Tag: tmc

tmc

  • Nusrat Jahan: আদালতের নির্দেশ মেনে সশরীরে হাজিরা তৃণমূলের নুসরতের, সঙ্গে ছিলেন যশও

    Nusrat Jahan: আদালতের নির্দেশ মেনে সশরীরে হাজিরা তৃণমূলের নুসরতের, সঙ্গে ছিলেন যশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার সশরীরে হাজিরা দিলেন সাংসদ তৃণমূলের নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এদিন আলিপুর আদালতে হাজিরা দেন তিনি। ১৬ জানুয়ারি আলিপুর জজ কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আদালতে নুসরতকে হাজিরা দিতে হবে সশরীরে।

    সশরীরে হাজিরার নির্দেশ

    আলিপুর আদালত তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওযার নির্দেশ দিয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। সেখানে নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে জজ কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন আদালতে হাজিরা দেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সঙ্গে আদালতে গিয়েছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্তও। যশকে পাশে নিয়েই আদালতে আইনজীবী মারফত বন্ড দেন নুসরত।

    প্রতারণায় অভিযুক্ত নুসরত

    টাকা নিয়েও রাজারহাটে ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেত্রী নুসরতের (Nusrat Jahan) বিরুদ্ধে। একটি ব্যাঙ্কের কর্মীদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে টাকা নেয় সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। ২০১৩-১৪ সালে ৪২৯ জনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা করে নেয় ওই সংস্থা। সব মিলিয়ে সংস্থার আয়ের অঙ্ক দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৮০ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরেও গত ন’ বছরে কেউ ফ্ল্যাট পাননি। তাঁদের টাকায় নুসরত নিজে একটি ফ্ল্যাট কেনেন বলে অভিযোগ। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন প্রতারিতরা।

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে নজরুলগীতির ভিডিও পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর!

    অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ ও ইডির গোয়েন্দারা। নুসরতকে তলব করে ইডি। গত সেপ্টেম্বরে সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূলের তারকা নেত্রীকে প্রায় সাড়ে ছ’ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন-বাণ সামলে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে নুসরত জানান, অভিযোগ যখন করা হয়, তার ঢের আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা ছেড়ে দেন নুসরত। তাঁর দাবি, ওই কোম্পানি থেকে ঋণ বাবদ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। পরে শোধ করে দিয়েছেন ঋণের টাকা। ব্যাঙ্কের সব নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ জানান, নুসরতকে (Nusrat Jahan) কোনও ঋণ দেননি তাঁরা।

     

  • Dakshin Dinajpur: মিথ্যা মামলা দিয়েও মিলল না কোনও তথ্য-প্রমাণ, বেকসুর খালাস বিজেপি নেতা

    Dakshin Dinajpur: মিথ্যা মামলা দিয়েও মিলল না কোনও তথ্য-প্রমাণ, বেকসুর খালাস বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তথ্য প্রামাণ না থাকায় নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যকে বেকসুর প্রমাণ করল বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) জেলা আদালত। মিথ্যা মামলা দিয়েও বিজেপি কর্মীকে অভিযুক্ত করতে পারল না তৃণমূল। ফের আরেকবার মুখ পুড়ল তৃণমূলের। ওই বিজেপি নেতাকে সংবর্ধনা দিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি। বিজেপি নেতা বেকসুর খালাস হতেই তীব্র আক্রমণ করল তৃণমূলকে। বিজেপির দাবি, “বিজেপি কর্মী শান্তুনু চৌধুরী দুইবারের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তথা বটুন গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। তাই তৃণমূল তাঁকে মিথ্যে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়েছিল।” অবশ্য তৃণমূলের দাবি, এই মামলায় তৃণমূলের কোনও হাত ছিল না।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Dakshin Dinajpur)

    গত বছরের অক্টোবর মাসের ওই মামলায় জেল হেফাজতেও ছিলেন ওই বিজেপি নেতা। যা নিয়ে জেলার রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছিল। তৃণমূলের তরফেও লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিলই। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে আদালত। আর এই রায়কে ঘিরেই নতুন করে শোরগোল পড়েছে জেলায় (Dakshin Dinajpur)৷ এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, “এই মামলায় তথ্য প্রমাণ না থাকায় আদালত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”

