Author: ishika-banerjee

  • India China Relation: ভারতের উপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার! সার, দুর্লভ খনিজ রফতানির আশ্বাস চিনের

    India China Relation: ভারতের উপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার! সার, দুর্লভ খনিজ রফতানির আশ্বাস চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের কথা শুনতে চলেছে চিন (India China Relation)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনে ভয় ধরিয়ে হিন্দি-চিনি সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে এক বিরাট পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারত। সোমবার দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে তিনটি জিনিসের রফতানি ফের শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। ভারতকে চিন জানিয়ে দিয়েছে, তারা এদেশের উপর থেকে সার, রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট ও খনিজ দুষ্প্রাপ্য ধাতু এবং সুড়ঙ্গ খোঁড়ার মেশিন রফতানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে।

    ভারতের পক্ষে সুবিধা

    ভারতের কৃষিক্ষেত্রে ইউরিয়া কিংবা ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি)-এর মতো সার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চিন রফতানি বন্ধ করায় এগুলির জোগানে টান পড়ছিল। বাড়ছিল সারের দাম। অন্য দিকে, টানেল বোরিং মেশিনের পর্যাপ্ত জোগান না-থাকায় থমকে যাচ্ছিল নির্মাণকাজ। ইলেকট্রনিক গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল দুষ্প্রাপ্য খনিজ পদার্থ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই খনিজের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীল। চিন নিরাপত্তাগত কারণ দেখিয়ে ভারতে এই দুষ্প্রাপ্য খনিজ রফতানির বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিল। ফলে অসুবিধায় পড়েছিলেন গাড়িনির্মাতারা। এবার তা উঠে গেলে সুবিধা হবে দেশের কৃষক তথা শিল্প-উদ্যোক্তাদের।

    কেন চিনের এই সিদ্ধান্ত 

    কেন্দ্রের একটি সূত্রের খর, গত মাসে চিন (India China Relation)সফরে গিয়ে বহুবিধ এই অসুবিধার কথা সে দেশের বিদেশমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। ওই সূত্রের দাবি, দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং শুল্কের প্রসঙ্গ ওঠে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। চিনও রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি আমদানি করে থাকে। সে ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রেখে দিলে চিনের উপরও ট্রাম্প শুল্ক চাপাতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এই বিষয়ে আগে থেকেই সজাগ থাকতে চাইছে চিন। সে কারণেই তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েন মুছে ফেলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ভারতের আর্জি মানল চিন

    চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বর্তমানে দুদিনের সফরে নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। সোমবার তাঁদের মধ্যে আলোচনায় ই আশ্বস্ত করেছেন জয়শঙ্করকে। তিনি জানান, ভারতের আর্জি অনুযায়ী বেজিং কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পদক্ষেপ শুরু করেছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী জাহাজে উঠতে শুরু করছে। এর আগে ভারত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল। বিশেষত সার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞায় রবি শস্যের মরশুমে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের সরবরাহে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এমনকী সুড়ঙ্গ খোঁড়ার মেশিন আসা বন্ধ করে দেওয়াতেও দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে যেসব বিদেশি কোম্পানি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার মেশিন তৈরি করতে চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে।

    ভারত-চিন স্থায়ী সম্পর্ক

    এশিয়ার দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে মজবুত করা উচিত, সে কথা জানিয়েছেন জয়শঙ্করও। সোমবার নয়াদিল্লিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী চিন প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের (ভারত এবং চিন) সম্পর্ক অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই সব পিছনে ফেলে আমরা সামনে এগোতে চাই।” নয়াদিল্লিতে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে জয়শঙ্করের সংযোজন, আমাদের বৈঠকের পর ভারত এবং চিনের মধ্যে একটি স্থায়ী, সমঝোতামূলক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।”

    ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে আলোচনা

    দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভালের সঙ্গেও বৈঠকে বসেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। ওই বৈঠকে মূলত ভারত-চিন সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। তার আগে সোমবার সন্ধ্যার বৈঠকে চিনা বিদেশমন্ত্রীকে জয়শঙ্কর বলেন, “এটি (সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের সম্পর্কের যে কোনও ইতিবাচক অগ্রগতির ভিত্তিই হল সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা। তাই সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

    ডোভালের সঙ্গে বৈঠক

    মঙ্গলবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনা করলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই সময় ডোভাল বললেন, গত অক্টোবরে সামরিক অচলাবস্থা শেষ হওয়ার পর থেকে ভারত ও চিনের সীমান্তে যে শান্তি ও স্থিতাবস্থা দেখা গিয়েছে, তা থেকে উপকৃত হয়েছে উভয় দেশই। এর ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছর শেষের দিকে লাদাখের ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে টহল দিতে শুরু কর। প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর ফের এই টহলদারি শুরু হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের সংঘাতের আগে যে অবস্থান পর্যন্ত ভারতীয় সেনা টহল দিত, এখনও সেখান পর্যন্তই টহল দিতে শুরু করেছে তারা। লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার হয় ২০২৪ সালের দিওয়ালির আগেই। এবার নতুন করে সম্পর্কের সমীকরণ তৈরির পালা।

