Tag: West Bengal

West Bengal

  • Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! খোদ কলকাতার ঢাকুরিয়ার ঘটনা। মামলা লঘু করে দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। তার পরেই বাংলায় নারী (Women In Bengal) সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলাকে লঘু করার অপরাধে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুলিশ।

    অমিতের ট্যুইট-বাণ (Amit Malviya)

    এই প্রসঙ্গেই অমিতের ট্যুইট-বাণ। তিনি লিখেছেন, “বন্দুকের নলের সামনে দুদিন ধর্ষণের শিকার হন একজন আইএএসের স্ত্রী। এক মহিলা থানায় গেলে পুলিশ অপরাধীকে বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট ও লোপাট করার চেষ্টা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এভাবেই মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত।” এই বিজেপি নেতার দাবি, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং বাংলায় নারীর প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।” তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি কলকাতায় একজন প্রভাবশালী আইএএস অফিসারের স্ত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিকরা কতটা দুর্বল, তা কল্পনা করা যায়?’ অমিতের বক্তব্য, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্দেশখালি থেকে আরজি কর, বাংলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

    হাইকোর্টের পদক্ষেপ

    গত ১৫ জুলাই লেক থানা এলাকায় এক আইএএসের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার পরিবর্তে লঘু ধারায় মামলা রুজু করে বলে অভিযোগ। মহিলার বয়ানের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিও বাদ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিম্ন আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পান অভিযুক্ত। তার আগাম জামিনও মঞ্জুর করে (Amit Malviya) আদালত। যদিও নিম্ন আদালত থেকে পাওয়া জামিন ও আগাম জামিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলা হস্তান্তর করা হল লালবাজারে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তিনি এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হবেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে লেক থানার ওসি, এক সাব ইনস্পেক্টর, একজন সার্জেন্ট ও তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয় আদালত।

    জানা গিয়েছে, এফআইআর দায়ের করার পরেই অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিগৃহীতাকে চাপ দেওয়ার জন্যই এদের নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পরে তাঁর জামা-কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশ বাড়িতে যায় বলে দাবি নিগৃহীতার। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় দাবি, অভিযুক্ত যে বাড়িতে ঢুকছে এবং বেরোচ্ছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। নিগৃহীতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেননি তদন্তকারী আধিকারিক। নিগৃহীতা নিজেই সরকারি হাসপাতালে যান এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট দেন তদন্তকারী আধিকারিককে।

    আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    কী বলছে আদালত

    এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশে জানান, লেক থানার পুলিশ আধিকারিক সুজাতা বর্মণ, তিলজলা থানার এসআই কল্পনা রায় ও কড়েয়া থানার এসআই অর্পিতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণ করা ও তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে (Women In Bengal) বলে মনে করছে আদালত (Amit Malviya)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকভাবে সঠিক ধারায় এফআইআর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগপত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের পরিবার নিগৃহীতাকে থানায় বসে হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও কোনও তদন্ত হয়নি। এছাড়াও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নিগৃহীতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষাও করেনি পুলিশ।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট, রাজ্যে (Amit Malviya) কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সন্দেশখালি কিংব অন্যত্র ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেই তৃণমূলের দলদাস পুলিশ কর্মীরা ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করে। কোথাও এফআইআরে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয় না, তো কোথায় আবার নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় না। কোথাও আবার শারীরিক পরীক্ষা করা হলেও, তা ঘটনার পরে পরেই নয়, বেশ কয়েকদিন পরে। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশেই এসব করা হয়। ঢাকুরিয়ার বধূর ক্ষেত্রেও কী তাই করার চেষ্টা করেছিল রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন (Amit Malviya)।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    Sikkim: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর বাকি হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। পুজোর ছুটিতে অনেকেরই ডেস্টিনেশন হয় পাহাড়। ব্যাগপত্র গোছানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে অবিরাম বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে। নামছে ধস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। কার্যত বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। বন্ধ রয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুজোর ছুটির মুখেই মন ভালো করা খবর এল সিকিম (Sikkim) থেকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার উত্তর সিকিমের ছাঙ্গুতে তুষারপাত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, এটাই এই মরশুমের প্রথম তুষারপাত। দুপুর নাগাদ একটু একটু করে তুষারপাত (Snowfall) শুরু হয়েছিল। চলে বেশ খানিক ক্ষণ। ফলে, তুষারপাতের আমেজ নিতে পর্যটকরা কীভাবে যাবেন তা নিয়ে পর্যটকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

    পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে? চিন্তায় ব্যবসায়ীরা 

    পাহাড়ে নাগাড়ে বৃষ্টি আর ধসের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। তবে, যাঁরা পুজোয় সিকিমের (Sikkim) দিকে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এবার দারুণ সুখবর রয়েছে। বছরের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী থাকল সিকিমের ছাঙ্গু ও চোপ্তা ভ্যালি। এই খবর পেয়ে যারপরনাই আনন্দে আত্মহারা হবেন পর্যটকরা। যে পর্যটকরা ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন, বছরের প্রথম তুষারপাত হতেই তাঁরা উচ্ছ্বসিত। তুষারপাতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আসন্ন পুজোর ছুটির মরশুমে পর্যটকরা তুষারপাতের টানে পাহাড়মুখী হবেন বলে তাঁদের আশা। তবে, টানা ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সিকিম (Sikkim) যেতে হলে পর্যটকদের গরুবাথান, লাভা পেরিয়ে আলগাড়া হয়ে যেতে হবে। তা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু, সেখানেও বিপদ! গরুবাথান থেকে লাভা হয়ে যে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের যোগ্য ছিল, সেটিও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। খুব প্রয়োজন না থাকলে সেই রাস্তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সেজন্যই পর্যটকদের আগমন নিয়ে চিন্তায় সিকিমের হোটেল ব্যবসায়ীরা। 

    আরও পড়ুন: রক্ত পরীক্ষার রিএজেন্ট কেনাতেও কোটি টাকার দুর্নীতি! সন্দীপের নয়া কুকীর্তি প্রকাশ্যে

    পাহাড়ে কতদিন চলবে বৃষ্টি? কী বলছে পূর্বাভাস?

    গত দু’দিন ধরে টানা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি সিকিমেও (Sikkim) ভারী বর্ষণ চলছে। দু’দিনের ভারী বর্ষায় ফুঁসছে তিস্তা-সহ অন্যান্য নদী। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নামতে পারে। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। প্রায় লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত উত্তরে বৃষ্টি থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও দুদিন তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিমে (Sikkim)!

    শুক্রবার তুষারপাত (Snowfall) হতে পারে বলে আগেই অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ডক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, “নামচি জেলায় তাপমাত্রা অনেকটাই নেমেছে। যে কারণে ছাঙ্গুতে তুষারপাত হয়। আগামী দু’দিনও সেখানে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি গোট পাহাড়ে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।” সিকিমের (Sikkim) ব্যবসায়ীদের এখন একটাই প্রার্থনা, বৃষ্টি যেন দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। যাতে তুষারপাতের আমেজ নিতে রাজ্যে আসতে পারেন পর্যটকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টির (Heavy Rainfall) জেরে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং জেলায়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ের নানা এলাকায় ধস (Landslide) নামে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরিকদারায় পাহাড় থেকে লাগাতার বড় আকারের পাথর জাতীয় সড়কের ওপরে নামার জেরে যান চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় লাল সতার্কতা জারি হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শনিবার পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টি। ফলে আরও দুর্ভোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা পাহাড়ে। পর্যটকরা উদ্বেগে। কারণ, যারা ঘুরতে গিয়েছেন, তাঁরা বাড়ি ফিরতে গিয়ে চরম নাকাল হচ্ছেন। অনেকে আবার এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। 

    কোথায় লাল সতর্কতা? (Darjeeling)

    গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। পরিস্থিতি এমন যে, তিস্তাবাজার থেকে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা আপাতত বন্ধ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং জেলার পাশাপাশি সিকিমের গ্যাংটক, মংগন, নামচি-সহ একাধিক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। ওই সব জায়গায় ইতিমধ্যে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিস্তা সংলগ্ন এলাকাতেও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। গত অক্টোবর থেকেই বিপর্যস্ত সিকিম। এ বছর মে মাসে নতুন করে বিপর্যস্ত হয়। নতুন করে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তাঁর প্রভাব কালিম্পং জেলাতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জেলা প্রশাসনের।

