Tag: tmc

tmc

  • Uttarpara TMC: উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    Uttarpara TMC: উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির উত্তরপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূল বিধায়কের দেখা নেই। ২০২১ সালে ভোটে জেতার পর থেকেই অনুপস্থিত নিজের কেন্দ্রে। ঠিক এমনটাই অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর। একই সঙ্গে দলের (Uttarpara TMC) অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে। আর এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ভীষণ ভাবে রেগে লাল হয়ে গেলেন।

    গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন কল্যাণ (Uttarpara TMC)

    উল্লেখ্য লোকসভার ভোটে প্রচারের সময় এই কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। ঘটনা ঘটেছিল কোন্নগরের নবগ্রামে। এরপর থেকেই তাঁকে আর দেখা যায়নি এলাকায়। এখন তাঁকে চোখে দেখতে না পেয়ে এবং অনুপস্থিতিতে দলের (Uttarpara TMC) কর্মীদের মধ্যে বিরাট চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    কী বললেন কাঞ্চন?

    তৃণমূল বিধায়ক (Uttarpara TMC) কাঞ্চন মল্লিকের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে নিজে বলেন, “মান-অভিমান সব অতীত। ওই সব কোনও বিষয় নয়। এখন আউটডোর শ্যুটিং নিয়ে বিশেষ ব্যস্ততায় রয়েছি। আমি কি প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অফিস করব?” তবে তৃণমূলের সূত্রে খবর, বিধায়ক হয়ে উত্তরপাড়া এবং কোন্নগরে একাধিক কার্যালয় খুলেছেন। কিন্তু সবসময় না হলেও মাঝে মাঝে বসতেন। কিন্তু বেশকিছুদিন ধরে তাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। লোকসভায় চতুর্থবার জয়ী হওয়ার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয় মিছিলেও তাঁকে দেখা যায়নি সেখানে। ফলে দলের কর্মীদের মনেও যা প্রশ্ন, সাধারণ মানুষের মনেও তাই।

    আরও পড়ুনঃ হিমাচলের শৃঙ্গে বরফে ‘দানবাকৃতি’ পায়ের ছাপ! পর্বত আরোহীদের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

    তৃণমূল সভাপতির বক্তব্য

    উত্তরপাড়া শহরের তৃণমূল (Uttarpara TMC) সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেছেন, “মাখলায় আমাদের ক্লাবের অফিসে বিধায়ক বসেন। মুম্বইয়ের একটি শ্যুটিং-এর কাজে একমাস ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে সময় দিতে পারছেন না। তবে তাঁর সেক্রেটারি নিয়মিত অফিসে আসেন। মানুষের কাজের সুবিধার জন্য আগাম কাগজে সই করে দিয়ে গিয়েছেন। পরিষেবা পেতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই দিকটা আমরা নজরে রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: পার্টি অফিসে মদের আসর! তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালালেন মহিলারা

    Jalpaiguri: পার্টি অফিসে মদের আসর! তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালালেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পার্টি অফিসে মদের আসর বসত। এনিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ছিল। মদের আসর বসার প্রতিবাদে এবার সেই পার্টি অফিসে তালা ভেঙে ঢুকে ভাঙচুর চালালেন স্থানীয় মহিলারা। চা়ঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভা এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠি কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)

