Tag: tmc

tmc

  • Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদত্যাগের হুমকি ব্লক সভাপতির! চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদত্যাগের হুমকি ব্লক সভাপতির! চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে জেলায় জেলায় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে। পুরনো কর্মীরা বেশ বড় সংখ্যায় দল ছেড়েছেন। টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদ বিক্রির অভিযোগে কোথাও আবার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় পদত্যাগের হুমকি দিলেন শাসকদলের নেতারা। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে রায়না তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই ঘোষণা করেছেন। যা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে এহেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়না জুড়ে। এদিন রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রায়না-২ এর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসীম পাল এবং সাধারণ সম্পাদক মুন্সি হাসিবুর রহমান।

    কী বলছেন বিদ্রোহী নেতারা (Panchayat Vote)?

    তাঁদের অভিযোগ, প্রার্থী পদ বিলি (Panchayat Vote) নিয়ে দুর্নীতি করেছেন এলাকার বিধায়ক। রায়না-২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসীম পাল বলেন, ‘‘আমরা দলের নির্দেশ মতো বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। কিন্তু বিধায়ক কিছু দুর্নীতিবাজ নির্দলদের দলীয় প্রতীক দিতে চাইছেন। আর এক ধাপ এগিয়ে ব্লকের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি হাসিবুর রহমান বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দোপাধ্যায় তাঁর নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বেছে নিয়েছিলেন। তার বদলে তোলাবাজ, দুর্নীতিবাজদের ভোটে মনোনয়ন দেবার চেষ্টা চলছে।’’ তাঁদের আরও সংযোজন, ‘‘দলের জেলা সভাপতি বলেছিলেন অফিসিয়াল তালিকার প্রার্থীরাই থেকে যাবেন। তা যদি না হয়, দলের সব পদ ছেড়ে দিয়ে বসে যাব।’’

    কী প্রতিক্রিয়া শাসক দলের নেতৃত্বের (Panchayat Vote)?

    দুই বিদ্রোহী নেতার মূল অভিযোগ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক শম্পা ধারার বিরুদ্ধে। তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধরেননি। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘দল ভেবেচিন্তেই প্রার্থী (Panchayat Vote) করেছে। যাঁরা টিকিট পাবেন তাঁরাই প্রার্থী হবেন। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব মিটে যাবে। এ নিয়ে অহেতুক হইচই করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Nausad Siddique: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    Nausad Siddique: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুনের আশঙ্কা করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের (ISF) নওশাদ সিদ্দিকি (Nausad Siddique)। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন শুক্রবার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেই চিঠি লেখার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নওশাদকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। তাঁকে দেওয়া হবে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা।

    জেলায় জেলায় অশান্তি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অশান্তি হয়েছে ভাঙড়েও। তৃণমূলের খাসতালুক ভাঙড়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে থাবা বসিয়েছে নতুন দল আইএসএফ। তৃণমূল প্রার্থীকে গোহারা হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই অশান্তির আগুন জ্বলেছে ভাঙড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে পরেই ভাঙড়ে ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। তার পর তৃণমূল এবং আইএসএফ (Nausad Siddique) কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হয় সংঘর্ষ।

    আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু

    দিন তিনেক আগে তৃণমূল আইএসএফ সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছিল একজনের। এলাকার একটি পানা পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক যুবকের দেহ। দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় কাশীপুর থানার পুলিশ। সব মিলিয়ে নির্বাচনী অশান্তির জেরে কেবল ভাঙড়েই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দিন ভাঙড় ২ বিডিও অফিস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসছিলেন আইএসএফ কর্মী ওই যুবক। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তাঁর সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হন আইএসএফের আরও কয়েকজন। পরে মৃত্যু হয় ওই আইএসএফ কর্মীর।

    ঘটনার জেরে ফের একপ্রস্ত সংঘর্ষ হয় দু পক্ষে। লাঠি, বাঁশ নিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় দু পক্ষকে। মুড়িমুড়কির মতো হয় বোমাবাজিও। পরে ভাঙড়ের অশান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।অশান্তির এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে যান ভাঙড়ের বিধায়ক (Nausad Siddique)। যদিও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। পরে নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখেন নওশাদ। তার পরেই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bhangar: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    Bhangar: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাঙড় পরিদর্শন করে যাওয়ার পর টনক নড়ল পুলিশের। শনিবার ভাঙড় (Bhangar) এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার এস পুষ্পার নেতৃত্বে রুটমার্চ করা হল। তবে, এত কিছু করার পরও এখন আতঙ্ক কাটেনি ভাঙড়বাসীর। পুলিশ রুটমার্চ করলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

    রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পর ভাঙড়ে (Bhangar) সার্বিক অবস্থা কেমন?

    বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ভাঙড়ের (Bhangar) কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। চলে গুলি। খুন হন তিনজন রাজনৈতিক কর্মী। আইএসএফ এবং সিপিএম কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভাঙড়ে ঢুকে বিজয়গঞ্জ বাজারে গাড়ি থেকে নামেন রাজ্যপাল। ঘুরে দেখেন এলাকা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। রাজ্যপালকে দেখেই এগিয়ে যান স্থানীয়রা। কয়েকজন আইএসএফ প্রার্থী রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়ে তাঁরা বলেন, ভয় দেখিয়ে, পথ আটকে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ক্যানিং থেকে গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা ভাঙড়ে ঢুকেছিল। ভাঙড়ের গণ্ডগোলের পর কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। একটি ভিডিওতে এক ব্যাক্তি বলেন, আরাবুলের নির্দেশে আমি এসেছি। ৩০ হাজার টাকা আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা। আমি গুলি চালিয়েছি। পাল্টা হিসেবে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাও শুক্রবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি ভাইরাল ভিডিও দেখিয়ে বলেন, পিটিয়ে একজনকে মারার ঘটনায় আইএসএফ জড়িত রয়েছে। সবমিলিয়ে ভাঙড় এলাকা থমথমে রয়েছে। শনিবারও ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটে লোকজন ছিল না বললেই চলে। তবে, পুলিশ রুটমার্চ করলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। 

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বারুইপুর পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল কর বলেন, আরাবুল আর শওকত মোল্লা কেমন মানুষ তা রাজ্যবাসী জানেন। ভাঙড়ের (Bhangar) ঘটনার পর পুলিশের রুটমার্চ করে শান্ত করা যাবে না। অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু, পুলিশ তো ফুলিশ হয়ে গিয়েছে। ওরা দলদাস। তাই, ওদের নিয়ে কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ এবারে নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) দিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র হল নন্দীগ্রাম। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের দিকে রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর। অপর দিকে তৃণমূলেরই টিকিট পাননি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রামে কী ফল হবে সেই প্রশ্ন এখন সবাইকার মুখে। 

    কেন নজর নন্দীগ্রামে?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল, জেলা পরিষদের টিকিট পাননি বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশান এজেন্ট তথা নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। সুফিয়ানের অনুগামীরা অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা নাগরিক মঞ্চ গঠন করে প্রার্থী দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে আবার বিজেপি। ফলে রাজনৈতিক ভাবে ভোটের অঙ্কের হিসেব কী দাঁড়াবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    বিজেপি প্রার্থীর অঙ্কটা কেমন?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) মোট ১০ টি অঞ্চল রয়েছে এই ১ নং ব্লকে। দশটি অঞ্চলের মোট আসন সংখ্যা ১৮৫ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি ও জেলা পরিষদের ৩ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি আসনের মধ্যে ২৩ টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি এবং ৩ টি জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যে আসন গুলিতে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি, সেখানে নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাথ পালের বক্তব্য, ১০ টি অঞ্চলেই বোর্ড গঠন করবে বিজেপি।

    তৃণমূলের বক্তব্য 

    তবে এই বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না ১ নং ব্লক (Purba Medinipur) তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৬ আসনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৭ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতন কর্মী পায়নি বিজেপি। বিরোধী রাজনীতির দলকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সকলেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম আজ মিউজিয়ামে, কংগ্রেসে আজ হিমঘরে, বিজেপি আজ গোয়ালঘরে এবং তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে মানুষের দুয়ারে, তাই আমাদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। বাপ্পাদিত্যবাবু আরও বলেন, নন্দীগ্রাম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, জয় আমাদের নিশ্চিত।

    পাশাপাশি শুভেন্দু গড়ে এখন কোন ফুল ফোটে এটাই এখন দেখার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ

    Malda: মালদায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পর এবার মালদা (Malda)। তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার সুজাপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোস্তফা শেখ। তিনি সুজাপুরের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী। কংগ্রেস নেতৃত্ব হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গতকাল সন্ধ্যের নামাজের পর মোস্তফাসাহেব বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় সদ্য তৃণমূল ত্যাগী কর্মী সমর্থকেরা তাঁকে আক্রমণ করে এবং পিটিয়ে খুন করে। ওই ঘটনার পরপরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, টিকিট না পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের তৃণমূল কার্যালয়টিকে কংগ্রেসের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়। মোস্তাফাসাহেব তাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁর উপর হামলা হয়।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    শনিবার ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কয়েকদিন আগেই ওই এলাকার বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থক কংগ্রেসে যোগদান করেন। প্রতিহিংসাবশত তারাই তৃণমূলের ওই কর্মীকে পিটিয়ে খুন করেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেস সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি। এদিকে ওই ঘটনার পর পরই এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন ঘটনায় মালদার (Malda) রাজনৈতিক আবহাওয়া অনেকটাই উত্তপ্ত হল, তা বলাবাহুল্য।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মুত্তাকিন আলম বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। জেলায় কংগ্রেস এতটা শক্তিশালী নয় যে শাসকদলের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ময়নায় বাজার সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীর বোমাবাজি, আহত এক মহিলা

    Purba Medinipur: ময়নায় বাজার সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীর বোমাবাজি, আহত এক মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Purba Medinipur) তিন মাথার মোড় বাজার সংলগ্ন এলাকায় বোমাবাজি। আহত এক সবজি ব্যবসায়ী মহিলা। এবার উত্তপ্ত ময়নার বাকচা। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকা। পুলিশ নিষ্ক্রিয়, তাই প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি।

    ময়নার (Purba Medinipur) কোথায় বোমাবাজি হয়েছে?

    বিজেপির অভিযোগ বাকচার (Purba Medinipur) নিমতলা বাজারের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী ও বহিরাগত লোকজন নিয়ে বোমাবাজি করেছে। দেখে দেখে কেবল বিজেপি নেতৃত্বের বাড়ির সামনে বোমাবাজি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর স্থানীয় লোকজন এবং বিজেপি নেতৃত্বরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। এই বোমবাজির ঘটনায় আহত হয় এক মহিলা। মহিলার নাম মিঠু রানী দাস বর্মন, বয়স আনুমানিক ৫৫। বাজার থেকে সবজি বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন, কিন্তু সেই সময় নিমতলার কাছে এই বোমা বাজির ঘটনায় আহত হয় এই মহিলা। প্রথমে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এই মহিলাকে ময়না প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই মহিলা জানান, দুপুর বারোটা নাগাদ সবজি বিক্রি করে ফেরার সময় রাস্তার উপরেই বোমাবাজি হয়। সেই বোমার আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনো কোনোও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    স্থানীয় বিজেপি নেতা আশিষ মণ্ডল বলেন, ময়না (Purba Medinipur) এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরার নেতৃত্বে এই বোমাবাজি হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে এই বোমাবাজি হয় এবং পুলিশ নিজে বোমাবাজি থেকে বাঁচতে হামিদুল চকে থাকা বিজেপির পার্টি অফিসে ঢুকে আশ্রয় নেয়। তিনি আরও বলেন, বোমার আঘাতে বাজারের সবজি বিক্রেতা মহিলারাও বাদ যাচ্ছেন না। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই অঞ্চলের বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ বাবুকে খুন করেছিল তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই। তিনি আরও বলেন, এই খুনের প্রধান অভিযুক্ত মনোরঞ্জন হাজরা, যিনি ৩০২ মামলার আসামী এবং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন শাসক দলের শাখা সংগঠনের মতো কাজ করছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন এই বিজেপি নেতা।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূল উপ-প্রধানের বাড়ি সংলগ্ন পাটক্ষেত থেকে  ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার

    Hooghly: তৃণমূল উপ-প্রধানের বাড়ি সংলগ্ন পাটক্ষেত থেকে ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার বাড়ির পাশে পাট ক্ষেত থেকে সাত সকালেই ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। ৮ই জুলাই রাজ্যে একদফা পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যে মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে মুড়ি-মুড়কির মতন বোমা উদ্ধার হয়েছে। এবার বোমা পাওয়া গেল খানাকুলে (Hooghly)। কার্যত এই বোমা, নির্বাচনে ব্যবহার করা হতো এমন টা নয় তো! আরও কি গচ্ছিত রয়েছে বোমা! এই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিরোধী দলের নেতারা।

    খানাকুলে (Hooghly) কীভাবে বোমা উদ্ধার?

