Tag: West Bengal

West Bengal

  • Kaliaganj Rape Case: কালিয়াগঞ্জে জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন, ফের প্রকাশ্য বিরোধিতায় রাজ্য কমিশন

    Kaliaganj Rape Case: কালিয়াগঞ্জে জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন, ফের প্রকাশ্য বিরোধিতায় রাজ্য কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণের (Kaliaganj Rape Case) ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্যে। ওই এলাকার একাংশে ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। দুদিন ধরে দফায় দফায় বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ইস্যুতে রাজ্যে পা রাখেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। রবিবার তিনি যান নির্যাতিতার (Kaliaganj Rape Case) বাড়ি। এই আবহে  সকাল থেকে একের পর এক ট্যুইট করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে কটাক্ষ করা হয়েছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে। বিরোধী মহলের একাংশের বলছে, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে সহযোগিতার বদলে বিরোধিতা কেন করছে রাজ্য? কোনও কিছু ধামাচাপা দিতেই কী?

    রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের ওই ট্য়ুইটে কী লেখা হয়েছে

    ট্যুইটে লেখা হয়েছে, “১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কালিয়াগঞ্জে গিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের দল। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের এই ভূমিকা লজ্জাজনক। যেভাবে NCPCR-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো রাজ্যের শিশু ও মহিলাদের সম্পর্কে মন্তব্য করছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। তথ্য যাচাই না করেই তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন তিনি। তাঁর এই ধরনের মন্তব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের শিশুদের অধিকার রক্ষার কথা, তাঁরাই শিশুর মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। আইন ভেঙে রাজ্যের কমিশনকে অগ্রাহ্য করে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।”

     

    কী বললেন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো

    কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ইস্যুতে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াংক কানুনগো। এদিন তিনি বলেন, “একজন অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য অযোগ্য সরকারের আচরণ নিয়ে কাজ করা কোনও অযোগ্য সংস্থার বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তিনি এই মন্তব্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আজ সকালে গিয়ে মৃতার বাড়ির লোক, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি ও রেকর্ড করেছি। দুদিন আগেই এই কেসের যিনি ইনভেস্টিগেটিং অফিসার ছিলেন ও যে ডাক্তার পোস্টমর্টেম করেছে, পাশাপাশি এই কেসের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাদের দেখা করার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কেউ দেখা করেননি। অপেক্ষা করছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে তারপরেই আপনাদের বাকি সব জানাতে পারব।” পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “পুলিশ এখনও মৃতার পরিবারের লোকের বয়ান নেয়নি। সেটা পরিবারের লোকেরাই আমাকে জানিয়েছেন। পরিবারের লোকজনের বয়ান না নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো প্রশাসনের পক্ষে ঠিক না।”
     

    কী বলছে প্রশাসন

    ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌঁছেছেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে চার প্রতিনিধি যেতে চাইলে প্রশাসনের কোনও আপত্তি নেই। শনিবারের পর থেকেই এলাকা সুনসান। রবিবার সকাল থেকে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: শনিবার রাতের পর রবিবার ভোরেও ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা! মিলল স্বস্তি

    Weather Report: শনিবার রাতের পর রবিবার ভোরেও ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা! মিলল স্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাত এবং ভোরে ভিজল কলকাতা। তবে হল না স্বস্তির বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার রাতেই বৃষ্টি নামে কলকাতা এবং আশপাশের বেশ কিছু জেলায়। যদিও বৃষ্টি হয়েছে নামমাত্র। পাশাপাশি বয়েছে ঝোড়ো হাওয়াও । আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে (Weather Report) আশায় বুক বেঁধেছিলেন শহরের মানুষ। ভ্যাপসা গরম থেকে খানিক রেহাই দিল এই নামমাত্র বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। রবিবার সকালেও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। কিছু জেলায় সকাল থেকেই মুখ ভার করে ছিল আকাশ। প্রসঙ্গত, হালেই তারা জানিয়েছিল, টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। চৈত্র-শেষেই কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছিল। সব নিয়ে দুর্ভোগ ছিল চরমে। রবিবারের বৃষ্টি ঝলসে যাওয়া শহরের বুকে শান্তির আমেজ ফিরিয়েছে। 

    আজকে কেমন থাকবে আবহাওয়া

    এদিন রাজ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। রবিবার থেকে গোটা রাজ্য জুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি থাকছে। দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আর তাপপ্রবাহ থাকবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আজ দিনভর মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামিকালও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। 

    তাপমাত্রার হেরফেরে সতর্ক থাকতে হবে

    তীব্র গরম থেকে হঠাৎই একধাক্কায় তাপমাত্রা পড়ে যাওয়াতে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার (Weather Report) এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্‍সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayet: চাঁদা তুলে রাস্তা সারাইয়ে নামলেন গ্রামবাসীরা, জানেনই না পঞ্চায়েত প্রধান!

