Tag: tmc

tmc

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শাসক দল যখন প্রার্থী নিয়ে কোন্দল সামাল দিতে বেসামাল অবস্থায়, তখন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগে ব্যস্ত থাকছেন। বড় বড় জনসভার উপর নজর না দিয়ে ছোট ছোট কর্মী-বৈঠক ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের হয়ে প্রচারেই জোর দিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। জেলায় বিজেপি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী বলে জানা গেছে।

    কেমন চলছে ভোটের প্রচার (Alipurduar)?

    নিজেদের খাস তালুকে (Alipurduar) ভোট প্রচারে বেশি হইচই না করে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েই বাজিমাত করার ছক করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, আগামী ৫ই জুলাই জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নির্বাচনী জনসভা করা হবে। সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা কারা সেই সভায় আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রার্থী ও কার্যকর্তারা জনসংযোগের উপরেই বেশি জোর দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে তাঁরা ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দল

    বিজেপি কয়েক মাস আগেই দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল। সেই মতো ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মনোনয়ন জমা করতে থাকেন বিজেপির প্রার্থীরা। অপর দিকে শাসক-শিবিরে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)  প্রার্থী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল বলে জানা গেছে। ঘোষিত প্রার্থীদের বদলও করতে বাধ্য হয়েছে শাসক দল। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি বিক্ষোভ তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক নেতাকর্মী শেষ পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ায় নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।

    বিজেপি ঘর গুছিয়ে নিয়েছে

    শাসকদলের প্রার্থীদের নিয়ে চাপা বিক্ষোভ থাকলেও গেরুয়া শিবিরের ছবিটা উল্টো বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। প্রার্থী নিয়ে তেমন দ্বন্দ্বের কথা নজরে আসেনি। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মানুষ একচেটিয়া ভাবে বিজেপির প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। শাসক দল ধরাশায়ী হলেও পঞ্চায়েত ভোটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। যদিও গেরুয়া শিবির নিজেদের শক্ত ঘাঁটিকে আরও মজবুত করতে প্রার্থীদের নিয়ে সরাসরি জনসংযোগে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোট যদি নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ হয়, তাহলে বিজেপির প্রার্থীরা এবারেও ভালো ফল করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্যরকম ভোট প্রচারের দেওয়াল লিখন। ‘নির্দল, আরএসপি, বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর  ভান্ডার বন্ধ।’ শাসকদল তৃণমূলের এমন দেওয়াল লিখনে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই বর্ধমানের ভাতারে এক জায়গায় দেওয়াল লিখনে এমনই ঘটনা চোখে পড়েছিল। সেখানেও লেখা ছিল, তৃণমূলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার মিলবে না। এই নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। এবার একই দেওয়াল লিখনের চিত্র মিলল তপনে।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Dakshin Dinajpur)?

    দেওয়াল লিখন নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে তপনের ব্লক করদহে। তপন ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ করদহ গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের তরফে বেশ কিছু দেওয়াল লেখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম লিখে ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি লেখা হয়েছে নির্দল, আরএসপি ও বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে। এই নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে ভোটারদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায়, আপাত ভাবে শাসক দল নিজেদের দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    এক গ্রামবাসী (Dakshin Dinajpur) বলেন, ‘আমার যে প্রার্থীকে পছন্দ হবে, আমি তাঁকেই ভোট দেব। কিন্তু বিরোধীদের ভোট দিলে লক্ষ্মীর  ভান্ডার বন্ধ! এমন দেওয়াল লিখন দেখে অবাক হচ্ছি। মনে হচ্ছে, এমন দেওয়াল লিখে কি গ্রামের মানুষকে ব্ল্যাকমেল করতে চাইছে তৃণমূল?’

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘শাসকদল আসলে বোঝে না সরকার আর দল কী। সরকার তো জনগণের জন্য। কিন্তু ভোট না দিলে সরকারি সুযোগসুবিধা যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তো গণতন্ত্রের অবমাননা হয়। বিষয়টি তাঁরা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনবেন বলে জানান এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, এই ধরনের প্রচারকে তৃণমূল কখনও মান্যতা দেয় না। যদি জেলার কোথাও এই ধরনের প্রচার কেউ করে থাকেন, তবে তাঁদের আমরা নিষেধ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দিনহাটায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫, মৃত্যু এক তৃণমূল কর্মীর