    বিজেপি নেতার আইনজীবীর বক্তব্য

    বিজেপি নেতার আইনজীবী সুদীপ রায় চৌধুরী বলেন, “আমার মক্কেলকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আদালতে (Dakshin Dinajpur) কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। ফলে এই মামলায় আমার মক্কেলকে বেকসুর খালাস করল আদালত।”

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    এবিষয়ে ওই বিজেপি নেতা শান্তুনু চৌধুরী বলেন, “আমি বটুনের ২ বারের জয়ী পঞ্চায়েত (Dakshin Dinajpur) সদস্য। তাই বটুন অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব এক নাবালিকাকে দিয়ে আমার নামে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছিল। আজ আমি বেকসুর খালাস হয়েছি। খুব ভালো লাগছে।” এবিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “তৃণমূল সব জায়গাতেই আমাদের দলীয় নেতৃত্বদের এভাবেই মিথ্যে মামলায় ফাঁসায়।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, “বিচার ব্যবস্থার প্রতি দলের আস্থা রয়েছে। সঠিক বিচার হয়েছে বলেই মনে করছি। তবে এখানে তৃণমূলের কখনও হাত ছিল না। বিচার বিচারের মতই চলবে।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাসে কুমারগঞ্জের (Dakshin Dinajpur) বটুন গ্রামপঞ্চায়েতের কেশবপুর গ্রামের এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল পতিরাম থানায়। সেই অভিযোগ পেয়ে পতিরাম থানার পুলিস অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে। সেই ঘটনায় প্রথমে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের আদিবাসী সংগঠন। পরে পতিরামেও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে নানা জায়গায় প্রচার চালায় তৃণমূল। সেই মামলায় রায় বেরতেই ফের আলোড়ন পড়েছে জেলার রাজনীতিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “পরেশ অধিকারী ও তাঁর কন্যাকে জেলের ভিতরে দেখতে চাই”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পরেশ অধিকারী ও তাঁর কন্যাকে জেলের ভিতরে দেখতে চাই”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পরেশ অধিকারী এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর নাম এসএসসির প্রাথমিক অভিযোগের তালিকায় রয়েছে। তাঁর  এবং কন্যার নাম আমরা চার্জশিটে দেখতে চাই। তাঁকে বিজেপির মঞ্চে নয়, জেলের ভিতরে দেখতে চাই।” ঠিক এই ভাবেই জলপাইগুড়ির মেখলিগঞ্জে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    মেখলিগঞ্জের দলীয় সভায় নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “তৃণমূলের কাছে বিজেপির বিরোধী দলনেতা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে সোচ্চার হয়েছি আমরা। বিজেপি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকা কী তা পালন করছে। রাজ্যে ২০১১ থেকে সিপিএম বিরোধী দল ছিল আবার ২০১৬ থেকে কংগ্রেস ছিল বিরোধী দল, কিন্তু কংগ্রেস-সিপিএম বিরোধী দলের ভূমিকা কী হওয়া উচিত তা সেই সময়ে পালন করেনি। তাঁরা কেবলমাত্র ফিস ফ্রাই খেয়েছেন। কিন্তু বিজেপির বিধায়ক-সাংসদেরা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের দুর্নীতি, চুরি, মানুষের প্রাপ্য অধিকার নিয়ে লড়াই সংঘর্ষ করছে। গণতন্ত্র লুটের জন্য নবান্ন অভিযান করেছি আমরা। আবার রাজ্যে বাঞ্চিতদের অধিকারের দাবিকে সুরক্ষিত করতে রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে বিজেপি। রেশন দুর্নীতি, স্কুল নিয়োগে দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল, পুরনিয়োগ র্দুনীতি, কয়লা, বালি, গরু পাচার নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে তৃণমূল সরকারের ষড়যন্ত্রের কথা পৌঁছে দিয়েছি।”  

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কী বলেন?

    সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় যে ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জিয়াউদ্দীন অভিযোগ করছে ইডি সম্পূর্ণ ভাবে শুভেন্দুর নির্দেশেই সেখানে গিয়েছিলো। এর জবাবে জলপাইগুড়িতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এটা আতঙ্ক থেকে এইসব কথা চোরেরা বলছে। চোরেদের জেলে ভরা হবে আর এই আতঙ্ক থাকা ভালো। রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি সমস্ত চোরেদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘রাষ্ট্র বিরোধীরা রামের বিরুদ্ধে মিছিল করবে’’, মমতার সংহতি কর্মসূচিকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘রাষ্ট্র বিরোধীরা রামের বিরুদ্ধে মিছিল করবে’’, মমতার সংহতি কর্মসূচিকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকালেই ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে ফের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মেদিনীপুরের সাংসদ জানান, রাষ্ট্র বিরোধীদের নিয়ে রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে সংহতি মিছিল করছে তৃণমূল। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের কথাও। প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই ‘মিডলম্যান’ নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হন তিনি। এবং বৃহস্পতিবারে তাঁর (প্রসন্ন রায়ের) একাধিক আস্তানায় তল্লাশি চালায় ইডি।

    রাষ্ট্র বিরোধীদের নিয়ে তৃণমূলের মিছিল

    তৃণমূলের সংহতি মিছিল নিয়ে দিলীপের (Dilip Ghosh) মন্তব্য, ‘‘আগে তৃণমূল নিজেদের মধ্যে সংহতি করুক। সংহতির নামে হিন্দু বিরোধীদের এককাট্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার মনে হয় না কোনও হিন্দু এই সংহতি মিছিলে যাবে। যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্টভোগী, এই করেই খাচ্ছে আর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এরকম কিছু লোক যাবে। আর যারা সিএএ পাস হওয়ার পর সারা বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে ট্রেন, বাস, রেল, জাতীয় সড়ক অচল করেছিল, সেই সমস্ত রাষ্ট্রবিরোধীদের নিয়ে এখানে রামের বিরুদ্ধে মিছিল হবে।’’ প্রসঙ্গত, মমতার সংহতি মিছিল থেকে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হতে পারে এই অভিযোগ আগেই তুলছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দিলীপ ঘোষের কথাতেও দেখা গেল বিরোধী দলেনেতারই সুর।

    প্রসঙ্গ নিয়োগ দুর্নীতি ও প্রসন্ন রায়

    নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির তল্লাশি অভিযান নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘আগে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আগের বার তিনি জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু ইডি মনে করছে আরও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাই ফের তদন্ত হচ্ছে। জাল এতো বড় যে কে যুক্ত আর কে নয়, অনেকে অজান্তে যুক্ত হয়ে পড়েছে। কে সুবিধা পেয়েছে কে পায়নি, এভাবেই বিশাল বিস্তার হয়েছে। তার কিনারা খোঁজার চেষ্টা চলছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! সরব বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

    Asansol: এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! সরব বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বিষয়ে তীব্র শোরগোল। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। এবার ফের স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে করা হয়েছে অনিয়ম। এই নিয়োগের অভিযোগের কথা বলে কটাক্ষ করলেন আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। অবশ্য পশ্চিম বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বহুদিন ধরেই প্রধান শিক্ষকের পদগুলি শূন্য রয়েছে। অপর দিকে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্যরা।

    কী বলেন অগ্নিমিত্রা পল (Asansol)?

    আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিজেপি নেত্রী বলেছেন, “সরকারের নিয়ম মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হচ্ছে না। শিক্ষকদের কাউন্সিলিংয়ের সময় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকছেন। শিক্ষকদের পছন্দের মতো স্কুল বেছে নিতে দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষক নেতারাই জোর করে তাঁদের পছন্দ করা স্কুলে নিয়োগ করাচ্ছেন।”

    কীভাবে অনিয়ম হচ্ছে?

