Author: ishika-banerjee

  • IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের পিছনে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (আইএসিসিএস)। সাংবাদিক বৈঠকে এসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বলতে গিয়ে বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী শেষ ভাবে উল্লেখ করেছিলেন আইএসিসিএস-এর (IACCS) কথা। বলেছিলেন এই অভিযানের নেপথ্যে থাকা নায়কদের কথা। শুনিয়েছিলেন পর্দার পিছনের কাহিনী। সোমবার তারই একটা ছবি প্রকাশ করে কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের তরফে ছবি প্রকাশ

    সেনা সূত্রে জানা যায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ওই সিস্টেম যে কক্ষ থেকে পরিচালিত হয়েছিল, সোমবার কেন্দ্রের তরফে তারই একটি ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, পিছনে বৃহদাকার এলইডি স্ক্রিনে নানা ভৌগোলিক হিসেবনিকেশ করা রয়েছে। তার সামনে মুখে মাস্ক পরে দাঁড়িয়ে সেনার কয়েক জন আধিকারিক। তাঁদের পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে না-চলে আসে, সেই জন্যই প্রত্যেকের মুখ মাস্কের আড়ালে।

    আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর

    সেনার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সর্বদা সতর্ক এবং সজাগ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই আইএসিসিএস (IACCS)। বায়ুসেনার প্রতিটি কার্যকলাপে নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ চালায় এটি। এই আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর বা বিভাগ রয়েছে। একটি বিভাগ স্থল, জল এবং নৌবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখে। আর একটি বিভাগ বিভিন্ন ধরনের রেডারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। তার পর সেই তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় কমান্ড এবং কন্ট্রোল সেন্টারে।

    ভারতের তিন বাহিনীর যৌথ অংশ গ্রহণ

    এই জটিল ও স্তরভিত্তিক এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাটি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার যৌথ অংশগ্রহণে গঠিত হয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে একাধিক সেন্সর ও অস্ত্রব্যবস্থা, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘সফট-কিল’ ও ‘হার্ড-কিল’ কাউন্টার-ইউএভি ব্যবস্থা, এবং প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী। আইএসিসিএস (IACCS) ছিল এই প্রতিরক্ষা জালের কেন্দ্রবিন্দু, যা বিভিন্ন স্তরের অপারেশনকে সমন্বয় করেছে।

    আইএসিসিএস কী?

    আইএসিসিএস (IACCS) বা ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম হল একটি স্বয়ংক্রিয় এয়ার ডিফেন্স কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, যা ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান অভিযানের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির জন্য তৈরি হয়েছে। আধুনিক নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধের যুগে ‘রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার’ (RASP) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিশেষ সিস্টেমে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সিভিল রেডার নেটওয়ার্কের মধ্যে বিশেষ সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় হয়। আইএসিসিএস (IACCS) বিভিন্ন ধরনের ২-ডি ও ৩-ডি রেডার, মোবাইল পর্যবেক্ষণ পোস্ট, এয়ার ফোর্স ঘাঁটি, সিভিল এজেন্সি, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল থেকে রিয়েল-টাইম তথ্য সংগ্রহ করে এবং একটি সমন্বিত রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার তৈরি করে। এই পুরো সিস্টেমটি আইপি-ভিত্তিক ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের (WAN) মাধ্যমে সংযুক্ত।

    আইএসিসিএস-এর ভূয়সী প্রশংসা

    ভারত-পাক যুদ্ধ আবহে দেশের তিন বাহিনীর সাফল্য প্রসঙ্গে এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটা শক্তিশালী দেওয়ালের মতো দেশকে বাঁচিয়েছে ৷ শত্রুরা এই দেওয়াল ভেদ করতে পারেনি ৷ পাকিস্তানের নিরন্তর প্রচেষ্টা, প্রতিরোধ করেছে ভারতের বহুস্তরীয় ও সংহত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৷ ভারতীয় সেনা, ভারতীয় নৌ-বাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনার বিভিন্ন জায়গায় এই এডিএস স্থাপন করেছিল ৷” এই বিশাল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে বহু সংখ্যায় বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স সেন্সর এবং অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে৷ যেমন- লো লেভেল এয়ার ডিফেন্স গান, কাঁধে রেখে গোলা বর্ষণের অস্ত্র (শোলডার ফায়ার্ড ম্যান প্যাডস), স্বল্প পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (সারফেস টু এয়ার মিসাইল, এসএএমএস) ৷ এছাড়া এরিয়া ডিফেন্স ওয়েপন- যেমন এয়ার ডিফেন্স যুদ্ধবিমান, দূর পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ৷ পাকিস্তানের পাঠানো অসংখ্য ড্রোন, আনম্যান্ড ভেহিকলকে আকাশেই ধ্বংস করেছে ভারতের নিজস্ব সফ্ট ও হার্ড কিল কাউন্টার-ইউএএস সিস্টেম এবং ভারতীয় বায়ুসেনার দক্ষ আধিকারিকরা ৷ আর এই সবকিছুর সমন্বয় ঘটিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) ৷

    মোদি সরকারকে ধন্যবাদ

    আধুনিক যুগের এই যুদ্ধ-ব্যবস্থার ক্ষমতা ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে তৈরি ৷ নতুন এডি সিস্টেমের পাশাপাশি পুরনো এডি সিস্টেমও এই সংঘাতে কাজ করেছে ৷ সর্বোপরি সাম্প্রতিক যুদ্ধে ভারতের নিজস্ব আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পারফরমেন্স ছিল দুর্দান্ত ৷ বিগত কয়েক বছরে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের জন্য এই অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম-এ ভারত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) তৈরি সম্ভব হয়েছে বলে জানান এয়ার মার্শাল একে ভারতী ৷

  • CBSE Results: প্রকাশিত সিবিএসই দ্বাদশের ফল, পাশের হারে এগিয়ে মেয়েরা, কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট?

