Tag: West Bengal

West Bengal

  • RG Kar: জুনিয়রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গণ ইস্তফা দিলেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar: জুনিয়রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গণ ইস্তফা দিলেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ১০ দফা দাবিতে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন করছেন। তাঁদের এই আন্দোলনের সমর্থনে মঙ্গলবার গণ ইস্তফা দিলেন আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা। সরকারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে আশ্বাস দিলেও জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু বলেনি সরকার। রাজ্য যাতে বাকি দাবিগুলি নিয়েও কথা বলে, সেই কারণেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর। এই পদক্ষেপের পর সিনিয়র ডাক্তাররা (Senior Doctor) যখন গণইস্তফা দিয়ে বেরলে, সেই সময় করতালি দিয়ে তাঁদের অভিবাদন জানালেন জুনিয়ররা।

     চিঠিতে কী বার্তা দিলেন সিনিয়র ডাক্তাররা? (RG Kar)

    রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে গণ ইস্তফা দিয়েছেন আরজি করের (RG Kar) সিনিয়র ডাক্তারেরা। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে দেওয়া চিঠিতে তাঁদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করুক। আরজি করের এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, “আমরণ অনশন হল একেবারে শেষ অস্ত্র। বাধ্য হয়েই জুনিয়র চিকিৎসকেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আড়াই দিন হয়ে গেল ওঁরা অনশন করছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। আমরা চাই সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করুক। এখন আমরা গণ ইস্তফা দিলাম। এর পর আমরা ব্যক্তিগত ভাবে ইস্তফার পথেও হাঁটব।” গত শনিবার থেকে ধর্মতলায় অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবিদাওয়া যাতে দ্রুত মেনে নেয় সরকার, সেই দাবিতে গণ ইস্তফা দিলেন ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেই গত শনিবার অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারেরা এ বার গণ ইস্তফা দেওয়ায় পুজোর মধ্যে আরজি করের চিকিৎসা পরিষেবা অংশত বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    সিনিয়রদের গণ ইস্তফার আঁচ দিক দিকে

    সিনিয়রদের গণ ইস্তফার আঁচ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। শুরু আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দেন মঙ্গলবার দুপুরে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতা মেডিক্যালেও গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি সিনিয়র ডাক্তারদের। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়রদের দাবি পূরণ না হলে, তাঁরাও গণ ইস্তফা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়রেরা। কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারেরা বিচারের জন্য লড়াই করছেন। তাঁরা কর্মবিরতি থেকে ফিরে এসেছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তাঁরা রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছেন। কিন্তু অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন।” জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়ার সঙ্গে তাঁরা সম্পূর্ণ সহমত, সে কথাও জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করারও অনুরোধ করেন তাঁরা। বুধবারের মধ্যে সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার জন্য না ডাকলে গণ ইস্তফারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারেরা।

    জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল

    মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন আরজি করের (RG Kar) জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা। এ ছাড়াও আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা। জুনিয়র ডাক্তারদের ওই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত সিনিয়র ডাক্তারদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনশনে দুই জুনিয়র ডাক্তার, ধর্মতলায় পুলিশি বাধা অব্যাহত

    Junior Doctor: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনশনে দুই জুনিয়র ডাক্তার, ধর্মতলায় পুলিশি বাধা অব্যাহত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদ ও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন সাতজন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor)। তাঁদের সমর্থন জানিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদও করছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। এবার সেই রকমই ১০ দফা দাবি জানিয়ে আমরণ অনশন শুরু করলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই জুনিয়র চিকিৎসক সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলোককুমার ভার্মা।

    অনশন নিয়ে কী বললেন আন্দোলনকারী? (Junior Doctor)

    রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctor) ২৪ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করেন। এরপর সোমবার সকাল থেকেই রোগী পরিষেবার কথা মাথায় রেখে কাজে যোগ দেন ৫৮ জন জুনিয়র ডাক্তার। আউটডোর, ইনডোর, সব বিভাগেই পরিষেবা স্বাভাবিক রাখেন তাঁরা। অন্যদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২ জুনিয়র চিকিৎসক। যতদিন না ১০ দফা দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন এই অনশন চলবে বলে জানান তাঁরা। উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের ইন্টার্ন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দশ দফা দাবি মানতে হবে। যতদিন না সেই দাবি মানা হবে ততদিন আমরণ অনশন চলবে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা এখনও স্থির নয়। তবে জুনির ডাক্তাররা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটাই সমর্থন করব।”