    Panchayet: চাঁদা তুলে রাস্তা সারাইয়ে নামলেন গ্রামবাসীরা, জানেনই না পঞ্চায়েত প্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। মাটির রাস্তা হয়নি পাকা। বর্ষায় কর্দমাক্ত রাস্তায় হাঁটাচলা করাই দায় হয়ে যায়। কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। স্কুলের কচিকাঁচারা রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় খালে, নালায় পড়ে যায়। অবশেষে বাসিন্দারা নিজেরাই চাঁদা তুলে, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রাস্তা সারাই শুরু করলেন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফোসকারডাঙা এলাকার ঘটনা। তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন সত্যিই যেন এখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে! সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, গ্রামের এই সমস্যা এবং তা থেকে প্রতিকার পেতে গ্রামবাসীরা যে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন, তা নাকি তিনি জানেনই না। বলা বাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এটা বিরোধীদের বড় অস্ত্র হতে চলেছে। 

    কীভাবে তৈরি হচ্ছে রাস্তা?

    গ্রামবাসীদের চাঁদায় এখানে বালি ও পাথর কেনা হয়েছে। তারপর কোদাল, বেলচা হাতে নিয়ে রাস্তা সারাইয়ের কাজে নেমেছেন বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা রবিবার থেকে এই কাজ শুরু করেছেন। আগামি কয়েকদিনে রাস্তা সারাইয়ের কাজ সম্পন্ন করবেন বলে জানা গিয়েছে। গ্রামের পঞ্চায়েত ও গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় ফোসকারডাঙা এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 
     

    রাস্তা সারাইয়ে গ্রামের মহিলারাও, কী বললেন তাঁরা?

    গ্রামের পুরুষদের সাথে রাস্তা সারাইয়ের কাজে হাত দিয়েছেন মহিলারাও। গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তী রায় বলেন, “অনেক বলেও আমাদের এলাকার রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষায় এলাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। অসুস্থ মানুষকে কাঁধে করে পাকা রাস্তায় তুলে সেখান থেকে গাড়িতে তুলতে হয়। স্কুলের বাচ্চারা এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খালে, নালায় পড়ে যায়। গ্রামের পঞ্চায়েত ও অঞ্চলের (Panchayet) প্রধানকে বলেও কোন কাজ হয়নি। তাই নিজেরা চাঁদা তুলে সেই টাকা দিয়ে বালি, পাথর কিনেছি। আর আমরা নিজেরা কাজ করে বর্ষার আগেই রাস্তা তৈরি করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে এখনও মূল্যবান আংটি! জেল সুপারকে তলব আদালতের

    Partha Chatterjee: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে এখনও মূল্যবান আংটি! জেল সুপারকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলের মধ্যে থাকা অবস্থাতেও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে রূপোর আংটি। তা নিয়ে বুধবার আদালতে ইডি দাবি করে, পার্থ এতটাই প্রভাবশালী যে ‘জেল কোড’ ভেঙে আংটি পরে জেলে ঘুরলেও তা নিয়ে বলার কেউ নেই। এ নিয়ে আদালতে চলে বাদানুবাদ। পার্থর ওই আংটিকাণ্ডের জেরে এবার প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে তলব করলেন বিচারক। আগামী ২৬ এপ্রিল সুপারকে লিখিত জবাব-সহ হাজির হতে হবে আদালতে। 