    কালিম্পঙে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন

    শুক্রবার সিকিম, কালিম্পং এবং মিরিকে নতুন করে ধস (Landslide) নেমেছে। সিকিমের মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা ধসের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মিরিকের ডাডা গ্রাম পঞ্চায়েতের থরবু গ্রামে ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি বাড়ি। বেশ কিছু বাড়ি ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) এবং ধসের কারণে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন। আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কালিম্পঙের ইয়াংমাকুম গ্রামে ট্রান্সফর্মার ধসের কবলে পড়ায় গোটা এলাকা এখন বিদ্যুৎহীন। আগামী সাত দিনেও ওই পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। সেবক থেকে কালিঝোরা যাওয়ার রাস্তার একাংশ ধসে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। তিস্তায় জল বৃদ্ধির ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ

    বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) প্রভাবে বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও (Darjeeling)। মহানন্দা নদী ছাড়াও ভারত-নেপাল সীমান্ত মেচি নদীতেও হুহু করে জল বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফুলবাড়িতে সেচ দফতরের আধিকারিকরা মহানন্দা ব্যারাজের সমস্ত গেট খুলে দেন। তাতে শিলিগুড়ি শহরে বিপদ এড়ানো গেলেও দুপুরে মেচি নদী পেরিয়ে নেপাল থেকে গরুর দুধ আনার সময়ে জলের তোড়ে ভেসে যান এক গোয়ালা। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেসে যেতে দেখে নকশালবাড়ি থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও প্রবল জলের তোড়ে উদ্ধার কাজে নামা সম্ভব হয়নি। বাগডোগরায় জলের তলায় ডুবে গিয়েছে এশিয়ান হাইওয়ে।

    ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ

    পুজোর মুখে এমন বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা পূর্ত দফতরের। কোথায় ধস মেরামতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই নাকাল হচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় সড়ক ছাড়াও ধস (Landslide) নেমেছে দার্জিলিং কলেজ, কালিম্পংয়ের ভালুখোপ, ইয়ামাকুম, বিজনবাড়ির কাছে রিম্বিক, সুখিয়াপোখরি এলাকাতেও। সিকিমের আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, “শনিবারের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসবে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কয়েক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। বিশেষ করে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি চললেও সমতলে তার প্রকোপ কমে আসতে পারে।” কালিম্পংয়ের জেলাশাসক টি সুব্রহ্মণ্যম সকলকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: রক্ত পরীক্ষার রিএজেন্ট কেনাতেও কোটি টাকার দুর্নীতি! সন্দীপের নয়া কুকীর্তি প্রকাশ্যে

    RG Kar: রক্ত পরীক্ষার রিএজেন্ট কেনাতেও কোটি টাকার দুর্নীতি! সন্দীপের নয়া কুকীর্তি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুগার, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়ামের জন্য করা রক্ত পরীক্ষায় ব্যবহৃত রিএজেন্ট থেকেও আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar) কোটি কোটি টাকা রোজগার করা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষের আমলেই এই দুর্নীতি হয়েছে। হাসপাতালের পদাধিকারীদের সকলেই যে তাঁর এই অনিয়ম মেনে মুখ বুঝে ছিলেন এমন নয়। অন্যায়ের প্রতিবাদও হয়েছে। বিচার চেয়ে বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন। আর সেটা জানাজানি হতেই সন্দীপের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ঘনিষ্ঠ মহলে তেমনই দাবি করেন বিভাগীয় প্রধান।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)

