Tag: tmc

tmc

  • BJP: বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণার পর ‘রূপকার’ সুকান্তকে সামনাসামনি পেয়ে বেজায় খুশি ভোটাররা

    BJP: বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণার পর ‘রূপকার’ সুকান্তকে সামনাসামনি পেয়ে বেজায় খুশি ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট থেকে সোজা দিল্লি যাবে ট্রেন। শনিবারই তা ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার বালুরঘাট তহ বাজারে ভোট প্রচারে সুকান্ত মজুমদারকে পেয়ে খুশি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর প্রথম রবিবারের সকালেই প্রচারে বেরিয়ে পড়লেন বালুরঘাটের বিজেপি (BJP) প্রার্থী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন একটানা প্রায় দেড় ঘণ্টা জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী।

    জন সংযোগে সুকান্ত (BJP)

    সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সকলের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ দাবির কথা জানান। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন বালুরঘাটে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, সেগুলি নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর সেখানে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা হবে। এদিন সকালে বালুরঘাটের তহ বাজারে সুকান্ত মজুমদারকে কাছে পেয়ে খুশি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শনিবার বালুরঘাট -দিল্লি ট্রেন ঘোষণা হওয়ায় খুশি জেলাবাসী।

    ৫০ হাজার ভোটে লিড

    গত লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে হারিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জয়ের ব্যবধান ছিল ৩০ হাজারের বেশি। এবার বালুরঘাট থেকেই অন্ততপক্ষে পঞ্চাশ হাজার ভোটে লিড নেবেন বলে আশাবাদী সুকান্ত মজুমদার। একদিকে রেলের  একাধিক প্রকল্প, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত নানা সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। সাংসদকে সংসদে বলতে দেখা গেছে বারবার। যে কারণে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বতে তিনি কোনওরকম খামতি রাখেননি বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।

    বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণা হতে খুশি এলাকাবাসী

    রবিবাসরীয় প্রচারে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে দেখা যায়নি বালুরঘাটে। বিপ্লব মিত্র তৃণমূল প্রার্থী তার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মিটিং করেছেন তাঁর বাসভবনে। বামফ্রন্টের তরফ থেকে আরএসপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলেও এখনও বামপন্থীদের সেভাবে প্রচারে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনেছি। তাঁদেরকে আশ্বস্ত করি বালুরঘাটে যে সমস্ত সমস্যা আছে সবগুলো সমাধান করার। এছাড়া বালুরঘাট-দিল্লি ট্রেন ঘোষণা হবার পর মানুষের মধ্যে আলাদা আনন্দ এসেছে।

    তৃণমূলের ঢোল ফেটে গিয়েছে!

    সারা দেশের মধ্যে বাংলা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে ৭ দফায় ভোট। ৭ দফা ভোট প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ৭ দফা ভোট তো কম হয়েছে আমার মতে আট, দশ দফায় ভোট হলে আরো ভালো হতো। এক একটি লোকসভা একটা দফায় ভোট হলে পশ্চিমবঙ্গে  ঠিক মতো ভোট করানো সম্ভব হতো। তবে, ৭ দফায় ভোটে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। তৃণমূল তো পুলিশ ও গুন্ডা বাহিনী দিয়ে ভোট লুট করার চেষ্টা করবে। ৭ দফায় হলে অতটা তারা পারবে না। আমরা ভোট লুট হতে দেব না। আমরা লড়াই করবো। লোকসভায় প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে একাধিক তৃণমূল নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,বাংলায় একটা গান আছে ফেটে গেলো কালিরামের ঢোল। তৃণমূলের ঢোল ফেটে গেছে। কোনও কিছু আর সুরে আর তালে মেলে না। সবই এখন বেসুরো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: টায়ার জ্বালিয়ে ফের বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে, উঠল তিন তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের দাবি

    Sandeshkhali: টায়ার জ্বালিয়ে ফের বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে, উঠল তিন তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখ সহ তিনজনকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। সেই গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার ফের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর বাজারের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও তিনজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন তাঁরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আন্দোলনকারীরা।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তিন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি (Sandeshkhali)

