Tag: tmc

tmc

  • Panchayat Election: বিডিও অফিসে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! মনোনয়ন দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    Panchayat Election: বিডিও অফিসে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! মনোনয়ন দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) বিজেপিকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-১ নম্বর ব্লকে। ব্লক অফিসে এসেও বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিডিও অফিসের ভিতরেই হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন ছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে ২০ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে যান। অফিস কর্মীরা প্রস্তুত নয় বলে তাঁদের কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে এসে বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকে বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মানিক রায়কে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। হামলার জেরে বিজেপি প্রার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে, বিজেপি প্রার্থীরা ফের মনোনয়ন জমা দিতে গেলে সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক মানিক রায় বলেন, বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকে তৃণমূল তাণ্ডব চালিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক জখম হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের অসহযোগিতা আর তৃণমূলের বাধায় আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারিনি। বিজেপিকে যে ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) হলে মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দেবে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএম নেতা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উচিত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে সব দলই তাদের প্রার্থী পদ দাখিল করতে পারে। তবে, আমরা প্রস্তুত আছি। বাধা দিলে আমরাও প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা বলেন, কোথাও কোনও অশান্তির খবর আসেনি। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে আমাদের কাছে অভিযোগ জমা করুক। আমরা সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করুক। শুধুমাত্র অভিযোগ করলে তো হবে না। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে এসবই গল্প কথা ছাড়া আর কিছু নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নির্বাচনে জিততে চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। দলনেত্রীর মুখ ব্যবহার করে সে যাত্রায় উতরে গিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। সম্প্রতি তৃণমূলের গায়ে লেগেছে একাধিক কেলেঙ্কারির কালি। অথচ দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমতাবস্থায় ভরসা ফের সেই তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে এবার কর্মসূচির নাম ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। এ পর্যন্ত অবশ্য কোনও সমস্যা নেই। গোল বেঁধেছে একই ফোন নম্বর দুটি কর্মসূচিতে ব্যবহার করায়।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, সেবারও যে ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল, এবারও সেই নম্বরই দেওয়া হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তাঁর প্রশ্ন, একটি রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়?

    গুচ্ছ প্রশ্ন

    বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি। সেখানে যে ফোন নম্বরটি দেওয়া হয়েছে, সেটি হল, 9137091370. ছুটির দিন ছাড়া ওই নম্বরে সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী। এই নম্বর নিয়েই আপত্তি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, আইপ্যাক (ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা) কি নবান্নের দখল নিয়ে নিয়েছে, নাকি আইপ্যাক এখন রাজ্য সরকারের অধীনে চলে এসেছে?

    একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে ব্যবহার করা ফোন নম্বর সরকারি কাজে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কে নিলেন? আর এই অভিযোগগুলি কে শুনবেন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আরও প্রশ্ন, এই ফোন নম্বরটি কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগ্রহণ করেছে? করা হলে তা কীভাবে হয়েছে? নম্বরটি কি স্থানান্তরিত হয়েছে, নাকি এটি এখনও পূর্ববর্তী মালিকের নামেই রয়েছে? এই কর্মসূচির জন্য সরকার কি নতুন কোনও পরিকাঠামো তৈরি করেছে, নাকি দিদিকে বলোর পরিকাঠামো দিয়েই এই কাজ করা হবে?

    আরও পড়ুুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ, তৃণমূল কংগ্রেসের ফোন নম্বর দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার করা হচ্ছে। যার খরচ তৃণমূল নয়, বহন করছে রাজ্য সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলে লাশ পড়ে যাবে’’! বিজেপিকে সরাসরি হুমকি দিয়ে পোস্টার