  • PM Modi Meet Shubhanshu: কখনও হাসি-কখনও কৌতূহল! শুভাংশুর থেকে মহাকাশের ‘অজানা কথা’ এক মনে শুনলেন মোদি

    PM Modi Meet Shubhanshu: কখনও হাসি-কখনও কৌতূহল! শুভাংশুর থেকে মহাকাশের ‘অজানা কথা’ এক মনে শুনলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা প্রজন্মকে মহাকাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করেছেন শুভাংশু শুক্লা। তাঁর পিঠে হাত রেখে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Meet Shubhanshu)। সোমবার সন্ধ্যায় ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দেশপ্রেমে ভরপুর এক আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হল। শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিলেন সেই জাতীয় পতাকা, যা তিনি নিজে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ নিয়ে গিয়েছিলেন। এই পতাকা দেশের মানব মহাকাশযাত্রার নতুন যুগে প্রবেশের প্রতীক হয়ে উঠল। এই প্রতীকী উপহার গ্রহণ করে গভীর আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    গগনযান অভিযান নিয়ে কথা

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মাসেক খানেক আগে পৃথিবীতে ফিরেছেন। তবে ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন দুদিন হল। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর লোককল্য়াণ মার্গের বাসভবনে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা। শুভাংশুর পরনে তখন ইসরোর অ্যাস্ট্রোনটের জ্যাকেট। এক গাল হাসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলেন তিনি। এদিন শুভাংশুর সঙ্গে শুধু করমর্দনেই থেমে থাকলেন না প্রধানমন্ত্রী, করলেন আলিঙ্গন। শুভাংশুর কাঁধে রাখলেন হাত। হাঁটলেনও একইসঙ্গে। শুভাংশু শুক্লার সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “শুভাংশু শুক্লার সঙ্গে দারুণ আলাপচারিতা হল। মহাকাশে তাঁর অভিজ্ঞতা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের গগনযান অভিযান নিয়েও কথা হয়েছে। তাঁর সাফল্যে ভারত গর্বিত।” স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণেও শুভাংশুর ঐতিহাসিক এই সফরের কথা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    গবেষণার খুঁটিনাটি বিবরণ

    রাকেশ শর্মার ৪১ বছর পর, দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে মহাকাশ ছুঁয়েছেন শুভাংশু শুক্লা। ১৮ দিন ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে করেছেন ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণা। ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রীকে তারই খুঁটিনাটি বিবরণ দিলেন ভারতের এই মহাকাশচারী। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা প্রধানমন্ত্রীকে শোনান শুভাংশু। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে গত ২৫ জুন ফ্লোরিডা থেকে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন শুভাংশু। ১৮ দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছিলেন। গত ১৫ জুলাই পৃথিবীর মাটিতে পা রাখেন। পৃথিবীর মাটিতে পা রাখার পর গত এক মাস আমেরিকায় ছিলেন তিনি। রবিবার ভোরে ভারতে ফেরেন। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ও ইসরোর আধিকারিকরা।

    কখনও হাসি, কখনও কৌতুহল

    সোমবার সংসদেও শুভাংশু শুক্লার এই ঐতিহাসিক মিশনকে ঘিরে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়জন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, শুভাংশু শুক্লার কৃতিত্বকে তুলে ধরে বলেন, এটি ভারতের মহাকাশ অভিযানের এক মাইলফলক, যা ভবিষ্যতের মানব মহাকাশযাত্রার স্বপ্ন পূরণে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিও সেই গল্প শুনেছেন শুভাংশুর থেকে। সেসব শুনে কখনও মুখে হাসি মোদির, কখনও চোখে-মুখে কৌতূহল।

    সংসদে আলোচনায় না বিরোধীদের

    সোমবার মহাকাশ অভিযান নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়েছিল এনডিএ। কিন্তু অধিবেশন শুরু হতেই কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। তাতেই ভেস্তে যায় এনডিএ-র আলোচনা প্রস্তাব। সোমবার অধিবেশনের শুরুতে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রার উপর একটি বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে সম্মান জানানো হবে। সেই আলোচনায় বিরোধীদের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন রিজিজু। রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে রেখে আলোচনায় যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু অধিবেশন শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করে বিরোধীরা। বিক্ষোভ দেখানো হয়। শুভাংশু নিয়ে আলোচনা না করেই সংসদ ছাড়েন বিরোধী সাংসদেরা।

  • Suvendu Adhikari: জয়েন্টের ফল কেন বেরোচ্ছে না? মমতাকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জয়েন্টের ফল কেন বেরোচ্ছে না? মমতাকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও বেরোয়নি রাজ্য জয়েন্টের ফল। আদালতে মামলা চলছে। সোমবার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করার পথে হাঁটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Mamata Banerjee Govt)। সোমবার রাজভবনের (Rajbhavan) বাইরে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কার্যত এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। ইচ্ছে করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে বেসরকারি জায়গায় প্রক্রিয়া চালু রাখা হয়েছে। আদতে এমন কাজ করে বাংলার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি শুভেন্দুর।

    ৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাত করে রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের কাছে বিজেপির ১৫ জন বিধায়ক এসেছিলাম আমরা। বিধায়কদের যারা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা আজ এসেছিলেন। ছাত্রছাত্রী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান সবটাই বাংলায় বিপন্ন। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর যা করছে এধরনের শিক্ষা বিপর্যয় স্বাধীনতার পর দেশে হয়নি। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর চলছে রাজ্য। তিন মাস আগে বাংলায় উচ্চ মাধ্যমিক এর রেজাল্ট বেরিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ভর্তির প্রক্রিয়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনও শুরু হয়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজাল্ট এখনও প্রকাশ পায়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পর ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়ে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে অন্য রাজ্যে। এই ঘটনায় রাজ্যের ৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত।’’

    ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ

    এতদিন আইনি জটিলতা থাকলেও সম্প্রতি জয়েন্টের ফলপ্রকাশে বাধা নেই বলেই জানায় আদালত। তারপরও সেই ফল প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। কেন জয়েন্টের ফলপ্রকাশ হচ্ছে না, এর দুটি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়কের কথায়, জাতীয় ওবিসি (OBC) তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই তালিকায় ঢোকাতে চায়। একই সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও যাতে এরা বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলত, সকল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলির পথে। এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘বিগত কয়েক বছরে চিটফান্ড (Chitfund) উঠে গেছে ইডি-সিবিআইয়ের চাপে। তাই এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! যত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে, তত মমতার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়বে, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।’’ তাঁর দাবি, এইভাবে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার।

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এব্যাপারে আমরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছি। বিকাশ ভবনে গেলে মেরে তুলে দেবে। নবান্ন তো যেতেই দেবে না। তাই আমরা রাজ্যপালের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছি। আমরা অনুরোধ করেছি এব্যাপারে রাজ্যপাল আমাদের যেন রিপোর্ট দেন যে রাজ্য কী করল।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে (Suvendu Attacks Mamata) হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু জানান, এই সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে সামনের সপ্তাহে সবাইকে নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্নায় বসবেন। কারা থাকবে এই ধর্নায় তাও স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দু। জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়করা তো থাকবেনই, একই সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষাবিদদের নিয়ে ধর্না কর্মসূচি করা হবে। আর এক্ষেত্রেও যদি পুলিশি অনুমতি না মেলে তাহলে হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Aadhaar Row: “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়”, স্পষ্ট জানাল কমিশন

    Aadhaar Row: “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়”, স্পষ্ট জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। অভিযোগের আইনি ভিত্তি থাকতে হয়। বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিরোধী নেতাদের একসঙ্গে দাখিল করা হলফনামা প্রসঙ্গে রবিবার এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার। তিনি জানান, গত দুই দশক ধরে সমস্ত রাজনৈতিক দলই ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই দাবির ভিত্তিতেই প্রথমে বিহার থেকে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

    সরাসরি অভিযোগ করা যায় না

    এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আধার (Aadhaar) সম্পর্কিত নানা বিষয়েও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেন তিনি। জ্ঞানেশ কুমার জানান, “প্রতিনিধিত্ব আইনের (Representation of the People Act) অধীনে, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের একজন বৈধ ভোটারই অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “অবৈধ ভোটার বা সাধারণ নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ করতে পারেন না; তবে সাক্ষী হিসেবে তথ্য দিতে পারেন, যদি তা শপথনামার মাধ্যমে নির্বাচনী অফিসারের (ERO) সামনে পেশ করা হয়।”

    স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশে কাজ

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দাবি করেন, ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ১৮,০০০ ভুয়ো ভোটার নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ করেনি নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, কমিশন এসব আমলে নিচ্ছে না। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। বিরোধী দলগুলির তরফে ভোট চুরির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাকে উড়িয়ে দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, ভোটার, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এবং বিএলও-রা মিলে স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশে কাজ করছেন এবং প্রক্রিয়াটিকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন স্বাক্ষর ও ভিডিও টেস্টিমোনিয়ালের মাধ্যমে। কমিশনের অভিযোগ, জেলা সভাপতি ও বুথ লেভেল এজেন্টদের এই অনুমোদন রাজ্য ও জাতীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

    আধার বাধ্যতামূলক নয়

    আধার ইস্যুতে, নির্বাচন কমিশনার জানান, “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়। তবে অভিযোগকারীরা চাইলে আধার কার্ড সমর্থক প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। নির্বাচন কমিশন এই নিয়ম মেনে চলে।” এদিকে, আধার সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত মামলাটি আগামী ২২ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে উঠছে। আদালত এই বিষয়ে আরও আলোচনা করবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যরত পুলিশের স্ত্রী-রা আইন অনুযায়ী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি নজিরবিহীনভাবে পুলিশের কয়েকজন ঘরণী সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রেস ক্লাবে। তাঁদের দাবি ছিল কেন পুলিশের বাড়ির মেয়ে-বৌদের হেনস্থা করা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান তাঁরা। এই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, আগে থেকেই এই মহিলাদের ‘ট্রেনিং’ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই পরিকল্পিত সাংবাদিক বৈঠকের আগের ঘটনার ছবি ও ভিডিও দেখান বিরোধী দলনেতা।

