Tag: tmc

tmc

  • Malda: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম! সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    Malda: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম! সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মালদার (Malda) মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই সরব হয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত মানিকচক (Malda) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল নিজের গাড়িকে সরকারি কাগজে দেখিয়েছেন ভাড়া গাড়ি হিসাবে। এই কায়দাতেই প্রতি মাসে সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এভাবেই মাসের পর মাস সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে সরকারি নির্দেশ বলছে, যে কোনও ভাড়া গাড়ি নেওয়ার ক্ষেত্রে আগে সরকারি টেন্ডার ডাকতে হয়। সরকারি নিয়ম মেনে সব কাজ করার পর বরাত দিতে হয়। এমনকী এই গাড়ি যিনি ব্যবহার করবেন তা তাঁর পরিবারের কেউ বা কোনও আত্মীয় স্বজন দিতে পারবেন না।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির মানিকচক (Malda) মণ্ডলের আহ্বায়ক সুভাষ যাদব বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির জন্য যে গাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে তা আদপে তাঁর স্বামী অপু মণ্ডলের। সেই গাড়ির মাসিক ভাড়া বাবদ একটা মোটা অঙ্কের টাকা তাঁর স্বামীকে পাইয়ে দিচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। জনগণের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তৈরি করা সরকারি তহবিল থেকেই দেওয়া হচ্ছে সেই টাকা। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এতদিন নিজের স্বামীর গাড়িকে ভাড়া গাড়ি হিসাবে দেখিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বিজেপির আরও অভিযোগ, পিঙ্কি মণ্ডল মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদে তো রয়েছেন, তার সঙ্গেই একটি হাইস্কুলের গার্লস হস্টেলেও পদ নিয়েছেন। সেখান থেকেও মাসে মাসে টাকা নিচ্ছেন। গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছি আমরা।”

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল বলেন,  “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিডিও সাহেব সব খতিয়ে দেখবেন। তখনই সব প্রমাণ হয়ে যাবে। বিজেপি (BJP)অকারণে রাজনীতি করার জন্য এসব অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    Hooghly: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাসনের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করল হুগলির (Hooghly) উত্তরপাড়া পুরসভা। হাইকোর্টের নির্দেশে তৃণমূল পুরবোর্ড এই পদক্ষেপ নিয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ২৭ জুনের মধ্যে এই আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই পুরসভার ঘুম ভাঙে। আর এতেই আবাসনের আবাসিকদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। পুরসভার মিউটেশন থেকে শুরু করে সমস্ত কাগজ থাকার পরও কেন এরকম হল সেই প্রশ্ন করছেন আবাসিকরা। তৃণমূল পুর বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    উদ্বেগে আবাসিকরা (Hooghly)

    জানা গিয়েছে, বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো উত্তরপাড়া পুরসভার ৭ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি ফ্ল্যাটের অবৈধ অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ৫৬ নম্বর অমরেন্দ্র সরণিতে গঙ্গার পারে এই অবৈধ ফ্ল্যাটে মিউটেশন করে ট্যাক্স দিয়ে বসবাস করছিলেন অনেকেই। আবাসিকরা বলেন, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। পুরসভা সমস্ত মিউটেশনের কাজও করে দেয়। ট্যাক্সও দিতে হয় নিয়ম মেনে। অথচ এখন জানতে পারছি, এই ফ্ল্যাটেরই একটা অংশ বেআইনি। আগে জানলে এমন ফ্ল্যাট কিনতাম না। শ্যামলী ঘোষ নামে এক আবাসিক বলেন, “দুবছর ধরে এই ফ্ল্যাটে থাকছি। কোনও সমস্যা নেই। হঠাৎ করে এসে যদি এরকম বলা হয় আমরা কোথায় যাব। ট্যাক্স, মিউটেশন হয়েছে। কী করে এটা অবৈধ হয়, আর রাতারাতি কী করে ভাঙা হয় জানি না। পুরসভা তো অনুমতি দিয়েছিল। পুরসভার ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। এখন পুলিশ এসে বলছে এটা বেআইনি, ভাঙতে হবে। আর এভাবে হঠাৎ করে কিছু হয় না।”

    পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) পরিচালিত উত্তরপাড়া (Hooghly) পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, কোর্ট নির্দেশ দিলে আমাদের তা মানতেই হয়। সেই নির্দেশ মানতে গিয়েই উত্তরপাড়া ও ভদ্রকালী এলাকায় ১৭ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি বেআইনি অংশ ভাঙতে হয়। যাঁরা নির্মাণ করেন, তাঁরা অনেক সময় নিয়ম মানেন না। আদালত যখন নির্দেশ দেয় তখন সময় বেঁধে দেয়। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা এদিন শুধু নির্দেশ পালন করতে গিয়েছেন। কোনও সম্পত্তি কেনার আগে পুরসভায় খোঁজ নেওয়ার জন্য বলি। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, এই আবাসনের বাসিন্দারা বলছেন, পুরসভা থেকে ট্যাক্স, মিউটেশনের কাজ করিয়েছেন। তাহলে পুরসভা সে কাজ কীভাবে করল? এই নিয়ে চেয়ারম্যান কোনও মন্তব্য করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: নদীর চর চুরি করে বিক্রি! কাঠা পিছু দাম ৩ লক্ষ, দলকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেতা

    Malda: নদীর চর চুরি করে বিক্রি! কাঠা পিছু দাম ৩ লক্ষ, দলকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীর চর চুরি করে বিক্রি করে দিচ্ছে তৃণমূল। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে মালদার (Malda) ইংরেজবাজার এলাকায়। তবে, বিরোধীরা এই অভিযোগ করছে এমন নয়, শাসক দলের মালদা জেলার সহ সভাপতি দুলাল সরকারই খোদ এই অভিযোগে সরব হয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি?(Malda)

    তৃণমূলের মালদা (Malda) জেলার সহ সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “কিছু অসাধু মানুষ এখানে ঢুকে আমাদের নদীর চরগুলিকে দখল করছে। সেখানে বাড়ি করছে। আমাদের দলের কাউন্সিলরদের লোকেরাও এরমধ্যে জড়িত আছে। পয়সা নিচ্ছে কি না, সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু, নদীর চরগুলিতে এসে সবাই বসবাস করছে। নদীর মূলস্রোত নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসন থেকে কিছু বলা হয় না। পুলিশের উচিত এদের উঠিয়ে দেওয়া। যারা কিনেছে, তাদের কাছে দলিল আছে কি? যাদের নামে কিনেছে, যারা টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর হওয়া উচিত। সে তৃণমূল হোক, কংগ্রেস হোক। আমার পার্টির ছেলেরা হলে, তাদেরও গ্রেফতার করা উচিত।”

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    নদীর চরে বসবাসকারীরা কী বললেন?

    নদীর চরে বসবাসকারীরা বলেন, কাঠা পিছু ৭০ হাজার টাকায় আমরা জমি কিনেছিলেন। সেই দাম এখন উঠেছে কাঠা পিছু ৩ লাখ টাকা বা তারও বেশি। এই নদীর জমি খাস জায়গা বলেই আমাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা পুরসভাকে কর দিই, বিদ্যুতের বিলও দিই। বেআইনি জেনেও আমরা কিনেছি। শাসক দলের (Trinamool Congress) লোক সাহায্য করেছে। ফলে, কোনও সমস্যা হয়নি।

    চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    ইংরেজবাজার (Malda) পুরসভার চেয়ারম্যয়ান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, নদীর চরে বাড়ি বানিয়ে থাকা মানুষজনদের থেকে কোনও কর নিচ্ছে না পুরসভা। আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ গেলে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    সরব সেচ দফতরও

    সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিষয়টি যে আমাদের নজরে আসেনি, তা নয়। সেচ দফতরের তরফে আমরা দেখেছি, নদীর পাড়ে পিলার দিয়ে অনেকে পাকা বাড়ি বানিয়েছেন। নদী চর খাস জায়গা নয়। সেচ দফতরের তরফে এই নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা চলছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা তৃণমূলের, আন্দোলনে বিজেপি, অভিযোগ থানায়

    Balurghat: মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা তৃণমূলের, আন্দোলনে বিজেপি, অভিযোগ থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা ও লাথি মারায় অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বাদ যাননি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে অপমান করার প্রতিবাদে এবারে বালুরঘাট (Balurghat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটি। প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবিতে জেলাজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।

    রাস্তায় নেমে আন্দোলনে বিজেপি (Balurghat)

