Tag: USA

USA

  • Tejas:  তেজসের তেজ! কেন জানেন ভারতীয় যুদ্ধ বিমানে আগ্রহী আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া

    Tejas: তেজসের তেজ! কেন জানেন ভারতীয় যুদ্ধ বিমানে আগ্রহী আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন বা রাশিয়ার যুদ্ধবিমান নয়। ভারতের তেজস (Tejas) ফাইটার জেট কিনতেই আগ্রহী মালয়েশিয়া (Malaysia), আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্স। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়াকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১৮টি যুদ্ধবিমান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    গত বছরই ভারত সরকার ৮৩টি তেজস বিমান তৈরি করার জন্য হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড-এর (HAL)সঙ্গে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করেছে । ২০২৩ সালের মধ্যেই সেগুলি তৈরি হয়ে যাবে বলে অনুমান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্প যো এগিয়ে চলেছে তার প্রমাণ তেজস।

    তেজস ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট’টি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মীত। বায়ুসেনার জরাগ্রস্ত মিগ-২১ বিমানগুলির জায়গা নেবে তেজস। ইতিমধ্যেই একাধিক পরীক্ষায় সফলভাবে উতরেছে তেজস। ২০২০ সালে প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় রুশ নির্মিত ‘আইএল-৭৮’ জ্বালানিবাহী বিমান থেকে জ্বালানি ভরা হয় তেজসে। স্বল্প সময়েই প্রায় ১৯ হাজার লিটার জ্বালানি পৌঁছে যায় তেজসে। মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরে বিশ্বের প্রথম সারির সামরিক শক্তির তালিকায় নাম লেখায় ‘আত্মনির্ভর’ ভারত। এবার সেই বিমান কিনতে আগ্রহ দেখাল বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা-৭৫ এর সংকল্প হোক আত্মনির্ভর ভারত

    প্রতিরক্ষার বিষয়ে বিদেশের প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠাই লক্ষ্য মোদি সরকারের। আর সেদিকেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ তেজসের মতো বিমান তৈরি। চিনের জেএফ-১৭ জেটগুলির দাম কম হলেও তেজস মার্ক-১-এর মতো অতটা আধুনিক নয়। হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) দ্বারা নির্মিত ‘তেজস’ একটি একক ইঞ্জিন বিশিষ্ট এবং অত্যন্ত সক্ষম মাল্টি-রোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট, যা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে সক্ষম। তেজসের গড়ন এবং প্রযুক্তিই একে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। তেজসের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এর ওজন। সুখোইয়ের থেকে ওজনে অনেক বেশি হালকা তেজস। আট টন পর্যন্ত ওজন বহনে সক্ষম তেজস। সুখোই ওজনে ভারী। কিন্তু সুখোইয়ের সমানই অস্ত্রশস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম তেজস। এ ছাড়াও দুরন্ত গতিও এগিয়ে রেখেছে তেজসকে। ৫২ হাজার ফুট উচুঁতেও এর গতির জুড়ি মেলা ভার।

  • Ukraine Russia War: “ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি হতে পারে”, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    Ukraine Russia War: “ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি হতে পারে”, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine Russia War) দু’মাস অতিক্রম করেছে। যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই বরং আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছ রাশিয়া (Russia)। এবার সরাসরি পশ্চিমকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World war III) হুঁশিয়ারি দিল রাশিয়া। আর মস্কোর (Moscow) নিশানায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ও ন্যাটোভুক্ত (NATO allies) দেশগুলি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের (Ukraine) ছোড়া নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র (Neptune missile)  রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজের ওপর আছড়ে পড়ে। যুদ্ধজাহাজ মস্কভা (Moskva cruise ship) ধ্বংস হয়ে যাবার পরেই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল রাশিয়ার সরকারি টিভি চ্যানেল। এবার সেই হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ (Sergei Lavrov)। একটি রুশ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাভরভ বলেন, ‘‘রাশিয়াকে নিশানা করতেই ওই সমস্ত অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়া পাল্টা সেখানে হামলা করার অধিকার রাখে।’’

    ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে লাভরভ জানান, তারা সামরিক জোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটা প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ (proxy war) শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘‘মোদ্দা কথা, রাশিয়ার সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে ন্যাটোবাহিনী। আর যুদ্ধ মানে যুদ্ধই।’’ ওই সাক্ষাৎকারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন লাভরভ। তিনি বলেন, ‘‘এটাই বাস্তব। বিশ্ব এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দোড়গোড়ায়। পরিস্থিতি গুরুতর হচ্ছে। কেউই আর এই বাস্তবকে অস্বীকার করতে পারবে না।’’ পাশাপাশি একের পর এক শান্তি বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার দায় কিভের উপরেই চাপিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী।

    রাশিয়ার তরফ থেকে ভাবা হচ্ছে, ন্যাটোর পরিকাঠামোর বিরুদ্ধেই লড়ছে রাশিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের পেছনে নেটোর ভূমিকাই দেখছে রাশিয়া।  খুব স্বাভাবিক ভাবেই রাশিয়ার তরফ থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে চলছে এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা। 

    শুধু তাই নয়, কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশিয়ার দাবি, যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে নিউক্লিয়ার হামলা (Nuclear War)। লাভরভ বলেন, ‘‘যে কোনও মূল্যে পরমাণু যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার নীতিতে অটল রাশিয়া। এটিই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। কিন্তু বর্তমানে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা বিবেচনাযোগ্য। আমরা এসব ঝুঁকি কৃত্রিমভাবে বাড়াতে চাই না।’’ বিদেশমন্ত্রীর এই বিস্ফোরক মন্তব্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। 

     

     

LinkedIn
Share