    CBSE Results: প্রকাশিত সিবিএসই দ্বাদশের ফল, পাশের হারে এগিয়ে মেয়েরা, কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল সিবিএসই (Central Board of Secondary Education) দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল। চলতি বছর, পাশের হার ৮৮.৩৯ শতাংশ , যা গত বছরের তুলনায় ০.৪১% বেশি। ২০২৪-এ ছিল ৮৭.৯৮ শতাংশ। পরীক্ষা শেষের ৩৯ দিনের মাথায় ফল ঘোষণা করল বোর্ড (CBSE) । এ বার পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। মেয়েদের পাশের হার ৯১.৬৪ শতাংশ, ছেলেদের পাশের হার ৮৫.৭০ শতাংশ।

    জোন ভিত্তিক পাশের হার

    পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সান্যম ভরদ্বাজ বলেন, চলতি বছর মোট ১৭,০৪,৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এর পর মোট ১৬,৯২,৭৯৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ১৪,৯৬,৩০৭ জন। পাশের হারের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বিজয়ওয়াড়া। পাশের হার ৯৯.৬০ শতাংশ। যেখানে তিরুবনন্তপুরম ৯৯.৩২% পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই। সেখানে পাসের হার ৯৭.৩৯%। জওহর নবোদয় বিদ্যালয় (JNVs) ৯৯.২৯% পাসের হার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে, এরপর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (KVs) ৯৯.০৫% এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় তিব্বতি স্কুল (STSS) যেখানে পাসের হার ৯৮.৯৬%। অঞ্চল-ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে পূর্ব ভারত বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। দক্ষিণ ভারত এগিয়ে কয়েক কদম।

    কীভাবে দেখবেন ফলাফল

    পরীক্ষার্থীরা বোর্ডের (CBSE) ওয়েবসাইট cbseresults.nic.in এবং results.cbse.nic.in -এ গিয়ে তাঁদের রেজাল্ট দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও ফল দেখা যাবে ডিজিলকার এবং উমং অ্যাপের মাধ্যমে। পরীক্ষার্থীদের প্রথমে সিবিএসই-র ওয়েবসাইট cbseresults.nic.in বা results.cbse.nic.in-এ যেতে হবে। এর পর ‘হোমপেজ’ থেকে রেজাল্ট লেখা লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। সেখানে নিজেদের রোল নম্বর, স্কুল নম্বর এবং অ্যাডমিট কার্ড আইডি লিখে ক্লিক করলে রেজাল্ট দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এর পর সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখতে হবে তাঁদের। ডিজিলকার থেকেও জানা যাবে রেজাল্ট। তাদের ওয়েবসাইট results.digilocker.gov.in। এই প্রথমবার সিবিএসই পরীক্ষার্থীদের জন্য আনল ৬ সংখ্যার অ্যাক্সেস কোড। এর মাধ্যমে চালু করা যাবে পড়ুয়াদের ডিজিলকার অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট হওয়ার পর ওখানে একটি সেকশন দেখতে পাওয়া যাবে, নাম ‘ইস্যুড ডকুমেন্টস’। সেখানে গিয়ে ক্লিক করলে অ্যাকাডেমিক রেকর্ডের ডিজিটাল ভার্সন দেখতে পাবেন পড়ুয়ারা।

  • IPL 2025: ফাইনাল হচ্ছে না ইডেনে! কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়েই ফের শুরু আইপিএল

    IPL 2025: ফাইনাল হচ্ছে না ইডেনে! কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়েই ফের শুরু আইপিএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরে আবার শুরু হতে চলেছে আইপিএল (IPL 2025)। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের জেরে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ক্রীড়া বিনোদনের মহাযজ্ঞ। তবে আইপিএল শুরু হলেও মন ভার কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের। আইপিএল ফাইনাল হচ্ছে না ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনে। হচ্ছে না কোয়ালিফায়ার ম্যাচও। পূর্ব নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী অবশ্য ইডেনেই ওই দুটো ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত নতুন সূচিতে ইডেনে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। অনেকের মতে, ওই সময় কলকাতায় বৃষ্টির ভালোরকম পূর্বাভাস রয়েছে, তাই বোর্ড কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি।

    কবে থেকে শুরু খেলা

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) জানিয়েছে, ১৭ মে, শনিবার থেকে আবার প্রতিযোগিতা শুরু হবে। ফাইনাল ৩ জুন, মঙ্গলবার। প্রথম কোয়ালিফায়ার হবে ২৯ মে, বৃহস্পতিবার। এলিমিনেটর ৩০ মে, শুক্রবার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১ জুন, রবিবার। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলির মাঠ জানালেও, প্লে-অফের খেলা কোথায় হবে তা জানায়নি বোর্ড। আইপিএল বন্ধ হওয়ার সময়ই বোর্ড ১০ দলকে জানিয়ে দিয়েছিল, যে সব ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ দেশে ফিরে গিয়েছেন, তাঁরা যেন ভারতে ফিরে আসার জন্য তৈরি থাকেন। বোর্ডের সবুজ সঙ্কেত পেলেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাঁদের। সেই নির্দেশও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআই আশাবাদী বিদেশি ক্রিকেটাররাও নিশ্চিন্তে দ্রুতই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

    কোথায় কোথায় হবে ম্যাচ

    সোমবার ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে টুর্নামেন্টের বাকি ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করা হয়। সেখানে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়, ফাইনাল-সহ টুর্নামেন্টের বাকি সতেরো ম্যাচ হবে ছ’টা শহরে। সেই তালিকায় নেই ইডেন। যে ছ’টা শহরে ম্যাচ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো যথাক্রমে- বেঙ্গালুরু, জয়পুর, দিল্লি, লখনউ, মুম্বই আর আমেদাবাদ। গ্রুপ পর্বে কেকেআরের আর কোনও ম্যাচ নেই ইডেনে। ফলে কলকাতায় এবারের মতো আইপিএল যজ্ঞ শেষই বলা যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, কেকেআর ১৭ মে খেলবে আরসিবির বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে। অজিঙ্ক রাহানের টিমের গ্রুপের শেষ ম্যাচ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচ হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে দেওয়া হয়নি। তা হবে দিল্লিতে।

  • ISRO: ‘‘দেশের নিরাপত্তায় নিযুক্ত ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ’’, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই জানালেন ইসরো প্রধান