    বৃহস্পতিবার বালুরঘাট জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এদিকে এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী ও বালুরঘাটের সাংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে যা করেছে তৃণমূল তা নিম্ন রুচির পরিচয়। এমনই মনে করছেন নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে হওয়া নিট কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে বুধবার বালুরঘাটের (Balurghat) রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও বিক্ষোভ সভা করে তৃণমূলের রাজ্য শিক্ষা সেল। আন্দোলনে সামিল হয়েছিল, ওয়েবকুপা, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। মিছিল চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কুশপুত্তলিকা দাহ করার পাশাপাশি সেগুলিতে জুতোপেটা, লাথি মারা হয়। এমনকী থুথু ছেটান বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বললেন?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে অসভ্যতা করেছে তৃণমূল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, নেয়নি। তাই আমরা বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চলেছি। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জুতোপেটা করেছিলেন তাঁরা শিক্ষক নন। শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক, অসভ্য বর্বর, নিম্ন প্রজাতির কীট। তাই তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বাঁকুড়া শিল্পাঞ্চলে প্রকাশ্যে তোলাবাজি! ধৃত তিন তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    Bankura: বাঁকুড়া শিল্পাঞ্চলে প্রকাশ্যে তোলাবাজি! ধৃত তিন তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দ্বারিকার শিল্পাঞ্চলে এবার তোলাবাজির ঘটনায় পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলল তিন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীকে। তাঁরা শিল্পাঞ্চলের পরিবহণের লরি থেকে মোটা টাকা তোলা তুলত বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে এই তিন তৃণমূল কর্মী শেখ দারশাদ,শেখ ইসলাম ও শেখ আমিরকে গ্রেফতার করে। বাঁকুড়ার (Bankura) জেলাশাসক সিয়াদ এন এবং পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন,পুরো শিল্পাঞ্চলে নজরদারি চালাবে প্রশাসন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    কারখানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কারখানার কিছু বর্জ্য দু’টি লরি করে অন্যত্র বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছিল। অভিযোগ, আচমকা ১০-১২ জন দুষ্কৃতী রড, লাঠি নিয়ে লরি দু’টির ওপর চড়াও হয়। লরি আটকে চালকদের মারধর করে। ৩০ হাজার টাকা তোলা চেয়ে বসে। একজন চালক ১৪ হাজার টাকা দিয়ে কোনওক্রমে ছাড়া পান। তবে, অন্য এক চালক পালিয়ে এসে কারখানার মালিককে বিষয়টি জানান। কারখানার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও ওই দুষ্কৃতীরা গাড়ি আটকে টাকার দাবিতে অনড় থাকে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। যদিও বাকিরা ছুটে গা ঢাকা দেয়। এই ধরনের ঘটনা রুখতে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দেন। তাই পুলিশও কোনও গড়িমসি করেনি বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই শিল্পাঞ্চলে কারখানার যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল চুরি, তোলাবাজি প্রায় ঘটলেও এতদিন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিত না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পুলিশ সক্রিয় হওয়ায় এই তিনজন ধরা পড়ল। আমরা চাই, টাটার আগমণে এবার এই শিল্পাঞ্চল আগের মতো কর্মমুখর হয়ে উঠুক।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ধৃত তিনজন যে দলের সক্রিয় কর্মী তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারিকা অঞ্চল সভাপতি অজয় রায়। তিনি বলেন, “এই তোলাবাজির সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। দল কখনওই এই তোলাবাজিকে প্রশয় দেয় না। তার প্রমাণ এই তিন জনের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা।” যদিও বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন,”তৃণমূল দ্বারিকা শিলাঞ্চল জুড়ে তোলাবাজি চালাচ্ছে। আর তৃণমূলের বড়,মেজো,ছোট সব নেতাদের হাত রয়েছে এই ধৃতদের মাথায়। নেতাদের প্রশয়েই এই তোলাবাজি চলছে।” বাম আমলে চালু হওয়া দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা তৈরি  হয়েছে টাটা গোষ্ঠী এখানকার কারখানা অধীগ্রহণ করায়। সেই বাতাবরণে এই তোলাবাজির ঘটনায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় রাজ্যের শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    Siliguri: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গ্রেফতার করল তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির ব্লকের সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিককে। বুধবার রাতে এনজেপি থানায় গ্রেফতার করে তাঁকে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানায় নিয়ে আসা হয়। থানার সামনে তৃণমূল নেতার অনুগামীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূল দল আর করব না বলে অনুগামীরা হুঁশিয়ারি দেন।

