Tag: tmc

tmc

  • Nadia: মোদির সভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীর বিছানায় আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nadia: মোদির সভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীর বিছানায় আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরে নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যাওয়ার কারণে রাতের বেলা ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় আগুন ধরিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে পরিবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাকদা থানার শিমুরালি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম জয়ন্তী দাস। তাঁর বাড়ি নদিয়ার (Nadia) শিমুরালি ঘোষপাড়া এলাকায়। শনিবার কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় গিয়েছিলেন। এরপর প্রতিদিন রাতের মতোই নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। ওই গৃহবধূর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন বিছানায় রাতের অন্ধকারে জানলার ফাঁক দিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সেই আগুনে পুড়ে যায় মশারির বেশ খানিকটা অংশ। পাশাপাশি এই গৃহবধূর গায়ে আগুন লাগে এবং চুল পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে যথেষ্টই আতঙ্কিত দাস পরিবার। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী জয়ন্তী দাস বলেন, মোদির সভায় যাওয়া অপরাধ হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা তা মেনে নিতে পারেনি। তাই, আমার বিছানায় আগুন দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কোনওরকমে আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    এ বিষয়ে সাংসদ তথা রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই ঘটনা নতুন কিছু নয়, সন্দেশখালিতে যেভাবে তৃণমূল অত্যাচার চালিয়েছে, ঠিক সেইরকম গোটা রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যাওয়ার কারণে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রশাসন কত দূর পদক্ষেপ নেবে তা আমাদের জানা নেই। তবে, আমরা ওই গৃহবধূর বাড়িতে যাব এবং গোটা বিজেপি তাঁর সঙ্গে রয়েছে সেই আশ্বাস দিয়ে আসবো।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নদিয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এবারের রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে। সেই কারণে দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করছে। এটা পুরোটাই ভিত্তিহীন, বিজেপির নাটক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কেষ্ট গড়় বোলপুরে প্রিয়া সাহার ওপর আস্থা বিজেপি-র

    BJP: কেষ্ট গড়় বোলপুরে প্রিয়া সাহার ওপর আস্থা বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড় বোলপুরে এবার দলীয় নেত্রী প্রিয়া সাহাকে বিজেপির (BJP) প্রার্থী করা হয়েছে। এমনিতেই কেষ্ট গড়ে তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। কাজল বনাম অনুব্রতের অনুগামীদের মধ্যে মারামারি লেগেই রয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডে কেষ্ট এখন তিহার জেলে রয়েছেন। টলমলে কেষ্ট গড়়ে এবার প্রিয়াকেই বাজি রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপি-তে এই নেত্রীর নাম খুব একটা বেশি  সামনে আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর রাজনৈতিক পরিসর এবং ব্যক্তিগত জীবন অনেকের কাছেই অজানা। বোলপুর কেন্দ্রে বিজেপি-র নতুন প্রার্থী নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কে এই প্রিয়া? (BJP)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিয়া সাঁইথিয়া মহাবিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে স্নাতক হন। ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর রাজনীতির প্রতি আকর্ষণ ছিল। তাঁর নাম প্রচারে খুব একটা না এলেও ভোটযুদ্ধে তিনি এই প্রথম নন। আগে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। ২০১৫ সালে পুরসভা ভোটে পদ্ম প্রতীকে লড়েওছিলেন। সেই প্রথম ভোটযুদ্ধে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হন। পরে, ২০১৬ এবং ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি সাঁইথিয়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। কিন্তু, সেই সময় জয়ের মুখ অবশ্য দেখেননি। বীরভূমে বিজেপি-র কর্মসূচিতে প্রথম সারিতে দেখা যায় তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, লোকসভার ময়দানে এরকম আনকোরা মুখের উপর ভরসা করে কি আদৌ অনুব্রত গড়ে ভোট বৈতরণী পার করতে পারবে বিজেপি তা নিয়ে বীরভূম জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি প্রার্থী?

