Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী সমর্থক। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের আটমনোহরপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই ভোটের মুখে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের আট মনোহরপুর গ্রামে মঙ্গলবার দোল উৎসব চলছিল। ঠিক সেই সময় বক্স বাজানো কে কেন্দ্র করে এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর। এরপরেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাস, রড নিয়ে  বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরই জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দোল উৎসব চলাকালীন উচ্চস্বরে বক্স বাজানোয় এলাকার এক বাসিন্দা প্রতিবাদ করলে  দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়  কুলপি থানার পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

    আরও পড়ুন: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনায় কুলপি ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি স্বপন দাস বলেন,  কুলপি ব্লকে বিজেপি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেছে। তাই দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। তিনি এও জানান, আগামী দিনে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাবো। কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। কারণ ভোটের আগে কোন ইস্যু নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে এলাকায় গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের মুখে উদয়নের গড়ে ধস নামালেন নিশীথ, বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল নেতা

    Cooch Behar: ভোটের মুখে উদয়নের গড়ে ধস নামালেন নিশীথ, বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর খাসতালুকে ধস নামালো বিজেপি। যুব তৃণমূলের কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-২ ব্লকের সভাপতি সুকুমার বর্মন যোগ দিলেন বিজেপিতে। কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের হাত থেকে পদ্ম পতাকা তুলে নিলেন তিনি। সোমবার বিকেলে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বাসভবনে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন তিনি। লোকসভা ভোটের মুখেই যুব তৃণমূলের এই পদাধিকারীর বিজেপিতে যোগদান কোচবিহারে আরও শক্তি বাড়ালো বিজেপি। এমনই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    তৃণমূলে সিন্ডিকেট রাজ চলছে! (Cooch Behar)

    কোচবিহারের (Cooch Behar) রাজনীতিতে উদয়ন বনাম নিশীথের লড়াই নতুন কোনও ঘটনা নয়। মাঝেমধ্যেই যুযুধান দুই পক্ষের দুই নেতার মুখে কথার ফুলঝুরি দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি তো একেবারে প্রকাশ্য রাস্তায় বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই নেতা। উদয়ন তো বিজেপি প্রার্থী নিশীথের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই আবহে এবার খোদ উদয়নের খাসতালুকে যুব তৃণমূলের এই ভাঙন ধরিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। কিন্তু, ঘাসফুলের সঙ্গ ছেড়ে পদ্মে নাম লেখালেন কেন যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি? এই প্রসঙ্গে সুকুমার বর্মন বলেন, যাঁরা এলাকায় দলীয় সংগঠন তৈরি করতে গিয়ে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, বর্তমানে সেই দুর্দিনের কর্মীরা ‘অবহেলিত, লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত’। এখন দলের মধ্যে কোনও নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। তৃণমূলে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রধান ঠিক করা হয়েছে। এ দলে থাকা যায় না।

    আরও পড়ুন: “অন্য পার্টির লোক আমাদের ভুল বুঝিয়ে ছিল, রেখার পাশে রয়েছি”, বললেন বিক্ষোভকারীরা

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    যুব তৃণমূলের দিনহাটা-২ ব্লকের সভাপতির এই দলবদলের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য বলেন, সুকুমার বর্মন শুধু খাতায় কলমেই ব্লকের যুব সভাপতি ছিলেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই দলে কোনও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। এমনকী ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছিলেন। তাই, এই দল বদলের কোনও প্রভাব এলাকায় পড়বে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে আর বেশি দেরি নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলের তরফে নাম ঘোষণা হতেই রঙের উৎসবের দিনেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়লেন রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। মন্দিরে পুজো দিয়ে দিনভর চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে হোলি খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপি প্রার্থী।

    কে এই কার্তিক পাল? (Raiganj)

    রবিবার রাতেই দিল্লি থেকে রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কার্তিক পালের নাম ঘোষণা করা হয়। বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ফলে, রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে সামিল কার্তিকবাবু। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবু ভূমিপুত্র। একসময় তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি এলাকায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। ২০১৯ সালের পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এলাকায় তাঁর নিবিড় জনসংযোগ রয়েছে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। ফলে, কার্তিকবাবু প্রার্থী হওয়াতে শুধু বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা খুশি হয়েছেন তা নয়, সাধারণ মানুষও বেজায় খুশি।

