Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে টেনে-হিঁচড়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ, প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে টেনে-হিঁচড়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ, প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দেশখালি থেকে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের এক সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে চর্চা চলছে। আর সন্দেশখালির মানুষের ওপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের খবর রাজ্য তথা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে ছিলেন। আর সোমবার বিশেষ করে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। ফলে, এক ঝাঁক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি তুলে ধরছিলেন। বিকেল ৫ টা নাগাদ আচমকাই রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিনা নথিতে গ্রেফতারের বিরোধিতা করলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। টোটোয় করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তোলা হবে আদালতে। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সাংবাদিককে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশ কী সাফাই দিলেন?

    বসিরহাটের এসপি হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, এলাকার এক মহিলার বাড়িতে ক্যামেরা নিয়ে ঢুকেছিলেন সন্তু পান ও তাঁর চিত্রগ্রাহক। সেই সময় মহিলার পোশাক ঠিক মতো ছিল না। ফলে তিনি অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। পুলিশের দাবি, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    সাংবাদিকের গ্রেফতারির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে সব মহল। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সন্তু পানের পাশে দাঁড়াতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলের প্রোফাইল ছবি ২৪ ঘণ্টার জন্য কালো করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    প্রেস ক্লাবও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে

    কলকাতা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিক সন্তু পানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকে তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু, কর্তব্যরত অবস্থায় সাংবাদিকের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাচ্ছে প্রেস ক্লাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় বীরভূমের “বেতাজ বাদশা” অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। সোমবার বিকেলে তাঁর খাসতালুক বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ইডি (ED) আধিকারিকরা হানা দেন। অনুব্রত মণ্ডল যে দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। রবিবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অনুব্রতের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরদিনই কেষ্ট গড়ে হানা দিল ইডি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূল কার্যালয়ের আগে ভূমি দফতরে ইডি (ED)

    তৃণমূল কার্যালয়ে যাওয়ার তার আগে ইডির (ED) তিন আধিকারিক বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন। একটি সূত্রে খবর, অফিসে বসে কেষ্ট মণ্ডলের তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর তৈরি তার কাগজপত্র দেখেন। আশপাশের জায়গার হিসাব নেন। কার্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তাঁরা। বস্তুত, অনুব্রত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির কাছে ঝাঁ চকচকে দলীয় কার্যালয় তৈরিতে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি বছর ওই কার্যালয়ে জাঁকজমকভাবে কালী পুজো করতেন কেষ্ট। ওই কার্যালয়ে কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার গয়না পরানো হয়, সে নিয়েও চর্চা ছিল জেলা জুড়ে। এত গয়নার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন ইডি আধিকারিকরা সেই কার্যালয়ে হানা দিতেই নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এদিন বিকেলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ইডির (ED) একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। আধিকারিকেরা গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের মাপজোক শুরু করে দেন। ওই কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কার্যালয় যে বিল্ডিংয়ে সেখানে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় কার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন, কে ভাড়া দিয়েছিলেন এবং ভাড়ার টাকা কাকে দিতে হয়, সব বিষয় নিয়ে ইডি আধিকারিকরা কথা বলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে প্রশাসন, অন্যদিকে দল। ‘জোড়া অস্ত্রে’ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘ক্ষত’ মেরামতিতে নেমেছে শাসকদল। গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বাড়ি বাড়ি ঘুরে সন্দেশখালির সাধারণ বাসিন্দাদের ক্ষোভ-অভিযোগের কথা শুনছিল। রবিবার থেকে সেখানে শিবিরও বসিয়েছে প্রশাসন। তৃণমূল টাকা পাইয়ে দিচ্ছে। সমর্থন করবেন তো? সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাকি এ কথাই বলা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ উঠল শাসকদলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মাধ্যম ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Sandeshkhali)

