Tag: tmc

tmc

  • Howrah: ‘হাওড়া স্টেশনে তোলাবাজি করেন তৃণমূল বিধায়ক’, সরব প্রাক্তন কাউন্সিলর

    Howrah: ‘হাওড়া স্টেশনে তোলাবাজি করেন তৃণমূল বিধায়ক’, সরব প্রাক্তন কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই হামলার শিকার হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং তাঁর স্বামী। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওড়ার (Howrah)১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য  ছড়িয়ে পড়েছে। ভোটের মুখে শাসকদলের অন্দরে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    হাওড়ার (Howrah) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন লক্ষ্মী সাহানি। তবে, ভোট না হওয়ায় আপাতত হাওড়া পুরনিগম প্রশাসক চালাচ্ছেন। বুধবার উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার মাছ বাজার এলাকায় প্রাক্তন কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানি ও তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল কাউন্সিলররা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। দু’পক্ষের সংঘর্ষে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে মারামারি করতে দেখে সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন।

    আক্রান্ত তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর কী বললেন?

    তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানির বক্তব্য, “এখানে অসামাজিক কাজ করে। ১০ বছর ধরে আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গৌতম চৌধুরী বিধায়ক হওয়ার পর হাওড়া স্টেশন এলাকায় যেতেই পারি না। এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে বেআইনি, অসামাজিক কাজকর্ম। ওখানে অন্যায়ভাবে টাকা তোলা হয়। পায়খানা, বাথরুমের পয়সা গৌতম চৌধুরী খান। আজ আমি বলেছি বলে মারতে বলেছে। উত্তর হাওড়ার বিধায়কের ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা দরকার বলে দাবি করেন তিনি। লক্ষ্মীর স্বামী সন্তোষ সাহানিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বলেন, আমি কোনও অন্যায়কে মেনে নিই না। প্রাক্তন কাউন্সিলরকে মারধরের ঘটনায় আমরা কেউ জড়িত নই। আমার নাম কেন জড়ালো তা বুঝতে পারছি না। তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে মেয়ে বউয়ের এসব মারামারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: সিএএ-র প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক দিয়েও পিছিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী!

    Mamata Banerjee: সিএএ-র প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক দিয়েও পিছিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি টাকারও বেশি সরকারি অর্থের কার্যত অপচয় করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! লোকসভা নির্বাচনের আগে শিলিগুড়িতে দলের নেতা-কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে গেলেন দলের সুপ্রিমো। দু’দিনের প্রশাসনিক সফরে মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার পৌঁছে দীনবন্ধু মঞ্চে বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরে ঘোষণা করেন, বুধবার শিলিগুড়িতে সিএএ’র প্রতিবাদে মহামিছিল করবেন। সেই মিছিল শেষে উত্তরবঙ্গের মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যার পাশের মাঠে প্রশাসনিক সভার নামে প্রকাশ্য জনসভা করার কথা ছিল। কিন্তু, হঠাৎ সেই কর্মসূচি বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার উত্তরকন্যার অডিটোরিয়ামে প্রশাসনিক সভার নামে হাতে গোনা কয়েকজনকে জমির পাট্টা ও গরিবদের জন্য তৈরি ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে দুপুরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।

    কোটি টাকা জলে! (Mamata Banerjee)

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ছবি দেওয়া ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড দিয়ে মঞ্চ, মাঠের চারদিক ও গোটা  রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রশাসনিক সভার আয়োজন সফল করার জন্য প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। বুধবার সকালে সেখানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা নেমে আসে। ডেকরেটর কর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্যান্ডেল খুলে ফেলার কাজে। প্রশাসনিক সভার জন্য বিপুল আয়োজন ছিল। মাঠ জুড়ে বিশাল মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি হয়েছিল। এতে সব মিলিয়ে খরচের পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ফ্লেক্স, হোর্ডিং বানাতেই ২০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্যান্ডেল, লাইট ও মাইকের জন্য বিশাল খরচ হয়েছে। প্রশাসনিক সভা ছিল তাই সবটাই সরকারের খরচ। কোটি টাকা জলে চলে যায়।

