Tag: West Bengal

West Bengal

  • Weather Update: দুর্গাপুজো শুরুর আগে শেষ রবিবার, রাজ্যের কোন কোন জেলা ভিজতে পারে?

    Weather Update: দুর্গাপুজো শুরুর আগে শেষ রবিবার, রাজ্যের কোন কোন জেলা ভিজতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি আর জলাধার থেকে ছাড়া জলে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর পর আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে। বহু জায়গায় জল নামতে শুরু করে। কিন্তু ফের নিম্নচাপের কারণে রাজ্য জুড়ে (West Bengal) বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সেই উৎসব (Durga Puja) শুরুর আগে শেষ রবিবার। অনেকেই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার পরিকল্পনা করেছেন। এই আবহে জেনে নিন এদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? রাস্তায় বেরিয়ে কি ভিজতে হবে? কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর?

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপ (Weather Update) শক্তি হারালেও সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ভাগে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। যা সংলগ্ন উত্তর বাংলাদেশের ওপরেও বিস্তৃত। এছাড়া আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূল এলাকায়। এর জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা-সহ সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলাতে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি, মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে।

    আরও পড়ুন: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা কী বললেন?

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত পুজোর আগে কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, রবিবার রাজ্য জড়ে বৃষ্টি হলেও সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। সোমবার থেকে শুক্রবার ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। মূলত আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। কোনও কোনও জেলায় দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, পুজোর সময় আম বাঙালি উৎসবে মাততে পারবেন বলেই আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 1737 Calcutta Cyclone: ২৮৭ বছর আগে কলকাতার বুকে আছড়ে পড়েছিল বিধ্বংসী ঝড়, ৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু

    1737 Calcutta Cyclone: ২৮৭ বছর আগে কলকাতার বুকে আছড়ে পড়েছিল বিধ্বংসী ঝড়, ৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু

    হরিহর ঘোষাল

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদানীং ঝড়ের নামকরণ করার বিধি হয়েছে। সেই হিসেবে প্রতিটি ঝড় নিয়েই আগাম চর্চার পরিসর অনেকটা খুলে যায়। সেই চর্চার সূত্রেই কলকাতার (1737 Calcutta Cyclone) প্রথম সাইক্লোন বা উঠে আসছে ‘গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোনের’ (Great Bengal Cyclone) প্রসঙ্গ। সেই ঝড়ের বিধ্বংসী শক্তি নিয়ে আজও মানুষ কৌতূহলী। এখনও পর্যন্ত এই ঝড়টিকেই বাংলার নথিভুক্ত প্রথম ভয়াবহ ঝড় বলা যায়!

    কবে হয়েছিল সেই ঝড়? (1737 Calcutta Cyclone)

    ২৮৭ বছর আগের কথা। তখনও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কব্জায় আসেনি ভারত। ১৭৩৭ সালের ১১ অক্টোবর। আজকের দিনেই ভয়ঙ্কর এক সাইক্লোনের পাল্লায় পড়েছিল বাংলা। বিধ্বস্ত হয়ে গেল কলকাতা। শুধু ঝড় নয়, সেসময়ে ভূমিকম্পেও কেঁপে উঠেছিল বাংলা। ‘গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোন’ নামে পরিচিত এই ঝড়ের জেরে ভারত মহাসাগরে সুনামিও এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। পলাশির যুদ্ধের কুড়ি বছর আগে, সাইক্লোন ও ভূমিকম্পের জোড়া আক্রমণে প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। মারা গিয়েছিলেন অন্ততপক্ষে ৩ লক্ষ মানুষ। জাহাজডুবির ঘটনাও পাওয়া গিয়েছে। ভেঙে পড়েছিল বহু বাড়ি, অট্টালিকা। প্রাকৃতিক বিপর্যের (1737 Calcutta Cyclone) চোটে সেদিন বহু ইটের বাড়িও মাটিতে মিশে গিয়েছিল! শহরের বুকে নৌকাডুবি। ট্রাম-বাস চলে না এ রাস্তা দিয়ে। সুতরাং ট্রাম-বাস অ্যাকসিডেন্ট নয়। স্বভাবতই রিকশা-ঠেলারও নয়। সুতরাং নৌকাডুবিই হয়েছিল এখানে। আজব নগরীতে সে এক তাজ্জব ব্যাপার।

