Tag: tmc

tmc

  • Balurghat: সালিশি সভার আগে তৃণমূল নেতার সামনে পিটিয়ে খুন, শোরগোল

    Balurghat: সালিশি সভার আগে তৃণমূল নেতার সামনে পিটিয়ে খুন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের রেশ এখনও কাটতে না কাটতেই আবার সালিশি সভার আগেই একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আর সেটা হয়েছে খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের সামনেই। চা়ঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের (Balurghat) কুমারগঞ্জ থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জটু বর্মন(৫৪)। তাঁর বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবত্ত গ্রামে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। জোটুবাবু তাঁর দাদার জমির ওপর দিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে গিয়েছিলেন। কেন তাঁর জমির ওপর দিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে যাবেন? এনিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে একদফা বচসা হয়। রাতে সেই বচসা বড় আকার ধারণ করে। এনিয়ে গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য  জব্বার আলি মণ্ডল হাজির হন। সালিশি সভা শুরুর আগেই ফের সেই প্রসঙ্গ ওঠে। এরপরই জটুবাবুকে মারধর করা হয়। গোটা ঘটনাটিই ঘটে পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে। অভিযোগ, দাদা কালীপদ বর্মন ও তাঁর স্ত্রী দীপালি ও তাঁর দুই ছেলে মিলে জটুবাবুকে বেধড়ক মারধর করে। শাবল দিয়ে মারা হয় তাঁর বুকে ও পায়ে। বাম পা ভেঙে যায় তাঁর। বুকেও আঘাত লাগে। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। জটুবাবুকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে কুমারগঞ্জ, পরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    মৃতের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    জটুবাবুর ছেলে সনাতন বর্মন বলেন, ‘জ্যাঠার ফাঁকা জমির ওপর দিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে যাওয়ার জন্যই বাবাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। জমিতে কোনও ফসল থাকলে আলাদা ব্যাপার ছিল।  ঝগড়ার পর বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে শাবল দিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় তৃণমূলের (Trinamool Congress) গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করব। ওদের দৃষ্টান্তমূল্য শাস্তির দাবি করছি।’

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এবিষয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ঘটনাটি সত্যি। এরমধ্যে কোনও রাজনৈতিক রং নেই। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মীমাংসা করার জন্য গিয়েছিলেন। পারিবারিক গন্ডগোল। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, এইটা দুঃখজনক ঘটনা। এই সালিশি সভার নাম করে ডেকে তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হোক। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর সামনে খুন হয়েছে। এইটা তদন্ত সাপেক্ষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    Saumitra Khan: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং আদালতকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।” মঙ্গলবার লোকসভায় এই ভাষায়ই তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আক্রমণ শানালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর তিনবার জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র। বিজেপির এই সাংসদকেই এবার সংসদে দেখা গেল ফুল ফর্মে। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করে সৌমিত্র বলেন, “বাংলায় বিরোধীদের স্বাধীনতা নেই, বিজেপির ২০০ জন কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।”

    কী লিখেছেন সৌমিত্র? (Saumitra Khan)

    এদিন ফেসবুক পেজেও ভিডিও পোস্ট করেছেন সৌমিত্র। পোস্টে লিখেছেন, ‘তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়ে অষ্টাদশ লোকসভায় মহামহিম রাষ্ট্রপতি মহোদয়ার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূত্রে বলার সুযোগ পেলাম।’ এখানেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং লোকসভার বিরোধী জোটকেও চাঁদমারি করেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষকে প্রণাম জানান সৌমিত্র। তৃতীয়বার তাঁকে সাংসদ নির্বাচিত করায় তাঁদের ধন্যবাদও জানান তিনি। সরব হন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও।

    ‘বিরোধীদের স্বাধীনতা নেই’

    বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Saumitra Khan) বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে পশ্চিমবঙ্গে কখনও নির্বাচন হবে না। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন ছাড়া এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপ্যাল ভোট হয় না।” পদ্ম-সাংসদ বলেন, “আমাদের ২০০ জন কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। ওখানে বিরোধীদের কোনও স্বাধীনতা নেই। বিরোধীদের কিছু বলার অধিকার নেই। বিরোধীপক্ষের সাংসদ-বিধায়কদের বৈঠকে ডাকেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।”

    আর পড়ুন: “মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না”, রাহুলের ‘হিন্দু’-মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    কোচবিহারকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে সৌমিত্র বলেন, “কোচবিহারে কেবল বিজেপি করায় এক মহিলাকে রাস্তায় নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছিল। এটা কি তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি?” বক্তব্য শেয়ার করে সৌমিত্র লিখেছেন, “কয়েকদিন পরে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জাতি শেষ হয়ে যাবে।” বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, “তৃণমূল মহিলাদের সম্মানের কথা বলছে। ওদের মুখে এ কথা মানায় না। চোপড়ায় এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে তৃণমূলের নেতা। এরা আবার বড় বড় কথা বলছে (Saumitra Khan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: “দুর্নীতির জন্য বহু ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে”, কামারহাটি নিয়ে বিস্ফোরক মদন

    Madan Mitra: “দুর্নীতির জন্য বহু ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে”, কামারহাটি নিয়ে বিস্ফোরক মদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দলের দখলে থাকা কামারহাটি পুরসভার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। বেহাল পুর পরিষেবা নিয়ে পুরসভাকেই কাঠগ়়ড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। একইসঙ্গে দুর্নীতি নিয়েও তিনি সরব হয়েছে। আর এভাবে প্রকাশ্যে শাসক দলের দখলে থাকা পুরসভার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।  

    ঠিক কী বলেছেন মদন? (Madan Mitra)

    কামারহাটি পুরসভার পরিষেবা নিয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, “সারা কামারহাটিতে চলাফেরার আর জায়গা নেই। আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। পুকুর বুজিয়ে বাড়ি হচ্ছে। অবৈধ বহুতল হচ্ছে। রোজ অভিযোগ আসছে। এ আর পোষাচ্ছে না।” দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শুধু চেয়ারম্যানের ওয়ার্ড নয়, কামারহাটি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কম ভোট পেয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন মদন। তিনি বলেন, “কয়েকটি ওয়ার্ডে বেশি ভোট না পেলে কামারহাটি পুরসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় পিছিয়ে পড়তেন। আর এরজন্য দায়ী কামারহাটিতে ব্যাপক দুর্নীতি। এই দুর্নীতির জন্য বহু ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। প্রধানত দুটি অভিযোগ উঠে আসছে। পুকুর বুজিয়ে বাড়ি। আর চারতলা বাড়ির অনুমোদন করিয়ে ৬ তলা বাড়ি হচ্ছে। রোজ অভিযোগ আসছে।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যের থেকে কেড়ে নেওয়া হোক পুলিশের দায়িত্ব, বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর

    কামারহাটির পুর চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কামারহাটির (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, “বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের জন্য কর্মী রয়েছেন। গাড়ি রয়েছে। ফলে, আবর্জনা জমার কথা নয়। কিন্তু, বিধায়ক যখন বলেছেন কাউন্সিলরদের সঙ্গে এই বিষয়ে আমি ফের কথা বলব।” পুকুর বুজিয়ে বাড়ির প্রসঙ্গে পুর চেয়ারম্যান বলেন, “বোর্ড প্ল্যান ছাড়া বাড়ি হচ্ছে, আমার বিধায়ক জানেন। পুরসভার (Kamarhati) তরফেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, “আসলে ভাগ ঠিকমতো হচ্ছে না বলে দুর্নীতির কথা বলছেন। পুর (Kamarhati) এলাকায় যারা দুর্নীতি করে তারা কার লোক খোঁজ নিলেই জানা যাবে। এসব বলে কোনও লাভ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chopra Incident: জেলে রয়েছে দাদা, ভিডিও করা নিয়ে চোপড়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে জেসিবি-র ভাই

