Tag: USA

USA

  • PM Modi US Visit: ‘‘এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর’’, মার্কিন কংগ্রেসে বললেন মোদি

    PM Modi US Visit: ‘‘এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর’’, মার্কিন কংগ্রেসে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বশান্তির জন্য একসঙ্গে কাজ করবে ভারত-আমেরিকা। দুই দেশই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে দায়বদ্ধ। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi US Visit)। জানালেন, মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রাখতে পেরে তিনি সম্মানিত। তবে এই সম্মান তাঁর নয়, এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। 

    ভারত-মার্কিন সম্পর্ক

    প্রতিদিন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে। বাণিজ্য, অর্থনীতি থেকে সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রেই এক সুতোয় মালা গাঁথার চেষ্টা চলছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit) বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে, ভারতীয় এবং আমেরিকানরা একে অপরকে আরও ভাল করে চিনছে… ভারতের বাচ্চারা হ্যালোউইনে স্পাইডারম্যান সাজছে এবং আমেরিকার বাচ্চারা ‘নাটু নাটু’ এর সুরে নাচছে।’ তিনি জানান, ‘মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রেখে সম্মানিত। মার্কিন কংগ্রেসের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি’। এদিন তাঁকে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘ভারতবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। নতুন শতাব্দীর কথা বলতে এসেছি। ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। প্রবাসী ভারতীয়রা মার্কিন কংগ্রেসে ইতিহাস গড়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে ভারতীয় আমেরিকানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’

    মোদি-মোদি স্লোগান

    মোদির ভাষণের মাঝে মার্কিন (PM Modi US Visit) আইনপ্রণেতাদের দেখা যায়, করতালি দিয়ে, উঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করতে। এমনকি, ওঠে মোদি-মোদি স্লোগানও। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন ভাষণের সময় দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির উপর জোড় দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই-এর প্রসঙ্গও। এর সঙ্গে তিনি অন্য এআই, অর্থাৎ, ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রভূত অগ্রগতি ঘটেছে। একই সময়ে, আরেকটি এআই – আমেরিকা এবং ভারত-এর সম্পর্কও উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে।”

    বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্য

    মার্কিন কংগ্রেসের সামনে মোদি ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্যও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বৈচিত্র্য ভারতের জীবনধারারই অংশ। আমাদের ২২টি সরকারি ভাষা এবং হাজার হাজার উপভাষা রয়েছে। তবুও আমরা এক সুরে কথা বলি। সারা বিশ্বে এখন সবাই ভারতের উন্নয়ন, গণতন্ত্র এবং বৈচিত্র্যের সম্পর্কে জানতে চাইছেন। সবাই জানতে চাইছেন, ভারত কী করছে, কীভাবে করছে। প্রত্যেকের আস্থা এবং যৌথ প্রচেষ্টায় সকলের উন্নতি হোক, এটাই ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী”।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বশান্তির জন্য ভারত আমেরিকা অঙ্গীকারবদ্ধ,” হোয়াইট হাউসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রসঙ্গ

    রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রসঙ্গে ফের একবার যুদ্ধবিরোধী বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit)। তিনি ফের লেন, “এটা যুদ্ধের যুগ নয়। আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতির সময়। রক্তপাত এবং মানুষের দুর্ভোগ বন্ধ করতে আমাদের সকলের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে হবে।” সন্ত্রাসবাদকে মানবতার শত্রু বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কোনও দ্বিধা থাকতে পারে না,বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে মহিলাদের উন্ননয়, নেতৃত্বদান  নিয়েও কথা বলেন মোদি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi US Visit: “বিশ্বশান্তির জন্য ভারত আমেরিকা অঙ্গীকারবদ্ধ,” হোয়াইট হাউসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi US Visit: “বিশ্বশান্তির জন্য ভারত আমেরিকা অঙ্গীকারবদ্ধ,” হোয়াইট হাউসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে (White House ) রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi US Visit)। বৃহস্পতিবার ১৯টি গান স্যালুটে স্বাগত জানানো হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বাজানো হয় দুই দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “আমরা এক সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। যখন আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম, সেই সময় থেকে। আমি যখন প্রেসিডেন্ট হলাম, তখন বিশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা সম্পর্ক তৈরি করলাম। বর্তমান বিশ্বের প্রয়োজনেই ভারত-আমেরিকার এক সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।”

