Tag: tmc

tmc

  • Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের (Central Government) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। বিশেষত কোনও নির্বাচন এসে গেলেই কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করতে শুরু করেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে আদতে তৃণমূলের দুর্নীতির দিক থেকে জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment)…

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment) করেছে ৮৯,৯৬০ কোটি টাকা। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাংলার রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আমরুত ২.০-র জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩,৬৫০ কোটি টাকা। রেভেনিউ ডেফিসিট গ্র্যান্টস পেমেন্টের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৩,৫৮৭ কোটি টাকা। গ্রামীণ সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা, ২০২৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫,৫০০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াই-জি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৮,২০০ কোটি টাকা। বাংলায় রাস্তা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের সম্মতি না মেলায় ক্যাপেক্স লোন পায়নি বাংলা। যদিও পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ (Allotment) হয়েছে ৭,৬০০ কোটি টাকা। ১৯৪৫ সালের আগে যেসব স্কুল গড়ে উঠেছে, সেগুলির উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। রানিগঞ্জে চার লেনের বাইপাস তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হয়েছে ২,৬৫০ কোটি টাকা। নমামি গঙ্গা প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১২৩ কোটি টাকা। সর্ব শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্য সরকার পেয়েছে ৯৫৫ কোটি টাকা। কর আদায়ের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে ১০,৬৪২ কোটি টাকা।

    মাত্র চার মাসে দেওয়া হয়েছে এই পরিমাণ (Allotment) অর্থ। তার পরেও বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ টাকা খয়রাতি করে রাজ্য সরকার খরচ করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার জেরে বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের মতো নানা প্রকল্প। অথচ রাজ্য সরকার গলা ফাটাচ্ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মোবাইল ফোনের সিমকার্ড এবং প্রসাধনী সামগ্রী বেচেই দিন গুজরান হত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee)। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই যুবকের আঙুল ফুলে কলাগাছ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু। তার পরেই খোঁজ মিলেছে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। বলাগড়ের চাদরা বটতলা এলাকায় গঙ্গার ধার ঘেঁষে মনোরম বাগানবাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, অনেক রাত পর্যন্ত এই বাগানবাড়িতে গানবাজনা হত। বহু পুরুষ, মহিলা আসতেন। নীলবাতি লাগানো গাড়িও এসেছে। এখানে আসতেন কুন্তলও। এই বাগানবাড়ির পাশাপাশি

    শান্তনুর (Santanu Banerjee) সম্পত্তি…

    বলাগড়ে রয়েছে ফার্ম হাউসও। এসবের পাশাপাশি বেনামেও বেশ কিছু জমি তিনি কিনেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বাবার অকাল প্রয়াণের পর বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি পান শান্তনু। বলাগড়ের বারুইপাড়ায় বাড়ির কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁ, ধাবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, চারটি পরিবারকে উৎখাত করে তৈরি হয় ধাবা। বানিয়েছেন হোম-স্টেও। শান্তনুর একাধিক ফ্ল্যাটও রয়েছে বলে দাবি বিজেপির স্থানীয় এক নেতার।

    অতি সাধারণ একটা চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু (Santanu Banerjee)? এর উত্তর পেতে হলে ভরসা করতে হবে ইডি-র কথায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, চাকরি প্রার্থীদের কাছে মাথাপিছু ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিতেন শান্তনু। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি করে দিতে সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে সুপারিশ করতেন তিনি। যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা শান্তনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে ২০ জনের চাকরি তিনি করে দিয়েছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনুর বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীর তালিকার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের সুপারিশপত্র ও অ্যাডমিট কার্ড। শান্তনুর বাড়িতে যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা মিলেছিল, তার একটি প্রতিলিপি উদ্ধার হয়েছে মানিকের বাড়ি থেকেও।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শান্তনুর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডির। চাকরিপ্রার্থীদের টাকার কিছুটা নগদে কিছুটা পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শান্তনু (Santanu Banerjee) নিয়েছিলেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যে ২০ জনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। এর পাশাপাশি কুন্তল ঘোষও শান্তনুকে কয়েক কিস্তিতে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি ইডি সূত্রের। এই যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার উৎস কী সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর ইডিকে দিতে পারেননি শান্তনু। তদন্তকারীদের অনুমান, কুন্তলের দেওয়া টাকায়ই কেনা হয় সম্পত্তি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির কাছে শান্তনু একজন মিডলম্যান। তাঁর এত সম্পত্তির বহর কীভাবে, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদেরও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নেত্রী হতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি (BJP)-বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন এক ছাতার তলায়। তবে তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে বসেছে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে মুখ থুবড়ে পড়েছে মমতার দল। বাংলায়ও পরিস্থিতি বিশেষ তৃণমূলের অনুকূলে নেই। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার গদি সামলাতেই ব্যস্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই দিল্লির দিকে নজর দেওয়ার সময় কই তাঁর?

    গোহারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। বিধানসভার ২৯৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পায় ২১৫টি। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। তারা পায় ৭৭টি আসন। তার পরেই বিরোধী দল ভাঙাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের টোপ গিলে ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরের ছাতার তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে একের পর এক রাজ্যে পা রাখার চেষ্টা করে মমতার দল। গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙিয়ে পোক্ত করে তৃণমূলের সংগঠন। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়ায় সরকার গড়ার জায়গায়ই পৌঁছতে পারেনি তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও হোঁচট খেয়ে পড়েছে মমতার দল। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দল হওয়ার মানদণ্ডই পেরতে পারেনি তৃণমূল।

    আরও পড়ুুন: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে বাংলায় গদি টিকিয়ে রাখাই আপাতত মমতার (Mamata Banerjee) সব চেয়ে বড় দায় হয়ে উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছে তৃণমূল। গরু পাচার মামলায় জেলে পচছে তৃণমূলের একাধিক নেতা। বগটুইকাণ্ডের পাঁকও লেগেছে তৃণমূলের গায়েই। আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকায় নিত্যদিন কমছে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা। যার সাম্প্রতিকতম প্রমাণ মিলেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ে। একুশের নির্বাচনে যেখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, মাত্র ২২ মাস পরের উপনির্বাচনে সেখানেই গোহারা হারে মমতার দল। পাশার দান উল্টে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বিঘ্নে নির্বাচন হলে সেখানেও মুখের মাপে দুর্নীতির জবাব পেয়ে যাবে মমতার দল। দিকে দিকে ফুটবে পদ্ম। তাই আপাতত জাতীয় রাজনীতি ভুলে রাজ্যে গদি বাঁচানোর দিকেই নজর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন না তৃণমূল নেত্রী। বাংলার গদি বাঁচানোই যার কাছে এখন ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, দিল্লি যাওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখবেন কীভাবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। শুক্রবার কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত। বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল (TMC)-বাম বোঝাপড়া হয়েছে বলেই ইঙ্গিত করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ…

    শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, বিজেপির অভিযান রুখতে পুলিশ ব্যস্ত ছিল। এসএফআইয়ের আন্দোলন বিধানসভার গেট অবধি পৌঁছে দেওয়া হল। আমরা ভেবেছিলাম বিমানবাবুর চেয়ার অবধি পৌঁছে দেওয়া হবে। কারণ ওখানে একটা বোঝাপড়া চলছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে কে কার দিকে আছে। সুকান্ত বলেন, জোট, ঘোঁট আগামিদিনে কী হবে। কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সবটাই স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষায় দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে এসএফআই। পুলিশ অবশ্য তাতে অনুমতি দেয়নি। বরং মিছিল রুখে দেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে বিধানসভার মেইন গেটের বদলে পশ্চিম দিকের গেটে পৌঁছে যায় এসএফআইয়ের একদল নেতা-কর্মী। সেখানে পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিধানসভার গেটে বসেছিলেন কয়েকজন।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    এদিকে, রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের জেরে পরপর শিশুমৃত্যু নিয়ে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চার স্বাস্থ্যভবন অভিযানকে ঘিরে কুরুক্ষেত্র হয়ে ওঠে সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বর। পুলিশ বাধা দেওয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এদিন দুপুর থেকে করুণাময়ীতে জমায়েত করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ করুণাময়ী মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল পুলিশ আটকাতেই সৃষ্টি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। একটি গাড়িতে করে বিজেপি কর্মীরা করুণাময়ী মোড়ে পৌঁছতেই গাড়িতে উঠে পড়ে পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এরই কিছুক্ষণ পরে লোহাপুল মোড় থেকে ইন্দ্রনীল খাঁ, তনুজা চক্রবর্তী, অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল বেনফিশ মোড়ে পৌঁছতেই আটকে দেয় পুলিশ। তখনই বাঁধে খণ্ডযুদ্ধ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conflict: ব্যারাকপুরের একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যান- ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল প্রকাশ্যে, ঘর গোছাতে হস্তক্ষেপ জেলা নেতৃত্বের