    ইডি-র ওপর হামলার পর বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। জমির জবরদখল থেকে শুরু করে মহিলাদের নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর শাগরেদদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সেই আন্দোলন কিছুটা থিতিয়েছিল। পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ, সরবেড়িয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা, ফারুক আকুঞ্জি এবং দিদার বক্স মোল্লাকেও। শনিবার শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখ এবং শাহজাহানের আরও দুই সঙ্গী মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লা গ্রেফতার হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার সন্দেশখালির বেড়মজুরে নতুন করে শুরু হয় বিক্ষোভ। এদিন যে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা, তাঁরা হলেন, বেড়মজুর দুই নম্বরে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা, তৃণমূল নেতা হাশেম মোল্লা এবং জুলফিকার মোল্লা। এঁদের বিরুদ্ধেও জমিদখল এবং মানুষের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেকেই শাহজাহান ঘনিষ্ঠ। এলাকায় রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।

    বসিরহাট আদালতে তোলা হল আলমগীরকে

    অন্যদিকে, শনিবার শাহজাহানের ভাই আলমগিরকে গ্রেফতার করার পর রবিবার তাঁকে বসিরহাট আদালতে তোলে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে আনা হয় শাহজাহানের আরও দুই সঙ্গী মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লাকে। এঁদেরকে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হওয়া হামলা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই মামলার সূত্রেই আদালতে তোলা হয় তাঁদের।

    বিজেপি-র শিবির সন্দেশখালিতে

    শনিবার থেকেই বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের অভিযোগ নেওয়ার শিবির শুরু হয়েছে। শনিবার শিবিরের প্রচুর মানুষ অভিযোগ জানাতে ভিড় করেছিলেন। রবিবারও সন্দেশখালির ত্রিমোহিনী এলাকায় শুরু হয় অভিযোগ গ্রহণ শিবির। প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও সেখানে রয়েছেন ২০ জন আইনজীবীর প্রতিনিধিদল। এদিনও ভিড় বাড়তে শুরু করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: ভোট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে জেলায় জেলায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠছে। ভোটের মুখে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল এসব করছে বলে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ।

    বিজেপি কর্মীর দোকানে আগুন (BJP)

    পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে বিজেপি কর্মীর দোকানে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে পাণ্ডবেশ্বরের ১৯ নম্বর বুথের জামাই পাড়ার এবিপিট এলাকায় পাণ্ডবেশ্বর মণ্ডল- ১ এর মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রীনা ঠাকুরের দোকানে আগুন লাগানো হয়। রীনা দেবী বলেন, ছয় মাস আগে বিজেপি যোগদান করেছি। তারপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে। অন্যথায় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং প্রাণেও মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হত। তৃণমূলের সেই দাবি না মানায় আমার দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অবিলম্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    ১০০দিনের কাটমানি নেওয়ার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    ১০০ দিনের বকেয়া মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই টাকা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে কাটমানি চাওয়া হচ্ছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। মালদার চাঁচলে যে সব জবকার্ড প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে, সেখানকার চাঁচলের রায়পাড়া বুথের তৃণমূলের সভাপতি তাপস নুনিয়া কাটমানি দাবি করতে থাকেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা বিজেপি (BJP) নেতা সন্তোষ রায় এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানান। এরপরই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এমনকী ধারালো অস্ত্রে মাথায় কোপ মারা হয়। আক্রান্ত বিজেপি নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, এই হামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দলকে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোট ঘোষণার পরই সুকান্তর কেন্দ্রে রক্ত ঝরল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Sukanta Majumdar: ভোট ঘোষণার পরই সুকান্তর কেন্দ্রে রক্ত ঝরল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে আরও শক্তিবৃদ্ধি করল বিজেপি। শনিবারই বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর সহ পাঁচ জেলার মতুয়ারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এরইমধ্যে শনিবার ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর শনিবার রাতেই বিজেপি করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম জয়দীপ দাস। তাঁর বাড়ি গঙ্গারামপুর ব্লকের ৩/২ বেলবাড়িতে পঞ্চায়েতের পাটন দাসপাড়া এলাকায়। বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝামেলার সূত্রপাত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই। পাটন ১৮৫ নম্বর বুথে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজেপি কর্মী জয়দীপ দাসের ভাইয়ের স্ত্রী মিতালি দাস। অভিযোগ তাতেই রাগে ফুঁসছিলেন এলাকার তৃণমূল কর্মী তরুণ পাল ও তাঁর দলবলেরা। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে প্রায়ই ঝামেলা হত বলে অভিযোগ। শনিবারও বিজেপি কর্মী জয়দীপদের উদ্দেশে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে তরুণ পাল সহ তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে জয়দীপকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। গঙ্গারামপুর হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। খবর পাওয়ার পরই রাতে হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), স্থানীয় বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শঙ্কর সরকার বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি কী বললেন? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, অভিযুক্ত কারা জানা গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ যদি দ্রুত পদক্ষেপ না করে তাহলে আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব। প্রসঙ্গত, হামলার ঘটনা নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই’, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই’, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের শক্ত জমি তত আলগা হচ্ছে। জেলায় জেলায় বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। সংখ্যালঘুরা আস্থা রাখছে বিজেপি-র ওপর।  ইতিমধ্যেই বারাকপুরের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং এবং বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এতেই ঘুম ছুটেছে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। শনিবার মেদিনীপুরের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করেছেন। হুগলির সভা থেকে অভিষেকের আক্রমণের কড়া জবাব দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ঠিক কী বলেছেন অভিষেক?