    “ভারত-আমেরিকা দারিদ্র দূরীকরণে সচেষ্ট”

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত-আমেরিকা দারিদ্র দূরীকরণে সদা সচেষ্ট। খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি আমরা। এসবই করা হচ্ছে আমেরিকার জন্য, ভারতের জন্য এবং তামাম বিশ্বের ভালর জন্য। বিশ্ব বদলাচ্ছে প্রযুক্তিগত, সামাজিক এবং রাজনৈতিক দিক দিয়ে। আজ আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি তার সুফল ফলবে ভবিষ্যতে।”

    ‘উই দ্য পিপল’

    ভারত-আমেরিকার কাছাকাছি আসা যে বিশ্বের কল্যাণেই, এদিন ফের একবার তা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit)। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে ভারত-আমেরিকা গাঁটছড়া বেঁধেছে। দুই দেশেরই সংবিধান শুরু হয়েছে ‘উই দ্য পিপল’ শব্দবন্ধ দিয়ে। দুই দেশই বৈচিত্র নিয়ে গর্ব বোধ করে। কোভিড-উত্তর কালে বিশ্ব নয়া আকার নিচ্ছে। বিশ্বের কল্যাণ, শান্তি এবং স্থায়ীত্বের জন্য আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।” এদিন সকালে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi US Visit) স্বাগত জানানোর পর শুরু হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠক শেষে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে যোগ দেবেন নৈশভোজে।

    আরও পড়ুুন: “বিদেশে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন কীভাবে?” কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেখানে স্বাক্ষরিত হয়েছে হ্যাল-জিই মউ। সূত্রের খবর, ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান ‘তেজস’-এর মার্ক ২ ভ্যারিয়েন্টের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ‘এফ-৪১৪’ ইঞ্জিন তৈরি করবে মার্কিন সংস্থা জিই। তেজস যুদ্ধবিমানের প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (সংক্ষেপে হ্যাল) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতেই তৈরি হবে ওই জেট ইঞ্জিন। এদিন এই মর্মে মউ স্বাক্ষর করেন দুই সংস্থার কর্তারা। এদিনও ফের মেক ইন ইন্ডিয়ায় জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা ইস্তক, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি কমিয়ে দেশে উৎপাদন করার। কেন্দ্রের এই নীতির স্বপক্ষে ভারতে এখন বহু পণ্য উৎপাদন হচ্ছে, যা আগে বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি করা হত। সেই তালিকায় জড়ল আরও একটি নাম। এবার দেশেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক ফাইটার জেট ইঞ্জিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi US Visit: মোদির সফরের মধ্যেই এইচ-১বি ভিসা নীতিতে বদল আনছে বাইডেন প্রশাসন?

    PM Modi US Visit: মোদির সফরের মধ্যেই এইচ-১বি ভিসা নীতিতে বদল আনছে বাইডেন প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi US Visit) সফরের প্রাক্কালে গ্রিনকার্ডের নিয়ম শিথিল করেছিল বাইডেন প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী পরে ফের আরও এক সুখবর মিলল আমেরিকা (America) যেতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের জন্য। সেটি হল, যেসব ভারতীয় কর্মসূত্রে আমেরিকায় যাচ্ছেন, সে দেশে তাঁরা যাতে বসবাস করতে পারেন, সে জন্যই এবার বদল আনা হচ্ছে মার্কিন ভিসা নীতিতে। বর্তমানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সম্মানে আজ, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। এমন সময় আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    এইচ-১বি ভিসা