    Conflict: ব্যারাকপুরের একাধিক পুরসভায় চেয়ারম্যান- ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল প্রকাশ্যে, ঘর গোছাতে হস্তক্ষেপ জেলা নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ব্যারাকপুর মহকুমার সব পুরসভায় তৃণমূলের দখলে। অনেক পুরসভায় বিরোধী দলের কাউন্সিলর পর্যন্ত নেই। কিন্তু, পুর বোর্ড গঠনের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতে এই মহকুমার একাধিক পুরসভা গোষ্ঠীকোন্দলে (Conflict)  জেরবার। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছে কাউন্সিলররা। কোথাও কোথাও আবার এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ ভাইস চেয়ারম্যান। আর এই ঘটনায় আখেরে মুখ পুড়ছে শাসক দলের। তৃণমূলের এই বেআব্রু চেহারা দেখে এলাকার মানুষ হাসাহাসি করছেন। এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগী হয়েছেন দমদম- ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়।  গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে (Conflict) দূরে সরিয়ে রেখে নাগরিক পরিষেবার কাজ হয় সেদিকে বিশেষ নজর এবার দলের। এর জন্য বারাকপুর মহকুমার প্রত্যেকটি পৌরসভায় গিয়ে দলীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের দমদম বারাকপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি। স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদ সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বিধানসভা অধিবেশনের পর ১৬ টি পুরসভায় হবে এই বৈঠক।

    তৃণমূলের আতসকাঁচের মধ্যে রয়েছে কোন কোন পুরসভা? Conflict

    গত ৩ মার্চ টিটাগর পুরসভায় একটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল (Conflict) পুরবোর্ড মিটিং সরগরম হয়ে ওঠে। ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৩ জন কাউন্সিলর পুরবোর্ড থেকে ওয়াক আউট করেন। প্রকাশ্য এই দ্বন্দ্ব কে মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন তাপস বাবু। টিটাগর পুরসভার মতো খড়দহ, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ভাটপাড়া, পানিহাটি, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। অনেক পুরসভায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এর মধ্যে মুখ দেখাদেখিও পর্যন্ত বন্ধ। দুজনের দোষ খুঁজতে ব্যস্ত কাউন্সিলররা। অনেক পুরসভায় কাউন্সিলররা আবার আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। বিরোধীশূন্য পুরো বোর্ড হওয়ায় দলের কাউন্সিলরাই এখন পুরবোর্ডের বিরোধিতা করছেন প্রকাশ্যে। ভাটপাড়া পুরসভায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। ১০ মার্চ পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর মাইক বেঁধে প্রকাশ্যে পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আর এই দ্বন্দ্বকে (Conflict) কেন্দ্র করেই অসন্তুষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি পুরসভায় গিয়ে দলীয় কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে যে, কোনওরকম গোষ্ঠী রাজনীতিকে বরদাস্ত করা হবে না। কোন বিষয়ে মতান্তর বা মতবিরোধ হলে তা আলোচনায় বসে মিটিয়ে ফেলতে হবে। চেয়ারম্যানদের বক্তব্য, ভাইস চেয়ারম্যানরা আলাদা করে শিবির তৈরি করছেন। গোষ্ঠী রাজনীতির জন্ম হচ্ছে প্রত্যেকটি পুরসভায়। কোন কোন পুরসভায় আবার চেয়ারম্যানকে সরাতে কাউন্সিলররা জোট বাঁধছেন। সেই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বের নজরে রয়েছে।

    বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরসভায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলের পাশাপাশি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিধায়কের সঙ্গে দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে। পুলিশ নীরব দর্শক। সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় তৃণমূলের উদ্যোগকে স্বাগত। তবে, এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shootout: উত্তর দিনাজপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল, বোমায় মৃত্যু সিভিকের, গুলিবিদ্ধ দলীয় কর্মী

    Shootout: উত্তর দিনাজপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল, বোমায় মৃত্যু সিভিকের, গুলিবিদ্ধ দলীয় কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। কোন্দলে বচসা বা হাতাহাতি গন্ডি পেরিয়ে একবারে প্রকাশ্যে বোমাবাজি, গুলি (Shootout) চালানোর ঘটনা ঘটল। বোমার আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এই ঘটনায় জেলাবাসী শাসক দলের বেআব্রু চেহারা আরও একবার প্রত্যক্ষ করলেন। এই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল এই জেলা। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে (Shootout) গুরুতর জখম হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি জাকির হোসেন। তাঁকে প্রথমে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, এই তৃণমূল নেতার উপর দুষ্কৃতীরা কেন হামলা চালাল তা পরিষ্কার নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইসলামপুর থেকে চোপড়া, একের পর এক বোমাবাজি, গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের কারণ কী? Shootout