    আরও পড়ুন: দেড় বছর অপেক্ষা নয়, তার আগেই বিধানসভার ভোট, জনসভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মুষড়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা

    মাঠ ভরানোর জন্য নির্দেশ মতো দলের নেতারা গাড়ি ভাড়া করে দলে দলে লোক আনার ব্যবস্থাও পাকা করে ফেলেছিলেন। হঠাৎ করে সেই কর্মসূচি বাতিল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শিলিগুড়ি সফরের পরপর মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই সভা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে সফল করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লোক এনে মাঠ ভরানোর। গাড়ি ভাড়া করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আনার ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছিল। এভাবে হঠাৎ কোনও কারণ ঘোষণা না করেই সভা বাতিল হওয়ায় সেইসব মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা আমাদের কাছে বড় ধাক্কা। এর পরে মিটিং-মিছিলে লোক আনতে সমস্যায় পড়তে হবে। এভাবেই সরকারি অর্থ বাজে খরচের জন্যও ভোট প্রচারে দলকে কথা শুনতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অধ্যক্ষ বসন্ত উৎসবের টাকা টিএমসিপিকে দেওয়ায় কলেজে তীব্র বিক্ষোভ এবিভিপির

    Nadia: অধ্যক্ষ বসন্ত উৎসবের টাকা টিএমসিপিকে দেওয়ায় কলেজে তীব্র বিক্ষোভ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানের দখল কে নেবে, এই নিয়েই আজ বিবাদ চরমে ওঠে। এভিবিপি ছাত্রদের অভিযোগ, “বসন্ত উৎসবের টাকা টিএমসিপির হাতে তুলে দিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ। এটা রাজনৈতিক পক্ষপাত।” উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এই কলেজে পতাকা লাগিয়ে ক্যাম্পাসের দখল নেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। টিএমসিপি-র এই দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানায় এভিবিপি। কলেজে পাল্টা আজ পতাকা লাগায় এভিবিপি। এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ।

    টিএমসিপি-র দুষ্কৃতী বাহিনীর দৌরাত্ম্য (Nadia)

    আজ সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে (Nadia) টিএমসিপি-র দুষ্কৃতী বাহিনীর দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল এবিভিপি। বিক্ষোভরত ছাত্রদের বোঝাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় প্রিন্সিপালকে। প্রিন্সিপালকে ঘিরে ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখা যায়। অপরদিকে তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীরা কলেজের মধ্যে লাঠি নিয়ে প্রবেশ করলে মুহূর্তের মধ্যেই কলেজ ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ এসে এভিবিপির আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসে। এরপর উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা গিয়েছে।

    এবিভিপির বক্তব্য

    কলেজের এবিভিপি নেতা পাপন বিশ্বাস কলেজ (Nadia) অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “অধ্যক্ষ নিজে তৃণমূলের পক্ষপাত করছেন। টিএমসিপিদের জোর করে বসন্ত উৎসব করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি এখানে কাটমানি খেতে আসেননি। আমাদের না জানিয়ে বসন্ত উৎসবের টাকা তুলে দিয়েছেন। এই বিষয় আমরা আপত্তি জানাই। আমরা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাই। কালেজে ছাত্র সংসদ নেই বলেই অধ্যক্ষ এইভাবে শাসকের পক্ষাবলম্বন করলেন। অবিলম্বে আমরা ছাত্র সংসদের নির্বাচন চাই।”

