Tag: tmc

tmc

  • Jalpaiguri: অভিষেকের সফরে আসার আগেই কাউন্সিলর সহ তৃণমূলের বহু নেতার ইস্তফা

    Jalpaiguri: অভিষেকের সফরে আসার আগেই কাউন্সিলর সহ তৃণমূলের বহু নেতার ইস্তফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসার আগেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বেশ কয়েকজন আদি তৃণমূল নেতা পদত্যাগ করলেন। ব্রিগেডে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পরই তৃণমূলের আদি নেতারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জলপাইগুড়ি জেলার নেতৃত্ব ও ময়নাগুড়ি টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। তালিকায় উল্লেখযোগ্যভাবে একজন তৃণমূল কাউন্সিলরও রয়েছেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। লোকসভা ভোটের আগে শাসক দলের পুরানো নেতাদের পদত্যাগে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    তৃণমূল কংগ্রেসে একনায়কতন্ত্র চলছে (Jalpaiguri)

    পদত্যাগ করার তালিকায় রয়েছেন, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক সমীরণ চৌধুরী, ময়নাগুড়ি টাউন ব্লক কমিটির সম্পাদক অপু রাউত, ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য তথা তৃণমূল কাউন্সিলর অমিতাভ চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন পদাধিকারী। এদিন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক সমীরণ চৌধুরী জেলা নেতৃত্বের ওপর একরাশ ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসে একনায়কতন্ত্র চলছে। দলের জন্মলগ্ন থেকে আমরা পদে আছি। গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে লোকসভা ভোেট চলে এল, অথচ এখনও পর্যন্ত আমরা কোনও কর্মসূচিতে ডাক পাচ্ছি না। কোনও সিদ্ধান্ত নিলেও তা আমাদের জানানো হচ্ছে না। এ-ব্যাপারে কথা বলেও কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই পদত্যাগ করছি।’ এই একই অভিযোগ তুলে ময়নাগুড়ি টাউন ব্লক কমিটির সম্পাদক অপু রাউত বলেন, ‘আমরা পদে থেকে কোনও কর্মসূচির খবর বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও খবর পাই না। তাই আমরা পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। তবে, যদি আমাদের লোকসভার প্রার্থী ডাকেন, আমরা ভোটের প্রচার করব।’এছাড়াও ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য তথা অমিতাভ চক্রবর্তীও একই অভিযোগ করেন। সবাই সাধারণ সদস্য বা ভোটার হিসাবে থাকবেন বলেই জানিয়েছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অভিষেকের আসার আগেই এই ধরনের ঘটনায় শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এদিকে ময়নাগুড়ি-১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের বক্তব্য, কারা পদত্যাগ করেছে তা আমাদের জানা নেই। আর দলে কোনও কোন্দল নেই।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানকে নোটিশ দিল সিবিআই, শোরগোল

    CBI: বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানকে নোটিশ দিল সিবিআই, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে ইডির ওপরে হামলার ঘটনার তদন্তে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শঙ্করের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বনগাঁ পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বাড়ি। তাঁকে এদিন সিবিআই (CBI) নোটিশ ধরিয়েছে।

    চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়া হয় (CBI)

     ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি হানা দেওয়ার পর শাহজাহান বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। ওই দিনই বনগাঁয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে ইডি হানা দেয়। শঙ্করকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ইডি-র ওপর হামলা হয়। সেই হামলার ঘটনার তদন্তে এদিন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে নোটিশ ধরাল সিবিআই (CBI)। সোমবার সকালে ইডির উপরে হামলার ঘটনার তদন্তে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শঙ্করের বাড়িতে ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তায় রয়েছে বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনার তথ্য শঙ্কর আঢ্যর বাড়ির ক্যামেরাগুলি তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেতে চান তদন্তকারীরা। সে কারণেই সোমবার গোপাল শেঠের সঙ্গে বেশি কিছু সময় কথা বলার পর তাঁকে নোটিশ ধরানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। পাশাপশি বনগাঁ থানা, বনগাঁ পুরসভাকেও নোটিশ দেয় সিবিআই। শঙ্করের বাড়ির এলাকায় কয়েকটি সিসি ক্যামেরা আছে, যার কয়েকটি নিয়ন্ত্রণ পুরসভার হাতে বলে খবর। কয়েকটি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ থানার হাতে। ঘটনার দিনের ফুটেজ পাওয়ার জন্যই এদিন থানা ও পুরসভাকে দেওয়া হয় নোটিশ।

