Tag: tmc

tmc

  • Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি, গুলি, বোমা! তীব্র উত্তেজনা

    Uttar Dinajpur: ইসলামপুরে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি, গুলি, বোমা! তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত ইসলামপুর (Uttar Dinajpur)। আবারও জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল গোষ্ঠীর সঙ্গে বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আক্রান্ত নির্দল প্রার্থী, উত্তপ্ত জেলার রাজনীতি।

    কোথায় ঘটেছে এই ঘটনা?

    ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের (Uttar Dinajpur) রামগঞ্জ-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বসাকপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাঠি, বাঁশের আঘাতে উভয়পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন গুরুতর আহত। আহতদের স্থানীয় রামগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বপন বসাক নামে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর স্বামীর আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁকে ইসলামপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। রামগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেশ কয়েকজন মহিলা নির্দল সমর্থককে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় তাঁরা বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। পুলিশি পাহারায় তাঁদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রচার শেষে স্থানীয় একটি দোকানে সিগারেট কিনতে যান তৃণমূল প্রার্থী রাখি বসাক রায়ের স্বামী স্বপন বসাক। সেই সময় নির্দল সমর্থকেরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই তৃণমূলের প্রার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে নির্দলের দুষ্কৃতীরা। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং নির্দল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয়পক্ষই একে অপরের ওপরে চড়াও হয়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। গুলি, বোমা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয় উভয় পক্ষের একাধিক কর্মী-সমর্থক।

    নির্দল প্রার্থীর বক্তব্য

    রামগঞ্জের (Uttar Dinajpur) নির্দল প্রার্থীর আত্মীয় সুনীতি বসাক জানিয়েছেন, আমার জা মৌসুমি বসাক নির্দলের প্রার্থী হয়েছেন। ওঁরা আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী স্বপন বসাক ও তাঁর লোকজন এসে তাঁদের দোকানের উপরে হামলা চালায়। মারধর করা হয় পরিবারের লোকজনদেরও। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। পুলিশ তৃণমূলের লোকজনকে না ধরে নির্দল সমর্থকদেরই থানায় নিয়ে গেছে।

    পাশাপাশি নির্দলকে সমর্থন করায় স্থানীয় রামু বসাক নামে এক বৃদ্ধকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরা। নির্দল কর্মীরা আহত বৃদ্ধকে বাড়িতে রেখে যান। বাড়ির বাইরে বের হলেই আবার তাঁর উপর আক্রমণ হতে পারে, এই আশঙ্কায় চিকিৎসা না করে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতেই আছেন বৃদ্ধ রামু বসাক। সবটা মিলিয়ে আতঙ্কিত নির্দল প্রার্থী এবং সমর্থকরাও।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে, স্থানীয় (Uttar Dinajpur) তৃণমূল প্রার্থী রাখি বসাক রায়ের স্বামী স্বপন বসাক জানিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন। সেই সময় স্থানীয় একটি দোকানে সিগারেট কেনার সময় তাঁকে পিছন থেকে মারধর করা হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা এলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ স্বপনবাবুর। তাঁর আরও অভিযোগ, বোমা, পিস্তল নিয়ে নির্দল কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের ওপরে চড়াও হয়েছে।

    সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: জাতীয় পতাকায় তৃণমূল প্রার্থীর ছবি! প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি বিজেপির

    Howrah: জাতীয় পতাকায় তৃণমূল প্রার্থীর ছবি! প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পতাকায় নিজের ছবি ছাপিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার করতে গিয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করার অভিযোগ উঠল হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার এক তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। জাতীয় পতাকার সাদা রঙের মধ্যে অশোক চক্রের পাশে তৃণমূলের দলীয় প্রতীক ও প্রার্থীর মুখ এঁকে ফেস্টুন তৈরি করা হয়েছে। আর এই নিয়েই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপির পক্ষ থেকে ওই প্রার্থীর প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি করা হয়েছে। জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করারও অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টা তাদের জানা নেই। আর এই ধরনের কাজ তাদের নয়।

    হাওড়ার (Howrah) কে এই প্রার্থী?

