Tag: tmc

tmc

  • Subrata Saha: প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, ছুটি ঘোষণা

    Subrata Saha: প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, ছুটি ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে গেলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহা (Subrata Saha)। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত সাহা। মন্ত্রীর প্রয়াণে এদিন রাজ্যের সব সরকারি দফতরে বেলা দুটোর পর ছুটি ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। 

    সুব্রত সাহা…

    দিন কয়েক আগে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গলব্লাডার স্টোন অপারেশন হয় সুব্রতর। পরে ফেরেন মুর্শিদাবাদের বাড়িতে। বুধবার আচমকাই আক্রান্ত হন হৃদরোগে। এদিন চিকিৎসার জন্য সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেখানেই বেলা ১১টা নাগাদ প্রয়াত হন সাগরদিঘির (Sagardighi) বিধায়ক।

    আরও পড়ুন: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    ২০১১ সালে সাগরদিঘির বিধায়ক নির্বাচিত হন সুব্রত সাহা (Subrata Saha)। টানা তিনবার ওই কেন্দ্রের বিধায়ক হন তিনি। এক সময় কংগ্রেস করতেন সুব্রত। পরে দল বদলে যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে বহরমপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির তিনবারের বিধায়ক সুব্রতবাবু পূর্ত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি, বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। সুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাঁর রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সুব্রত সাহার (Subrata Saha) প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি সুব্রত সাহার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Nadia: ‘তৃণমূলে থেকে মানুষের চোখের জল…’, নদিয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ২০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী

    Nadia: ‘তৃণমূলে থেকে মানুষের চোখের জল…’, নদিয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ২০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কার্যত ধস নামল তৃণমূল (TMC) শিবিরে। তৃণমূলের একঝাঁক নেতা-কর্মী ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যোগ দিলেন পদ্ম শিবিরে (BJP)। শুক্রবার নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই তৃণমূল নেতা-কর্মীরা হাতে তুলে নেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। দল বদলের এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রানাঘাটের একটি বাজারে কর্মিসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। এই সভায় সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ২০০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী। এদিন যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান বিপুল মণ্ডলও।

    বিপুলের ‘বিপুল’ ক্ষোভ…

    বিজেপিতে যোগ দিয়েই এদিন এক রাশ ক্ষোভ উগরে দেন বিপুল। তিনি বলেন, তৃণমূলে মানুষের জন্য কাজ করতে দেওয়া হয় না। উঁচুস্তরের নেতারা শুধু বাধা দেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই পদত্যাগ করেন বিপুল। তৃণমূলের এই প্রাক্তন প্রধান বলেন, আমাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগেও এদিন সরব হন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিপুল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং স্বজন-পোষণ নিয়েও সোচ্চার হন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান। বিপুল বলেন, তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। এছাড়াও এতদিন যে দলটি করেছি, সেখানে থেকে মানুষের চোখের জল মোছানো যাবে না। স্বজন-পোষণ নীতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব না। এই দলে শুধুই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হলে তৃণমূল দলটি ত্যাগ করতেই হবে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের এই প্রাক্তন প্রধান বলেন, মোদিজিকে দেখেই আমরা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছি।

    আরও পড়ুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

    এই সভায় (Nadia) তৃণমূলকে নিশানা করেন সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। তিনি বলেন, তৃণমূল যদি পুলিশ-প্রশাসন ও ক্রিমিনালকে কাজে না লাগায়, তাহলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের কোনও চিহ্ন পাওয়া যাবে না। মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে না। তিনি বলেন, কেবল নদিয়া নয়, সারা বাংলায় এখন তৃণমূলের অবস্থা খুব খারাপ। মানুষ তৃণমূলকে বিশ্বাস করে না। সাংসদ বলেন, এমনিতেই নদিয়া দক্ষিণে তৃণমূল শূন্য। আগামী নির্বাচনে আমরা প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত দখল করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    Vande Bharat: ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’, মোদির বাংলা সফরে কেন এহেন প্রচার বিজেপির জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুক্রবার। এদিন বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সফরকে ঘিরে সাজো সাজো রব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে হাতিয়ার করতে উদ্যোগী বঙ্গ বিজেপি (BJP)। সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে। তাতে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবির পাশে লেখা ‘আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গে’।