    ISRO: ‘‘দেশের নিরাপত্তায় নিযুক্ত ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ’’, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই জানালেন ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ ২৪ ঘণ্টা ভারত এবং ভারতবাসীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের (Indo-Pak Conflicts) আবহে এমনটাই জানালেন ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ (ISRO chairman V Narayanan)। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন-এর (ISRO) প্রধান জানান, এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলির কৌশলগত উদ্দেশ্য হল দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত নিজের প্রথম মহকাশ স্টেশনও পেয়ে যাবে বলে প্রত্যয়ী নারায়ণ।

    ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর

    সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ইসরো চেয়ারম্যান জানান, এখনও পর্যন্ত ৩৪টি দেশের ৪৩৩টি কৃত্রিম উপগ্রহ ভারত থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। দেশের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণার গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি। ইসরো প্রধান বলেন, “আমাদের প্রতিবেশীদের কথা আপনারা সকলেই জানেন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃত্রিম উপগ্রহগুলির মাধ্যমে আমাদের তা পূরণ করতে হবে। আমাদের ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর রাখতে হবে। সমগ্র উত্তর ভাগের উপর আমাদের লাগাতার নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে।” ইসরো প্রধানের মতে, দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ এবং ড্রোন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

    ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের ভূমিকা

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে পাকিস্তানের (Indo-Pak Conflicts) তাবড় জঙ্গি ঘাঁটি থেকে সেনার স্ট্র্যাটেজিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ দিয়েছে একাধিক স্যাটেলাইট (উপগ্রহ) ছবি। ভারতীয় সেনার তরফেও বিভিন্ন স্যাটেলাইট-মাধ্যমের ছবি তুলে ধরে দেখানো হয়েছে কীভাবে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের একাধিক জায়গা। ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত কয়েকদিন সশস্ত্র সংঘাত পর্বে প্রযুক্তি একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। আধুনিক যুদ্ধবিদ্যায় প্রযুক্তি বিজ্ঞান, নতুন নতুন অধ্যায় তুলে ধরছে। এই পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের দ্বারা দেশের সুরক্ষা একটি বড় বিষয়। ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ বলেন, ‘‘দেশের সুরক্ষার জন্যই শুধু ১০টি স্যাটেলাইট কাজ করছে। এগুলি দেশের স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যা দেশের সুরক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হয়। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই উপগ্রহগুলি সীমান্ত এলাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নজর রাখছে। যাতে শত্রুপক্ষের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগাম সতর্ক থাকতে পারে।’’ যেমন- সীমান্তের ছাউনিতে পাক সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি বা যুদ্ধাস্ত্রের পজিশন পরিবর্তন তাও জানা সম্ভব স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’-সহ পাকিস্তানের প্রতি প্রত্যাঘাতের প্রতিটি পদক্ষেপ ও তার অভিঘাতের প্রমাণ স্বরূপ স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে। এমনকী, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ যে শুধু জঙ্গি ঘাঁটিকেই টার্গেট করা হয়েছিল সে প্রমাণও ভারত স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমেই গোটা বিশ্বকে দিয়েছে।

    জাতীয় নিরাপত্তায় উপগ্রহ

    নারায়ণ জানান, ইসরোর (ISRO) বহু স্যাটেলাইটই দেশের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রয়েছে। যেমন কৃষি টেলি মেডিসিন, টেলি এডুকেশন ক্ষেত্রে রয়েছে ভারতের স্যাটেলাইট। এছাড়াও পরিবেশে নজরদারি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, টেলিভিশন সম্প্রচার, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরের জন্য ভারতের স্যাটেলাইটগুলি রয়েছে। তিনি বলছেন, স্যাটেলাইটের ভূমিকা দেশকে বহু স্তরে সুবিধা এনে দিয়েছে। নারায়ণের কথায়, “দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের স্যাটেলাইটকে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে হবে। স্যাটেলাইট আর ড্রোন টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব।” ইসরো সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ইসরো ১২৭টি ভারতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে কেবল সরকার পরিচালিত মিশনই নয়, বরং বেসরকারি কোম্পানি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি উপগ্রহও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২২টি উপগ্রহ লো আর্থ অরবিটে (LEO) এবং ২৯টি জিওসিনক্রোনাস আর্থ অরবিটে (GEO) অবস্থিত। এই উপগ্রহগুলির অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ নজরদারিও। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জায়গায় আকাশপথে নজর রাখতে পারে ইসরো। এই ১২৭টি উপগ্রহের রয়েছে কার্টোস্যাট (CARTOSAT) এবং রিস্যাট (RISAT) সিরিজের মতো শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে এমিস্যাট (EMISAT) এবং মাইক্রোস্যাট (MICROSAT) সিরিজও রয়েছে। এগুলি পর্যবেক্ষণ, নজরদারি ও নানা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হয়।

    পাঁচ বছরে আরও ৫২টি উপগ্রহ আসছে

    ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACE) এর চেয়ারম্যান পবন কুমার গোয়েঙ্কা সম্প্রতি জানিয়েছেন আরও উন্নত ৫২টি নতুন উপগ্রহ শীঘ্রই আসছে। মহাকাশ-ভিত্তিক নজরদারি ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আগামী পাঁচ বছরে এগুলি কক্ষপথে ছাড়া হবে। নতুন উপগ্রহগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনাকে শত্রুর গতিবিধি ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে সীমান্তে পর্যবেক্ষণ ও সামরিক অভিযানেও কয়েক কদম এগিয়ে থাকবে ভারত।

  • AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, গত কয়েক দিনে ভারত যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা এখন সারা বিশ্বে আলোচিত। ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর (AkashTeer) প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের এই বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, তুরস্ক সকলকেই চমকে দিয়েছে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশের হাতে এত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেখেছে বিশ্ববাসী। সম্পূর্ণ দেশীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত, উপগ্রহ-সংযুক্ত স্বয়ংক্রিয় কমব্যাট সিস্টেম হিসেবে আকাশতীর বিশ্বের তামাম প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের চমকে দিয়েছে।

    কী এই আকাশতীর?