    ইডির দাবি  

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বুধবার জেল থেকেই আদালতে হাজিরা দেন পার্থ। ভার্চুয়ালি শুনানিপর্বের শুরুতেই ইডির আইনজীবী বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন, যাতে পার্থকে বলা হয় হাতের দু’পাশ দেখানোর জন্য। বিচারকও পার্থকে সামনে এসে হাতের দুপাশ দেখানোর জন্য বলেন। পার্থ এগিয়ে এসে হাতের দুপাশ দেখাতেই, ইডির আইনজীবী বিচারককে বলে উঠলেন, ‘হাতের রিংটা দেখলেন? দেখুন কতটা পাওয়ারফুল হলে জেলেও রিং পরে আছেন।’ ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন, ‘একজন অভিযুক্ত কি জেলে কোনও অলংকার পরে থাকতে পারে? সব তো খুলে রাখতে হয়। পার্থ এতটাই পাওয়ারফুল যে তাঁকে জেলেও আংটি পরতে দেওয়া হচ্ছে।’

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    পার্থর যুক্তি

    পার্থর আইনজীবী আদালতে পাল্টা যুক্তি দেন, ‘পার্থবাবু কীভাবে জানবেন, জেল কোডে কী বলা আছে। তাহলে তো পার্থবাবু আইনের সব জানবেন।’ যদিও পার্থর দাবি, শরীরের কারণেই আংটি খোলেননি তিনি। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর জেলের সুপারকে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, শুনানি শেষেই পার্থ হাত থেকে আংটি খুলে দেন।

    সুপারকে তলব

    এই ঘটনার জেরে জেল সুপারকে তলব করল আদালত। কেন পার্থ জেলে থাকা অবস্থাতেও হাতে আংটি পরে রয়েছেন, তা সবিস্তারে লিখিত আকারে নিয়ে আসতে হবে তাঁকে। আইন বলছে, কোনও কয়েদির হাতে আংটি বা অন্য কোনও অলঙ্কারসামগ্রী রয়েছে কি ন্‌ তা দেখার দায়িত্ব সুপারের। কিন্তু পার্থর ক্ষেত্রে সেই নিয়ম সঠথভাবে পালিত হয়নি বলেই মনে করছে আদালত। সে ক্ষেত্রে আদালত জানতে চায়, জেল সুপার কি জেল কোড জানেন না? নাকি কর্তব্যপালনে অপারগ হয়েছিলেন সুপার? লিখিত আকারে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে সুপারকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: আজও চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কবে?

    Weather Report: আজও চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। সরকারি নির্দেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ। চাঁদিফাটা গরমে খুব কাজ না থাকলে বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। প্রায় সব জেলাতেই পারদ পেরিয়েছে চল্লিশের উপর। মঙ্গলবারই বাংলার ১৭টি জেলার পারদ ৪৪ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি গরমে নাজেহাল উত্তরবঙ্গও। বুধবারও একই অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Report)। এই অবস্থায় বিশেষ সতর্কতা জেলা প্রশাসনের। জেলাশাসকের নির্দেশে রাস্তার ধারে ধারে করা হয়েছে জলছত্র। পাশাপাশি রাখা হয়েছে ওআরএসের ব্যবস্থাও।

    বৃষ্টি কবে?

    অত্যাধিক দহনজ্বালার মধ্যেই এবার হাওয়া বদলের পূর্বাভাস। অবশেষে এল সেই বহু প্রতীক্ষিত সুখবর। তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ২০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের ২ জেলায় এবং ২১ এপ্রিল, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে (Weather Report)। 

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। ২২ এপ্রিল শনিবার দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়া। এদিকে, কলকাতা ও লাগোয়া জেলায় তাপের সঙ্গে শুরু হয়েছে আর্দ্রতার অত্যাচার। ফলে কলকাতায় ভ্যাপসা গরমের দাপট থাকবে। ঘর্মাক্ত পরিবেশে অস্বস্তি আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত তাপপ্রবাহ চলবে (Weather Report)।

    উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Report) 

    অন্যদিকে, বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গেও। ২০ এপ্রিল থেকে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলায় বৃষ্টি না হওয়ার একটাই কারণ ছিল, জলীয় বাষ্পের অভাব। এবার বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করায় সুখবর মিলল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Clock Tower: বাম আমলের টাওয়ারে নতুন ‘তৃণমূলী ক্লক’, ৯ লাখি ঘড়িতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা

    Clock Tower: বাম আমলের টাওয়ারে নতুন ‘তৃণমূলী ক্লক’, ৯ লাখি ঘড়িতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমলের বেহাল টাওয়ার ক্লক (Clock Tower) সরিয়ে নতুন ক্লক বসানো হল বালুরঘাট শহরের বাসস্ট্যান্ডে। যার খরচ নাকি ৯ লক্ষ টাকা। পুরসভার বসানো ঘড়ির খরচ শুনে চক্ষু চড়কগাছ শহরবাসীর। যা নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের গলায়। বাম ও বিজেপির অভিযোগ, টাওয়ার তো আগেই ছিল। শুধুমাত্র ঘড়ির খরচ কেন এত টাকা? পুরবোর্ড অবশ্য দাবি করেছে, সম্পূর্ণ নতুন ঘড়ি এনে লাগানো হয়েছে। তবে বাম আমলে এর চেয়ে বেশি খরচ করা হয়েছে। যুক্তি যাই দেখানো হোক, এই ঘড়ির বিষয়টি নিয়ে শহরের চায়ের দোকানগুলিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।  

    নতুন কি না, সন্দেহ প্রকাশ আরএসপি-র প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের

    আরএসপির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস বলেন, সঠিক খরচ মনে না পড়লেও আমরা লাখ দু’য়েক টাকা খরচ করে ওই ঘড়ি বসিয়েছিলাম। তাই বলে এই বোর্ডের মতো ৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়নি। আর আমাদের সময়কালের টাওয়ারই (Clock Tower) তো রয়েছে। নতুন করে শুধু ঘড়ি বসানো হয়েছে। ওই ঘড়িটি নতুন কিনা, তাও সন্দেহ রয়েছে। 

    এটা কি লন্ডন থেকে আনা? প্রশ্ন বিজেপি-র

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, বামেদের আমলে এই ঘড়ি (Clock Tower) বসানো হয়েছিল। সেই ঘড়িই বিগত তৃণমূল বোর্ড সংস্কারের নামে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল। এখন নতুন পুরবোর্ড আবার একই ঘড়ি সংস্কার করে ৯ লক্ষ টাকা খরচ দেখাচ্ছে। এটা কি লন্ডন থেকে আনা? 

    কী বলছেন এলাকার বাসিন্দারা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ দত্ত বলেন, এই ঘড়ি (Clock Tower) দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। নতুন করে লাগানো হয়েছে। খুব ভালো কথা। কিন্তু এই ঘড়ির জন্য এত খরচ করার কোনও মানে হয় না। এই ঘড়ির খরচ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরের মূল কেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চৌমাথা মোড়ে এই টাওয়ার ঘড়ির অবস্থান। ২০১৩ সালের আগে বাম আমলে এই ঘড়িটি লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বসানো হয়েছিল। বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে এই টাওয়ার ঘড়িই শহর চেনার মূল আকর্ষণ হয়। ২০১৩ সালে পালাবদলের পরে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর তা নষ্ট হলে ২০১৬ সালে সংস্কার করা হয়৷ পরে ফের নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ বছর এই ঘড়ি খারাপ থাকায় নতুন পুরবোর্ড ঘড়ি সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে। নববর্ষের উপহার স্বরূপ বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র এই ঘড়ি উদ্বোধন করেন। যাকে ঘিরেই বিতর্ক।

    কী জবাব দিলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, বামেদের আমলে ওই ঘড়ি (Clock Tower) বসাতে আমাদের চেয়ে বেশি টাকা লেগেছে। আর ওরা যেভাবে ঘড়িটি বসিয়েছিল, তা সংস্কারও করা হত না। যে ঘড়িটি বসানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নতুন। এটি উন্নতমানের জিপিআরএস সিস্টেমে বসানো হয়েছে। শহরের সৌন্দর্যের জন্যই এই উদ্যোগ। যা বিরোধীরা এতদিন করতে পারেনি বলেই এই ধরনের কথা বলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali New Year: অন্যরকম নববর্ষ পালন! প্রকৃতিরক্ষায় যজ্ঞের আয়োজন গেরুয়া শিবিরের

    Bengali New Year: অন্যরকম নববর্ষ পালন! প্রকৃতিরক্ষায় যজ্ঞের আয়োজন গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রভাত ফেরি, নাচ-গান সহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাস্তাজুড়ে আলপনা। এরকম নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল থেকেই বর্ষবরণ (Bengali New Year) উৎসবে মেতে উঠেছিল শিলিগুড়ি। প্রচলিত এই ছন্দের বাইরে গিয়ে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন শিলিগুড়িতে একটু অন্যরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। উত্তরবঙ্গের জল-জঙ্গল এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে এদিন বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। 