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ  দীপিকা পোদ্দারকে দেখা যাচ্ছে। তিনি সন্দেশখালির এক মহিলার বাড়ি গিয়ে বলছেন, “আপনাকে তো টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো?” এমনিতেই সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ, তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরা (শিবু)দের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। তার পর থেকেই স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমনে নেমেছে শাসকদল। উত্তম-শিবুরা যাঁদের জমির লিজ়ের টাকা দেননি বলে অভিযোগ, তাঁদের পাওনা টাকা মেটাতে শুরু করেছে তৃণমূল। তার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, তাঁরাই ভোটে সমর্থনের বিনিময়ে এইভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। যাঁদের টাকা ফেরত পাওয়ার কথা, তাঁদের টাকা ফেরত দেবে দল। সেই মতো স্থানীয়ভাবে একটি কমিটিও গঠন করেছিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, সেই দলে রয়েছেন সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার। সেই দলে দীপিকা কী করে এলেন, তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরে ধন্দ তৈরি হয়েছে। ভিডিও প্রসঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দায়িত্বপ্রাপ্ত আর এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ওই মহিলা সদস্যকে এ রকম কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident)  গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা। তৃণমূলের আর এক নেতা পলাতক শেখ শাহজাহানের সাগরেদ ছিল শিবু। শনিবার ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। তাতে নাম রয়েছে শিবু ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারের। মামলা রুজু হয়েছে খুনের চেষ্টার ধারায়ও। আগেই গ্রেফতার হয়েছিল উত্তম। এদিন ধরা পড়ল শিবুও।

    শাহজাহান কোথায়?

    তবে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত শাহজাহানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, “ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শিবপ্রসাদকে (ডাক নাম শিবু। এই নামেই সবাই চেনেন শিবপ্রসাদকে)। রবিবার তাঁকে হাজির করানো হবে আদালতে।” শনিবারই আদালতে সন্দেশখালির এক বধূর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে (Sandeshkhali Incident) গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এর পরেই বসিরহাটের পুলিশ জানিয়ে দেয়, কাউকে ছাড়া হবে না। এর পরে পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে একই কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি রাজীব কুমার। এরই কিছুক্ষণ পরে গ্রেফতার করা হয় শিবুকে।

    শিবুর গুণপনা

    তৃণমূল নেতা শিবুর গুণপনার শেষ নেই। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এই নেতা স্থানীয়দের জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে লিজের টাকা দিত না। তৃণমূল নেতা হওয়ায়, তাকে কেউ ঘাঁটাতেও সাহস পেতেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের বৈঠকের অছিলায় গ্রামের সুন্দরী মহিলাদের কখনও তৃণমূল পার্টি অফিসে, কখনওবা নিজের খামারবাড়িতে নিয়ে যেত শিবু। কেউ যেতে না চাইলে বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে দিত। শিবুর ডাকে মহিলারা উপস্থিত হলে কিছুক্ষণ পার্টির কর্মসূচি নিয়ে কথা হত। পরে বাছাই করা (অভিযোগ, যাঁকে যেদিন মনে ধরত শিবুর) কয়েকজনকে থেকে যেতে বলত শিবু ও তার অনুগামীরা। তারপর তাঁদের ওপর হত নির্যাতন।

    আরও পড়ুুন: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    ৭ ফেব্রুয়ারির শিবুদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের তৎকালীন অঞ্চল সভাপতি উত্তমের বাড়ি। শিবুর বাগানবাড়ি ও মুরগির খামারও ভাঙচুর করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মুরগির খামারে (Sandeshkhali Incident)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly Murder: রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার, পড়ে রয়েছে গণেশ মূর্তি, হুগলির শিশু খুনের নেপথ্যে কে?

    Hooghly Murder: রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার, পড়ে রয়েছে গণেশ মূর্তি, হুগলির শিশু খুনের নেপথ্যে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর আটেকের শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য হুগলির কোন্নগরের (Hooghly Murder) আদর্শনগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন শিশুটির ঘরে জোরে জোরে চলছিল টিভি। কী ব্যাপার জানতে ঘরে ঢুকেছিল তাঁর খুড়তুতো দিদি। সে-ই প্রথম রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে।

    খুনিদের কঠোর সাজার দাবি

    শিশুটির বাবার অভিযোগ, ছেলেকে পাশবিকভাবে হত্যা করেছে কেউ। ছেলের খুনিদের কঠোর সাজা দাবি করেছেন তিনি। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ওই ব্যক্তি। বলেন, “বাড়ির সিঁড়ির কাছে একটি থান ইট ছিল। সেটি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। ঘরে একটি গণেশমূর্তি ছিল। সেটি দিয়েও আঘাত করা হয়েছে। রান্নাঘরে যে সবজি কাটার ছুরিটি ছিল, সেটি ঘরেই মিলেছে রক্তমাখা ও বেঁকে যাওয়া অবস্থায় (Hooghly Murder)।” তিনি বলেন, “বাড়িতে যে ভলিউমে টিভি চলছিল, তা কোনও বাড়িতেই চলে না। তাঁর ছেলেও কখনও এত ভলিউম দিয়ে টিভি চালাত না।”

    ‘শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে’

    পুলিশ জানিয়েছে, খুনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস বলেন, “ঘর থেকে কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। শ্রীরামপুরের হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। মৃতের পরিবার ও এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে।”

    আরও পড়ুুন: পাক রাজনীতিতে সক্রিয় আইএসআই, গাঁটছড়া বাঁধছে পিটিআই-পিপিপি!

    কানাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কেউ খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। বালকের মা-বাবা বাইরে কাজ করেন। সেই সময় তাঁর বাবা বাড়িতে ছিলেন না।” পুলিশ সূত্রে খবর, বালকের মাথার পিছনে ভারী ও ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। দেহের একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। দেহ উদ্ধারের সময় ফুল ভলিউমে চলছিল টিভি। চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, “ফরেন্সিক দলকে বলা হয়েছে নমুনা সংগ্রহ করবে…আশা করছি, তাড়াতাড়ি খুঁজে আমরা পাব, ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে। শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা (Hooghly Murder)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sandeshkhali: “আমার শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল পুলিশই!” বিস্ফোরক সন্দেশখালির সেই মহিলা

    Sandeshkhali: “আমার শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল পুলিশই!” বিস্ফোরক সন্দেশখালির সেই মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে যে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর কোল থেকে তাঁর শিশুকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বাড়িতে গেলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। শনিবারই ওই বাড়িতে (Sandeshkhali) মেডিক্যাল টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।

    কী বললেন চেয়ারপার্সন?

    কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “ওঁরা খুব ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। আমরা শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ওঁরা যেহেতু বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না, তাই খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। ওঁদের বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিয়ে এসেছি ওঁদের। প্রতিদিন সকালে ফোন করে খবর নেব বলে জানিয়েছি।”

    পুলিশে ভরসা নেই!

    তুলিকার কথায় (Sandeshkhali) যে শিশুটির পরিবার বিশেষ ভরসা পাচ্ছেন না, তা স্পষ্ট তার মায়ের কথায়ই। তিনি বলেন, “আমি ওদের বিশ্বাস করতে পারছি না। যারা আমার বাচ্চাকে ফেলে দিয়েছে, তারা কী তদন্ত করবে?” তিনি বলেন, “আমরা ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কমিশনের লোকজন চলে গেলে কী হবে? সব কথাই কমিশনের লোকজনকে জানিয়েছি।” ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত এদিন তাদের ছবি কমিশনের সদস্যদের দেখান ওই মহিলা।

    আরও পড়ুুন: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    কী বলেছেন ওই মহিলা?

    সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ওই বিজেপি কর্মীর দিদি বলেন, “ওরা আমার ভাইকে খুন করবে বলে রাত তিনটের সময় তুলে নিয়ে যেতে এসেছিল পুলিশ-প্রশাসন সঙ্গে নিয়ে। ওদের দলে ২৫-৩০ জন ছিল। আমার ভাই বিজেপি করে বলে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের কাছে কী অভিযোগ জানাব? পুলিশ তো নিজেই ছিল এখানে। সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ থানার বড়বাবুরা ছিলেন। শিশুটিকে পুলিশ নিজেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তৃণমূলের লোকজন আমাদের তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিচ্ছে।” শিশুটির (Sandeshkhali) মা বলেন, “মুখে কালো কাপড় বেঁধে পুলিশ এসেছিল। স্বামীর নাম ধরে ডাকছিল। দরজা না খোলায় গালাগালি করেছিল। সন্দেশখালি থানার একজন আধিকারিক ছিল। ওরা আমার কোল থেকে বাচ্চাটাকে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। আমার চুলের মুঠি ধরে টেনেছিল। এক পুরুষ পুলিশ কর্মী তো আবার আমার নাইটি ধরেও টেনেছিল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না।” শনিবার সকালে দিল্লির উড়ান ধরার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে কথাগুলি বললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    প্রসঙ্গ: বালুর মন্ত্রীত্ব

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রায় তিন মাস আগে গ্রেফতার করা হলেও, মন্ত্রীত্ব কেড়ে নেওয়া হয় শুক্রবার। এ প্রসঙ্গেই দিলীপ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। উনি ভাবছেন যদি বেল পেয়ে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এসে আবার মন্ত্রী হবেন। আবার কাকে করবেন, সে কি করবে, সে থাকবে না চলে যাবে এই চিন্তা-দুশ্চিন্তায় তিনি কাউকে দায়িত্ব দেন না।” বিজেপির এই সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, “কেষ্ট জেলে থাকলেও পদে থাকেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে থাকলেও মন্ত্রী থাকেন। এটা তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করার ধরন।”