    “আকাশতীর” একটি বহুস্তরীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ সমন্বয় ব্যবস্থা। বিশ্ব প্রতিরক্ষা কৌশলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ভারত। ডিআরডিও (DRDO), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইসরো (ISRO)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে “আকাশতীর”। এটি হল একটি বাস্তব-সময়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ পরিচালন পদ্ধতি। এটি কোনও একক ডিভাইস নয়, বরং একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, যা নিজে থেকে বিপদ আঁচ করে যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিপদকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। আকাশতীর হলো বহুস্তরীয় সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি। যা এআই, স্যাটেলাইট নজরদারি, স্বয়ংক্রিয় সোয়ার্ম ড্রোন, রেডার এবং মোবাইল কমান্ড ইউনিট মিলিয়ে এক নতুন ধরনের “কমব্যাট ক্লাউড” গঠন করে।

    আকাশতীরের মূল বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রে খবর, ৭ তারিখ রাত থেকে ৮ তারিখ ভোরের মধ্যে ১৫টি সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাক সেনা। সেই আক্রমণ শুধু প্রতিহতই করেনি ভারত। উল্টে যোগ্য জবাবও দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পর একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যা রুখে দেয় ভারত। ভারতের চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা ‘আয়রন ডোম’-এর অনুরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমটি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এবং ‘আকাশতীর’ কমান্ড নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত। আকাশতীর সিস্টেম সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সমস্ত রেডার এবং স্যাটেলাইট ডেটা একটি একক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সমন্বিত চিত্রটি নির্ধারণ করেছিল যে কোন ব্যবস্থা কোন হুমকিকে ধ্বংস করবে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের একের পর এক হামলা প্রতিহত করে ভারত।

    চার স্তরের আকাশতীর সিস্টেম

    ইসরোর উপগ্রহ নজরদারি: কার্টোস্যাট ও রিস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মানচিত্র এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। বিদেশি স্যাটেলাইট ডেটার উপর নির্ভরতা ছাড়াই, নিজস্ব স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি যুদ্ধভূমির তথ্য সংগ্রহ ভারতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

    নাবিক ব্যবস্থার ব্যবহার: ভারতের নিজস্ব জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা উপমহাদেশীয় ভূখণ্ডে অত্যন্ত কার্যকর। এই বিশেষ সিস্টেম পার্বত্য, মরুভূমি ও শহরাঞ্চলে অত্যন্ত কার্যকর।

    সোয়ার্ম ড্রোন: আকাশতীরের প্রতিটি সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম— ৫-১০ কেজি পেলোড বহনে সক্ষম। চিনা ও পাকিস্তানি রেডার এড়াতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত। উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম। অনুপ্রবেশ করতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সেলফ-নেভিগেশন রয়েছে। নিজেই লক্ষ্যকে স্থির করে নিতে সক্ষম। মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী, মাঝপথে নিজের প্রোগ্রামে বদল আনতে সক্ষম। এগুলি বাণিজ্যিক ড্রোন নয়। বরং কৌশলগত, বুদ্ধিমান কামিকাজে ইউনিট যা শত্রুর হাই-ভ্যালু টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে, শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

    এআই কমব্যাট ক্লাউড: তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে এই পদ্ধতি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর রেডার সংকেত, ভূখণ্ড বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র সহ বিস্তৃত যুদ্ধের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে আকাশতীর। এআই-এর দৌলতে আকাশতীর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন নতুন করে সাজাতে পারে, ড্রোন রিডিরেক্ট করতে পারে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে, যা মার্কিন বা চিনা সিস্টেমের চেয়ে অনেক উন্নত, কারণ সেখানে মানুষের প্রয়োজন হয়।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    অপারেশন সিঁদুরের পর, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা মডেল এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই মডেলটি দেখায় যে নিরাপত্তা কেবল নতুন প্রযুক্তি কেনার মাধ্যমেই আসে না, বরং সেগুলিকে একীভূত করার মাধ্যমেও আসে। কীভাবে একইসঙ্গে শত্রুর হানা রুখছে, আবার শত্রুর ডেরায় গিয়ে আঘাত হানছে আকাশতীর,তা দেখে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন, তুরস্ক থেকে শুরু করে পাকিস্তান— সকলেই কার্যত থ বনে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন ভারতের এই স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষাকে বিশ্বের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্লেষক ভারতের এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আকাশতীরের অনুকরণে পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কৌশল পুনর্বিবেচনার কথাও বলছেন। চিনের বেইডু স্যাটেলাইট ও ড্রোন বিশেষজ্ঞরা এখন আকাশতীরের অনুকরণে অ্যালগোরিদম পুনঃর্গঠনের চেষ্টা করছে। ভারতের অগ্রগতি দেখে অবিলম্বে বায়রাক্তার ড্রোনের প্রযুক্তি আপগ্রেডে ব্যস্ত তুরস্ক।

    কেন আকাশতীর অনন্য

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে। একশো শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পদ্ধতি কোনও বিদেশি চিপ বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত সমন্বয়ে তৈরি এক প্রকল্প। ডিআরডিও, ইসরো ও ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী সমন্বয়ে তৈরি আকাশতীরের পূর্ণ কৌশলগত স্বাধীনতা রয়েছে। এটি একটি মোবাইল কমান্ড ইউনিট, যা জিপে রেখেও চালানো সম্ভব। আকাশতীর শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি ভারতকে আর অনুসরণকারী নয়, বরং নেতৃত্বকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ হল বিরাট অধ্যায় (Virat Kohli)। লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি। রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর বিরাট কোহলিও সোমবার সমাজমাধ্যমে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। রাখলেন না বিসিসিআই-এর অনুরোধ। দেশের হয়ে আর সাদা জার্সিতে দেখা যাবে না ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে। সাদা জার্সিটা তুলে রাখারই সিদ্ধান্ত নিলেন কোহলি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে এই সিদ্ধান্ত জানান ‘চেজ মাস্টার’।

    বিদায়-বার্তায় কী লিখলেন কোহলি 

    সমাজমাধ্যমে কোহলি (Virat Kohli) লিখেছেন, ‘‘১৪ বছর আগে প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের নীল ব্যাগি টুপি পরেছিলাম। সত্যি বলতে তখন জানতাম না, ক্রিকেটের এই ফরম্যাট আমাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমার পরীক্ষা নিয়েছে। আমাকে তৈরি করেছে। আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। সারাজীবন এই শিক্ষা বহন করব।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত গভীর বিষয় থাকে। শান্ত পরিবেশ, দীর্ঘ সময় খেলা, ছোট ছোট মুহূর্তগুলো কেউ দেখতে পায় না। তবে এগুলো চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে।’’

    হাসিমুখেই বিদায়!

