্যান। কেন নেই সব কাউন্সিলর?’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে চলুন। আপনার কাছে কর জোড়ে অনুরোধ, আপনি অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হবেন না।’

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের তমলুক (Tamluk) শহর সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া অবশ্য তৃণমূল এই যুব নেতার বিরুদ্ধে জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা জানিয়েছেন। চঞ্চল বলেন, ‘ওই যুব নেতা যেভাবে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সমাজ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন তা দল বিরোধী কাজ। এই বিষয়ে দলের জেলা সভাপতি ও রাজ্য নেতৃত্বকে অভিযোগ জানানো হবে।’ আর পার্থর মন্তব্য নিয়ে সৌমেন মহাপাত্র বলছেন, ‘দলের শাখা সংগঠনের কর্মসূচিতে কাকে ডাকা হবে, তা তাদের বিষয়। কিন্তু, সমাজ মাধ্যমে ওই যুব নেতৃত্ব এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। এ বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ দলদাস। শাসক দলের হয়ে কাজ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ করে বিরোধীরা। আর সেই শাসকদলের হয়ে সারা বছর ধরে কাজ করা পুলিশকে ‘ভেট’ দেওয়া হবে না, সেটা কি হয়! আর তাই এবার পুজোর সময় মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি দেবদূত গড়মের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন তৃণমূলের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। নবমীর রাতের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর এতে তৃণমূল এবং পুলিশ দুপক্ষই চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Malda)

    জলপাই পোশাকে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর আইসি দেবদূতবাবু। তাঁর দিকে হাসি মুখে উপহার এগিয়ে দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। বিধায়কের পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তির হাত থেকে নতুন জামাও নিলেন আইসি। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। জানা গিয়েছে, নবমীর রাতে  হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে আইসি-কে ‘পুজোর উপহার ’দেন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক তাজমুল। বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ এবং শাসকদলের নেতাদের মধ্যে যে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক, তা এই ভিডিওতেই পরিষ্কার। আমাদের প্রশ্ন, এর পরও বিরোধীরা কী ভাবে আশা করবেন যে কোনও রাজনৈতিক অশান্তিতে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে পুলিশ? গোটা বিতর্কে মুখ খুলতে নারাজ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ যাদব।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    এই বিষয় নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাজমুল-ঘনিষ্ঠরা। তাজমুল হোসেন বলেন, এটা সৌজন্য। পুজো উপলক্ষে সামান্য উপহার দিয়েছি আইসিকে। তবে এই ভাবে উপহার দেওয়া যায় কি না, সেটা আমার জানা নেই।

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি?

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি উপহার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সামান্য পুষ্পস্তবক দিয়েছেন মন্ত্রী। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা মন্ত্রীর এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই প্রায়ই তিনি এখানে আসেন। এর বেশি কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই। লুকোছাপা নেই। কোথাও পুলিশই তৃণমূল দল  চালাচ্ছে। কোথাও তৃণমূল নেতারা পুলিশকে চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের এটাই এখন পরিস্থিতি। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের এখন ল্যাজেগোবরে অবস্থা। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলের ঘাঁনি টানছেন। এরমধ্যেই তৃণমূলের কাটমানি খাওয়া আর তোলাবাজি করা নিয়ে সারা রাজ্যে চর্চা চলছে। এবার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য নিজের দোকান বিক্রি করতে গিয়ে তৃণমূলের তোলাবাজির শিকার হলেন উৎপল বারিক নামে এক গরিব মানুষ। রীতিমতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বিল ছাপিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩১ নম্বর বুথের রাধানগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mamata Banerjee)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা উৎপল বারিকের স্ত্রীর কঠিন অসুখের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী কমিটি ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায়  নিজের দোকান বিক্রি করেছিলেন। আর সেখানেই থাবা বসায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া ও পঞ্চায়েত সদস্যের ভাই পঞ্চানন পড়ুয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিসহ পার্টির বিল ছাপিয়ে একরকম জোর করে ৭ হাজার টাকা তোলা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী আশরাফিল খানসহ গ্রামের মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে একজন দোকান বিক্রি করার জন্য কারও কাছে এভাবে তোলা নেওয়া যায়। উৎপলবাবু বলেন, ইচ্ছে না থাকলেও আমাকে টাকা দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া  বলেন, আমরা কোনও তোলাবাজি করিনি। আমাদের দলের এক সমর্থক পার্টি ফান্ডের জন্য ৭ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছেন। আমি সেই টাকা নেওয়ার  পার্টির রসিদ দিয়েছি। রসিদে মমতা (Mamata Banerjee) -অভিষেকের ছবি রয়েছে। ফলে, কোথাও কোনও কারচুপি করা হয়নি। এতে অন্যায় কিছু নেই। তোলাবাজি করলে তো পুরো টাকাটি রসিদ না দিয়ে পকেটে রেখে দিতে পারতাম। সেটা করিনি। ফলে, কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা অরুনাভ দাস বলেন, পিসি-ভাইপোর ছবি দেওয়া চালান দিয়ে তোলা আদায়ের কৌশল অভিনব। তৃণমূল দলটাই তো কাটমানি, তোলাবাজিতে ভরে গিয়েছে। তাই, একজন অসহায় মানুষের কাছে থেকে তোলা আদায় করতে এদের হাত কাঁপে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘বীরভূম জেলায় জোড়া ফুল ছাড়া অন্য কিছু থাকবে না’, ফের কেষ্ট ঢঙে হুঙ্কার কাজলের