    যজ্ঞ দেখতে ভিড় প্রচুর মানুষের

    বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন (Bengali New Year) সকাল থেকেই কালীবাড়িগুলিতে ভিড় ছিল ভালোই। ব্যবসায়ীরা নতুন খাতার পুজো দিতে লম্বা লাইন দেন। সেখানে শিলিগুড়ির প্রাচীন আনন্দময়ী কালীবাড়িতে আলাদা করে নজর কাড়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত এই যজ্ঞ অনুষ্ঠান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির নেতৃত্ব। এই যজ্ঞ দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। শঙ্কর ঘোষ বলেন, উত্তরের প্রকৃতি আমাদের গর্ব। তা রক্ষা করা আমাদের সকলের কর্তব্য৷ সেই সচেতনতা সকলের মধ্যে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই যজ্ঞের আয়োজন। এই দিনটিতে উৎসবে মাতোয়ারা মানুষের মনে নিজের প্রাকৃতিক সম্পদ, নদী, জঙ্গলকে রক্ষার তাগিদ জাগ্রত করাটা এই অনুষ্ঠানের একটি দিক। যাতে বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি মানুষ নিজের নিজের এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচানর জন্য সচেতন হন,, শপথ গ্রহণ করেন। এই বার্তা দিতেই আমরা এদিন হোম-যজ্ঞ করি।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ?

    এক প্রশ্নের উত্তরে শঙ্করবাবু বলেন, বন আইন, পরিবেশ আইন-কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে যেখানে সেখানে হোটেল, রিসর্ট, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরি হয়েই চলেছে। এতে বন্যপ্রাণীরা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্যও বিনষ্ট হচ্ছে। তিস্তা নদীতে ক্র্যাসার নামিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর তুলে পাচার করা হচ্ছে। এভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এর প্রতিবাদেই আমি উত্তরবঙ্গের বন ও নদী বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছি। নববর্ষের প্রথম দিন (Bengali New Year) এদিনের যজ্ঞ তারই একটি অঙ্গ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Accident Death: বর্ষশেষে মর্মান্তিক ঘটনা, নাগরদোলার বিয়ারিংয়ে চুল জড়িয়ে মৃত্যু তরুণীর

    Accident Death: বর্ষশেষে মর্মান্তিক ঘটনা, নাগরদোলার বিয়ারিংয়ে চুল জড়িয়ে মৃত্যু তরুণীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বাংলার মানুষ যখন আনন্দে আত্মহারা, ঠিক তখনই বাঁকুড়ায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। নতুন বছরের নতুন সূর্যোদয় দেখা হল না এক তরুণীর। বর্ষশেষে চড়কের মেলায় গিয়েছিল ওই তরুণী। উঠেছিল একটি নাগরদোলায়। কিন্তু এই ওঠাই যে তার শেষ ওঠা হবে, তা কে জানত! নাগরদোলার পিলার ও বিয়ারিংয়ে চুল জড়িয়ে প্রায় ২০ ফুট উপর থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু (Accident Death) হল তার। আনন্দ-উৎসব মুহূর্তে পরিণত হল বিষাদে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই তরুণীর নাম প্রিয়ঙ্কা বাউরি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কলকাতায়। যদিও পথেই তার জীবনের যবনিকা নেমে আসে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার এক্তেশ্বরের গাজন মেলায়। ওই তরুণীর বাড়ি সানবাঁধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদুল গ্রামে। কয়েকজনের সঙ্গে সে এসেছিল ওই মেলায়। যদিও অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগরদোলায় ওঠার পর তরুণী নাকি সেলফি তুলছিল। আর তখনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উল্লেখ্য, বীরভূমের মেলায় একইভাবে নাগরদোলায় চেপে সেলফি তুলতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন এক যুবক। এক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই নাগরদোলার যান্ত্রিক ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন, নাগরদোলায় চড়া অবস্থায় ওই তরুণীর চুল ছিল খোলা। সেই খোলা চুলই নাগরদোলার বিয়ারিংয়ে জড়িয়ে যায়। ফলে ঝুলতে থাকে ওই তরুণী। এরকম একটা অবস্থায় থাকার ফলে মাথার খুলিও উপড়ে যায় (Accident Death)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বাবা হিমঘরের কর্মী ছিলেন। এই ঘটনা শোনার পরই তার পরিবার তো বটেই, শোকে মূহ্যমান গোটা গ্রাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gajan Festival: গাজন উৎসবে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন, বাণ ফুঁড়ে আরাধনা করেন শিবের

