Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন নুসরতের নাম জড়ানো সংস্থার মাধ্যমে ‘প্রতারিত’রা

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন নুসরতের নাম জড়ানো সংস্থার মাধ্যমে ‘প্রতারিত’রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে অগ্রিম টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। যাঁরা এই অভিযোগ তুলেছেন, সেই সব প্রবীণ সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পর অনেকটাই আশ্বস্ত প্রতারণার অভিযোগ তোলা প্রবীণ নাগরিকরা। প্রায় ৩০-৫০ জন শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করেন। 

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অভিযোগকারীদের বক্তব্য, এতদিন ধরে সংস্থার কর্তারা তাঁদের শুধুই ঘুরিয়ে গিয়েছেন। এর পাশাপাশি সংস্থার তরফে ২২২ জনকে টাকা ফেরত দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, সেটাও পুরোটা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এখন দশ বছর পেরিয়ে সেই টাকা সুদে-আসলে অঙ্কটা অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতারিত অভিযোগকারীরা চাইছেন, সেই সুদ-সহ টাকা ফেরত পেতে। যাঁরা তাঁদের সঙ্গে এই প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ, তাঁদেরও উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রবীণ নাগরিকরা।

    আরও পড়ুুন: বাফার জোন টপকে এলোপাথাড়ি গুলি মণিপুরে, সংঘর্ষে মৃত ৩, পুড়ে খাক ঘরবাড়ি

    পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়, মানবিকতার খাতিরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, ‘মোট ৪১৫ জন প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। মোট টাকার অঙ্ক ২৩ কোটি। ৩৩০ জন মিলে একটি ফোরাম তৈরি করেছেন। আমি ওনাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেছি। ওনারা চান, প্রতারকদের শাস্তি হোক এবং ওনাদের মেহনতের টাকা অন্তন্ত ব্যাঙ্কের সুদ-সহ যাতে ওনারা ফেরত পান।’ বিরোধী দলনেতা জানান, আইনি লড়াই প্রবীণ নাগরিকরা যেভাবে চালাচ্ছেন, সেভাবে চালাবেন। তিনিও বিরোধী দলনেতা হিসেবে দেখবেন যাতে তাঁদের সেই আইনি লড়াইয়ের পথ সুগম হয়। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘প্রতারিত’দের আইনি লড়াইয়ে বিজেপি সব রকম ভাবে সাহায্য করবে। এখনও পর্যন্ত যা যা পদক্ষেপ করেছেন, সবই আমার নজরে রয়েছে। যোগাযোগও রাখছি। শাসকদলের হাতে যাঁরা অত্যাচারিত, তাঁদের পাশে বিশ্বাসযোগ্য বিরোধী দল হিসাবে দাঁড়াবে বিজেপি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম হ্যাক করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party), সম্প্রতি এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার এর পাল্টা দাবি করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যে মুখ্যমন্ত্রী পুরসভা-কর্পোরেশন ভোট ভিভিপ্যাট ছাড়াই ইভিএমে করেন তাঁর মুখে এসব মানায় না। তিনি নিজেই পুরসভা-কর্পোরেশনে ইভিএমে ভোট করেন। সেখানে ভিভিপ্যাট ছিল না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, তাঁর লোকেরা ব্যালট খেয়ে ফেলতে পারে, ইভিএম খেয়ে ফেলতে পারবেন না। এত বড়ো লিভার, এত বড়ো পেট কারও নেই।’’

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকে প্ল্যানিং করছে। ইভিএম হ্যাক করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। আমরাও কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। এটা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিমত। সম্প্রতি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার চুরির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘ক্রমাগত বদলাতে থাকা রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ভীত ও সন্ত্রস্ত। রাজ্যে তৃণমূলের সীমাহীন বেলাগাম দুর্নীতির আঁচ মানুষ করতে পেরেছে। মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। তাই নানান কথা বলা হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের থেকে সংখ্যালঘুরাও মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে অপ্রত্যাশিত হারের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ লম্বা হতে থাকে। প্রায় ৬৭ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে যেখানে ২০২১ সালে শাসক দল ৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল, সেইখানে উপনির্বাচনে ২৩,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজয় তৃণমূলের সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। এর পরে বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু রাজনৈতিক কর্মীদের শাসক দল ত্যাগ করা, দলবদল করা এবং সর্বশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত হিংসা, এত ছাপ্পা, রিগিং ও ভোট লুঠ সত্ত্বেও যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন, সেখানেও বহু জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এবার তৃণমূলকে বর্জন করেছেন।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ খারিজ করতে আজ, বুধবার ডেকেছিলেন সাংবাদিক বৈঠক। সাংবাদিকরা আগেভাগে হাজির হলেও, তৃণমূলের (TMC) নায়িকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এলেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় পঁচিশ মিনিট পরে। নুসরতের উদ্দেশে প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসতেই খানিক পরে মেজাজ হারান বসিরহাটের সাংসদ। সাংবাদিক বৈঠক মাঝপথে ফেলেই বেরিয়ে গেলেন। তার আগে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী বললেন, “ঋণ নিয়েছিলাম, সুদ সহ ফেরত দিয়েছি।”