     ইসলামপুরে মাটিকুন্ডা এলাকায়  ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দলেরই দুই নেতা শাহনওয়াজ আলম এবং মেহেবুব আলমের মধ্যে গন্ডগোল।মেহেবুব আলম মাটিকুন্ডা- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকাবাসীদের দাবি, শাহনওয়াজ আলম বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। আর মেহেবুব আলম তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালার অনুগামী। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে দড়ি  টানাটানি বহুদিন ধরেই চলছে। ৮ মার্চ রাতে শাহনওয়াজের বাড়িতে প্রধান মেহেবুব আলম ও তাঁর লোকজনেরা  হামলা চালায় বলে অভিযোগ।চলে গুলি (Shootout) ও বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় শাহনওয়াজের ভাই সাকিব আকতারের।তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে  ছুটে যান ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি এই ঘটনার জন্য সরাসরি দলেরই  জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, জেলা সভাপতি সন্ত্রাস করে খুনখারাপি (Shootout) করে আমাকে দমানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ নীরব দর্শক। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশ মন্ত্রী। তারপরও এই ঘটনা ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ করুন। দুদিনের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ৯ মার্চ রাস্তায় নেমে তৃণমূল কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। 

    বিজেপির জেলার সহ সভাপতি সুরজিত্ সেন বলেন, ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে শাসক দলে। রাজ্যের পাশাপাশি এই জেলায় তৃণমূলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল লেগেই রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে যত না অস্ত্র রয়েছে, তার থেকে বেশি অস্ত্র, বোমা রয়েছে তৃণমূলের কাছে। তাই, সামান্য গন্ডগোল হলেই বোমা গুলি চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির জবাব দিতে ৯ রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বিজেপির

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির জবাব দিতে ৯ রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI), ইডি-র (ED) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। এজন্য আটটি রাজ্যের ৯ জন নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠিও লিখেছিলেন। এবার তারই জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের সিদ্ধান্ত, ন’টি রাজ্যে প্রেসমিট করে এর জবাব দেবে তারা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর করছিলেন দিল্লি, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, বাংলা, কেরল এবং জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা। বিজেপির কৌশল হল, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা যাঁরা তদন্তে ভয় পান, তাঁদের মুখোশ খুলে দেওয়া। বিরোধীদের তোলা অভিযোগের জবাব দিতে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন দিল্লির সাংসদ বিজেপির মনোজ তিওয়ারি। বাংলার ক্ষেত্রে এই কাজটিই করবেন শুভেন্দু অধিকারী, বিহারের ক্ষেত্রে সঞ্জয় জয়সওয়াল, উত্তর প্রদেশের ব্রিজেশ পাঠক এবং তেলেঙ্গনার সঞ্জয় বান্দি।

    চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি কংগ্রেস…

    আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়াকে। তারপর রবিবার কেন্দ্রের (PM Modi) বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে হাতিয়ার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে আটটি রাজ্যের ন’ জন নেতা। এঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, ভগবন্ত মান, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নও আলাদা করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি কংগ্রেসের কেউ। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা জেরা করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর

    প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) লেখা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছিল, দেশে নির্লজ্জের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমরা গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করছি। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক কার্যালয়ও রয়েছে। নির্বাচনী মাঠের বাইরে এভাবে হিসেবনিকেশ করার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা। এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ভাল হচ্ছে না। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি থেকে শুরু করে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে গ্রেফতারিও। আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, সমাজবাদী পার্টির অজম খান, এনসিপির নবাব মালিক ও অনিল দেশমুখ, তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারা কেন্দ্রের অঙ্গুলি হেলনেই কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা, এখন ইডির দফতরে গিয়ে ভুল বকছেন। হুগলি জেলার খানাকুলের দলীয় এক সভায় অংশ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘খুব বড় মস্তান ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের প্রধানমন্ত্রী। শুধু বীরভূম নয়, বর্ধমানের আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম-সহ অনেক জায়গারই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর আজ কি অবস্থা। বলছে, ইংরেজি জানি না, হিন্দি বুঝি না, নাম সই করতে পারি না ৷ কোথায় গেল চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ? কোথায় গেল নকুল দানা? কোথায় গেল উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে?’’ 