    কোভিড পরিস্থিতিতে এইচ-১বি ভিসা নীতি বদলের প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লটারি নীতি (PM Modi US Visit) বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। যুক্তি ছিল, কর্পোরেট সংস্থাগুলি কম বেতনে বিদেশ থেকে লোক নিয়োগ করায় মার্কিন নাগরিকরা কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই বিদেশ থেকে লোক নিয়োগ করার সময় এবার থেকে দক্ষতা ও বেতন কাঠামোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হয়েই ট্রাম্পের আমলের ওই সিদ্ধান্ত বদলের কথা ঘোষণা করেন বাইডেন। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসা প্রাপকদের মধ্যে থাকেন ৭০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয়।

    বাইডেনের জমানায়ই ফের বদল

    সেই বাইডেনের জমানায়ই ফের বদল আসতে চলেছে এইচ-১বি ভিসা নীতিতে (PM Modi US Visit)। দক্ষ ভিনদেশিরা যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে আমেরিকায় থাকতে পারেন, সেজন্যই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তবে অল্প সংখ্যক ভারতীয় ও অন্য দেশের নাগরিকরা যাঁরা বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছেন বা কর্মসূত্রে আমেরিকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হবে প্রথমে। এদিন নৈশভোজের অনুষ্ঠানেই এ ব্যাপারে ঘোষণা করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। জানা গিয়েছে, আপাতত অস্থায়ীভাবে এই ভিসা দেওয়া হবে। পরে দু বছরের মধ্যে নতুন ভিসা নীতি পুরোদমে চালু করা হবে। তবে পুরানো ভিসা নীতিতে কী কী পরিবর্তন আনা হবে, তা জানা যায়নি।

    আরও পড়ুুন: তত্ত্বাবধানে খোদ মার্কিন ফার্স্ট লেডি! আজ মোদির সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ

    প্রসঙ্গত, এইচ-১বি সহ আরও কয়েকটি ভিসার সাহায্যেই দক্ষ বিদেশি কর্মীদের আমেরিকায় (PM Modi US Visit) নিয়ে যায় মার্কিন সংস্থাগুলি। ভারত এবং চিন থেকে দক্ষ কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির একমাত্র ভরসা এই এইচ-১বি ভিসা। এই ভিসাগুলির সঙ্গে অবশ্য অভিবাসনের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 26/11 Attack: ফের ভেটো চিনের, ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণা করা গেল না সাজিদ মিরকে

    26/11 Attack: ফের ভেটো চিনের, ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণা করা গেল না সাজিদ মিরকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চিনের (China) ভেটোয় আটকে গেল লস্কর-ই-তৈবা নেতা সাজিদ মিরকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণার প্রস্তাব পাশ। মুম্বইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসের (26 /11 Attack) অন্যতম মূল চক্রী এই সাজিদ। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাব পাশ করাতে চেয়েছিল ভারত ও আমেরিকা। বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় চিনের ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা। তার জেরে আটকে গিয়েছে এই ইন্দো-মার্কিন উদ্যোগ। অথচ সাজিদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করা হলে বাজেয়াপ্ত করা যেত তার সম্পত্তি। বাইরে যাতায়াতেও জারি হত নিষেধাজ্ঞা। বেজিংয়ের বাধায় ভেস্তে গেল নয়াদিল্লি-ওয়াশিটনের সেই পরিকল্পনা।

    সাজিদের কীর্তি

    কেবল মুম্বই হামলা নয়, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং ডেনমার্কেও নানা হামলার নেপথ্যে সাজিদ রয়েছে বলে অভিযোগ খোদ আমেরিকার। ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল আমেরিকার এক আদালত সাজিদকে অভিযুক্তও করে একাধিক হামলার ঘটনায়। সেই মামলায় বলা হয়েছিল, ২৬/১১-র ঘটনায়ও (26 /11 Attack) বিদেশিদের আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সাজিদ। বন্দিদের হত্যার নির্দেশও দিয়েছিল সে। তার পর থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছে সাজিদের নাম। আমেরিকা সাজিদের মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ৫০ লক্ষ ডলার।

    জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য

    কেবল আমেরিকায় নয়, পাকিস্তানের একটি মামলায়ও সাজা দেওয়া হয়েছিল সাজিদকে। জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের মামলায় ২০২২ সালের জুন মাসে সাজিদকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল পাকিস্তানের আদালত। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, এফএএফটির ধূসর তালিকা থেকে দেশের নাম সরাতে সাজিদকে কারাদণ্ড দিয়েছিল ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান। এহেন সাজিদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার ইন্দো-মার্কিন প্রস্তাব পাশে বাধা হয়ে দাঁড়াল বেজিং। অবশ্য এই প্রথম নয়, গত বছরও সাজিদের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল শি জিনপিংয়ের সরকার।

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথম বাণিজ্যনগরীতে হামলা চালায় পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা। জলপথে মুম্বইয়ে ঢুকে পড়ে ১০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালায় তারা। ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত জঙ্গি (26 /11 Attack) হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৪ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন ২৮ জন বিদেশিও। রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল আরব সাগরের জল।

    আরও পড়ুুন: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • PM Modi: আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, দেখা করবেন ইলন মাস্কের সঙ্গেও?

    PM Modi: আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, দেখা করবেন ইলন মাস্কের সঙ্গেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের আমন্ত্রণে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি সফরে তিনি সাক্ষাৎ করবেন টেসলা সিইও এবং ট্যুইটারের মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে।

    মোদি-মাস্ক সাক্ষাৎ

    ২০১৫ সালে ক্যালেফোর্নিয়ার টেসলা মোটরস কারখানা পরিদর্শনের সময় ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেই সময় ট্যুইটারের মালিক ছিলেন না মাস্ক। ভারতে কারখানা গড়ে তোলার জন্য জায়গা খুঁজছে টেসলা। এমন সময় ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বই কি! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক জানিয়েছিলেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই টেসলা ভারতে কারখানা গড়ার জন্য জমি নির্বাচন চূড়ান্ত করে ফেলবে।

    কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মোদি?

    কেবল মাস্ক নন, এদিন নিউইয়র্কে পা রাখার পরেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সাক্ষাৎ করবেন দু ডজনেরও বেশি খ্যাতনামা ব্যক্তির সঙ্গে। এঁদের মধ্যে যেমন নোবেল পুরস্কার প্রাপক রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন গায়ক, শিক্ষাবিদ সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। জানা গিয়েছে, চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন লেখক ও জ্যোতির্পদার্থবিদ নীল ডিগ্র্যাস টাইসন, অর্থনীতিবিদ পল রোমার, পরিসংখ্যানবিদ নিকোলাস নাসিম তালেব, বিনিয়োগকারী রে ডালিও, ইন্দো-মার্কিন গায়ক ফালু শাহ, লেখক ও গবেষক জেফ স্মিথ, প্রাক্তন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ফ্রোম্যান, কূটনীতিক ড্যানিয়েল রাসেল এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এলব্রিজ কোলবির সঙ্গে। নোবেলজয়ী চিকিৎসক পিটার অ্যাগ্রে, স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ক্লাসকো এবং ইন্দো-মার্কিন ব্যবসায়ী ও শিল্পী চন্দ্রিকা ট্যান্ডনের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী”! পশ্চিমবঙ্গ দিবসে তোপ শুভেন্দুর

    আমেরিকায় ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বুধবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। পরের দিন বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ভাষণ দেবেন মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে। ওই দিনই নৈশভোজ সারবেন বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেনের সঙ্গে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। আমেরিকা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী যাবেন মিশরে। সেখানেও যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Narendra Modi: মোদির মার্কিন সফরসূচি! জেনে নিন কখন, কোথায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    Narendra Modi: মোদির মার্কিন সফরসূচি! জেনে নিন কখন, কোথায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের আমন্ত্রণে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ২১ থেকে ২৪ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর চারদিনের সফরে রয়েছে ঠাসা কর্মসূচি। বিদেশমন্ত্রক থেকে প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী আজ, মঙ্গলবার আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির এটা তৃতীয় মার্কিন সফর।

    ২১ জুন 

    ২১ জুন আমেরিকায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে আন্তজার্তিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে শুরু হবে মোদির (Narendra Modi) মার্কিন সফর। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রেসিডেন্ট সাবা করোসিও থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে। যোগ দিবেসে অংশগ্রহণের পর হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুই নেতা একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। 