    সম্প্রতি তৃণমূলের ওই পার্টি অফিস (Jalpaiguri) থেকে কেউ বা কারা স্থানীয় এক যুবককে মদ আনতে বলেন। পাটি অফিসে মদের আসর বসেছিল। ওই যুবক বাইক নিয়ে মদ আনতে যান। এরপর পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে, এলাকাবাসীর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসের ওপর। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর বেশ কিছু এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সোমবার রাতে তৃণমূল কার্যালয়ে যায়। পার্টি অফিস তালা মারা থাকায় ইট দিয়ে তালা ভেঙে দেয়। এরপর ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর চালায় পার্টি অফিসে। খবর পেয়ে এলাকায় আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কথা বলেন স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পার্টি অফিসে মদের আসর বসে। নেতাদের কোনও নজরদারি নেই। এতে এলাকায় খুব খারাপ বার্তা যাচ্ছে। তাই, পার্টি অফিসে এলাকার মানুষ চড়াও হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরুপ মণ্ডল বলেন, “সোমবার রাতে কিছু দুষ্কৃতী আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। এরা কারা তাঁদের আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। পাশাপাশি পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরিকল্পিতভাবেই হামলা চালানো হয়েছে। মদের আসর বসার অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা দলগতভাবে বিষয়টি দেখছি। পরে, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার স্বাদে ও আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ব্রিটানিয়া বিস্কুট। আর সেই আবেগে আঘাত পড়ল সোমবার। তারাতলায় প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে গেল ব্রিটানিয়া কোম্পানির (Britannia Factory Closed)। সূত্রের খবর, কোম্পানিতে স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন এবং অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০১১ সালের পরে এই নিয়ে মোট ১৫টি কারখানা বন্ধ হল তারাতলা শিল্পাঞ্চলে। 

    বিজেপির অভিযোগ (BJP blames on TMC) 

    কারখানা বন্ধের এই ঘটনায় তৃণমূলের তোলাবাজিকেই সরাসরি দায়ী করছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মলব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “আজকের ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানার বন্ধ (Britannia Factory Closed) হয়ে যাওয়া বাংলার একসময়ের গভীর বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন।” একইসঙ্গে কারখানা বন্ধের জন্য বাম শাসন আমলে সিপিআই(এম) এর ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং টিএমসির ‘তোলাবাজি’ (চাঁদাবাজি) এর সম্মিলিত প্রভাবকে দায়ী করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বাংলার ভাগ্য এখন ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং ‘তোলাবাজি’র জোড়া অভিশাপে আটকে পড়েছে। এখন একটাই প্রশ্ন, এই অভিশাপ থেকে কবে মুক্তি পাবে বাংলা?” 

    অন্যদিকে অমিত মালব্যর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP blames on TMC) বলছেন, ”এমন একটি দল, যারা সারাক্ষণ তোলাবাজি করে, তাদের উপস্থিতিতে সেখানে শিল্প আসবে না।  মুখ্যমন্ত্রীরও শিল্প-বিরোধী ভাবমূর্তি রয়েছে।”
    যদিও বিজেপির এই আক্রমণের পাল্টা আঘাত হেনে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, ”সংশ্লিষ্ট সংস্থার ম্যানেজমেন্টের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। যারা এটিকে রাজ্যের সামগ্রিক শিল্প পরিস্থিতির সঙ্গে মেশাচ্ছেন, তাঁরা ভুল করছেন।” 

    আরও পড়ুন: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    কর্মীদের অভিযোগ 

    অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে যে আড়াইশো জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করছিলেন তাঁদেরকে কোম্পানি কোনও টাকাপয়সা না দিয়ে এই কোম্পানি বন্ধ (Britannia Factory Closed) করে দিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, স্থায়ী কর্মী যাঁরা ১০ বছরের উপরে চাকরি করছেন, তাঁদের এক এক জনকে ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। ছয় থেকে দশ বছরের নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। এর নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের কোনও টাকা পয়সা এখনও পর্যন্ত দেয়নি কোম্পানি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু কী কারণে কলকাতার (Kolkata) একমাত্র ব্রিটানিয়া কারখানা বন্ধ হয়ে গেল? ব্যবসায় মন্দা? নাকি শ্রমিক সমস্যা? এনিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ব্যবসায়িক দিক থেকে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই মত শ্রমিকদের একাংশের। এখনও বঙ্গে ব্রিটানিয়ার খাদ্যসামগ্রী বিক্রিতে অন্য যে কোনও সংস্থার চেয়ে যথেষ্ট এগিয়ে। তবে কেন বন্ধ হল কারখানা (Britannia Factory Closed) সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল! গেটে তালা ঝুলিয়ে সরব বিজেপি কর্মীরা

