Tag: tmc

tmc

  • TMC: ‘বিরোধীদের ভোট দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের, ভিডিও ভাইরাল

    TMC: ‘বিরোধীদের ভোট দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের, ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) প্রার্থীকে ভোট না দিলে লক্ষ্ণীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ে এরকম দেওয়াল লিখন ঘিরে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার সেই একই কথা শোনা গেল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির তৃণমূল বিধায়কের গৌতম পালের গলায়। তিনি বলেন, একটা ভোটও নির্দলকে আর জোটকে দেবেন না। কারণ সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। সাগর দিঘিতে বায়রন জিতেছিল। লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দান করেন। তাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্যের ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ঠিক কী বলেছেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক গৌতম পালের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিরোধীদের ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি উদাহরণ হিসেবে, সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে বিরোধীদের ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বায়রন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি, নির্দল হিসেবে যারা নির্বাচনে লড়াই করছে। ভোটের পরে তাদের ‘হিসেব’ নেওয়ার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের মুখে। ভিডিও টিতে তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল বলেছেন, নির্দল যারা করে তাদের ইতিহাস জানা আছে। আমরা সব হিসেব লিখে রেখেছি। ভোটের পরে হিসেব হবে। যাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পরেছে গোটা জেলা জুড়ে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তৃণমূল (TMC) বিধায়কের এমন হুঁশিয়ারির পর নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে যথেষ্টই চিন্তিত বিরোধী দলগুলি। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আসলে রাজবংশী সহজ সরল মানুষদের এসব মিথ্যা বলে ভোটের আগে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে মানুষ নিজের ভোট দিতে পারলে তৃণমূলে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ফের গোষ্ঠী কোন্দল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    Cooch Behar: ফের গোষ্ঠী কোন্দল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত দিনহাটা (Cooch Behar)। এবার দিনহাটা গিতালদহ-১ এর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মাহফুজার রহমান এবং তাঁর শ্যালককে নির্দল প্রার্থী রফিকুল বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান অভিযুক্ত রফিকুল তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু সে এবার নির্দল প্রার্থী। বর্তমানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কোচবিহারের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Cooch Behar)?

    গীতালদহ-১ এর (Cooch Behar) ভোরাম গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী খলিল মিয়ার ছেলেকে আটকে প্রচণ্ড মারধর করার কথা শুনতে পান মাহফুজার রহমান। তিনি যেহেতু সেখানকার অঞ্চল সভাপতি, তাই সেই এলাকায় খলিলের ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে মাহফুজারকে নির্দলের দুষ্কৃতীরা বেঁধে প্রচণ্ড মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। মাহফুজার রহমান এখন গুরুতর আহত অবস্থায় নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা গেছে।

    মাহফুজার রহমানের পরিবারের বক্তব্য

    মাহফুজারের ভাইপো সম্রাট বলেন, নারায়ণগঞ্জ সাতঢলের পাড়ে (Cooch Behar) নির্দল প্রার্থী রফিকুল, আমার কাকা মাহফুজার রহমান এবং তাঁর শ্যালককে দলবল নিয়ে হামলা করে। বাঁশ, কাঠ লোহা এবং বন্দুক দিয়ে হামলা করে। বাঁ হাত এবং বাঁ পায়ে ব্যাপক আঘাত লাগে। আঘাতের চিহ্নে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা বলে মন্তব্য করেন সম্রাট।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বর্ডার এলাকাগুলোতে (Cooch Behar) বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। ভোটের মুখে সীমান্তবর্তী এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘটনায় মোট তিনজন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, শুধু মারধরই করেনি, সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায়, পায়ে আঘাত করা হয়েছে আমাদের অঞ্চল সভাপতিকে। দুষ্কৃতীরা মদত কোথা থেকে পাচ্ছ্‌ সেটা তদন্ত করার কথা বলেন তিনি। অঞ্চল সভাপতিকে এভাবে মারধর করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল প্রার্থীর দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম, জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: তৃণমূল প্রার্থীর দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই ব্যক্তির দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম। এরকম একজনকে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল (TMC)। বিষয়টি জানাজানি হতে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়  রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি।

