Tag: tmc

tmc

  • Hooghly: এসএসসি-র ‘দুর্নীতি-তালিকা’য় পার্থ ঘনিষ্ঠ সাইনা সুলতানার নাম, তীব্র চাঞ্চল্য

    Hooghly: এসএসসি-র ‘দুর্নীতি-তালিকা’য় পার্থ ঘনিষ্ঠ সাইনা সুলতানার নাম, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গতকাল একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এই তালিকায় এবার ৬০৯ নম্বরে নাম পাওয়া গেছে হুগলির (Hooghly) জেলা পরিষদে নব নির্বাচিত সাইনা সুলতানার। এই নিয়ে জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কে এই সাইনা সুলতানা (Hooghly)?

    সুত্রের খবর, প্রথমে সাইনা সুলতানা বাঁকুড়ার রাঙামাটি উদ্বাস্তু কলোনি হাইস্কুলে চাকরি করতেন। কিন্তু পরে হুগলির (Hooghly) রাজহাটি বন্দর হাইস্কুলে যোগদান করেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হুগলি জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য ছিলেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির যে ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এই তৃণমূল নেত্রীর নাম রয়েছে। সূত্রের খবর আরও পাওয়া গেছে, জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই তৃণমূল নেত্রী সাইনা সুলতানা।

    কী বলছেন সাইনা সুলতানা

    সাইনা সুলতানা (Hooghly) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। আমার নাম তালিকায় কীভাবে এল, আমি জানি না। আমি তৃণমূল করি বলে আমার সম্পর্কে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

    তৃণমূল ঘনিষ্ঠ আর কার নাম রয়েছে?

    এসএসসিতে কার্যত চুরি করে যে চাকরি হয়েছে, তা সিবিআইয়ের তদন্তে খুব স্পষ্ট হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কমিশন ৯০৭ জনের নাম প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে যেমন হুগলির (Hooghly) তৃণমূল নেত্রীর নাম এসেছে, তেমনি আবার ৩০০ নম্বরে নাম রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মণেরও। ২০১৮ সাল থেকে জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন তিনি। বালিজান হাই স্কুলের কবিতা বর্মণ বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি করছি। তিনি, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ১২৮ নম্বর র‍্যাঙ্ক করেন। ৫৫ নম্বরের মধ্যে ৫৩ পেয়েছেন তিনি। সিবিআই তদন্ত করে জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে কমিশনের দেওয়া চাকরির প্রার্থীদের ওএমআর সিটে নম্বর বদল করে, দুর্নীতি করে চাকরিতে নিয়োগ করছে। এছাড়াও এমন অনেকেই রয়েছেন যারা, সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কমিশনের দেওয়া তালিকায় তৃণমূল নেতাদের নাম ক্রমশ প্রকাশ হওয়ায় রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।    

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে বাম নেতার ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, শরীর ক্ষতবিক্ষত!

    Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে বাম নেতার ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, শরীর ক্ষতবিক্ষত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ইসলামপুরে ছুরিকাহত হয়ে অসীম সাহার মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার চোপড়ায় বাম নেতার ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের কোপ। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সেই যুবক। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আহত ওই যুবকের নাম রবিউল হাবিব (৩২)। তার পিতা মোকলেশ্বর রহমান এলাকার প্রভাবশালী বাম নেতা। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় দলুয়া এলাকায় এক অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন রবিউল। গভীর রাতে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আখতার আলি নামে এক ব্যক্তি তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাঁর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত রয়েছে।

    শাসক দলের (Uttar Dinajpur) বিরুদ্ধেই অভিযোগ

    এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক হিংসা রয়েছে বলে অনুমান করছেন স্থানীয় বাম নেতৃত্ব। তাদের অনুমান, শাসক দল তৃণমূলের মদতেই ঘটনাটি ঘটেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আহত রবিউলের পিতা মোকলেশ্বর রহমান বলেন, “আমি বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসে। আমি কোনওদিক না দেখে গাড়ি করে ছেলেকে নিয়ে সোজা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আসি। ওর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত রয়েছে। কী কারণে ওর উপরে হামলা হল, তা এখনই বুঝতে পারছি না।” অপরদিকে, সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ দাস বলেন,” আমরা খবর পাই যে আমাদেরই সদস্য মোকলেশ্বর রহমানের ছেলেকে কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা তড়িঘড়ি ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে (Uttar Dinajpur) ছুটে আসি। ওর অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। চা গাছ কাটার যে ‘হাসুয়া’ রয়েছে সেই অস্ত্র দিয়েই তার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই আমাদের অনুমান।”

    কী বললেন তৃণমূল জেলা সভাপতি (Uttar Dinajpur)?

    অপরদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি (Uttar Dinajpur) কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “এ ঘটনার সাথে তৃণমূল জড়িত নয়। অভিযুক্ত যাতে দ্রুত গ্রেফতার হয় এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় তা পুলিশকে জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন, ভোট, গণনা ও ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী ও কর্মীরা। জামুরিয়ায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

    ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের পাশে জিতেন্দ্র তেওয়ারি (Asansol)

    রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি-ঘরছাড়া, লুটপাট, আক্রমণ, বাড়িঘর ভাঙচুর, খুন, হত্যা, মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বারবার বিজেপি সরব হয়েছে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা কেমন আছেন, তা দেখতেই বৃহস্পতিবার জামুরিয়া (Asansol) বিধানসভা অন্তর্গত তপসি বাহাদুরপুর লালগোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসীদের বাড়ি গিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, যেভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলেছে এবং ভোট লুট হয়েছে রাজ্যে অবিলম্বে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করা উচিত। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! সমস্তটাই চলে গেছে কয়লা চোর, বালি চোর, লোহা মাফিয়াদের হাতে। সারা রাজ্য জুড়ে এক অগণতান্ত্রিক এবং হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন?

    এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েতে হিংসার আশ্রয় করে জয়লাভ করেছে। এই নির্বাচনে টাকা দিয়ে টিকিট বিক্রি করেছে তৃণমূল। প্রার্থীর পদ বিক্রির দর উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের পদের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা। এই টাকা দেবে কয়লা চোর, বালি চোরেরা। তাদের হাতেই পঞ্চায়েত চালানোর দায়িত্ব থাকবে। সাধারণ মানুষ যেমন আগেও বঞ্চিত হয়েছে, এবারও বঞ্চিত হবে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিজেপি একটি বড় পরিবার। ভোটের পর সকল সদস্যরা কেমন আছেন, তা জানতেই জামুরিয়াতে এসেছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়া থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা সকল স্তরেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। তাই তাঁদের সাথে দেখা করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান ও সমিতির সদস্যদের পদ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় (Asansol) তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ উঠতেই সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক

    TMC: ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ উঠতেই সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-সিবিআইয়ের তলবে হাজিরা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। কয়লাপাচার কাণ্ডে এই নিয়ে ১৩ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী। এদিন, নানুরে শহীদ স্মরণ (TMC) সভায় যোগ দেন তিনি। সভা শেষে সটান গাড়িতে চেপে পরেন। যাতে সাংবাদিকদের এড়ানো যায়! এবার কি হাজিরা দেবেন? প্রশ্ন করতেই মন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাকে কেন বলব?’’ এই বলেই গাড়ির কাঁচ তুলে দেন তিনি। অর্থাৎ, কয়লা পাচার কাণ্ডে হাজিরা দেবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান রাজ্যের আইনমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, কয়লাপাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে একাধিক পুলিশ কর্তারও। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত তাঁর স্ত্রী ও শ্যালিকাও রয়েছেন ইডি রেডারে।

    ১২ জুলাই ফের তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি

    শেষবারের মতো গত ১২ জুলাই তাঁকে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। চলতি সপ্তাহেই তাঁর দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রীমশাই চিঠি দিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি থাকার কারণে তিনি দিল্লি যেতে পারছেন না। পঞ্চায়েত ভোটের (TMC) আগে ২০ ও ২৬ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। সেইসময় রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। ভোটপর্ব মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। কিন্তু তখনও হাজিরা দেননি মন্ত্রী (TMC)

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    এদিকে, বার বার ডাকা সত্ত্বেও মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) যেভাবে হাজিরা এড়াচ্ছেন, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করছে ইডি। এ নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তকারী সংস্থা যাকে হাজিরার জন্য ডাকবে তাকে যেতে হবে। না গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইডি-র। এক্ষেত্রে, তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা মনে করেন যে তিনি শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর জন্যই এই কাজ করছেন তবে তাকে গ্রেফতারির জন্য আদালতের কাছে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদনও করতে পারেন। কারণ ইডির গ্রেফতার করার ক্ষমতা রয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “দিদি আমাদের ন্যায় চাই, টাকা ফেরত চাই” দাবিতে তৃণমূল কর্মীর অবস্থান-বিক্ষোভ