    জয়ের বিষয়ে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী বিজেপি (BJP) প্রার্থী প্রিয়া সাহা। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের এখন কী পরিস্থিতি তা সকলেই জানেন। বীরভূম আগে অনুব্রতের গড় ছিল। এখন ওই দলে কোন্দল লেগেই রয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দলের ওপর আর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। তাই, জয়ের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “তৃণমূলের অহংকার শেষ করবেন মুসলিম মা-বোনেরাই”, তোপ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূলের অহংকার শেষ করবেন মুসলিম মা-বোনেরাই”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলের অহংকার শেষ করবেন মুসলিম মা-বোনেরাই।” কার্যত এই ভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই বক্তব্যে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের উপর আক্রমণ করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশের মানুষ। আজ হুগলির আরামবাগ থেকে তিনি রাজ্য জুড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ক্রমবর্ধমান অত্যাচার, নির্যাতন এবং নিগ্রহের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করলেন। একই ভাবে শাসক দলের কাছে রাজ্যের নারী সুরক্ষার বিষয়ে মা মাটি সরকারের কাছে প্রশ্ন তুললেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্দেশখালিতে মহিলাদের যৌনশোষণের বিরুদ্ধে আজ সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিলেন মোদি।

    কী বললেন মোদি (Narendra Modi)?

    আজ শুক্রবার হুগলির আরামবাগের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূলের একটাই অহংকার যে ওঁদের কাছে একটা বিশেষ ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। এবার এই অহংকারের পতন ঘটবে। মুসলিম মা-বোনেরা তৃণমূলকে উৎখাত করবে। আগামী লোকসভার ভোটেই বিদায়-ঘণ্টা বাজতে চলেছে।” রাজ্যে তৃণমূলের কাছে মুসলিম ভোট একটি চর্চার বিষয়। কিন্তু মমতার অপশাসনে এবার এই ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরবে।

    মুসলমান তোষণ করেন মমতা

    রাজ্যে ইমামভাতার মতো অতিরিক্ত সুবিধাগুলি তৃণমূল সরকার কেবল মাত্র মুসলমান ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই করছেন মমতা। এই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরেই করে আসা হচ্ছে। মমতা নিজে ইফতার, ঈদ থেকে নামাজ পর্যন্ত একাধিক বিষয়ে মুসলমানদের অপেক্ষাকৃত বেশি প্রধান্য দিয়ে থাকেন। অপেক্ষাকৃত হিন্দু ধর্মীয় উৎসবে আক্রমণ হলে চুপ থাকেন তিনি। এই বিষয়ে শুভেন্দু বার বার মমতাকে ‘জালি হিন্দু’ বলেছেন। যদিও মমতা নিজে বিরোধীদের এই সব বিষয়ে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। মুসলমান তোষণের অভিযোগের কথা বার বার হিন্দু সংগঠনগুলিও করে থাকে মমতার বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে লোকসভার পর ভোট পরবর্তী হিংসার বন্ধ না করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খাওয়া ভালো।” এদিন লোকসভার আগে ফের একবার মোদি (Narendra Modi) বললেন, “সংখ্যালঘু ভোট আর থাকবে না তৃণমূলের।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gaighata: গাইঘাটাকে সন্দেশখালি করার হুমকি তৃণমূল নেতার, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Gaighata: গাইঘাটাকে সন্দেশখালি করার হুমকি তৃণমূল নেতার, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাইঘাটাকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) করার হুমকি তৃণমূল নেতার। প্রতিবাদে হাতে ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন এলাকার মহিলারা এবং সেই সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁরা। ঘটনায় তৃণমূলের তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দল বিজেপি। মূলত জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৃণমূল নেতার এই হুমকি বলে জানা গিয়েছে।

    জমি দখলে উত্তাল (Sandeshkhali)

    জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা। এলাকার বইকারার বসিন্দা বাপি সরকার নামে এক ব্যক্তি নিজের জমির উপর বাড়ি তৈরি করেছেন। এই বিষয়ে বাপি এবং তাঁর স্ত্রী বলেন, এলাকার তৃণমূল নেতা প্রমোটার বিশ্বজিৎ তাঁদের এই জমির উপর জোর করে রাস্তা তৈরি করতে চাইছেন। কিন্ত বাধা দিলে গত বুধবার দলবল নিয়ে এলাকায় হুমকি দেন। এরপর বাপির স্ত্রীকে সাদা থান কাপড় পরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। সেই সঙ্গে ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়। এতে এলাকার প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করলে তৃণমূল নেতার দলবলের সঙ্গে ব্যাপক গোলমাল চিৎকার চেঁচামেচি হয়। এই সময় বাপির স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ ও তাঁর দলবল গাইঘাটাকে সন্দেশখালি করার হুমকি দিয়েছেন।” এরপর এলাকার মহিলারা ব্যাপক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাতে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু  করেন।

    মহিলাদের অভিযোগ

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এলাকার মহিলারা বলেন, “আমাদের এলাকাকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) করতে গেলে দুষ্কৃতীদের ঝেটিয়ে বিদায় করব।” উল্লেখ্য সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান, সিরাজ, শিবু, উত্তম, আমির গাজী সহ একাধিক তৃণমূল নেতা নিজেদের পার্টি অফিসে রাতের বেলায় মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করত বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগে ব্যাপক পরিমাণে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছে সন্দেশখালিতে। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।

    বিজপির বক্তব্য

    গাইঘাটাকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) করার হুমকির বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিশ্বজিৎ এলাকার দুষ্কৃতীদের নিয়ে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করছে। আমাদের এলাকাকে সন্দেশখালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তা হতে দেবো না। আমরা ওঁদের বিদায় করব।” অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, “বিশ্বজিৎ দলের নেতা নয়, ওঁর স্ত্রী আমাদের দলের সদস্য। তৃণমূল কোনও দুষ্কৃতীকে প্রশ্রয় দেয় না।”      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘গরিবের টাকা লুট হতে দেব না’, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা মোদির

    Narendra Modi: ‘গরিবের টাকা লুট হতে দেব না’, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, পুর-নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন সামগ্রী বন্টনে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। তৃণমূল মন্ত্রীদের বাড়িতে টাকার পাহাড়। এত টাকা সিনেমাতেও দেখা যায় না। বাংলা জুড়ে তৃণমূল দুর্নীতি করেছে। সারা বাংলা জুড়়ে কেলেঙ্কারি। শুক্রবার আরামবাগে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তৃণমূলকে এভাবেই তুলোধনা করলেন। তিনি বলেন, মোদি এই দুর্নীতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই তৃণমূলের শত্রুতে পরিণত হয়েছে মোদি। গরিব মানুষের টাকা লুট হতে দেবে না মোদি। তৃণমূলের কাছে অহংকার রয়েছে, তাঁদের নিশ্চিত ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কও এবার  চলে যাবে। আমরা তৃণমূলের হামলা, গালাগালিকে ভয় পাই না।

    ৪২ এ ৪২ আসনে পদ্ম ফোটানোর আশীর্বাদ চান মোদি (Narendra Modi)

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদি (Narendra Modi) বলেন, “সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা দেখে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, তাতে দুঃসাহসের সব সীমা পার হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা মুখ খুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছেন। বদলে কী পেয়েছেন? বিজেপি নেতারা মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, “বাংলায় যে তৃণমূল সরকার মা, মাটি, মানুষের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই সরকারের শাসনে মা মাটি এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তৃণমূল সরকারকে দুর্নীতি এবং ঘোটালাবাজ সরকার বলে সম্বোধিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে চাকরি ঘোটালা থেকে শুরু করে শিক্ষা দুর্নীতি আবাস যোজনা দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরিবদের বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি সঙ্গে জর্জরিত। এই তৃণমূল সরকারকে বাংলা থেকে উৎপাত করার প্রয়োজন। তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মা বোনের কাছে ৪২ এ ৪২ আসনে পদ্ম ফোটানোর আশীর্বাদ চান।’