    ২০ মার্চের মধ্যে ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ

    আর শিমুলতলায় শঙ্করের বাড়ির আশপাশের কয়েকজন প্রতিবেশীকেও এদিন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় সিবিআই। এমনকী শঙ্করের বাড়ি ও পার্টি অফিসে লাগানো ক্যামেরায় ঘটনার দিনের কী ছবি ধরা পড়েছে তা খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। সে কারণেই এদিন শঙ্কর আঢ্যকেও নোটিশ ইস্যু করা হয়। এদিন তাঁর স্ত্রী সিবিআইয়ের (CBI) নোটিশ গ্রহণ করেন। নোটিশে আগামী ২০ মার্চের মধ্যে সকলকেই তথ্য হিসাবে ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: বিজেপি ভোট চাইতে এলে ঝাঁটা হাতে বিদায় করুন, নিদান তৃণমূল কাউন্সিলরের

    Panihati: বিজেপি ভোট চাইতে এলে ঝাঁটা হাতে বিদায় করুন, নিদান তৃণমূল কাউন্সিলরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীরা বাড়িতে ভোট চাইতে এলে ঝাঁটা হাতে বিদায় দেওয়ার নিদান দিলেন পানিহাটি (Panihati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ বড়ুয়া। বিশেষ করে মহিলাদের কাছে তিনি এই আবেদন রাখেন। পানিহাটি তৃণমূল কাউন্সিলরের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি এভাবে বক্তব্য রাখতে পারেন তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর? (Panihati)

     লোকসভা নির্বাচনে ৪২ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থীদের জীবন লিখনের কাজ শুরু করে দেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। সোমবার সকালে পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এইচ বি টাউন এলাকায় দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করা হয়। দেওয়াল লিখনে পুরসভার কাউন্সিলর প্রদীপ বড়ুয়া সহ মহিলা কর্মী সমর্থকেরাও সামিল হন। দেওয়াল লিখনের সেই জায়গায় পানিহাটি পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ বড়ুয়া বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীরা বাড়িতে ভোট চাইতে আসলে মহিলারা ঝাঁটা হাতে তাদেরকে বিদায় করুন।” এমনিতেই পানিহাটি পুরসভা এলাকা দলীয় কোন্দলে জর্জরিত। চেয়ারম্যানকে সরানোর জন্য দলের সিংহভাগ কাউন্সিলর জোটবদ্ধ হয়েছেন। নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরদের কাছে বার বার বলার পরও কোনও কাজ হয়নি। ফলে, তৃণমূলের ওপর তিতি বিরক্ত সাধারণ মানুষ। এখন তৃণমূল কাউন্সিলর এই ধরনের কথা বলে মানুষের আস্থা আদায়ের চেষ্টা করছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, মহিলারা ঝাঁটা হাতে নিয়ে কাদের সম্বর্ধনা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন, সেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখেছেন সন্দেশখালিতে। তৃণমূলকে শুধু একটাই কথা বলব,২০২৪ এর পরে বাড়িতে থাকতে হলে বিজেপিকে সহযোগিতা করা শুরু করুন এখন থেকেই।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  •  Murshidbad: ‘হিন্দু-মুসলিম সকলেই মোদিকে জেতাতে চাইছেন’, বহরমপুরে প্রচারে বার্তা মুক্তার আব্বাস নাকভির

     Murshidbad: ‘হিন্দু-মুসলিম সকলেই মোদিকে জেতাতে চাইছেন’, বহরমপুরে প্রচারে বার্তা মুক্তার আব্বাস নাকভির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু-মুসলিম সকলেই মোদিকে জেতাতে চাইছেন। বহরমপুর (Murshidbad) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে বার্তা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি। মুর্শিদাবাদ জেলার সদর কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসকে ‘গদি গ্যাং’ এবং ‘তৃণমূল সংখ্যালঘু ভোটারকে চুইংগামের মতো ব্যবহার করে’ বলে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। উল্লেখ্য এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

    কী বললেন মুক্তার আব্বাস (Murshidbad)?