    মোদি মানেই…

    কেন এভাবে প্রচার? বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মোদি মানেই উন্নয়ন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। নানা কারণে বাংলায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে উন্নয়ন। মোদি যদি মিস্টার ক্লিনের প্রতীক হন, তবে রাজ্য সরকারের গায়ে লেগেছে কেলেঙ্কারির পাঁক। কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতার। তিনি এখনও বন্দি রয়েছেন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম। বন্দিদশা ঘোঁচেনি তাঁরও। কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা নয়ছয়ের গুরুতর অভিযোগও উঠেছে বঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের চলতি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মোদির স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে ক্যাশ করতেই দলের তরফে এহেন উদ্যোগ।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাওড়া স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের। এদিনই উদ্বোধন করবেন জোকা-তারাতলা মেট্রো রেলের। এছাড়া নমামি গঙ্গার বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথের দুপাশে যেসব হোর্ডিং, ফেস্টুন লাগানো হবে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশেই থাকবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের ছবি।

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফরে তাঁকে কীভাবে স্বাগত জানানো হবে, তা স্থির করতে বুধবার রাতে বৈঠকে বসে বিজেপির বঙ্গ শিবির। বৈঠকে সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিত মালব্য প্রমুখ। এই বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, আমি নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীকে প্রণাম জানাতে যাব। তবে কোথায়, সেটা দলই ঠিক করব।

    আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র, কলকাতায় জনসভা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন জেলে। আর অন্যদিকে তাঁরই গড়ে ভাঙন! দল ছাড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা। এদিন সকালেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এই নেতা। আর বিকালেই তাঁকে দেখা গেল বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায়। এখানে বলা হচ্ছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ওঝার কথা। দলের প্রতি ক্ষোভ, অভিমান উগরে দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন বিপ্লব ওঝা। শুধু তাই নয়, দল ছাড়ার দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই সভার মঞ্চে শুভেন্দুর একটি আসন পরেই বসে থাকতে দেখা গেল বিপ্লব ওঝাকে। আর এই নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

    বিজেপির পতাকা তুলে নিলেন তৃণমূলের বিপ্লব ওঝা

    আজ, মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিমান ও ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়েন জেলা সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য বিপ্লব ওঝা। আবার এদিনই শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার নলহাটিতে। আর তাঁকে সেখানকার সভাতেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেল। এর পরেই বিজেপিতে যোগদানের সমস্ত জল্পনা সত্যি হয়ে গেল।

    এদিন বিপ্লব ওঝা দাবি করেন, গত একবছর ধরে দলের কাছে তিনি ব্রাত্য। দল কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকে না। তার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলও জেলে। দলের কাছে তাঁর কোনও দাম নেই। আর এ সবের কারণেই তাঁর দলত্যাগ। তিনি দল ছাড়ার পর বলেন, “এই মুহূর্তে বলতে পারি, তৃণমূলের সংস্পর্শ ত্যাগ করছি। বিগত এক বছর ধরে আমি দেখছি যে তৃণমূল আমার সম্পর্কে একটা অন্য মনোভাব পোষণ করছে। মিটিং, মিছিল কোনও কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয় না। আমাকে বাদ রেখেই কাজ করছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিলাম।”

    বিপ্লবকে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী

    মঙ্গলবার বিকেলে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দুর সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বিপ্লব। শুভেন্দু অধিকারীর একটি আসন পরে একেবারে প্রথমের সারিতে তিনি বসেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তিনি পতাকা তুলে নেন। তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী।

    কে এই বিপ্লব ওঝা?

    একসময় বীরভূম (Birbhum) জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন বিপ্লব ওঝা। এরপর ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০০৯ বীরভূম লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ শতাব্দী রায় জেতার পরেই ওই সালে প্রথম সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বিপ্লব ওঝা। গোটা রাজ্যের মধ্যে সেই সময় একমাত্র নলহাটি পুরসভা তৃণমূলের প্রথম দখলে আসে। পরবর্তী সময়ে তিনিই নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। এরপর নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছিল বিপ্লববাবুকে। কিন্তু বামফ্রন্টের কাছে পরাজিত হন তিনি। পরবর্তীকালে তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য হন। কিন্তু তাঁকে কোনও পদে রাখা হয়নি। এর পর বছরখানেক ধরে দলে ব্রাত্য করে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন বিপ্লববাবু নিজেই। আর এতেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত। 

     
  • Kirti Azad: ‘না নর, না নারী…’, প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ!