    উলুবেড়িয়া (Howrah) উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের বাণীবন গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ নম্বর সংসদের ২১৭ নম্বর বুথের ঘটনা এটা। এবার এই বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন দীপা পরামনিক। সোমবার রাতে স্থানীয় কিছু মানুষ দেখতে পান জাতীয় পতাকার এই ফেস্টুন। পতাকার সাদা রঙের উপরে অশোক চক্রের পাশে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকের ছবি, প্রার্থীর মুখ ছেপে দেওয়া হয়েছে। তারপরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হলে পতাকাগুলো খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে বিকৃত জাতীয় পতাকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে থাকে।

    তৃণমূল বক্তব্য

    তৃণমূল প্রার্থী (Howrah) দীপা পরামানিকের স্বামী শ্রীকান্ত পরামানিক বলেন, আমরা একটু মানসিকভাবে সমস্যায় রয়েছি। কারণ বাড়িতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গেছে একজনের। এছাড়া আমাদের জানা নেই জাতীয় পতাকার মধ্যে দলীয় প্রতীকের চিহ্ন ও প্রার্থীর মুখ অঙ্কন করে দেওয়া হয়েছে। এই রকম কাজ আমরা করতে পারি না।

    বিজেপির বক্তব্য

    অবশ্য এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। স্থানীয় (Howrah) বিজেপি নেতা রমেশ সাধু খাঁ বলেন, জাতীয় পতাকার জন্য মানুষ আত্মত্যাগ করে, আর সেই জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে এই তৃণমূল প্রার্থী! এটা দেশদ্রোহিতামূলক কাজ। আমরা এই তৃণমূল প্রার্থীর প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: পথসভা করতেই চক্ষুশূল! বিজেপি কর্মীদের লোহার রড-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার

    Bjp: পথসভা করতেই চক্ষুশূল! বিজেপি কর্মীদের লোহার রড-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথসভা কেন করবে? সেই দাবি তুলে বিজেপির (Bjp) কর্মীদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মার! রক্ষা পেল না মহিলারাও। বেধড়ক মারের চোটে আহত কুড়ি জন। পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অবশেষে রাজ্য সড়ক অবরোধ বিজেপির (Bjp)।

    কী ঘটেছে নদিয়ায়?

    ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার বোয়ালিয়া গ্রামের। জানা যায়, ওই এলাকায় কিছুদিন ধরেই বেশ কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। বিরোধীরা ঠিকমতো পতাকা পর্যন্ত লাগাতে পারছিল না। এর আগেও একাধিকবার পথসভা করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি চলছিল! এমনকী প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় ওই এলাকায় একটি পথসভা করার কথা ছিল বিজেপির। সেইমতো বিকেলে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী এবং মহিলা ব্যানার, ফেস্টুন লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, ঠিক তখনই একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাঁদের দেখেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আর তার প্রতিবাদ করতে গেলে আচমকা লোহার রড এবং বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে তাঁদের। প্রাণভয়ে অন্যের বাড়িতে ঢুকে গেলে বাড়ির ভিতর ঢুকে বিজেপি কর্মীদের মারা হয়। বিজেপির (Bjp) কয়েকজন মহিলা কর্মীদেরও মারার অভিযোগ ওঠে। এরপর দুষ্কৃতীরা চলে যায়। খবর পেয়ে জেলার বিজেপি কর্মীরা তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    পুলিশের ভূমিকা

    হাসপাতালে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, বাকি পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হন। এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আছে কৃষ্ণনগর (Nadia) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এরপরে পুলিশের সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে অবশেষে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।