    কী বললেন শুভেন্দু

    এই সভা থেকে শাসক দল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সাবধান হন। খানাকুলে তাণ্ডব- সহ সব আমরা নজরে রাখছি। গরু চুরি, বালি চুরি কয়লা চুরি-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তারা কেউ ছাড় পাবেন না। আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচারের সব হিসেব হবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই জেলে যেতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    রাজ্যে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে খানাকুলের আইসিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি,‘‘পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দিয়ে গেলাম। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা যদি বাড়িতে ঠিকভাবে থাকতে না পারে, অত্যাচার করা হয়, তাহলে পরের দিন আমি খানাকুলে আসব কর্মী-সমর্থকদের সবাইকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। দেখব আপনাদের কত ক্ষমতা আছে আমাকে বাধা দেওয়ার।’’সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও একজোট হয়ে তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরানোর আহ্বান জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি,‘‘বিজেপি আপনাদের শত্রু নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবার কথা ভেবে উন্নয়ন করছেন। রাষ্ট্রবাদীরা সবাই বিজেপির বন্ধু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সংখ্যালঘুদের বিজেপি সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: প্রভাব পড়বে জেলায় জেলায়! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা

    DA: প্রভাব পড়বে জেলায় জেলায়! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আজ, শুক্রবার ধর্মঘট পালন করবেন সরকারি কর্মীরা। যার জেরে এদিন স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারিতে কাজকর্ম না হওয়ারই সম্ভাবনা। যদিও ধর্মঘট রুখতে ফের একপ্রস্ত কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার (State Government)। স্বাভাবিকভাবেই ডিএ ইস্যুতে রাজ্য এবং সরকারি কর্মীদের সংঘাত আরও তীব্র হতে চলেছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে ধর্মঘট রুখতে কড়া রাজ্য…

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা উপেক্ষা করে ধর্মঘটে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা আরও এক দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে শামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেই সঙ্গে করা হবে শোকজ।  

    এদিকে, শুক্রবারের ধর্মঘট যাতে সফল হয়, সেজন্য বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পথসভা করেছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রস্তাবিত ধর্মঘটের দিন সকাল সাড়ে ন’টা থেকে সব সরকারি কার্যালয়ের সামনে পিকেটিং করবেন তাঁরা। যাঁরা অফিস-কাছারিতে আসবেন, তাঁদের ধর্মঘটে শামিল হওয়ার অনুরোধও জানানো হবে। তবে যাঁরা কাজ করতে আগ্রহী, তাঁদের আটকানো হবে না বলেই জানান রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তর থেকে আমরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছি। শুক্রবার যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের সোমবার কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে কোথাও কোথাও। তবে আমাদের সদস্যরা ধর্মঘট সফল করতে বদ্ধপরিকর।  

    আরও পড়ুুন: কুন্তলের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন বনি! কী বললেন টলি অভিনেতা?

    এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক আশিস বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী ছাড়া সকলেই এই ধর্মঘটে (DA) অংশগ্রহণ করবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের কোনও ক্ষতি হোক, এমনটা আমরা চাই না। তাই শুক্রবারে যে পড়ার ক্ষতি হবে, সেটা কোনও একটি ছুটির দিনে আমরা পড়িয়ে দেব। তিনি বলেন, সরকার নির্দেশিকা জারি করলেও, কখনও মাইনে কাটার বা কর্মদিবস কমিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করার সাহস দেখাতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) শিশু বলির সংখ্যা। তার পরেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকার পক্ষের বিবৃতি দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ পদ্ম শিবিরের অভিযোগ…

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার পরেও অ্যাডিনো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গেরুয়া বিধায়করা। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরেও বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। পরে বিষয়টি নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি কেবল উদ্বেগজনক নয়, এটি সারা রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। তাই এরকম সময় এটি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে সব কিছুই আড়াল করা হয়েছে। ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টিকে তিনি কো-মর্বিডিটি বলে আড়াল করেছেন। এর পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে বলেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর নতুন করে বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুুন: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিধানসভায় বিবৃতি দেন, সেদিন বিধানসভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। এ প্রসঙ্গে পদ্ম শিবিরের তরফে বলা হয়, তুঘলকি আচরণ করবেন বিধানসভায়, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। আর অর্থবিল আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিলে কীভাবে শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া সম্ভব, তা একমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারেন। প্রসঙ্গত, বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জন শিশুর। সকলের শরীরে অবশ্য অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share