    Kirti Azad: ‘না নর, না নারী…’, প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘না নর, না নারী, তিনি কেবল ফ্যাশনের পূজারি!’ ঠিক এই ভাষায়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) আক্রমণ করে বিতর্কে তৃণমূল (TMC) নেতা তথা প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। মেঘালয়ের শিলংয়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানকার ট্র্যাডিশনাল খাসি পোশাক পরেছিলেন মোদি। সেই ছবি পোস্টও করেছিলেন তিনি। তৃণমূল নেতা কীর্তি আজাদ সেই ছবির পাশে অনলাইনে বিক্রি হওয়া একই রকম পোশাক পরিহিত এক মহিলার ছবি পোস্ট করেছেন। তার পরেই লিখেছেন ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা। তার জেরে বিজেপির নিশানায় এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক।

    কীর্তির ‘কীর্তি’…

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয়ের সংস্কৃতির অসম্মান করেছে। এদিকে বিজেপি আদিবাসী মোর্চার তরফেও তৃণমূলের সমালোচনা করা হয়েছে। কীর্তির (Kirti Azad) ‘কীর্তি’ ট্যুইটকে রিটুইট করে হিমন্ত লিখেছেন, এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে কীর্তি আজাদ মেঘালয়ের সংস্কৃতির অসম্মান করছেন এবং আমাদের আদিবাসী পোশাকের মজা ওড়াচ্ছেন। তৃণমূলের তরফে এনিয়ে কিছুই বলা হয়নি। যার অর্থ, তারা এই মন্তব্যকে সমর্থন করছে। মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমা করবে না। যদিও কীর্তি আজাদের দাবি, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পোশাকের অসম্মান করছিলেন না। বরং তিনি মোদির ফ্যাশনের বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। বিতর্ক সত্ত্বেও তিনি অবশ্য সেই ট্যুইট ডিলিট করেননি।

    নতুন বছরে হতে চলেছে মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে এ রাজ্যে পায়ের নীচের মাটি বেশ খানিকটা শক্ত করে ফেলেছে তৃণমূল। কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা অর্জন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এই আবহে কীর্তির (Kirti Azad) এহেন মন্তব্য বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছে নয়া অস্ত্র। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে তৃণমূল আসলে মেঘালয়ের সংস্কৃতিকে অসম্মান করেছে। রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির সমীর ওরাঁও বলেন, যদি তৃণমূলের ওই নেতার (কীর্তি আজাদ) কোনও জ্ঞান না থাকে, তাহলে তাঁর আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে প্রধানমন্ত্রী যা পরেছিলেন, সেটা আদতে উপজাতিদের পোশাক। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন?

    অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডু ট্যুইটারে কীর্তির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি লেখেন, আপনার ভাষা নারীত্বের অবমাননা। আপনি মেঘালয়ের ঐতিহ্যকেও অপমান করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kirti Azad: প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ

    Kirti Azad: প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল (TMC) নেতা কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন এই ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক। তা নিয়ে দেশজুড়ে বয়ে গিয়েছিল সমালোচনার ঝড়। শেষমেশ এক প্রকার বাধ্য হয়েই ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের কীর্তি। ট্যুইটবার্তায় এই তৃণমূল নেতা লিখেছেন, আমি ভারতের বৈচিত্রের সংস্কৃতিকে সমর্থন করি। আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছিল। যাঁদের সেন্টিমেন্টকে আমার কথা আঘাত করেছে, আমি তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

    ট্র্যাডিশনাল খাসি পোশাক…

    প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের শিলংয়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানকার ট্র্যাডিশনাল খাসি পোশাক পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ছবি পোস্টও করেছিলেন তিনি। তৃণমূল নেতা কীর্তি আজাদ সেই ছবির পাশে অনলাইনে বিক্রি হওয়া একই রকম পোশাক পরিহিত এক মহিলার ছবি পোস্ট করেন। তার পরেই লেখেন, ‘না নর, না নারী, তিনি কেবল ফ্যাশনের পূজারি!’ তার জেরে বিজেপির নিশানায় এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। দেশজুড়েও শুরু হয় প্রবল সমালোচনা।

    প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) নিজেকে তৃণমূলের সৈনিক বলে দাবি করেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি সব সময় সংবিধানের পথ অনুসরণ করেন। যে সংবিধান ভারতের বৈচিত্রকে সম্মান করতে শেখায়। সেই আজাদের মুখেই প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে তাঁর পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় তৃণমূলও। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে ক্ষমা চান ক্রিকেটার রাজনীতিক কীর্তি আজাদ।