    BJP: ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলে লাশ পড়ে যাবে’’! বিজেপিকে সরাসরি হুমকি দিয়ে পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই বিজেপির নেতা-কর্মীদের শাসানি দিতে শুরু করেছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল সন্ত্রাস করবে, বিজেপির (BJP) স্থানীয় নেতারা বার বার এমনই অভিযোগ করে আসছিলেন। এবার বিজেপির মণ্ডল সভাপতির মুণ্ডু কেটে ফুটবল খেলার হুমকি-পোস্টার ঘিরে সেই দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠল। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলার মোড়, জুমাই নস্কর, শিবনগর মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক হুমকি-পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেই এই হুমকি-পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    বিজেপি (BJP) নেতাকে দেওয়া হুমকি-পোস্টারে লেখা রয়েছে, “টিএমসির বিরুদ্ধে যদি কোনও বিজেপি প্রার্থী দেয় নেতাজি অঞ্চলে তাঁর লাশ পড়ে যাবে, যদি কোনও বুথে বিজেপি প্রার্থীর নাম শুনেছি তাঁকে যেখানে পাবো, সেখানে গুলি করে মারব। তাঁর বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেব। নেতাজি অঞ্চলে কোনও সাম্প্রদায়িক দল চলবে না। বিজেপি এবং আরএসএস-এর কোনও কথা চলবে না। দাদা ছাড়া কোনও কথা হবে না। দাদার কথা শেষ কথা। যদি কোনও গ্রামে শুনছি, মেঘনাদ (বিজেপির মণ্ডল সভাপতি) গিয়েছে, মেঘনাদের মাথা কেটে ফুটবল খেলবো। দাদার কথা শেষ কথা। নেতাজি অঞ্চলে বিজেপির কোনও প্রার্থী চলবে না। শুধু টিএমসি। যে যে বিজেপিকে সমর্থন করবে, তাকে সরিয়ে দেব। তার পরিবারকে গাঁজা কেসে ভরে দেব।”

    কী বললেন বিজেপি(BJP) নেতৃত্ব?

    আর এ নিয়েই শুক্রবার ভোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি মেঘনাদ দেব শর্মা। তিনি বলেন, “দাদার কথা শেষ কথা নয়। গণতন্ত্রই শেষ কথা। বিধানসভার আগে এবং পরে প্রায় সাড়ে তিনশো কর্মী বলিদান দিয়েছে। আমি বলিদান দিতে প্রস্তুত। বাংলায় যতদিন না বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই চালিয়ে যাব। এই ধরনের হুমকি পোস্টারে আমরা ভয় পাই না।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। আসলে বিজেপি (BJP)  প্রার্থী দিতে পারছে না। তাই, এই ধরনের পোস্টার তৈরি করে নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করছে। গতবার ওই পঞ্চায়েতে বিজেপির দুজন সদস্য ছিল। এবারও প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: স্ত্রীর পর এবার স্বামী, মঙ্গলে অভিষেককে তলব ইডির

    Abhishek Banerjee: স্ত্রীর পর এবার স্বামী, মঙ্গলে অভিষেককে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই ইডি (ED) তলব করেছিল তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে ঘণ্টা চারেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এর পরে পরেই ইডি সমন পাঠিয়েছে খোদ অভিষেককে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তলব করা হয়েছে তাঁকে। মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে অভিষেককে। ওই দিন সকাল সাড়ে ১১টায় হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি উপলক্ষে নদিয়ায় রয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো। মঙ্গলবারও তাঁর সেখানেই থাকার কথা। তবে ইডির সমনে সাড়া দিতে হলে কর্মসূচি স্থগিত করেই কলকাতায় ফিরতে হবে তৃণমূলের যুবনেতাকে।

    অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জেরা

    স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় ইডি এবং সিবিআই অভিষেককে জেরা করতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলের চিঠি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূ্র্ণ তথ্য নিয়ে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকেও। এক সময় অভিষেকের একটি অফিসে কাজ করতেন তিনি। অভিষেককে সাহেব বলে সম্বোধন করেন। এহেন সুজয় রয়েছেন ইডি হেফাজতে। ১৪ জুন তাঁর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার ঠিক আগের দিনই সিজিওতে তলব করা হয়েছে অভিষেককে।

    হাজিরা রুজিরার

    প্রসঙ্গত, কয়লা কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এদিনই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন রুজিরা। বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন অভিষেক-পত্নী। রুজিরা আসার ঢের আগে থেকেই প্রায় তিন পাতার প্রশ্নমালা নিয়ে হাজির ছিলেন ইডির আধিকারিকরা। তিনি উপস্থিত হওয়া মাত্রই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। ঘণ্টা চারেক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। প্রশ্ন করা হয় তাঁর দুবাই যাত্রা নিয়েও। এদিন রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ইডির পদস্থ আধিকারিক পঙ্কজ কুমার। দুবাই যাওয়ার পথে সোমবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরাকে। তার পরেই তাঁকে তলব করা হয় ইডি দফতরে। পত্নীর পর এবার ইডির তলব পেলেন অভিষেকও (Abhishek Banerjee)।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ জুলাই, জারি আদর্শ আচরণ বিধি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Saugata Roy: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