    Bankura: “দিদি আমাদের ন্যায় চাই, টাকা ফেরত চাই” দাবিতে তৃণমূল কর্মীর অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৭০ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে ওন্দা (Bankura) তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে ধর্নাতে বসলেন বহুল চর্চিত তৃণমূল সমর্থক প্রতিবাদী মহিলা প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের হাতে ছিল তৃণমূলের দলীয় পতাকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। মূল অভিযোগ হল ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে’র বিরুদ্ধে।

    মূল দাবি কী (Bankura)?

    প্রতিবাদী তৃণমূল সমর্থকদের দাবি, দিদি আমাদের ন্যায় চাই, টাকা ফেরত চাই! আশিষ দে তৃণমূলের কলঙ্ক। ওন্দা (Bankura) ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুমার বিটের সহযোগিতায় প্রতারিত প্রিয়ঙ্কা গোস্বামী, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আশিষ দে’র কাছ থেকে অর্ধেক টাকা ফেরত পেলেও বাকিরা এখনও পর্যন্ত ফেরত পাননি। তাই আজ তাঁরা ওন্দা তৃণমূল ব্লক পার্টি অফিসের সামনে টাকা ফেরত পেতে ধর্নাতে বসেছেন।

    পুলিশের কাছে আগেও অভিযোগ করেছিলেন

    প্রসঙ্গত রামসাগরের (Bankura) বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর অভিযোগ ছিল, বর্তমানে ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে করোনা কালে ‘বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন’। এ বিষয়ে তিনি পুলিশেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গত ১২ জুলাই রামসাগরে বাজারে তাঁর স্বামী সুব্রত গোস্বামী এবং তাঁর বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করছিলেন। আর সেই সময় আশিষ দে ও তাঁর সঙ্গী দোলন পরামানিক সহ অন্যান্যরা তাঁদের উপর হামলা চালান। পরে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন। ওই ঘটনার পর গত ১৫ জুলাই ওন্দা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে ও তাঁর সঙ্গী দলীয় কর্মী দোলন পরামানিককে ওন্দা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক আশীষ দে ও দোলন পরামানিকের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    উল্লেখ্য গত ১২ এপ্রিল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওন্দায় এলে আর্থিক প্রতারণার বিষয়টি তাঁর নজরেও এনেছিলেন এই প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভাঙড়ে আরাবুল পুত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতা পেলেন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: ভাঙড়ে আরাবুল পুত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতা পেলেন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই বার বার উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভোটের দিন আইএসএফ-তৃণমূলের (TMC) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোটের ফল বের হওয়ায় পর থেকেই ভাঙড়ে বার বার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ভাঙড়ে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিহত কর্মীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবার সেই ভাঙড়ে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী পেলেন একাধিক তৃণমূল নেতা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কোন কোন তৃণমূল নেতা পেলেন নিরাপত্তারক্ষী?

    তৃণমূল (TMC) সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা পেলেন আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলাম। পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক হিংসার পর তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার হাকিমুলকে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। সে কারণেই সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছে ভাঙড়ের এই যুব নেতা। হাকিমুলের পাশাপাশি তৃণমূল নেতা খইরুল ইসলাম ও আহসান মোল্লাও পাচ্ছেন একজন করে নিরাপত্তারক্ষী। সারাক্ষণই সশস্ত্র একজন করে নিরাপত্তারক্ষী থাকবে তৃণমূলের এই নেতাদের সঙ্গে। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে এই ব্যবস্থা।

    নিরাপত্তা পেয়ে কী বললেন আরাবুল পুত্র?