    Chopra Incident: জেলে রয়েছে দাদা, ভিডিও করা নিয়ে চোপড়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে জেসিবি-র ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ড (Chopra Incident) নিয়ে রাজ্যে তোলপাড় চলছে। এরই মাঝে চোপড়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। তৃণমূল নেতা জেসিবি-র হামলা চালানোর ভিডিও কে তুলেছে তা সন্দেহ করে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে ধৃত তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবির ভাই গির আলম ও তার শাগরেদরা। গির আলমের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকা ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Chopra Incident)

    চোপড়াকাণ্ডে (Chopra Incident) মূল অভিযুক্ত জেসিবি এখন জেলে রয়েছে। জানা গিয়েছে, জেসিবি-র ভাই গির আলম ও তার শাগরেদরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ। কে বা কারা ভিডিও করেছেন, এমন সন্দেহ করে অনেকের বাড়ি ঘরে ইতিমধ্যে ভাঙচুরও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী অনেকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। অপরাধীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন আক্রান্ত যুবকের মা। ভয়ে জেসিবির বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। ছেলেকে মারধরের তিনি শাস্তিও চাইছেন না। তিনি বলেন, “যে ভিডিওটা করেছে, তার আমি শাস্তি চাই। ভাইরাল করে আমার ধর্মটা নষ্ট করেছে। আর আমার ছেলেকে কে মেরেছেন তাঁকে আমি চিনি না। যে ভাইরাল করেছে, তাকেই আমি চাই।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যের থেকে কেড়ে নেওয়া হোক পুলিশের দায়িত্ব, বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরেই প্রকাশ্যে আসে চোপড়ার ভিডিও। তাতেই জানা যায় এই জেসিবির (Trinamool Congress) কুকীর্তির কথা। মূল অভিযুক্ত জেসিবি গ্রেফতার হতেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক অভিযোগ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে এক সিপিএম নেতাকে গুলি করে খুনেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটেছে। থানাতেও ওর বিরুদ্ধে একাধিক কেস রয়েছে। ওদের ভয়ে কেউ ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারত না। গোটা এলাকায় এমন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, যে একজন মানুষও কথা বলতে না পারে। ওরা (Trinamool Congress) কয়েকজন সন্দেহ করেছে, যারা ভিডিও ভাইরাল করেছে, তাদের বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। ওর ভাইসহ ওদের একটা গ্যাং আছে, তারা এই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chopra: ২৮ জুন বসেছিল জেসিবির ‘ইনসাফ’ সভা! নির্যাতনের ঘটনা কার নির্দেশে ২ দিন চাপা ছিল?

    Chopra: ২৮ জুন বসেছিল জেসিবির ‘ইনসাফ’ সভা! নির্যাতনের ঘটনা কার নির্দেশে ২ দিন চাপা ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়ায় (Chopra) মহিলা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল ২৮ জুন। কিন্তু এই ঘটনার ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ৩০ জুন, রবিবার। প্রশ্ন উঠেছে দুদিন ধরে এত বড় ঘটনা কার নির্দেশে চাপা ছিল? কার ভয়ে এই কথা প্রকাশ্যে আসেনি? ইতিমধ্যে এই প্রশ্ন এখন সকলের মুখে। যদিও মূল অপরাধী জেসিবি তাজমুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার আদালতে তোলা হলে, বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কেসের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল।

    ইনসাফ সালিশি সভা(Chopra)!

    সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেছেন, “যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি এসআই, তাঁর নাম সঞ্জিত ঘোষ। তাঁর বক্তব্য তিনি একটি ভিডিও ক্লিপ পান, যেখানে দেখা গিয়েছে, একজন ব্যক্তি অপর আরেক মহিলা এবং পুরুষকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারছেন। এরপর তদন্ত শুরু করেন। জানা গিয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ইনসাফ নামে একটি সালিশি সভা বসেছিল গত ২৮ জুন তারিখে। তবে এই ঘটনায় জেসিবির (JCB) প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ছিল। নিজে খুব খারাপ ভাষায় কথা বলছিলেন এবং এরপর মারধর করেন।” আইনজীবী আরও বলেছেন, “অভিযুক্ত জেসিবির নামে আরও ১২টি মামলা রয়েছে।” এখন প্রশ্ন উঠছে এইরকম এক ব্যক্তিকে নিয়ে প্রশাসন কেন কোনও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেনি? নাকি শাসক দলের হাত তাঁর মাথায় ছিল? কোন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার হাত ওঁর মাথায় রয়েছে, তাই এখন সংবাদ মাধ্যমে শোরগোল ফেলেছে। যদিও জেসিবির সম্পর্কে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান ও জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল আগেই সাফাই দিয়েছেন।

    পুলিশের বক্তব্য (Chopra)

    ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জোবি থমাস বলেন, “আমরা ভাইরাল ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে একজনকে (JCB) গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় (Chopra) যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেই।”

    আরও পড়ুনঃ জুতোপেটা করে বৃদ্ধাকে খুন কেতুগ্রামে! গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মুসলিম রাষ্ট্রের সামজিক আচার-বিচার

    ঘটনায় চোপড়ার (Chopra) তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ব্যাখ্যা আরও ভয়ানক ছিল। তিনি বলেছিলেন, “মুসলিম রাষ্ট্রের সামজিক আচার-বিচার হয়েই থাকে। সমাজকে খারাপ করছিল। তাই গ্রামে সালিশি বসানো হয়েছিল। তাই শাসন করতে গিয়েছিল। কিন্তু যেটা করেছে, একটু বেশি বেশি করে দিয়েছে। তার জন্য আমরাও দুঃখিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: জুতোপেটা করে বৃদ্ধাকে খুন কেতুগ্রামে! গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    Purba Bardhaman: জুতোপেটা করে বৃদ্ধাকে খুন কেতুগ্রামে! গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্যত জুতোপেটা করে বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল নেতাকে। অভিযুক্তকে পূর্ববর্ধমানের (Purba Bardhaman) কেতুগ্রাম থেকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ আচার্য। তাঁর বাড়ি নৈহাটি নামক গ্রামে। তিনি এলাকার তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Purba Bardhaman)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার দুপুরের ঘটনা। সীতাহাটি (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দুটি গ্রাম এনায়েতপুর এবং নৈহাটি। এনায়েতপুরের বাসিন্দা ইতি দাস এবং দীপক দাসের মেয়ে সম্পর্কে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মা অবশ্য জানতে পারেন নৈহাটি গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে রয়েছেন মেয়ে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ওই বাড়ি থেকে মেয়েকে আনতে গেলে, তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ওই বাড়িরই লোকজন। দ্বিতীয়বার ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে আনতে গেলে বিশ্বজিৎ আচার্য, ইতির মা ইন্দুবালালকে জুতো খুলে ব্যাপক মারধর করেন। এরপর অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যু হয় বৃদ্ধার।

    তোমার বাড়ির মেয়ে হলে কী করতে?

    পরিবারের (Purba Bardhaman) পক্ষ থেকে ইতি দাস বলেছেন, “মায়ের কথাতে আমি ওই বাড়িতে যাই। তখনও বিশ্বজিৎ আচার্য আমাদের সামনে এসে গালিগালাজ করতে থাকেন। ওই রূপ দেখে মা বলে ফেলেন, গাধা কোথাকার! তোমার বাড়ির মেয়ে হলে কী করতে? এ কথা বলার পরেই বিশ্বজিৎ মাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়েই জুতো খুলে বুকে মারতে থাকেন। এরপর মা আর উঠতে পারেননি। ওখানেই মৃত্যু হয়। তৃণমূল নেতা বিশ্বজিতের মারের আঘাতেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েছি। অভিযুক্তকে রবিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘মুসলিম রাষ্ট্র’ মন্তব্যের জের, চোপড়ার বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ শঙ্করের