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী পঙ্কজ কুমার যাদব। পঙ্কজ কুমার যাদব জে কে নগর এলাকায় বসবাস করেন। এখানকার তিনি ভোটার। এই সংসদ থেকেই তিনি ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু, পঙ্কজ কুমার যাদবের বিহার রাজ্যের লক্ষ্মীসরাই জেলার ১৬৭ সুরোজগরা কেন্দ্রে পার্ট নম্বর ৩০৯ এবং সিরিয়াল নম্বর ২৭৭ এ নাম রয়েছে। এরকম একজন ব্যক্তিকে প্রার্থী করায় দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী?

    পঙ্কজ কুমার যাদব বলেন, আমার বাড়ি বিহারে। তবে, সেখানে আমি খুবই কম যাই। দল যখন আমাকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমি জানতে পারি বিহারে আমার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে বিহারে ভোটের তালিকায় নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করি। তারপরই বিহারের ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। এই বিষয় নিয়ে আমি কিছুই জানি না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কীভাবে এক ব্যক্তির দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকতে পারে। দ্রুত পঙ্কজ কুমার যাদবের প্রার্থী পদ বাতিল করতে হবে, নাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ব্লকের সহ-সভাপতি চঞ্চল মুখোপাধ্যায় বলেন, পঙ্কজ কুমার যাদবের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিরোধী প্রার্থীরা ভোটের ময়দানে পঙ্কজের কাছে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হতে বাধ্য। সেই জন্য বিরোধীরা পঙ্কজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর শুধুমাত্র এক জায়গাতেই নাম রয়েছে। বিরোধীরা চক্রান্ত করে তাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। রানীগঞ্জের বিডিও অভীক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর ৭দিন বাকি। তার আগে আবার তৃণমূলে ভাঙন। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি বিধানসভার লোহাগঞ্জ এলাকায় একটি যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ যেখানে তৃণমূল ছেড়ে ২০টি আদিবাসী পরিবারের প্রায় ৯০ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিন বিকেলে সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। জেলা সভাপতির পাশাপাশি যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২০টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির শক্তি (Panchayat Vote) বাড়ল বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে মানুষ যেভাবে বিজেপিতে যোগাদান করছে, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় বিজেপি ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী দলের জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী।

    কী বললেন যোগদানকারীরা (Panchayat Vote)?

    এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, তৃণমূল দল আমাদের দেখে না। আমরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূল নেতারা বলে, আমরা তাদের ভোট (Panchayat Vote) দিইনি। তারা ভোটের সময় খাওয়াদাওয়া দিয়েছিল। সেই খাওয়াদাওয়া দিয়ে পরে বলে, আমরা তোমাদের ভোট কিনে নিয়েছি। তোমরা কোনও সুযোগ সুবিধা পাবে না। তাই আমরা তৃণমূল দল থেকে বেরিয়ে আজ বিজেপিতে ২০ টি পরিবার যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি (Panchayat Vote)?

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, লোহাগঞ্জে এদিন ২০ টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করল। যোগদানকারীরা সবাই তৃণমূল করত। কিন্তু তৃণমূল দল তাদের কোনও সুযোগ সুবিধা দেয়নি। তৃণমূল তাদের বার বার বলেছে, আমরা ভোট কিনে নিয়েছি, কেন সুযোগ সুবিধা দেব। তৃণমূল এইভাবে দিনের পর দিন এই লোহাগঞ্জ এলাকার মানুষদের বঞ্চিত করেছে। সেই জন্য আজ লোহাগঞ্জের ২০ টি আদিবাসী পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। এরা যোগদান করায় বিজেপির আরও শক্তি বাড়ল ও আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি আরও ভাল ফলাফল (Panchayat Vote) করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: “এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক”, তীব্র আক্রমণে সুকান্ত মজুমদার