    Balurghat: শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল! গেটে তালা ঝুলিয়ে সরব বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল। এমন অভিযোগে বালুরঘাট (Balurghat) খিদিরপুর শ্মশানে বৈদ্যুতিক  চুল্লির গেটের সামনে প্রতীকী তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। মূলত, তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দেন। জানা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মেরামতি করার পরও ফের অকেজো হয়ে গিয়েছে শ্মশানের চুল্লি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে প্রায় ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বৈদ্যুতিক চুল্লিটি তৈরি করা হয়। অভিযোগ, চুল্লি তৈরি করার পর থেকেই দুটি চুল্লি বিকল হয়ে যায়। পুরসভা থেকে একটি চুল্লি সংস্কার করলেও তা বিকল হয়ে যায়। গত ৯ মাস ধরে বৈদ্যুতিক চুল্লিটি বিকল হয়ে পড়েছিল। বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা থেকে খিদিরপুর শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি গঠনগত ত্রুটি সারিয়ে তোলার জন্য ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে কাজ শুরু হয়েছিল।পরে, চুল্লিটি চালু হওয়ার পর ফের বিকল হয়ে পড়ে। চলতি  মাসের ১২ তারিখ ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নতুন করে সারিয়ে তোলা হয় চুল্লিটি। এরপর শহর জুড়ে পুরসভার পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচার করা হয়, চুল্লি মেরামতি করা হয়েছে। ১২ দিনের মধ্যে মেশিন ফের বিকল হয়ে পড়েছে। সোমবার বিকেলে দাহ করতে না পেরে বালুরঘাট খিদিরপুর শ্মশানে প্রবল বিক্ষোভ দেখান শ্মশান যাত্রীরা।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    মঙ্গলবার বালুরঘাট (Balurghat) খিদিরপুর বৈদ্যুতিক চুল্লির গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) কর্মীরা। বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ  দত্ত বলেন, বালুরঘাট পুরসভা শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে। ৩৬ লক্ষ টাকা খরচ করে বালুরঘাট পুরসভা ১২ দিনের জন্য চুল্লি ঠিক করেছে। পুরসভা এর মধ্যেও কাটমানি খেয়ে রেখেছে, যারজন্য চুল্লি ঠিক করার ১২ দিনের মধ্যে বিকল হয়ে পড়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার এমসিআইসি বিপুল ক্রান্তি ঘোষ বলেন, বিজেপি এটাকে নিয়ে রাজনীতি করছে। আজকে গেটে তালা মেরে বিজেপি খুব নোংরা কাজ করেছে। চুল্লিতে ইলেকট্রিক আপ-ডাউন করার জন্য চুল্লির কয়েকটি কোয়েল পুড়ে যায়, যারজন্য চুল্লি বন্ধ রাখা হয়েছে। চুল্লিটির সংস্কারের কাজ চলছে। আগামী দুদিনের মধ্যে চুল্লিটি ঠিক হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার ২৫ জুন। ১৯৭৫ সালের এই ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাসের জন্য কংগ্রেস দ্বারা জারি করা জাতীয় জরুরি (Emergency) অবস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপি কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে সমস্ত আন্দোলনকারীদের এই দিনটিকে স্মরণ করে গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন বলেছে। বিজেপি আরও বলেছে, “ভারতীয় গণতন্ত্র ও রাজনীতির অন্ধকারতম অধ্যায় ছিল এই দিনটি। জরুরি অবস্থা বিরোধী সকল সত্যাগ্রহীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অভিবাদন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য কুর্নিস জানাই।” সংসদে শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন।

    কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী (Emergency)

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার সংসদে সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সাথে সাথে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার স্মৃতি তুলে ধরেন। দেশের তৎকালীন নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বয়ং এই ঘোষণা করেছিলেন। মোদি বলেছেন, “আগামীকাল সেই কালাদিন। তরুণ প্রজন্ম কখনই ভুলবে না যে কীভাবে গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছিল। কীভাবে গোটা দেশকে একটি কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ভারতীয় সংবিধানকে কীভাবে পরিত্যাগ করা হয়েছিল তা দেখে ছিলেন মানুষ। ৫০ বছর পূর্তিতে দেশ প্রতিশ্রুতি দেবে যে এই দিনটি আর কখনই দেখবে না। সংসদের অধিবেশনে কাজে ব্যাঘাত এবং বিশৃঙ্খলা দেখতে চান না সাধারণ মানুষ। কাজের বিষয়ে আলোচনা ও প্রচেষ্টার বিষয়বস্তুকেই মানুষ পছন্দ করেন বেশি। আমি আশা করছি বিরোধী দল জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ করবে।”

    আরও পড়ুনঃ “চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা হবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমতুল্য”! দাবি সংস্থার

    কেন জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা?

