Author: ishika-banerjee

  • Sonam Wangchuk: লাদাখে অশান্তির আবহ, সোনম ওয়াংচুকের এনজিও-র বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স বাতিল

    Sonam Wangchuk: লাদাখে অশান্তির আবহ, সোনম ওয়াংচুকের এনজিও-র বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখের অশান্তির (Ladakh violence) মধ্যেই বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র সরকার (Central Government)। রাজ্যের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক বিক্ষোভের একদিন পরই সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) এনজিওর বিদেশি অনুদান গ্রহণের অনুমতি বাতিল করল সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট (FCRA) লঙ্ঘনের অভিযোগে ওয়াংচুকের প্রতিষ্ঠানের বিদেশি অনুদান নেওয়ার লাইসেন্স খারিজ করা হয়েছে। অভিযোগ, নিয়ম না মেনে বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিল সংগঠনটি। গত ১০ সেপ্টেম্বর এনজিওকে চার দফা প্রশ্নসহ শো-কজ নোটিস দিয়েছিল সরকার। তার জবাবকে সন্তোষজনক বলে মনে করা হয়নি। তারপরই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

    ওয়াংচুকের সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সূত্র অনুযায়ী, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) গত দুই মাস ধরে সোনম ওয়াংচুকের সংস্থা হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ লার্নিং (HIAL)-এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাথমিক অনুসন্ধান (PE) বা নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়নি। সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট (FCRA) লঙ্ঘনের অভিযোগে এই তদন্ত করা হচ্ছে। অগাস্ট মাসে, লাদাখ প্রশাসন হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ লার্নিং (HIAL)-কে দেওয়া জমির বরাদ্দ বাতিল করেছিল। জমি বরাদ্দ বাতিল করার সময় লাদাখ প্রশাসন জানায় যে, যে উদ্দেশ্যে জমিটি মূলত বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে না এবং কোনো লিজ চুক্তিও করা হয়নি।

    বেআইনি অর্থনৈতিক লেনদেন

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, লাদাখে যে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ চলছে তা ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) উসকানিমূলক বক্তৃতার জেরেই হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় বিজেপি দফতর ও নির্বাচন দফতরে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চার জন, আহত হয়েছেন বহু। সরকারি সূত্রের খবর, ওয়াংচুকের এনজিওর কাজে বারবার আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে। বিদেশি অনুদান আইনের (FCRA) নিয়ম ভেঙে অর্থ লেনদেন হয়েছে বারবার। তদন্তে উঠে এসেছে, এনজিও সেকমল (SECMOL)-এর নামে খোলা এফসিআরএ অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে টাকা জমা পড়েছে। অভিযোগ, ৩.৩৫ লক্ষ টাকা নগদ জমা পড়েছিল ওই অ্যাকাউন্টে। ওয়াংচুকের সংগঠন জানিয়েছিল, এই অর্থ এসেছে একটি পুরনো বাস বিক্রি করে। বাসটি যেহেতু বিদেশি অনুদানে কেনা হয়েছিল, তাই বিক্রির টাকা ফের অ্যাকাউন্টে রাখা হয় বলে সাফাই দেয় এনজিও। কিন্তু সরকারের বক্তব্য, এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। নগদ অর্থ জমা দেওয়াই আইনের পরিপন্থী।

  • Weather Update: আসছে আগের চেয়ে শক্তিশালী নিম্নচাপ! পুজোর মূল চারদিনও কি ভাসবে কলকাতা?