    Birbhum: ‘বীরভূম জেলায় জোড়া ফুল ছাড়া অন্য কিছু থাকবে না’, ফের কেষ্ট ঢঙে হুঙ্কার কাজলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার কাণ্ডে তিহারে রয়েছেন। জেলায় তাঁর অনুগামীরা কার্যত কোণঠাসা। কেষ্ট বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল সেখ এখন জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু, কেষ্ট কালচার থেকে এখনও বের হত পারল না জেলার নেতারা। জেলা থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত সকলের মুখে কেষ্টর ফাটা ক্যাসেট বাজছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বীরভূমের বেতাজ বাদশার ডায়লগ ব্যবহার করেই কর্মীদের চাঙা করতে চাইছে এই জেলার শাসক দলের নেতারা। এমনই মত রাজনৈতিক মহলের। তাই, দলীয় সভায় বার বার কেষ্টর ঢঙে হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Birbhum)

    শুক্রবার তারাপীঠে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে গিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বীরভূম (Birbhum) জেলার বুকে জোড়া ফুল ছাড়া কিছু থাকবে না। দুই কেন্দ্রের সাংসদই হবেন তৃণমূলের। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, পায়ে পা মিলিয়ে সেই কাজই করতে হবে আমাদের।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ আমরা করে যাব। যখনই ডাকবেন আমরা যাব। কিন্তু বীরভূম জেলার বুকে জোড়া ফুল ছাড়া অন্য কিছু থাকবে না। বীরভূম জেলার বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কেউ থাকবে না। বীরভূম জেলার আমরা সকলে একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চব্বিশের নির্বাচনে দুটি লোকসভা আসনে কম করে ২ লক্ষের বেশি ভোটে জিততে হবে।’ এর আগে বহুবার প্রকাশ্যে অনুব্রত বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে কাজল সেখকে। সেই কাজলকে এখন কেষ্ট ঢঙে কথা বলতে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। দুদিন আগেই রামপুরহাটে দলীয় সভায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ জিম্মি, বিরোধীদের হাত-পা কেটে ফেলার নিদান দিয়েছিলেন। এদিন আবার কাজল সেখ লোকসভা ভোটে জেলায় বিরোধী শূন্য করার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় কেষ্ট হুঙ্কারের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট বনাম কাজলের অভিনব পোস্টার এবার টোটোতে, কী লেখা রয়েছে জানেন?