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দিয়ে, ওই টাকায় নিজের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। তার জেরে অভিযোগকারীদের নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরই জবাব দিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক নুসরতের। তৃণমূল নেত্রী (Nusrat Jahan) অভিযোগ অস্বীকার করলে কী হবে, চেক নম্বর দিয়ে শঙ্কুদেবের দাবি, “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে, দফায় দফায়। সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত। ফ্ল্যাটের দলিলে কবে, কত টাকা নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন নুসরত।” নুসরতের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছে পদ্ম শিবির।

    প্রতারণার নয়া ছক

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “এটাই প্রতারণার নয়া ছক। টাকা তুলব, সংস্থা থেকে ইস্তফা দেব, এভাবেই প্রতারণা।” বিজেপির প্রশ্ন, “অভিযোগ মিথ্যে হলে কেন আদালতে যাচ্ছেন না বসিরহাটের সাংসদ?” বিজেপির অভিযোগ, “ নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অথচ তাঁকে আড়াল করছে পুলিশ। এখন বলছেন ঋণ নিয়েছেন! নিজের সংস্থা থেকে নিজেই ঋণ নিয়েছেন! মামলা না করার জন্য অভিযোগকারীদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন? কেন নথি দেখাতে পারলেন না?  কে ঋণ মঞ্জুর করল?  কোথায় সিদ্ধান্ত হয়েছে?”  

    আরও পড়ুুন: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    নুসরত (Nusrat Jahan) প্রভাবশালী বলেই অভিযোগকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না  বলে অভিযোগ। শঙ্কুদেবের অভিযোগ, “দফায় দফায় ৫ লক্ষ, ১১ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৩৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন নুসরত। ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকার ট্রানজাকশন হয়েছে। অথচ বলছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন! কীভাবে?” বিজেপির দাবি, বকলমে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটে তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিসে বসেই চাকরি বিক্রির চক্র চালাতেন স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ (Sujay Krishna Bhadra)। অন্তত এমনই অভিযোগ করা হয়েছে ইডির (ED) চার্জশিটে। সম্প্রতি দায়ের করা ইডির ওই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, কালীঘাটের পার্টি অফিস থেকে যে চাকরি বিক্রির চক্র চলত, তদন্তকারীদের জেরায় তা কবুল করেছেন সুজয়কৃষ্ণ স্বয়ং।

    সুজয়কৃষ্ণের প্রতিপত্তি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জেল হেফাজতে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল সুজয়কৃষ্ণের। সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra) তদন্তকারীদের এও জানিয়েছেন যে, মূলত তাঁর সুপারিশেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছিলেন মানিক। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিও মিলেছে সুজয়কৃষ্ণের কাছে। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকে মানিককে প্রার্থী করার অনুরোধ জানিয়ে অভিষেককে চিঠি লেখেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই চিঠি তাঁরা পাঠান সুজয়কৃষ্ণের কাছে। কেবল মানিক নন, জেলা পরিষদে তৃণমূলের জ্ঞানানন্দ সামন্তকেও প্রার্থী করতে তদ্বির করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ।

    সুজয়কৃষ্ণের হাত দিয়েই হত চাকরি!

    ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ বলেছেন, তাঁর কাছে চাকরি প্রার্থীরা কেউ সরাসরি আসতেন, কেউ বা নেতার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতেন। ইডির দাবি, চাকরিপ্রার্থীরা জানতেন সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক কেমন। তাই তাঁরা সমস্যার সমাধানের জন্য দ্বারস্থ হতেন সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra)। ইডির আরও অভিযোগ, কালীঘাটের তৃণমূল অফিসে বসেই বাঁকা পথে আসা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রাক্তন দুই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কালীঘাটের ওই পার্টি অফিসে বসেই বৈঠকও করেছেন তিনি। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, কুন্তল ও তাপসের মাধ্যমে ২০১২-১৪ সালের টেট চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা তিনিই পাঠিয়েছিলেন মানিককে।

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra) মোবাইল থেকে বেশ কিছু ভয়েস-মেসেজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এগুলি আদালতে প্রামাণ্য নথি হিসেবে পেশ করতে গেলে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা প্রয়োজন। এই নমুনা দিতে রাজি হননি সুজয়। তদন্তকারীদের অভিযোগ, সেই কারণেই অসুস্থতার বাহানা দিয়ে সময় নষ্ট করছেন কালীঘাটের কাকু। কেবল চাকরি বিক্রি নয়, ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের আরও একাধিক বেআইনি ব্যবসা রয়েছে। বিভিন্ন ভুয়ো বিল তৈরি করা হয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে চাপ দিয়ে ব্যবসায়ীদের শেয়ারও তিনি কিনিয়েছেন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Nusrat Jahan: ২৪ কোটির প্রতারণা! বয়স্কদের ঠকিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত? ‘কীর্তি’ জানত পুলিশও

    Nusrat Jahan: ২৪ কোটির প্রতারণা! বয়স্কদের ঠকিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত? ‘কীর্তি’ জানত পুলিশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রায় ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন বয়স্ক লোককে ফ্ল্যাট দেবেন বলে টাকা নিয়েছিলেন নুসরত জাহানের সংস্থা। কিন্তু ফ্ল্যাট মেলেনি। ইডির কাছে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছেন প্রতারিত ব্যক্তিরা।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    মঙ্গলবার, এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিরাট দুর্নীতি। ওই বয়স্ক লোকরা আমার কাছে এসেছিলেন। সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে ওই সাংসদ যুক্ত। ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা একটা ফ্ল্যাটও কিনেছেন, বয়স্ক লোকগুলোর টাকা ডাইভার্ট করে। সব নথি আমাদের কাছে রয়েছে।” বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করে এ-ও বলেন, ‘‘বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘প্রবীণ মানুষদের টাকা নিয়ে সাংসদ নিজে এক কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনে নিয়েছেন।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে। সমস্ত তথ্য তাঁর এবং তাঁদের কাছে রয়েছে বলেও বিধানসভায় বলেছেন বিরোধী দলনেতা। 

    নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়

    শঙ্কুদেব ইডিকে জানিয়েছেন, গড়িয়াহাট রোডের একটি সংস্থায় যৌথ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন নুসরত। ওই সংস্থা ২০১৪ সালে মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রাজারহাটে হিডকোর দফতরের কাছে তাঁদের প্রত্যেককে ৩ কামরার (৩ বিএইচকে) ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যে ওই ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালেও তাঁরা কোনও ফ্ল্যাট পাননি বলে ইডির কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন শঙ্কু। 

    ইডির দ্বারস্থ প্রতারিতেরা

    যে নাগরিকেরা ইডি-র কাছে গিয়েছিলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, নুসরতের সঙ্গে ওই সংস্থার যৌথ ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ নামের এক ব্যক্তি। ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তিনিই দিয়েছিলেন। প্রতারিতেরা গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর-ও দায়ের করেছেন। শঙ্কুর দাবি, পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে ইডি অফিসে গিয়ে গতকাল অভিযোগ জানিয়েছি। নুসরতের লোকজন ওই সংস্থার মাধ্যমে টাকা তুলছে। অবিলম্বে এটা আটকানো দরকার। কিন্তু পুলিশ কিছু করছে না।’’

    আরও পড়ুুন: প্রচারের হাতিয়ার স্থানীয় বিষয়, তৃণমূলের দুর্নীতি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ মোদির

    পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ

    প্রতারিতদের অভিযোগ,  নুসরতের এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল রাজ্য প্রশাসনও। এমনকি নুসরতের বিরদ্ধে তদন্তে নেমে অভিযোগের সত্যতাও খুঁজে পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তারপরও নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা।প্রতারিতদের অভিযোগ, তাঁরা প্রথমেই গড়িয়াহাট থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁদের অভিযোগ নেওয়াই হয়নি। পরে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। জানা যাচ্ছে, আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) গড়িয়াহাট থানাকে দিয়ে আর্থিক প্রতারণার মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধান করিয়েছিলেন। অভিযোগ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় গড়িয়াহাট থানা। অনুসন্ধান রিপোর্ট গত ৩০ জানুয়ারি আদালতে জমা পড়ে। সেই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রতারিত ব্যাঙ্ক কর্মীদের অভিযোগের সত্যতা হয়েছে। তা-ও কোনও পদক্ষেপ না করা হলে প্রতারিতরা সোমবারই নুসরতের বিরুদ্ধে ইডি-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Yogi Adityanath: “গোটা দেশকে পশ্চিমবঙ্গ বানাতে চান?”, নাম না করে মমতাকে তোপ যোগীর