    রাজ্যপালের দ্বারস্থ

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আইন অনুযায়ী পুলিকর্মীদের স্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। আমরা মামলা করব। আমরা রাজ্যপালকে এটা জানিয়েছি। ওনাকে তদন্ত করতে বলেছি। এটা সার্ভিস রুলের অবমামনা। অফিসারদের স্ত্রীদের দিয়ে অভিযোগা কারনো হয়। মূলত আমাকেই টার্গেট করা হয়। বিরোাধী দলনেতা নিজে পুলিশকে অশালীন কথা বলছেন, এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।” এরপর তিনি বলেন, “আজ সমস্ত পর্দা ফাঁস করব।” এরপর বলতে শুরু করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “কলকাতা পুলিশের কর্মরত অফিসারদের বাড়ির গৃহিণীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাইরে দেখানো হয় পুলিশের স্ত্রীরা প্রতিবাদ করছেন। এই অনুষ্ঠান থেকে মূলত আমায় টার্গেট হয়েছে।”

    মানহানির মামলা করবেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর দাবি, কলকাতা পুলিশের শান্তনু সিনহা বিশ্বাস তিনি একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবাসিক মহিলা বৃন্দ ভবানী-ভবন’। কলকাতা পুলিশ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ এই সংগঠন তৈরি করেছে। প্রেস ক্লাবে যাওয়ার আগে এদের জড়ো করা হয়েছিল পিটিএস অডিটোরিয়ামে। শুভেন্দু বলেন, “এদের ব্রিফ করেন শান্তনু, বিজিতেশ্বর রাউত। এই শান্তনু ও বিজিতেশ্বর দু’জনই প্রমোশন পেয়েছেন। তিনটে সরকারি বাস আনা হয়েছে। সরকারি কি না জানি না। রুট ২৩০। যে বাস ওসি আলিপুর এনেছে প্রেস ক্লাবে। কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িও ব্যবহার হয়েছে। নম্বর-ডব্লুবি০৪জি৯৫৭১ ( WB04G9571)।” শুভেন্দু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর উকিল আইনি নোটিস দিয়েছে। তিনদিন অতিবাহিত হয়েছে। এই সপ্তাহেই শুভেন্দু মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

    কারা ছিলেন ওই বৈঠকে

    এরপর যে যে পুলিশের স্ত্রীরা সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তাঁদের নাম পরিচয় জানান শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই দিন উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমানের স্ত্রী সালমা সুলতানা। এই আতাউর রহমান বিজিএল এমটিএস ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে পোস্টেড। ওইদিন ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চট্টোপাধ্যায় দে। যিনি কনস্টেবল সায়ন্ত দে-র স্ত্রী। এছাড়াও ছিলেন এএসআই অতনু বাজের স্ত্রী। এই বিষয়টি রাজ্যপালকেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে পুলিশ কর্মীদের স্ত্রীরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠক থেকে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপিকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছিল তাদের। পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামীদের প্রায়শই অশালীন ভাষায় কথা বলা থেকে শুরু করে হেনস্থা এমনকী জুতো দেখানোর মতো ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের নিশানায় ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

    মনোজ ভার্মাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মিথ্যে মামলার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে এদিন নিশানায় আনেন শুভেন্দু। সোমবার সল্টলেকে বিজেপির দফতরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “কলকাতার সিপি, একজন কুখ্যাত আইপিএস। গোটা জঙ্গলমহলে অত্যাচার করেছেন এই মনোজ ভার্মা…২০০৯, ‘১০,’১১-এর আগে পর্যন্ত। আদিবাসী ছেলেগুলিকে মাওবাদী তকমা দিয়ে তুলে এনে মারতেন। এই কুখ্যাত লোকটি সেদিন অভয়ার মায়ের উপর অত্যাচার করিয়েছেন।” শুভেন্দুর কথায়,  ৯ অগাস্ট আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের ডাকে ‘অরাজনৈতিক’ নবান্ন অভিযান হয়েছিল। যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ, যুবনেতা, মহিলা মোর্চার উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো ছিল। শুভেন্দুর অভিযোগ, “সাঁতরাগাছি পয়েন্টে কোনও বিশৃঙ্খলতার ঘটনা হয়নি, পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়েছে। হাওড়া ময়দানে অল্প বিস্তর হয়েছিল, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। রানিগঞ্জ থেকে দুজনকে তুলে আনা হয়েছে, তাঁরা জামিনও পেয়েছেন।”