    TMC: দিনহাটায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫, মৃত্যু এক তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে ৬ জন তৃণমূল (TMC) কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই মঙ্গলবার ভোররাতে কোচবিহারের দিনহাটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ঘটল বিজেপি- তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা।  জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    প়ঞ্চায়েত প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের গিতালদহের জারিধরলা দরীবস গ্রামে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল। বিজেপি এবং তৃণমূল (TMC) কর্মীদের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেই রয়েছে। সোমবার ভোররাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাধে। আর তাতেই এলোপাথাড়ি গুলি চলে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ৫ জন এবং বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। এছাড়াও মৃত ব্যক্তি বাবু হকের দেহ রয়েছে জারিধরলা দড়িবসে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোর রাতে নির্মমভাবে তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। বাবু হককে কুপিয়ে এবং গুলি করে খুন করা হয়। বারবার সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে বিজেপি ভোটে জিততে চাইছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিজেপির দিনহাটা ব্লক শহর মণ্ডলের সভাপতি ‌অজয় রায় বলেন, মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত যারা তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এই গণ্ডগোল করেছে। পাচারকারীদের মদতকারী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। পাচারের আমরা বিরুদ্ধে। ফলে, তৃণমূল (TMC) এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের নাম জড়াচ্ছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ডোমকলে অভিষেক আসার আগেই সিপিএমের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬ তৃণমূল কর্মী

    TMC: ডোমকলে অভিষেক আসার আগেই সিপিএমের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মঙ্গলবার মু্র্শিদাবাদের ডোমকলে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)  সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এলাকায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে তিনি সভা করবেন। তারই প্রস্তুতি চলছে। ঠিক তার আগে সোমবার সন্ধ্যায় সিপিআইএম -তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ডোমকলের জোতকানা তুলসীপুর এলাকা। গণ্ডগোলকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। আর তাতে ছয়জন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন জোতকানা এলাকায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সিপিএমের পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়। সেই মিছিলে তৃণমূল বাধা দেয়। এনিয়ে সিপিএমের কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা বাধে। পরে, হাতাহাতি শুরু হয়। এরপরই এলাকায় বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।

    আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মীদের কী বক্তব্য?

    যদিও আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বক্তব্য, সিপিএমের মিছিল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এক মহিলা তৃণমূল কর্মীকে কটূক্তি করে। তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ করতে গেলে মিছিল থেকে ওই কর্মীদের উপর চড়াও হয়। আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এসে প্রতিবাদ করলে তারা রুদ্র মূর্তি ধারণ করে। তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, এদিন ডোমকলে তৃণমূল (TMC) কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল সব জায়গায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ফলে, যেখানে গণ্ডগোল হচ্ছে, সেখানেই তৃণমূল রয়েছে। এখানেও আমাদের দলের মিছিলে তৃণমূলের লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। দলীয় কর্মীরা প্রতিবাদ করে। তা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। এরপরই ওরা গুলি চালিয়েছে। নিজেদের গুলিতে তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এরসঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ভরা জোয়ারেও ভাটা! ঝাড়গ্রামে  ৪ টি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই নেই

    Panchayat Election: ভরা জোয়ারেও ভাটা! ঝাড়গ্রামে ৪ টি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকের ভরা জোয়ারে ঝাড়গ্রাম জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে (Panchayat Election) চারটি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নেই! জেলার জামবনি, কাপগাড়ি, দহিজুড়ি, রাধানগর-এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি আসনে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। বিরোধীদের কটাক্ষ, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই অবস্থা শাসক দলের।

    কোথায় কী পরিস্থিতি (Panchayat Election)?

    জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর সংসদে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাসন্তী হাঁসদা, তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মোহন সরেন। প্রার্থী পদের নামের তালিকায় মোহনের নাম ছিল। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্বর নির্দেশ মতো মোহন নাম প্রত্যাহার করে নেন। যার ফলে তৃণমূলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। ওই আসনে বিজেপির সঙ্গে লড়াই হবে নির্দল প্রার্থী বাসন্তী হাঁসদার। যদিও কাপগাড়ি অঞ্চল সভাপতি কানু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাসন্তী নির্দল থেকে দাঁড়ালেও আমাদেরই লোক।’’

    একই অবস্থা দহিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) ৮ নম্বর সংসদে কামিনী হেমব্রম তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। ঝর্ণা মুর্মু নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দলীয় প্রার্থী হিসাবে কামিনীকে মানেনি। যার ফলে কামিনী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তাই ওই আসনে বিজেপি ও নির্দলের লড়াই হচ্ছে।  

    আবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ নম্বর সংসদে জয়ন্ত মাহাতো, মনতোষ সিংহ মাহাতো ও তরুণ মাহাতো তিনজনই নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। জানা গিয়েছে, এটি কুড়মি এলাকাভুক্ত। যার ফলে দলীয় প্রতীকে কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। রাধানগর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন, ‘‘জয়ন্ত মাহাতো আমাদের প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্দল হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছে’’। 

    আর জামবনি ব্লকের জামবনি অঞ্চলের ৪ নম্বর সংসদে তৃণমূলের নামে সুজিত পাত্র ও বিপ্লব রানা মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় প্রতীক দেওয়ার আগে সুজিত পাত্র মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। অথচ সুজিতের নামে দলীয় প্রতীক জমা পড়ে। যার ফলে সুজিত প্রত্যাহার করায় বিপ্লব রানা নির্দল হয়ে যান। ওই আসনে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই।

    জেলায় মোট ১০০৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১০০৩ টি আসনে, বিজেপি ৭৯৯টি, সিপিএম ৪১১টি, নির্দল ৩৫০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।

    কী বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব (Panchayat Election)?

    জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, ‘‘শাসক দলে থেকেই বুথে (Panchayat Election) প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় কিছু হতে পারে না। যেখানে আমরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী ও পুলিশ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি, সেখানে প্রার্থী দিতে পারিনি।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘খোঁজখবর নিয়েছি। কম সময়ে ভোট, তাই অসুবিধা হয়েছে। দলের তরফে যে প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছিল, অঞ্চল সভাপতিরা বদলে দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট আমাদের করেননি। যার ফলে সমস্যা হয়েছিল। কাকে সমর্থন করব, তা ভেবে দেখব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতির পদ! তৃণমূলের জেলা সভাপতির ভিডিও ভাইরাল

    TMC: ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতির পদ! তৃণমূলের জেলা সভাপতির ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার নামে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের (TMC) তপনের ব্লক সভাপতির টাকা নেওয়ার ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল জেলা। এবারে খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী রয়েছে?

    বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের তিনটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারকে দলের অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়ার নামে টাকাপয়সার কথা বলতে শোনা যায়। অন্য একটি ভিডিওতে মদের আসরে বসে রয়েছেন শাসক দলের জেলা সভাপতি। অন্য একটি ভিডিওতে বারের মধ্যে মহিলাদের নাচানাচি করতে দেখা যাচ্ছে। তবে, সেখানে তৃণমূলের জেলা সভাপতির কোনও ছবি নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তিনটি ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার। তিনি বলেন, এটা দীর্ঘদিন আগেকার একটা ঘটনা, তখন আমি ব্লক সভাপতি ছিলাম। সেই সময় কেউ এটা তুলে থাকবেন। আমি  ঘুমোচ্ছিলাম। তখন কেউ একজন এসব বলে, প্রশ্ন করে ও টাকা দিতে চায়। আমি তার কোনও উত্তর দিইনি। বিজেপির আইটি সেল ভোটের আগে বদনাম করার জন্যই এরকম ভিডিও ভাইরাল করছে। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব। প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট বিলি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর কোন্দল বেধেছে। বিশেষ করে গঙ্গারামপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে গোঁজ প্রার্থী নিয়ে চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল। রবিবারই রাজ্যের নির্দেশে ১৯ জন বিদ্রোহীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আর তারপরেই এই ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে তোলপাড় জেলা রাজনীতি।  

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা তৃণমূলের (TMC) নতুন কিছু নয়। এই দলের টিকিট থেকে পদ, সবই টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতিও তাই টাকা চাইবেন, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। এটা তৃণমূলের ব্যবসা। টাকা দিয়েই পদ নেবেন, আবার সেই টাকা তুলবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হয়ে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরিয়েও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের এই নেত্রীকে। বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বড়গ্রামের ঘটনা। মেজাজ হারালেন শতাব্দী! এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    রবিবার সকালে সিউড়িতে (Birbhum) প্রচারে বের হন তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ। সেই সময় কয়েকজন মহিলা এসে ঘিরে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন তাঁকে। আবাস দুর্নীতি থেকে শুরু হয় অভিযোগের তালিকা। তারপর রাস্তা খারাপ থেকে শুরু করে পানীয় জলের সমস্যা, প্রতিটি বিষয় তাঁরা তুলে ধরেন শতাব্দীর সামনে। চলে বিক্ষোভ। অধিকাংশ মানুষ বলেন, যাঁদের ঘর রয়েছে তাঁদেরকেই আবাসের বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রিপল চাইলেও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাওয়া যায় না। বৃষ্টির জল যাওয়ার জন্য নেই ড্রেন, জমা জলে এলাকায় দারুণ সমস্যা। আসছে বর্ষা, কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে জানতে চান এলাকার মানুষ।