    Yogi Adityanath: “গোটা দেশকে পশ্চিমবঙ্গ বানাতে চান?”, নাম না করে মমতাকে তোপ যোগীর

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: “যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, তাঁরা দেখুন, উত্তরপ্রদেশ আর বাংলায় কীভাবে নির্বাচন হয়। ওঁরা গোটা দেশকে পশ্চিমবঙ্গ বানাতে চান?” একটি বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “দেখুন, কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন করিয়েছে তৃণমূল সরকার। সবাই দেখেছে, বাংলায় কীভাবে বিরোধীদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়ে কেউ কিছু বলছে না, সবাই চুপ।”

    অশান্তি নেই উত্তরপ্রদেশে

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সাড়ে ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৭ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশে কোনও অশান্তি হয়নি। কিছু লোক ক্ষমতায় এসে পুরো ব্যবস্থাটাকে কুক্ষিগত করতে চাইছে, যেটা পশ্চিমবঙ্গে দেখলাম। এসব নিয়ে তো কেউ কথা বলে না।” যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “উত্তরপ্রদেশেও পুরভোট হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। কোথাও অশান্তি হয়নি।” তিনি বলেন, “গত ৬ বছরে উত্তরপ্রদেশে সব উৎসব পালন করা হয়েছে, কোনও দাঙ্গা হয়নি, কোথাও কার্ফু জারি করা হয়নি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে বুলডোজার অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। যারা অপরাধী, সরকারি সম্পত্তি দখল করে রয়েছে, তাদের কি আরতি করা উচিত ছিল?”

    শুভেন্দুর ট্যুইট 

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে (Yogi Adityanath) ধন্যবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও নৈরাজ্যের কথা তুলে ধরার জন্য যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে চরম হিংসা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েই হিংসা হয়েছে ভোটে।”

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয় রাজ্যে। নির্বাচনের (Yogi Adityanath) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় খুন-খারাপি। পুরো নির্বাচন-পর্বে রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন ৫২ জন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন ভোটারও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সেই হিংসাকেই এদিন নিশানা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ।

    আরও পড়ুুন: প্রচারের হাতিয়ার স্থানীয় বিষয়, তৃণমূলের দুর্নীতি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ মোদির

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল গণনার দিন ট্যুইট করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনিও জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার কারণে অসমের ধুবড়ি জেলায় আশ্রয় চেয়েছিলেন ১৩৩ জন। আমরা তাঁদের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দিয়েছি। দেওয়া হয়েছে খাবার ও স্বাস্থ্য পরিষেবাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে সরগরম দেশ। বিজেপি শাসিত এই রাজ্য নিয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে নষ্ট হয়েছে সংসদের বেশ কয়েকটা মূল্যবান দিন। মণিপুর ইস্যুতে হইচই হয়েছে রাজ্যের বিধানসভায়ও। আজ, সোমবার এনিয়ে বিধানসভায় আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মালদহ-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতন নিয়ে বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চাইলেও, তাতে রাজি হননি তিনি। স্পিকারের ‘দ্বিচারিতা’র বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন অগ্নিমিত্রা 

    রবিবার এ ব্যাপারে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “ওরা এ প্রসঙ্গে আগামিকাল (আজ, সোমবার) আলোচনা চালাবে এবং আমরাও আলোচনা করতে রাজি আছি। তবে আমরা এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা কী অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা করতে চাই। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় আমাদের উচিত প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কথা বলা, তারপর মণিপুর (Manipur)। আমরা দুটো রাজ্য নিয়েই আলোচনা করতে প্রস্তুত।”

    তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন বিধানসভায় আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন বিরোধীরাও। প্রসঙ্গত, মণিপুর নিয়ে বিধানসভায় তৃণমূলের আনা নিন্দাপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে শুক্রবার। বিধানসভার সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, আজ, সোমবার এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে মণিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি ওই রাজ্যের প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মণিপুর সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠারও।