    গত বুধবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তারপর কোহলির এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব এতটাই ছিল যে, খবর অনুযায়ী, বিসিসিআই মরিয়া হয়ে কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে। যাতে জুন-জুলাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দল অনভিজ্ঞ না থেকে যায়, বোর্ডের তরফে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে খবর। তবে, দৈনিক জাগরণের একটি প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ বিপরীত দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়নি। বরং, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা কোহলিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, খারাপ ফর্মের কারণে ভারতের টেস্ট দলে তাঁর জায়গা পাওয়ার নিশ্চিত নয়। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর শেষ টেস্ট সিরিজে কোহলি পাঁচটি টেস্টে সাকুল্যে ১৯০ রান করেন। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২৩-এর সামান্য বেশি। আসলে সেই ১৯০ রানের মধ্যে ১০০ রান বিরাট একটি ইনিংসেই করেছিলেন। বাকি সিরিজে তাঁর সার্বিক অবদান ৯০ রানের। তবে পারফরম্যান্স যাই হোক তিনি কিং কোহলি। মাঠে তাঁর উপস্থিতি যে কোনও দলের কাছেই বড় ফ্যাক্টর।

    খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়

    সচিন-গাভাসকর পরবর্তী যুগে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং ম্যস্ট্রো বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আবেগঘন এক পোস্টে লিখলেন, ‘‘আমি কৃতজ্ঞতায় ভরা এক হৃদয় নিয়ে সরে যাচ্ছি, এই খেলাটাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের সঙ্গে আমি মাঠ শেয়ার করেছিলাম তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এই ফরম্যাট থেকে সরে আসার পরে মনে হচ্ছে খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমি সর্বস্ব দিয়েছি এই ফরম্যাটে এবং এই ফরম্যাট আমাকে প্রত্যাশার থেকেও অনেক বেশি ফিরিয়ে দিয়েছে।’’ শেষে কোহলি লেখেন, ‘‘আমি সবসময় আমার টেস্ট কেরিয়ারের দিকে হাসিমুখে ফিরে তাকাবো।’’ দিনান্তে কোহলির নামের পাশে লেখা রইল ১২৩টি টেস্ট ম্যাচ। ৯২৩০ টেস্ট রানের মালিক তিনি। ৩০টি সেঞ্চুরি তাঁর ঝুলিতে। সর্বোচ্চ রান ২৫৪। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট পরিক্রমা শেষ হল কোহলির। মাঝে কেটে গেল দীর্ঘ ১৪ বছর।

    সচিনের একশোয় একশো ধরা হল না

    সচিনের একশোয় একশো ধরা আর হল না কোহলির। বিরাট (Virat Kohli) লিখলেন, #২৬৯, সাইনিং অফ। আসলে টেস্টে বিরাট যে ভারতীয় দলের ক্যাপ পরতেন, সেটার নম্বর ছিল ২৬৯। কারণ তিনি ভারতের ২৬৯তম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট খেলেছিলেন। কয়েকদিন আগে রোহিত শর্মাও যখন অবসর গ্রহণ করেছিলেন, তখন নিজের টেস্ট ক্যাপের ছবি দেখিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল ২৮১। কারণ ভারতের ২৮১ তম খেলোয়াড় হিসেবে রোহিতের টেস্টে অভিষেক হয়েছিল। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়তে চান তিনি। সে কথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আগেই জানান কোহলি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাঁকে অনুরোধ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে। সামনে ইংল্যান্ড সফর। কয়েক দিন আগেই রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। এই অবস্থায় কোহলিকে হারানো মানে এক ধাক্কায় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ থেকে বিশাল অভিজ্ঞতা সরে যাওয়া। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।

    নিজের সিদ্ধান্তে অনড় কোহলি

    ব্যাটার কোহলিকে (Virat Kohli) আর লাল বলে দেখা না গেলে সেটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। এমনটাই মনে করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তাই লারা বলেছিলেন, কোহলিকে বুঝিয়ে টেস্টে আরও খেলতে রাজি করানো হবে। শুধু তা-ই নয়, কেরিয়ারের বাকি সময়টা কোহলি টেস্টে ৬০-এর বেশি গড়ে রান করবে। তবে লারার সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। কোহলি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন। টেস্ট ক্রিকেটে এখন শূন্যতা। বহু স্মৃতি রেখে গেলেন বিরাট কোহলি। সচিনের উত্তরসূরী দ্রুতই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর। কিন্তু কোহলির পর সেই শূন্যতা কি পূরণ করতে পারবেন গিল, যশস্বীরা?

  • India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India-Pakistan War) কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) কোনও পাইলট আটক নেই। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি একটি গুজব, যা সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। একথা স্পষ্ট করে জানালেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে পাকিস্তানিরা দাবি করছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং (Shivani Singh) পাক সেনার হাতে বন্দি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, আগেই পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানায়, খবরটি ভুয়ো। রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনার কড়া বার্তার পর অবশেষে সত্যি স্বীকার করল পাকিস্তান।

    স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (ISPR) আধিকারিক আহমেদ শরিফ চৌধুরি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের হেফাজতে কোনও ভারতীয় পাইলট নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়ো খবর এবং প্রোপাগান্ডা।” এর আগে, সামাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং পাকিস্তানে ধরা পড়েছেন। তবে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) দ্রুত এই গুজব খণ্ডন করে জানায়, “ভারতীয় মহিলা পাইলট আটক হয়নি। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। যে ছবিটি দেখানো হচ্ছে, সেটি আসলে ২০২১ সালে পাঞ্জাবের মোগায় একটি মিগ-২১ ভেঙে পড়ার সময়ের ছবি।”