    আরজি করে (RG Kar) দুর্নীতি রোধে গত ৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে। চিঠির নিশানায় ছিলেন এক অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, প্রাক্তন অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপার। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ২২ লক্ষ টাকার বায়োকেমিক্যাল রিএজেন্ট নষ্ট হয়েছিল আরজি করে। রিএজেন্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও বাড়তি রিএজেন্টের বরাতে সরকারি অর্থের অপচয় হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ সালে ৭৩ লক্ষ টাকার বায়োকেমিক্যাল রিএজেন্ট কেনা হয় আরজি করে। রিএজেন্ট ব্যবহারের যন্ত্র সারাইয়ে গেলে অন্য সংস্থাকে রিএজেন্টের বরাত দিয়ে দেওয়া হয়। ছ’মাস পর পুরনো সংস্থার যন্ত্র ফিরলেও নতুন সংস্থা থেকেই রিএজেন্ট কেনা হতে থাকে। তারই জেরে নষ্ট হয় ২২ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আরও ৮ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট নষ্ট হয় আরজি করে। এখনও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগেই পড়ে রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ সেই লক্ষ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট। প্রতি বছর ২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার অতিরিক্ত রিএজেন্ট কিনছে আরজি কর। স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লিখে, সে কথাও জানিয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে।

    আরও পড়ুন: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ

    ল্যাব ইনচার্জ কী বললেন?

    তৎকালীন ল্যাব ইনচার্জ (RG Kar) অভিজিৎ সাহা বলেন, “বিভাগের সঙ্গে রিএজেন্ট কেনার কোনও সম্পর্ক নেই। কত টেস্ট হচ্ছে, তা হিসেব করে তিনমাসের আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী অর্ডার দেওয়া হয়। কতটা লাগবে সেটা স্টোর ঠিক করে। যিনি অভিযোগ করছেন, সেই জয়ন্ত দে আসার পর নির্দিষ্ট কোম্পানির জিনিস ব্যবহার করতে দেননি, সেই কারণেই পড়ে নষ্ট হয়েছে অনেক রিএজেন্ট।” কে ঠিক আর কে ভুল তা তদন্তে উঠে আসবে। তবে, সন্দীপের (Sandip Ghosh) আমলে যে আরজি করে যে দুর্নীতি চলত তা এই সব ঘটনায় জ্বলন্ত প্রমাণ বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘স্কোয়ার ফুট পিছু ৮০ টাকা’, তৃণমূল কাউন্সিলরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ‘কীর্তি’ ফাঁস করলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘স্কোয়ার ফুট পিছু ৮০ টাকা’, তৃণমূল কাউন্সিলরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ‘কীর্তি’ ফাঁস করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রোমোটারের থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) বিরুদ্ধে। নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের স্কোয়ারফুট পিছু ৮০ টাকা চেয়ে দর কষাকষি করার অভিযোগ উঠেছে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কাউন্সিলরের দরাদরির এমনই মারাত্মক ভিডিও প্রকাশ্যে এনে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ভিডিওতে কী রয়েছে? (Suvendu Adhikari)

    কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে শ্রীমতি ছন্দা সরকার কেউ বা কাদের সঙ্গে কথা বলছেন। “আমাকে ৮০ টাকা করে দিলেই হয়ে যাবে। সিন্ডিকেটের থেকেও আবার আছে। জমিটার তো হিসেব আছে। ওটা ধরলেই তো বেরিয়ে যাবে। টোটাল জমিটার ওপরে।” এমনই কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায় ছন্দা সরকারকে। যদিও সেই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    শুভেন্দু অধিকারী ওই ভিডিও পোস্ট করে কী লিখেছেন?

    “তোলামূল কংগ্রেসের ঝাড়ের সব বাঁশ-ই সমান! দুর্নীতি এবং এদের নেতা-নেত্রীরা সমার্থক। কলকাতা পুরসভার আরও এক “স্কোয়ার ফুট কাউন্সিলর”কে চিনে রাখুন। ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, শ্রীমতি ছন্দা সরকার এক প্রোমোটার এর সঙ্গে রফা করছেন।”

     

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    যদিও এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা সরকার বলেন, “ওদের নোংরামো ওদের কাছেই রাখতে দিন। আমি অন্তত কোনও দিন এরকম নোংরামি করিনি আর করিও না। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমার সামনে যেন এসে বলে। পায়ের জুতো খুলে কী করে মারতে হয়ে, তাও জানি। তৃণমূল থেকে শুভেন্দু অনেক কামিয়ে গিয়েছেন। এখানেও কিছু চামচা বিজেপি আছে তারাই ওর কানে এসব দিয়েছে। সেই চামচার নাম বলতে বলুন।”

    কাউন্সিলরের বাড়িতে পুলিশ, ইডি যাবে!