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    চৌকি কাঁধে করে নিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা

    ধর্মতলায় অনশনের তৃতীয় দিনে অশান্তি শুরু হয়। বৌবাজার থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, অনশনমঞ্চে বসবার জন্য যে চৌকি আনা হয়েছিল, সেগুলো ‘বাজেয়াপ্ত’ করেছে পুলিশ। রাস্তাতেই ওই নিয়ে একপ্রস্ত বাদানুবাদ হয় পুলিশ এবং জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor)। তার পর সোমবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়াল বৌবাজার থানার সামনে। জুনিয়র ডাক্তারদের স্লোগানে স্লোগানে ভরে ওঠে থানা চত্বর। পরে থানার মূল গেটের সামনে বসে পড়েন তাঁরা। প্রায় তিন ঘণ্টা বৌবাজার থানায় বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরে ‘বাজেয়াপ্ত’ করা চৌকি ‘ছাড়িয়ে’ আনলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ছেড়ে দেওয়া হয় সাইকেল ভ্যানগুলিও। সেগুলোয় কয়েকটি চাপানো হয়। কয়েকটি চৌকি নিজেরাই কাঁধে তুলে নেন ডাক্তারেরা। তার পর হাঁটা দেন অনশনমঞ্চের দিকে। সঙ্গে পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সোমবারই সাংবাদিক বৈঠক করে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। অন্যদিকে, আন্দোলনের সমর্থনে জুনিয়র ডাক্তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিং হবে অনশনের।

    পুলিশের জুলুমবাজি!

    আন্দোলনরত এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “পুলিশ এই আন্দোলনে নানা ভাবে বাধা দিচ্ছে। বায়ো টয়লেট বসানো থেকে ডেকোরেটরদের গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া, সবেতেই গায়ের জোর দেখাচ্ছে পুলিশ। সকালে নিজেরাই বায়ো টয়লেট তৈরি করেছি। কিন্তু, এবার চৌকি আনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর থেকে খারাপ জিনিস বোধ হয় কোনও দেশের বা অন্য কোনও রাজ্যের সরকার কোনও দিন করেনি! এরা সেই রাস্তাটাও এবার দেখিয়ে দিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    CBI: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar) শিয়ালদা কোর্টে প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিবিআই (CBI)। চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই তরুণী চিকিৎসককে মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে সঞ্জয় রায়ের। অভিযুক্ত সিভিকের ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

    সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! (CBI)

    সিবিআই (CBI) এফআইআর করেছিল ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (১) খুনের ধারায়। তবে চার্জশিট দিল ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণ করতে গিয়ে কাউকে হত্যা বা তাকে মৃতপ্রায় (vegetative state) করলে, সেই ধারায়। সেই সঙ্গে দেওয়া হল ১০৩ (১) খুনের ধারা। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সেমিনার রুমে পৌঁছে নির্যাতিতাকে দেখে। তারপরেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাধা পেয়ে আঘাত করে যার ফলে নির্যাতিতা মৃতপ্রায়, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। সেই অবস্থায় ধর্ষণ করা হয়। অর্থাৎ সিবিআই গণধর্ষনের কোনও ধারা যুক্ত করল না এক্ষেত্রে। ঘটনাস্থলে আর কারও উপস্থিত থাকা এবং খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে সিভিক ছাড়া আর কারও যোগ খারিজ এই চার্জশিট অনুযায়ী। অভিযুক্তের বিকৃত যৌন প্রবৃত্তি এবং মানসিক বিকৃতি আছে, সেটাও উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে। মোট ১২৮ জনের বয়ান রেকর্ড করার কথা উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। 

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    ধারা অনুযায়ী কী সাজা হতে পারে ধৃত সিভিকের?

    সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা ৬৪ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণ। ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ৬৬ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণের জেরে খুন। এই ধারা প্রমাণিত হলে কুড়ি বছরের কারাবাস বা জেলে স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত কারাবাস কিংবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ১০৩ (১) ধারা অর্থাৎ খুন। এই ধারা প্রমাণিত হলে আমৃত্যু কারাবাস কিংবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। মামলার দায়ভার নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় এবার শিয়ালদা কোর্টে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটটি ২১৩ পাতার। সেখানে ২০০জন সাক্ষীর কথা উল্লেখ করেছে সিবিআই। সেই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা উঠে আসছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Park Street: মহিলা সিভিকের শ্লীলতাহানি! পার্কস্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর গ্রেফতার

    Park Street: মহিলা সিভিকের শ্লীলতাহানি! পার্কস্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানায় কর্মরত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক সাব ইন্সপেক্টর। ধৃতের নাম অভিষেক রায়। তিনিও পার্ক স্ট্রিট থানায় কর্মরত রয়েছেন। রবিবার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই ওই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ় করে দেয় লালবাজার। শুরু হয় তদন্ত। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে? (Park Street)

    কয়েকদিন আগেই একটি অভিযোগপত্রে মহিলা সিভিক (Civic Volunteer) লেখেন, “আমি ২০১৭ সাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছি। এখন পার্ক স্ট্রিট থানার (Park Street) অধীনে রয়েছি। চার তারিখ রাত ৯টা থেকে আমি ডিউটি করছিলাম। সে সময়ে ওই অফিসার আমাকে তাঁর গার্ডকে দিয়ে তাঁর রেস্টরুমে ডেকে পাঠান। পার্ক স্ট্রিট থানার তিনতলায় অবস্থিত ওই ঘর। রাত প্রায় ১টা ১০ নাগাদ আমি সেখানে যাই, যা ক্যালেন্ডারের হিসেবে ৫ অক্টোবর তারিখ।” চিঠিতে তিনি বলেন, “ওই এসআই অফিসার আমায় পুজোর উপহার হিসেবে একটি নতুন সালোয়ার কামিজ দেন। আমি সেটি নেওয়ার সময়ে তিনি আমার শরীরে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করেন। আমি বাধা দিলে তিনি বলেন এটা কোনও ব্যাপার নয়। তিনি আমায় মৌখিকভাবে সান্ত্বনা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পরে আমি আমার ছোট ভাইকে ফোন করি এবং সে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসে। একটি ডায়েরি করতে চাই। কিন্তু ডিউটি অফিসার রণবীর দাস আমার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। আমায় বলা হয় থানাতেই কথা বলে মিটিয়েনিতে। ঘটনাটি এড়িয়ে যেতে।” চিঠিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার, জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও পার্ক স্ট্রিট থানার ওসি- কে পাঠানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, এর আগেও এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত ওই অফিসার। তিনি লিখেছেন, “এর আগেও ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে দুপুর দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় তিনি পার্ক স্ট্রিট থানার কম্পিউটার রুমে আমার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।” ওই মহিলা আরও লিখেছেন, যে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তিনি কোনও ডিউটি পালন করবেন না। নিচুতলার কর্মীর সঙ্গে ওই অফিসার যে আচরণ করেছেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো তাঁর নৈতিক দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই চিঠিকে এফআইআর হিসেবে দায়ের করে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় লালবাজার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় (Park Street) তদন্ত শুরু হয়। তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তখনই আভাস দেওয়া হয়েছিল, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সোমবার সকালে ওই এসআই-কে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিভিক সঞ্জয়ই খুন-ধর্ষণ করেছে, ৫৫ দিনের মাথায় কোর্টে চার্জশিট দিল সিবিআই

    CBI: সিভিক সঞ্জয়ই খুন-ধর্ষণ করেছে, ৫৫ দিনের মাথায় কোর্টে চার্জশিট দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তভার হাতে পাওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট দিল সিবিআই (CBI)। চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই তরুণী চিকিৎসককে মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে সঞ্জয় রায়ের। পুজোর মুখে কোর্টে সিবিআইয়ের চার্জশিট দেওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    সন্দীপ-টালা থানার প্রাক্তন ওসি প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত! (CBI)