    আসানসোলের (Asansol) বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের নেতা পার্থ পাল জানিয়েছেন, “নিয়োগের নিয়ম অনুযায়ী নিয়ম হল শিক্ষকদের সিনিয়রিটি উপর ভিত্তি করে একটা প্রথমে তালিকা করা হয়। এরপর সেই তালিকা অনুযায়ী একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়। তারপরে তালিকায় অনুযায়ী শিক্ষকদের লিখিত চিঠি পাঠিয়ে ডাকার কথা থাকে। কিন্তু তা না করে, জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা নিজেদের পছন্দের লোককেই ডেকে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শেষ করার কাজ করার চেষ্টা করছেন।”

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য

    জেলা (Asansol) প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, “সরকার নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের কাজ চলছে। না জেনে অনিয়মের অভিযোগ করা হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে হচ্ছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা (Asansol) সভাপতি হিমাদ্রি সরকার বলেন, “বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে বিজেপির কোনও কাজ নেই তাই এইরকম অনিয়ম বেনিয়মের কথা বলে মিডিয়ার কাছে জনপ্রিয়তা চাইছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে এবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন তাঁদের সকলের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। বৃহস্পতিবার জব কার্ড সংক্রান্ত মামলায় এই কমিটি তৈরি করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই কমিটিতে থাকবেন রাজ্য, কেন্দ্র, ক্যাগ বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের এক জন করে প্রতিনিধি।

    কিসের ভিত্তিতে কমিটি

    ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এর মধ্যে একটি করেছিল শ্রমিকদের একটি সংগঠন। অন্যটি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষেত মজদুর সংগঠনের দাবি ছিল, তাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছেন। অথচ কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে এই নিয়ে টানাপড়েনের জন্য প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, শুভেন্দু আদালতকে বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজের নামে বিপুল দুর্নীতি (Fake Job Card) হয়েছে বাংলায়। বৃহস্পতিবার এই দু’টি মামলারই শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    কী বলল আদালত

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানতে চান, বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী? প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “দুর্নীতি যতই থাক, যাঁরা প্রকৃত দরিদ্র, তাঁদের জন্য কী করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে।” কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুরুলিয়ায় এই দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া যায়। আদালত যদি সিবিআইকে নির্দেশ দেয় তাহলে সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারে। আদালত জানিয়েছে, অভিযোগের গভীরে পৌঁছতে হলে আগে দেখতে হবে যাঁরা প্রাপ্য অর্থের দাবি করছেন, তাঁদের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না। তাই ভুয়ো জব কার্ড ধরতে বা সঠিক জব কার্ড যাচাই করতেই বৃহস্পতিবার ওই কমিটি তৈরি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  •  Purulia: ঝালদায় দলের হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা, অনাস্থায় অপসারণ পুরপ্রধানের

     Purulia: ঝালদায় দলের হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা, অনাস্থায় অপসারণ পুরপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় দলেরই হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা। ঠেকানো গেলে না পুরসভায় অনাস্থা। পুরপ্রধানকে অপ্রসারণ করতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাল তৃণমূলের কাউন্সিলররা। ফের দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ এবং অস্বস্তি দুই প্রকাশ্যে এলো। এলাকায় এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Purulia)?

    স্থানীয় (Purulia) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরপ্রধান বিজ্ঞপ্তি জারি করে তলবি বৈঠকের দিন ২৭ জানুয়ারি বদলে দেন। অপরে শাসক দল তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলর, কংগ্রেসের ২ কাউন্সিলরের সঙ্গে হাত মিলয়ে ৭-০ ভোটাভুটিতে তৃণমূলের পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায়কে অপাসারণ করে দেন। ২০২১ সালে পুর নির্বাচনের পর ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হইয়েছিল। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রকাশ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। এবার এই পুরসভার বোর্ড গঠন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে তৃণমূলের কাউন্সিলরা, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালো। এবার পুরপ্রধানকে হবেন তাই নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। এলাকার মানুষের বক্তব্য একেই বলে রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প। ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই রাজনীতি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় এই ঘটনায় তৃণমূল নিজের দলের মধ্যে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “এই ঘটনায় ঝালদা শহরের তৃণমূল কর্মী নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তলব করছি। সমস্ত বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছি।” অপর দিকে পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই তলবি সভা বৈধ নয়। এই বৈঠক পিছিয়ে আমি ২৭ জানুয়ারি করেছি। আমি আমার পুরসভার কাজ করে যাবো। ওঁরা যদি আমাকে কাজ করতে না দেয় তাহলে আমি আইনের সাহায্য নেবো।” এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অন্দরে ফের আইনি যুদ্ধের সূচনা যে হতে চলেছে সে কথা এলাকার অনেক মানুষই বলছেন।