    Purulia: “এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক”, তীব্র আক্রমণে সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে পুরুলিয়ার (Purulia) পুঞ্চায় মহা মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন পুঞ্চার দলহা মোড় থেকে পুঞ্চা কিষাণ মান্ডি পর্যন্ত এই মহা মিছিল হয়। এদিন সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সভাপতি বিবেক রাঙা সহ দলের নেতৃত্ব। এদিন মিছিল শেষে পুঞ্চা কিষাণ মান্ডির পাশে একটি পথসভায় যোগদান করেন সুকান্তবাবু।

    পুরুলিয়ার (Purulia) জেলা পরিষদ নিয়ে কী বললেন?

    পুরুলিয়া (Purulia) পৌঁছে ট্রেন থেকে নেমে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বলেন, এই পুরুলিয়ার এসপি আগে ডায়মন্ডহারবারে ছিলেন। কয়লা চোর ভাইপো পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ভোট লুটের জন্য পাঠিয়েছেন এই দলদাস পুলিশকে। কিন্তু লাভ হবে না। পুরুলিয়ার মানুষ ভোটের মাধ্যমে তৃণমূল সরকারকে বহিষ্কার করবেন। এখানকার জেলা পরিষদ বিজেপির দখলেই থাকবে বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত। পাশাপাশি কুড়মি সমাজের ভোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কুড়মি সমাজের ভোট বিজেপিই পাবে। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের ইডি দফতরে হাজিরা প্রসঙ্গে বলেন, সব চোর জেলে যাবে। কয়েকদিন পরেই ‘সায়নীর অন্তর্ধান রহস্য’ সিনেমা প্রকাশিত হবে বলে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    সভা মঞ্চ থেকে কী বললেন সুকান্ত

    এদিন মঞ্চ (Purulia) থেকে সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। শাসক ভেবেছিল, বিজেপি হয়তো ভয় পেয়ে গেছে। কিন্তু মনোনয়নের প্রথম দু’ দিনেই আমরা আমাদের প্রার্থীদের অধিকাংশ মনোনয়ন করে দিয়েছি। বিরোধীদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মনোনয়ন জমা করেছে একা বিজেপিই। শাসক দল বিজেপির মনোনয়ন দেখে ভয় পেয়ে গেছে। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াই গণতন্ত্র মেনেই করব। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বাহিনী প্রয়োগের যথাযথ রিপোর্ট পাঠায়নি। যে ৩২২ কোম্পানি নিয়ে আসা হয়েছে, তাকে কীভাবে বুথ স্তর পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। শাসক এবং নির্বাচন কমিশন যে কোনওভাবেই শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচন চায় না, সেই বিষয়েও তিনি সুনিশ্চিত! 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বিজেপি আরও শক্তিশালী, শুভেন্দুর প্রচার ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বিজেপি আরও শক্তিশালী, শুভেন্দুর প্রচার ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির গড় হল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)। গত লোকসভা ও বিধানসভায় এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি শাসক দল। তাই এবার জেলা পরিষদ দখল করাই গেরুয়া শিবিরের মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে শাসক দলের কোন্দলকেই হাতিয়ার করতে চায় বিজেপি। তাই জেলা জুড়ে প্রচারে আসছেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কীভাবে সুবিধা পাবে বিজেপি (Alipurduar)?