    বিজেপির (Bjp) বক্তব্য

    আহত এক বিজেপি (Bjp) কর্মী সুনীল বাগ বলেন, আমরা পথসভা করার জন্য ওই এলাকায় (Nadia) ব্যানার এবং পতাকা লাগাচ্ছিলাম। আচমকা তখনই তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী মদ্যপ অবস্থায় আসে। তাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করার প্রতিবাদ করাতে আচমকা আমাদের উপর হামলা করা হয়। আমরা চাই অবিলম্বে ওই দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হোক।

    এই বিষয়ে ওই এলাকার (Nadia) গ্রাম পঞ্চায়েত ২৪ এর বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী গুরুপদ দে বলেন, এর আগেও আমরা যেখানে যেখানে পথ সভা করছি সেখানেই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা মাইক বাজিয়ে পথসভা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের এই পথসভার কথা ছিল। সকাল থেকেই সে কথা জানতে পেরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছিল কর্মীদের। গতকাল আচমকা আমাদের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। অবিলম্বে ওই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে পুলিশকে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবি জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মীকে ছাদ থেকে ফেলেছে তৃণমূল, দাবি আইএসএফ-এর

    Panchayat Vote: পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মীকে ছাদ থেকে ফেলেছে তৃণমূল, দাবি আইএসএফ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Vote) ঘিরে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কুলপি থানার হটুগঞ্জের হেলেগাছি এলাকা। আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই অঞ্চল। এলাকায় মুড়ি মুড়কির মতো বোম পড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, পুলিশের মদতে ছাদ থেকে ২ আইএসএফ কর্মীকে ফেলে খুনের চেষ্টার অভিযোগও ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত ২ আইএসএফ কর্মী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে।

    ঠিক কী ঘটনা

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হটুগঞ্জে বাজার করতে যান কয়েকজন আইএসএফ কর্মী। সেসময় তৃণমূল কর্মীরা তাদের কটূক্তি করে। এর ফলে শুরু হয় দু পক্ষের মধ্যে বচসা। অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূল কর্মীরা একত্রিত হয়ে আইএসএফের ওপর চড়াও হয়। ব্যাপক বোমাবাজি করতে থাকে তৃণমূল। পাল্টা আইএসএফ কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সকালের এই ঘটনার পরে রাতে আবার আইএসএফ কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। আবারও সন্ধ্যা নামতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হটুগঞ্জের হেলেগাছিয়া। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, সন্ধ্যা নাগাদ কুলপি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আইএসএফ কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। এমনকী পুলিশের উপস্থিতিতে আরমান খান নামের এক যুবককে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুনের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন মেহেবুব মির নামের আরেক আইএসএফ কর্মী। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। বাড়ি ছাড়া রয়েছেন আইএসএফ কর্মীরা।  

    কী বলছে আইএসএফ?

    আইএসফ সমর্থকদের দাবি, ভোটের (Panchayat Vote) সময় তৃণমূলের সন্ত্রাসে এলাকায় টেকা দায়। ঘরছাড়া হতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও সরব নওশাদ সিদ্দিকির দল। অভিযোগ, তৃণমূলের সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে পুলিশ।

    কী বলছে তৃণমূল? 

    এই ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল কংগ্রেস কুলপির বিধায়ক যোগ রঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, ‘‘হটুগঞ্জের এমন কোনও ঘটনা আমার জানা নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Panchayat Vote: বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকান্ত মজুমদারের নির্বাচনী সভা থেকে ফেরার পথে বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীর গাড়িতে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলায় ভেঙে গিয়েছে প্রার্থীর গাড়ির কাচ। মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় গঙ্গারামপুর ব্লকের সুকদেবপুরের পাটন মোড় এলাকায়। হামলার ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সুকান্ত।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে পোস্টার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে গঙ্গারামপুরের সুখদেবপুর এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে (Panchayat Vote) আসেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এদিন যে সভায় তিনি অংশ নিয়েছিলেন, সেখানকার জেলা পরিষদ প্রার্থী প্ৰদীপ সরকারও হাজির ছিলেন। সভা থেকে ফেরার পথে পাটন এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের কবলে পড়েন তিনি। বেপরোয়া ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর গাড়িতে। এরপরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই বিজেপি প্রার্থী। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধেই আঙুল তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘দলের প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে আমাদের প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আগামী কাল থেকে ধর্নায় বসব। খুন সহ ৩২টি কেসের আসামি যিনি, তিনি ওই এলাকায় শাসক দলের প্রার্থী হয়েছেন। হারের আশঙ্কায় এ সমস্ত করছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূল না করলে চলে যাবে সিভিকের চাকরি’! হুঁশিয়ারি ব্লক সভাপতির