    ২২ জুন

    ২২ জুন মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন নমো (Narendra Modi)। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দ্বিতীয়বার ভাষণ দেবেন তিনি। এর আগে ২০১৬ সালে ষষ্ঠ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলেন মোদি। মোদির সম্মানে এদিন হোয়াইট হাউসে আয়োজন করা হয়েছে একটি নৈশভোজেরও। 

    আরও পড়ুন: ২১ তারিখ আসছেন মোদি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে প্রস্তুতি তুঙ্গে, দেখুন ভিডিও

    ২৩ জুন

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আমেরিকার শিল্পপতি এবং অন্যান্য স্টকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। যোগ দেবেন আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানেও। ২৪ জুন মিশরের রাজধানী কায়রোতে গিয়ে পৌঁছাবেন মোদি। চলতি বছরে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুজকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। সেই সময় মোদিকে মিশর সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। এই সফরে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন নমো।  ২৫ জুন দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি

    PM Modi: আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে সে দেশে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২২ জুন হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন বাইডেন (Joe Biden) এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। ওই রাতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন মোদি। এদিনই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণও দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভাষণ দেবেন মোদি

    পরের দিন প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন প্রবাসী ভারতীয়দের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রেগন বিল্ডিং ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারে হবে ওই অনুষ্ঠান। সেখানে ভারতের উন্নতির গল্প শোনাবেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় সন্ধে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হবে ওই অনুষ্ঠান। আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা মেরি মিলবেন গাইবেন মোদির সৌজন্যে। ২১ তারিখে পালিত হবে ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে। রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে মোদির নেতৃত্বে মর্যাদা সহকারে পালিত হবে দিনটি। ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে সেখানেও উপস্থিত থাকবেন মিলবেন।

    মোদির জনপ্রিয়তা

    মোদির রোনাল্ড রেগন সেন্টারের অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম ভারত বড়াই বলেন, “মোদি (PM Modi) এ দেশে ভীষণ জনপ্রিয়। তিনি কেবল ভারতের নেতা নন, তিনি বিশ্বেরও অন্যতম নেতা।” বর্তমানে আমেরিকায় ৪.৫ মিলিয়ন প্রবাসী ভারতীয় রয়েছেন। এঁদের সদস্যরা আশা করেন একমাত্র মোদিই সে দেশের বিভিন্ন শহরে বক্তৃতা দিয়ে তাঁদের মধ্যে সংযোগ সাধন করবেন। ইন্ডিয়ান আমেরিকান কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বড়াই বলেন, “প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁরা চেয়েছিলেন ২০১৪ সালে ম্যাসিডন স্কোয়ার গার্ডেনে এবং ২০১৯ সালে হিউস্টনে যেমন মেগা কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল, এবারও তেমনটাই হবে।

    আরও পড়ুুন: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    প্রাথমিক সেই পরিকল্পনা অবশ্য বাতিল করা হয়েছে। তার বদলে অনুষ্ঠান হবে রোনাল্ড রেগন বিল্ডিং ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারে।” বড়াই জানান, ওয়াশিংটন ডিসি সফর শেষে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কয়েক ঘণ্টা সময় ব্যয় করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রবাসী সব ভারতীয়কে ওই অনুষ্ঠানে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে হাজারখানেক প্রবাসী ভারতীয় উপস্থিত থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে। প্রবাসী ভারতীয়দের আশা, ২২ জুন বাইডেনের তরফে যে মোদিকে স্বাগত জানানো হবে, তা চাক্ষুষ করতে উপস্থিত থাকবেন বহু প্রবাসী। মোদির (PM Modi) সম্মানে প্রবাসীদের তরফে নিউইয়র্ক সহ সে দেশের ২০টি শহরে পদযাত্রা করা হবে। স্লোগান দেওয়া হবে, ‘মোদি মোদি’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘বন্দে আমেরিকা’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির মার্কিন সফরে অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান?