    Anubrata Mondal: কেষ্ট বনাম কাজলের অভিনব পোস্টার এবার টোটোতে, কী লেখা রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন তিহার জেলে রয়েছেন। কেষ্টহীন বীরভূমে কাজলের উত্থান নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা রয়েছে। দলীয় কার্যালয় থেকে একে একে কেষ্টর ছবি মুছে ফেলা হচ্ছে। কেষ্টর অনুগামীরাও জেলায় কোণঠাসা হতে শুরু করেছেন। কয়েকদিন আগে তাঁর ভাইকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। থানায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। পুলিশ ফিরেও তাকাচ্ছে না তাঁর দিকে। সেই ছবি দেখেছে রাজ্যবাসী। একসময়ের কেষ্ট গড়ে এখন তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী কাজল শেখের রমরমা। এবার সেই কাজল বনাম কেষ্টর পোস্টার উঠে এল শান্তিনিকেতনে ঠাকুরের টোটোতে। আগত পর্যটকেরা প্রতিবাদী টোটোতে ভয় না পেয়ে, ঠাকুরের উদ্যোগকে সমর্থন করছেন।

    কী রয়েছে টোটোর পিছনে সাঁটানো পোস্টারে? (Anubrata Mondal)

    শান্তিনিকেতনের রাস্তায় এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বদের কটাক্ষ, প্রতিবাদ ছবি পোস্টার টোটোতে লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন ঠাকুর। যার নাম সুখেশ চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি আবার অনুব্রত মণ্ডলের পাড়াতে। এর আগে পার্থ-অর্পিতা সহ বিভিন্ন তৃণমূল নেতার ছবি টোটোতে নিয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বনাম যুযুধান নেতা কাজল সেখ-এর পোস্টার টোটোতে লাগিয়ে ঘুরছেন ঠাকুরসাহেব। পোস্টারের উপরে লেখা রয়েছে,..’সত্য পথে চললে পড়ে জীবনে অনেক দুঃখ-কষ্ট আসে, কিন্তু, সত্যের জয় হয় শেষে’ নীচে দুটি ছবি রয়েছে। বাঁদিকে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ। সেই ছবির পাশে পাশে নীল বাতি সাদা গাড়ি। ঠিক নীচে লেখা রয়েছে,’অসৎ পথে চলে পড়ে এই পরিণতি হয় শেষে’। লেখার ঠিক নীচে বাঁদিকে আছে কালো গাড়ি, লালবাতি। যে গাড়ি নিয়ে জেলা ঘুরতেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এই ছবির পাশে অনুব্রত মণ্ডল কার্টুন ছবি গারদে ভিতরে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন টোটো চালক?

    টোটো চালক সুখেশ চক্রবর্তী বলেন, কাজলদা বহুদিন ধরে রাজনীতি করছেন। এতদিন পর তিনি সন্মান পেলেন। একজনের কারণে তিনি অবহেলিত ছিলেন। অবশেষে তিনি যোগ্য সন্মান পেয়েছেন। আর কেষ্টদা (Anubrata Mondal) দুর্নীতি করেছিলেন বলেই সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি অন্যায় করেছিলেন বলেই তাঁর আজ এই পরিণতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: উঁচু পাঁচিল ঘেরা জমি, মহিলাদের ছিল আনাগোনা, বালুর বেনামে এই বাড়ি ঘিরে রহস্য

    Jyotipriya Mallick: উঁচু পাঁচিল ঘেরা জমি, মহিলাদের ছিল আনাগোনা, বালুর বেনামে এই বাড়ি ঘিরে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির চারপাশে ১২ থেকে ১৪ ফুটের পাঁচিল। ২৭ কাঠা এলাকা, পুরোটাই ঘেরা রয়েছে পাঁচিল দিয়ে। ভিতরে উঁকি মারলে দেখা যাবে সাদা রঙের একটি বাড়ি। কে থাকেন ওই বাড়িতে? কী কাজ হয়? কেউ জানেন না। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের মণ্ডলপাড়ায় গেলে এই বাড়িটি চোখে পড়বে। বাড়ি ও জমির মালিকানা তাঁর নামে না থাকলেও, এলাকার প্রায় সব বাসিন্দাই জানেন, এটা বালুদা-র (মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) (Jyotipriya Mallick) বাড়ি।