    সূত্রের খবর, চার্জশিটের মূল অংশটি প্রায় ২১৩ পাতার। ২০০ জন সাক্ষীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। সেই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা উঠে আসছে। সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, সেই মূলত খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত। তথ্য প্রমাণ লোপাটে যড়যন্ত্র করার অভিযোগ ওঠে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই দু’জনকেও পরবর্তীতে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে এই দুই অভিযুক্তের কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাতে লেখা হয় এই দুই ব্যক্তিও এ ঘটনাকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন, তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খুন-ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চেস্ট মেডিসিনের এক চিকিৎসক ছাত্রীর। যা নিয়ে এখনও আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা। শুরুতেই এ মামলার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় রায় নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যদিও শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এবার তদন্তভার হাতে নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় শিয়ালদা কোর্টে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    কবে দায়িত্ব নিয়েছিল সিবিআই?

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। গত ৯ অগাস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যালের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চেস্ট মেডিসিন বিভাগে উদ্ধার হয় স্নাতকোত্তর পড়ুয়া ৩১ বছর বয়সী তরুণী চিকিৎসকের দেহ। এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়। ১৩ অগাস্ট ঘটনার ৫ দিন পর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্তভার হাতে নিয়ে সিভিক সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। এবার চার্জশিট পেশ করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    Jaynagar: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের (Jaynagar) কুলতলি এলাকা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।  তার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা এলাকা। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। আরজি করের মতো এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যবাসী। এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে গোটা গ্রাম। আরজি করের প্রতিবাদী চিকিৎসকরা থেকে শুরু করে আইনজীবীরা পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। সিবিআই তদন্ত চাইল জয়নগরের নিহত বালিকার পরিবারও।

    সিবিআই তদন্ত চাইছে নিহত বালিকার পরিবার (Jaynagar)

    মেয়ের ধর্ষণ ও মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইল জয়নগরের (Jaynagar) নিহত বালিকার পরিবার। এইন প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে পারে পরিবার। মেয়ের নির্মম পরিণতির সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডের তুলনা টেনে এনে বালিকার পরিবার জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর তাঁদের কোনও আস্থা নেই। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে। এই কারণে, সিবিআই চাই। রবিবার, নাবালিকার ময়না তদন্তও কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থায় করতে চেয়ে হাইকোর্টে তারা আবেদন জানায়। আদালত কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে সেই প্রক্রিয়া চলছে। এবার পরিবারের তরফে ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করা হতে পারে বলেও উঠে আসছে। রবিবারের শুনানিতেও তারা সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। সেই মতো প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন পরিবারের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    নির্যাতিতার বাড়িতে চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদল

    জয়নগরে (Jaynagar) নির্যাতিতার বাড়িতে যায় জুনিয়র চিকিৎসদের প্রতিনিধিদল। সেই দলে ছিলেন আরজি কাণ্ডে আন্দোলন করা জুনিয়র ডাক্তাররা। পাঁচ জন ডাক্তারের মধ্যে ছিলেন কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার প্রমুখ। আরজি কর ইস্যুতেই তাঁরা রাস্তায় নেমে ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন মৃত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পাশে থাকার বার্তাও দেন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তাররাও নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। রবিবার দুপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন আরজি কর হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল। পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর কিছুক্ষণের জন্য কৃপাখালী এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভেও শামিল হন তাঁরা। আর সেখান থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।