    তৃণমূল (TMC) নেতা তথা আরাবুল পুত্র হাকিমুল ইসলাম বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে প্রকাশ্যেই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমরা দরবার করেছিলাম। আমাদের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগে আমরা খুশি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, হাকিমুল বা আরাবুল অথবা শওকত এরাই নিরাপত্তা পাবে। তবে এটা নতুন কিছু নয়। যেখানে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শওকত মোল্লাকে পুলিশ প্রশাসনের সামনে বোমা বাঁধে বলে আখ্যায়িত করেন, সেখানে হাকিমুল রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা পাবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ রাজ্যের শাসক দল (TMC)  গুন্ডা মস্তানদের নিরাপত্তা দেয়। এই ঘটনা  তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁশকুড়া (Purba Medinipur) থানার চকগোপাল গ্রামে বিজেপি-তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষ। এর ফলে দুই পক্ষের আহত বেশ কয়েকজন কর্মী। বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি জয়লাভ করার পরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ইতিমধ্যে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর দিকে পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হবার পর তৃণমূলের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। ইতিমধ্যে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল ও বিজেপি, দুই তরফ থেকেই থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকা এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত পাঁশকুড়ার চকগোপাল এলাকা।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) বিজেপি কর্মী অলোককুমার দুলই বলেন, চকগোপাল গ্রাম বহুদিন ধরে সন্ত্রাস কবলিত। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কাজ করে জনজীবনকে অস্বস্তিতে রেখেছিল। মানুষ জানেন যে, এলাকাকে সন্ত্রাস কবলিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে একমাত্র বিজেপিই মুক্ত করতে পারবে। আর তাই গত বিধানসভায় মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। ঠিক একই রকম ভাবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিয়েছেন। ফলে বিজেপি এলাকায় জয়ী হওয়ার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ করে। বাড়ির মহিলাদের মারধর করে বাড়ি, ঘর ভাঙচুর করে! এমনকি বাড়ির সামনে রাখা গাড়ি এবং টোটকেও ভাঙচুর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের উপর বিজেপির আক্রমণের ঘটনা মিথ্যা। আক্রান্ত আরেক বিজেপি কর্মী দিলীপ দুলই বলেন, ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল, অবশেষে গতকাল রাতে এলাকায় বিজেপি করি বলেই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) তৃণমূল কর্মী বিশ্বনাথ দুলই বলেন, আমরা চাষ করে দিনপাত করি। এলাকায় তৃণমূল করি। গতকাল রাত ১০ টার সময় রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ দেখি প্রায় ১০ জন বিজেপির কর্মী এসে বাড়িতে হামলা করে। দোষ আমার একটাই কেন তৃণমূল করি! অপর দিকে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত রায় বলেন, বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাঁকা মাঠে তাজা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হল ১১ বছরের এক কিশোর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মনোহরপুর গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। জখম কিশোরের নাম নুর ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, মনোহরপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠে নুর ইসলাম গরুকে জল খাওয়াতে যায়। ফাঁকা মাঠে ঘাসে কিছু পড়ে থাকতে দেখে সে। কিছু বুঝতে না পেরে তার ওপর পা দিয়ে দেয় সে। সঙ্গে সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। গুরুতর জখম হয় ওই নাবালক। বোমা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরকে উদ্ধার করে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আরও দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে তারা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। আরও কোথাও তাজা বোমা পড়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন জখম কিশোরের পরিবারের লোকজন?

    বোমায় জখম কিশোরের দাদু সেখ সোহরাব বলেন, বাড়ির গরু ও ছাগলকে ফাঁকা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বেঁধে দিয়ে আসা হয়। গরু ও ছাগলকে জল দেওয়ার জন্য ফাঁকা মাঠে গিয়েছিল নাতি। তখনই বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।  আমাদের প্রশ্ন, এই বোমাগুলি কোথা থেকে এল? আমার অনুমান, আশেপাশে আরও বোমা পড়ে রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, শুধু নন্দীগ্রাম নয়, গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য গোটা রাজ্যে বোমা-বন্দুক অবৈধভাবে জড়ো করা হয়েছে। তারই ফলশ্রুতি হল এই ঘটনা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেকেই তৃণমূলের (TMC) পার্টি ক্যাডার। বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ তোলে। এটা যে শুধু অভিযোগ নয়, তা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ঘটনায় প্রমাণিত। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২৮ জুলাই তৃণমূলের (TMC) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে টিএমসিপি। তাতে জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। তাতে ২ জনের নাম রয়েছে শেখ আসিফ ইকবাল কাজি এবং মোশারফ হোসেন। এই আসিফ ইকবাল কাজি হলেন নন্দীগ্রাম থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হতে পারেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    কী বললেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা?