    বাড়ি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে ওই জমি কেনা হয়। পরে বাড়ি তৈরি করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। উঁচু পাঁচিলে ঘেরা। জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ওই এলাকার আর কারও বাড়িতে এমন পাঁচিল নেই। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে বা বেনামে ঠিক কোথায়, কত সম্পত্তি আছে, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। তবে গাইঘাটার মণ্ডলপাড়ায় এই বাড়ি আলাদা করে চিনিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এক বাসিন্দা বলেন, আমরা শুধু শুনেছি এটা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি, কাউকে দেখিনি কখনও। আবার আর এক বাসিন্দার দাবি, কখনও কখনও মহিলারা গেট খুলে ভিতরে যান। এর বেশি কিছু জানি না। অনেকে আবার সেই কথাও বলতে চাইছেন না। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ বছর ধরে উঁচু পাঁচিল দেওয়া বাড়ির মধ্যে কী হয়, তা নিয়ে রহস্য রয়ে গিয়েছে। ইডি-র হাতে মন্ত্রী গ্রেফতার হলেও এই বাড়ির রহস্য ভেদ করতে এলাকার মানুষ এখনও সাহস করছেন না। 

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি?

    গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, মন্ত্রীর (Jyotipriya Mallick) জমি কেনার কথা আমি জানতাম। আমাকে একবার বলা হয়েছিল, বিদেশ থেকে ফান্ড আসবে। ওই বাড়িতে অনাথ আশ্রম তৈরি হবে। কখনও আবার বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল। আবার কেউ বলছেন, ওই বাড়িতে কয়েকজন মহিলার যাতায়াত ছিল, যাঁরা সেলাই-এর কাজ করতেন। কিন্তু, সেই ২০১১ সাল থেকে ওই বাড়িতে কী করা হত, তা সঠিকভাবে আমরা কেউ জানি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্টর ঢঙে বিরোধীদের পা-মাথা কাটার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা জিম্মি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Birbhum: কেষ্টর ঢঙে বিরোধীদের পা-মাথা কাটার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা জিম্মি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সেই অনুব্রতর গড়ে তাঁর ঢঙে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের। দুদিন আগেই বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেষ্টর বুলিই আওড়েছেন। এবার দলের আর এক নেতা সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বিরোধীদের পা-মাথা কাটার নিদান দিয়েছেন।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের ওই নেতা? (Birbhum)  

    বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে এক সরকারি স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের রামপুরহাট -১ নম্বর ব্লকের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চ থেকে কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,  ‘আপনার বাঁচার অধিকার আছে। আপনার সন্তানদের রক্ষা করার অধিকার আপনার আছে। যদি কেউ মনে করে আপনাদের ওপর আক্রমণ করবে, আপনাদের ক্ষতি করবে, আপনাদের চোখ রাঙাবে, তাহলে আত্মরক্ষার্থে পা কাটবেন, নাকি মাথা কাটবেন, নাকি তার গলা কাটবেন, কিচ্ছু দেখবেন না। আমরা আছি আপনার পাশে। নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে এগিয়ে যাবেন।’ এরপরই তিনি বলেন, আমরা ভোটে জয়ী হব। কোনও বিরোধী শক্তি আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। শুধু নিজে জ্বলে উঠুন। জিম্মির এই বক্তব্য নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে, তখন ওই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, তিনি যা বলেছেন ভেবেচিন্তেই বলেছেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জিম্মি বলেন, ‘ঢোড়া সাপ হলে সবাই মাড়িয়ে দিয়ে চলে যাবে। তাই কেউটে সাপ হতে হবে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য কেউটে সাপের তেজ রাখতে হবে বলে আমি মনে করি। তাই আমি আমার কর্মীদের এ কথা বলেছি।’

    বিরোধী নেতাদের কী বক্তব্য?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, কেষ্ট বড় বড় কথা বলে আজ তিহারে রয়েছে। এত কিছুর পরও তৃণমূল নেতাদের শিক্ষা হয়নি। আসলে তৃণমূল নেতারা যত এসব কথা বলবে, তত দলের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করবে। এসব করে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মধ্যরাতে নাবালিকাকে অপহরণ তৃণমূল নেতার ছেলের, লজ্জায় আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা

    Birbhum: মধ্যরাতে নাবালিকাকে অপহরণ তৃণমূল নেতার ছেলের, লজ্জায় আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী নাবালিকাকে বাড়ির জানালা ভেঙে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে গেল তৃণমূলের এক নেতার ছেলে। ঘটনার লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা আদিবাসী নাবালিকার। বর্তমানে বোলপুর (Birbhum) সুপার স্পেশালিটি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় শাসক দলের নেতা কাঠগড়ায়। এই নিয়ে জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Birbhum)?