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম, মাদারিহাট, কালচিনি, ফালাকাটা ব্লকে বিজেপির দাপট এতটাই যে, সেখানে শাসক শিবিরের তৃণমূল প্রার্থীরা রীতিমতো চাপে রয়েছেন বলে জানা গেছে। আলিপুরদুয়ার ১, আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকেও বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে বেশ জোরদার। তবে এখানে বিজেপির কাছে প্লাস পয়েন্ট হল শাসক শিবিরের নিজেদের মধ্যে ব্যাপক গোষ্ঠী কোন্দল। যার বাড়তি সুবিধা পাবে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। এরপর শুভেন্দুর সভা হতে চলেছে। আর তাঁকে ঘিরেই রীতিমতো টগবগ করে ফুটছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি (Alipurduar) ভূষণ মোদক বলেন, ২ জুলাই শুভেন্দু অধিকারী আলিপুরদুয়ার জেলার তিনটি জায়গায় নির্বাচনী সভা করবেন। এছাড়াও ৪ জুলাই রাজু বিস্তা নির্বাচনী সভায় আলিপুরদুয়ারে আসছেন। তিনি জেলার তিনটি জায়গায় ওইদিন সভা করবেন। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী বীরপাড়ার জুবিলি মাঠ, কালচিনি সুভাষিনী টি গার্ডেন মাঠ, কুমারগ্রামের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের মাঠে ওইদিন তিনটি জনসভা করবেন। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তাঁর এই নির্বাচনী সভাগুলিকে কেন্দ্র করে সেই তাপ-উত্তাপ অনেকটাই আমজনতার মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দল

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই বিজেপি দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল এই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলায়। নির্বাচন ঘোষণা হতেই সব আসনে মনোনয়ন জমা করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। অপর দিকে শাসক শিবিরে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) প্রার্থী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভের কথা সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে। এমনকি যাঁদের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার কথা ছিল, তাঁদের নাম শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক নেতা শেষ পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা গেছে। এই সুযোগে ভোটে বিজেপি নিজেদের প্রচার অভিযান চালিয়ে জেলায় বাজিমাত করতে চাইছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করছেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল তৃণমূলের ভয়ে বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না, এমন অভিযোগ তুলে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে নদিয়া ধুবুলিয়ায় (Nadia)। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মনোনয়নের পর থেকেই একমাত্র শাসক দলের বিরোধী প্রার্থী হওয়ায় এইরকম অতাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। 

    কী ঘটেছে (Nadia)?

    বেশ কয়েক দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিথ্যা মোকদ্দমায় ফাঁসানো হয় ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত খাজুরি পুকুরপাড় এলাকার কয়েকজন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের। ভোটের আগে বাড়িতে ফিরতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠিও লিখেছেন এই বিরোধী কর্মীরা। কিন্তু কিছু ফল হয়নি। গত বুধবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ কৃষ্ণনগর (Nadia) ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে উপস্থিত হন তাঁরা। এলাকার বিরোধী কর্মীদের দাবি, আমরা কংগ্রেস করি। তাই আমাদের উপর অত্যাচার করছে শাসক দলের লোকেরা। এখন আমরা বাড়িতে ফিরতে চাই। তাই প্রশাসন এবং বিডিওর কাছে নিরাপত্তা চেয়ে, একটা মীমাংসা করে বাড়ি ফিরতে চাইছি।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    এলাকায় (Nadia) কংগ্রেস করেন সুনিতা বিবি। তিনি বলেন, আমরা গত এক মাস ধরে ঘরছাড়া। কংগ্রেস দল করার জন্য আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় গেলেই বলে, দেখে নেব, খুন করে দেব এবং বাড়িঘর লুটপাটেরও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়ির পুরুষদের খুনের হুমকি মিলছে রোজ। শুধু তাই নই, প্রথমে শাসক দল আমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেয় এবং এর পর আমদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বুঝে আমরা জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হই। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। বাড়িতে গেলেই রোজ মিলছে খুনের হুমকি। পুলিশের কাছে আমাদের কোনও অভিযোগের গুরুত্ব নেই। তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাবো! নিজের বাড়ি থাকতেই আমরা আজ গৃহহীন! এই প্রসঙ্গে সুনীতা বিবি পুলিশের থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান। অবশেষে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে ভয়মুক্ত হয়ে শান্তিতে বসবাস করার জন্য বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দক্ষিণেশ্বরে তৃণমূল যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলের অন্য গোষ্ঠী