    বৃদ্ধার হার্টের অসুখ ছিল (Purba Bardhaman)

    পাল্টা কেতুগ্রাম-২ (Purba Bardhaman) তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস বলেছেন, “শুনেছি আগে থেকে বৃদ্ধার হার্টের অসুখ ছিল। আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে ফাঁসনো হয়েছে।” পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও আরও ২ জনের সন্ধান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ লাখ টাকা জরিমানা তৃণমূল সাংসদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের সাকেত গোখেলের (Saket Gokhale) বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাঁকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।

    সাকেতকে আদালতের নির্দেশ (Saket Gokhale)

    সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ব্রহ্মাণীর বেঞ্চের নির্দেশ, লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে সাকেতকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করতে হবে। আদালতের নির্দেশ, অন্তত ছমাস সাকেতের (Saket Gokhale) ওই পোস্ট থাকতে হবে এক্স হ্যান্ডেলে। এর পাশাপাশি একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বার্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রহ্মাণীর বেঞ্চ। ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের জুন মাসে। লক্ষ্মী ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তুলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন সাকেত। পোস্টে তৃণমূলের এই সাংসদ লিখেছিলেন, লক্ষ্মী পুরী সুইৎজারল্যান্ডে সম্পত্তি কিনেছেন। লক্ষ্মী ও তাঁর মন্ত্রী স্বামীর আয়ের উৎস নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের এই সাংসদ।

    মানহানির মামলা দায়ের

    এর পরেই সাকেতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন লক্ষ্মী। দাবি করেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও। তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে, অসত্য ট্যুইট ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিতে আদালতে আবেদন জানান লক্ষ্মী। ওই বছরেরই ১৩ জুলাই লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে করা সমস্ত পোস্ট চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে আর কোনও মানহানিকর পোস্ট করা থেকেও সাকেতকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

    আর পড়ুন: ইভিএম নিয়ে ভুয়ো খবর, মিড ডে-র রিপোর্টার সহ একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর

    লক্ষ্মীর মতো প্রাক্তন আমলা তাঁর স্বামী হরদীপও। তিনি ১৯৭৪ ব্যাচের আইএফএস। ব্রাজিল, জাপান, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরিজীবন শেষে ২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে হরদীপের কাঁধে রয়েছে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের দায়িত্ব। এহেন এক আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার খেসারত দিতে হবে (Delhi High Court) তৃণমূলের সাংসদকে (Saket Gokhale)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arambagh: তৃণমূলের পার্টি অফিসে হাজিরা দেননি বিজেপি কর্মীরা, বন্ধ করা হল রেশন, আরামবাগে শোরগোল

    Arambagh: তৃণমূলের পার্টি অফিসে হাজিরা দেননি বিজেপি কর্মীরা, বন্ধ করা হল রেশন, আরামবাগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই বিজেপি করার অপরাধে বেশ কয়েকজন কর্মীর রেশন বন্ধ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটি ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। ইতিমধ্যে বঞ্চিত বিজেপি কর্মীরা মহকুমা শাসকের কাছে দরবার করেছেন।

    কেন বন্ধ করা হল রেশন? (Arambagh)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এলাকার তৃণমূলের নেতারা দাদাগিরি ফলাচ্ছেন। বিজেপি কর্মী পলাশ ঘোষ, রেনুপদ ধক ও ধীরেন ধককে তৃণমূলের দলীয় অফিসে ডাকা হয়। তাঁরা সেখানে না যাওয়ায় তাঁদের রেশন একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও অভিযোগ, বাড়ির মহিলারা রেশন আনতে গেলে তাঁদেরকে লাইন থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই পরিবারগুলি। বাড়ির বাইরে গেলে তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আরামবাগ মহকুমা (Arambagh) শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই। তিনি ওই ব্যক্তিদের বাড়িতে তাঁদের রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানান।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    রেশন ডিলার কী বললেন?