    কী বলছে তৃণমূল?

    এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার। তিনি বলেন, ‘‘গাড়ি ভাঙচুর খুব নিন্দনীয় বিষয়। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কারও হাত নেই। এটা কে বা কারা করেছেন, ওনারাই বলতে পারবেন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ দুর্নীতির পোস্টারে ছয়লাপ বারাকপুরের গ্রাম

    TMC: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ দুর্নীতির পোস্টারে ছয়লাপ বারাকপুরের গ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই বারাকপুর-১ ব্লকের কাঁপা-চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান রবীন্দ্রনাথ নিয়োগীর (TMC) নামে দুর্নীতির পোস্টার পড়ল। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এরকম এক দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টার পড়ায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, এই পোস্টারের বিষয়বস্তু নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষও এই পোস্টারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘কল্যাণী রোডের বিভিন্ন হোটেল-বার থেকে তোলাবাজি, পঞ্চায়েত সদস্যদের একাধিক ঘর পাইয়ে দেওয়া, পুকুর ভরাট করে বে-আইনি ফ্ল্যাট নির্মাণ, সামান্য কাঠমিস্ত্রি থেকে তিন কোটি টাকার বাড়ি’-এরকম বিভিন্ন অভিযোগ। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে কাঁপা-চাকলা পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তবে এই ঘটনায় বিজেপি ও সিপিআইএমের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন রবি নিয়োগী। এই নিয়ে জেটিয়া থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন রবিবাবু। তিনি বলেন, এসব বিরোধীদের কাজ। রাতের অন্ধকারে চোরের মতো এই সব পোস্টার মেরেছে। যে সব অভিযোগ এনেছে তার প্রমাণ দিতে পারবে তো। অভিযোগ যে কেউ করতেই পারে। তাতে ভোটে কোনও প্রভাব পড়়বে না। তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে মানুষ রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কুৎসা করে কোনও লাভ হবে না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    অপরদিকে, বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি রূপক ঘোষ বলেন, এটা তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। আসলে যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁরা এই সব পোস্টার মেরেছেন। কারণ, দলের নেতাকর্মীরা জানেন, রবি নিয়োগী কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত। এখন নিজের দলের কুৎসা ঢাকতে আমাদের দলের নামে অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। কারণ, বিজেপি কেমন দল, তা এই এলাকার মানুষ জানেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: বিজেপি প্রার্থীকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে পোস্টার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purba Bardhaman: বিজেপি প্রার্থীকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে পোস্টার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। প্রার্থীকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে পড়ল পোস্টার। প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়ান গ্রামে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    ঘটনা কী হয়েছে (Purba Bardhaman)?

    রায়ান (Purba Bardhaman) ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ নং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে এবার বিজেপি প্রার্থী কৌশিক কুণ্ডু ওরফে চাঁদ। এর আগেও তাঁর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল শাসক দলের যুব নেতা মানস ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এবার সরাসরি তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি প্রার্থী কৌশিক কুণ্ডুর বাড়ির সামনে রাতে কে বা কারা পোস্টার মেরে যায়! পোস্টারে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দেওয়া আছে। পোস্টারে লেখা আছে, ‘১১ তারিখের পর খেলা হবে। পুড়িয়ে মারবো তোর গোটা গুষ্টিকে!’ এছাড়াও বলা আছে, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসেরই জয় হবে। 