    ঘটনা খানাকুলের (Hooghly) নতিবপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের বাড়ির সংলগ্ন এলাকা পাটক্ষেত থেকে ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। জানা গেছে, ঐ ড্রামে ১৬ টির মতো তাজা বোমা ভর্তি ছিল। কে বা কারা, এই ড্রামে করে বোমা গুলি পাটক্ষেতে রেখে গেছে, তার তদন্ত করছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, খানাকুল থানার পুলিশ হানা দিয়ে এই বোমা গুলি উদ্ধার করেছে। এরপর পুলিশ তড়িঘড়ি বোমা গুলিকে একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে বলে জানা গেছে। এদিকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক ভাবে চাপান-উতর শুরু হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ (Hooghly) বলেন, ভোটের আগে তৃণমূল এই ভাবে বোমা রেখে যদি ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাতে কোনও লাভ হবে না। কারণ বিজেপির এক একটা কর্মীই এক একজন বোমা! তাই বোমা দিয়ে নির্বাচন জিততে পারবেনা তৃণমূল, বলে মন্তব্য করেন এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    আবার পালটা তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরামবাগ (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি স্বপন নন্দীর জবাব, আমরা চাইলেই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়েই বিজেপিকে আটকে দিতে পারতাম! কিন্তু তা তো করিনি। সব আসনেই বিজেপি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। আসলে বিজেপি জিতবে না জানে! আর তাই বিজেপি, এই ভাবে গোপনে বোমা মজুত করেছে।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বাইকে করে আক্রমণ, এরপরেই সিপিএম প্রার্থী নিখোঁজ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Nadia: বাইকে করে আক্রমণ, এরপরেই সিপিএম প্রার্থী নিখোঁজ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত সিপিএম কর্মী সমর্থক। গতকাল গভীর রাতে চাপড়া (Nadia) থানার বাঙালঝি এলাকায় একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাইকে করে সিপিএমের প্রার্থী শাহাজুদ্দিন শেখ এবং তাঁর কর্মী সমর্থকদের প্রথমে ব্যাপক মারধর করে। এরপর তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শুধু তাই নয়, দুষ্কৃতীরা বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় মেরে তাঁদের অনেকের মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপর থেকেই নিখোঁজ সিপিএমের প্রার্থী। 

    চাপড়া (Nadia) অভিযোগ কী?

    মনোনয়নের দিনেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মনোনয়ন করতে গিয়ে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা গুলি বিদ্ধ হয়ে নিহত হন দুই জন। অভিযোগের তীর ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এবার মনোনয়নের পর নদিয়ায় আবার আক্রান্ত হলেন বিরোধী দলের কর্মীরা। চাপড়া (Nadia) থানার বাঙালঝি এলাকায় বিরোধীদের লক্ষ করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করছে বলে বিশেষ অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হলেন এই এলাকার তৃণমূল নেতা জান আলি মোল্লা। আক্রান্ত সিপিএমের প্রার্থী শাহাজুদ্দিন শেখ, প্রথমে ঘটনা স্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন। আর তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ বলে জানা গেছে। পরিবারের লোকজন ফোন করে পুলিশকে জানালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অবশেষে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘটনা স্থলে আহত আরও তিন সিপিএম কর্মীদের চাপড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ায় এই তিনজনকে আবার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। আহতদের মধ্যে ছিলেন গাইন শেখ, তাপাজুল শেখ, আনছুর শেখ।

    পরিবারের বক্তব্য

    স্ত্রী পারভিনা শেখ বলেন, আমার স্বামী চাপড়া (Nadia) ২ নম্বর ব্লকে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে ১০টার সময়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হাতে বন্দুক নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে এসে আমার স্বামীর নাম ধরে ডাকে, তারপর বাড়ির দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। এরপর তিনি বলেন, গতকাল থেকেই আমি স্বামীর কোনও খোঁজ পাচ্ছিনা। তাঁর মোবাইল বন্ধ বলে জানতে পারছি। তিনি আরও বলেন, যারা বাড়িতে হামলা করেছে, তারাই আমার স্বামীকে নিখোঁজ করেছে। এদিকে আমার দলের কর্মীরা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, অপর দিকে স্বামী নিখোঁজ! কী করব বুঝতেই পারছি না! 