    বিবৃতি জারি বিধানসভার

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার ঘটনায় মহিলাদের ওপর সব থেকে বেশি আক্রমণ হচ্ছে। তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে। গোটা রাজ্য জ্বলছে। রাজ্যে লুটপাট, অরাজকতা চলছে। মানুষের ন্যূনতম স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হিংসাশ্রয়ী এই সংঘর্ষের ছবি শুধু মণিপুরের (Manipur) নয়, গোটা দেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে। অমানবিক পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা করে রাজ্য বিধানসভা দাবি করেছে, কেন্দ্র অবিলম্বে মণিপুরকে শান্ত করুক।

    আরও পড়ুুন: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা যে নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন, তা নিয়েও অবশ্যই আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এটা (নিন্দা প্রস্তাব) কেবল মণিপুর নিয়েই নয়, বাংলা নিয়েও হওয়া প্রয়োজন। এই প্রস্তাব রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Murshidabad: ‘‘ছাব্বিশের ভোটের আগেই নতুন দল’’! শোকজের চিঠি পেয়েই হুঙ্কার হুমায়ুন কবীরের

    Murshidabad: ‘‘ছাব্বিশের ভোটের আগেই নতুন দল’’! শোকজের চিঠি পেয়েই হুঙ্কার হুমায়ুন কবীরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আজ সাংবাদিকদের সামনে বললেন, ‘‘২০২৬-এর আগামী বিধানসভা ভোটের আগেই আমি নতুন দল তৈরি করবো।’’ বর্তমানে আমি তৃণমূলের বিধায়ক, ২০২৪ সালে পার্লামেন্ট ভোটে দেখে নেবো, আর তারপরেই দল গঠন করব। তৃণমূলের তরফ থেকে শোকজের অভিযোগ করা হলে, উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    নতুন দল গঠন করবেন (Murshidabad)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় পর্ব থেকেই হুমায়ুন কবীর দলের জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। দল এবার শোকজ করলে, তিনি সাংবাদিকদের সামনে নতুন দল তৈরির কথা বলেন। বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “যদি আমার কাছ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমি নতুন দল গঠন করবো এবং তা হবে ২০২৬ সালের ভোটের আগেই”। সেই সঙ্গে আরও বলেন, “আমি যে শুধু মুখে বলি তা নয়, ভবিষ্যতে আপনারা দেখতেও পাবেন। এই দল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দল হবে না, সারা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী হবে। দল যখন খুলবো তখন দেখবেন, নর্থ, সাউথে কোথায় আমার কত লোক রয়েছে। সব দেখতে পাবেন ধৈর্য ধরুন।” এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে আরও বলেন, “মার্কসবাদী দল আমি করব না। কারণ বিগত ৩০ বছর রাজনীতি করেছি আর এর মধ্যে বামপন্থীরা ২৭ টি রাজনৈতিক কেস আমাকে দিয়েছে। এক সময় কংগ্রেস দলও করেছি, এখন আমি তৃণমূল কংগ্রেস করছি, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক।”

    কবে থেকে তৃণমূল করতেন?

    হুমায়ুন বলেন, “১৯৯৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির আগে আমি মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কংগ্রেস করতাম। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী এবং সৌমেন মিত্র প্রদেশ সভাপতি। এই তৃণমূল দলটা তো তখন কয়েকজন মিলে তৈরি করা হয়েছিল। এই দলের রেজিস্ট্রেশন কার নামে আছে! তার কপি আমার কাছে আছে। সুতরাং হয়তো কেউ কেউ ভাবছেন আমি মুখে বলছি, হুংকার দিচ্ছি, কিছুই হবে না! তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি ধৈর্য ধরুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত, এরপর দেখবেন হুমায়ুন মুখে যা বলে, কাজেও তাই করে।” তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, “মানুষের পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে যায় তখন মানুষ বাঁচার জন্য তার শেষ চেষ্টা করে। আমারও ঠিক তাই, কিছু করেই মরবো।”

    জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে হুমায়ুন বলেন, “জেলানেত্রী আশায় বুক বেঁধেছেন যে হুমায়ুনকে দল বার করে দিলে তাঁদের লুটপাট ভালই চলবে। আজ দু’ঘণ্টা আগে শোকজের চিঠি পেয়েছি। আর চার দিন ধরে শোকজের চিঠি সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ বারোটার সময় আমার ছেলে চিঠি রিসিভ করছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তার উত্তর আমি তৈরি করে বিধানসভায় উপস্থিত হবো। এরপর হাতে হাতে চিঠিটা রিসিভ করে নিয়ে আসবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Humayun Kabir: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ তৃণমূলের, পাল্টা তোপ নেতার

    Humayun Kabir: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ তৃণমূলের, পাল্টা তোপ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ করল দল। শনিবার দলের তরফে তাঁকে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নাম না করে পঞ্চায়ত ভোটে হুমায়ুনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এক দিন পরে বিধায়ককে শোকজ করল দল। 

    কী বলেছিলেন হুমায়ুন

    শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে হুমায়ুন কবীর এ রাজ্যের মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় বলে মন্তব্য করেন। যা রীতিমতো দলের পক্ষে অস্বস্তিকর।  কেন হঠাৎ করে হুমায়ুন এরকম মন্তব্য করলেন? তা নিয়েই রীতিমতো ক্ষুব্ধ দল। হুমায়ুন বলেন, ‘রাজ্যে মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। মুসলিম মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১ হাজার টাকা দেওয়া যায় কি? প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রস্তাব রাখেন, ‘অন্তত ওবিসি মুসলিম মহিলাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।’ তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভায়।

    আরও পড়ুুন: প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা মোদির

    কেন শোকজ

    হুমায়ুন কবীর বর্তমানে বিধানসভার দু’টি স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটিতে আছেন। ‘পেপার লেড স্ট্যান্ডিং কমিটি’-র চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি কাজ করছেন। এদিন বিধায়ক শো-কজের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে এই চিঠি শনিবার সকালে নিয়েছেন। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সই করা লেটারহেডে এই চিঠি এসেছে। তিনি যথা সময়ে চিঠির উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাঁকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হুমায়ুন বলছেন, আগামী দিনে তিনি শোকজের যথাযথ উত্তর দিয়ে নেতৃত্বের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু যদি সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হন, তাহলে কী পদক্ষেপ করবেন তিনি, সেটি অবশ্য স্পষ্ট করেননি। তবে এটা বলেছেন, ‘‘যতদিন আমার শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপির তিন সহ ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Panchayat Elections 2023: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপির তিন সহ ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ। খাস কলকাতা শহরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য। অপহৃত চার প্রার্থীর মধ্যে তিনজন বিজেপির, একজন বাম সমর্থিত নির্দল। শহরের একটি গেস্ট হাউস থেকে অপহরণ করা হয় তাঁদের। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই অপহরণ করেছে ওই প্রার্থীদের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।

    অপহরণের দাবি

    জানা গিয়েছে, পঞ্চসায়র থানা এলাকার পিয়ারলেস হাসপাতালের কাছে সপরিবারে একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Elections 2023) চার প্রার্থী। তাঁদের পরিবারের দাবি, নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা ওই গেস্ট হাউসে ছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা দেখেন, ওই গেস্ট হাউসের সামনে বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে তৃণমূল নেতারা ছিলেন। গেস্ট হাউসের মালিক বাপ্পা ঘোষ জানান, গন্ডগোলের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। উঠে দেখেন, কয়েকজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন কেউ বা কারা। অনেকেই যেতে চাইছিলেন না, জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান রয়েছে বলে ঘর ভাড়া নিয়েছিল ওই পরিবারগুলি।

    প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

    সিপিএমের অভিযোগ, গেস্ট হাউস থেকে ওই চার জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। তার একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। সিপিএমের তরফে প্রবীণ রাজনীতিবিদ (Panchayat Elections 2023) তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মথুরাপুর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য বিরোধীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল তৃণমূল। সেই কারণেও ওঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই গেস্ট হাউসে। বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছে ওঁদের।

    আরও পড়ুুন: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

    ১৫ আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি আসনে জেতে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে ৬টি আসন। আর সিপিএম জয়ী হয়েছে তিনটি আসনে। নির্দল প্রার্থীরা জেতেন দুটি আসনে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) তৃণমূল যে যেন-তেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া, এই ঘটনাই তার প্রমাণ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের দাবি, সেই কারণেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাসের আবহ সৃষ্টি করা হয়েছে রাজ্যে। তার পরেও বিরোধীরা ভাল ফল করায় এবার অপহরণের পথ নিয়েছে শাসকদল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share