    মুর্শিদাবাদে (Murshidbad) লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপিরও প্রচার শুরু হয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস বলেন, “২০২৪ সালের লোকসভার নির্বাচন মহাভারতের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ সত্যের সঙ্গে অসত্যের। ধর্মের সঙ্গে অধর্মের লড়াই। কংগ্রেসের গদি গ্যাং রয়েছে। এই গদি গ্যাং গালি গ্যাং হয়েছে। মোদির নামে গালিগালাজ করে কেবলমাত্র। আর এটাই তাদের একমাত্র সংস্কৃতি। দেশের সাধারণ মানুষ তাদের সঠিক জবাব দেবে। আমরা সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলছি। এখন হিন্দু-মুসলিম সকলেই মোদিজিকে জেতাতে চাইছেন।

    বহরমপুর কেন্দ্র এখন হাইভোল্টেজ

    লোকসভা ভোটের আগে মুর্শিদাবাদ (Murshidbad) জেলার বহরমপুর কেন্দ্রে এখন হাইভোল্টেজ। এই কেন্দ্রে গত পাঁচবারের সাংসদ রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। অবশ্য মুসলিম ভোট যে মূল লক্ষ্য, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিজেপির প্রার্থী নির্মলকুমার সাহা। কংগ্রেসের তরফ থেকে নাম ঘোষণা না হলেও অধীরই প্রার্থী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    অধীরের বক্তব্য

    সাংবাদিক বৈঠকে বহরমপুরের (Murshidbad) সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেছেন, “আমি চাই মমতা ব্যানার্জি ও খোকাবাবু আমার বিরুদ্ধে লড়াই করুক। আমি যদি গোহারা হারাতে না পারি তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো। আপনার নাম করে আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। আমি  তৃণমূলের প্রার্থীকে হারিয়ে ছাড়বো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sayantika Banerjee: প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সায়ন্তিকা

    Sayantika Banerjee: প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সায়ন্তিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিগেডে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরদিনই আচমকাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে দল তাঁকে প্রার্থী করবে বলে আশা করেছিলেন তিনি। ঘনিষ্ঠমহলে তা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় তালিকায় নাম নেই তাঁর। আর তারপরই তিনি ইস্তফা দেন। ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ইস্তফাপত্রে কী রয়েছে? (Sayantika Banerjee)

    গত বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া কেন্দ্রে বিধায়ক পদপ্রার্থী হিসেবে হেরে যাওয়ার পর দল গুরুত্ব দিয়েছিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sayantika Banerjee) । সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পেয়েছিলেন তিনি দলের রাজ্য সম্পাদকের পদ। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, গত তিন বছর ধরে লাগাতার বাঁকুড়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন তিনি। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচী ছাড়াও বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে জনসংযোগও রেখেছিলেন। তাই বাঁকুড়া লোকসভা থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশী ছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু, দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। এরপরই তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন নেত্রী-অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে সায়ন্তিকা তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “আমি গত ৩ বছর ধরে দলের সামগ্রিক রাজনৈতিক-প্রতিবাদী এবং উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। দলের সুনির্দিষ্ট আদর্শ অনুসরণ করে সমস্ত কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে আংশগ্রহণ করেছি। এই পর্যায়ে, আমি দলের সমস্ত রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    অরূপের নাম ঘোষণার পর ব্রিগেড ছে়ড়ে চলে যান সায়ন্তিকা!

    তৃণমূল সূত্রে খবর, বাঁকুড়া লোকসভা থেকে টিকিট পাবেন বলে নিশ্চিতও ছিলেন। কিন্তু, শেষমেশ প্রার্থী করা হয়নি তাঁকে। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে যখন সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee) প্রবেশ করেন, তখন বেশ চনমনেই দেখাচ্ছিল তাঁকে। মঞ্চে আরও যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েক জন জানান, অভিষেক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর দেখা যায় বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে অরূপ চক্রবর্তীকে প্রার্থী করা হয়েছে। এরপরই কিছুক্ষণ পর সভাস্থলে থেকে সায়ন্তিকা চলে যান। তারপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ‘ডানহাত’ জিয়াউদ্দিন সহ ৭ ঘনিষ্ঠ

    Shahjahan Sheikh: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ‘ডানহাত’ জিয়াউদ্দিন সহ ৭ ঘনিষ্ঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তলব পেয়ে সোমবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) ‘ডানহাত’ বলে পরিচিত জিয়াউদ্দিন মোল্লা। তাঁর সঙ্গে আরও ৬ জন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী আছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সিবিআই দফতরে সকাল ১১ টায় ঢোকার মুখে জিয়াউদ্দিন বলেন, “তদন্তে সব রকম সহযোগিত করব।”

    শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) ‘ডান হাত’ জিয়াউদ্দিন

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) ডানহাত হিসাবে পরিচিত জিয়াউদ্দিন মোল্লা। উল্লেখ্য ইডির তদন্তকারী অফিসারদের উপর হামলার সময় তাঁর উপস্থিত আগেই নজরে এসছিল। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে কীভাবে এই তৃণমূল নেতা রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত শাহজাহানের বাড়ি তাল্লাশিতে বাধা দিয়েছিলেন। এরপর থেকে এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম নিয়ে শোরগোল পড়েছে সংবাদমাধ্যমে। জিয়াউদ্দিন সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণে নেতৃত্বের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গতকাল বসিরহাট আদালতে তোলা হয় শেখ শাহজাহানকে। তাঁর মোবাইল হাতে পেতে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। রবিবার শাহজাহানকে (Shahjahan Sheikh) বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    ইডির উপর আক্রমণ

    গত ৫ জানিয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় সরবেড়িয়ার আকুঞ্জিপাড়ায় অভিযুক্ত শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে যায় ইডি। কিন্তু বাড়িতে তালা থাকায়, তালা ভেঙে ঢুকতে গেলে শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) ঘনিষ্ঠ তথা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তদন্তকারী অফিসারদের উপর। এই আক্রমণে তিন জন অফিসারের মাথা ফাটে। নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ করা হয়। তাঁদের গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় । একাধিক নথি নষ্ট করে দেওয়া হয়। এরপর কোনও ক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে টোটোয় চেপে নিজেদের জীবন রক্ষা করেন ইডির আধিকারিকরা। আক্রমণের পর থেকেই তৃণমূলনেতা শাহজহান পালাতক হন। ইডির তরফ থেকে ন্যাজাট থানায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত ভার এবং শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) হেফাজত নেয় সিবিআই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে সিবিআই

    CBI: রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরার পর এবার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির এলাকায় গেল সিবিআই (CBI)। শঙ্কর বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে রেশন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। যদিও শঙ্কর নিজে সে সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। সোমবার বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ফরেন্সিক দল নিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা সোমবার সকালে বনগাঁয় পৌঁছেছেন। রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্করের বাড়িতে ইডির ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত করতে যায় সিবিআই।

    সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে (CBI)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। ইডি-র ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। ওই দিনই বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সে দিনই রাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়। শঙ্করকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধার সম্মুখীন হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। শঙ্করের অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখান। এমনকি, ইডির গাড়িতে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। বনগাঁ থানায় অভিযোগও হয়। সেই হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এর আগেও সিবিআইয়ের (CBI) দল শঙ্করের বাড়ির এলাকায় গিয়েছিল। তবে তখন তারা বাড়ির ভিতরে ঢোকেনি। সোমবার বাড়িতে ঢুকেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সে দিন রাতে কারা ছিলেন, ইডিকে কারা বাধা দিয়েছিলেন, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    শঙ্করের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ

    এর আগে তারা সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ফরেন্সিক দল। ইডির দু’জন আধিকারিকও সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে গিয়েছিলেন। শাহজাহানের বাড়ি, অফিস, বাজারে তল্লাশি চালানো হয়। ডুগরিপাড়া গ্রামে শাহজাহানের দুই ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। একই ভাবে এদিন বনগাঁয় শঙ্করের বাড়ি থেকেও নমুনা, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    Barrackpore: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট পাননি অর্জুন সিং। পার্থ ভৌমিকের ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এতে বেজায় চটেছেন এবং দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন অর্জুন। অর্জুনের অনুগামীরাও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। দত্তপুকুর, ভাটপাড়ার মেঘনা মোড়ে অর্জুন অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এবার পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অর্জুন।

    পার্থ সকলকে উস্কে সাংসদকে গালাগাল করাচ্ছিল (Barrackpore)