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেগে গিয়ে বীরভূমের এই তৃণমূল সাংসদ (Birbhum) বলেন, বিক্ষোভ কাকে বলে? মিডিয়া জোর করে দেখাচ্ছে! বিরোধীদের কোনও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। দিতে বাধ্য নই। এলাকার মানুষের মধ্যে এক-দুজন কিছু বললে সেটাকে বিক্ষোভ বলা যাবে না। জনজোয়ারে কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে বলতে পারবেন? সুতরাং বিরোধীরা কখনই বলবেন না শতাব্দী রায় ভালো কাজ করছে। তাই কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না আমি। পরে অবশ্য এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শতাব্দী। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “সরকারের নির্দিষ্ট বাজেট থাকে। একটি পরিবারের একাধিক ছেলে। তাঁদের পৃথক পৃথক বাড়ি চাওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।”

    রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য

    রাজ্যপাল সম্পর্কে শতাব্দী রায় (Birbhum) বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ বেশি করছেন। নিজের প্রটোকল ভেঙে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তিনি। বিজেপির কর্মীদের মৃত্যু হলেই রাজ্যপাল পৌঁছে যাচ্ছেন। উনি মনে প্রাণে একজন বিজেপি কর্মী, এমনটাই মন্তব্য করেন শতাব্দী রায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূল প্রার্থীর নামের পাশে লেখা ‘চোর’, ছবিতে কালি, হাওড়ায় শোরগোল

    Howrah: তৃণমূল প্রার্থীর নামের পাশে লেখা ‘চোর’, ছবিতে কালি, হাওড়ায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টারের ছবিতে লেখা ‘চোর চোর’। কিন্তু কে বা কারা লিখে দিল ‘চোর চোর’? যা নিয়ে রবিবার সকালে হাওড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে চোর লেখা ছাড়াও তৃণমূল প্রার্থীর ছবির মুখে লাগানো হয়েছে কালো কালি। নির্বাচনী প্রচারে এলাকা বেশ সরগরম।

    কী ঘটনা ঘটেছে?

    হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়া দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৮ ও ১৯২ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সামসুল আলম তরফদারের ছবিতে মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তলায় লেখা হয়েছে চোর চোর চোর শব্দ। আর তাই নিয়েই চাঞ্চল্য হাওড়া জেলার রাজনীতিতে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কারা? তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও পুলিশ তদন্ত করছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। অন্যদিকে যার ছবিতে ‘চোর’ লেখা হয়েছে, তিনি অবশ্য বিষটিতে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

    ফেস্টুনে কী লেখা ছিল?

    তৃণমূল প্রার্থীদের (Howrah) প্রচারে লাগানো হয় ফেস্টুন। তাতে লেখা ছিল রুপালি বেগম, নাজিয়া খাতুন ও সামসুল আলম তরফদারের নাম। গ্রাম সভায় দাঁড়িয়েছেন রুপালি। নাজিয়া লড়ছেন পঞ্চায়েত সমিতিতে। আর জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন সামসুল আলম তরফদার। ফেস্টুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনের ছবিও ছিল। কিন্তু সামসুল আলম তরফদারের নাম এবং ছবির সামনে লেখা ‘চোর চোর চোর চোর’।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে সামসুল আলম তরফদার বলছেন, ‘প্রচার তুঙ্গে আছে। পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে প্রচার কী ভাবে চলছে! কোনও অসুবিধা নেই। কিছু নিন্দুক থাকে, যাদের ভালোটা সহ্য হয় না। আসলে আমরা চোরই! আমি ক্যামেরাতে স্বীকার করে নিচ্ছি যে আমরা চোর, আমরা মানুষের মন চুরি করতে বের হয়েছি। এখানে বিরোধী শূন্য এলাকা। তারপরেও কিছু লোক আছে, যাদের ২০২১-সালে দল বাদ দিয়েছে। এবারে তারা পঞ্চায়েতে দাঁড়াতে পারেনি। হয়তো এইরকম কোনও ব্যক্তি এই কাজ করেছ।’ অন্যদিকে হাওড়া (Howrah) জেলা সদর তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘কোনও দুষ্কৃতী হয়তো রাত্রিবেলা এই রমক কাজ করেছে। বিরোধী দলের তরফ থেকে হয়ত এইরকম করে থাকলেও থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে, যা উপযুক্ত ব্যবস্থা হয় তারা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বোমাবাজি, গোলাগুলি, রাজনৈতিক হত্যা-সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে হয়েছে মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহারও। আর এরপর প্রচার অভিযান শুরু হতেই দিকে দিকে শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মী, প্রার্থী, সমর্থকদের লক্ষ্য করে আক্রমণের অভিযোগ থামছে না। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগেই ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর।

    কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    রানিনগরে (Murshidabad) ব্লক ২ এর মালিবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমানের বাড়ির লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মধ্যরাতে। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমান পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। সিপিএম জোট প্রার্থী-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর অসুস্থ ছেলেকেও পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ তোলেন।

    রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে আমার বাড়ির সামনে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে গেছে। এখানে মূলত সিপিএম সমর্থিত জোট এবং শাসক দল তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে। দিনের বেলায় বাচ্চা ছেলেদের বিষয় নিয়ে গোলমাল হয়, আর তারপরেই রাতের বেলায় এই বোমাবাজি হয়। তৃণমূলের গুণ্ডারা বোমা নিয়ে আঘাত করলে জোটের ছেলেরা আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আর এরপর পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ উল্টো আমার বাড়িতে তল্লাশি করে জোটের কর্মীদের তুলে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে আমার ছেলেকেও তুলে নিয়ে যায়। রাজ্যে স্বৈরাচারী আর দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেন এই রাষ্ট্রপতি পুরুস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে শিক্ষকের অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। রানিনগর (Murshidabad) টু-এর তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি শাহ আলম সরকার বলেন, গ্রামে অশান্তির মূল কারণ হচ্ছেন শিক্ষক আতাউর রহমান। পরিকল্পনা মাফিক এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করেছেন শিক্ষক। তিনি আরও বলেন, আমাদের তিন-চারজন কর্মীকে মেরে আহত করেছেন ওই শিক্ষক। আমাদের বেশ কিছু কর্মী বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেন ব্লক সভাপতি। বয়স্ক শিক্ষক মানুষ। আগে সিপিএম করতেন, কিন্তু ভালোমন্দের জ্ঞান নেই তাঁর। শিক্ষক আতাউর রহমান গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেলে গ্রামে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হবে, এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে ছোড়া হল বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে ছোড়া হল বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে মনোনয়নের পর থেকেই শুরু বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি, আক্রমণ, বোমাবাজি। সর্বত্র চলছে এই চিত্র। শাসক দল সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বনগাঁয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে যেমন রাতের বেলায় বোমা ছুড়েছিল শাসক দলের দুষ্কৃতীরা, ঠিক তেমনি এবার সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলেরই বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)।

    পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কোথায় ঘটল ঘটনা?

    উত্তর মোহনপুর এলাকার জামালপুর (Purba Bardhaman) ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৯ নম্বর বুথে সিপিএম প্রার্থী  হয়েছেন দেবিকা দেবনাথ। পাশাপাশি ১৪১ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন সুশান্ত মণ্ডল। এরা দু’জনে স্বামী-স্ত্রী। দেবিকা দেবনাথের অভিযোগ, রবিবার ভোর ৩ টে ১৮ মিনিট নাগাদ তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করা বোমা ছোড়া হয়। এরপরেই একটি বোম ফাটে ঘটনাস্থলে। আর দু’টি বোম বাড়ির ভিতরে পড়ে ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশকে খবর দিলে দেড় ঘন্টা পরে পুলিশ আসে। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই বারে বারে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। অপর দিকে দেবিকা দেবীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রূপালী বিশ্বাস। তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী তারক বিশ্বাস রীতিমত প্রায় প্রতিদিনই তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন সিপিএম প্রার্থী। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় জামালপুর থানার পুলিশ। এরপর বাড়ির পাশ থেকে পড়ে থাকা বোমা দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। জামালপুর (Purba Bardhaman) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। একই কথা বলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসও। তিনি বলেন, তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এই সব অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন প্রসেনজিৎ দাস।

    সিপিএমের বক্তব্য

    জেলা (Purba Bardhaman) সিপিএমের সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, মনোনয়ন দাখিল করার পর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আজ ভোরে তাঁদের দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে বোমা ছোড়া হয়। আসলে ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ভয় পেয়ে তৃণমূল এসব করছে। তিনি আরও জানান, গতকালই টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হয় দেবিকা দেবনাথ ও সুশান্ত মণ্ডলকে। ৮ই জুলাই  নির্বাচন কেমন কাটে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share