    প্রিন্সিপালের বক্তব্য

    কলজের (Nadia) প্রিন্সিপাল দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমি কলেজকে ঠিক ভাবে পরিচালনা করতে চাই। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে এবং বিপক্ষে নেই। নিজেদের দলীয় পতাকা লাগানোর অধিকার সকলের রয়েছে। তবে যেহেতু কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি, তাই এই মুহূর্ত ক্যাম্পাস সকলের। আমি উভয় পক্ষকে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার আবেদন জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে বারাকপুরে প্রার্থী হব’, হুঁশিয়ারি অর্জুনের

    Arjun Singh: ‘পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে বারাকপুরে প্রার্থী হব’, হুঁশিয়ারি অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) তৃণমূল ত্যাগ কেবল সময়ের অপেক্ষা। ভাটপাড়ার মজদুর ভবনে বলে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি। ভোটে দাঁড়়ানোরও তিনি ইঙ্গিত দিলেন। টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ অর্জুনের বসার ঘর থেকে মঙ্গলবারই সরে গিয়েছে মমতা, অভিষেকের ছবি। সেখানে এসেছে মোদীর ছবি। এই প্রেক্ষিতে তাঁর আবার পদ্মে ফিরে যাওয়ার জল্পনা দানা বেঁধেছে।

    ঠিক কী বললেন অর্জুন? (Arjun Singh)

    বুধবার অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, “বারাকপুর লোকসভা আসনেই আমি ভোটে দাঁড়়াব। পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। তবে, নির্দল হিসেবে নয়, দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোটে দাঁড়াব। ২০১৯ সালে বিজেপি বারাকপুরে জয়ী হয়েছিল। এবারও এই আসনটি বিজেপি-র দখলে থাকবে। আর গতবারের থেকে বেশি ভোটে এ বার জিতব। পার্থ ভৌমিকের সিন্ডিকেট থেকে বারাকপুরকে আমাকে বাঁচাতেই হবে। ভোট পরবর্তী হিংসার নায়ক হচ্ছে পার্থ ভৌমিক এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পার্থ বারাকপুরবাসীর কারও ভালো করেননি। নৈহাটির হকাররা না খেয়ে মরছেন।” তবে, কোন দলের হয়ে তিনি ভোটে লড়াই করবেন তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তিনি আরও বলেন, “বারাকপুর আমার জায়গা। আমি বারাকপুরের লোকের জন্য ৩৬৫ দিন দিনরাত রাজনীতি করি। বারাকপুরের লোকের জন্য সব সময় আছি। বারাকপুরবাসীর জন্যেই চিরকাল থাকব।”

    আরও পড়ুন: মমতার পরিবারে ‘বিদ্রোহ’! ‘‘নির্দল হয়ে লড়ব’’, টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর ভাই

    তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে অর্জুনের

    ব্রিগেডের সভায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। মূলত,বারাকপুর লোকসভায় যে তিনি প্রার্থী হতে চান, তা ২০১৯ সালেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অর্জুন। কিন্তু, সে বার তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করেনি। তিনি তারপর বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়ে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। পরে, ফের তৃণমূলে ফিরে যান। আশা ছিল, দল তাঁকে এবার বারাকপুর কেন্দ্রের জন্য টিকিট দেবে। দল সেটা করেনি। আর এতেই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে। এখন দলবদল করে পার্থর বিরুদ্ধে বারাকপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই দিতে হচ্ছে ‘কাটমানি’, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই দিতে হচ্ছে ‘কাটমানি’, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে ১০০ দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকা পাঠাতে শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। জবকার্ড উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রাপ্য টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। এবার সেই টাকা থেকেও ‘কাটমানি’ চাওয়ার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার  উস্তির শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ- প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম অসিত হালদার। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার উস্তির শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আফসানা বিবির জবকার্ড রয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পরই তাঁর কাছে কাটমানি চাওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর স্বামী ইসরাফিল মোল্লার। তাঁর অভিযোগ, শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুমনা হালদারের স্বামী তৃণমূল নেতা অসিত হালদারের বিরুদ্ধে। ইসরাফিল স্থানীয় উস্তি থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের পাঠানো ৩২৬৪ টাকা জমা পড়ার পরই ২ হাজার টাকা চান উপপ্রধানের স্বামী অসিত হালদার। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর ও প্রাণে মারার হুমকি দেন অসিত। পুলিশের কাছে যথাযথ নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছি। কাটমানি চাওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি জব কার্ড হোল্ডারের তালিকায় ওই তৃণমূল নেতার এবং উপ প্রধানের নাম রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের জন্য থমকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ”, বললেন জগন্নাথ সরকার