    শনিবার ভোটের দিন ঘোষণা হয়। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় ভোট করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই একে ওপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। শনিবার বিজেপির প্রার্থী নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা যায় তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের ‘দলের আবর্জনাদের’ প্রার্থী করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে বিজেপির প্রার্থী নিয়েও কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপি বসে আছে তৃণমূল থেকে উচ্ছিষ্টরা কখন বের হবে তাদের মাথায় নিয়ে প্রার্থী করবে।”

    অভিষেককে জবাব দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যে সাত দফায় ভোট প্রসঙ্গে হুগলির ভদ্রেশ্বরে জনসভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,পশ্চিমবঙ্গে একাধিক জায়গা সন্ত্রাস কবলিত বলেই কমিশন সাত দফায় ভোট করাচ্ছে। অভিষেকের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হুগলির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওঁকে আমি জিজ্ঞাসা করব, আপনার দলে যাদের প্রার্থী করেছেন সেই বিধায়করা কোন দলের। আপনার প্রার্থী তালিকায় বিজেপি থেকে লোককে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী করতে হয়েছে, কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস, মুকুটমণি অধিকারী কোন দলের এমএলএ? কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই। আপনার এই ঠকবাজি বিদ্যা সবাই জেনে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “সন্দেশখালি থেকে ইডি-র ট্রেন যাবে এবার নৈহাটি”, পার্থকে নিয়ে ফের বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: “সন্দেশখালি থেকে ইডি-র ট্রেন যাবে এবার নৈহাটি”, পার্থকে নিয়ে ফের বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে খাসতালুক ভাটপাড়ায় ফিরে ফের বিস্ফোরক অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শনিবার মজদুর ভবনে বসে বারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে কড়া আক্রমণ করলেন অর্জুন। তিনি বলেন, শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরার সঙ্গে মিলে পার্থ ভৌমিক নৈহাটিতে কত জমি কিনেছেন, হোটেল কারবার, মাছের ব্যবসা রয়েছে, সবকিছুর প্রমাণ রয়েছে। সন্দেশখালি থেকে ইডি-র ট্রেন এবার নৈহাটিতে যাবে। আমি যা বলছি সমস্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়েই বলছি। একজন স্কুল শিক্ষকের ছেলে কী করে পাঁচটা পেট্রোল পাম্পের মালিক হল? নাম না করে তিনি পার্থ ভৌমিককেই ইঙ্গিত করেছেন।

    নৈহাটিতে পার্থকে হারানোর চ্যালেঞ্জ জানালেন অর্জুন (Arjun Singh)

    অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, দল কাকে টিকিট দেবে তা আমি জানি না। দল যাকেই প্রার্থী করুক না কেন, আমি দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে কাজ করব। তবে, এটুকু আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, নৈহাটির বুকে আমি পার্থ ভৌমিককে হারাব। তিনি আরও বলেন, পুলিশ দিয়ে আমাদের কর্মীদেরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দলীয় কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলার কেস দেবে। সন্ত্রাস করে ওরা সব কিছু দখল করার চেষ্টা করবে। পুলিশ দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। যেসব পুলিশ অফিসাররা এই সমস্ত কাজে যুক্ত থাকবে, তাদের তালিকা তৈরি করে  সংশ্লিষ্ট দফতরে আমি জানাবো। এই ধরনের কাজ আমরা মেনে নেব না। তৃণমূল প্রার্থীর হাল দেখে আমি হতবাক। তিনি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এখানকার মন্ত্রীর এমন অবস্থা যে নির্বাচনের এজেন্টের জন্য আমার এক ভাইপোর নাম নিতে হচ্ছে। ভোটে লড়াই করতেও অর্জুনের নাম নেওয়া ছাড়া গতি নেই। তৃণমূল দলে লোকই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

    ভোটারের পরিবর্তে কর্মীদের ঘরে ঘরে যেতে ব্যস্ত তৃণমূল প্রার্থী

    অর্জুন (Arjun Singh) আরও বলেন, তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তিনি শুধু ভোটারদের পরিবর্তে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এখন ঘর গোছাতেই ব্যস্ত তিনি। কারা দল ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন সেই আতঙ্কে ভুগছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। আমি টিকিটের জন্য দল ছেড়েছি না, কী কারণে দল ছেড়েছি সেটা এবার প্রমাণ হয়ে যাবে। তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে বালি মাফিয়ারা পোস্টার ছাপিয়েছেন। লোটোর কারবারের মালিক পোস্টার মারছেন। তৃণমূল প্রার্থী দুর্নীতিগ্রস্ত কতটা সেটা বোঝাই যাচ্ছে। উন্নয়নের নিরিখে ভোট হলে কে জয়ী হবে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আসলে বারাকপুরে সিন্ডিকেটরাজ বন্ধ করতে, সন্ত্রাস বন্ধ করতে, তোলাবাজি বন্ধ করে বারাকপুরবাসী পাশে থাকতে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও পার্থ ভৌমিক বলেন, হলফনামায় সব কিছু উল্লেখ থাকবে। ফলে, এসব কথা বলে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ভোটের মুখে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়ার হুমকি দিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্য়ান

    Siliguri: ভোটের মুখে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়ার হুমকি দিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্য়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য বহিষ্কৃত নেতাকে দলে ফেরানোয় লোকসভা ভোটের আগে শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের প্রথম সভাপতি ও রাজ্যের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রতুল চক্রবর্তী দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। তৃণমূল পরিচালিত শিলিগুড়ি পুর নিগমের চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের মুখে শিলিগুড়িতে ভাঙনের মুখে তৃণমূল।

     কেন এই বিদ্রোহ? (Siliguri)

    গত পুরসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতুল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা যুব সভাপতি বিকাশ সরকার। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই বহিষ্কৃত নেতাকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাজসিক সংবর্ধনা দিয়ে দলে ফিরিয়ে নেওয়ায় তৃণমূলে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। সরাসরি মুখ খুলেছেন প্রতুল চক্রবর্তী। শুধু প্রতুলবাবুই নন, দলের একটি বড় অংশ বিকাশ সরকারকে ফেরানোয় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা তৃণমূল ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। প্রতুলবাবু বলেন, বিকাশ সরকারকে দল বহিষ্কার করার পর থেকে বিকাশ সরকার যেভাবে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দল সম্পর্কে কুৎসা রটিয়েছে, আমাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছেন, আমার সম্পর্কে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছেন। বিজেপি ঘনিষ্ঠও হয়েছিলেন। তারপর তাঁকে দলে ফেরানোটা তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমগ্র তৃণমূলের কাছে অসম্মানজনক। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারব না। বিকাশ সরকারকে আমি ঘৃনা করি। ও ফিরলে আমি সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি দলও ছেড়ে দেব। 

     অভিষেকের নির্দেশে বিকাশ ফের তৃণমূলে!