    ‘গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোনের’ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা

    ১৬৮০ থেকেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক জন আধিকারিক মোতায়েন ছিলেন কলকাতার কুঠি সামলানোর জন্য। সে রকমই এক জন আধিকারিক জন স্ট্যাকহাউস। তিনি কলকাতার দায়িত্বে ছিলেন ১৭৩২ থেকে ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দ অবধি। তাঁর আমলেই তৎকালীন বাংলা কেঁপে উঠেছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে। ঐতিহাসিক নথিতে যার পরিচয় ‘১৭৩৭ বেঙ্গল সাইক্লোন’ নামে। আজ থেকে ২৮৭ বছর আগে এই কলকাতা থেকে লেখা একখানা চিঠি উদ্ধার  হয়েছে। সেদিনের সেই দুর্যোগের ঘটনার সাক্ষী ছিলেন সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য স্যার ফ্রান্সিস রাসেল। তিনি সেদিন কলকাতাতেই ছিলেন। তাঁর চিঠিতে ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ ফুটে উঠেছে। চিঠিতে তিনি লেখেন, “এমন আতঙ্কের দৃশ্য (1737 Calcutta Cyclone) আর কোনও দিন দেখিনি আমি। এমনকী শুনিনি পর্যন্ত। যে বাড়িটায় আমি আছি, আমার বিশ্বাস, সেটা কলকাতার সব চেয়ে মজবুত বাড়ি। কিন্তু বৃষ্টি আর বাতাসের বেগ এমন তীব্র হয়েছিল সেদিন যে, প্রতি মুহূর্তে মনে হচ্ছিল যেন ছাদটা ভেঙে পড়বে আমাদের মাথায়। এমন ভয়ানক শব্দ হচ্ছিল ওপরে যে, পরিবারের লোকজনকে নিয়ে অবশেষে আমাকে নেমে আসতে হল নীচে। সেখানে আবার আশ্রয় নিয়েছেন বেচারা মিসেস ওয়াস্টেল তাঁর ছেলেপুলে নিয়ে। ঝড়ের তোড়ে তাঁর বাড়ির জানালা-দরজা সব ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছে দেওয়ালের গা থেকে। সকাল অবধি আমাদেরও কাটাতে হল তাঁর সঙ্গে নীচে। অবশেষে সকাল হল। শহরটার দিকে তাকালে মনে হয় শত্রুপক্ষ এসে যেন বেপরোয়া বোমা বর্ষণ করে গেছে এর উপর। আমাদের সুন্দর ছায়াচ্ছন্ন রাস্তাগুলোর দু’ ধারে একটিও গাছ নেই। সব ছিন্নভিন্ন। গতকাল যা ছিল, আগামী কুড়ি বছরেও তেমনটি হবে না আর। নদীটি রূপ নিয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রের। সারা নদী ধ্বংসস্তূপে বোঝাই।”