    তৎকালীন সরকার ছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ঘটছে বলে কারণে দেখিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। এরপর জাতীয় জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেন। তিনি ভারতীয় সংবিধানের ৩৫২ নম্বর ধারার অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। এই জরুরি অবস্থা স্থায়ী হয়েছিল ২৫ জুন, ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত। আবার এই জরুরি অবস্থার মধ্যে ছিল দেশের গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যহার করা এবং নাগরিকদের স্বাধীনতার পরিসীমাকে সীমিত করা। ফলে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা একক ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পুত্র সঞ্জয় গান্ধীও মানুষের মানবাধিকারকে কেড়ে নিয়ে ব্যাপক অত্যাচার করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি সংক্রান্ত একটি পারিবারিক বিবাদ হয়েছিল দলেরই তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে। পরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। কিন্তু সেই সভা থেকে তৃণমূল প্রধানের স্বামী, দলের এই কর্মীকে সমাজচ্যুত করার নিদান দিয়েছিলেন। এরপর থেকে ওঁই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী প্রাণ ভয়ে আতঙ্কে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। অভিযোগের কাঠগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। ইতিমধ্যে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। দলের নেতাদের দ্বারা মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়েছেন যে তৃণমূল কর্মী, তাঁর নাম হাবিবুল রহমান। ঘটনা ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি (Malda) এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিলে (Malda)?

    স্থানীয় (Malda) সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুলের চাচাতো ভাই কাসিম শেখের পরিবারের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে বিবাদ হয়। প্রথমে সালিশি সভায় হাবিবুলের কাছে ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। একই ভাবে বাড়ির কিছু অংশ জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু হাবিবুল নিজের জমি ছাড়েননি। কিন্তু ইতিমধ্যে আবার সালিশি হলে তাঁকে আবার দেড়লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল প্রধানের স্বামী সানাউল আবারও সালিশি ডাকলে হাবিবুল জাননি। এরপর সনাউল এবং গ্রামের মোড়ল ভাদু শেখকে ডেকে হাবিবুলকে সামজিক বয়কট করেন। নিদান দেওয়া হয়, গ্রামে তাঁদের একঘরে করা হয়েছে, কোনও দোকান জিনিস দেবে না। অসুস্থ হলে মিলবে না ওষুধও। বন্ধ মসজিদে যাওয়া, এমনকী পরিবারের একজন মারা গেলে কেউ মাটি পর্যন্ত দিতে আসেনি। অবশেষে হাবিবুল থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। কিন্তু হাবিবুল বর্তমানে ঘরছাড়া।

    হাবিবুলের বক্তব্য

    আক্রান্ত হাবিবুল বলেছেন, “আমি থানায় (Malda) অভিযোগ জানানোর পর হামলা করেছে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা। আমার বাড়িতে হামলা হয়, বাড়ি ভাঙচুর হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর চালায়। পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুতে কবরটা দিতেও আসেননি কেউ। আমরা ভয়ে গ্রামছাড়া। এখনও মূল অভিযুক্তরা অধরা। তাই ভয়ে গ্রামে ঢুকতে পারছি না।”

    আরও পড়ুনঃশান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    অভিযুক্ত মোড়লের বক্তব্য