    Saugata Roy: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ। প্রাক্তন অধ্যাপক। বর্তমানে তৃণমূলের (TMC) সাংসদ। তবে সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বকে খুশি করতে গিয়ে কুকথার ছররা ছড়াচ্ছেন তৃণমূলের সৌগত রায় (Saugata Roy)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চটি পেটা করতেন বলে প্রকাশ্য সভায় জানিয়ে দিলেন তিনি। একজন শিক্ষকের মুখের এহেন ভাষায় স্তম্ভিত রাজ্যের শিক্ষককুল।

    সৌগতর (Saugata Roy) কুবাক্য

    বুধবার বরাহনগরে সভা হচ্ছিল তৃণমূলের। সভার পোশাকি নাম নবজোয়ার যাত্রার প্রস্তুতি সভা। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতো নেতারা। এমন সময় ভাষণ দিতে উঠলেন সৌগত। তিনি প্রথমেই নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, “শুভেন্দু বলছেন, করমণ্ডল দুর্ঘটনার পিছনে তৃণমূল! ওঁর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? কোথায় বালেশ্বর, অন্য রাজ্যে গিয়ে তৃণমূল অন্তর্ঘাত করবে?” এর পরেই সৌগত (Saugata Roy) বলেন, “বয়স কম হলে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম।” প্রবীণ রাজনীতিবিদের মুখে এহেন কুবাক্য শোনার পরেও মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা ছিলেন নির্বিকার।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। পদ্ম-নেতা রাহুল সিনহা বলেন, একজন অধ্যাপকের মুখের ভাষা শুনলে লজ্জা লাগে। আসলে তৃণমূলের পচা পুকুরে নামলে এসব কুকথা বলাই অভ্যাসে পরিণত হয়। শুক্রবার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয়েছে ২৮০ জনেরও বেশি যাত্রীর। জখম হয়েছেন হাজারেরও বেশি। যাঁরা মারা গিয়েছেন কিংবা জখম হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বাংলার। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। দুর্ঘটনার কারণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছিলেন, “বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল। তাই সিবিআই তদন্তে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল।” এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর প্রতি কুবাক্য-বাণ নিক্ষেপ করেন সৌগত।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    এক প্রবীণ রাজনীতিবিদের (Saugata Roy) মুখের ভাষা যে এমন হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরা। প্রত্যাশিতভাবেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে তৃণমূল। দলের সহ সভাপতি দলবদলু জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “সৌগতবাবু হয়তো উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রে তৃণমূল এ ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করে না। হিংসার পথে চলে না তৃণমূল।”

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বোমা বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে সৌগত (Saugata Roy) বলেছিলেন, “এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইড বাইরে রাখলে তা বিস্ফোরণ হতেই পারে। রাজ্যে ৩৮ হাজার গ্রাম রয়েছে। কোথায় বোমা রয়েছে, সেটা পুলিশের পক্ষ জানা সম্ভব নয়।” প্রাক্তন অধ্যাপকের এহেন মন্তব্যেও অস্বস্তিতে পড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • BJP: “কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল?”

    BJP: “কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল?”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে অভিষেকের গড়ে মহা জনসম্পর্ক অভিযান করলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী ড: দীনেশ শর্মা। বুধবার ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার মশাটহাটে মহা জনসম্পর্ক অভিযান করেন তিনি। এদিন তিনি দুপুরে বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। পরে তিনি বলেন, গত ৩ রা জুন থেকে মহা জনসম্পর্ক অভিযান শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গল রাজ চলছে। এখানে কোনও গণতন্ত্র নেই। বিরোধীরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারেন না। পিসি ও ভাতিজাকে উত্তরপ্রদেশে যেতে বলুন। কীভাবে প্রশাসন চালাতে হয়, তা শিখে আসতে হবে। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় পিসি-ভাতিজা ৪৪০ ভোল্টের ঝটকা খাবেন। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারে মহা জনসম্পর্ক অভিযানে র‍্যালি করতে দেয়নি প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ তুলে তিনি সরব হন।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কী বললেন?