    বিকাশ সরকারকে দলে ফেরনোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলের জেলা সভানেত্রীও নেননি। তৃণমূলের মমতা পন্থীদের বক্তব্য, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে দলনেত্রীকে অসম্মান করার জন্য বিকাশ সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেই নেতাকে দলে ফেরানো কখনই উচিত কাজ হয়নি। এই বিতর্ক সামাল দিতে দার্জিলিং জেলা( সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, এবার  ময়নাগুড়িতে  এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিকাশ সরকারকে দলে নিতে বলেছেন। তাই তাঁকে দলে ফেরানো হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার মেয়র ও তৃণমূলের রাজ্য নেতা গৌতম দেব বলেন, প্রতুল চক্রবর্তী দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের প্রথম সভাপতি। দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে রয়েছেন। তাঁর হাত আমরা ছাড়তে চাই না। তাঁর ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে, তাই এই ধরনের কথা বলছেন। আমি তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসবো। অভিমানে দল এবং পুরসভার চেয়ারম্যান পদ না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অভিযোগ শুনতে বিজেপি-র শিবির

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অভিযোগ শুনতে বিজেপি-র শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনী। তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে পুলিশের কাছে বহুবার অভিযোগ জানাতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল বাসিন্দাদের। পরে, সন্দেশখালিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হলে গ্রামে ক্যাম্প করেছিল পুলিশ। এবার বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে হাইকোর্টের আইনজীবীরা সন্দেশখালিতে শিবির করলেন।

    শিবিরে অভিযোগ জানাতে ভিড় (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিবাসীর অভিযোগ জানতে শিবির করতে চেয়ে কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল বিজেপি। আদালতের নির্দেশে এই শিবির করছেন প্রিয়ঙ্কারা। মূলত শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ জানতে শিবির করল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে ২০ জন আইনজীবী সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আগারাটি বিটপোল বাজার এলাকায় শিবির করেছেন। শনিবার সকাল থেকে সেই শিবিরে ভিড় দেখা গিয়েছে। কারও অভিযোগ সরাসরি সন্দেশখালির সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে। কারও আঙুল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের দিকে।

    কী বললেন বিজেপি নেত্রী?

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জমি দুর্নীতি থেকে নারী নির্যাতনের নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। জমি সংক্রান্ত অভিযোগ জানতে রাজ্য সরকারের ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফেও শিবির হয়েছে সন্দেশখালিতে। অভিযোগ জানতে দুয়ারে সরকার শিবিরের মতো মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েও অভিযোগ-অনুযোগ নথিবদ্ধ করেছেন সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের শাসকদলের তরফে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিজেপিও শিবির করল সন্দেশখালিতে। বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা। সন্দেশখালিতে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা আমরা দেখতে চাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসছেন। তাঁদের বিশ্বাস যে, আমরা তাঁদের জন্য কিছু করব।”

    শাহজাহানের সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুললেন এক বাসিন্দা

    শনিবার ওই শিবিরে পৌঁছে নানা অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। তবে বেশির ভাগই জমি দখলের অভিযোগ। মালতি মাহালি নামে এক মহিলা বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের একটি জমি দখল করে নেন শাহজাহানের অনুগামীরা। আমার স্বামী দুলাল মাহালি সেই জমি উদ্ধার করতে শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে বলা হয়েছিল ট্যাংরামারি স্কুলে দেখা করতে। কিন্তু, তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। ওই মহিলার অভিযোগ, স্বামীর খোঁজে একাধিক বার শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানায় অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিন ফের অভিযোগ করলাম এই শিবিরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সাধারণ মানুষের মতামত জানতে বিজেপির ‘পরামর্শ বাক্স’ চালু আলিপুরদুয়ারে

    Alipurduar: সাধারণ মানুষের মতামত জানতে বিজেপির ‘পরামর্শ বাক্স’ চালু আলিপুরদুয়ারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের জন্যই দেশে তৈরি হয় সরকার। সেই সরকার মানুষের উন্নয়নেই কাজ করে। তাই এবার দেশের সাধারণ মানুষ তাঁদের নিজেদের এলাকায় কী ধরনের উন্নয়নের আশা করেন, বা তাঁদের চাওয়া-পাওয়া জানতে বিজেপি-র উদ্যোগে চালু করা হল “পরামর্শ বাক্সের”। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা বিজেপি কার্যালয়ের বাইরে এই বক্সের উদ্বোধন করেছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা জেলা বিজেপির সভাপতি মনোজ টিগ্গা।