    অভিযুক্ত গ্রামের (Malda) মোড়ল ভাদু শেখ বলেছেন, “ওঁরা সমাজের কোনও কথা শোনেনি। ওঁরা কেবল নিজেদের কথাই বলে। আমাদের কথা শোনেন না। পাঁচ বার সালিশি করেছি। সালিশির নিদান পালন করেননি। আট মাস ধরে এই ঘটনা চলছে এলাকায়। হাবিবুলকে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওঁরা ওদের ভুলটাও স্বীকার করেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) মথুরাপুরে। এই লোকসভার শ্রীধরনগরে শাসক দলের সন্ত্রাসে শম্ভু চরণ প্রধান নামে এক বিজেপি কর্মী পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া। বর্তমানে জয়নগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে আছেন ওই বিজেপি কর্মী। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার, কাকদ্বীপের এসডিপিওকে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের ফল বের হওয়ার পরই ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী শম্ভুচরণবাবু বলেন,”এলাকায় নিজেদের দাপট দেখাতেই তৃণমূলের লোকজন আমাদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। থানায় অভিযোগ জানানোর পর এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আমার কাছে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ওই পরিবার গ্রাম ছেড়েছি।” অভিযোগের তালিকায় নাম আছে গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ওসি চন্দন পণ্ডিত ও সিভিক ভলান্টিয়ার তাপস মাইতির। তারা নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ। সুন্দরবন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। 

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, এই ধরনের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। উল্টে লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি কর্মীরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে দেয়নি। এখন ভোটে হেরে গিয়ে এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ করছে। এসব করে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তিকে কখনও নষ্ট করা যাবে না। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার বিপ্লব নায়েক বলেন, শুধুমাত্র পাথরপ্রতিমা নয়, গোটা মথুরাপুর জুড়েই ভোটের পরে এই ভাবেই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুদিন আগেও কাকদ্বীপে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে মিথ্যে মামলা দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আইনের শাসন যাদের হাতে, সেই পুলিশ অফিসার এখন তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তারা বিজেপি কর্মীদেরকে ভয় দেখাচ্ছে। তৃণমূলের কথা না শুনলেই মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    Nadia: শান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক ভবন দখল করছে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ। এবার এই সরকারি ভবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রশাসনের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) দফতরকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করল বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি। তৃণমূলের তরফ থেকে যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে (Nadia)।

    সুকান্ত ভবন দখল করেছে তৃণমূল (Nadia)

    নদিয়ার শান্তিপুরের (Nadia) বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় “বিডিও অফিসে অবস্থিত সুকান্ত ভবন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে নদিয়া জেলা পরিষদ সেই ভবনটিকে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। যদিও ইলেকট্রিক বিল থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু ব্যয়ের অর্থ মেটাতে হয় পঞ্চায়েত সমিতিকেই। কিন্তু শাসক দল নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে সরকারি ভবনকে।” ঘটনায় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সন্দীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “আমার কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।”

    পঞ্চায়েত সমিতির বক্তব্য

    এই ভবন অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার বেলা ১১টা থেকে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দফতর গেটের সামনে ধর্নায় বসেছে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। এই অবস্থান বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “অবিলম্বে যদি এই ভবন পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে না ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে লাগাতার এই আন্দোলন চলবে। আমরা হাতে গুনে সাত দিন সময় দিলাম, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ভবন যদি ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, তাহলে জোরপূর্বক দখল করার রাস্তা বেছে নেবো।” অন্যদিকে আন্দোলন চলাকালীন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও ঘন্টাখানেক ধরে চলে এই অবস্থান বিক্ষোভ।

    আরও পড়ুনঃ দিঘার সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে শুরু অবৈধ হকার উচ্ছেদ, জানাল প্রশাসন

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে এই যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত নদিয়া (Nadia) জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য এবং প্রাক্তন সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু বলেছেন, “সুকান্ত ভবন সংস্কারের জন্য এখনও কাজ চলছে, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কারণে কাজ বন্ধ ছিল, এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে ভবনটি সংস্কারের পরে আবার নতুন করে মানুষ পরিষেবা পাবেন। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি যে অভিযোগ করছেন সেটি সম্পন্ন ভিত্তিহীন, এখানে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই করছে না বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: সমবায়ের হিসেব চাওয়া নিয়ে গোলমাল! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, উত্তপ্ত মেমারি