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের শাসক নিরপেক্ষ হয়ে দেখুক। তাহলে দেখা যাবে, কাদের দিকে লোক বেশি। অন্যদিকে বাংলার মাফিয়া রাজ নিয়েও সরব হন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, কেন্দ্র রাজ্যকে কোনও ভাবেই বঞ্চিত করেনি। কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে। কিন্তু সেই টাকা কোথায় গেল? 
    এদিনের মহা জনসম্পর্ক অভিযানে (BJP) পুলিশের কড়া নিরাপত্তা দেখা যায় এলাকায়।

    দেশজুড়ে মহা-জনসম্পর্ক অভিযানে বিজেপি (BJP)

    উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি সরকারের ন’ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে মহা-জনসম্পর্ক অভিযান শুরু করেছে বিজেপি (BJP)। এই কর্মসূচির আহ্বায়ক তরুণ চুঘ জানিয়েছেন, দলের ১৪০০ র ওপর বিধায়ক এবং তিনশোর বেশি সাংসদ এই কর্মসূচিতে থাকবেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৯ বছরে মোদি সরকার কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তা দেশের প্রতিটি বুথেই পৌঁছে দেবেন বিজেপির কার্যকর্তারা। জানা গেছে, নাগরিক সেমিনারও যেমন হবে, তেমনি সমাজের বিশিষ্টদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বিজেপি (BJP) নেতারা। পাশাপাশি নজর দেওয়া হয়েছে পিছিয়ে পড়া বর্গের মানুষদের দিকেও। যাঁরা নরেন্দ্র মোদি সরকারের নয় বছরের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলবেন বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, সারা দেশ জুড়ে জনসভা করবেন বিজেপি (BJP) নেতারা। বেশ কয়েকটি বড় জনসভাও হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মতো প্রথম সারি নেতারা। এ রাজ্যে এমন তিনটি জনসভা হবে বলে শোনা যাচ্ছে বিজেপি সূত্রে। উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ-নাড্ডা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Malviya: ‘‘মমতার জমানায় ট্রেন দুর্ঘটনা ৫৪টি, প্রাণ হারান ১৪৫১ জন’’, খোঁচা অমিত মালব্যর

    Amit Malviya: ‘‘মমতার জমানায় ট্রেন দুর্ঘটনা ৫৪টি, প্রাণ হারান ১৪৫১ জন’’, খোঁচা অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭৫। আহত ১,০০০ ছাড়িয়েছে। এই ঘটনায় রাজনীতি করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার সকালেই বালাসোরে রেল মন্ত্রককে কাঠগড়ায় তোলেন। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, কবচ না থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার তা খারিজ করে দেন রেলমন্ত্রী এবং তিনি বলেন ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সীমিত জ্ঞান থেকে এ ধরনের কথাবার্তা বলছেন।’’ অন্যদিকে, তাঁর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য রেলমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন মোট ট্রেন দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। বিজেপি নেতার মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ৫৪ টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং লাইনচ্যুত হয়েছে রেল, এমন ঘটনা ৮৩৯ বার ঘটেছে, প্রাণ গেছে ১,৪৫১ জনের।

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    অমিত মালব্য (Amit Malviya) কী লিখলেন ট্যুইটে?

    অমিত মালব্য (Amit Malviya) এদিন রীতিমতো পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নীতিশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলের ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা তুলে ধরেন নিজের ট্যুইটে। মালব্য লেখেন, ‘‘যারা রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছে, তাদের রিপোর্ট কার্ড।’’

    ওই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, নীতিশ কুমার রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে ৭৯টি। রেল লাইনচ্যুত হয়েছে ১০০০ বার এবং মোট মৃতের সংখ্যা ১,৫২৭। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ৫৪টি রেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে এবং রেল লাইনচ্যুত হয়েছে ৮৩৯ বার। মারা গেছেন ১৪৫১ জন। অন্যদিকে লালুপ্রসাদ যাদবের আমলে দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ৫১টি ঘটেছে, রেল লাইনচ্যুত হয়েছে ৫৫০ বার এবং দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১১৫৯ জন। রবিবার বিকেলে এই ট্যুইট করেন অমিত মালব্য।

    মৃত্যু এবং ধ্বংসের রাজনীতির ওপরই দাঁড়িয়ে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    আরও একটি ট্যুইটে অমিত মালব্য লেখেন, সিঙ্গুর থেকে শুরু করে ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! তিনি সব সময়ই  ধ্বংস এবং মৃত্যুর রাজনীতি ওপরই দাঁড়িয়ে আছেন। উদ্ধার কাজের সময় তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন করার কোনও কথা ছিল না, কিন্তু তারপরেও তিনি ভুল তথ্য দিতে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

    Birbhum: তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর ব্লক ১ পাঁরুই থানার অন্তর্গত কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতিমা হেমব্রমের বিরুদ্ধে ঠিকাদার সহ সাধারণ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য মাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই নিয়ে সামজিক মাধ্যমে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ আরও তীব্র হল। 

    বীরভূমের (Birbhum) কী ঘটেছিল?