    Weather Update: আসছে আগের চেয়ে শক্তিশালী নিম্নচাপ! পুজোর মূল চারদিনও কি ভাসবে কলকাতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে নতুন করে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। শুক্রবারের মধ্যেই তা ঘনীভূত হওয়ার কথা। উৎসবমুখর (Weather Update) মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন দুর্গাপুজোর আনন্দে কি তাহলে আঘাত হানবে অসুর বৃষ্টি? বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও ফের এক পশলা বৃষ্টিতে (Rain in Kolkata) ভিজেছে শহর। বৃষ্টি মাথায় করেই মণ্ডপমুখী হয়েছে পুজোপ্রেমীরা। শুক্রবারও হালকা বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ঝড়বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়াতেও। এই দুই জেলায় হলুদ সতর্কতা রয়েছে।

    উপকূলঘেঁষা জেলাগুলিতে দুর্যোগের সম্ভাবনা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর ও সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তা থেকে নতুন যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, সেটি আগেরটির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। শুধু নিম্নচাপ হিসেবে এটি থেমে থাকবে না, আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে। তার পর স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এর জেরে উপকূলবর্তী এলাকায় চলতে পারে দুর্যোগের তাণ্ডব। তবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে নয়, এই নিম্নচাপ দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। ফলে দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে ওই দুই রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলঘেঁষা জেলাগুলিতেও দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে ভারী বর্ষণ। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    পুজোয় চলবে মেঘ-বৃষ্টির খেলা

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ থেকে মেঘপুঞ্জ ঢুকে পড়ে বাংলার আকাশে। আর তাতেই বৃষ্টির সাক্ষী থাকে কলকাতা (Rain in Kolkata)। কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা। সন্ধ্যা ঘনাতেই প্রবল বৃষ্টি দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনা, বসিরহাট, হওড়া অঞ্চলে। ধীরে সেই মেঘপুঞ্জ ভাঙড়, নিউ টাউন, সল্টলেক হয়ে কলকাতার দিকেও অগ্রসর হয়। কলকাতাতেও নানা প্রান্তে ফের প্রবল বর্ষণের ছবি দেখা যায়। ২৬ তারিখ রাত থেকে ২৮ তারিখ সকাল পর্যন্ত নিম্নচাপের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে। আকাশ মূলত মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। সঙ্গে কিছুটা বৃষ্টি হবে। পূর্বাভাস বলছে, আপাতত সপ্তমী পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তার পর বৃষ্টি কমতে পারে। তাই পুজোর প্রথম দু-একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। শাস্ত্র অনুযায়ী এবার দেবীর আগমন গজে। এটি শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। গজে আগমন হলে বসুন্ধরা শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠে। বৃষ্টিও হয় অল্প-বিস্তর।

  • India vs Pakistan: এই প্রথম! এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান, ‘সেমিফাইনালে’ হার বাংলাদেশের

    India vs Pakistan: এই প্রথম! এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান, ‘সেমিফাইনালে’ হার বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) ইতিহাসে এই প্রথম। ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। চলতি আসরে ইতিমধ্যেই দুবার মুখোমুখি হয়েছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। দুই ম্যাচেই জয়ী হয়েছে ভারত। ফাইনালে তৃতীয়বার মুখোমুখি হলে কি পাকিস্তান প্রতিশোধ নিতে পারবে পাকিস্তান? নাকি ভারত টানা তিনবার জিতে এশিয়া সেরা হওয়ার মুকুট পরে নেবে? পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের মেজাজ বাইশ গজেও চোখে পড়েছে। বারবার বিতর্কের বাতাবারণ তৈরি হয়েছে ক্রিকেট ময়দানেও। এবার তারই চূড়ান্ত রূপ। ইতিমধ্যেই আসন্ন ফাইনাল ঘিরে ক্রিকেটবিশ্বে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।

    ফাইনালে বদলা নেওয়ার চেষ্টা

    গতকাল সুপার ফোর পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। সেই ম্যাচটি কার্যত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছিল দুই দলের জন্য। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে রবিবারের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে সলমন আলি আঘার দল। আর ম্যাচ জিতেই ভারতকে ‘সতর্কবাণী’ সলমনের। ম্যাচ শেষে সলমনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলার বিষয়ে। জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের দল এখন সত্যি স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছে। আমরা যে কাউকে হারাতে যথেষ্ট ভালো দল। আমরা উচ্ছ্বসিত এবং আমরা ফাইনালে তাদের হারাতে চাইব।” পাক তারকা খেলোয়াড় শাহিন শাহ আফ্রিদি (Shaheen Afridi) বলেই রেখেছেন, “আমরা এখানে এশিয়া কাপ জিততে এসেছি। ফাইনাল তো জিততেই হবে। আমরা যে কোনও দলের বিরুদ্ধে খেলতে তৈরি। আমরা ভারতকেও হারাতে পারি।”