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নন্দীগ্রাম নগর ইউনিটের সভাপতি সায়ন পন্ডা বলেন, প্রশাসনিক কাজে যুক্ত, সে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হতে পারে? তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি যাকে করা হয়েছে, তিনি রেলে চাকরি করেন। ফলে, সিভিক ভলান্টিয়াররা যে পার্টি ক্যাডার, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের তমলুক (TMC) সাংগঠনিক জেলার  জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পীযূষ ভূঁইয়া বলেন, তৃণমূলের  ছাত্র সংগঠন স্বাধীনভাবে কাজ করে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দায়িত্ব দিয়ে থাকলে অসুবিধার কিছু নেই। এর সঙ্গে মাদার সংগঠনের কোনও যোগাযোগ নেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটি দায়িত্ব দিয়ে থাকলে থাকতে পারে। তারা স্বাধীনভাবে সমস্ত কিছু দেখাশোনা করে।

    থানা সূত্রে কী জানা গেল?

    একজন প্রশাসনিক কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে রাজনৈতিক কাজে যুক্ত হতে পারেন, সেই নিয়ে বিতর্কের ঝড় নন্দীগ্রামে। যদিও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তৃণমূল (TMC)  ছাত্র পরিষদের নেতা শেখ আসিফ ইকবাল কাজির তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে খবর, ইকবাল কাজি সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে এখনও কাজ করছেন। কোনও পদত্যাগপত্র তাঁর কাছ থেকে থানায় জমা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আসানসোলে তৃণমূল কাউন্সিলার এবং বিধায়কের কোন্দল প্রকাশ্যে! তীব্র শোরগোল

    Asansol: আসানসোলে তৃণমূল কাউন্সিলার এবং বিধায়কের কোন্দল প্রকাশ্যে! তীব্র শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আসানসোলের (Asansol) ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার অশোক রুদ্র। তিনি সরাসরি রানিগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক তাপস ব্যানার্জির নাম নিয়ে অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে অশোক রুদ্র বলেন, তাপস ব্যানার্জি আমার ওয়ার্ডে যে কোনও পোগ্রামে আসেন, কিন্তু সব প্রোগ্রামেই আমায় বাদ দিয়ে আসেন, আমায় কিছুই জানান না। এই বিষয়ে আমি উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। অন্য দিকে পাল্টা তাপস ব্যানার্জি বলেন, শিশুসুলভ আচরণ এটা! এই বিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। যদি কোনও সংস্থা আমায় ডাকে, তা হলে কি আমি যাব না? এলাকায় দুই তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্বে শোরগোল তৈরি হয়েছে। আসানসোলে শাসক দল চাপের মুখে।

    তৃণমূল কাউন্সিলারের বক্তব্য (Asansol)

    আসানসোলে (Asansol) তৃণমূলের কাউন্সিলার অশোক রুদ্র তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে বলেন, এডিডিএ’র চেয়ারম্যান হলেন তাপস ব্যানার্জি। কিন্তু নিজে এই এলাকার জনপ্রতিনিধি নন। এলাকার জনপ্রতিনিধি হলাম আমরা। আমাদের কিছু না জানিয়ে কীভাবে উনি এলাকায় এসে কাজ করতে পারেন! এলাকায় যে কোনও কাজ করতে গেলে আমাদের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। বার্নপুর উৎসবের নামে এলাকায় এসে কাজ করার চেষ্টা করছেন তিনি, এটা অন্যায়। আমাদের উপেক্ষা করলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। এই বার্নপুর উৎসব কমিটির মধ্যে এলাকার কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত বয়স্ক মানুষ বলে এতদিন কিছু বলিনি তাঁকে। এলাকায় কোনও কাজ করতে এসে যদি আমাদের না জানান, তাহলে যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তার জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন।

    বিধায়কের বক্তব্য

    রানিগঞ্জের বিধায়ক (Asansol) তাপস ব্যানার্জি বলেন, আমি অনেক সিনিয়র কর্মী। অত্যন্ত নিম্নরুচির মানুষের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। কাউন্সিলার অশোক রুদ্রের আচরণ অত্যন্ত শিশুসুলভ। মানুষের কত অসুবিধা- জল নেই, রাস্তা নেই এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার কাজ নয়। আমি ৬ বারের কাউন্সিলার এবং ৪ বারের বিধায়ক। তাই কী করব কী বলব, সেই সম্পর্কে আমি খুব সচেতন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি বলেন, আমার কোনও গোষ্ঠী নেই, তাই কোন্দলের কোনও প্রশ্ন নেই। দল ডাকলে আমি সব জায়গায় যাব। বার্নপুরের মানুষ আমাকে খুব ভালবাসেন, আর তাই যাই। আশোক রুদ্রের আচরণ অত্যন্ত অপরিণত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share