    সামজিক মাধ্যমে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বোলপুর ব্লক ১ পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা হেমব্রম, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজের জন্য কমিশন দিতে হবে বলে দাবি করছেন। সেখানে তিনি বলছেন, সবাইকে টাকা দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সই করার জন্য আমার প্রধানের প্রাপ্য টাকা কোথায়? প্রতিমাদেবী আরও বলেন, আমি কেন ভাগের টাকা পাবো না? তিনি বলেন, বাড়ি থেকে গাড়ির তেল পুড়িয়ে এই পঞ্চায়েত অফিসে আসি, আর তাই আমার কি কোনও প্রাপ্য টাকা থাকতে পারে না? পাশে থাকা এক ব্যক্তি প্রধানকে বলেন, আপনি তো সরকারি বেতন পান! পাল্টা প্রতিমাদেবী বলেন, এই কাজে সই করার জন্য আমাকে কেউ টাকা দেয় না। সরকার অন্য কাজের জন্য আমাকে বেতন দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান আরও বলেন, আমি ভিক্ষা চাইছি না। আমার প্রাপ্য, ভাগের টাকা না দিলে আমি কোনও কাজ করব না। ভিডিওতে ঠিকাদারের সঙ্গে একপ্রকার এই ভাবেই কথা বলতে শোনা যায়। এভাবেই ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে নিজের জন্য কাটমানি চাইলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।

    গ্রাম বাসীদের অভিযোগ 

    অপর দিকে সাধারণ গ্রামবাসীরা জানান যে বিভিন্ন সময়ে পঞ্চায়েতে বিভিন্ন পরিষেবার জন্য টাকা দাবি করে থাকেন প্রতিমাদেবী। পাশাপাশি যে কোনও ঠিকাদারকেই একটা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় সিপিএম-এর তরফ থেকে বলা হয়, এই সরকারের সকলেই চোর, সরকার আর বেশিদিন থাকবে না বলেই যে যতটা পারছে লুটেপুটে খাওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের বদল না ঘটলে তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: কনভয় আটকে অভিষেকের কাছে নালিশ! সাসপেন্ড বুথ সভাপতি, শো-কজ দুই নেতাকে

    Abhishek Banerjee: কনভয় আটকে অভিষেকের কাছে নালিশ! সাসপেন্ড বুথ সভাপতি, শো-কজ দুই নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সব সময় বলে থাকেন, বুথের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। তাঁদের গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। অভিষেকের এসব কথা টিভির পর্দায় শুনে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন ঘাটালের মূলগ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি। দলে গুরুত্ব না পাওয়া প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইয়ের অনুগামী হিসাবে পরিচিত সোলেমান আশা করেছিলেন, কোনওভাবে অভিষেকের কাছে গিয়ে নিজের কষ্টের কথা বলতে পারলে বিহিত একটা হবেই। সেই মতো অভিষেকের কনভয় আটকে দল করতে না পারার কষ্টের কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, গাড়ি থামিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) সকলের সামনে যেভাবে তাঁকে অপমান করেছেন, তা মনে করলে তিনি আঁতকে উঠছেন। যদিও অভিষেকের কনভয় চলে যাওয়ার পর পরই ব্লক নেতৃত্ব আর সময় নেয়নি। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। একইসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আরও দুই তৃণমূল নেতাকে শো-কজ করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    ২৮ মে রাত সাড়ে নটা নাগাদ ঘাটালের বীরসিংহ থেকে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘাটালেরই বিদ্যাসাগর হাই স্কুল মাঠের তাঁবুতে যাচ্ছিল। জলসরায় চন্দ্রকোণা-ঘাটাল রাজ্য সড়কে অভিষেকের কনভয়ের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকী কনভয়ের সামনে শুয়ে পড়ে ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তাঁকে সরানোর দাবি তোলেন দলেরই তিন নেতা। দিলীপ মাঝি পদে থাকলে দল ডুববে, তাঁকে সরিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তোলা হয়। ঘাটালের মূলগ্রাম বুথের সভাপতি শেখ সোলেমান আলি, বীরসিংহ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ আবদুল রশিদ ও ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের আইটি সেলের কর্মী দীপঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। তাঁদের চিত্কারে কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ির কাচ নামিয়ে অভিষেক তাঁদের ডাকেন। তাঁদের নাম-পরিচয় জানতে চান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, “প্রকৃত তৃণমূল কর্মী এইভাবে গাড়ি আটকে ক্ষোভ প্রকাশ করে না, এসব দলে চলবে না। এভাবে লবিবাজি মেনে নেওয়া হবে না।” দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সোলেমান সাহেবকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। ২৮ মে রাতেই অভিযুক্ত বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলিকে সাসপেন্ড করা হয় এবং বাকি দুজনকে শো-কজ করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।