    আরও পড়ুন: চন্দ্রনাথের বাড়িতে উদ্ধার ৪১ লাখ, চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রীকে তলব ইডির

    দোল ও হোলিতে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কালিয়াগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরেই জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন কার্তিক পাল। মাড়োয়ারি পট্টিতে দোল উৎসবে সামিল হন তিনি। তারপর  কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলোনিতে অবস্থিত প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মূর্তিতে মাল্যদান করেন। দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাহেবঘাটা এলাকায় এক নাবালিকার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের সমাধিস্থলেও মাল্যদান করেন। পাশাপাশি পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। মঙ্গলবার শেঠ কলোনি, মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকায় হোলি খেলার পাশাপাশি চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। পরে, কার্তিকবাবু বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আমার বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সঙ্গে আমারপ মূল লড়াই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা রাখেননি দেব, ঘাটালে পড়ল পোস্টার, শোরগোল

    Dev: ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা রাখেননি দেব, ঘাটালে পড়ল পোস্টার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিকাঠামো উন্নয়নে স্কুলকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev) ওরফে দীপক অধিকারী। কথা রাখেননি বিদায়ী সাংসদ। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে পড়ল পোস্টার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়েছে।

    ৫০ লক্ষ টাকা স্কুলকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন দেব (Dev)

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পুরসভা এলাকায় রয়েছে ‘খড়ার সূর্যকুমার হেমাঙ্গিনী হাইত বালিকা বিদ্যালয়’। সেই স্কুল বিল্ডিং-এর বেহাল দশা। পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। এ কথা জানতে পেরে গত বছরের ৮ অক্টোবর খড়ারে স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দেব (Dev)। সেখানেই তিনি ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কয়েক মাস কেটে গেলেও দেবের কথা দেওয়া টাকা এখনও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও কেন টাকা দেওয়া হল না, সেই অভিযোগ তুলেই পোস্টার দেওয়া হয়েছে এলাকায়। পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘হিরণ জিতে দেবে টাকা।’

    আরও পড়ুন: ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব’, তৃণমূলকে আক্রমণ অর্জুনের

    স্কুল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    এই প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগেই দেব (Dev) দাবি করেছেন যে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট সময়ে। তবে, এখনও সেই টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ পায়নি। টাকা যে এখনও পর্যন্ত দেব স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেননি, তা স্বীকার করেছেন স্কুল পরিচালন কমিটি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। সেই কারণেই বিজেপি দাবি করেছে যে, দেব কথা রাখেননি। কয়েকদিন আগে প্রচারে এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলে দেব বলেন, বিষয়টি মাথায় আছে। টাকা দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, আমরা  রাজনীতি বুঝি না, শুধু দ্রুত উন্নয়ন চাই স্কুলের।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, আমি নিজে টাকা জোগাড় করেছিলাম, কিন্তু তৃণমূল ধমকে-চমকে সেই টাকা নিতে নিষেধ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ভোটের জন্য এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও লাভ হবে না। পরবর্তীতে এসব নিয়ে আন্দোলন আরও বড় হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: তমলুকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি

    Abhijit Ganguly: তমলুকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারপতি হিসেবে তাঁর ভূমিকা দেখেছেন রাজ্যবাসী। বহু বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের কাছে তিনি “ভগবান” হয়ে উঠেছিলেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সেই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) তমলুক কেন্দ্রে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি। তবে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর তমলুক কেন্দ্রে দাঁড়়ানোর বিষয়ে জল্পনা চলছিল। এবার সেই জল্পনাই সত্যি হল।

    প্রাক্তন বিচারপতির ওপর আস্থা রাখল বিজেপি (Abhijit Ganguly)

