Tag: tmc

tmc

  • Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের (Murshidabad) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, তৃণমূল নেতা অশোক দাসকে পাশে বসিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শাওনি সিংহরায়কে অপসারণ করতে হবে বলে দাবি তুললেন। শাওনির জায়গায় নিয়ামত শেখকে বসাতে হবে বলেও তাঁর দাবি। একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, জেলার আরও এক নেতা অপূর্ব সরকারকেও সরাতে হবে। কার্যত তৃণমূলের এই বিধায়ক জেলার নিজের দলের বিরুদ্ধেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর গুরুত্বকে আরও একবার প্রমাণ করতে দলের বিরুদ্ধে এভাবেই বিস্ফোরক হলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

    কীভাবে ক্ষমতায় এল তৃণমূল?

    হুমায়ুন বলেন, এই জেলার (Murshidabad) রাজনৈতিক ইতিহাস দীর্ঘদিনের। অশোক দাসের মতো মানুষ ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সদস্য। সেই সময় এই জেলায় তৃণমূলের ভোটের পরিমাণ ছিল ৪%। পরে অশোক দাসকে দলের সভাপতি করলে ভোটের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯%। সেই সময় তাঁকে জেলার ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। এরপর মোহম্মদ আলি যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন দলের ভোট ৯% থেকে ২৪% এ পৌঁছায়। যারা যোগ্য, যারা জিতেছে, তাদের মধ্যে কেউ দলের ক্ষমতায় নেই। কিন্তু যারা হেরেছে, তাদেরকেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে! ঠিক এইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান দলের বিধায়ক হুমায়ন কবীর।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ

    হুমায়ুন কবীর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন, আমরা ২১৩ জন বিধায়ক তখন মুখ্যমন্ত্রীকে দলনেত্রী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলাম। রাজ্যপালের কাছে শপথ নেওয়ার সময় আমরা বিধায়করাই সই করেছিলাম। সেখানে শাওনি সিংহরায় সই করেনি! হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের সামনে আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাকে আগে প্রয়োজন! হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) না শাওনি সিংহরায়কে? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে! তাঁর এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যে দলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে যাঁদের টিকিট দেওয়া হয়নি, তাঁরাই এখন ডাবগ্রাম ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। টিকিট না পাওয়া দলের বিক্ষুব্ধ যে আটজন নেতা-কর্মী নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হুমকিতে কাজ না হওয়ায় এখন তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে অনুনয় বিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন দলের নেতারা।  

    ‘অযোগ্যদের’ নিয়ে কেন এত চিন্তা তৃণমূলের (Panchayat Election)? 

    এ নিয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের এবারেরও প্রার্থী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে বিদায়ী উপ প্রধান নির্মল বর্মনের। নির্মলবাবু এই অঞ্চলে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কর্মী। বাম আমলে তিনিই এই অঞ্চলে তৃণমূলের প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য। দল এবার তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। নির্মলবাবু বলেন, আমরা তো অযোগ্য, গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাহলে আমাদের নির্দল প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য কেন দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব? একটু থেমে হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, কোনও চাপ আমাদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করাতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধায় এলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবো না। এতদিন দেদার টাকা চুরি করেছে। এলাকার মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেতা ও প্রার্থীরা বুঝতে পারছেন, মানুষ তাঁদের গ্রহণ করছেন না। টাকার বিনিময়ে যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে, মানুষের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। তাই এখন তৃণমূল নেতৃত্ব পাগল হয়ে গিয়েছে। 

    চাপে পড়ে কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat Election)?

    বিদায়ী প্রধান তথা তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্মল বর্মন এখন দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন, তা তিনি তৃণমূলের টিকিটে জিতে ক্ষমতায় থাকতে করেননি কেন? নির্মল বর্মন কেমন, সেটা এলাকার মানুষ ভালোমতোই জানেন। তবু দলের থেকে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বোঝাচ্ছি মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করার জন্য। যাতে পরে কেউ না বলতে পারে, দলের থেকে তাঁদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়নি, অভিমান ভাঙার সুযোগ পাননি তাঁরা। তারপরেও কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলের পাশাপাশি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জলের অসহনীয় সঙ্কট ও বেহাল রাস্তা তৃণমূলকে এবার এখানে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • BJP: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীর ‘বাড়ি ঘেরাও’ তৃণমূলের