    বাংলায় রেলের উন্নয়ন নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবার পশ্চিমবঙ্গে রেলের উন্নয়নের জন্য ১৩ হাজার কোটির বেশি বরাদ্দ করেছে। ২০১৪-র আগে যে বাজেট ছিল, এটা তার তিনগুণ। রেল লাইনের কাজ, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা ও স্টেশনের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। অমৃত ভারত প্রকল্পে বাংলার ১০০টি স্টেশনের চেহারা বদলে যাবে। তারকেশ্বর স্টেশন তার মধ্যে অন্যতম। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১০ বছরে ১৫০-টির বেশি নতুন ট্রেনের পরিষেবা শুরু হয়েছে বাংলায়। চালু হয়েছে ৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক ভরাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিডিও-র নির্দেশিকা, সরব বিজেপি

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক ভরাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিডিও-র নির্দেশিকা, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিক থেকে কর্মীরা শাসকদলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ করেন। এটা নিছক যে অভিযোগ তা নয়, পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক ভরাতে বিডিও-র এক নির্দেশিকা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। দলের কোনও জেলা নেতা নয়, বিডিও লোক ভরাতে উদ্যোগী হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জেলা সফরে যাচ্ছেন। আর সেখানে লোক ভরাতেই বিডিও খুলেছেন হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ! আর সেই গ্রুপে লোক ভরানোর নির্দেশ। এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। অভিযোগের নেপথ্যে খাড়া করা হল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নির্দেশ দেওয়ার সেই স্ক্রিন শটও।

    কী রয়েছে বিডিও-র নির্দেশিকায়?

    পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী মাঠে প্রশাসনিক বৈঠকে যাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তমলুকে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। সেখানে লোক ভরানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও। তাঁর একটি গ্রুপ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এসএইজি গ্রুপের যে সঙ্ঘ রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে বাসে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ময়দান ভরাতে নিয়ে যেতে হবে। জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইতের বক্তব্য, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তমলুকে আসছেন। সাধারণ মানুষ তাঁর সভায় যেতে চাইছেন না। তিনি তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিককে সামনে রেখে সভা ভরতে চান। আমাদের জেলার ডিএম তাঁর অধঃস্তনদের দিয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন। বাস করে, গাড়িতে করে লোক এনে মাঠ ভরাতে হবে।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তম বারিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভা হবে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায়, প্রশাসনিক কাজে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা আসবেন। তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী হতে পারেন, আশা কর্মী হতে পারেন, উৎসাহী কর্মী হতে পারেন।” তাঁর বক্তব্য, জেলা প্রশাসনের কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেই, ৫০ হাজার হতে পারে, লক্ষও হতে পারে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল প্রশাসনকে দলের কাজে ব্যবহার করছে। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ১০টি ব্লক থেকে ৪২৬টি বাসে ২১,৩০০ লোককে নিয়ে যেতে হবে, এমনটাই টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা শাসক দলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nusrat Jahan: ‘নায়িকা তো ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ বলেন’, নুসরতকে তীব্র কটাক্ষ সন্দেশখালিবাসীর

    Nusrat Jahan: ‘নায়িকা তো ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ বলেন’, নুসরতকে তীব্র কটাক্ষ সন্দেশখালিবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি জুড়ে গত দেড় মাস অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল। তৃণমূলের স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) একবারের জন্যও সেখানে যাননি। ভোটের সময় সন্দেশখালিতে এসে এলাকায় মহিলাদের নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে বলেছিলেন, “বিপদে পড়লেই ফোন করবেন। পাশে থাকব।” সন্দেশখালি উত্তাল হতেই বহু মহিলাই সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, তাঁর ফোন ‘নট রিচেবল’ ছিল। ফলে, সন্দেশখালির মহিলারা স্থানীয় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবার নুসরতের নতুন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সন্দেশখালির মহিলারা তাঁকে খোঁচা দিতে শুরু করেছেন।

    কী বলেছেন নুসরত? (Nusrat Jahan)

    সন্দেশখালির গন্ডগোল সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় ১৪৪ ধারা করা হয়েছে। আর এই ১৪৪ ধারা নিয়ে সম্প্রতি বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি হওয়া এবং সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে নুসরতকে সেখানে বলতে শোনা গিয়েছে, “সন্দেশখালিতে ১৭৪ ধারা রয়েছে।” এরপর নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে ট্রোলিং। আর সেই ভিডিওবার্তা দেখে সন্দেশখালির মহিলারা হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন। অনেকে সেই ভিডিও নিজেদের মধ্যে শেয়ারও করেছেন।