    কে দেবাশিস প্রামাণিক? (Siliguri)

    দেবাশিস একসময় এলাকার কংগ্রেস নেতা ছিলেন। কংগ্রেসের টিকিটে এলাকার দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর তৃণমূলের শিলিগুড়ির এক শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ ধন্য হয়ে তাঁর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। ক্রমে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য থেকে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হন। এবার তাঁর আসন সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি দাঁড়াতে পারেননি। চারমাস আগে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ফুলবাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের বর্ডার রপ্তানি সহ এলাকার জমির অবৈধ কারবার, শিল্প স্থাপন, উন্নয়নের কাজ, সবকিছুতেই শেষকথা ছিলেন দেবাশিস। বাহিনী বানিয়ে অনৈতিক কাজ করে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন। পেশায় ঠিকাদার ছিলেন। শিলিগুড়ির (Siliguri) এক শীর্ষনেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে বড় বড় কাজের বরাত তিনি পেয়ে যেতেন। 

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

     কেন গ্রেফতার? 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহুডাঙ্গির পাগালু পাড়ার বাসিন্দা বিমল রায় নামে এক ব্যক্তি দেবাশিসের বিরুদ্ধে মারামারি ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁকে গেফতার করেছে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ। সামান্য মারামারির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা মানতে চাইছেন না নেতার অনুগামীরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ৭২ হাজার ২৪৫ ভোটে লিড পেয়েছে। জলপাইগুড়ির আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের ৮৬ হাজার ৭৭৭ ভোটে জয়ের ক্ষেত্রে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির লিড বিশেষ ভূমিকা নেয়। মুখ্যমন্ত্রী সভা করে যাওয়ার পরও তৃণমূলের এই ভরাডুবিতে তৃণমূলের শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও দেবাশিসকেই দোষারোপ করেন। দলের এই হার মুখ্যমন্ত্রী  মেনে নিতে পারেননি। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী জমির অবৈধ কারবার নিয়ে দলের নেতাদের কঠোর পদক্ষেপের বার্তা দেন। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির নাম করে জমির অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জমি মাফিয়াদের রমরমার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী গৌতম দেবকেও দোষারোপ করেন। দেবাশিসকে মূলত দলের বিপর্যয়ের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পিছনে শিলিগুড়ির এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার মদত রয়েছে।   

    কেউ তৃণমূল করবে না, ক্ষোভ

    বুধবার রাতে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানায় দেবাশিসের অনুগামীরা এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক অনুগামী ফোনে ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য। তারপর চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, দেবাশিসকে গ্রেফতারের  মাশুল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিলিগুড়ির মেয়রকে দিতে হবে। গ্রেফতারের পিছনে প্রকৃত কারণ কী, কাদের মদত রয়েছে সব প্রকাশ্যে আনা হবে। এরপর আর কেউ তৃণমূল করবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: ভোট মিটতেই শওকত -আরাবুল সংঘাত! টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার অভিযোগ

    Arabul Islam: ভোট মিটতেই শওকত -আরাবুল সংঘাত! টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুন করার চক্রান্ত করেছে আরাবুল।” এবার ভাঙড়ের জেলবন্দি নেতা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। প্রকাশ্য সভা থেকে শওকতের (Saokat Molla) দাবি, আরাবুলের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন আরাবুল। নিজের ছেলেকে জেলা পরিষদের টিকিট পাইয়ে দিতে তাঁর কাছে দরবার করেছেন।

    শওকত মোল্লার মন্তব্য (Saokat Molla) 

    এ প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে আরাবুল (Arabul Islam)। যে তথ্য সামনে এসেছে, তার প্রত্যেক বিষয়ে তদন্ত হবে। সে বিষয়ে পদক্ষেপও করা হবে। আমাদের সামনে অনেক তথ্য এসেছে। সেগুলো সময় মতো সামনে আনা হবে।” শওকত মোল্লার দাবি, জেলা পরিষদ সদস্য খাদিজা বিবি দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। তাঁদেরকে দলের কোনও মিছিলে ডাকা হবে না। প্রশাসনিকভাবে যাতে ওঁরা কোনও সহযোগিতা না পান, সে চেষ্টা করা হবে।

    আগে কী ঘটেছিল? 

    লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে এক আইএসএফ সমর্থকের মৃত্যুর মামলায় ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। এরপর লোকসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে ভাঙড় কলেজের মাঠে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানে হাজির ছিলেন ওই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শওকত মোল্লাও। সেখানেই জেলবন্দি আরাবুলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    তৃণমূল বিধায়ক শওকতের (Saokat Molla) দাবি, দিন দুয়েক আগে তিনি একটি চিঠি পান। তাতে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি হিসাব পেয়েছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে ৬ লক্ষ, তো কারও কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তোলা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য ২৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। আর এ সবের মূলে ছিলেন আরাবুল। তিনি বলেন, এসব ছাড়াও আরাবুলের (Arabul Islam) বিরুদ্ধে আরও অনেক অপকর্মের অভিযোগ এসেছে। সমস্ত অভিযোগের তদন্ত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট (Basirhat) কেন্দ্রে নির্বাচন বাতিলের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। গত লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশনে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রার্থী। একই সঙ্গে ঘাসফুল শিবির জালিয়াতি করে নির্বাচনে জিতেছে বলেও দাবি তাঁর। আদালত তাঁর মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন সন্দেশখালির লড়াকু নেত্রী? (Basirhat)

    রেখা পাত্র বলেন, “নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্রের হলফনামার সঙ্গে নো ডিউজ সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশনে জমা দেননি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভায় জয়ী হওয়া হাজি নুরুল ইসলাম। এই বিষয়ে বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হলেও কমিশন কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তারা পক্ষপাতিত্ব করেছে। আর সেই সুযোগে নির্বাচনেও জালিয়াতি করে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে হাজি নুরুল ইসলাম যে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ভুল রয়েছে। যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতেও ভুল আছে। লোকসভা নির্বাচনেও তিনি অন্যায়ভাবে জিতেছেন। এটা কোনওভাবেই আমরা মেনে নিচ্ছি না। কারণ, উনি অন্যায় করেছেন। আমরা এর বিচার চাই। সত্যি কী তা মানুষের সামনে আসুক। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী যদি বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। তবে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে না? বিচার সবার প্রতি সমান হওয়া চাই। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। মানুষ সবটা এমনিতেই জানতে পেরেছে। আরও একটু পরিষ্কার করে বিষয়টি জানতে পারে যাতে তারজন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পয়লা জুন লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল বসিরহাটে। ৪ জুন ফল প্রকাশ পেতে দেখা যায় বিজেপির রেখা পাত্রকে প্রচুর ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাজি নুরুল ইসলাম। তারপর থেকেই জালিয়াতি করে ঘাসফুল শিবির ভোটে জিতেছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। এবার বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “৫ জুন গুজরাটে গিয়েছেন, আর আসেননি”, ইউসুফকে তোপ হুমায়ুনের

    Murshidabad: “৫ জুন গুজরাটে গিয়েছেন, আর আসেননি”, ইউসুফকে তোপ হুমায়ুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী  হওয়ার পর পরই ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পরে, রাজ্য নেতৃত্বের হুঁশিয়ারির জেরে তিনি কিছুদিন চুপচাপ ছিলেন। ভোটের ফল ঘোষণার পর জেলায় অনুপস্থিতি নিয়ে বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদকে তুলোধনা করলেন হুমায়ুন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন হুমায়ুন? (Murshidabad)

    হুমায়ুন বলেন, “নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে ৫ জুন আমাদের দলের সাংসদ ইউসুফ পাঠান গুজরাটে গিয়েছেন। তাঁকে এলাকার মানুষ ভোট দিলেন, কিন্তু, তিনি ৫ জুন পরে আর বহরমপুরে (Murshidabad) এলেন না। ভোট করে তাঁকে আমরা তো জিতিয়েছি। এবার তো তাঁর নিজের এলাকায় এসে ঘোরা দরকার। মানুষের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে তাঁর কথা বলা দরকার। কিন্তু, তিনি এখনও এলেন না। তাঁর আশপাশে ‘গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়লেরা’ ভিড়ে গিয়েছেন। তাঁকে তাঁরা ‘মিসগাইড’ করতে শুরু করেছেন। সাংসদ হিসেবে তাঁর এলাকায় দ্রুত আসা উচিত। তাঁর এখানে না আসার জবাবদিহি ভোটারদের কেন আমাদের দিতে হবে।”