    PM Modi: মোদির মার্কিন সফরে অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সে দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে। এর মধ্যে রয়েছে বাইডেনের সঙ্গে নৈশভোজও। রয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়াও। প্রধানমন্ত্রীর সফরে গন্ডগোল পাকাতে চাইছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বৈঠক আইএসআইয়ের

    সেই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআই (ISI) খালিস্তানপন্থী বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে। এই সংগঠনগুলি আমেরিকায় ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সফরের মধ্যে অশান্তি পাকানোর ষড়যন্ত্র ছকা হয়েছে ওই বৈঠকে। মোদির আমেরিকা সফরের দিন ঘনিয়ে আসতেই সে দেশে সক্রিয় হয়েছে আইএসআই। কেবল তাই নয়, খালিস্তানপন্থী এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত সংগঠনগুলিকে আর্থিক সাহায্যও করছে পাকিস্তানের ওই গোয়েন্দা বিভাগ।

    মোদির গুরুত্ব

    ইদানিং কালে বিশ্বনেতাদের মধ্যে অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদিকে। ব্যতিক্রম নয় আমেরিকাও। সেই কারণেই বাইডেন প্রশাসনের তরফে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মোদিকে। হাতে গোণা বিশ্বনেতাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র, যিনি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন দুবার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সম্মান এবং গুরুত্ব প্রত্যাশিতভাবেই মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে পাকিস্তানের। সেই কারণেই মোদির সফরে অশান্তির ছক কষা হয়েছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।

    আরও পড়ুুন: আইনি চাপে কমিশন! আজ কি সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি?

    জানা গিয়েছে, মোদির (PM Modi) সফরে বিঘ্ন ঘটানোর একটা ছকও কষেছে আইএসআই। কীভাবে বিক্ষোভ দেখানো হবে, কোথায়ইবা দেখান হবে এসবই প্রকাশ্যে এসেছে। ভারত-বিরোধী বিদ্বেষের বিষ ছড়াতে খোলা হয়েছে ওয়েবসাইটও। ভারতীয় সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন বলেও মিথ্যে প্রচার করতে শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আইএসআইয়ের মদতে যেসব সংগঠন বিক্ষোভ দেখানোর ছক কষছে, তাদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, পিস অ্যাকশন, ভেটারেন্স ফর পিসের মতো সংগঠনও। ২২ জুন হোয়াইট হাউসে মোদিকে স্বাগত জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। সেই সময় হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ওই সংগঠনগুলি। ‘মোদিকে স্বাগত নয়’, ‘হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে ভারতকে রক্ষা কর’ জাতীয় স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এখন দেখার, বিক্ষোভকারীদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বাইডেনের দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Modi Ji Thali: প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে মার্কিন রেস্তোরাঁয় চালু ‘মোদিজি থালি’

    Modi Ji Thali: প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে মার্কিন রেস্তোরাঁয় চালু ‘মোদিজি থালি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই ৪ দিনের আমেরিকা সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। তার আগেই নিউ জার্সির একটি রেস্তোরাঁ তাঁদের মেনুতে আনল নয়া চমক। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জ্ঞাপনের উদ্দেশে তাদের রেস্তোরাঁয় চালু করল ‘মোদি জি থালি’ (ModiJi Thali)। 

    কারা তৈরি করল ‘মোদি জি থালি’

    আগামী ২১ থেকে ২৪ জুন মার্কিন সফরে যাচ্ছেন মোদি। মার্কিন সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে এক রাষ্ট্রীয় নৈশভোজেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু সরকারি স্তরে নয়, বেসরকারি দিক থেকেও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানানোর জন্য বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা। এই প্রস্তুতিরই অন্যতম অংশ ‘মোদি জি থালি’(ModiJi Thali)! আমেরিকার নিউ জার্সি শহরের এই রেস্তোরাঁটির মালিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শেফ শ্রীপদ কুলকার্নি। আমেরিকায় মোদির জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই এই থালি প্রস্তুত করেছেন তিনি। 