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অসিত হালদার বলেন, যখন ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে ছিল আমি শ্রমিকদের পারিশ্রমিক নিজের পকেট থেকে ধার দিয়েছি। এখন রাজ্য সরকার সেই টাকা জব কার্ড হোল্ডারদের দেওয়ায় আমার পাওনা টাকাই চেয়েছি। এতে দুর্নীতির কিছু নেই। একইসঙ্গে দলের স্থানীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছি আমরা। জবকার্ডে নাম নিয়ে তিনি বলেন, তালিকা তৈরির সময় আমার স্ত্রী উপপ্রধান ছিলেন না। তিনি ছিলেন পঞ্চায়েতের একজন সাধারণ সদস্য মাত্র। তাই তখন থেকেই আমাদের নামেও জব কার্ড রয়েছে। এতে দুর্নীতির কিছু নেই। এ বিষয়ে মগরাহাট পশ্চিম যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরান হাসান বলেন, “যদি ওই উপপ্রধানের স্বামী অন্যায় কিছু করে থাকেন তবে দল নিশ্চয়ই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল কংগ্রেস কখনওই দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে না”।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি

    Nadia: তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল থানায়। অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী । প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলেও পরবর্তীকালে অভিযোগ জমা নেয় পুলিশ। মঙ্গলবার নদিয়ায় (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে।

    প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি (Nadia)

    মূলত দিন কয়েক আগে একটি অডিও ভাইরাল হয়। যেখানে শোনা যায়, নদিয়ায় (Nadia) দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন মহুয়া মৈত্র বলছেন, দেওয়াল দখল করে নিন, নিমপাতা দিয়ে হলেও ভোট করাতে হবে। মূলত এই অডিও ভাইরাল হওয়ার পরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। নিমপাতা মানে কী বোঝাতে চাইছেন নেত্রী? এই প্রশ্ন তুলে এবার থানায় অভিযোগ করে বিজেপি। তাঁর প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন জানানো হয়। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, এই বক্তব্যে স্পষ্ট হচ্ছে কীভাবে এই লোকসভা ভোটে সন্ত্রাস চালাবে তৃণমূল। যেখানে একজন মহিলা প্রার্থী তাঁর দলের কর্মীদের এই নির্দেশিকা জারি করছেন। এর পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা অবিলম্বে হাইকোর্টে যাব। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবো। প্রয়োজন হলে তাঁর অডিও নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। যদি সত্যিই তৃণমূল প্রার্থী এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন তাহলে অবিলম্বে তাঁর প্রার্থী পদ বাতিল করার আবেদন জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের জন্য থমকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ”, বললেন জগন্নাথ সরকার

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এ বিষয় নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। ফলে, তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের জৈব ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, কৃষ্ণনগর লোকসভায় হেরে যাওয়া শুধু বিজেপির সময়ের অপেক্ষা। তাই ওরা আতঙ্কে ভুগছে। বাজারে দুর্নাম ছড়ানোর জন্য নিজেরাই এগুলো তৈরি করে ভাইরাল করছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এসব করে বিজেপি মানুষের আরও আস্থা হারাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shajahan: শাহজাহানকে পালাতে সাহায্য করেছিল কারা? নাম প্রকাশ করল সিবিআই