    আগেই বলেছিল ভারত

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর ইসলামাবাদ (Islamabad) এই ধরনের ভুয়ো প্রচারের আশ্রয় নেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল একে ভারতী রবিবার জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের সব লক্ষ্যে পৌঁছেছি এবং সব ভারতীয় পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেগুলিকে প্রতিহত করা হয়েছে। কয়েকটি শত্রু বিমান ভূপাতিত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো আগেই জানিয়েছিল অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে অন্তত ৪০টি ভুয়ে খবর ছড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) ভারতীয়দের (India-Pakistan War) বারবার যাচাই না করে গুজব বা ভুয়ো তথ্য শেয়ার করতে নিষেধ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রোপাগান্ডা চালানো নতুন কিছু নয়, তবে পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্রের এই স্বীকারোক্তি নিশ্চিত করেছে যে, ভারতীয় পাইলট আটক করার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।

  • India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাক জঙ্গি দমনে করা হলেও, তার পাল্টা বারবার জবাব দিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। ভারত (India-Pakistan War) তাদের সেনা বা নাগরিকের কোনও ক্ষতি করতে চায়নি। চেয়েছে সীমান্তে বসে থাকা জঙ্গিদের শেষ করতে। যা করেছেও। কিন্তু তার পাল্টা ভারতে হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। যার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটি বাধ্য হয়েই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিল ভারত। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্‌স’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, বায়ুসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্‌স’ এয়ার মার্শাল একে ভারতী এবং নৌসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ নেভাল অপারেশন্‌স’ ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ গত কয়েক দিনের সামরিক অভিযানের খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরেন। এদিন বৈঠক শুরু হয় শিব তাণ্ডব স্তোত্র দিয়ে।

    বেয়াদপি করলে বরদাস্ত নয়

    সংঘর্ষ বিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণার পর বিশ্বাসঘাতকতা করে বারবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। রবিবার সেনার সাংবাদিক বৈঠকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়ে জানানো হল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর কোনওরকম ভারত-পাক সমঝোতা ভঙ্গ হলে ভারতও চুপ থাকবে না। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানি সেনা বা সীমান্তের ও পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতের কোনও লড়াই নেই। অপারেশন সিঁদুর তা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে। ভারত আর সন্ত্রাসবাদকে কোনও ভাবে বরদাস্ত করবে না। পাকিস্তান যে জঙ্গিদের মদত দেয় সেটা জলের মতো পরিষ্কার। এর পর পাকিস্তান কোনও রকমের বেয়াদপি করলে ভারত কোনও রকমে রেয়াত করবে না। তিন বাহিনীর কর্তারা জানান, এই সংঘাতের আবহে পাক সেনার ৩৫-৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি ইসলামাবাদের কাছে চাকলালা ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করাচিতেও যে কোনও মুহূর্তে আঘাত করার মতো কৌশলগত অবস্থানে ছিল ভারতীয় নৌসেনা। তবে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির জন্য আপাতত চুপ রয়েছে ভারত।

    ১০০-র বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা (India-Pakistan War) লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং মন্দির, গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত করার চেষ্টা করে। ভারতের জম্মু, উধমপুর, ভাটিন্ডা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। হামলার কড়া প্রত্যাঘাত করেছে ভারতও। পাকিস্তান ও পিওকের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাকলালা, রফিকি-সহ বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে। ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজহার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্‌সর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে। ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে জঙ্গি দমনের সাফল্য এসেছে কী ভাবে তার ব্যাখ্যা দেয় ভারতীয় সেনা।

    পাক হামলার প্রত্যাঘাত করা হয়েছে মাত্র

    তিন বাহিনীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ৮-৯ মে’র রাতে পাকিস্তান বেশ কিছু ড্রোন এবং বিমান ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করে। সেগুলির লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি। তার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়েছে। শ্রীনগর থেকে নালিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ড্রোন, পাইলটহীন বিমান দিয়ে হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সেগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি। এ ছাড়া পাকিস্তানি কিছু যুদ্ধবিমানকেও গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে সেগুলি ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করার আগেই সেগুলিকে আটকে দেওয়া গিয়েছে। ভারত স্পষ্ট করে দেয়, পাকিস্তানের এই হামলার কারণেই প্রত্যাঘাত করতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে।

    সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল

    পাক হামলার (India-Pakistan War) পরে ভারতও পাকিস্তানের বেশ কিছু বায়ুসেনা ঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং অন্য সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করে। প্রত্যাঘাত করা হয় পাকিস্তানের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও। পাকিস্তানের যে সামরিক ঘাঁটিগুলিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, তার মধ্যে ইসলামাবাদ সংলগ্ন এলাকাও রয়েছে। এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমরা যে ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছিলাম তার মধ্যে ছিল চাকলালা, রফিকি। উল্লেখ্য, চাকলালা ইসলামাবাদে অবস্থিত।” এ ছাড়া পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান, সরগোদা, জাকোকাবাদ এবং ভুলারির মতো এলাকাতেও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে। এয়ার মার্শাল জানান, এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ভারতের। কিন্তু ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থান

    গত কয়েক দিন ধরে পাক নৌসেনাকে কৌশলগত ভাবে চাপে রেখেছিল ভারতীয় নৌসেনাও। ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ জানান, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে নৌসেনার ডুবোজাহাজ, বিমান-সহ সমস্ত বিভাগকে সংঘাতের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে সমুদ্রে মোতায়েন করে দেওয়া হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী হামলার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নৌসেনা আরব সাগরে বেশ কিছু কৌশলগত অবস্থান নেয়। উত্তর আরব সাগরে এমন জায়গায় বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল যেখান থেকে নিজেদের পছন্দ মতো সময়ে করাচি-সহ বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা ছিল নৌসেনার। ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থানের জন্য পাকিস্তানি নৌসেনাকে রক্ষণমূলক অবস্থান নিতে হয়েছিল এবং সেগুলি বেশির ভাগই নিজেদের বন্দর বা উপকূলের কাছাকাছিই রয়ে গিয়েছিল।

    প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, প্রাথমিকভাবে ৩৬ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পাকিস্তান যদি কোনও রকমভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তাহলে এপার থেকেও উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে পাক সেনাকে। এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত। প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ইসলামাবাদকে।

  • India Pakistan War: পাকিস্তানের ‘ফেক নিউজ ড্রোন’ আক্রমণের জবাবে ভারতের ‘ফ্যাক্ট-চেক মিসাইল’! কী বলছে পিআইবি?