    নিজের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল আদিবাসী নাবালিকা। রাতের অন্ধকারে জানলা ভেঙে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় স্থানীয় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের মেম্বারের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাড়ুই থানা এলাকার দামোদরপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসী নাবালিকার বয়স ১৭। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে সে। গত মঙ্গলবার রাতে বাড়িতেই দুই বোনের সাথে ঘুমাচ্ছিল নাবালিকা। সেই সময় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মেম্বার নবকুমার নাথ-এর ছেলে ছোট্টু নাথ বাড়ির জানালা ভেঙে জোর করে তুলে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ।

    আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা

    নাবালিকা অপহরণের বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। পরে অবশ্য তৃণমূল নেতার ছেলের কাছ থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় মেয়েটিকে। বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পরই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে ওই আদিবাসী নাবালিকা। এই মুহূর্তে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি।

    নাবালিকার পরিবারের বক্তব্য

    নাবালিকা বাবা-মার দাবি, “তৃণমূল নেতার ছেলের সঙ্গে আগে তাঁদের মেয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি মেয়ে, সেই সম্পর্ককে অস্বীকার করে বেরনোর চেষ্টা করে। আর তার ফলেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করত তৃণমূল নেতার ছেলে। একপ্রকার চাপে নাবালিকার টিউশন থেকে স্কুল, সবটাই কার্যত বন্ধ হতে বসেছিল। এরপরেই এই ঘটনাটি ঘটায় অভিযুক্ত ছেলেটি।” পরিবার আরও জানায়, “তাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ, তাঁরা কোনও রকম আইনি সমস্যায় জড়াতে চাইছেন না। তাঁরা শুধু চাইছেন মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, নাবালিকার শারীরিক অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: রাজ্য নেতৃত্বের সামনে বৈঠকের মধ্যে তুমুল বিক্ষোভ, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    Arambagh: রাজ্য নেতৃত্বের সামনে বৈঠকের মধ্যে তুমুল বিক্ষোভ, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এবার তৃণমুল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সামনেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুলে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল-১ তৃণমূল ব্লক সভাপতি বনাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির অনুগামীদের দ্বন্দ্বের জেরে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে জেলা থেকে রাজ্য নেতৃত্বকে। বৃহস্পতিবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় বলে কর্মীসভায়। দলীয় কর্মসূচিতে খানাকুলে যোগ দেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার,আরামবাগ (Arambagh) সাংসদ অপরুপা পোদ্দার। আর সেখানেই রাজ্য নেতৃত্বের সামনে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এক গোষ্ঠীর লোকজন অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দলবিরোধীর অভিযোগ তুলে সরব হন। মিটিংয়ের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। পরে, রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আবারও অস্বস্তিতে পড়ল আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য নেতৃত্ব চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায়।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    খানাকুল ১ নং ব্লকের যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মাসাদুল মল্লিকের অভিযোগ,  পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নঈমূল হক নিজের ইচ্ছামত কাজ করছে। টাকার বিনিময়ে কর্মাধ্যক্ষ বন্টন করেছে। পাশাপাশি কখনও তৃণমূল আবার কখনো বিজেপিতে যোগ দিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। যদিও  পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলের রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি। অল্প বাকবিতন্ডা হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    যদি এই ঘটনায় আরামবাগ (Arambagh) সংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, যখন জয়প্রকাশবাবু নির্বাচনের লড়াই করেছিলেন তখন তাঁর পিছনে লাথিটা মেরেছিল তৃণমূল। এই দলটার থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। কাটমানি,কোন্দল নিয়ে তৃণমূল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share