    কী কী রয়েছে ‘মোদি জি থালি’তে

    কুলকার্নি বলেন, এই থালিটি নিউ জার্সিতে অবস্থিত ভারতীয় কমিউনিটিদের চাহিদা থেকেই তৈরি করা হয়েছে। একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন রেস্তোরাঁর মালিক নিজেই। সেখানে মোদি জি থালিতে (ModiJi Thali) কী কী খাবার রয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণও দিয়েছেন। ‘মোদি জি থালি’-তে রয়েছে খিচড়ি, রসগুল্লা, সরষে শাক, কাশ্মীরি দম আলু, ইডলি, ধোকলা, চাচ এবং পাপড় সহ অন্যান্য খাবার। শুধু তাই নয়, ভারতের আবেদন মেনে রাষ্ট্রপুঞ্জ যে ২০২৩ সালটিকে ‘আন্তর্জাতিক বাজরা বছর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেই বিষয়টিকেও এই থালিতে উদযাপন করা হয়েছে। থালিতে বাজরার তৈরি খাবার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’-এর মোকাবিলায় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    রেস্তোরাঁটির মালিক শ্রীপদ কুলকার্নির আশা শীঘ্রই স্থানীয় ভারতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ‘মোদি জি থালি’ (ModiJi Thali) অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করবে। আর তার পরই আরও একটি বিশেষ থালি চালু করবেন তাঁরা। সেই বিশেষ থালিটি উৎসর্গ করা হবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে। এর কারণ, ভারতীয়-মার্কিন সম্প্রদায়ের কাছে জয়শঙ্কর একজন ‘রকস্টার’-এর সম্মান পান। তাই, বিদেশমন্ত্রীর সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতেই তাঁর নামেও একটি বিশেষ থালি তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

    PM Modi: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছরের মেয়াদে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে যাচ্ছেন আমেরিকা (America)। ২২ জুন তিনি আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden)। সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইউএসএর হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারআইন জিনপিয়েরে জানান, রাষ্ট্রপতি ভবনের এবং আমেরিকান ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন রাষ্ট্রীয় যাত্রায় যাওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানাবেন। ২২ জুন একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সফরের বিশেষত্ব…

    স্টেট ভিজিটের বিশেষত্ব হল, যে ব্যক্তিকে কোনও রাষ্ট্র আমন্ত্রণ জানায়, তাঁর সম্মানে নৈশভোজ দেওয়া হয়। তাঁর সফরের পুরো খরচটাই বহন করে হোস্ট বা আমন্ত্রণকারী দেশ। জানানো হয় বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মানও। অতিথির সম্মানে ২১টি তোপধ্বনি দেওয়ার রেওয়াজও রয়েছে। আমন্ত্রণকারী এবং আমন্ত্রিত দেশের সম্মানে বাজানো হয় দুই দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত। উপহার আদানপ্রাদান করেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একাধিকবার আমেরিকা গিয়েছেন মোদি। এবারই প্রথম তিনি যাচ্ছেন স্টেট ভিজিটে। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য দুই দেশই দায়বদ্ধ। তাছাড়াও প্রতিরক্ষা, পরিবেশ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কৌশলগত বোঝাপড়া রয়েছে দুই দেশের।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    মোদির (PM Modi) আমেরিকা সফর এই বিষয়গুলিকে আরও জোরদার করবে বলে দাবি বাইডেন প্রশাসনের। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে তুলে ধরবে এই সফর। প্রযুক্তি, বাণিজ্য, শিল্প সহ একাধিক ক্ষেত্রে, যেখানে দুই দেশেরই পারস্পরিক আগ্রহ রয়েছে, তা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সুযোগ পাবেন রাষ্ট্রনেতারা।

    আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিংহ সান্ধু বলেন, বাইডেনের আমন্ত্রণে মোদির (PM Modi) এই আমেরিকা সফর ঐতিহাসিক। প্রধানমন্ত্রী এবং বাইডেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবেন। এই সফর দুই দেশের প্রধানের কাছেই একটা সুবর্ণ সুযোগ।কূটনীতিকদের মতে, স্বাধীন ও মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নীতি সংক্রান্ত আলোচনা হতে পারে। কারণ দুই দেশের তরফেই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনের বিরোধিতা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২১ সালে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share