    রেশন ডিলার গোপাল কোলের অবশ্য দাবি, “তৃণমূলের (Trinamool Congress) নির্দেশে ২০-২৩ জনের রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আবার রেশন দেওয়া হয়। কিন্তু কোনওভাবে এই তিনজন রেশন থেকে বঞ্চিত থেকে গিয়েছে। তাঁরা দোকানে এলেই তাঁদের রেশন দিয়ে দেওয়া হবে।” যদিও এই ঘটনার পর থেকে ওই রেশন ডিলারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। তাঁকে নাকি গ্রাম ছাড়া করা হবে বলেই নিদান দেন তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। এই ঘটনায় ওই রেশন ডিলার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান।

    তৃণমূলের প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গৌরহাটি-১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান (Trinamool Congress) জ্যোৎস্নারা খাতুনও  বলেন, “রেশন বন্ধের বিষয়ে আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। ঘটনাটা যদি সত্যি হয় আমি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের দল দেখে দেওয়া হয় না। এই সুবিধা সকলের প্রাপ্য।” তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী দলীয়ভাবে রেশন বন্ধের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP MLAs Protest: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    BJP MLAs Protest: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। কোচবিহারের ঘটনায় বিধানসভায় (West Bengal Assembly) বিক্ষোভ অবস্থানের কথা আগেই জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে। আর এবার তার সঙ্গেই জুড়ে গিয়েছে চোপড়ার ঘটনাও। কোচবিহার এবং চোপড়ার ঘটনার প্রতিবাদে এবার বিধানসভার সামনে ধর্নায় বসলেন বিজেপির মহিলা বিধায়করা (BJP MLAs Protest)। বিজেপি বিধায়িকা তথা মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে চলছে ধর্না কর্মসূচি। অন্য দিকে, চোপড়ার ঘটনায় রাজ্যের পরিস্থিতিতে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রের খবর, এই ঘটনায় নবান্নের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    বিজেপির দাবি (BJP MLAs Protest)

    সোমবার সকালে বিধানসভার (West Bengal Assembly) গাড়ি বারান্দার সামনে বিক্ষোভে অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে বসেন শিখা চট্টোপাধ্যায়, চন্দনা বাউড়িরা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি। প্ল্যাকার্ডে কোচবিহারের ঘটনার উল্লেখ করে নারী নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে ২০১১-র পর থেকে কতজন নারী নির্যাতনকারীর শাস্তি হয়েছে, তার জবাবও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চেয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় বিজেপির দাবি, শাসকদলের নেতৃত্বে রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে। অবিলম্বে পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি (BJP MLAs Protest)। 

    কেন এই বিক্ষোভ? (West Bengal Assembly) 

    কোচবিহারের ঘটনা নিয়ে সোমবারই বিধানসভায় সরব হবে বিজেপি তা আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো বিধানসভায় ধর্না দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন বিজেপির মহিলা বিধায়কেরা। তবে সেই অনুমতি না মেলায় সোমবার সকালে বিধানসভার গাড়িবারান্দার সামনে বিক্ষোভে বসেন অগ্নিমিত্রা। এ প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, “কোচবিহারে বিজেপির প্রতিনিধিদল যাওয়ার পর পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান নিল। আর সেই ঘটনার পরেই আমরা দেখলাম চোপড়ায় তৃণমূল নেতা এক জন মহিলার উপর প্রকাশ্যে অত্যাচার করছেন। আমরা রাজ্যে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ধর্না (BJP MLAs Protest) অবস্থান করছি।”