    কী করে ডিসি পদে শান্তনু সিনহা বিশ্বাস

    শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, শান্তনু সিনহা বিশ্বাসকে ডিসি করা হবে বলে ৮টা নতুন পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। দেড় বছরে তিনবার প্রোমোশন করিয়ে কয়েকদিন আগেই ডিসি করা হয়েছে। তিনি জানান, বেআইনিভাবে এই কাজ করা হয়েছে। শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে এনিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি এও জানান, এই ইস্যু নিয়ে আজ বিকেলেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।

  • Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিলেন রাশিয়ার Ukraine Russia War ) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে শর্ত সাপেক্ষে — কিয়েভকে বড় অংশের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে এবং ক্রিমিয়ার উপর মস্কোর অধিকার স্বীকার করতে হবে। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তাঁকে এই প্রস্তাব দেন পুতিন। ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। একাধিকবার ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। তার মাঝে শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্প এবং পুতিনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়— দীর্ঘ পাঁচ বছর পর। বৈঠক শেষে একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকও করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। উভয়েরই দাবি, বৈঠক ফলপ্রসূ এবং ইতিবাচক হয়েছে।

    ভূখণ্ডের বিনিময়ে শান্তি ও ক্রিমিয়া স্বীকৃতি চায় রাশিয়া

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা জোরকদমে চলছে। সম্প্রতি আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর এবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউক্রেনকে পুরোপুরি ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সরে যেতে হবে। অন্যদিকে, রাশিয়া খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অগ্রগতি বন্ধ রাখবে। পাশাপাশি রাশিয়া ক্ষুদ্র কিছু দখলকৃত এলাকা — যেমন সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের প্রায় ৪৪০ বর্গকিমি জমি — ফেরত দিতে পারে।

    রাশিয়ার প্রধান দাবিগুলো হলো

    ইউক্রেনকে ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যেতে হবে

    রাশিয়া এই দুই অঞ্চল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবে

    সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের কিছু অংশ ইউক্রেনকে ফেরত দেওয়া হবে

    ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হবে না

    রাশিয়ার উপর আরোপিত কিছু ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে

    ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলে রুশ ভাষাকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    ইউক্রেনে রুশ অর্থোডক্স চার্চ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে

    ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে হবে; তবে ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে

    নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন যে, পুতিন ইউক্রেনকে “ডনবাস পুরোপুরি ছাড়তে” বলেছেন — এটি রাশিয়ার বহু পুরনো অবস্থান।

    ইউরোপের উদ্বেগ ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া

    ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে এই চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সুইডেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ডট একে “পুতিনের স্পষ্ট জয় এবং ট্রাম্পের পরাজয়” বলে মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফিওনা হিল বলেন, “ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আদায় করতে পারেননি — যেটি ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী দেশের কোনো অংশ ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, ডনবাস রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের ক্ষেত্র হতে পারে। যদিও তিনি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের (ট্রাম্প-পুতিন-জেলেনস্কি) সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছেন।

    ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি

    আপাতত ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ আছে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। আর ডোনেৎস্ক প্রদেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অংশ আছে রাশিয়ার দখলে। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক চেয়েছে। লুহানস্কের প্রায় পুরো জায়গাই আপাতত রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে, ইউক্রেন। পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তবে বৈঠকের পর আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’কে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এর পর বাকিটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির উপর নির্ভর করছে। তাঁকেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি। তার পরে কী হয়, আপাতত সে দিকেই চোখ সারা বিশ্বের।

    থাকছেন ইউরোপের অন্য নেতারাও

    শুধু ট্রাম্প-জেলেনস্কি নন, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা একাধিক ইউরোপীয় নেতার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন আলোচনায় অংশ নেবেন। ট্রাম্প-জেলেনস্কির এই বৈঠক সোমবার দুপুর ১টায় (মার্কিন সময়) অনুষ্ঠিত হবে হোয়াইট হাউসে। ভারতীয় সময় অনুসারে, বৈঠকটি শুরু হবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে।

  • EC to Rahul Gandhi: “প্রমাণ দিন নয়তো ক্ষমা চান”, ভোট চুরি নিয়ে রাহুলকে ৭ দিনের ডেডলাইন নির্বাচন কমিশনের

    EC to Rahul Gandhi: “প্রমাণ দিন নয়তো ক্ষমা চান”, ভোট চুরি নিয়ে রাহুলকে ৭ দিনের ডেডলাইন নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (EC to Rahul Gandhi) তাঁর দাবির সপক্ষে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলল কমিশন। অন্যথায় তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। এ ছাড়া তৃতীয় কোনও পথ খোলা নেই। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। বিহারের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া ঘিরে বিতর্কের আবহেই নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের অভিযোগ ‘সংবিধানের অবমাননা’ বলে তোপ দেগেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তাঁর সাফ কথা, “নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে ভারতের ভোটারদের নিশানা করা হচ্ছে। রাজনীতি করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সকলের কাছে স্পষ্ট করে দিতে চায়, কমিশন কোনও ভেদাভেদ না করে ধনী-দরিদ্র, প্রবীণ, মহিলা, যুবা, প্রত্যেক শ্রেণি, প্রত্যেক ধর্মের ভোটারদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। কমিশন এবং ভোটাররা তুচ্ছ রাজনীতিতে ভয় পায় না।”