    কাউন্সিলরের এই হুঁশিয়ারির পাল্টা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি কেন ওঁর বাড়িতে যেতে যাব। ওঁর বাড়িতে তো পুলিশ যাবে, ইডি যাবে। উনি মামলা করুন। আমিও বলব ভিডিও ফরেন্সিকে পাঠাতে। ওঁর গলা থেকে কাকুর মতো ভয়েজ স্যাম্পেল নিতে। এরপর যদি ভুল প্রমাণ হয়, আমি ক্ষমা চেয়ে নেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কেলেঙ্কারি! স্বাস্থ্যভবনে চিঠি সিবিআইয়ের, হানা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেও

    CBI: বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কেলেঙ্কারি! স্বাস্থ্যভবনে চিঠি সিবিআইয়ের, হানা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহ নিয়ে কোটি-কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই একটি চক্র এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এই সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে এবার স্বাস্থ্যভবনে চিঠি পাঠাল সিবিআই (CBI)। বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংক্রান্ত নথি চেয়ে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি  পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গে এদিন শিয়ালদার (Sealdah) সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেও সিবিআই অভিযান চলে।

    স্বাস্থ্যভবনে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে? (CBI)

    বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে সিবিআইয়ের (CBI) দেওয়া চিঠিতে, ২০২০-২১ সাল থেকে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের নথি তলব করা হয়েছে। রাজ্যের সবকটি সরকারি হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য (Biomedical Waste) বা বিএমডব্লু সংক্রান্ত নথি চেয়েছে সিবিআই। কোন হাসপাতালে কোন সংস্থা বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে প্লাস্টিক ব্যাগ সরবরাহের বরাত পেয়েছিল, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বরাতের চুক্তিপত্রের সবিস্তার তথ্য তলব করেছে সিবিআই। বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে সংস্থাগুলির সঙ্গে কী চুক্তি ছিল? কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছিল কি? চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলে কারণ কী? উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে প্লাস্টিক ব্যাগের ওজন হওয়া প্রয়োজন ৭৫ মাইক্রন, ১২০ মাইক্রন। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের নির্দেশিকা কি মানা হয়েছে এই রাজ্যে? তা জানতে চায় সিবিআই। একইসঙ্গে সিবিআই (CBI) জানতে চায়, কেন্দ্রের নির্দেশিকা কবে কার্যকর হয়েছে এই রাজ্যে? ২০২১ সালের নির্দেশিকা কার্যকরে দেরি হলে, কেন হয়েছে? নিয়ম মানার প্রশ্নে, স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি ছিল? এই সমস্ত প্রশ্নের নথি চেয়ে তলব করেছে সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে কয়েক কোটি টাকার কেলেঙ্কারি নিয়ে আখতার আলি দাবি করেছিলেন, এনআরএস-আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বা উৎপাদনে একই ক্ষমতা। তবুও সেপ্টেম্বর ২০২২-ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালের মধ্যে এনআরএসে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর পরিমাণ ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৫০ কেজি। সেখানে আরজি করে একই সময়ে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর মাত্রা সেখানে ৪৯ হাজার ৬০২.৪৪ কেজি। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ২০২২-২০২৪ সালে রাজ্যের সবকটি হাসপাতালে কত পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যাগের বরাত দেওয়া হয়েছিল, তার তুল্যমূল্য তথ্য পেতে চাইছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, দার্জিলিংয়ে ধস, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ছে বিপদ

    Darjeeling: ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, দার্জিলিংয়ে ধস, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ছে বিপদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টিতে বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। সেলফিদারা, ২৮ মাইল, শ্বেতিঝোরায় ধসের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। ধস (Landslide) নেমেছে দার্জিলিঙের সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। এরই মধ্যে টানা ভারী বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে তিস্তায়। আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধস এবং তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ন’বার বন্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পূর্ত দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করায় ন’দিন পর গত মঙ্গলবার খুলেছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার মধ্যেই আবার বাংলা-সিকিম ‘লাইফলাইনে’ ধস নামার ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কে পর্যটকরা। 

    কতদিন চলবে বৃষ্টি? (Darjeeling)

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহারেও। মালদা এবং দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা না থাকলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকায় ধস নামতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। তিস্তা, সঙ্কোশ, জলঢাকা, তোর্সার মতো নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করল প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে। সমস্যায় তিস্তাপারের বাসিন্দারাও। তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবা-সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার অপূর্ব সেদিন বারবার সন্দীপের ঘরে কেন? তদন্তে সিবিআই

    কোথায় কোথায় ধস?

    শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) মিরিক, ঘুম, সুখিয়াপোখরি রোডে। একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ধস নেমেছে লোয়ার শিটংয়ের ডায়েরি গাঁওয়ে। এছাড়াও ধসের কবলে দুধিয়া, পানিঘাটা রোডও। তবে বেশ কিছু জায়গায় ধস সারানোর কাজ চলছে। রাস্তার একাংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, কালিম্পং জেলার সিংথাম-রংপো রোডের ২০ মাইলে পাহাড় থেকে বোল্ডার নেমে আসায় সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। একই পরিস্থিতি বিরিক ধারায়। পাহাড় থেকে বড় আকৃতির বোল্ডার নেমে আসার ফলে সেই রাস্তাও বন্ধ রেখেছে জেলা প্রশাসন। ভারী বর্ষণের জেরে বৃহস্পতিবারও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নেমেছিল। কালিম্পং জেলার মেল্লি বাজারের কাছে ধস নামে। ফলে শিলিগুড়ি এবং গ্যাংটকের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার অপূর্ব সেদিন বারবার সন্দীপের ঘরে কেন? তদন্তে সিবিআই

    RG Kar: ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার অপূর্ব সেদিন বারবার সন্দীপের ঘরে কেন? তদন্তে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে প্রায় চারবার সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অপূর্বসহ তদন্তকারী তিন চিকিৎসকের থেকে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আরও একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই। এছাড়া ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের দিন সন্দীপ ঘোষের ঘরে বারবার কেন গিয়েছিলেন চিকিৎসক অপূর্ব, সেই প্রশ্নে উত্তরও সিবিআই খুঁজছে।

    সন্দীপের ঘরে বারবার কেন অপূর্ব? (RG Kar)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস ৯ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষের (RG Kar) ঘরে বারবার গিয়েছিলেন। কেন তাঁকে সেখানে বার বার যেতে হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতেই তাঁকে একাধিকবার তলব করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ময়না তদন্ত শুরুর আগে প্রায় এক ঘণ্টা সন্দীপের ঘরে বসেছিলেন অপূর্ব। সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষ হতেই ফের তিনি যান ওই ঘরে। আধ ঘণ্টা পরে ফিরে এসে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করেন। এর পরে ফের সন্দীপের ঘরে গিয়ে ফের ঘণ্টা দেড়েক বসে ছিলেন অপূর্ব। কেন? কোনও চাপ কি ছিল ফরেন্সিক মেডিসিনের ওই চিকিৎসকের ওপর? কে চাপ দিয়েছিল? তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: কলকাতাকে ‘পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার’ উপহার মোদির, সহজ হবে জটিল গবেষণা

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    তরুণী চিকিৎসকের (RG Kar) শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলি দু’দিন ধরে মর্গেই রাখা ছিল। যদিও নিয়মানুযায়ী ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গেই পুলিশ নমুনাও নিয়ে যায় পরীক্ষায় পাঠানোর জন্য। আরজি করের ক্ষেত্রে তা হয়নি। সূত্রের খবর, ৯ অগাস্ট রাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল এবং রাত ১০টা নাগাদ পোর্টালে আপলোডও হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও পুলিশ নমুনা দু’দিন ফেলে রাখল কেন? আরও জানা যাচ্ছে, দু’দিন পরে মর্গ থেকে নমুনাগুলি পুলিশকে হস্তান্তর করেছেন অপূর্ব একাই। প্রত্যেক নমুনার ওপরে যে সিল করা হয়েছে, তাতে একমাত্র সই অপূর্বেরই, ময়নাতদন্তে থাকা বাকি দু’জনের সই নেই। ফলে, ওই নমুনার বিষয়ে তিন জনের উপস্থিতির বিষয়টি আর গ্রাহ্য হচ্ছে না।