    চিৎপুরে গোবিন্দ মিত্তিরের নবরত্ন মন্দির গুঁড়িয়ে যায়

    এ কে সেনশর্মার বই ‘গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোন ১৭৩৭’ তে আছে বিপর্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ। সেই বিবরণ থেকে আঁচ পাওয়া যায় কতটা ভয়ঙ্কর ছিল সে রাতের জলোচ্ছ্বাস। গাঙ্গেয় বদ্বীপের ৬ লিগ অবধি উঠেছিল জলস্তর। ১ লিগ মানে সাড়ে পাঁচ কিমি। সেখান থেকে কিছুটা অনুমেয় কতটা বীভৎস ছিল জলের প্রাচীর। গাঙ্গেয় বদ্বীপ সংলগ্ন ৩৩০ কিমি এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছিল ঝড়ের তাণ্ডবলীলায়। অর্থাৎ, আজকের প্রেক্ষিতে কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর অবধি প্লাবিত হয়েছিল। সাগরের বদ্বীপ অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছিল ৪০ ফিট অবধি। হিসেবমতো এই উচ্চতা আজকের চারতলা বাড়ির সমান। ৬ ঘণ্টা ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৮১ মিলিমিটার। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। ইংরেজদের তৈরি সেই আদি উপাসনাস্থল চুরমার হয়ে ভেঙে পড়েছিল। কয়েক টুকরো হয়ে গিয়েছিল কুমোরটুলির গোবিন্দরামের মন্দিরের মূল পঞ্চরত্ন চূড়া। দাপুটে গোবিন্দরাম ছিলেন সে কালের এক ধনকুবের। তার তৈরি মন্দিরের আর এক নাম ছিল ‘ব্ল্যাক প্যাগোডা’। শোনা যায়, উচ্চতায় তা ছিল অক্টারলোনি সৌধের থেকেও দীর্ঘ। গঙ্গার তীব্র জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় গঙ্গার ঘাটগুলি। দেশীয় ডিঙি নৌকোর পাশাপাশি উধাও বিদেশি বণিকদের জাহাজও। সেন্ট অ্যানের গির্জা নেই। কাঁচা কি পাকা বাড়ি সব মাঠ। পাঁচ টনের দু’খানা ইংরেজি জাহাজ নাকি ছিটকে পড়েছিল নদীর বুক থেকে দু’শ ফ্যাদম দূরে এক গ্রামের ভিতরে। চল্লিশ ফুট বেড়ে গিয়েছিল সেদিন হুগলি নদীর জল। সেদিন নিশ্চয়ই বন্যা হয়েছিল এই অঞ্চলে। চারিদিকে থই থই জল। ধানখেত ডুবে গিয়েছে। কলকাতা বিরাট বিরাট গাছগুলো সব বুক জলে দাঁড়িয়ে।

    বার বার ঝড় আছ়়ড়ে পড়েছিল!

    ১৭৩৭ সালের (1737 Calcutta Cyclone) পর কলকাতার বুকে বার বার ঝড়় আঘাত করেছিল। জানা যায়, এরপর ১৭৮৭, ১৭৮৯,১৮২২, ১৮৩৩ সালে গাঙ্গেয় বঙ্গে বারবার হানা দেয় প্রাণঘাতী ঝড়। দশ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এই সব ঝড়ে। এরপর বাংলায় ঝড়ের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতি হয় ১৮৭৬ সালের দ্য গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোন বা কুখ্যাত বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন। এই ঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ মারা যান। বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়া এই ঝড়ের ধ্বংসলীলার জেরে ঢাকা শহরে লোক সমাগম এক ধাক্কায় লাফিয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এই সাইক্লোন মোকাবিলায় ইংরেজ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে পরবর্তী সময়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বার বার ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়েছিল বাংলা-সহ আজকের কলকাতা। বিদেশি ঔপনিবেশিকদের কলমে নথিবদ্ধ আছে সেই দু’দিনের ভয়াল অভিজ্ঞতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “এবার কোনও মণ্ডপ উদ্বোধন করবেন না”, বড় সিদ্ধান্ত সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এবার কোনও মণ্ডপ উদ্বোধন করবেন না”, বড় সিদ্ধান্ত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে আরজি কর নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। ন্যায়বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে জয়নগরের কুলতলির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। এই আবহে পুজোর আগে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    পুজোর উদ্বোধন করবেন না সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    শনিবার (Durga Puja) সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত। বলেন, (Sukanta Majumdar) “এবার উৎসবের পরিস্থিতি নেই। রাজ্যে মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য বিজেপি আরও আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তবে, আমি বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যাব, কিন্তু পুজো উদ্বোধন করব না। রবিবার জয়নগরে যাব। কারণ জয়নগরের ঘটনার শুধু ধর্ষণের ঘটনা নয়। এই ধরণের ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত।” তাঁর এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে আরজি কর ও কুলতলির ঘটনাও। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছিল বঙ্গ বিজেপি। একাধিকবার সুর সপ্তমে চড়িয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তবে এদিন তাঁর এই সিদ্ধান্তের পাল্টা তৃণমূল  শিবিরের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: পুলিশের হুমকিতে বেপাত্তা ডেকোরেটর! বৃষ্টি মাথায় ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    নদী বাঁধ মেরামতি নিয়ে সরব সুকান্ত

    গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি জমিতে থাকা ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিন কয়েক আগে পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গঙ্গারামপুর ব্লক ও তপন ব্লকের একাধিক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে বারবার দাবি উঠেছে নদী বাঁধ বাঁধানোর। যে কাজে প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। শুক্রবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) ১নং রামপাড়া চ্যাচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুতইল গ্রামে পরিদর্শনে যান। সেই সঙ্গে তিনি ২নং আজমাতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্যা কবলিত এলাকায়ও পরিদর্শনে যান। কথা বলেন দুর্গত মানুষদের সঙ্গে, ত্রিপল দান করেন। পুনর্ভবা নদীর ভাঙা বাঁধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সুকান্ত বলেন, “আমি রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করব এবং আমি নিজেও চিঠি দেব বাঁধগুলিকে বোল্ডার দিয়ে বাঁধানোর জন্য। প্রয়োজনে যদি কেন্দ্র সরকারের কাছে যদি প্রস্তাব পাঠানোর থাকে সেটাও যেন রাজ্য সরকার করে। আমরা কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে ফান্ডের ব্যবস্থা করব।” শুধু সাধারণ মানুষই নন, সুকান্তর এহেন বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতাও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল সাংসদকে ‘গো-ব্যাক’ স্থানীয়দের, মৃতার দেহ সংরক্ষণের দাবি অগ্নিমিত্রার

    Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল সাংসদকে ‘গো-ব্যাক’ স্থানীয়দের, মৃতার দেহ সংরক্ষণের দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে এখনও প্রতিবাদের ঝড় চলছে রাজ্যজুড়ে। এই আবহের মধ্যে ন’বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের (Jaynagar) মহিষমারি এলাকায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হল পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে। নিহত নির্যাতিতা বালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবিতে হাসপাতালে ধর্নায় বসেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ পৌঁছলে তাকে শুনতে হয় ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান।

    বিজেপি বিধায়ক-তৃণমূল সাংসদ বচসা (Jaynagar)

    এদিন দুপুরে অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা পৌঁছে যান হাসপাতালের (Jaynagar) সামনে। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কিছু সময় পরে তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলও পৌঁছন সেখানে। দুই বিপক্ষ শিবিরের সাংসদ-বিধায়ক মুখোমুখি হতেই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। তৃণমূল সাংসদ প্রতিমাকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, “কেন শুক্রবার রাতে এফআইআর নেওয়া হল না পরিবারের। পুলিশ কেন চুপ ছিল অভিযোগ জানানোর পরেও। পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয়? আপনাকে জবাব দিতে হবে দিদি!” দৃশ্যত বচসায় জড়ান সাংসদ ও বিধায়ক। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কার্যত আঙুল উঁচিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকলেন অগ্নিমিত্রা। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ককে হাত জোড় করে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রতিমা। অগ্নিমিত্রা আরও বলেন, “আপনি এখানকার সাংসদ। আপনি অভিভাবক। আপনাকে জবাব দিতে হবে।”

    তৃণমূল সাংসদকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান (Jaynagar)

    সাংসদকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগানও উঠল ভিড়ের মধ্যে থেকে। উত্তেজিত জনতার দাবি, “কোন বিচার দিতে পারবে না তৃণমূল সাংসদ, আমাদের ব্যাপার আমরা বুঝে নেব।” পাশাপাশি অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে ময়নাতদন্ত নিয়ে একাধিক ভুল ভ্রান্তি সামনে এসেছিল। আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তাই দেহ সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।”  সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পরে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে যান তৃণমূল সাংসদ। তিনি শুধু বলেন, “নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে চাই।”

    আরও পড়ুন: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে রণক্ষেত্র এলাকা

    প্রসঙ্গত,শুক্রবার রাতে নাবালিকার (Jaynagar) দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়। তাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও। চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়া শুক্রবার দুপুরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল। তার পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না নাবালিকার। এই নিয়ে প্রথমে পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে, সেখানে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে রাতের দিকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ (South 24 Parganas)। পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রথম থেকে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিলে মেয়েটিকে প্রাণে বাঁচানো যেত। তা নিয়ে সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত জয়নগর। থানা ঘেরাও করেছিলেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ফাঁড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র‍্যাফ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। লাঠিচার্জও করা হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তিনি তোপ দাগেন।

    মমতা আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন (Arjun Singh)

    শনিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, ‘‘পুলিশের সামনেই আমার বাড়িতে হামলার ঘটনাটি ঘটেছ। পুলিশের ওপরে আমাদের কোনও আস্থা নেই। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, সঠিক যারা দোষী তাদেরকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি।’’ তিনি বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন। এই পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা প্রতিবাদ করবেন তাঁদেরকেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এই মুখ্যমন্ত্রী। আরজি করের ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাগ ফুটে চলে গিয়েছেন। কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ডাক্তার, সাধারণ মানুষ যাঁরাই প্রতিবাদ করবেন, তাঁদের কাউকে মিথ্যা কেস দিয়ে বা খুন করিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মিডিয়া তাঁর বিপক্ষে কেউ কথা বললে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন   

    হিটলারের সঙ্গে মমতার তুলনা

    এদিন হিটলারের সঙ্গে মমতার তুলনা করে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, ‘‘হিটলারের মতো ক্ষমতা প্রয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন। কিন্তু, জেনে রাখুন তিনি বেশিদিন এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। আরজি করের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেই মমতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি এবং গুলিও চলে বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা নমিত সিং ও তাঁর দলবল এই কাজ করেছে বলেই দাবি প্রাক্তন সাংসদের। অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন, ২০-২৫ জন পুলিশকর্মী ছিলেন। তাঁদের সামনেই বোমা ছোড়া হয়। কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও হামলাকারীরা ধাক্কাধাক্কি করে।

    তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর

    অর্জুনের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলার ভিডিও শেয়ার করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। ঘটনাস্থলে পৌঁছেও হামলাকারীদের না ধরে কার্যত হাত গুটিয়েই বসে ছিল পুলিশ, অভিযোগ শুভেন্দুর। ভিডিয়োয় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে কড়া শাস্তিরও দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: পুলিশের হুমকিতে বেপাত্তা ডেকোরেটর! বৃষ্টি মাথায় ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    Junior Doctor: পুলিশের হুমকিতে বেপাত্তা ডেকোরেটর! বৃষ্টি মাথায় ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে হাতে স্টেথো ধরেন অথবা অস্ত্রোপচার করেন, সেই হাতেই শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে মঞ্চ বাঁধলেন চিকিৎসকরা। বৃষ্টি মাথায় দিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) নিজেরাই বাঁধলেন নিজেদের ধর্না মঞ্চ। এমনিতেই কর্মবিরতি তুলে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফিরেছেন কাজে। তবে, আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) নির্যাতিতার ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের মঞ্চ ছেড়ে নড়তে নারাজ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    ডেকোরটরদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ (Junior Doctor)

    কয়েকদিন আগে যখন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চিকিৎসকদের (Junior Doctor) অবস্থান চলছিল, তখন অভিযোগ ওঠে, ডেকোরেটরদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। না বলে-কয়েই ত্রিপল, ফ্যান খুলে নিয়ে গিয়েছিলেন কেউ কেউ। আর শুক্রবার রাতে ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধতেই ডেকোরেটরদের বাধা দেওয়া হল বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। হুমকিও দেওয়া হয়। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মধ্যরাতে বাঁধা হল সেই মঞ্চ। ধর্নাস্থলে মঞ্চ বাঁধতে গিয়ে পুলিশি ‘বাধা’র সম্মুখীন হতে হল জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁদের অভিযোগ, ধর্নাস্থলে মঞ্চ বাঁধতে দিচ্ছে না পুলিশ। ভীত এবং সন্ত্রস্ত ডেকোরেটরের কর্মীরা কাজ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। প্রথমে পুলিশ মৌখিক অনুমতি দিলেও এখন মঞ্চ বাঁধতে দিচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    দাবি না মানলে আমরণ অনশন!