    ভোটার তালিকাকে ত্রুটিমুক্ত করাই একমাত্র লক্ষ্য

    বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। তা নিয়ে এখন সরগরম রাজনীতি। এসআইআর নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বিতর্কের আবহে কংগ্রেস সাংসদ ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন। রবিবার থেকে বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন তিনি। ১৬ দিন ব্যাপী চলবে এই কর্মসূচি। রাহুলের কর্মসূচি শুরুর দিনেই দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কমিশন। এসআইআর প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে কমিশনের দাবি, ভোটার তালিকাকে ত্রুটিমুক্ত করাই এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এটির বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।

    সাত দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিন

    ‘ভোট চুরি’র অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলেই ব্যাখ্যা করছে কমিশন। জ্ঞানেশের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে কোনও ভেদাভেদ করে না। কমিশনের কাছে শাসক এবং বিরোধী উভয় শিবিরই সমান, তা-ও সাংবাদিক বৈঠকে জানান তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কথায়, তাঁদের দরজা সকলের জন্য সমান ভাবে খোলা। ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে নাম না-করে রাহুলকে নিশানা করেন তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “হয় হলফনামায় স্বাক্ষর করুন অথবা ক্ষমা চান। তৃতীয় কোনও বিকল্প নেই। যদি (রাহুল) সাত দিনের মধ্যে হলফনামা জমা না দেন, তা হলে বুঝে নিতে হবে তাঁর অভিযোগ ভুল।”

    ‘নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্র’

    বিহারের ভোট অধিকার যাত্রায় রাহুল স্পষ্টতই বলেন, ‘‘ভোট চুরির বিষয়ে আমরা আগেও জানতাম। কিন্তু কীভাবে ভোট চুরি হত, ত জানা ছিল না। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনই এই কাজে যুক্ত। এসব কিছুই নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্র।’’ রাহুলের আরও অভিযোগ, সারা দেশেই বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের ভোট চুরি হচ্ছে। সে আসাম হোক বা বাংলা, মহারাষ্ট্র হোক বা বিহার। তাঁর কথায়, ‘‘ভোট চোরদের আমরা খুব শিগগিরিই ধরব ও মানুষের সামনে হাজির করব। আগামী ভোটেও ভোট চুরি হতে চলেছে। বিহারের এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন আদতে নির্বাচন কমিশনের একটি পরিকল্পনা‌। উদ্দেশ্য ভুয়ো ভোট বাড়িয়ে ও নতুন ভোটারদের সরিয়ে নির্বিচন জিতিয়ে দেওয়া একটি বিশেষ দলকে।’’ এই আবহে রবিবার দুপুরে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এ ছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সাঁধু এবং বিবেক জোশীও। রাহুল গান্ধী-সহ অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ‘ভোটচুরি’ সংক্রান্ত অভিযোগ এদিন উড়িয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘সত্যি সত্যিই হয় (সচ সচ হোতা হ্যায়…) সূর্য পূর্ব দিকেই ওঠে। কারও কথায় পশ্চিম দিকে ওঠে না। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘‘কোথাও ভুয়ো ভোটার থাকলে তা ৭ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আবেদন করলে নির্বাচনে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা না করে পরে ভোট চুরির এই অভিযোগ তোলা আদতে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’

    সংবিধানের অপমান

    জ্ঞানেশের বক্তব্য, নিয়ম অনুসারে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষের ৪৫ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত মামলা করা যেতে পারে। ওই সময়ের মধ্যে কোনও অভিযোগ না জানিয়ে পরে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তোলা মানে সংবিধানকে অপমান করা। ‘ভোট চুরি’র মতো শব্দ ব্যবহার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে খাটো করে। কমিশন বা সাধারণ ভোটারেরা এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে একেবারেই ভীত নয় বলে জানান তিনি। কমিশনের দাবি, কিছু ভোটার দ্বিগুণ ভোট দেওয়ার আশঙ্কার কথা তুললেও কোনও প্রমাণ জমা পড়েনি। জ্ঞানেশের বক্তব্য, “এক কোটিরও বেশি কর্মী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকেন। এত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কী করে ‘ভোট চুরি’ হতে পারে!” বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনে ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়া নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। এ বার এই বিতর্কে রাশ টানার চেষ্টা করল কমিশন। সমস্ত রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের প্রতিনিধিরা যে খসড়া তৈরির পরে তাতে সই করেছে, সে কথাও মনে করাল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি সেখানে যে কোনও ত্রুটি সংশোধনের জন্য এখনও ১৫ দিন সময় রয়েছে, জানানো হলো সেই বিষয়টিও। কমিশনের দরজা প্রত্যেকের জন্য সমান ভাবে খোলা বলেও জানান জ্ঞানেশ কুমার।

  • Vice-Presidential Election: ধনখড়ের উত্তরসূরী কে? নতুন উপরাষ্ট্রপতির নাম ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি

    Vice-Presidential Election: ধনখড়ের উত্তরসূরী কে? নতুন উপরাষ্ট্রপতির নাম ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরী (Vice-Presidential Election) ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি সংসদীয় বোর্ড (BJP Parliamentary Board Meeting)। সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকেই দলের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে। জানা যাচ্ছে, এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীরা উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মনোনয়নে অংশ নেবেন। দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। এমতাবস্থায় উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি সংসদীয় বোর্ড।

    কবে, কীভাবে হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন

    এনডি-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ২১ অগাস্ট মনোনয়ন জমা দেবেন। উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশন গত ৭ অগাস্ট নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত এবং নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে ১৭-তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি ইলেক্টোরাল কলেজ দ্বারা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

    জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ

    উল্লেখ্য, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন সভার কাজ করার পর জগদীপ ধনখড়ের আশ্চর্যজনক পদত্যাগের পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে লেখা চিঠিতে ধনখড় স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার কথা উল্লেখ করেছেন।

    বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে অন্য বিষয়

    নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি কৌশলগতভাবে তার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)-এর শরিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছে, যাতে ভোটের সর্বাধিক সমর্থন নিশ্চিত করা যায়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বিজেপি তার দুই কক্ষের সাংসদদের দিল্লিতে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এই কর্মশালা চলবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর উদ্বোধন করবেন বিজেপি জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেই নিয়েও সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সেশনে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এবং অভিজ্ঞ সংসদ সদস্যরা, যাঁরা সাংসদদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দিকনির্দেশ দেবেন। কর্মশালায় পূর্ণ সময় উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক এবং সাংসদদের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে রাজধানীতে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান আবশ্যিক

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের দিন সর্বাধিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এনডিএ শরিক দলের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাংসদদের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটির বৈঠক সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কর্মশালার অংশ হিসেবে থাকবে একটি ‘মক ভোটিং’ বা অনুশীলনী ভোটাভ্যাস, যেখানে প্রথমবার নির্বাচিত এবং তরুণ সাংসদদের ভোটদানের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত করানো হবে। কৌশলগতভাবে, এনডিএ-র পরিকল্পনা হল সাংসদদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে সেই দলে শরিক দলের নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া, যাতে ৯ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে সাংসদদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।

    একমত হওয়ার চেষ্টা

    সরকারের পরিকল্পনার আরও একটি দিক হল—সেইসব দলগুলিকে কাছে টানা যারা অতীতে নিরপেক্ষ বা নমনীয় অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজেডি, যারা প্রার্থীর প্রোফাইল দেখে অতীতে এনডিএ-র প্রার্থীদের সমর্থন করেছে। এখনও পর্যন্ত এনডিএ বা বিরোধী পক্ষ কেউই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভায় সদন নেতা জে পি নাড্ডা এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু – এই শীর্ষ মন্ত্রীরা বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন একটি ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে। তবে বিরোধী পক্ষের ঐক্যবদ্ধ মনোভাবের প্রেক্ষিতে এনডিএ-র সঙ্গে কোনও সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত। বিরোধী দলগুলিও নিজস্ব প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী।

    জয় নিশ্চিত

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ বিজেপি। জগদীপ ধনখড়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে ভোটের আগে আগামী সপ্তাহে এনডিএ সাংসদদের ওই মেগা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ এনডিএ শিবিরের সব শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন। সেখানেই প্রার্থীর নাম জানানোর কথা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে ইতিমধ্যেই দু-দুবার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেছে এনডিএ। গত বৈঠকেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে শরিক নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী জানান, সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রার্থী বাছাই করা হবে। এদিন শরিক নেতৃত্ব সেই প্রধানমন্ত্রী ও নাড্ডার ওপর প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, এনডিএ-র সকল শরিক একমত হয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী ও জেপি নাড্ডার উপর ছেড়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সবার মত নিয়েই প্রার্থী নির্বাচন হবে।

     

     

     

     

  • Asia Cup 2025: দল ঘোষণা আগামী মঙ্গলবার, এশিয়া কাপে ভারতের ব্যাটন কার হাতে?

    Asia Cup 2025: দল ঘোষণা আগামী মঙ্গলবার, এশিয়া কাপে ভারতের ব্যাটন কার হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) শুভমন নন ভারতীয় দলের ব্যাটন থাকছে সূর্যকুমার যাদবের হাতে। এমনই খবর শোনা যাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ঘোষিত হতে পারে এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় দল। সূত্রের খবর, অজিত আগরকরের নেতৃত্বে নির্বাচক প্যানেল দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। এশিয়া কাপে ভারতের দলে তিন তারকা জায়গা না-ও পেতে পারেন। তাঁদের মধ্য নাম রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা রিঙ্কু সিং-এর।

    অধিনায়ক সূর্য

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১৯ অগাস্ট এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) দল নির্বাচন হবে। মুম্বইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কার্যালয়ে দল নির্বাচন করবে অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের। আপাতত বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন সূর্য। সেখান থেকে মুম্বইয়ে যাবেন তিনি।