    আরও পড়ুন: নববর্ষের উপহার! ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেবে কেন্দ্র

    এদিকে, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালা কীর্তির মন্তব্য নিয়ে সিডিউল ট্রাইব কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, মেঘালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরেছিলেন সেই পোশাক ট্রাইবাল সম্প্রদায়ের বড় গর্বের। বিশেষত মেঘালয় এবং উত্তর-পূর্বে। একে উপহাস করছেন, কারণ আপনি একজনকে ঘৃণা করছেন, আপনি গোটা উত্তর-পূর্বের সংস্কৃতিকে ঘৃণা করতে শুরু করেছেন, ঘৃণা করতে শুরু করেছেন উত্তর-পূ্র্বের সমগ্র ট্রাইবাল সম্প্রদায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

  • Nandigram: সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে, মাথা ফাটল ভোটারের

    Nandigram: সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে, মাথা ফাটল ভোটারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)। এবার অশান্তির কারণ সমবায় সমিতির নির্বাচন। শুক্রবার তৃণমূল (TMC) বিজেপি (BJP) সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি এলাকা। সংঘর্ষে মাথা ফেটেছে এক ভোটারের। বিজেপির দাবি, সংঘর্ষে জখম হয়েছেন তাঁদের এক কর্মীও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    সমবায় সমিতির নির্বাচন…

    এদিন ছিল নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ভেতুরিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচন। সকাল থেকেই এলাকায় ছিল টানটান উত্তেজনা। অশান্তি হতে পারে আঁচ করে সকাল থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল ও বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেওয়াল তৈরি করে জেলা পুলিশের কমব্যাট ফোর্স। তার পরেও এড়ানো যায়নি সংঘর্ষ। দু পক্ষের সংঘর্ষে মাথা ফাটে এক ভোটারের। ঝরঝর করে রক্ত পড়তে থাকে। পদ্ম শিবিরের দাবি, সংঘর্ষে জখম হয়েছেন তাঁদেরও এক কর্মী। অশান্তির এই আবহেই শুরু হয় ভোট গ্রহণ।

    আরও পড়ুন: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

     নন্দীগ্রামের (Nandigram) এই সমবায় সমিতির আসন সংখ্যা ১২। তবে ভোট হচ্ছে ১১টি আসনে। প্রথমে ১২টি আসনেই প্রার্থী দেয় তৃণমূল ও বিজেপি। বামেরা প্রার্থী দেয় ৬টি আসনে। সবকটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিলেও, পরে সংখ্যালঘু এক মহিলা প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। প্রত্যাশিতভাবেই ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। সেই কারণে এদিন ভোট নেওয়া হয় ১১টি আসনে।

    এদিন সকাল থেকেই এলাকায় ছিল টানটান উত্তেজনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছে তৃণমূল। যদিও রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, এই সমবায় সমিতি নির্বাচনে জোর করে জিততে চাইছে বিজেপি। নির্বাচনে গোলমাল পাকানোর কারণে নিয়ে আসছে বহিরাগতদের। প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এর পরেই যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। হয় রক্তারক্তি কাণ্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Howrah: অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ! বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার ডোমজুড়ে

    Howrah: অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ! বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার ডোমজুড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ে। হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষকে ‘চোর’ ও ‘তোলাবাজ’ বলে উল্লেখ করে তাঁরই নির্বাচনী কেন্দ্র ডোমজুড়ের বিভিন্ন জায়াগায় পোস্টার,ফেস্টুন টাঙিয়ে দেওয়া হয়। নীল রংয়ের এই ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, কল্যাণ ঘোষ সবসে বড়া চিটিংবাজ, ধান্দাবাজ, তোলাবাজ আর চোর হ্যায়।’ এরপরেই লেখা রয়েছে, ‘হাওড়ার মানুষ ডাক দিচ্ছে কল্যাণ ঘোষ নিপাত যাক।’ ব্যানারের একেবারে নিচে লেখা রয়েছে, তৃণমূল কর্মীবৃন্দের তরফে এই ব্যানার প্রচার করা হচ্ছে। ফেস্টুন-পোস্টারের নীচে ‘তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ লেখা থাকায় চাপানউতোর শুরু হয় শাসকদলের অন্দরেও।