    India Pakistan War: পাকিস্তানের ‘ফেক নিউজ ড্রোন’ আক্রমণের জবাবে ভারতের ‘ফ্যাক্ট-চেক মিসাইল’! কী বলছে পিআইবি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (India Pakistan War) পরিস্থিতিতে পাক নেটনাগরিকরা সমাজমাধ্যমজুড়ে একাধিক ভুয়ো খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। এ নিয়ে জনসাধারণের উদ্দেশে বার্তা দিল প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো (PIB)। ভারত-পাক অশান্তির আবহে পুরনো এবং অন্য জায়গার গন্ডগোল, বিস্ফোরণ এবং হতাহতের ছবি দিয়ে বলা হচ্ছে সেগুলো এখনকার। তা দিয়ে লেখালিখিও হচ্ছে বিস্তর। এই প্রেক্ষিতে পিআইবি ফ্যাক্ট চেক-এ রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।

    মহিলা পাইলট শিবানী সিং বন্দি নন

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পাক নাগরিক একটি পোস্টে লেখেন, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানী সিং পাক সেনার হাতে বন্দি হয়েছেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘যুদ্ধবিমান থেকে লাফিয়ে নামার সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানী পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বন্দি হয়েছেন।’ মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। সেই পোস্ট দেখে উদ্বেগ তৈরি হয় ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে। কিন্তু সেই পোস্ট যে একেবারে ভুয়ো তা শনিবার এক্স হ্যান্ডলে জানাল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)-এর ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট। পিআইবি জানিয়েছে, ওই ভিডিও ২০১৪ সালের। যখন মহারাষ্ট্রের পুণে-আহমেদনগর হাইওয়ের কাছে কুলওয়াড়ি গ্রামে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সুখোই যুদ্ধবিমান এসইউ-৩০এমকেআই ভেঙে পড়ে। এক্সে একটি পোস্টে তারা জানিয়েছে, ‘ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলটকে আটক করা হয়নি।’

    জেট ভেঙে পড়ার মিথ্যা প্রচার

    ভারতের আকাশে একের পর হানা পাকিস্তানের। ভারতও প্রত্যাঘাত হেনেছে কিন্তু এর মাঝেই ভুয়ো খবর ছড়াতে শুরু করেছে পাকিস্তান এবং চিন। এমনই একটি খবরের পর্দাফাঁস করল পিআইবি (PIB)। চিনের অন্যতম প্রধান সংবাদ সংস্থা চায়না ডেইলির একটি প্রতিবেদন অনুসারে বলা হয়েছিল জম্মু কাশ্মীরে ভারতের তিনটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এই খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে ‘ফ্যাক্ট চেকে’ প্রমাণ করে পিআইবি। এক্ষেত্রে আল জাজিরার ইংরাজি সংস্করণের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন সামনে আনা হয়। সেখানেই জানানো হয় কীভাবে পাকিস্তান এবং চিন দুই পক্ষই একসঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুয়ো খবর প্রচার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পিআইবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখে, “চায়না ডেইলি মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে ভারতের তিনটি জেট কাশ্মীরে ভেঙে পড়েছে। এই ছবি ২০১৯ সালের।”

    ভুয়ো খবরের ছড়াছড়ি

    শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে ১০টি বিস্ফোরণের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অস্বীকার করেছে পিআইবি (PIB)। জয়পুর বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের খবরও মিথ্যা। বিমানবন্দর সচল রয়েছে। দিল্লি-মুম্বাই এয়ার রুট বন্ধ। এই খবরের কোনও যৌক্তিকতা নেই। বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নানকানা সাহিবে ড্রোন হামলা এই খবরও মিথ্যা। গুরু নানকের জন্মস্থান এই গুরুদ্বারে কোনও হামলা হয়নি। পাকিস্তানের সাইবার হামলায় ভারতের পাওয়ার গ্রিড ধ্বংস। বিদ্যুৎ মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে, পাওয়ার গ্রিড পুরোপুরি সচল।

    ভুয়ো ভিডিও প্রমাণিত

    পিআইবি (PIB) জানিয়েছে একটি ভিডিওয় জলন্ধরে পাকিস্তানের ড্রোন অ্যাটাকের কথা বলা হচ্ছে।  কিন্তু পিআইবি এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে যে, এটি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কহীন। নিছক একটি ‘ফার্ম ফায়ার’ ভিডিও। আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দাবি করা হয়, পাকিস্তানি সেনারা ভারতের একটি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। পিআইবি এই ভিডিওটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়ো বলে জানিয়েছে। বস্তুত, ভারতীয় সেনায় ‘২০ রাজ ব্যাটেলিয়ন’ নামে কোনও ঘাঁটি বা ইউনিট নেই। ওই ভিডিওটি ভারতীয়দের আতঙ্কিত করার জন্য প্রচার করা হয় বলে জানিয়েছে পিআইবি। আর একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়, তাতে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের উপরে প্রতিশোধ নিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। পিআইবি এই ভিডিওটিকেও ভুয়ো বলে চিহ্নিত করেছে। জানানো হয়েছে, যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে তা আদপে বেইরুট, লেবাননে ২০২০ সালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফুটেজ। আবার এমনই একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ভারতীয় সেনা অম্বলা বিমানঘাঁটিকে হাতিয়ার করে অমৃতসর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারতীয় নাগরিকদের উপরেই হামলা চালিয়েছে! পিআইবি তথ্য যাচাই করে দেখেছে যে, ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই প্রচার করা হয়েছে।