    TMC: দক্ষিণেশ্বরে তৃণমূল যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলের অন্য গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে তৃণমূলের (TMC) যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি। পরে, লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণেশ্বর থানার আড়িয়াদহ এলাকায়। আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতার নাম অরিত্র ঘোষ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, একটি গণ্ডগোল হয়েছে। গুলি চলার কোনও প্রমাণ নেই। সমস্ত ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বৃহস্পতিবার যুব তৃণমূল (TMC) নেতা অরিত্র ঘোষ বাইকে চেপে অফিসে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। কিন্তু, যুব তৃণমূল নেতার গায়ে লাগেনি। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর হামলাকারীরা তাঁকে ঘিরে ধরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। লোহর রড, বাঁশ দিয়ে যুব তৃণমূল নেতাকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। হামলার জেরে তাঁর হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। হামলার অভিযোগ তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী জয়ন্ত সিং ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC)?

    আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা অরিত্র ঘোষ বলেন, আমি বাইকে করে অফিসে যাচ্ছিলাম। বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই জয়ন্ত সিংহ এবং তাঁর দলের লোকেরা আমাকে গুলি করে। গুলিটা পায়ের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়। আমি বাইক থেকে পড়ে যাই। তার পর ওরা আমাকে রড, লাঠি দিয়ে আধ ঘণ্টা ধরে মারে। আমি চাই প্রশাসন এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, ঘটনার কথা আমি শুনেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে কথা বলব। দলগত কিছু হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, অরিত্র আমাদের দলের কর্মী। ওর নামে কোনও অভিযোগ নেই। প্রকাশ্যে দিবালোকে পর পর দুরাউন্ড গুলু চলেছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাই এলাকায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করেছে সবং থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকার তৃণমূল নেতারা রাজনৈতিক হুমকি, সন্ত্রাস চালাচ্ছিল এই পরিবারের ওপর। তাঁর জমিতে তৃণমূল দীর্ঘদিন চাষ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। তারা জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের তদন্তে তাদের কোনও আস্থা নেই। এই ঘটনার পর পরিবারে উঠেছে কান্নার রোল। এলাকা জুড়েও শোকের ছায়া। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    কী অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    কী জবাব দিল তৃণমূল?

    যদিও এই ঘটনায় অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতির দাবি, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। একটি মৃত্যুকে সম্পূর্ণ রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি তৃণমূল কংগ্রেস ভাবে রক্তের হোলি খেলবে, তাহলে বিজেপিকেও (BJP) সেই খেলায় নামতে হবে। তখন যেন আমাদের কেউ দোষ না দেয় যে বিজেপি আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলছে না। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি বাধ্য হবে ব্যবস্থা নিতে। বৃহস্পতিবার নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নির্বাচনী মিছিলে এসে রাজ্যে শাসক দল ও কমিশনকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন নবদ্বীপের শ্যামপুর বাজার থেকে রাওতারা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করেন তিনি।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে নেমে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। গতকাল মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    উদয়ন গুহ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ

    কোচবিহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা জুড়ে যত তৃণমূলের নেতা রয়েছেন, সবাই চোরাচালানোর সঙ্গে যুক্ত। তারা চায় জোর করে পঞ্চায়েত দখল করতে। কারণ বিএসএফের নিয়ম অনুসারে জন প্রতিনিধিদের কথা কিছুটা হলেও তাদের শুনতে হয়। আর এর মাথায় রয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই গুন্ডা তৃণমূলে থাকবে, ততদিন এই চোরাকারবার এবং সংঘর্ষ চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, তিনি সব সময় বিএসএফ থেকে শুরু করে আর্মিদেরও টার্গেট করে মন্তব্য করেন। কিন্তু জীবন বাঁচানোর সময় এলে আর্মি বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিপদে পড়েছিল। তখন আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নামতে হয়েছিল। আবার বলতে হল আমার ছোটবেলায় আর্মিতে কাজ করা খুব ইচ্ছে ছিল। যার ইচ্ছা থাকবে, সে কখনও আর্মি সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলে? যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল, তখন ইমরান খান এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মিলে গিয়েছিল।

    পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে রাজনীতির ময়দানের নামুক। ভালো খেলোয়াড় না হলে খেলে মজা হয় না। উনাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় হারাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share