    Sheikh Shajahan: শাহজাহানকে পালাতে সাহায্য করেছিল কারা? নাম প্রকাশ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করেছিল তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা। রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বালুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং রেশনে দুর্নীতি করে প্রচুর কালো টাকা সাদা করেছেন শাহজাহান (Sheikh Shajahan)। আর এই বিষয়ে তথ্য ছিল ইডির তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। আর তাই হামলা করে তিন তদন্তকারী অফিসারের মাথা ফাটিয়ে পলাতক হয় এই তৃণমূল নেতা। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় পুলিশ ন্যাজ্যাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তাঁকে। এরপর মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই। কিন্তু এই আক্রমণের নেতৃত্ব কাদের ছিল?

    জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ গ্রেফতার ৩

    এখন প্রশ্ন হল এই দীর্ঘ সময় ধরে লুকিয়ে থাকতে এবং ঘটনার দিনে পালাতে সাহায্য করেছিল কারা? ইতিমধ্যেই গতকাল সোমবার জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ মোট সাত জনকে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তলব করা হয়ে ছিল। তার মধ্যে বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ ৩ জনকে গতকালই গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর আজ মঙ্গলবার তদন্ত করে বসিরহাট আদালতে তুললে জানা যায় ঠিক কারা কারা শাজাহানকে পালাতে সাহায্য করেছিল।

    কে কে সহযোগিতা করেছিল (Sheikh Shajahan)?

    মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এল শাহজাহানকে (Sheikh Shajahan) পালাতে সাহ্যায্যকারীদের নাম। প্রত্যেককে আজ বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। তাদের নাম হল, ফারুক আকুঞ্জি, ইয়াউদ্দিন মোল্লা এবং দিদার বক্স। সিবিআই দাবি করেছে, ঘটনার দিনে ইডিকে তদন্তে বাধা প্রদান, তল্লাশি করতে না দেওয়া, আক্রমণ করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে ফারুক আকুঞ্জি। শুধু তাই নয় এলাকায় শাহজাহানকে পালাতে, এলাকায় দুষ্কৃতীদের একত্র করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এই আকুঞ্জি। এই সঙ্গে বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছিল জিউয়াউদ্দিন মোল্লা এবং দিদার বক্স।

    আদলাতে ভিডিও ফুটেজ জমা

    ইডির উপর শাহজহানের (Sheikh Shajahan) অনুগামীদের আক্রমণ, নেতৃত্ব এবং পলায়নে সহযোগিতা করার প্রমাণ স্বরূপ সিবিআই অভিযুক্তদের নামের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ঘটনায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে এরা প্রত্যেকেই জড়িত। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই ফারুক আকুঞ্জির বাড়িতেই সপরিবারের আত্মগোপন করে ছিলেন শেখ শাহজাহান। ফলে সিবিআই-এর তদন্তে শাহজাহান এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যে চাপ আরও বাড়তে চলছে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব”, নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    Murshidabad: “ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব”, নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে মানতে পারেননি সাংসদ অর্জুন সিং। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন অর্জুন। এবার বহরমপুরের তৃণমূলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে না পসন্দ  মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। তাঁকে বহিরাগত তকমা দিয়ে নির্দল হিসেবে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন। প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বকে তোপ দাগলেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আমার বিরুদ্ধে তৃণমূলের একটা অংশ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল, যাতে তিনি বিধানসভার টিকিট না পান। তবে দলের শীর্ষ নেতাদের তো অনেক ক্ষমতা। তাই প্রার্থী ঘোষণার আগে কারও সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনই মনে করেনি।

    ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব (Murshidabad)