    Gajan Festival: গাজন উৎসবে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন, বাণ ফুঁড়ে আরাধনা করেন শিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কগাজন উৎসবে (Gajan Festival) মাতোয়ারা আরামবাগ মহকুমার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার নীলষষ্ঠীর পুজোর দিন থেকেই আরামবাগের মইগ্রাম, বাতানল, নারায়ণপুর, খানাকুলের ঘন্টেশ্বর ছাড়াও পুরশুড়া ও গোঘাটের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গাজন উৎসব। কয়েকশো বছরের পুরনো মইগ্রাম, বাতানল ও খানাকুলের ঘন্টেশ্বরে শিবের গাজনে অগণিত ভক্তের ঢল নেমেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এখানে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন। পাশাপাশি চলে বাণ ফোঁড়া। কেবলমাত্র পুরুষরাই বাণ ফোঁড়েন, তেমনটা নয়, মহিলারাও বাণ ফুঁড়ে শিবের আরাধনা করেন।

    ছুটে আসেন বিদেশি পর্যটকরাও

    এই বাণ ফোঁড়া দেখতে শুক্রবার সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে ওঠে বাতানল, মইগ্রাম ও ঘন্টেশ্বরের গাজন উৎসবে (Gajan Festival)। তবে আরামবাগের বাতানাল গ্রামের রাত গাজন হল খুবই বিখ্যাত। বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই বাতানাল গ্রামের বুড়ো শিবের রাত গাজন দেখতে বহু দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত শিবের ভক্ত ও বিদেশি পর্যটক এখানে উপস্থিত হন। এছাড়াও দিনের বেলা দিন গাজনেও প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসেন এই গাজনের দিনে। অন্যান্য জায়গার থেকে বাতানাল গ্রামে শিবের গাজন হল প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী। ইংল্যান্ড, রাশিয়া, আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু বিদেশি আসেন। শুধু তাই নয়, আরামবাগের মুইগ্রাম এলাকাতেও বহু বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে।

    কী জানালেন উৎসব কমিটির কর্মকর্তারা?

    মইগ্রামের গাজন উৎসব (Gajan Festival) কমিটির সম্পাদক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, নীলষষ্ঠী ও গাজন উৎসবের পৌরাণিক ইতিহাস সবার জানা। শিবকে সন্তুষ্ট করতেই এই গাজন। ভক্তরা নিজেদের উপর শারীরিক অত্যাচার করে শিবের ধ্যান ভঙ্গ করেন। এলাকা ছাড়া দূরদূরান্তের মানুষ উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গেই মইগ্রামে গাজন দেখতে ভিড় জমান। সব মিলিয়ে বলা যায়, আরামবাগ মহকুমার বাসিন্দারা এখন গাজন উৎসবে মেতে উঠেছেন।

    গাজন (Gajan) শব্দের মানে কী ?

    গবেষকদের মতে, গা শব্দের অর্থ হল গ্রাম। এবং জন মানে জনগণ। বিশ্বাস মতে, এই সময় হর কালীর বিবাহ হয়েছিল। শিব হলেন জনগণের দেবতা। গ্রামের জনগণ সবাই দেবতার বিয়েতে বরযাত্রী যাওয়ার উদ্দেশে সমবেত হন। আবার অন্য একটি মত হল, গাজন (Gajan Festival) শব্দটি এসেছে ‘গর্জন’ থেকে। অনেকে বলেন, সন্ন্যাসীদের হুঙ্কারই শিবসাধনায় গাজন নামে প্রচলিত হয়। বাংলার মঙ্গলকাব্যেও গাজনের উল্লেখ মেলে। ধর্মমঙ্গল কাব্যে রাণী রঞ্জাবতী ধর্মকে তুষ্ট করতে গাজন (Gajan Festival) পালন করেছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। গাজন বা চরক শুধুই শিবের আরাধনা হলেও এই উৎসব পালিত হয় ধর্মরাজকে ঘিরেও। আর দুই দেবতার পুজোতেই জাতপাতের ভেদাভেদ ভেঙে যে কেউ অংশ নিতে পারে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share