    এবার সাংসদকে খোঁচা দিলেন সন্দেশখালির মহিলারা

    বৃহস্পতিবার শাহজাহান গ্রেফতারের পরই সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে রং-আবির খেলা শুরু হয়। স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমরা দারুণ খুশি। তাই হইহই করে রাস্তায় নেমেছি, আবির খেলছি।” এরপর সাংসদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আমরা নায়িকা তো তাই নাচতে বেরিয়েছি। নায়িকা তো ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ বলছেন। ওনারা তো শেখানো পড়ানো বুলি বলতে পারেন। নিজেদের তো সাধারণ জ্ঞান নেই। এতই যদি শিক্ষিত, তাহলে ১৪৪ কে ১৭৪ বলতেন না। সন্দেশখালিতে গত দেড় মাস ধরে এত ঘটনা। বসিরহাট সাংসদের এলাকার মধ্যে পড়ে এই ব্লক। তবে একদিনও এলাকায় যাননি সাংসদ নুসরত জাহান।” যদিও ইতিমধ্যেই নুসরতও জানিয়েছেন, দলের নির্দেশ মেনে যা যা করার তা তিনি করেন। সাংসদের এসব কথায় খুশি নন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, মহিলা সাংসদ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারতেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের, শোরগোল

    TMC: সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার, কয়লা পাচারে অনেক তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল তো গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে রয়েছেন। এবার সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের। মঙ্গলবার ফাঁসিদেওয়ার মুরলিগছে সাপের বিষ-সহ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন ইসলামপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের ভাই ফজলে রব্বি সিদ্দিকের ‘ঘনিষ্ঠ’। ফজলে রব্বি পেশায় ঠিকাদার। তিনি আগডিমঠি খুন্তি অঞ্চল কমিটির সদস্য।

    তৃণমূল নেতার ভাইয়ের গাড়িতেই সাপের বিষ পাচার! (TMC)

    গাড়ি এবং একটি স্কুটার থেকে কাচের দু’টি জার উদ্ধার হয়। বন দফতরের বাগডোগরা রেঞ্জ, কার্শিয়াং ডিভিশনকে নিয়ে ‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বুরো’র তরফে যৌথ অভিযান চালানো হয়। দুটি কাচের জারে সাপের বিষ পাচারের আগে, মুরলিগছ এলাকা থেকে ধরা পড়েন মহম্মদ শাহানওয়াজ, তৌহিদ আলম এবং মহম্মদ আজমল। তিনজনই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা। মহম্মদ তৌহিদ আলম নামে ধৃত ওই যুবক তৃণমূল নেতার ভাই রব্বি সিদ্দিকের গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে বাড়ির বাজার-সহ রোজকার কাজকর্ম করতেন। ঘটনার দিন অভিযুক্তের কাছেই তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতির ভাইয়ের গাড়িটিও ছিল। সেই গাড়িতেই সাপের বিষ পাচার হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ‘ক্রাইম কন্ট্রোল বুরো’র এক আধিকারিক বলেন, কয়েক দিন ধরে অভিযুক্তদের উপরে নজরদারি চলছিল। বহুমূল্য সাপের বিষ আগেও পাচার করেছে কি না, চক্রে আরও কারা জড়িত, সব দেখা হচ্ছে।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও তাঁর ভাই কী সাফাই দিলেন?

    শাসক দলের ব্লক সভাপতি জাকির বলেন, গাড়ি যাঁর, তিনি বলতে পারবেন। তৃণমূল (TMC) নেতার ভাই ফজলে রব্বি সিদ্দিকের কথায়, আমার বাড়ির তিনটি বাড়ি পরেই তৌহিদের বাড়ি। আমার গাড়ি চালায়, বাজার করে, বাড়িতেও থাকে। ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। স্ত্রীর কাছ থেকে ও গাড়ির চাবি নিয়ে যায়। এমন কাজে জড়িত বুঝতেই পারিনি। আমাকে বদনাম করে দিল। আমি এসবে কোনওভাবে জড়িত নই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না শিবুরা, সন্দেশখালিতে গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না শিবুরা, সন্দেশখালিতে গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বিরোধীদের কথা বলার সাহস ছিল না, জয় শ্রীরাম ধ্বনি তো দূরের কথা। শাহজাহান গ্রেফতার হতেই সন্দেশখালি জুড়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস হয়। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মেতে ওঠেন সন্দেশখালির মানুষ।