    বিজেপি বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী কৌশিক কুণ্ডু বলেন, ‘কাল রাতে আমাকে মানস ভট্টাচার্য ফোন করে হুমকি দেয়। আমার স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর কাছে যাব কি না জানতে চায়! আজ সকালে আমার শাশুড়ি দেখতে পান কে বা কারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পোস্টার মেরে গেছে। এটা তৃণমূল কংগ্রেসেরই কাজ’। এলাকার (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা সুধীরঞ্জন সাউ বলেন, এখানে কিছু খুনের আসামি আছে। এর আগেও চাঁদের বাড়িতে একাধিকবার হামলা হয়েছে। আমরা থানায় জানিয়েছি। এবার রাজ্যপাল এবং নির্বাচন কমিশনকেও জানাবো।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অভিযুক্ত মানস ভট্টাচার্য ওই একই কেন্দ্রে (Purba Bardhaman) এবারে শাসক দলের প্রার্থী। তিনি এই অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘হ্যাঁ আমি ওঁকে ফোন করেছিলাম। বেশ কিছুদিন আগেও স্ত্রীকে নিয়ে একটা বিপদে পড়ে এসেছিল, আমিই ওঁর সমস্যা মিটিয়ে দিই। তা নিয়েই ফোন করেছিলাম। পোস্টার মারা প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। ওঁর বাড়িতে সিসিটিভি আছে। তার ফুটেজেই দেখা যাবে কে পোস্টার মেরেছে। উনি পরাজয় নিশ্চিত জেনে প্রচারের আলোয় থাকতে চেয়ে নিজেই পোস্টার মেরেছেন।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া জনরঞ্জন কেন্দ্রের মাঠে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার প্রার্থনা জানান তিনি। অন্যদিকে রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে কী বললেন (Nadia)?

    শান্তিপুরে (Nadia) নির্বাচনী সভায় দলীয় প্রার্থীদের জয়লাভের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানান শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই আধ ঘণ্টা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রথমেই দিনহাটায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। শুভেন্দু বলেন, গোটা রাজ্য এখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিন ধুপগুড়িতে একজনকে গুলি করে মারা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

    বীরভূমের সভায় ফোনে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? কী জবাব দিলেন শুভেন্দু?

    উল্লেখ্য বীরভূমের একটি জনসভায় নিজে হাজির না থাকলেও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বলেন, প্রায় এগারো মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে আটকে রেখেছে সিবিআই ও ইডি। এমনকী তার মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছে! ওর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আদালতে প্রমাণ করুন। এটা পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একা টাকা খায়নি, সেই টাকা পৌঁছে যেত কালীঘাটে। ২৫-৭৫ এর ভাগাভাগি ছিল তাদের মধ্যে। এখন যদি অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে সব বলে দেয়, তাহলে দিদিও গারদে যাবে। সেই কারণেই তার গুনগান গাইছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুব্রতকে ক্লিনচিট দেওয়ার প্রসঙ্গে ঠিক এই ভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ!

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ করেন, যে সব রাজ্যে বিজেপি শাসন করছে, সেখানে দুই হাজার টাকা কেন! অন্তত এক হাজার টাকা করে যদি দিতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো! আর সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, ভাইপো এর আগেও একাধিকবার রাজনীতি ছেড়েছেন। উনি বলেছিলেন অর্জুন সিং জিততে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! নন্দীগ্রামে আমি যদি জিতে যাই, তাহলেও রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু উনি রাজনীতি ছাড়েননি।

    সিপিএম সম্পর্কে বিস্ফোরক

    অন্যদিকে এই সভা (Nadia) থেকে সিপিএমকেও আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। মহঃ সেলিম অভিযোগ তোলেন ১৪ বছর আগে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মাওবাদীদের সঙ্গে নিয়ে সিপিএম নেতাদের খুন করা হত। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সেলিম হচ্ছে তৃণমূলের দালাল।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তাল ডায়মন্ডহারবার, জেলা জুড়ে শোরগোল

    South 24 Parganas: তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তাল ডায়মন্ডহারবার, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোটা এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ডহারবারের (South 24 Parganas) হটুগঞ্জ এলাকায়। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের বোমা মেরেছে। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীদের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে আইএসএফ। পরিস্থিতি সামাল দিলে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    কী ঘটেছে (South 24 Parganas)?