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    রেজিনগরের বিধায়ককে তো কাজে পাওয়া যায় না

    রেজিনগরের (Murshidabad) বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর সঙ্গে হুমায়ুনের বিরোধ নিয়ে জেলায় দলের অন্দরে চর্চা রয়েছে। এবার ফের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। রেজিনগরের বিধায়ককে কটাক্ষ করে হুমায়ুন বলেন, “ফরিদপুরে মীর মদনের সমাধিস্থল-সহ আশপাশের এলাকা উন্নয়ন হওয়া দরকার। এর আগে প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসান এখানে এলে তাঁর কাছে আমরা এই জায়গার উন্নয়নে একাধিক দাবি জানিয়েছিলাম। পরবর্তীকালে আরেক রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও এখানে এসেছিলেন। কিন্তু, এখানকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। আমি অন্য এলাকার বিধায়ক। ফলে, আমার এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা এখানে খরচ করতে পারব না। আর রেজিনগরের বিধায়ককে তো এ সব উন্নয়নমূলক কাজে পাওয়া যায় না। সকলে মিলে জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি তুলে ধরতে পারলে কাজ হতে পারে।”

    রেজিনগরের বিধায়ক কী বললেন?

    হুমায়ুনের অভিযোগ নিয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “শপথগ্রহণ শেষে লোকসভার অধিবেশন শুরু হবে। লোকসভার অধিবেশন ৩ জুলাই শেষ হবে। তার পরই সাংসদ ইউসুফ পাঠান এলাকায় আসবেন। আর আমাকে এলাকার মানুষ সব সময়েই কাছে পান। ফরিদপুরকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পিকার নির্বাচনে (Lok Sabha Speaker) একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস, ঠিক এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকারের মনোনয়ন নিয়ে ইন্ডিজোটের মধ্যে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। স্পিকার নির্বাচন নিয়ে এনডিএ বিরোধীদের সমর্থন চাইলে, কংগ্রেস শর্ত দেয় ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু শাসক শিবিরের উত্তর না মেলায় কংগ্রেস একক ভাবে স্পিকারের পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দেয়। আর এই নিয়ে তৃণমূলের হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফলে বিরোধী শিবির ইন্ডি জোটে ফাটল স্পষ্ট।

    কী বললেন অভিষেক (Lok Sabha Speaker)?

    মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার (Lok Sabha Speaker) পদে মনোনয়ন নিয়ে, ইন্ডিজোটের শরীকদের মধ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ কে. সুরেশকে স্পিকার পদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক। বলতে বাধ্য হয়েছি এই সিদ্ধান্ত এক তরফা ভাবে নেওয়া হয়েছে।” এই কথা বলার পর অভিষেককে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাহুল কোনও পাল্টা উত্তর দেননি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয় নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। তৃণমূল বৈঠকে বসেছে এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা হবে।

    কংগ্রেসের প্রার্থী পদের আপত্তি

    লোকসভার ডেপুটি স্পিকার (Lok Sabha Speaker) চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এনডিএ মানতে নারাজ ছিল। আর এই জন্য এনডিএ-র মনোনীত স্পিকারকে স্বীকার করেনি ইন্ডিজোট। তখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মতান্তর হয়নি। কিন্তু আচমকা কংগ্রেস স্পিকারে পদের জন্য আলাদা করে প্রার্থী দেওয়ায় বিরোধ বাধে। এরপর শুরু হয় তৃণমূলের ক্ষোভ প্রকাশ।

    আরও পড়ুনঃ উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    স্পিকার নিয়ে রাহুলের বক্তব্য

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকাজির সঙ্গে রাজনাথ সিং কথা বলতে এসেছিলেন। বিরোধীদের শর্ত শোনার পর এই বিষয়ে কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। এই বিষয়ে আর কোনও ফোন বিজেপির পক্ষ থেকে আসেনি।” পাল্টা রাজনাথ সিং অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এনডিএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পিকার (Lok Sabha Speaker) নির্বাচনের পর ডেপুটি স্পিকার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share