    জয় শ্রীরাম বলতে দিত না শিবুরা

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাত্রপাড়া, বেড়মজুর, কর্ণখালি, পুকুরপাড়া-সব জায়গা থেকেই এই ভাবে বেরিয়ে এসেছে জমা রাগ। কখনও মেয়েদের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে, কখনও ছেলেদের মারধরের বিরুদ্ধে, কখনও আবার ভিটেমাটি দখলের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালি দ্বীপের ভিতরে যত যাওয়া যায়, এমনই সব ঘটনা পরতে পরতে খুলে আসে। চোখের জলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে রাগও। ৮ নম্বর কর্ণখালির এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বরাবর জানি, রাম আমাদের আরাধ্য দেবতা। কিন্তু, ত্রিমণি বাজারে গিয়ে আমরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে পারি না। বললে শিবুর (শিবপ্রসাদ হাজরা) লোকজন ধাওয়া দিত।” আমাদের তো ‘জয় শ্রীরাম’ বলার অধিকার আছে। সেটা এতদিন বলতে পারিনি। পাত্রপাড়ার এক মহিলা বলেন, ওরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না আমাদের ছেলেদের। ধামাখালির খেয়াঘাট দিয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে তৃণমূলের পতাকার সঙ্গে গেরুয়া রং পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। আর এতদিন জয় শ্রীরাম বলতে না পারার জ্বালা মিটিয়েছেন এলাকাবাসী।

    সন্দেশখালি জু়ড়ে বাড়়ছে ক্ষোভ

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ক্ষোভের আগুন বেড়েই চলেছে। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্দেশখালি জুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মহিলারা। তাঁরা সাফ বলেন, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামে অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহজাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, উঠল শাহজাহানের ‘ফাঁসির’ দাবি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, উঠল শাহজাহানের ‘ফাঁসির’ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন করে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকায় মহিলারা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে জনরোষ কমাতে গ্রামে অভিযোগপত্র জমা নেওয়ার জন্য পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকালে মিছিল করে শাহজাহান বাহিনীর অন্য সদস্য সিদ্দিক মোল্লা, সিরাজ মাস্টারদের গ্রেফতারের জানানোর জন্য অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা অভিযোগ না জানিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এদিন শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরই আন্দোলনকারীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। আবির খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা।

    শাহজাহানের ফাঁসির দাবি উঠল! (Sandeshkhali)

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামের অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। তাঁদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় য়ে তাণ্ডব চালিয়ে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহ জাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

    ভোট দিতে দিত না শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী!

    এই শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর দাপটের কারণে বছরের পর বছর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ ভোট দিতে পারতেন না। তাঁদের অভিযোগ, কেউ ৩ বছর, কেউ ১০ বছর আবার কেউ ১১ বছর নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। কী হত ভোটের দিনগুলো এই সন্দেশখালিতে? মাঝেরপাড়ার এক মহিলার ভোটার বলেন, ভোটের দিন এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ভোটের ঘরের ভিতরে ঢুকতেই কাগজপত্র নিয়ে নখে কালি লাগিয়ে দিত শাহজাহানের লোকজন। এরপরই ভোটের কাগজটা হাত থেকে নিয়ে নিত ওরা। ইভিএমে বোতাম আর টিপতে পারতাম না। ওরা সব করত। আমরা কথা বলতে পারতাম না। তাঁরা বলছেন, যতদিন না শেখ শাহাজাহানকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন তাঁরা একটু ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান কেউ কেউ। পুকুরপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, শাহজাহানের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভয় আছে। আমরা আজ আনন্দ করছি ঠিকই, কিন্তু এটা এখনও দীর্ঘস্থায়ী বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share