     নির্যাতিতার বাড়িতে আইনজীবীর প্রতিনিধিদল

    নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা। রবিবার দুপুরে নির্যাতিতার পরিবারের (Jaynagar) সঙ্গে দেখা করতে যান কলকাতার হাইকোর্ট এবং বারুইপুর আদালতের আইনজীবীরা। পরিবারের সদস্যদের সব রকম আইনি সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে, আরও বেশ কিছু বিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা কথা বলেন তাঁরা। এই নারকীয় ঘটনার প্রধান অভিযুক্তের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়, সেই প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন আইনজীবীরা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যের আইনজীবী অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য গৌতম চট্টোপাধ্যায়  বলেন, “এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও কথা বলার ভাষা নেই আমাদের। দশ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তর যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় আইনিভাবে আমরা সব রকম ব্যবস্থা করব। পরিবারের সঙ্গে আমরা দেখা করে কথা বলেছি। আইনি সমস্ত রকম সাহায্য আমরা করব। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে এই ঘটনায়। পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর তারা তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলে এই দিনটি দেখতে হত না পরিবারের সদস্যদের। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন। জয়নগর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবার যাতে সুবিচার পায় আমরা আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য করব।” উল্লেখ্য, শনিবার বারুইপুর আদালতে জয়নগরের প্রধান অভিযুক্তকে পেশ করা হলে, আদালতের কোনও আইনজীবী তার পক্ষে সওয়াল করেননি।

    থমথমে এলাকা

    এদিকে সোমবারও থমথমে রয়েছে কুলতলি (Jaynagar) থানার কৃপাখালীর হালদারপাড়া গ্রাম। রয়েছে চাপা উত্তেজনা। পরিস্থিতি সামলাতে রয়েছে প্রচুর পুলিশ। এলাকার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। যদিও মহিষমারি হাট এলাকা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলেছেন, লোকজন আসছে। এই মহীশমারি হাটের পাশেই মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। সেখানেও মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশের ভূমিকা ভালো নয়। সমস্ত ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Patashpur: শুধু বিষক্রিয়ায় মৃত্যু? খুশি নয় পটাশপুরের নির্যাতিতার পরিবার, দ্বারস্থ হাইকোর্টের

    Patashpur: শুধু বিষক্রিয়ায় মৃত্যু? খুশি নয় পটাশপুরের নির্যাতিতার পরিবার, দ্বারস্থ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে জোর জলঘোলা হয়েছিল। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) পটাশপুরে (Patashpur) নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরিবারের লোকজন। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। কিন্তু মৃতার পরিবার এই রিপোর্টে খুশি নয়। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ময়না তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ (Patashpur)

    রবিবার তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পটাশপুরের (Patashpur) মৃতার দেহের ময়না তদন্ত হয়। উপস্থিত ছিলেন পটাশপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিক। উপস্থিত ছিলেন মহিলার ছেলে এবং অন্য পরিজনেরা। মৃতার ছেলে বলছেন, “ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বিষক্রিয়ার জেরেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন কিংবা ধর্ষণের মতো ঘটনার প্রমাণ মেলেনি। এর পরেই পুলিশ মৃতদেহটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের জানায়। আমরা দেহ নিতে অস্বীকার করেছি।” মৃতার ছেলে আরও বলেন, “ময়না তদন্তের রিপোর্টে আমরা মোটেই খুশি নই। তাই দেহ না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি। নতুন করে ময়না তদন্তের দাবি নিয়ে সোমবার আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আদালত যা রায় দেবে সেই মতোই কাজ হবে।” মৃতার পরিজনদের মতে, ওই মহিলার ওপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছে। তাঁর বুকে, পেটে আঘাত করা হয়েছে। যে সময় তাঁর দেহটি উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর শরীরে পোশাকের চিহ্নমাত্র ছিল না। অথচ ময়না তদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে তা মিলছে না। সেখানে বিষক্রিয়ায় স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শরীরেও কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।  

    আরও পড়ুন: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    পুলিশ প্রশাসন কী সাফাই দিল?

    কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) শুভেন্দ্র কুমার বলেন, “রবিবার পটাশপুর  (Patashpur) এলাকায় এক মহিলার মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পারি, গ্রামেরই এক ব্যক্তির সঙ্গে এক মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলার জন্যই ওই মহিলাকে গত শুক্রবার মারধর করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার মহিলার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই এলাকাবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যক্তিকে মারধর করেন। গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার পরিবারের তরফে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যেখানে অভিযুক্ত-সহ আরও এক মহিলার বিরুদ্ধে মারধর করে বিষ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগে কোথাও ধর্ষণের মতো কোনও বিষয়ের উল্লেখ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar)  বালিকার মৃত্যুর পরেও একই ভাবে পুলিশের উপরে আছড়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। ফাঁড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মোটরবাইক, সাইকেল। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীরা কার্যত পালিয়ে যান। শনিবার এমন রোষের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কর্তব্য নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল। পুলিশ তৎপর হলে ওই বালিকাকে বাঁচানো যেত, এমন দাবিও উঠেছে।