    অন্যদিকে এদিনের নির্দিষ্ট কর্মসূচির আগেই বরানগরের জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকাররা বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আম্বেদকর মূর্তির নীচে এসে ধর্নায় বসে যান। 
    এরপরেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার কাণ্ডে বিজেপি বিধায়কদের ধর্না প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, “অনুমতি ছাড়া বিজেপি বিধায়করা (BJP MLAs Protest) বিক্ষোভ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক আগে আবেদন করেছিলেন তাই ওদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি ওদের (বিজেপি) অনুমতি দিইনি। কেন বসেছে জানি না। ব্যবস্থা নেওয়া যায় কী ভাবে, দেখছি। মার্শালকে বলব বিষয়টি দেখতে। আজ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। আজকের দিনে মাল্যদান অনুষ্ঠানে না এসে ওনারা ধর্না করছেন।”

    আরও পড়ুন: লোনাভালার জলপ্রপাতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের ৭ জন! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

    আগে কী ঘটেছিল?  

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোচবিহারের মাথাভাঙা-২ ব্লকে বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। এ বার সেই সঙ্গে জুড়ল চোপড়ার ঘটনা। রবিবার দুপুরেই তৃণমূলের চোপড়ার (Chopra) নেতা তাজম্মুল ওরফে ‘জেসিবি’র একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায় এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে এক ছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন জেসিবি। মার খেতে খেতে গুটিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলা হচ্ছে। তার পরে আবার শুরু হচ্ছে মার। একই সঙ্গে এক তরুণকেও একই ভাবে মারতে দেখা যায়। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল (Land Encroachment) করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক করে দিয়েছিলেন উচ্ছেদের নির্দেশ। অথচ শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করার ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। এই আবহের মধ্যে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় সরকারি খাস জমি-সহ একটি কবরস্থান দখলের অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ (Land Encroachment)

    গত শুক্রবার কবরস্থান দখলের অভিযোগে এলাকায় ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। এরপর এলাকার মানুষ জমিতে বেড়া দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগ, ওই জমি সরকারি খাতায় করবস্থান বলে পরিচিত। কিন্তু এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার মদতে এই জমি রায়তি বলে রেকর্ড করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। জমি কেলেঙ্কারির (Land Encroachment) অভিযোগে অভিযুক্ত এই নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জমির শ্রেণী পরিবর্তন করায় ভূমি দফতরের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেছেন, “কবরস্থানটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” আবার চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্রের বক্তব্য, “অভিযোগ পেয়েছি। পুরসভা কড়া পদক্ষেপ করবে। দখল করা সরকারি জমি (Land Encroachment) পুনরুদ্ধার করা হবে।”

    কবর স্থানের মোট জমি ৩৬ শতক (Land Encroachment)

    চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের নরহরিহরি মৌজায় নির্দিষ্ট একটি দাগের ৩৬ শতক জমি কবরস্থান বলে উল্লেখ করা ছিল। সেটি বহু আগে থেকেই এলাকায় কবরস্থান নামে পরিচিত। কিন্তু মাত্র একবছর আগে এই জমি দখল (Land Encroachment) হয়ে যায়। একই ভাবে চন্দ্রকোনা শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া নির্দিষ্ট একটি দাগের মোট ২৮৪ শতক জমি ঘেরা হয়েছিল। এর মধ্যে একটা বড় অংশ রায়ত জমি এবং তার সঙ্গে সরকারি জমিও রয়েছে। রাতারাতি রায়তের ৩৬ শতক কবরস্থান, ডাঙা বাঁশ বাগান হিসাবে দখল করে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    জেলা ভূমি দফতরের বক্তব্য

    জেলা ভূমি দফতরের একপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, “অভিযোগ ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি। তদন্ত শেষ হলে তবেই বলা যাবে কতটা জমি দখল (Land Encroachment) হয়েছে। সবটা উদ্ধার করা হবে। জমি পরিবর্তনের বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব।” আবার তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ বলেছেন, “এই জমি দখলের খবর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় ভাবে তদন্ত করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share