    প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

    সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে জাতীয় এসসি কমিশন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে এবং টিএমসির লোকজন যেভাবে অত্যাচার করছে এর থেকে বাঁচার কোন রাস্তা নেই। যে সরকার মানুষকে সুশাসন দেবে তারা যদি লুটপাট, খুনখারাপি করে তাহলে মানুষের যাওয়ার রাস্তা থাকে না। প্রত্যেকে এখান থেকে মুক্তির রাস্তা খুঁজছেন। কেউ রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন, কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন, কেউ কোর্টে যাচ্ছেন। দেখা যাক কোন রাস্তাটা ঠিক থাকে।”

    প্রসঙ্গ: আধার কার্ড বাতিল 

    পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একাধিক ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে বিজেপির এই সাংসদ বলেন, “অনেক জায়গায় চিঠি এসেছে। আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গে বহু ধরনের কার্ড আছে যেগুলি ভুয়ো। রেশন কার্ড, আধার কার্ড, জবকার্ড লক্ষ লক্ষ, একটা-দুটো নয়, ৬২ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। সাড়ে ১৪ লক্ষ জবকার্ড আছে যেটা ভুয়ো, আধার কার্ড ভুয়ো। যাদের কাছে নথি নেই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে, বাতিলও করছে। এ ব্যাপারে অথরিটি সঙ্গে যোগাযোগ করুন যাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    আধার কার্ড বাতিলকে বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি তৃণমূলের। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শাসক দল যদি বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এসে জোর করে আধার কার্ড বানিয়ে দেয়, নথি ছাড়া ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেয়, তারা তো ভোটার হতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব আছে বিদেশিদের আলাদা করা এবং দেশে ফেরত পাঠানো।”

    প্রসঙ্গ: কোথায় শাহজাহান

    শিবু হাজরা গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শিবু হাজরা বলুন বা শেখ শাহজাহান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবাই জানে কে কোথায় রয়েছেন। মিডিয়াকে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন কিন্তু পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ পুলিশ ওঁদের বাঁচিয়ে রেখেছে, পুলিশই ওঁদের তৈরি করেছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: কেন্দ্রের তলব উপেক্ষা করতে পারেন না রাজীব কুমাররা, মত বিশেষজ্ঞদের

    Sandeshkhali Incident: কেন্দ্রের তলব উপেক্ষা করতে পারেন না রাজীব কুমাররা, মত বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) জেরে রাজ্য প্রশাসনের ৫ শীর্ষকর্তাকে তলব করেছে লোকসভার স্বাধিকার কমিটি। তলব করা হয়েছে— রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে। সেই ডাকে তাঁরা সাড়া দেবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগের মতে, লোকসভার স্বাধিকার কমিটির এই ডাক উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। রাজ্যের যেসব শীর্ষ কর্তাদের তলব করা হয়েছে, তাঁরা আইএএস কিংবা আইপিএস হওয়ায় কিছুটা হলেও টিকি বাঁধা থাকে কেন্দ্রের কাছে।

    স্বাধিকার কমিটি

    তাই লোকসভার স্বাধিকার কমিটির ডাক অমান্য করলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র। প্রবীণ আধিকারিকদের মতে (Sandeshkhali Incident), লোকসভার স্বাধিকার কমিটির ক্ষমতা অসীম। তারা শাস্তির সুপারিশও করতে পারে। এই সুপারিশের গুরুত্বও অপরিসীম। প্রবীণ আধিকারিকদের মতে, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ঘটনার দায় যে প্রশাসনিক কর্তারা এড়াতে পারেন না, দিল্লির ডাকেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

    লোকসভা নির্বাচন

    দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেই প্রশাসন চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাই সেক্ষেত্রে বিপদে পড়তে পারেন দিল্লিতে তলব পাওয়া প্রশাসনিক কর্তারা। অতীতে নির্বাচনে এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের একাংশকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নজিরও রয়েছে। গত পাঁচ জানুয়ারি থেকে ফি সপ্তাহের আইনশৃঙ্খলা রিপোর্ট প্রতিটি জেলাকে পাঠাতে হচ্ছে দিল্লির নির্বাচন কমিশনে। সেই রিপোর্টের মাধ্যমে কমিশন আঁচ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা সক্রিয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।

    আরও পড়ুুন: মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা লোকসভা ভোট! রাজ্যে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

    মাঝ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ৪ মার্চ এ রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। পরের দিন বেঞ্চের সদস্যরা বৈঠক করবেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। তার আগে হবে সর্বদল বৈঠক। ৬ মার্চ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। এমতাবস্থায় প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের যেভাবে তলব করেছে দিল্লি, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রশাসনের (Sandeshkhali Incident) অনেকেই।