    কে কোথায় খেলবে

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক বলেছেন, “১৯ অগাস্ট দল নির্বাচন হবে। তার পরে নির্বাচক প্রধান এক সাংবাদিক বৈঠক করবেন। সেখানে দল ঘোষণা করবেন তিনি।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, সূর্যকুমারই অধিনায়ক থাকছেন। টেস্ট দলের পর শুভমনকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করার জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। তবে সূর্যের উপরেই আস্থা রয়েছে গম্ভীর ও আগরকরের। ওই আধিকারিক বলেছেন, “ওপেনার হিসাবে সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মার উপরেই ভরসা করছেন নির্বাচকেরা। ফলে শুভমনকে কোথায় খেলানো হবে তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। যশস্বী জয়সওয়ালকে বলা হয়েছে, লাল বলের ক্রিকেটে মন দিতে। লোকেশ রাহুলেরও খেলার সম্ভাবনা কম। এই তিন তারকাকে এশিয়া কাপের দলে না-ও দেখা যেতে পারে।”

    সুযোগ কী পাবে রিঙ্কু

    বেশ কয়েক বছর আগে যশ দয়ালের ওভারে টানা পাঁচটি ছক্কা মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জিতিয়ে প্রচারের আলোয় চলে এসেছিলেন রিঙ্কু। তাঁকে ভারতীয় দলে একজন ফিনিশার হিসেবেই দেখা হত। তবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জন্য ভারতীয় দলে জায়গা না পাওয়ার পর থেকে রিঙ্কুর কেরিয়ারের গ্রাফ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। উল্লেখ্য, আলিগড়ের এই ক্রিকেটারকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের আইপিএলে মাত্র ১১৩ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিঙ্কু। এমনকী গত আইপিএলেও পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি। খেলেছিলেন মাত্র ১৩৪ বল। মজার বিষয় হল, ২০২৪ সালে গম্ভীরই ছিলেন কেকেআরের মেন্টর। সেই গম্ভীর এখন টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচ। সেই কারণে রিঙ্কুতে কতটা আস্থা রাখবেন গম্ভীর , তা প্রশ্নাতীত।

     

     

     

  • Mohan Bhagwat: ‘‘প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে’’, পথকুকুরের উপদ্রব থেকে রক্ষার উপায় বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে’’, পথকুকুরের উপদ্রব থেকে রক্ষার উপায় বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথকুকুরদের সরানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেশজুড়ে শোরগোল ফেলেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে রাজধানী দিল্লিতে পথকুকুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় বাতলালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর দাবি, পথকুকুরদের কোনও আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠালেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। তাঁর মতে, পথকুকুরদের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় কুকুরদের সংখ্যা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা।

    জন্মসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই সম্ভব

    সম্প্রতি ওড়িশার কটকে ৫০০-এর বেশি সন্ন্যাসীদের একটি সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে পথ-কুকুর সমস্যা প্রসঙ্গে কথা বলেন আরএসএস প্রধান। তিনি বলেন, “সমস্যার সমাধান কেবলমাত্র পথকুকুরের জন্মসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই সম্ভব। কুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে এই সংকট দূর করা যাবে না।” প্রসঙ্গত, দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে পথকুকুর সরানো সংক্রান্ত মামলায় রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ। দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে পথকুকুরদের সরিয়ে বাইরে শেল্টারে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার ওই রায় দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

    প্রকৃতি ও মানব সমাজের মধ্যে ভারসাম্য

    পশুচিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক ডঃ মোহন ভাগবত তাঁর বক্তব্যে ভারতীয় ঐতিহ্য ও প্রকৃতির সহাবস্থানের প্রথার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “গ্রামবাসীরা গরুর দুধ দোয়ানোর সময় কিছুটা দুধ বাছুরের জন্য রেখে দেন—এটাই প্রকৃতি ও মানব সমাজের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কৌশল।” তিনি আরও বলেন, ভারতের কৃষিভিত্তিক সংস্কৃতি প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। ইউরোপীয়দের আফ্রিকায় ভূমি শোষণের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেন, “ভারতের মাটি উর্বর কারণ ভারতীয় কৃষকরা মাটি থেকে অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করেন না। তাঁরা শুধু প্রয়োজনীয় শস্য উৎপাদনের জন্য মাটিকে ব্যবহার করেন, যেখানে ইউরোপীয়রা অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করে আফ্রিকার মাটিকে নষ্ট করেছে।” তিনি বলেন, ‘মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে। উন্নয়ন এবং পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করা উচিত।’ উল্লেখ্য, কুকুরদের আক্রমণে মানুষের মৃত্যু বাড়ছে। এই জন্য পথকুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে দায়ী করছেন অনেকেই। আবার, একাংশের মতে, পথকুকুরগুলিকে একেবারে সরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে সরকারি উদ্যোগে নির্বীজকরণ করে তাদের জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত।

LinkedIn
Share