    তিন চিকিৎসকের আলাদা করে বয়ান

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ময়নাতদন্তকারী তিন চিকিৎসকের থেকে আলাদা করে ব্যাখ্যা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আরও একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, আরজি কর থেকে ময়না তদন্তের যে রিপোর্ট মিলেছিল, তা দিল্লি এবং কল্যাণী এমসের ফরেন্সিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফির ছবি খুব স্পষ্ট না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। রিপোর্টে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা কী, তা জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। এজন্য ৯ অগাস্ট ময়না তদন্তকারী তিন চিকিৎসককে বেশ কয়েক বার করে তলব করে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের দু’দিন পরে সংগৃহীত নমুনাগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার কয়েকটির রিপোর্ট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেই রিপোর্ট এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টের বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিল্লি এমসে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এক চিকিৎসকের মোবাইলবন্দি ১৫টি ছবিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা। সমস্ত রিপোর্ট একত্রিত করে মৃতের শরীরের আঘাতগুলির কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘২৬ বছরের চাকরি জীবনে এমন অবহেলায় তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট দেখিনি’’, দাবি সিবিআই কর্তার

    RG Kar: ‘‘২৬ বছরের চাকরি জীবনে এমন অবহেলায় তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট দেখিনি’’, দাবি সিবিআই কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার ময়না তদন্ত করা নিয়ে প্রথম থেকেই বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে পরিবারের আপত্তির পরও একরকম জোর করেই তড়িঘড়ি ময়না তদন্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সূর্যাস্তের পর ময়না তদন্ত করা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার ময়না তদন্তের পাশাপাশি নির্যাতিতার সুরহতালের রিপোর্ট নিয়েও সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের মনে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সিবিআই কর্তা এমনও দাবি করেছেন, তিনি তাঁর কর্মজীবনে এমন ভুলে ভরা সুরতহাল রিপোর্ট (Inquest Report) কখনই দেখেননি।

    কী কী প্রশ্ন উঠছে? (CBI)

    সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসক-পড়ুয়ার (RG Kar) খুন, ধর্ষণের ঘটনায় মাত্র ২০ মিনিটে সুরতহাল (ইনকোয়েস্ট) এবং ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে এ দু’টিই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আদালত গ্রাহ্য তথ্য প্রমাণ। আর ওই দু’টো রিপোর্টেই পর পর ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। ময়না তদন্তের আগে একজন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। তাকেই সুরতহাল রিপোর্ট বলা হয়। তিনি মৃতদেহের নানা ক্ষতচিহ্ন খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে যে রিপোর্ট দেন, তার ভিত্তিতে ময়না তদন্ত করা হয়। এই পরীক্ষায় সাধারণত ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। মাত্র ২০ মিনিটে কী করে এই পরীক্ষা করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তদন্তকারীদের (CBI) সূত্রে দাবি, রিপোর্টে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট লিখেছেন, তিনি বিকেল ৪টে ২০ মিনিট থেকে ৪টে ৪০ মিনিট পর্যন্ত মৃতদেহ পর্যবেক্ষণের রিপোর্ট (RG Kar) তৈরি করেছেন। দেহ উল্টে পর্যন্ত দেখা হয়নি। যে ভাবে দেহ শুইয়ে রাখা হয়েছিল, শুধুমাত্র তা ওপর-ওপর দেখে চটজলদি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলেই রিপোর্ট পড়ে মনে হয়েছে তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন: কলকাতাকে ‘পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার’ উপহার মোদির, সহজ হবে জটিল গবেষণা

    রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন কোথায় তা উল্লেখ নেই

    আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে সিবিআই (CBI) সূত্রকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে, মৃতার পেটের কোন কোন অংশে কী ধরনের আঘাত, তারও খুঁটিনাটি বলা নেই। রিপোর্টে মৃতদেহের গোপনাঙ্গে রক্তের কথা রয়েছে। কিন্তু, রক্তপাতের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। গোপনাঙ্গের পাশে একটি ভাঙা ‘হেয়ার ক্লিপ’ পাওয়া গিয়েছে, বলা হয়েছে। কিন্তু, তা কতটা দূরে, সেই তথ্য অস্পষ্ট বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা (RG Kar)। মৃতার পোশাকের বিষয়টিও স্পষ্টভাবে বলা নেই। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময়ে দু’জন চিকিৎসককে সাক্ষী রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের কোনও বক্তব্য রিপোর্টে নেই।  রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাঁ পায়ে একাধিক আঘাত হয়েছে। কিন্তু সেটা পায়ের পাতা, হাঁটু না গোড়ালি? তা বলা হয়নি। মুখের কোথায় কোথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তা-ও লেখা নেই। মৃতার মুখের ভিতরে এবং চোখে রক্ত পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কী ধরনের ক্ষত থেকে ওই রক্তপাত, তা উল্লেখ করা হয়নি। মৃতদেহের পিছনের অংশে কোনও আঘাত ছিল কি না তা-ও রিপোর্টে লেখা নেই বলে তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি।

    অবহেলায় তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট!

    আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিবিআইয়ের (CBI) এক কর্তা বলেন, “২৬ বছরের চাকরি জীবনে এমন অবহেলায় তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট দেখিনি। ওই বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটকে একাধিক বার তলব করে এত দ্রুত সুরতহাল রিপোর্ট লেখা নিয়ে তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিষয়ে খটকা রয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি। সুপ্রিম কোর্টের মামলার শুনানিতে ওই সব বিষয়েই মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করা হবে।” তদন্তকারী সংস্থা (CBI) সূত্রে দাবি, বিভিন্ন রিপোর্টের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ঠান্ডা মাথায় সুকৌশলে ধাপে ধাপে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। তাঁদের দাবি, সুরতহাল রিপোর্টে তথ্যের খামতি ও সূর্যাস্তের পরে তাড়াহুড়োয় ময়না তদন্ত এখন তদন্তে অন্যতম প্রধান বাধা হয়ে উঠছে (RG Kar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “১০০ দিনের কাজ আদৌ চালু আছে?”, সাতদিনের মধ্যে রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “১০০ দিনের কাজ আদৌ চালু আছে?”, সাতদিনের মধ্যে রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি ইস্যুতে বার বার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত হয়েছে রাজ্যের। এই প্রকল্পে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মূলত আর্থিক দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই আবহের মধ্যে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ আদৌ হচ্ছে কি না, এ বার রাজ্যের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানিয়ে দিল, ওই প্রকল্পে উঠে আসা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান হয়েছে। ওই প্রকল্পের কাজ যেন বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।

    কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)

    ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই প্রকল্প ঘিরে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কাজ যেন বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এ জন্য রাজ্যকে সাত দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার আদালতে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী জানান, প্রকল্পের টাকা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের দ্বন্দ্বের ফলাফল হিসেবে প্রায় দু’বছরের কাছাকাছি কাজ বন্ধ রয়েছে। এর পরেই রাজ্যের থেকে কাজের খতিয়ান চেয়েছে উচ্চ আদালত। আগামী সাতদিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে, ১০০ দিনের কাজ চলছে কি না।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    দুর্নীতি নিয়ে কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ১০০ দিনের কাজে (100 Days Work) কেন্দ্রীয় অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের মনরেগা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়েছে। ভুয়ো জব কার্ড, মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড, অসত্য তথ্য দিয়ে জব কার্ড তৈরি করে কেন্দ্রের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। গ্রামে বসবাস করেন না এমন ব্যক্তিদের নামেও জবকার্ড তৈরি করে দুর্নীতি করা হয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ভুয়ো জবকার্ডের টাকা তোলার জন্য প্রচুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অপব্যবহার করা হয়েছে। ওই দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইকে দেওয়া হোক। এর পরেই ভুয়ো কার্ড শনাক্ত করতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৌম্য মজুমদার, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, সূর্যনীল দাস। প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল পাঠায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাদের অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে গত বছর মার্চ মাসে প্রকল্পের অর্থ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতিও। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরে কাজের পরও শ্রমিকরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না বলে মামলা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share