    ফাঁড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়! (Jaynagar)  

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পরে ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, ফাঁড়ির পুলিশ (Jaynagar)  গুরুত্ব দেয়নি। থানায় যেতে বলে দেয়। গ্রামবাসীর দাবি, স্থানীয় একটি দোকানে সিসি ক্যামেরা ছিল। সেই ফুটেজ চেয়ে মেলেনি। পুলিশ তৎপর হয়ে ফুটেজ জোগাড় করলে ধৃতকে আগেই শনাক্ত করা যেত। সে ক্ষেত্রে হয়তো মেয়েটির প্রাণ বাঁচানো যেত! তবে, শুধুমাত্র ওই বালিকার খুনের ঘটনাতেই ফাঁড়িতে জনরোষ, এমন নয়। এখানকার পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ জমছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ দিন তারই বহিঃপ্রকাশ হল, বলছেন অনেকে। ওই গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “ফাঁড়িটা আছে নামেই। গ্রামবাসীর কাজে লাগে না। চুরি-ডাকাতি হলেও পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায় না।” আর এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, “সম্প্রতি মোবাইল চুরির অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কাজ তো হয়ইনি, উল্টে পুলিশ টাকা চেয়েছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “আমাদের মেয়েটার বেলায় একটু আগে তদন্ত করতে পারল না ওরা!” দিন কয়েক আগে একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই থানা এলাকারই দ্বিতীয় ফাঁড়িটিতেও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেখানেও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    ক্ষুব্ধ সরকারি আধিকারিকও

    গ্রামবাসীরা জানান, নিরাপত্তার কথা ভেবে থানা থেকে দূরবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে আলাদা এই ফাঁড়ির (Jaynagar) ব্যবস্থা করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় দু’টি এ রকম ফাঁড়ি রয়েছে। আলাদা ভবন, এক এসআই-সহ চার পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ সব ব্যবস্থাই রয়েছে ফাঁড়িতে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা হয় কই? ফাঁড়ির ভূমিকায় বিরক্ত সরকারি আধিকারিকদের একাংশও। স্থানীয় এক স্কুল পরিদর্শক বলেন, “এখানকার কোনও স্কুলে কোনও সমস্যা হলে ফাঁড়িতে গিয়ে কাজই হয় না। এ ভাবে ফাঁড়ি রাখার দরকার কী?”

    পুলিশ প্রশাসনের কী সাফাই?

    জেলার পুলিশকর্তারা এই সব অভিযোগ মানেননি। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালির দাবি, “পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়। বালিকাকে খোঁজার পর্বে পুরো সময়টাই ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মী ওই পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। ফাঁড়ির (Jaynagar)  তরফে কোনও গাফিলতি হয়নি।” তা হলে জনরোষ কি অকারণে? ওই পুলিশকর্তার জবাব, “কী কারণে জনরোষ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, বছর দেড়েক আগে উত্তর দিনাজপুরে এক নাবালিকার মৃত্যুর পরে স্থানীয় থানায় গিয়ে চড়াও হয় ক্ষুব্ধ জনতা। প্রাণ বাঁচাতে পাশের বাড়িতে গিয়ে এক কোণে লুকিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। সম্প্রতি কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে একটি স্কুলপড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যুর পরেও স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। এবারও জয়নগরের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে জনরোষ আছড়়ে পড়ল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তের