    BJP: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীর ‘বাড়ি ঘেরাও’ তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল আছে সন্ত্রাসেই! মনোনয়নপত্র না তুলে নিলে বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। ওই প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক দেখা করতে এলে পুলিশের সামনেই পুরো বাড়িটি ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ঘর ছাড়া ওই বিজেপি প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকায়। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর আগেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। বর্তমানে চাইলে মনোনয়নপত্র তুলে নিতে পারে বিভিন্ন প্রার্থীরা। মনোনয়ন তোলার শেষদিন মঙ্গলবার। 

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ…

    রাজ্যজুড়ে অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্যের শাসক দল, বিরোধীদের বিভিন্নভাবে জোরপূর্বক মনোনয়নপত্র বাতিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। ঠিক সেই রকম শান্তিপুর থানার কুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭২ নম্বর বুথের এ বছর বিজেপি পার্টির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পরিমল রায়। অভিযোগ ওঠে রবিবার গভীর রাতে ওই এলাকার তৃণমূল নেতা শুভঙ্কর মুখার্জি ওরফে পিটার তার দলবল নিয়ে বিজেপি প্রার্থী পরিমল রায়ের বাড়িতে হানা দেয়। এবং ওই প্রার্থী সহ তাঁর পরিবারকে মনোনয়নপত্র না তুলে নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপরেই চরম আতঙ্কে ভুগছে ওই পরিবার। গতকাল রাতে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং নদীয়া দক্ষিণের বিজেপি সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী সহ একাধিক কর্মীরা। 

    পুলিশের সামনেই বাড়ি ঘেরাও এর অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) নেতারা যখন ওই প্রার্থীর বাড়ির ভেতর কথা বলছেন ঠিক তখনই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পিটার এবং তার দলবল নিয়ে পুলিশের সামনেই পুরো বাড়িটি মিছিল করে ঘেরাও করে ফেলে। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ পর বাধ্য হয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন সাংসদ ও বিধায়করা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্মীদের তত্ত্বাবধানে কোনওরকমে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে আসেন তাঁরা। তবে প্রায় তিন কিলোমিটার তাদের পিছন পিছন আসতে থাকে তৃণমূলকর্মীরা এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে। এরপর বিজেপি নেতা ও কর্মীরা ফুলিয়া ফাঁড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নিরাপত্তার দাবিতে। বর্তমানে প্রাণভয়ে ঘর ছাড়া ওই বিজেপি প্রার্থী।

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী পরিমল রায় বলেন, ‘‘গত পরশুদিন রাত বারোটা নাগাদ পিটার এবং তার দলবল তার বাড়িতে যায় এবং মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় তাঁরা বলেন, এরপর কিছু ঘটনা ঘটে গেলে সেটা সহ্য করতে পারবো কিনা!’’

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘গোটা রাজ্য জুড়ে আমাদের একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদ রয়েছেন। শাসকদল কার্যত পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে চেষ্টা করছে জোরপূর্বক যাতে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেওয়া যায়। আমাদের বিজেপি প্রার্থী পরিমল রায়ের ওপর যদি কোনও আক্রমণ হয় তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে জনগণ পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC: তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুইয়ে দিচ্ছেন এক মতুয়া! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

    TMC: তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুইয়ে দিচ্ছেন এক মতুয়া! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কে রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। মতুয়া সমাজকে দিয়ে পা ধোয়ানোর অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, জনৈক এক মতুয়া কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুয়ে দিচ্ছেন। বিধায়ক বসে রয়েছেন চেয়ারে। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ…

    জানা গিয়েছে, সোমবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে রায়গঞ্জের বাহীন পঞ্চায়েতের মহারাজপুর গ্রামে তৃণমুল (TMC) প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মতুয়াদের মন্দিরে যান রায়গঞ্জে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সেখানে গুরুচাঁদ, হরিচাঁদ ঠাকুরের পুজো দেন তিনি। তবে তার আগে মন্দির চত্বরে ঢুকতেই বিধায়কের পা ধুইয়ে গামছা দিয়ে মুছে দেন এক মতুয়া। পরে মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় মিছিল করে, তৃণমুল প্রার্থীদের সমর্থনে গ্রামে প্রচারও করেন। আর এ নিয়েই বিতর্কের ঝড় উঠেছে জেলা জুড়ে।

    কী বলছে বিজেপি?

    জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কৃষ্ণকে ‘খানদানি জালি’ বলে কটাক্ষ করেছে। এই ঘটনায় কৃষ্ণ কল্যাণীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। তাঁর মতে, ‘‘মতুয়াদের বরাবরই বঞ্চনা করে এসেছে শাসক দল। দিন কয়েক আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুর নগর সফরে এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। মতুয়াদের মধ্যে গুরুদের পা ধুইয়ে দেওয়ার রীতি আছে। কিন্তু বিধায়ক মতুয়াদের গুরু নন। তিনি মতুয়াদের দিয়ে পা ধুইয়ে মতুয়া সমাজকে অপমানিত করলেন। তাঁকে বিধায়ক বানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর তিনি ভোটারকে দিয়ে পা ধোয়াচ্ছেন। এটা তৃণমুলের (TMC) সংস্কৃতিতেই হয়।’’

    কী বলছেন কৃষ্ণ কল্যাণী?

    এই ঘটনায় রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী পাল্টা বলেন, ‘‘ওনারা আমাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন। সেটা ওখানে গেলেই বুঝতে পারবেন। আর বিজেপি মতুয়া ও আদিবাসী কোনও সংস্কৃতিই জানে না। ওরা শুধু ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি বোঝে। আর মতুয়ারা ওইভাবে আমাকে ওয়েলকাম করেছেন।’’ ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য বলছে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আদিবাসী ও মতুয়া বিরোধী তকমা জুটেছে। এদিন মতুয়া মন ফিরে পেতে কৃষ্ণর কাজ আরও বিতর্ক বাড়িয়ে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদত্যাগের হুমকি ব্লক সভাপতির! চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদত্যাগের হুমকি ব্লক সভাপতির! চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে জেলায় জেলায় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে। পুরনো কর্মীরা বেশ বড় সংখ্যায় দল ছেড়েছেন। টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদ বিক্রির অভিযোগে কোথাও আবার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় পদত্যাগের হুমকি দিলেন শাসকদলের নেতারা। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে রায়না তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই ঘোষণা করেছেন। যা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে এহেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়না জুড়ে। এদিন রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রায়না-২ এর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসীম পাল এবং সাধারণ সম্পাদক মুন্সি হাসিবুর রহমান।

    কী বলছেন বিদ্রোহী নেতারা (Panchayat Vote)?

    তাঁদের অভিযোগ, প্রার্থী পদ বিলি (Panchayat Vote) নিয়ে দুর্নীতি করেছেন এলাকার বিধায়ক। রায়না-২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসীম পাল বলেন, ‘‘আমরা দলের নির্দেশ মতো বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। কিন্তু বিধায়ক কিছু দুর্নীতিবাজ নির্দলদের দলীয় প্রতীক দিতে চাইছেন। আর এক ধাপ এগিয়ে ব্লকের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি হাসিবুর রহমান বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দোপাধ্যায় তাঁর নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বেছে নিয়েছিলেন। তার বদলে তোলাবাজ, দুর্নীতিবাজদের ভোটে মনোনয়ন দেবার চেষ্টা চলছে।’’ তাঁদের আরও সংযোজন, ‘‘দলের জেলা সভাপতি বলেছিলেন অফিসিয়াল তালিকার প্রার্থীরাই থেকে যাবেন। তা যদি না হয়, দলের সব পদ ছেড়ে দিয়ে বসে যাব।’’

    কী প্রতিক্রিয়া শাসক দলের নেতৃত্বের (Panchayat Vote)?

    দুই বিদ্রোহী নেতার মূল অভিযোগ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক শম্পা ধারার বিরুদ্ধে। তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধরেননি। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘দল ভেবেচিন্তেই প্রার্থী (Panchayat Vote) করেছে। যাঁরা টিকিট পাবেন তাঁরাই প্রার্থী হবেন। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব মিটে যাবে। এ নিয়ে অহেতুক হইচই করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Nausad Siddique: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    Nausad Siddique: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুনের আশঙ্কা করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের (ISF) নওশাদ সিদ্দিকি (Nausad Siddique)। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন শুক্রবার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেই চিঠি লেখার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নওশাদকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। তাঁকে দেওয়া হবে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা।

    জেলায় জেলায় অশান্তি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অশান্তি হয়েছে ভাঙড়েও। তৃণমূলের খাসতালুক ভাঙড়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে থাবা বসিয়েছে নতুন দল আইএসএফ। তৃণমূল প্রার্থীকে গোহারা হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই অশান্তির আগুন জ্বলেছে ভাঙড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে পরেই ভাঙড়ে ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। তার পর তৃণমূল এবং আইএসএফ (Nausad Siddique) কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হয় সংঘর্ষ।

    আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু

    দিন তিনেক আগে তৃণমূল আইএসএফ সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছিল একজনের। এলাকার একটি পানা পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক যুবকের দেহ। দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় কাশীপুর থানার পুলিশ। সব মিলিয়ে নির্বাচনী অশান্তির জেরে কেবল ভাঙড়েই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দিন ভাঙড় ২ বিডিও অফিস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসছিলেন আইএসএফ কর্মী ওই যুবক। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তাঁর সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হন আইএসএফের আরও কয়েকজন। পরে মৃত্যু হয় ওই আইএসএফ কর্মীর।

    ঘটনার জেরে ফের একপ্রস্ত সংঘর্ষ হয় দু পক্ষে। লাঠি, বাঁশ নিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় দু পক্ষকে। মুড়িমুড়কির মতো হয় বোমাবাজিও। পরে ভাঙড়ের অশান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।অশান্তির এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে যান ভাঙড়ের বিধায়ক (Nausad Siddique)। যদিও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। পরে নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখেন নওশাদ। তার পরেই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bhangar: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    Bhangar: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাঙড় পরিদর্শন করে যাওয়ার পর টনক নড়ল পুলিশের। শনিবার ভাঙড় (Bhangar) এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার এস পুষ্পার নেতৃত্বে রুটমার্চ করা হল। তবে, এত কিছু করার পরও এখন আতঙ্ক কাটেনি ভাঙড়বাসীর। পুলিশ রুটমার্চ করলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

    রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পর ভাঙড়ে (Bhangar) সার্বিক অবস্থা কেমন?

    বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ভাঙড়ের (Bhangar) কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। চলে গুলি। খুন হন তিনজন রাজনৈতিক কর্মী। আইএসএফ এবং সিপিএম কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভাঙড়ে ঢুকে বিজয়গঞ্জ বাজারে গাড়ি থেকে নামেন রাজ্যপাল। ঘুরে দেখেন এলাকা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। রাজ্যপালকে দেখেই এগিয়ে যান স্থানীয়রা। কয়েকজন আইএসএফ প্রার্থী রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়ে তাঁরা বলেন, ভয় দেখিয়ে, পথ আটকে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ক্যানিং থেকে গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা ভাঙড়ে ঢুকেছিল। ভাঙড়ের গণ্ডগোলের পর কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। একটি ভিডিওতে এক ব্যাক্তি বলেন, আরাবুলের নির্দেশে আমি এসেছি। ৩০ হাজার টাকা আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা। আমি গুলি চালিয়েছি। পাল্টা হিসেবে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাও শুক্রবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি ভাইরাল ভিডিও দেখিয়ে বলেন, পিটিয়ে একজনকে মারার ঘটনায় আইএসএফ জড়িত রয়েছে। সবমিলিয়ে ভাঙড় এলাকা থমথমে রয়েছে। শনিবারও ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটে লোকজন ছিল না বললেই চলে। তবে, পুলিশ রুটমার্চ করলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। 

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বারুইপুর পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল কর বলেন, আরাবুল আর শওকত মোল্লা কেমন মানুষ তা রাজ্যবাসী জানেন। ভাঙড়ের (Bhangar) ঘটনার পর পুলিশের রুটমার্চ করে শান্ত করা যাবে না। অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু, পুলিশ তো ফুলিশ হয়ে গিয়েছে। ওরা দলদাস। তাই, ওদের নিয়ে কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ এবারে নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) দিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র হল নন্দীগ্রাম। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের দিকে রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর। অপর দিকে তৃণমূলেরই টিকিট পাননি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রামে কী ফল হবে সেই প্রশ্ন এখন সবাইকার মুখে। 

    কেন নজর নন্দীগ্রামে?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল, জেলা পরিষদের টিকিট পাননি বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশান এজেন্ট তথা নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। সুফিয়ানের অনুগামীরা অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা নাগরিক মঞ্চ গঠন করে প্রার্থী দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে আবার বিজেপি। ফলে রাজনৈতিক ভাবে ভোটের অঙ্কের হিসেব কী দাঁড়াবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    বিজেপি প্রার্থীর অঙ্কটা কেমন?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) মোট ১০ টি অঞ্চল রয়েছে এই ১ নং ব্লকে। দশটি অঞ্চলের মোট আসন সংখ্যা ১৮৫ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি ও জেলা পরিষদের ৩ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি আসনের মধ্যে ২৩ টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি এবং ৩ টি জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যে আসন গুলিতে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি, সেখানে নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাথ পালের বক্তব্য, ১০ টি অঞ্চলেই বোর্ড গঠন করবে বিজেপি।