    গত ৩ মার্চ, বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তার পরদিনই কলকাতা হাইকোর্টে ছিল তাঁর শেষ দিন। গত ৫ মার্চ রাষ্ট্রপতিকে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। আদালত কক্ষ ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। হাতে তুলে নেন পদ্মশিবিরের পতাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিলিগুড়ির জনসভার মঞ্চেও দেখা যায় তাঁকে। সেই  সভায় দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন রেখেছিলেন। ইতিমধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই নন্দীগ্রামে ১ নম্বর ব্লকের হরিপুরে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়। এবার সেই প্রাক্তন বিচারপতির ওপর আস্থা রাখল বিজেপি।

    আরও পড়ুন: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    তমলুকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী

    তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় তমলুক বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। গতবার লোকসভা নির্বাচনে সেখানে জয়ী হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। যিনি বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিচারপতি থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। রাতারাতি হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীর ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই ক্যারিশ্মাকে কাজে লাগিয়ে তমলুক কেন্দ্রে গেরুয়া শিবির ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিরুদ্ধে ভালো কোনও প্রার্থী খুঁজে পায়নি। তাই, তরুণ প্রার্থী দিয়ে তৃণমূল কতটা লড়াই করতে পারে সেটাই এখন দেখার। রাজ্যের মানুষ এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    Nadia: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের রাজবধূ অমৃতা রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল। বিজেপি-র দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ হতেই সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিল পদ্মশিবির। রাজবধূ তথা নদিয়ার (Nadia) রানিমাকে কৃষ্ণনগরে কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি।

    রানিমাকে প্রার্থী করে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি (Nadia)

    গত লোকসভা নির্বাচনে মহুয়ার জয়ের নেপথ্যে ছিল নদিয়ার (Nadia) চাপড়া, পলাশীপাড়া ও কালীগঞ্জ বিধানসভা। ওই তিনটি বিধানসভা থেকে বিপুল ভোট পেয়েছিলেন মহুয়া। গত পাঁচ বছরে কালীগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি হওয়ায় ওই বিধানসভায় ছন্নছাড়া অবস্থায় শাসকদল। একমাত্র কাঁটা চাপড়া বিধানসভা। সেখানে এত দিন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও ভোটের মুখে দলত্যাগী নেতাদের আবার দলে এনে বড় ব্যবধানে জিততে চাইছে তৃণমূল। তাই বিজেপিও পাল্টা চাইছে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জিততে। কৃষ্ণনগর উত্তর বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর, সেখানে ভোটের ব্যবধান বৃদ্ধি করতে ‘রানিমা’র মতো এক জন স্থানীয়, প্রভাবশালী ও পরিচিত এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুখকে প্রার্থী করে বাজিমাত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। জেলায় বিজেপির এক নেতা বলেন, “অমৃতা রায় রাজপরিবারের বিভিন্ন সামাজিকঅনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে জনসংযোগ করেন। এ ছাড়াও জগদ্ধাত্রী পুজো, দুর্গাপুজা ও রাজবাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের রাশ এখন তাঁর হাতে। ভোটারদের মধ্যে আবেগ রয়েছে রাজপরিবার নিয়ে।”

    আরও পড়ুন: বসিরহাট কেন্দ্রে চমক বিজেপির, সন্দেশখালির প্রতিবাদী রেখার ওপর ভরসা মোদির

    প্রার্থী হয়ে কী বললেন রানিমা?

    দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে ১৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় অমৃতার নাম রয়েছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর রানিমা অমৃতা রায় বলেন, “নদিয়ার (Nadia) ইতিহাসে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অবদান সকলে জানেন। ভারতে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের ভূমিকা আজও সবাই মনে রেখেছেন। রাজবধূ নয়, সাধারণ জনতার কণ্ঠ হওয়ার জন্যই ভোটের ময়দানে আসা। আশা করি, মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি-র কর্মিসভায় হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি-র কর্মিসভায় হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বিজেপির কর্মিসভায় তৃণমূলের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জীবনতলার মাঠেরদিঘি এলাকায়। হামলার জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হন। পরে, বিজেপি প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তাতে জখম হয়েছেন দুপক্ষের অন্তত সাতজন। আহতদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপির চারজন বলেই জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    সরকারি অনুমতি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জীবনতলার মাঠেরদিঘি এলাকায় বিজেপি-র কর্মিসভা হচ্ছিল। সেখানেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে হামলাকারীরা। বিজেপির দাবি, পুলিশকে হামলার কথা জানানো হয়। তা সত্ত্বেও আহত দলীয় কর্মীদের উদ্ধারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ভোটের আগে এই অশান্তিকে কেন্দ্র করে থমথমে জীবনতলা থানার মাঠেরদিঘি এলাকা। বিজেপির হাতাহাতিতে জখম দুপক্ষের অন্তত সাতজন। আহতদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপির চারজন বলেই দাবি। ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিজেপির দুই কর্মীকে। যাঁদের মধ্যে সুব্রত দাস নামে এক মণ্ডল সভাপতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যানিংয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রামকুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, কর্মীদের মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার (South 24 Parganas) সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, দলীয় কর্মিসভায় তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। কর্মীরা জখম হন। সন্ত্রাস করে সব কিছু শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তৃণমূলের ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীরা বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বিজেপির লোকজনেরা কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করে। তা থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। অশান্তির জেরে আমাদের কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, কর্মীদের মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nadia: বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, কর্মীদের মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচারে বেরিয়ে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদা বিধানসভার এক নম্বর চাঁদুড়িয়া এলাকায়। বাধা দিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ছিঁড়ে নেওয়া হয় এক বিজেপি কর্মীর সোনার চেন। পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা বলে অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    রবিবার নদিয়ার (Nadia) চাকদা বিধানসভার এক নম্বর চাঁদুড়িয়া মালাপাড়া মোড়ে স্থানীয়দের উদ্যোগে হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিতে যান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি পৌঁছতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ির ওপর চাড়াও হয়। গাড়ির ওপর চল, কিল,ঘুসি মারতে থাকে। গাড়ির ভিতরেই ছিলেন জগন্নাথবাবু। বিজেপি কর্মীরা এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। বেশ কয়েকজন কর্মীকে, ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামাকাপড়। এছাড়াও সোনার চেন ছিনতাই করার চেষ্টা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরে, বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তা রক্ষীরা হামলাকারীদের সরিয়ে দেন। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনওরকম পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। এই ঘটনার পিছনে প্রশাসনের মদত আছে বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। দুষ্কৃতীদের মারে আহত বিজেপির বুথ সভাপতি নীলকান্ত হালদার বলেন, বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার আমাদের আমন্ত্রনে হরিনাম সংকীর্তন এ উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু, আচমকা তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। আমরা প্রতিবাদ করাই আমাদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের লোকজন।

    প্রশাসনের মদতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, সম্পূর্ণ প্রশাসনের মদতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর এই ঘটনার জন্য চাকদা (Nadia) থানার আইসি দায়ী। শুধু আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে তা নয়, আমাদের একাধিক কর্মীকে মারধর করেছে। পাশাপাশি গলার সোনার চেন সহ একাধিক জিনিস লুট করার চেষ্টা করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমার সামনেই দলীয় কর্মীদের বেধড়ক মারল তৃণমূলের লোকজন।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

     তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ বিষয়ে নদিয়ার (Nadia) জেলা তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, সামনে ভোট বিজেপি প্রার্থী নিজেও জানেন এবারে তিনি পরাজিত হচ্ছেন। সেই কারণে তারা নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Howrah: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রথমদফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বিজেপির। চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এই আবহে জেলায় জেলায় তৃণমূল ছে়ড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে। ২০০১ সালে ভোটে জিতে জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক হন বিমান চক্রবর্তী। তাঁরই ছেলে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অনিকেত চক্রবর্তী শনিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁর সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৫০০ জন যোগ দেন বিজেপিতে।

    বিজেপি এবার ভাল ফল করবে (Howrah)