    TMC Conflict: সমবায়ের হিসেব চাওয়া নিয়ে গোলমাল! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, উত্তপ্ত মেমারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের (TMC Conflict) কারণে উত্তাল হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের মেমারি। প্রকাশ্যে দলেরই দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহল ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    মেমারির আমাদপুর ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় সমিতিতে বকেয়া লোন, সমবায় ভোট, হার্ভেস্টর ট্রাক্টর-সহ একাধিক বিষয়ে হিসাবের দাবিকে কেন্দ্র করে মিটিং চলছিল রবিবার। সেখানেই মেমারির বিধায়ক মধুসূধন ভট্টাচার্য ও মেমারি-১ ব্লক সভাপতির নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। মূলত, সমবায় সমিতির হিসেব চাওয়া নিয়ে গোলমাল (TMC Conflict)। আর তার জেরেই শাসকদলের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে গন্ডগোল থামে। হামলা প্রসঙ্গে ব্লক সভাপতির এক অনুগামী বলেন, “১১৬ নম্বর বুথের সদস্যদের সঙ্গে ঝামেলা। শুধু জিজ্ঞাসা করেছি, কী হয়েছে? তাতেই দলের বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের লোকজন আমাদের মারতে শুরু করল। আমরা ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। সমবায়ের হিসেব চাইতে গেলে ব্লক সভাপতির অন্য অনুগামীদের ওপর চড়াও হয়।”

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল বিধায়ক (Memari) মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, “যে ঘটনা ঘটুক, সেটা অনভিপ্রেত। কার দোষে কী হয়েছে, পুলিশ দেখছে। তারা ব্যবস্থা নেবে। এই কো-অপারেটিভ সমিতির সঙ্গে আমি ছাত্রাবস্থা থেকে জড়িয়ে। এখানকার সাধারণ সদস্যও আমি। আমিও সেখানে ছিলাম। হঠাৎই উত্তেজনা ছড়ায়। কিছু এদিক ওদিক কথা হয়। আমরা বলি, কাজ করতে গিয়ে কোনও অসুবিধা থাকলে তা দেখার জন্য প্রশাসন আছে। সিআই, অডিটর আছেন। তাঁরা যে পরামর্শ দেবেন সে মতো সমিতি চলবে। আমরা বলি যথাযথ জায়গায় পাঠান। তারা উত্তর চাইলে দেব। ওরা রাজি হয়নি। বরং আজেবাজে কথা বলতে থাকে। আমাদের কর্মীরা কোনও হামলা চালাইনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    Nandigram: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram)। নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। আর তারপরই একটি গন্ডগোলকে ইস্যুকে করে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nandigram)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের (Nandigram) হরিপুরের প্রিয়ানগরী সমবায় সমিতিতে জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখ ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা হয়নি। পরে, কলকাতা হাইকোর্টে ২৫ মে ভোট করানোর নির্দেশ দিলেও পুলিশ যথেষ্ট বাহিনী না দিতে পারায় ফের তা পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রবিবার এই সমবায়ে নির্বাচন ছিল। দুপুরে ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ১টি  আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। বিপুল সাফল্যের পর এবার বিজেপি কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে ওই এলাকায় গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগ তোলে তৃণমূল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে বিজেপির অন্যান্য কর্মীরা পুলিশকে বাধা দেন। পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা বাধে। পরে, ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, লোকসভার পরে নন্দীগ্রামে (Nandigram) সমবায় নির্বাচনেও হার মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপি প্রার্থীদের জয় তাদের সহ্য হচ্ছে না। দলীয় কর্মীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। সেটা তৃণমূলের লোকজন মেনে নিতে না পেরে মিথ্যা বদনাম দিয়ে আমাদের কর্মীদের আনন্দ মাটি করার চেষ্টা করেছে। তাই, পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু, এভাবে  দমানো যাবে না। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ভোটে জয়লাভ করার পরই এলাকায় বিজেপি কর্মীরা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছিল। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এতে, তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share