    তৃণমূলের বক্তব্য 

    তবে এই বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না ১ নং ব্লক (Purba Medinipur) তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৬ আসনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৭ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতন কর্মী পায়নি বিজেপি। বিরোধী রাজনীতির দলকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সকলেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম আজ মিউজিয়ামে, কংগ্রেসে আজ হিমঘরে, বিজেপি আজ গোয়ালঘরে এবং তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে মানুষের দুয়ারে, তাই আমাদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। বাপ্পাদিত্যবাবু আরও বলেন, নন্দীগ্রাম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, জয় আমাদের নিশ্চিত।

    পাশাপাশি শুভেন্দু গড়ে এখন কোন ফুল ফোটে এটাই এখন দেখার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ

    Malda: মালদায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পর এবার মালদা (Malda)। তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার সুজাপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোস্তফা শেখ। তিনি সুজাপুরের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী। কংগ্রেস নেতৃত্ব হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গতকাল সন্ধ্যের নামাজের পর মোস্তফাসাহেব বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় সদ্য তৃণমূল ত্যাগী কর্মী সমর্থকেরা তাঁকে আক্রমণ করে এবং পিটিয়ে খুন করে। ওই ঘটনার পরপরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, টিকিট না পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের তৃণমূল কার্যালয়টিকে কংগ্রেসের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়। মোস্তাফাসাহেব তাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁর উপর হামলা হয়।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    শনিবার ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কয়েকদিন আগেই ওই এলাকার বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থক কংগ্রেসে যোগদান করেন। প্রতিহিংসাবশত তারাই তৃণমূলের ওই কর্মীকে পিটিয়ে খুন করেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেস সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি। এদিকে ওই ঘটনার পর পরই এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন ঘটনায় মালদার (Malda) রাজনৈতিক আবহাওয়া অনেকটাই উত্তপ্ত হল, তা বলাবাহুল্য।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মুত্তাকিন আলম বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। জেলায় কংগ্রেস এতটা শক্তিশালী নয় যে শাসকদলের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ময়নায় বাজার সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীর বোমাবাজি, আহত এক মহিলা

    Purba Medinipur: ময়নায় বাজার সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীর বোমাবাজি, আহত এক মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Purba Medinipur) তিন মাথার মোড় বাজার সংলগ্ন এলাকায় বোমাবাজি। আহত এক সবজি ব্যবসায়ী মহিলা। এবার উত্তপ্ত ময়নার বাকচা। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকা। পুলিশ নিষ্ক্রিয়, তাই প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি।

    ময়নার (Purba Medinipur) কোথায় বোমাবাজি হয়েছে?

    বিজেপির অভিযোগ বাকচার (Purba Medinipur) নিমতলা বাজারের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী ও বহিরাগত লোকজন নিয়ে বোমাবাজি করেছে। দেখে দেখে কেবল বিজেপি নেতৃত্বের বাড়ির সামনে বোমাবাজি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর স্থানীয় লোকজন এবং বিজেপি নেতৃত্বরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। এই বোমবাজির ঘটনায় আহত হয় এক মহিলা। মহিলার নাম মিঠু রানী দাস বর্মন, বয়স আনুমানিক ৫৫। বাজার থেকে সবজি বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন, কিন্তু সেই সময় নিমতলার কাছে এই বোমা বাজির ঘটনায় আহত হয় এই মহিলা। প্রথমে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এই মহিলাকে ময়না প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই মহিলা জানান, দুপুর বারোটা নাগাদ সবজি বিক্রি করে ফেরার সময় রাস্তার উপরেই বোমাবাজি হয়। সেই বোমার আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনো কোনোও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    স্থানীয় বিজেপি নেতা আশিষ মণ্ডল বলেন, ময়না (Purba Medinipur) এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরার নেতৃত্বে এই বোমাবাজি হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে এই বোমাবাজি হয় এবং পুলিশ নিজে বোমাবাজি থেকে বাঁচতে হামিদুল চকে থাকা বিজেপির পার্টি অফিসে ঢুকে আশ্রয় নেয়। তিনি আরও বলেন, বোমার আঘাতে বাজারের সবজি বিক্রেতা মহিলারাও বাদ যাচ্ছেন না। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই অঞ্চলের বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ বাবুকে খুন করেছিল তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই। তিনি আরও বলেন, এই খুনের প্রধান অভিযুক্ত মনোরঞ্জন হাজরা, যিনি ৩০২ মামলার আসামী এবং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন শাসক দলের শাখা সংগঠনের মতো কাজ করছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন এই বিজেপি নেতা।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share