    তৃণমূলের পলাতক নেতা শেখ শাহজাহানের দলবলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, সুন্দরী মহিলাদের রাতে ডেকে পাঠানো হত পার্টি অফিসে। তার পর চলত নির্যাতন। অভিযোগ পেয়ে সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে বাধা পান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদেরও বাধা দেওয়া হয় সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) যেতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCPCR: পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকহারে বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা, কেন্দ্রের রিপোর্টে উদ্বেগ

    NCPCR: পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকহারে বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা, কেন্দ্রের রিপোর্টে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদানিং বাংলায় বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা। শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ। ২০২১ এর এনসিআরবির (NCPCR) ক্রাইম রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে শিশুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ। ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এনসিপিসিআর যে স্পেশাল রিপোর্ট সংসদে পেশ করেছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে বাংলার রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে বারংবার লিগ্যাল প্রসিডিওর লঙ্ঘিত হয়েছে।

    এনসিপিসিআরের রিপোর্ট

    এনসিপিসিআরের (NCPCR) রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে (বাংলায়) বিভিন্ন সংবেদনশীল বিষয়গুলি যেগুলির সঙ্গে শিশুদের যোগ রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে আইনি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কমিশন এও লক্ষ্য করেছে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসন তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও সাহায্যই করছে না। শিশুদের অধিকার রক্ষায় আইনি কোনও পদক্ষেপও করছে না।

    কী দেখলেন তদন্তকারীরা?

    কমিশন লক্ষ্য করেছে, শিশুদের ক্ষেত্রে ঘটে চলা অন্যায়ের ক্ষেত্রে বারংবার আইন লঙ্ঘিত হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা বোমা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে তদন্ত করতে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেছেন ঘটনাগুলির সঙ্গে প্রায় ৪০ নাবালক জড়িত। তদন্তের সময় কমিশন জানতে পারে, কোনও ক্ষেত্রেই লিগ্যাল প্রসিডিওর মেনে চলা হয়নি। এই সব বিস্ফোরণে বিভিন্ন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বোমাগুলিকে বল ভেবে খেলতে গিয়েই ঘটেছে বিপত্তি। মত্যু হয়েছে শিশুগুলির। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অথরিটির সমন্বয়ের অভাবও দেখা গিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মনে হয় যেন আমারই বাড়ি…’’, আরব আমিরশাহিতে নেমে উচ্ছ্বসিত মোদি

    ২০২২ এর এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ১৭টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অকাল মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। কমিশনের মতে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ তদন্তে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। দোষীরা পেয়ে গিয়েছে ছাড়া। কমিশন (NCPCR) স্বীকার করেছে শিশুরাই সব ক্ষেত্র টার্গেট হয়েছে। নৃশংসতার শিকার হয়েছে তারাই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই ঘটনা বেড়েছে বই কমেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ভর্ৎসনা করা হল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। মূলত বসিরহাট আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার, বিজেপি নেতা বিকাশ সিং। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃতদের শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিক প্রশ্নের মুখে পড়েন। সকলের সামনেই তদন্তকারী আধিকারিকতে রীতিমতো বিচারক ধমক দেন। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তদন্তকারী আধিকারিককে কী বললেন বিচারক? (Sandeshkhali)

    রবিবার নিরাপদ সর্দারদের বসিরহাট আদালতে তোলার কথা ছিল। সেইমতো ধৃতদের আদালতে নিয়েও আসা হয়। কিন্তু কোর্ট লকআপে বসিয়ে রাখতে হয়। কারণ, আদালতে পুলিশ প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসতে পারেনি। সেই একই ঘটনা ঘটল সোমবারও। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালির শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে এদিন ভর্ৎসনা করেন বসিরহাট আদালতের বিচারক। ‘অপদার্থের মত কাজ’ বলে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। ‘বেআইনিভাবে পেশ করা হচ্ছে অভিযুক্তদের। এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত’। সন্দেশখালির পারদ তো চড়েই আছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আইনজীবীদের তরফে রবিবারের ঘটনার রেশ টেনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বিচারকের। তাতে সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিচারক। ধৃতদের আদালতে পেশ করা নিয়ে আইনজীবীদের পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে শোকজ করা হয় সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। সোমবারও শুনানি স্থগিত রাখা হয়। বিচারক পুলিশকে নির্দেশ দেন, আজকের মধ্যেই সন্দেশখালি সংক্রান্ত সমস্ত কেস ডায়েরি ও গ্রেফতারের যে কাগজপত্র তা জমা দিতে হবে আদালতে। তারপর সম্পূর্ণ শুনানি হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share