    ভুয়ো তথ্য যাচাই করতে নির্দেশ

    ভারত-পাক যুদ্ধের (India Pakistan War) আবহে ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে বলেই জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। তাদর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বেশ কয়েকটি ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে যা প্রতিটিই সম্পূর্ণ মিথ্যে। এই ভুয়ো ভিডিও, ভুয়ো তথ্যের শিকার হওয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে পিআইবি। মিডিয়া চ্যানেলগুলি কোনও কিছু যাচাই না করে যাতে কোনও তথ্য প্রচার না করে সেই ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার স্বার্থে তথা দেশের জন্য ভুয়ো তথ্য এবং অপপ্রচার ঠেকাতে হলে, কোনও ভিডিও বা ছবি যাচাই করার জন্য হোয়াট্‌সঅ্যাপ করুন ৮৭৯৯৭১১৫৯ এই নম্বরে। এ ছাড়া Socialmedia@pib.gov.in-এ ইমেল করা যাবে।

    মন্ত্রকের সতর্কবার্তা ও জনগণের প্রতি আহ্বান

    ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক নাগরিকদের উদ্দেশে সাইবার সতর্কতা জারি করেছে। তারা বলেছে, “অনলাইনে সতর্ক থাকুন, গুজবের ফাঁদে পা দেবেন না। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।” পিআইবি জনগণকে অনুরোধ করেছে যে, তারা যেন শুধুমাত্র সরকারি ও বিশ্বস্ত সোর্স থেকে খবর গ্রহণ করে এবং যাচাই না করে কোনও তথ্য শেয়ার না করে। এমন ভুয়ো তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা ও জনসাধারণের মানসিক স্থিতি বিঘ্নিত করতে পারে।

  • India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। তারা অনবরত আগ্রাসী ভূমিকা বজায় রাখছে। শনিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানানো হয়েছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান বারবার হামলার চেষ্টা করছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি তাদের নিশানায়। পাক সেনাদের গোলাবর্ষণ চলছে, যদিও হামলার চেষ্টা প্রতিহত করছে ভারতীয় সেনা। এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।

    সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল পাকিস্তান

    সব সীমা ছাড়াচ্ছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। লাগাতার গোলাবর্ষণ তো করছিলই, এবার সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল। ভারত সরকারের তরফেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর প্রথম এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান চার রাজ্যে মোট ২৬টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। যদিও ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলিক নিষ্ক্রিয় করেছে। ভারতও পাল্টা জবাবে ৪টি পাকিস্তানি এয়ারবেসে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া হামলা চালানো হয়েছে আরও ২ পাক এয়ারবেস, একটি সেনা বেস ও একটি রেডার স্টেশনে। পাকিস্তান সেনা সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোনো শুরু করতেই ভারতও তাদের সেনাকে প্রস্তুত রেখেছে এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

    সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত পাকিস্তানের

    এ দিন উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তানের সেনা এগোনোর সিদ্ধান্ত তাদের আক্রমণাত্বক অভিপ্রায়কেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কর্নেল সোফিয়া বলেন, ‘‘পাকিস্তান মিলিটারি সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোচ্ছে। দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনা তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে আনছে। এতে তাদের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় প্রকাশ পাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এটা। পাকিস্তান সেনা সীমান্তের দিকে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তা নিছক প্রতিরক্ষা কৌশল নয়—এটি সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনও আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে।”  উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং-ও এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করে জানান যে, পাকিস্তান তাদের বাহিনী সীমান্ত বরাবর এগিয়ে এনে ভারতের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত হানতে চাইছে। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের পরিচয় বহন করে।” তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী (India-Pakistan War) সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভারতের তিন বাহিনী।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি সাধন 

    জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান ভারী গোলাবর্ষণ করে চলেছে। এই ধরনের গোলাবর্ষণ যুদ্ধে কোনও অগ্রগতি এনে দেয় না। সীমান্তবর্তী সামরিক চৌকিতে উচ্চক্ষমতার আর্টিলারি গান (কামান) বসিয়ে সীমান্তের অন্য দিকে একনাগাড়ে গোলাবর্ষণ করাই যায়। যে কোনও দেশই সেটা করতে পারে। কিন্তু তাতে সীমান্ত এগোবে বা পিছোবে না। শত্রুপক্ষও খতম হবে না।পাকিস্তানের সামরিক কর্তারা সে কথা ভালই জানেন। তবু অনবরত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের সামরিক বাহিনীর দুর্ভেদ্য বর্মে পাকিস্তান এত জোরে ধাক্কা খাচ্ছে যে, অপমান ভুলতে লোকালয়ে গোলা ছুড়ছে, এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। প্রেস বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গতকাল সারা রাত ধরে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে। উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ, ভাটিন্ডা সহ ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পাকিস্তান হাই স্পিড মিসাইল দিয়ে পাঞ্জাবের একটি এয়ারবেসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। ভারত সেই হামলাও প্রতিহত করেছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একটানা ড্রোন, যুদ্ধবিমান, এমনকী লং রেঞ্জ মিসাইল দিয়েও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

    একটানা ড্রোন হামলা পাকিস্তানের

    দেশের পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন হামলাও চালাচ্ছে পাকিস্তান। শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ অমৃতসরের খাসা ক্যান্টের উপর শত্রুপক্ষের একাধিক সশস্ত্র ড্রোন দেখা উড়তে দেখা যায়। যা প্রতিহত করে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১০টার পরে বিদেশ মন্ত্রক, সেনার সাংবাদিক বৈঠক শুরু হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকে পাকিস্তান সেনাকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালানো হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয়। এই দাবিগুলি ভুয়ো বলে জানান বিদেশসচিব। আফগানিস্তানে ভারতের মিসাইল পড়েছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, তা–ও মিথ্যা বলে জানান তিনি। মিস্রি বলেন, ‘কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    এই প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে (India-Pakistan War) উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে আলোচনা করছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক (India-Pakistan Conflict) থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করা এবং রণসজ্জা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এই ধরণের আচরণ করে (India-Pakistan Conflict) আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করতে চাইছে। এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম ও সমঝোতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

LinkedIn
Share