    কী বললেন সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা?

    সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শেখ সোলেমান আলি বলেন,” সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, হাতে কোনও চিঠি পাইনি। অঞ্চলের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন।” সাসপেন্ড হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি হয়তো কিছু ভুল করেছি, তাই সাসপেন্ড করেছে। আমি ৯৮ সাল থেকে দল করি। সাসপেন্ড করেছে ঠিক আছে, কিন্তু দলকে ভোট দিতে পারবো তো! দলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে আমি কিছু বলিনি। কনভয় আটকে অন্য কেউ বলতে পারে, সেই ঝড় হয়তো আমার উপর এসে পড়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “মূলগ্রামের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি সহ কয়েকজন নেতৃত্ব ঘাটালের জলসরায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সমান। দলের ওইসব নেতৃত্ব দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য ইচ্ছা করে মনগড়া কথা বলার চেষ্টা করেছে। দলের যে স্তরে জানানোর দরকার, সেখানে না জানিয়ে একেবারে জনসমক্ষে দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাকিদেরও শো-কজ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে জবাব না দিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনিভাবে যথেচ্ছ গাছ কাটার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    TMC: রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনিভাবে যথেচ্ছ গাছ কাটার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান। স্বামী এলাকার বেতাজ বাদশা। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস নেই। তাই, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য সড়কের ধারে বেআইনিভাবে একের পর এক সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার চোঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের প্রধানের স্বামী ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে এই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    হরিহরপাড়ার আমতলা রাজ্য সড়কের ধারে লাইন দিয়ে বড় বড় প্রচুর গাছ ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই রাস্তার ধারে সেই গাছ কাটা চলছিল। রীতিমতো শ্রমিক লাগিয়ে এই গাছ কাটা হচ্ছিল। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দাঁড়িয়ে এই কাজ করায় কেউ গাছ কাটার প্রতিবাদ করার সাহস দেখাননি। ফলে, গত কয়েকদিনে ১৪ থেকে ১৫ টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এদিনও গাছ কাটা চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অভিযোগ পেয়ে এদিন হরিহরপাড়ার বিডিও রাজা ভৌমিক সহ প্রশাসনের কর্তারা গজনীপুরে যান। তিনি গাছ কাটার কাজ বন্ধ করে দেন। শ্রমিকদের বক্তব্য, বন দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানি না। তবে, প্রধানের নির্দেশে আমরা গাছ কাটতে এসেছিলাম। যদিও এই ঘটনার পর অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।

    গাছ কাটা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা ইনসার আলি বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল (TMC) কোনও আইন মানে না। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যারা গাছ কেটেছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। প্রধান বা প্রধানের স্বামী বলে কেউ যেন ছাড়া না পায়। প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি জাহাঙ্গির শা বলেন, তৃণমূল মানে একটি চোরের দল। বিধায়ক গোটা বিধানসভার সব গাছ কেটে সাফ করে দিচ্ছে। আর এই প্রধান তার নিজের এলাকার সব গাছ কেটে ফেলছে। আমরা এই ঘটনার কঠোরতম শাস্তি চাই। তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি হাতাদউদ্দিন শেখ বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। দল এসব বেআইনি কাজে পাশে নেই। আইন মেনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন জানাব। দলের পঞ্চায়েত প্রধান বলে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

    কী বললেন অভিযুক্ত প্রধানের স্বামী?

    তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী রাকিবুল হক বলেন, কয়েকদিন আগে ঝড়ে ডাল ভেঙে পড়ায় রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছিল। তাই, বিডিওর কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়ে আমরা গাছ কাটার কাজ শুরু করেছি। মূলত রাস্তার ধারে কয়েকটি গাছ কেটেছি। বড় গাছ কাটা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share