    পার্থ ভৌমিককে নিয়ে অর্জুন বলেন, ১০০ শতাংশ পার্থর ভূমিকা ছিল। ওই তো সকলকে উস্কে থেকে দলের সাংসদকে গালাগাল করাচ্ছিল। ওই তো সব করাচ্ছিল। সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারীদের প্রকাশ্য বারাকপুরে (Barrackpore)’বিদ্রোহ’কে অর্জুন ‘স্ক্রিপ্টেড’ বলেন এদিন। অর্জুন সিং বলেন, “স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী দু’জন বিধায়ককে দিয়ে বলানো, সিন ক্রিয়েট করা হয়। বলানো হয়, এরা ক্ষতি করে দেবে। আমি দিদিকে বলেছিলাম, এরা তো ২০১৯-এও আমার বিরুদ্ধে ছিল। তবে আমার দিদি, অভিষেকের ওপর কোনও ক্ষোভ নেই। তবে, আমাকে ডেকে এভাবে যা করা হল।” রাজনীতিতে একটা জিনিস চলে, বিরোধীদের একত্রিত করে একজনের উপর আঘাত করে শেষ করে দেওয়া। এটা রাজনীতিতে হয়। তাই হয়েছে। আমার সঙ্গে এটা হয়েছে, আমি কিছুটা শকড। তবে আমার আগে ভাবা উচিত ছিল। আমি বিশ্বাস করেছিলাম, তাতেই আঘাতটা হল।

    বিশ্বাস করা ভুল হয়েছে

    বেশ কিছুদিন ধরেই বারাকপুরে (Barrackpore) অর্জুন সিংকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীরা। সূত্রের খবর, সোমনাথ শ্যাম দলকে প্রকাশ্যে জানিয়ে রেখেছিলেন, অর্জুনকে প্রার্থী করা হলে প্রচারে যোগ দেবেন না। সোমনাথ শ্যাম একা নন। সুবোধ অধিকারীও প্রকাশ্যে বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে যারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করে, যারা বারাকপুরে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এক সময়, কোনওভাবেই মানুষ তাদের মানবে না। অর্জুনের দাবি, বিজেপি থেকে এলেও বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁয় টিকিট পেলেন। তাহলে তিনি কেন পেলেন না? অর্জুন বলেন, “কোথাও না কোথাও আমারই ভুল হয়েছে। আমি বিশ্বাস করেছি। এটা কারও সঙ্গে করা উচিত না। আমাকে বলে আনা হয় বারাকপুরের জন্য। আমি বুঝতেই পারলাম না কিছু।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “গদ্দারকে কেউ বিশ্বাস করবে না”, মুকুটমণি প্রার্থী হতেই তোপ জগন্নাথের

    Ranaghat: “গদ্দারকে কেউ বিশ্বাস করবে না”, মুকুটমণি প্রার্থী হতেই তোপ জগন্নাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বড় ব্যবধানে জিতবো। তৃণমূল এই গদ্দার মুকুটমণি অধিকারীকে কেউ বিশ্বাস করবে না। তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পর কড়া আক্রমণ করলেন রানাঘাটের (Ranaghat) বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, ভোটে আরও ভালো ফলাফল হবে। সাধারণ মানুষের কোনও উপকার করেনি মুকুটমণি। তাই এবার ওই এলাকার বিজেপি কর্মীরা আরও ভালোভাবে নির্বাচনে লড়াই করতে পারবে।

    তৃণমূল ডুবন্ত নৌকা (Ranaghat)

    ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে রাজ্যের ৪২ টি আসনে লোকসভা প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। একের পর এক চমকও রয়েছে সেই প্রার্থী তালিকায়। তবে, রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রে সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করা এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে প্রার্থী নির্বাচিত করল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তার  সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ  জগন্নাথ সরকার। সুতরাং,এবছর ভোটের লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার কারণ মুকুটমণি অধিকারী এবং জগন্নাথ সরকারকে নিয়ে বিজেপির দ্বন্দ্ব এর আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরেই মুকুটের দলবদল এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তার প্রার্থী হওয়ার কারণ। জগন্নাথ বলেন, তৃণমূল দল এখন ডুবন্ত নৌকা। এখানে সবাই চোর। যারা আদর্শ বিজেপি কর্মী তারা কখনও বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করে না। তাঁর মস্তিষ্ক সুস্থ রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তবে, এর প্রভাব লোকসভা ভোটে পড়বে না।