    কংগ্রসের বক্তব্য

    এই দিন তলবি সভায় উপস্থিত থাকা শাসক দল তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান (Purulia) সুরেশ আগরওয়াল বলেন, “৭-০ ভোটেপুর প্রধানকে অপসারণ করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভবপর নয়।” অপর দিকে ঝালদা পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা এই তলবি সভায় অংশ গ্রহণ করা কংগ্রেস কাউন্সিলর বলেন, “গত দুই বছরে এই পুরসভায় কোনও কাজ হয়নি, এমন পুরপ্রধান আগে কোনও সময়ে দেখা যায়নি। সেই জন্য আমরা তাঁকে অপসারণ করলাম।” উল্লেখ্য গত ৬ সেপ্টেম্বরে বাঘমুন্ডিতে (Purulia) স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে নির্দল কাউন্সিলরা শিলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। এরপর পুরসভার বোর্ড গঠনের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামতে চাইছেন ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী।” মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় হবে রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার অতিথি। এই দিনই বাংলায় সম্প্রীতি মিছিলের আয়োজন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই কর্মসূচিকেই নিশানা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা

    তিনি বলেন, “এটা খুবই উদ্বেগের। সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট ওঁর কাছ থেকে সরে যাচ্ছে বলে উনি কার্যত রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। উনি উসকানি দিচ্ছেন। চাইছেন, গোটা রাজ্যে ব্লকে ব্লকে সম্প্রীতি মিছিলের নামে যাতে সেদিন রাম নবমীর মতো গোটা রাজ্যে কোথাও কোথাও অশান্তি ও মানুষের জীবন থেকে শুরু করে ধন-সম্পত্তির ক্ষতি হোক। পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে এটা খুবই উদ্বেগের। তিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ও শাসকদলের মুখিয়া। তিনি এই ধরনের আগুন লাগানোর চেষ্টা করছেন। এই উসকানি ছাড়া উনি ওঁর হারিয়ে যাওয়া মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক কিছুতেই ফিরিয়ে আনতে পারবেন না, এটা উনি ভালো করে জানেন।”

    ‘ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মুসলিমরা। তাই মুসলিমদরদি ভাবমূর্তি দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ককে সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী ধ্বংসের খেলায় নামতে চাইছেন।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “মনরেগা আর আবাস যোজনার টাকার দাবিতে রেড রোডে যে ধর্না দিয়েছিলেন, সেখান থেকে রাম নবমীর উসকানিদাতার নাম যদি কিছু থাকে, তাহলে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উসকানিতেই রিষড়া, ডালখোলা ও শিবপুরের পিএম বস্তিতে দাঙ্গা হয়েছিল।” শুভেন্দু বলেন, “ওঁর কণ্ঠস্বর হায়দরাবাদের পাকিস্তানপ্রেমী নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি মহামান্য রাজ্যপালকে বলব, উনি অবিলম্বে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে আধাসেনা মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রকে জানান। রাম নবমী থেকে শুরু করে সিএএ-কে এনআরসির তকমা দিয়ে যেসব জায়গায় সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছিল, নূপুর শর্মা ইস্যুতেও যা হয়েছিল, সেই সব জায়গা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন। ওই সব জায়গায় আধাসেনা মোতায়েন করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জ্বলা যোজনার জেরে ঊর্ধ্বগামী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার লেখচিত্র। তাই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের এই যোজনা বন্ধ করার ফন্দি আঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন তিনি। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ট্যুইট-বাণ হানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    কী বলছেন শুভেন্দু?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। আতঙ্কিত কারণ পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২২টি বাড়ি থেকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি রাজ্যের মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জনপ্রিয়তা টের পেয়ে প্রকল্পটি রাজ্যে বন্ধ করতে তিনি প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন।”