    বিজেপি-তৃণমূল তরজা

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই পোস্টার ঘিরে সরগরম হাওড়ার রাজনীতি। বিজেপির পক্ষে উমেশ রাই বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে ব্যাপক দূর্নীতি আছে। তাই এইধরনের পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। গোটা ঘটনার পেছনে স্বার্থান্বেষীদের একটি অংশ কাজ করছে বলে ডোমজুড় কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তাপস মাইতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে যারা তৃণমূল থেকে বিজেপির দিকে চলে গিয়েছিল সেই লোকেরাই তৃণমূল কর্মীদের নাম করে এই ধরনের পোস্টার সাঁটাচ্ছে। তাঁর কথায়, এই লোকেদের ‘ধান্দাবাজি’ বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই দল এবং দলের নামে বদনামের চেষ্টা করছে। 

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    এই ধরনের পোস্টার-ফেস্টুন ডোমজুড়ে নতুন নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকার তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এ সব প্রায়ই হতো। কিন্তু রাজীব বর্তমানে তৃণমূলে। তার পরেও এই ঘটনা ফের ঘটায় এলাকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বিজেপি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সকালে নজরে আসার পরই পোস্টার ও ফেস্টুনগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার রাতে শহরে এসে মুরলী ধর সেন লেনে দলের রাজ্য় সদর দফতরে পা দিয়েই বাংলায় দলের নেতাদের এই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন তিনি।

    শাহী পরামর্শ

    শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখান থেকে রওনা দেয় অমিত শাহের কনভয়। গাড়ির সামনের সিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠিক তাঁর পিছনের সিটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল, মঙ্গল পাণ্ডে, সুনীল বনসল, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া, খগেন মুর্মু, সুভাষ সরকার, স্বপন দাশগুপ্ত, নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, দীপক বর্মন, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধন্দ। 

    আরও পড়ুন: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    বিজেপি সূত্রে খবর, এ দিন আধ ঘণ্টার বৈঠকে অমিত শাহ (Amit Shah) স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ২০১৯-এর থেকেও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বেশি আসনে বিজেপি-র জয় চান তিনি। আর সেই লক্ষ্য়মাত্রা পূরণ করতে বুথ স্তর থেকে সংগঠন মজবুত করার জন্য় দলের রাজ্য় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, সেই ভোটের রণকৌশল নিয়েও এদিন কথা বলেন অমিত। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য় নেতাদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘বাংলায় আগের থেকে বিজেপির শক্তি বেড়েছে। সেই শক্তি আরও বাড়াতে হবে। সেই জন্য় বুথস্তর থেকে সংগঠন মজবুত করতে হবে। আমার আশা গত লোকসভা ভোটে যত আসন পেয়েছিলাম, এবার তার থেকে বেশি আসন পাবো। সেই লক্ষ্য়ে কাজ করতে হবে।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তৃণমূলের দুর্নীতি এবং রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন রাজ্য় নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সংগঠন শক্তিশালী করার উপরেই বেশি জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সংগঠন মজবুত করতে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি। বাকি বিষয় কেন্দ্র দেখবে বলে রাজ্য় নেতাদের আশ্বাস দেন অমিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বিএসএফ নয়, সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহাররে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাবদ এবং ওড়িশার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে আন্তর্দেশীয় সীমান্ত ছাড়াও আন্তর্রাজ্য সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    কী বললেন অমিত

    বিশেষ সূত্রে খবর, এদিন অমিত শাহ বৈঠকে বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব যতটা বিএসএফের, ঠিক ততটা রাজ্যেরও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। আগের সরকারের খামতি ছিল। আমরা তা অনেকটা পূরণ করেছি। আরও উন্নয়নের জন্য এগোচ্ছি।” পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের চার রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড এই কাউন্সিলের সদস্য। মূলত প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ আলোচনা ও সমাধানের পথ খুঁজতেই সদস্য রাজ্যগুলিতে ঘুরে ঘুরে এই কাউন্সিলের বৈঠক বসে প্রতি বছর। 

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সীমান্ত নিরপত্তায় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অর্থ দাবির পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের পাওনা টাকার কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার নামে বিএসএফের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানরা এই বৈঠকে ছিলেন। সদস্য রাজ্যগুলির সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। নবান্নে শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর শহরে আরও কয়েকটি কাজ সেরে বিকেলেই দিল্লি উড়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share