    গদ্দারকে কেউ বিশ্বাস করবে না

    তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী  মুকুটমণি অধিকারীকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, অন্য কেউ ভোটে দাঁড়ালে হয়তো জয়ের ব্যবধানটা এক লক্ষ হত। তবে, মুকুট ভোটে দাঁড়ানোর কারণে ব্যবধানটা দু লক্ষ পেরিয়ে যাবে। কারণ, তৃণমূল এই গদ্দার মুকুটমণি অধিকারীকে কেউ বিশ্বাস করবে না। আর সাধারণ মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি এবং তাদের হিংস্রতা চোখের সামনে দেখেছে। শুধু তাই নয় মুকুটমণি অধিকারীকে অনভিজ্ঞ, অপরিণত,লোভী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও অভিহিত করেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: “বারাকপুরে টিকিট দেওয়া হবে বলে এনেছিল”, পার্থকে তৃণমূল প্রার্থী করতেই তোপ অর্জুনের

    Barrackpore: “বারাকপুরে টিকিট দেওয়া হবে বলে এনেছিল”, পার্থকে তৃণমূল প্রার্থী করতেই তোপ অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভায় তৃণমূলের কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে ব্রিগেডের সভা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে প্রার্থী করা হয়েছে। আর সাংসদ অর্জুন সিংকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। আর তারপরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাস্তায় আন্দোলনে নামলেন তৃণমূল কর্মীরা। রাস্তা অবরোধ করে অর্জুন অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    শুরু হল তৃণমূল প্রার্থী হয়ে প্রচার (Barrackpore)

    কয়েকদিন আগেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের একাধিক জায়গায় তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের নামে পোস্টার পড়েছিল। নাম ঘোষণার আগে পোস্টার প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে, অর্জুন বিরোধী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বেশ কয়েকমাস ধরে নতুন প্রার্থীর দাবি জানাচ্ছিলেন। অর্জুনকে কোনওভাবে যাতে প্রার্থী না করা হয় তার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছিলেন। আর বিভিন্ন মিটিং, পথসভায় অর্জুনের বিরুদ্ধে তাঁরা প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এই আবহের মধ্যে এই লোকসভায় রাজ চক্রবর্তীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। বারাকপুর শিল্পা়ঞ্চল জুড়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার পড়েছিল। এসবের পরই এদিন পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণা করা হয়। স্বাভাবিকভাবে অর্জুন বিরোধীরা উজ্জীবিত। অর্জুন বিরোধীদের বক্তব্য, পার্থ ভৌমিক ভূমিপুত্র। মন্ত্রী হয়ে তিনি প্রচুর কাজ করেছেন। দলীয় নেতৃত্ব যোগ্য মানুষকে প্রার্থী করেছেন। বিপুল ভোটে তিনি জয়লাভ করবেন। ইতিমধ্যেই পার্থ ভৌমিকের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর নামে পোস্টারও বিভিন্ন জায়গায় টাঙানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

     রাস্তা অবরোধ করলেন অর্জুন বিরোধীরা

    অর্জুন সিংকে দল এবার টিকিট না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ দলের একাংশ। বিশেষ করে অর্জুন অনুগামীরা মুষড়ে পড়েছেন। এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দত্তপুকুর এলাকায় অর্জুন অনুগামীরা বনগাঁ রোড অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বারাকপুর (Barrackpore) কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে অর্জুন সিংকে প্রার্থী করতে হবে। পরে, পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।

    আগে জানলে তৃণমূলে আসতাম না

    পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণা হওয়ায় ক্ষুব্ধ অর্জুন। তিনি বলেন,”দেড় বছর ধরে দলের দায়িত্বে ছিলাম না। শুধু সাংসদ ছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল বারাকপুরে (Barrackpore) টিকিট দেওয়া হবে। দলে যিনি এনেছিলেন তিনিই বলেছিলেন। এবার টিকিট দেওয়া হয়নি।” এবার কি তাহলে নতুন পথে হাঁটবেন অর্জুন? বললেন না কিছু। তবে অর্জুন বলেন, “আক্ষেপ থাকবে। দেড় বছর ধরে দল বলে নিয়ে এল টিকিট দেবে বারাকপুরে। আগে জানলে তো আমি আসতামই না। আমি বারাকপুরের মানুষকে ঠকাইনি। আমাকে বারবার টোপ দেওয়া হচ্ছিল, এখানে চলে যান ওখানে চলে যান। আমি বারাকপুর ছেড়ে যাব না তো। এখানে জন্মেছি, এখানে মরব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share