    শনিবার হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া হসপিটাল মাঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিতি বিজেপিতে যোগ দেন অনিকেত। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, দল যেভাবে কাজ করতে বলবে, সেভাবেই কাজ করব। ছোট থেকে জগৎবল্লভপুর কেন্দ্র দেখে এসেছি। বাবাকে বিধায়ক দেখেছি, সভাপতি হিসাবে থাকতে দেখেছি। আমিও দীর্ঘদিন দায়িত্ব নিয়ে পদে থেকে কাজ করেছি। শ্রীরামপুর লোকসভার সার্বিক ফল নিয়ে বলার যোগ্যতা আমার আছে বলে মনে করি না। তবে, এটুকু বলতে পারি জগৎবল্লভপুরের ১৭টা অঞ্চলে বিজেপি কোনওদিন যে ফল করেনি তা এবার করবে।”

    আরও পড়ুন: বুকে-পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ধানখেতে বিজেপি কর্মীর দেহ, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    জগৎবল্লভপুর (Howrah) পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রঞ্জন কুণ্ডু বলেন, “জগৎবল্লভপুরে তৃণমূল একটা অটুট পরিবার। এখানে মাদার, মহিলা, যুব, সব একসঙ্গে রয়েছে। আর যিনি দল ছেড়েছেন বলে শুনছি তাঁকে নিয়ে বলার কিছু নেই। তিনি জগৎবল্লভপুরের তৃণমূলের এক সময়ের সদস্য ছিলেন। বছর দুই হয়ে গেল তিনি রাজনীতি থেকে এক প্রকার বিদায় নিয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছে বিজেপিতে গেলে কিছু পাওয়ার আছে, তাই গিয়েছেন। বিশেষ কিছু এ নিয়ে বলার নেই। ফলে, তৃণমূলের বড় কেউ বিজেপিতে যোগ দেন নি।  আর ৫০০ জনের বেশি যোগদানের যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohua Moitra: কৃষ্ণনগরের পর করিমপুরে মহুয়ার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই

    Mohua Moitra: কৃষ্ণনগরের পর করিমপুরে মহুয়ার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। এরপরই শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মহুয়া মৈত্রের কলকাতার বাড়ি, কৃষ্ণনগরের পার্টি অফিসে সিবিআই টিম হানা দেয়। আর সবশেষে করিমপুরের বাড়িতেও যায় সিবিআই। আর দিনভর তল্লাশির মধ্যে সিবিআই আধিকারিকরা তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন।

    কৃষ্ণনগরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিবিআই

    কৃষ্ণনগরের আগে সিবিআইয়ের একটি দল শনিবার সকালে আলিপুরে ‘রত্নাবলী’ নামে একটি আবাসনে যায়। জানা যাচ্ছে, সেখানে ন’তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মহুয়ার (Mahua Moitra) বাবা দীপেন্দ্রলাল মৈত্র। সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল হানা দেয়। এরপরই কৃষ্ণনগরে আসে সিবিআইয়ের একটি টিম। ওই মামলাতেই তৃণমূল প্রার্থীর আলিপুরের বাসস্থানের পর এবার কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রর বাসস্থানে হানা দেয় সিবিআই। পরে, নির্বাচনী কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় তারা। সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগরের সিদ্ধেশ্বরী তলায় যেখানে মহুয়া থাকেন সেখানে এসেছেন সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল হানা দিয়েছিল। সঙ্গে ছিলেন ৮ থেকে ১০ জন জওয়ান। প্রায় দুঘণ্টা তল্লাশির পর সিবিআই আধিকারিকরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। সিবিআই আধিকারিকদের দেখে “জয় বাংলা” স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: হোলিতে গরম বাড়বে ৯ রাজ্যে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    করিমপুরে মহুয়ার (Mahua Moitra) বাড়িতে সিবিআই!

    কৃষ্ণনগরের পর থেকে সিবিআই টিম সোজা করিমপুরে মহুয়ার বাড়িতে যায়। রাত ৯টা নাগাদ সেখানে সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছান। সেখানেও তাঁরা তল্লাশি চালান। তবে, সেখানে কী নথিপত্র পেয়েছে সেই বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা কিছু বলতে চাননি। সিবিআই অভিযান চালানো প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, মূলত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে দলীয় প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে এই তদন্ত চালাচ্ছে। বিজেপি যত এসব করবে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক তত আরও বেশি বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share