    “পরামর্শ বাক্সের” কাজ কী? (Alipurduar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের চা-শিল্পকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ শুরু করা হচ্ছে। এই বাক্সগুলিতে সাধারণ মানুষ নিজেদের এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন। যা রাজ্য দফতর হয়ে পৌঁছে যাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। আগামীদিনে সেই সমস্ত পরামর্শ বিচার বিবেচনা করেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) উন্নয়নের কাজের রূপরেখা তৈরি করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, “ পরামর্শ বাক্সে মানুষ কি চাইছেন সেই বিষয়ে আমরা মতামত নেব। নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের আগে পর্যন্ত এই মতামত নেওয়া হবে। জেলার সব মণ্ডলে এই পরামর্শ বাক্স থাকবে।“ এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি জানিয়েছেন শুক্রবার থেকে বিজেপির মণ্ডল চলো অভিযান শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচীতে জেলা বিজেপির কার্যকর্তারা প্রত্যেক মণ্ডলে গিয়ে রাত্রি যাপন করবেন। সেখানকার মানুষদের অভাব অভিযোগ শুনবেন। এছাড়া আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কারা প্রচারে আসতে পারেন?

    আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে তৃণমূল ও বিজেপির ঘোষিত দুই প্রার্থীর কাছেই এবারে লড়়াই জমে উঠেছে। বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা একদিকে বিধানসভার পরিষদীয় দলের মুখ সচেতক তথা মাদারিহাটের বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে আলিপুরদুয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় প্রচারে আসবেন বলে জানিয়েছেন খোদ প্রার্থীই। অপরদিকে বিজেপির প্রার্থী তথা দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গার হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, হেমন্ত বিশ্বশর্মা, যোগী আদিত্যনাথ এর মত নেতাদের প্রচারে চেয়েছেন আলিপুরদুয়ারের গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “দলের কাউন্সিলররা ভোটে আন্তর্ঘাত করবে”, আশঙ্কা মালদার তৃণমূল প্রার্থীর

    Malda: “দলের কাউন্সিলররা ভোটে আন্তর্ঘাত করবে”, আশঙ্কা মালদার তৃণমূল প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে রাজ্যের সব কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। অন্যান্য জেলার মতো মালদা (Malda) দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে চমক দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ করার কথা তৃণমূল প্রার্থীর। এই আবহে মালদা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রাইহান দলের কাউন্সিলর এবং বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী? (Malda)

    দক্ষিণ মালদার (Malda) তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রাইহান বলেন, তৃণমূল কাউন্সিলররাই ভোটের আগে সমর্থন করেন অন্য দলকে। মালদার ইংরেজবাজারের তৃণমূল কাউন্সিলররা দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর বিষয়ে কোনও উদ্যোগই গ্রহণ করছে না। বরং, দলের মধ্যেও হয়ে থাকে অন্তর্ঘাত করার চেষ্টা চলছে। এমনকী দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে অবগত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। আসলে এই সব কাউন্সিলররা ভোটে দাঁড়ানোর সময় নিজেরা ভোট করিয়ে নেয়। তখন জেতার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালান। আর অন্য ভোটে তাঁদের ভূমিকা ঠিক নয়। বিশেষ করে লোকসভা ভোটে দায়সাড়া কাজ করছেন তাঁরা। শুধুমাত্র ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররাই নয়, সুজাপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক আবদুল গণির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ভোটের কাজে বিধায়কের কোনও সাহায্য ঠিকমতো পাচ্ছেন না বলে তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ। ভোটের মুখে তাঁর এই বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সার্বিক বিষয় নিয়ে অভিষেকের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলছেন না কোনও তৃণমূল নেতা। এলাকার কাউন্সিলররাও কেউ কিছু বলতে চাননি। তবে, এই ঘটনায় তৃণমূল বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share