    Bhupatinagar: মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের পর জয়নগর! ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তপ্ত বাংলা। এই আবহের মধ্যে এবার এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) পটাশপুরের ভূপতিনগর (Bhupatinagar) এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhupatinagar)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ওই গৃহবধূর ওপর প্রতিবেশী যুবকের দীর্ঘদিন ধরেই কুনজর ছিল। তাঁকে একাধিকবার আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। ওই গৃহবধূ তাঁকে সতর্ক করেন। শনিবার নির্যাতিতার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, মহিলা বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ঘরে ঢোকেন ওই যুবক। এরপরই বাড়়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে, সমস্ত বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাঁকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তের নামে আগেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গ্রামবাসীরা ঘটনা জানতে পেরে ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পর গ্রামে খবর আসে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার সকালে উত্তেজিত এলাকাবাসীরা এক অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন। মাঝবয়সি ওই ব্যক্তিকে প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় গ্রামের রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেন মূলত মহিলারাই। খবর পেয়ে ভূপতিনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গ্রামে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    অন্যদিকে অভিযুক্তকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই পরে তার মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ চলছে

    বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা একটা নতুন প্যাটার্ন তৈরি হয়েছে অপরাধের। ধর্ষণ ও খুন। আমরা এক নতুন জায়গায় পৌঁছাচ্ছি। বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ চলছে।” প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, সেই আবহেই শুক্রবার জয়নগরের ন’বছরের বালিকাকেঅপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবার ভূপতিনগরে (Bhupatinagar) মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    Jaynagar: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই আবহের মধ্যে জয়নগরের (Jaynagar) কুলতলিতে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। রাজ্যে মেয়েদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। এবার জয়নগরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা।

    নারী সুরক্ষা কোথায়? প্রশ্ন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা’র (Jaynagar)

    শনিবার ভোররাতে জয়নগরের (Jaynagar) মহিষমারি এলাকায় একটি জলাভূমি থেকে উদ্ধার করা হয় এক ৯ বছরের বালিকার দেহ। শুক্রবার দুপুরে টিউশন পড়তে যাওয়ার পর থেকে তার খোঁজ মেলেনি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা প্রথমে অভিযোগ নেয়নি। পরে, অভিযোগ নিলেও কোনও গুরুত্ব দেয়নি। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সক্রিয় হলে মেয়েকে বাঁচানো যেত। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ১৯ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বালিকাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই যুবক। তবে ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই এই ঘটনায় তপ্ত জয়নগর। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পুলিশকে ঝাঁটাপেটা করা হয়। ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন আরজি করে (RG Kar) নির্যাতিতা চিকিৎক তরুণীর বাবা ও মা। তাঁরা বলেন, “নারী সুরক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে রাজ্যে।” জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন-ধর্না-অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, জয়নগরের অভিযুক্তকে শনিবার দুপুরে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। তবে তার হয়ে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি। পুলিশ অভিযুক্তকে ৭ দিনের হেফাজতে চায়। তা মঞ্জুর করে আদালত।

    আরও পড়ুন: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    নতুন করে উত্তেজনা

    শনিবার সন্ধ্যায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি (Jaynagar)। পুলিশের বিরুদ্ধে গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ তুলে সরব হন গ্রামবাসী। সন্ধে নামতেই বিচার চেয়ে পথে নামেন গ্রামবাসীরা। স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা। মূলত, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, পুলিশ সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে এই ঘটনা ঘটত না। সকালে মহিষমারি হাটে অবস্থিত পুলিশ আউটপোস্ট ভাঙচুর করা হয়। এরপর সন্ধে হতেই গ্রাম থেকে লোক ঢুকতে শুরু করেন মহিষমারি হাটে। জমায়েত শুরু করেন। বিচার চান, দোষীদের শাস্তি চান। পুরুষ থেকে শুরু করে মহিলারা দলে-দলে জমায়েত করতে শুরু করেন। এদিকে গ্রামবাসীকে শান্ত করতে ময়দানে নামে পুলিশও। এক পুলিশ আধিকারিক কথা বলেন গ্রামবাসীর সঙ্গে।

    পুলিশ প্রশাসন কী সাফাই দিলেন?

    পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি  বলেন, “পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, গাফিলতি নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। আমাদের কাছে সব তথ্য অন রেকর্ড আছে। পরিবারের (Jaynagar) সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ ছিল আমাদের। পাঁচ ঘণ্টায় দেহ সনাক্ত করে উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর গ্রেফতার হয়। ইতিমধ্যে খুনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করব। আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share