    পঞ্চায়েত ভোটের মাত্র চার দিন বাকি! এর মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার (South 24 Parganas)। রাস্তায় নেমে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখতে গেলে আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মূলত এলাকায় আইএসএফ দল করার জন্যই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে বলে জানা গেছে। দুষ্কৃতীরা, এলাকায় ঢুকে আইএসএফ করার জন্য কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ করে। এছাড়াও রড, বাঁশ, লাঠি নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    অভিযোগ কী?

    এই এলাকায় (South 24 Parganas) যারা বর্তমানে আইএসএফ করে, তারা প্রায় ১২ বছর ধরে এলাকায় থাকতে পারছে না বলে জানা গেছে। দোষ একটাই, কেন তৃণমূল বিরোধী দল করে তারা! রাস্তায় বের হলে বাড়ির মহিলাদের হাত ধরে টানাটানি করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করতে গেলেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে এলাকায়। আজকের ঘটনায় তৃণমূলের দুষ্কৃতী সামশুল ঘড়ামী, সিরাজুল ঘড়ামী, আলি আব্দুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এলাকার আইএসএফ কর্মী এবং সাধারণ মানুষ জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ গিয়ে পৌঁছায়। ভোটের আগে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়।

    পুলিশের ভূমিকা

    উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে আসেন উস্তি, কুলপি থানার পুলিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মন্দির বাজারের এসডিপিও। তাঁদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় দোকানপাট সব বন্ধ এবং পথচলতি মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল নেতাকে অপহরণ করে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলেরই বহিষ্কৃত কর্মীরা

    TMC: তৃণমূল নেতাকে অপহরণ করে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলেরই বহিষ্কৃত কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মিছিল থেকে গলায় গামছা জড়িয়ে দলীয় কর্মীদের সামনে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বহিষ্কৃত তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে, তৃণমূল নেতাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদ থানার দেবশালা এলাকায়। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার নাম আজম মোল্লা। রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালায় হামলাকারীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় দলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সোমবার সন্ধ্যায় বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের (TMC) পদযাত্রা ছিল। সেই পদযাত্রায় অঞ্চলের সহ সভাপতি আজম মোল্লা সহ একাধিক দলীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন। পদযাত্রা শেষ হওয়ার পর আজম সাহেব দেবশালা বাসস্ট্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি গাড়ি করে কয়েকজন এসে তাঁর সামনে গাড়ি দাঁড় করায়। গলায় গামছা জডিয়ে তাঁকে ধরে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে, গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় দু’ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ফের হামলা চালানো হয়। হামলার জেরে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে, তাঁকে ফেলে রেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে বুদবুদ থানার পুলিশ। আহত তৃণমূল কর্মীকে কাঁকসার রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে বুদবুদ থানার পুলিশ।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) নেতা?

    জখম তৃণমূল (TMC) নেতা আজম সাহেব বলেন, ২০২১ সালে ৭ সেপ্টেম্বর দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সির ছেলে চঞ্চল বক্সি খুন হয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে। নাম জড়িয়ে ছিল বেশ কিছু তৃণমূল নেতার। তাদের নাম সামনে আসতেই তাঁদের বহিষ্কার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। জামিনে মুক্তি পেয়ে সেই দুষ্কৃতীরা আমার ওপর চড়াও হয়। সমস্ত বিষয়টি দলীয় নেতৃত্ব জানে। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। আমি চাই, অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share