     অর্জুনের মতো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী মানতে আমার কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব যদি আমাদের মতো লোকজনকে একবার বলতেন এটা মানতে হবে, এটা আমাদের সিদ্ধান্ত, অবশ্যই আমি মাথা নত করে মেনে নিতাম।”এরপরই সুর চড়ান হুমায়ুন। তিনি বলেন, “আমি বলছি, বহিরাগত প্রার্থীকে আমি মানছি না। তারজন্য নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ জানালে কী করব তা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখতে পাবেন। আমি ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব। এবার কি তবে দল বদলের পালা হুমায়ুনের? তিনি বলছেন, “আমি কোনও দলে যাব না। আমি নিজেই পার্টি খুলব। নিজেই সেই পার্টির হয়ে লড়ব।”

    আরও পড়ুন: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    পদে পদে অপমানিত হয়েছি

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্বের দলীয় বৈঠক ছিল। সেখানেই দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখকে পাশে নিয়ে হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য, “আমরা পদে পদে অপমানিত হয়েছি। সময়মতো সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। জেলার অনেক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা বসে গিয়েছেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমার ভোটে লড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাতে যে দলীয় নেতৃত্ব কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে, তা নিয়ে আদৌ ভাবিত নন হুমায়ুন। সাফ জানালেন, “ওসব নিয়ে ভাবছি না। সব কিছুর জন্য আমি প্রস্তুত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিয়ে তৃণমূলকে বিসর্জনের ডাক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Gangopadhyay: বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিয়ে তৃণমূলকে বিসর্জনের ডাক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারকে বিসর্জন দেওয়ার হুঙ্কার দিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে মা বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করলেন আজ। তিনি খুব স্পষ্ট করে সাধারণ মানুষকে বললেন, “৫০০-১০০০ দিয়ে প্রতিদিন ১ কোটি টাকা চুরি করছে তৃণমূল।” আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে হারানোর সঙ্কল্প আগেই নিয়েছিলেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। যদিও দলের তরফ থেকে এই কেন্দ্রের বিজপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। 

    কী বললেন বিচারপতি (Abhijit Gangopadhyay)?

    তমলুকে গিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমার একটা আবেদন থাকবে, তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। তৃণমূলের জালিয়াতি এবং দুর্নীতি দেখলাম। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে সরিয়ে ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসতে হবে। ৫০০-১০০ টাকা দিচ্ছে, প্রতিদিন এক কোটি টাকা করে চুরি করছে। এটাকে ধ্বংস করতে হবে। আগে নাম ঘোষণা হোক, তারপর তো সংসদে যাবো।”

    সিএএ নিয়ে মন্তব্য

    একই ভাবে সিএএ প্রসঙ্গে এদিন নন্দীগ্রামে গিয়ে অভিজিৎবাবু (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, সিএএ-তে কারও নাগরিকত্ব হারানোর ভয় নেই। ডিটেনশন ক্যাম্পের কোনও প্রশ্ন নেই। মুখ্যমন্ত্রী ভুল ব্যাখ্যা করছেন। উনি সবসময় মিথ্যা কথা বলেন। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বেশ পটু। সত্যটা সামনে এসে গেছে, এরপর কোথাও আর মুখ দেখাতে পারবেন না মমতা।” 

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    এই প্রাক্তন বিচারপতি নিজে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন। নিজে সকল প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তিনি। আজ তমলুকে গেলে তাঁকে স্বাগত জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু এদিন তাঁর সম্পর্কে বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মানুষ গ্রহণ করেছেন। সমস্যায় পড়ছে তোলামূলেরা। এই সব মানুষ রাজনীতিতে এলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী অবস্থা হতে পারে তা কেবল মমতাই বুঝতে পেরেছেন।” একই ভাবে তমলুকের তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য সম্পর্কে বলেন, “এক দিকে গঙ্গা অন্যদিকে নর্দমা।”