    চাপড়া বিধায়ক তৃণমূলের নেতার রুক বানুর রহমান বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও বিরোধী প্রার্থীদের কোনও সমস্যা হয়নি। এখানে বিরোধীরা ঘটনাকে সাজিয়ে উপস্থাপন করছেন কেউ কেউ। জান আলি মোল্লা এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। বিরোধীদের সব চক্রান্ত। 

       

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বিজেপি (BJP)। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের কাজ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ পর্বে দেখা যায় বিভিন্ন দলের টিকিট বন্টন নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। প্রতিবাদ জানাতে অনেকেই ভোট ময়দানে সামিল হয়েছেন দলীয় গোঁজ প্রার্থী হিসেবে। অনেকে আবার দলবদল করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সরাসরি বিরোধিতা করতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো রূপেস মাল শুক্রবার  বিজেপির রামপুরহাটে শাখায় যোগদান করলেন। অন্যদিকে, এদিন সকালে বীরভূমের  ময়ূরেশ্বর-১ নম্বর ব্লকের মল্লারপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বিকাশ পত্রধর বিজেপিতে যোগদান করলেন। তিনি ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের ছায়া সঙ্গী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে, তিনি একা দলবদল করেছেন এমন নয়,  তাঁর সঙ্গে এলাকার আরও প্রায় ৩০০ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিকাশ পত্রধরের  হাতে পতাকা তুলে দেন রাজ্য কমিটির সদস্য অর্জুন সাহা। পাশপাশি উপস্থিত ছিলেন মণ্ডল সভাপতি সহ অনান্যরা। বিধায়ক এবং দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিজেপিতে যোগদান বলে জানিয়েছেন বিকাশবাবু।

    কী বললেন দলত্যাগী নেতা?

    রাজ্যজুড়ে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে সেই কোন্দল আরও প্রকট হয়েছে। বিশেষ করে অনুব্রত গড় বীরভূম জেলায় তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কখনও তৃণমূল কর্মীরা দল ছেড়ে যোগদান করছেন সিপিএমে, কখনও আবার বিজেপিতে (BJP), কখনও আবার কংগ্রেসে। তবে বেশিরভাগ সময় দেখা গিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের সংখ্যা বেশি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে শাসকদল ভেঙে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা গেরুয়া শিবিরকে নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূল সাংসদের ভাইপো রূপেশ মাল বলেন তৃণমূল দলে তিনি যথাযথ সম্মান পাচ্ছিলেন না, তাছাড়া তৃণমূল যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত করে অযোগ্য ব্যক্তিদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করে টিকিট দিয়েছে। এজন্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিকাশ পত্রধর বলেন, আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করতাম। এখন দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তেই তৃণমূল ছেড়েছি। কয়লা, গরু, পাথর খাদানের টাকা সব ভাইপোর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে যায়। এই টাকায় রাজ্যের অনেক উন্নয়ন হত।  স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এখন চোরদের নিয়ে ঘোরে। এই দলটা আর করা যায় না। এখন এই এলাকায় বিজেপির জনজোয়ার। ময়ুরেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন  তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতে না হতেই দেখা দিয়েছে ভাটা। আজকে তৃণমূল সাংসদদের নিজের ভাইপো বিজেপিতে যোগদান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। অন্যদিকে, বিজেপি (BJP) নেতা অর্জুন সাহা বলেন, বিকাশ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। ভালো সংগঠক। তাঁর নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী সমর্থক আমাদের দল যোগ দিলেন। এতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা পরিষদের কো মেন্টর ধীরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি বলেন বিকাশ পত্রধর এখন তৃণমূলে নেই। সে কোন দল করবে, না করবে সেটা ওর ব্যাপার তৃণমূলের কোনও কিছু যায় আসে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) মনোনয়নের শেষ দিনেও উত্তাল রাজ্য। চোপড়ায় গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দুই কর্মীর। ভাঙড় ২ তে যেসব প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। একই ঘটনা ঘটে মিনাখাঁতে। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজেপি প্রার্থীদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করতে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় তাঁদের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি।

    কী হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়ায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা না করতে পারলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্য পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করাতে নিয়ে যাবে। রাজ্য পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে গাড়িতে করে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নিয়ে যায়। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। বিজেপির অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে এবং আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা করতে দিল না রাজ্যর শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

    বিজেপির জেলা ইনচার্জের বক্তব্য

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপির ইন চার্জ কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে থানা থেকে পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নমিনেশন (panchayat election 2023) দিতে যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় হঠাৎই আমাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট মারা হয়। এর ফলে গাড়ির কাচ ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। তারপর বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। বেশ কিছু মহিলা বিজেপি কর্মী ছিলেন। তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড়শোর বেশি। দুষ্কৃতীদের হাতে লাঠি, বাঁশ, রড ইত্যাদি ছিল। বিজেপি কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, পুরো জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে জীবন সঙ্কটের কারণে আর বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভবপর হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share