    রাত বাড়ার পর নিজেরাই মঞ্চ বাঁধার কাজে হাত লাগান চিকিৎসকেরা। কেউ ত্রিপল ধরে রইলেন, কেউ বাঁশের উপর উঠে দড়ি বাঁধলেন। রাতেই তৈরি হল মঞ্চ। ধর্নামঞ্চে একটি বড় ঘড়ি নিয়ে আসেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই ঘড়িকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারকে সময় বেঁধে দিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা (Junior Doctor)। শনিবার সকালে দেখা গেল, নিজেদের তৈরি সেই মঞ্চেই বসে আছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। ন্যায়বিচারের দাবিতে যে তাঁরা কতটা অনড়, সেই মনোভাবই কার্যত এদিন বুঝিয়ে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার মোটিভকে সামনে আনতে হবে। শনিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। প্রয়োজনে আমরণ অনশন শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    South 24 Parganas: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগকে ঘিরে রণক্ষেত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগর। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শনিবার মহিষমারি এলাকায় ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝাঁটাহাতে পুলিশকে ধাওয়া থেকে, পুলিশকে ঝাঁটাপেটা করার ঘটনা ঘটে। মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ নথি। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণভয়ে লুকিয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে র‍্যাফ নামানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়নগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পাল্টা লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়েছিল এক নাবালিকা। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মেয়েটি কোচিং থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। এদিকে, মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। অভিযোগ, তাঁদের কথায় প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। তাঁদের বলা হয়েছিল, জয়নগর থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। পরিবারের দাবি, অভিযোগের কথা শুনেই পুলিশ তৎপর হয়ে উঠলে মেয়েকে হয়তো বাঁচানো যেত। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই মহিষমারি (South 24 Parganas) এলাকায় পুকুর থেকে শিশুর দেহ খুঁজে পায় পুলিশ। তার পর এদিন সকালে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: কর্মবিরতি উঠল, বৃহত্তর আন্দোলন চলবে বলে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পরিবারের লোকজন (South 24 Parganas) মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের (Police) কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি। উল্টে হেনস্থা করেছে। তাই, পরিবারের ক্ষোভ পুলিশের ওপর গিয়েছে পড়েছে। এলাকার মানুষও তাতে সামিল হন। আর সেই কারণে এদিন ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ নিয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে চড়াও হন মানুষ। এখন মানুষের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ তৎপর হয়েছে। পাশাপাশি, এলাকার মানুষকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টাও চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর গোস্বামী বলেন, “অভিযুক্তকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এখনও পর্যন্ত এক জনই গ্রেফতার। তদন্তের মাধ্যমে আরও কেউ জড়িত কি না, দেখা হবে। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সেটাই আমাদের অগ্রাধিকার।”

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর 

    এই ঘটনায় ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিলি লিখেছেন, ‘‘স্তম্ভিত! শিহরিত! কুলতলী থানা এলাকার কৃপাখালী এলাকায় টিউশন পড়ে ফেরার পথে বলপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হলো চতুর্থ শ্রেণীর একজন নাবালিকা ছাত্রীকে। পরে নদীর চর থেকে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করলেন ছোট্ট মেয়েটির নিথর দেহ। মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বাংলার অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমার প্রশ্ন, দেবীপক্ষের সূচনাতেও নিস্তার নেই বাংলার মেয়েদের! আপনার অপশাসনে আর কতগুলি বাংলার মেয়ের এই পরিণতি হবে!! ছিঃ’’

    ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। একজনও সাজা পায় না। শাসক দলের ঝাণ্ডার নীচে থাকলে এই অপরাধ কোনওদিনই বন্ধ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত ৯ মৎস্যজীবী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে নিহত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

    নিহত মৎস্যজীবীদের পাশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর এফবি বাবা গোবিন্দ নামক একটি ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রলারে মোট ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ৮ জন বেঁচে ফিরলেও বাকি ৯ জনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। আর সেই মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারদের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের সমস্ত ছেলে মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টি নেবে। বেশ কিছু মৎস্যজীবী পরিবার এখনও পর্যন্ত বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না বলে আমি জানতে পারলাম। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।” তিনি আরও বলেন, “বার্ধক্য ভাতার বেশিরভাগ টাকাই পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার, তারপরেও রাজ্য সরকার নিজেদের নাম দিয়ে মানুষের কাছে মিথ্যে প্রচার করে। আমি এখানে এসেছি কোনও রাজনীতি করতে নয়, কোনও পতাকা নিয়ে আসিনি। রাজ্যের যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।”