    মুখ্যসচিবকে চিঠি

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, উজ্জ্বলা যোজনার প্রথম পর্বে মোট উপভোক্তার ১১ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্বে মোট উপভোক্তার ১৭.২৬ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আমি এ ব্যাপারে মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠি লিখেছি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখার পর এই রাজ্যে প্রকল্পটি বন্ধ করতে প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন মমতা। ট্যুইটে পশ্চিমবঙ্গে উজ্জ্বলা যোজনার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    চিঠিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “অনেক গরিব মানুষ এলপিজি সংযোগের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের নিকটতম পরিবেশকদের সঙ্গে দেখা করলে তৎক্ষণাৎ তাঁদের আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। একটি অযৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা বর্তমানে চালু নেই। এবং কোনও নতুন অ্যাপ্লিকেশনও গ্রহণ করা হচ্ছে না।

    কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তাঁরা আমাকে গোপনে জানিয়েছেন যে, তাঁদের নিজ নিজ জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা নতুন সংযোগের জন্য আর কোনও আবেদন গ্রহণ না করার জন্য মৌখিক নির্দেশ জারি করেছেন। নির্দেশ না মানলে তার ফল ভালো হবে না বলেও তাঁদের শাসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী বলেই হয়তো টিকে আছেন”, মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী বলেই হয়তো টিকে আছেন”, মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্ধারিত কর্মসূচির তৃতীয় দিনে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে হাজির হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার দুপুরে জিয়াগঞ্জের ফুলতলা মোড়ে উপস্থিত হয়ে সেখানে ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন জিয়াগঞ্জের বাগডহর মোড়ের উদ্দেশ্যে। এরপর বিকেলে দলীয় একটি জনসভায় যোগদান করেন। এদিন একাধিক বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন।

    ভর্ৎসনা পুলিশের নয়, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর (Sukanta Majumdar)?

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ কোর্টের সামনে হয়তো ভর্ৎসনার শিকার হচ্ছে কিন্তু এই ভর্ৎসনা পুলিশের নয়, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী কে? আজ কোর্ট মমতাকে থাপ্পড় দিলো, এতো নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী বলেই হতো টিকে আছেন। অন্য রাজ্য হলে সেই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে বাড়িতে চলে যেতেন। হাজার হাজার একরের আদিবাসীদের জমি দখল করে নিয়েছে শাহজাহান। ভেড়ির সমস্ত জমি জোর করে দখল করে কোটি কোটি টাকা লুট করেছে এই তৃণমূল নেতা। পুলিশ তাঁকে সংরক্ষণ দিয়েছে।”

    আর কী বললেন?

    এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সুন্দর হাসি মার্কা ছবি দিয়ে লেখা সজল গ্রাম। টাকা দিচ্ছে মোদি অথচ ছবি মুখ্যমন্ত্রীর লাগানো। হিসাব না দিলে টাকা মিলবে না। রাজ্যের ৪১ টা প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। কারণ টাকার হিসেব দেওয়া হচ্ছে না।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ভাতা নিয়ে সুকান্ত বলেন, “পুলিশ না থাকলে তৃণমূল নামক কোনও বস্তুও থাকবে না। পুলিশ না থাকলে মুর্শিদাবাদেও কিছুই থাকবে না তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাতা না নেন তাহলে অ্যাপেলের আই ফোনটা কোথা থেকে এলো? নিজের পরনে সাদা শাড়িটা ডিজাইন করা, বাংলার কোন দোকানে পাওয়া যায় বলতে পারবেন? বাজার থেকে কেউ এক কপি কিনে এনে দিতে পারবেন? ডিজাইন করার টাকার উৎস কী? ভাতা নিচ্ছি না, মানে মুখ দিয়ে খাচ্ছি না স্ট্র দিয়ে খাচ্ছি। মুখ দিয়ে চুরি করলে মুখে লাগবে, তাই স্ট্র দিয়ে চুরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share