    জেলার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক

    অপর দিকে বিজেপির তরফ থেকে এখনও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু এলাকার উৎসাহী বিজেপি কর্মীরা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নামে লোকসভার ভোটের প্রচারের দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন। এই আবহের মধ্যেই তাঁর তমলুকে একধিক কর্মসূচিতে যোগদান বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। পাশপাশি জেলার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে নন্দীগ্রামে যান অভিজিৎবাবু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    Arjun Singh: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিগেডে প্রার্থী ঘোষণার পর হ্যাংওভার কাটতে সময় নিলেন দুদিন। আর তারপরই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং (Arjun Singh) । তিনি যে শিল্পাঞ্চলে “বাঘ” আছেন তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন। উপ নির্বাচনে প্রার্থী করে মন্ত্রীর ললিপপ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতে ছিঁড়ে ভেজেনি। আর তাই মঙ্গলবার সকালে ভাটপাড়ায় মজদুর ভবনে অর্জুনের অফিস ঘর থেকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সরল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।

    তৃণমূলের কাছে আনওয়ান্টেড হয়ে গিয়েছি (Arjun Singh)

    মমতার ছবি সরানোর প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করতেই অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, “মন থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কাছে আনওয়ান্টেড হয়ে গিয়েছি আমি। তার প্রমাণও পেয়ে গিয়েছি। তবে, বারাকপুরের মানুষের কাছে আমি ওয়ান্টেড আছি। আমার মনে হয় তৃণমূলে আমার গুরুত্বটাই নেই। আমার দেড় বছর নষ্ট করা হল। তৃণমূল নষ্ট করল। আর তৃণমূলে যারা কাজ করেছে পুরনো দিনের প্রায় সকলকেই এভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে আমার ছেলের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে। ও তৃণমূলে যেতে নিষেধ করেছিল। আমি শুনিনি। ও বলেছিল আমাকে টিকিট দেওয়া হবে না। সেটাই সত্যি হল।” অর্জুন পুত্র পবন সিং বলেন, “একজন বিধায়ক বাবার নামে এত কিছু বলত, দল কোনও ব্যবস্থা নিত না। বাবাকে বহুবার বলেছিলাম। দেরিতে হলেও তৃণমূল সম্পর্কে বাবার মোহভঙ্গ হয়েছে জেনে খুব ভাল লাগছে।” জানা গিয়েছে, ফিরহাদ হাকিম অর্জুনকে ফোন করেছিলেন। বিধানসভা উপ নির্বাচনে প্রার্থী করে জেতার পর তাঁকে মন্ত্রী করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে বরফ গলেনি।

    অর্জুনের মুখে মোদি স্তুতি

    মমতার ছবি ঘর থেকে সরতেই অর্জুনের (Arjun Singh) মুখে মোদি স্তুতি শোনা গেল। তিনি বলেন, “জনতার রায় মোদির দিকে রয়েছে। আর গতবারের তুলনায় রাজ্যে বিজেপি-র ফল অনেক ভাল হবে। আর বারাকপুরে ২০১৯ সালে বিজেপি-র দখলে ছিল। এবারও তাই হবে।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এবার কি তবে আবারও বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অর্জুন সিং। ২০১৯-এর মার্চের পুনরাবৃত্তিই কি দেখতে চলেছে বারাকপুর-সহ গোটা রাজ্য? অর্জুন বলেন, “বিজেপিতে আমার সবাই বন্ধুবান্ধব। ফোন না আসার কথা বললে ঠিক হবে না। বিজেপিতে যখন ছিলাম, একটা জিনিস দেখতাম প্রতি মঙ্গলবার সাংসদদের মিটিং হত। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীজী একটা কথা বলতেন, সম্পর্ক সকলের সঙ্গে রাখা উচিত। কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা উচিত নয়।”

    অর্জুনকে নিয়ে কী বললেন পার্থ?

    বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, “অর্জুন বুদ্ধিমান ছেলে। আমার মনে হয় না বার বার দল বদল করে ও নিজেকে অবিশ্বাসের পাত্র করে তুলতে চাইবে। এটা নিম্নরুচির পরিচয়। তবে, গোটাটাই ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি তো এনিয়ে কিছু বলতে পারি না। যা বলার রাজনৈতিকভাবে বলব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share