    তৃণমূলকে তুলোধনা

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে আসার সময় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওই ব্যক্তি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। আমি চিনি তাঁকে। আমি বলেছি আগে পঞ্চায়েতে জলের ব্যবস্থা করতে তারপর বড় বড় কথা বলতে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এই মৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনীতি করেছে। কিন্তু কোনওদিনই তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেনি। সব সময় মথুরাপুরের বিজেপি নেতৃত্বদের মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদেরকে দমানোর চেষ্টা করেছে। গুন্ডাবাহিনী আর পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে মানুষকে হেনস্থা ছাড়া তৃণমূল আর কিছুই করতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবীরের খাসতালুকে বিধায়কের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের মিছিল বের হল। ‘তৃণমূল বিধায়ক চোর’, ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। শাসক দলের বিধায়কের এই অবস্থা দেখে সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন। শাসক দলের বিধায়কের জনভিত্তি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC MLA)

    বুধবার ভরতপুরে বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা যে মিছিল বের করেন, তাতে প্রচুর (TMC MLA) মহিলা ছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল ঝাঁটা। আর পুরুষদের হাতে ছিল চটি। তৃণমূল বিধায়কের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঝাঁটা পেটা-জুতো পেটা করা হয়। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বিধায়ক একজন চোর। তোলাবাজি করেন। সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৃণমূল কর্মীদের দেয় না। তাতে তিনি দুর্নীতি করেন। বিধায়ক হয়ে এলাকায় উন্নয়ন করা তাঁর লক্ষ্য নয়, টাকা আত্মসাৎ করাই প্রধান লক্ষ্য। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত চোর বিধায়ককে আমাদের দরকার নেই। মিছিলে দলের বহু জনপ্রতিনিধি ছিলেন। সকলেই এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ব্লক সভাপতির উদ্যোগে এই মিছিল করা হয়েছে। যদিও মিছিলে তিনি ছিলেন না।অন্যদিকে এই ঘটনার পর বিধায়কের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পাল্টা ভরতপুরে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে দলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    আরও পড়ুন: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের উস্কানিতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি (TMC MLA) বলেন, “ব্লক সভাপতি কী প্রোগ্রাম করেছেন, কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন বা আমরা বিরুদ্ধে বলেছেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি ওই লেভেলের লোক না। আমি তাঁকে ব্লক সভাপতিও মানি না। আগামী কাল থেকে আমি অপূর্ব সরকারকে জেলা সভাপতিও মানব না, সেটা ঘোষণা করব। আমার ভরতপুরেই ঘোষণা করবেন আমার লোকেরা। আমি কলকাতা যাব।” যদিও জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “কোথায় বিক্ষোভ হয়েছে তা-ই জানি না। আমি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন, ফ্লাড রিলিফ নিয়ে ব্যস্ত। এগুলো সম্পর্কে আমার কাছে কোনও খবর নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একইসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি।

    স্বাস্থ্যব্যবস্থা লুটের আখড়া (Sukanta Majumdar)

    মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ময়না তদন্ত করতে গেলে টাকা দাবি করা হয়। এনিয়ে কয়েকদিন আগে ওই হাসপাতালে গন্ডগোল হয়। এই প্রসঙ্গে এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “শুধু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ নয়, পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে এক অবস্থা। কোনও রোগী মারা গেলে ময়নাতদন্ত করতে গেলে বলে দশ -পনেরো হাজার টাকা দিতে হবে তাহলে বডি সেলাই করবে না। এই তৃণমূল সরকারের (Trinamool Congress) আমলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা একটা লুটের আখড়ায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই সরকারের আমলে মানুষ হাসপাতালে গেলে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। হাসপাতালে ডাক্তাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। তৃণমূল তো এই রাজ্যটাকে মানুষ খুনের যন্ত্র বানিয়ে দিয়েছে। মানুষ হাসপাতালে গেলে বাঁচবে, না মরবে তার কোনও ভরসা নেই।”

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    মৃত বিজেপি নেত্রীর পরিবারের পাশে সুকান্ত

    এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মামনি বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত মজুমদার। মৃত বিজেপি নেত্রীর নাবালিকা মেয়ের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি মৃত মামনি বর্মনের নাবালক ছেলেকেও এক লক্ষ টাকার চেক দেবেন বলে জানালেন। মৃত বিজেপি নেত্রীর নাবালক ছেলে এবং মেয়ের পড়াশুনা এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবেই মোট দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয় বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে বিজেপি নেত্রী মামনি বর্মনের মৃত্যু হয়েছে দিন কয়েক আগে। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর কারণে তার পরিবার থেকে সেদিনই বালুরঘাট থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু, সেই মামলায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে দলের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share