    রবিবারের ম্যাচে অ্যাজভান্টেজ ভারত

    পাকিস্তান মুখে যাই বলুক রবিবারের ম্যাচে অ্যাজভান্টেজ ভারত (India vs Pakistan)। বৃহস্পতিবারও বিশেষ ভাল খেলা উপহার দেয়নি পাক ক্রিকেটাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। আরও এক বার দলের টপ ও মিডল অর্ডার ব্যর্থ। ম্যাচ জিতলেও দলের ব্যাটিং চিন্তায় রাখবে পাকিস্তানকে। তবে, ভালো বল করলেন পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিন ও হ্যারিস। দু’জনেই ৩টি করে উইকেট নিলেন। তাঁদের পেস ও বৈচিত্রের কাছে হার মানতে হল বাংলাদেশকে। দুই স্পিনার সাইম ও নওয়াজও ভালো বল করলেন। মাঝের ওভারে উইকেট তুললেন তাঁরা। একটা ভুলও করলেন বাংলাদেশের ব্যাটারেরা। প্রত্যেকে শুরু থেকে বড় শট খেলার চেষ্টা করলেন। সময় নিলেন না। তাড়াহুড়ো করে উইকেট দিয়ে এলেন। তার খেসারত দিতে হল তাঁদের। ১৩৬ রানও তাড়া করতে পারলেন না তাঁরা। টানা দু’দিন দুবাইয়ের মাঠে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শারীরিক ধকল স্পষ্ট হয়ে ওঠে ক্রিকেটারদের মধ্যে। এর সঙ্গে যোগ হয় দলের প্রধান ব্যাটার লিটন দাসের অনুপস্থিতি। ভারতের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও খেলতে পারেননি তিনি। ফলে ব্যাটিং অর্ডারে ভাটা পড়ে যায়। বল হাতে ভালো করেও জয়ের স্বাদ পেল না বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে (Bangladesh) ১১ রানে হারিয়ে আগামী রবিবার ভারতের (India) বিরুদ্ধে এশিয়ার সেরা (Asia Cup) হওয়ার লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান। তৃতীয় বার কি বদলা নিতে পারবে সলমন আঘারা? নাকি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন সূর্যকুমারেরা? ফের এক মহারণের অপেক্ষায় ক্রিকেট দুনিয়া।

  • Medical Seats in India: ডাক্তারি শিক্ষায় বড় পদক্ষেপ! ৫,০২৩ এমবিবিএস ও ৫,০০০ পিজি আসন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার

    Medical Seats in India: ডাক্তারি শিক্ষায় বড় পদক্ষেপ! ৫,০২৩ এমবিবিএস ও ৫,০০০ পিজি আসন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারিতে পড়ার আরও সুযোগ বাড়ছে। দেশে সুস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার ‘সেন্ট্রালি স্পনসরড স্কিম (CSS)’–এর তৃতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে শক্তিশালী ও উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫,০২৩টি নতুন এমবিবিএস (UG) ও ৫,০০০টি নতুন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (PG) মেডিক্যাল আসন সংযোজন করা হবে।

    কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগ

    এই প্রকল্পটির জন্য যৌথভাবে খরচ করবে রাজ্য ও কেন্দ্র। উচ্চশিক্ষায় ডাক্তারি পড়তে চায় বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রী। তাই আসন বাড়ানোর ভাবনা চিন্তা করেছে সরকার। প্রতিটি আসনের জন্য এখন ১.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় ধরা হয়েছে। পুরো প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১৫,০৩৪.৫০ কোটি টাকা (২০২৫-২৬ থেকে ২০২৮-২৯ সাল পর্যন্ত)। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেবে ১০,৩০৩.২০ কোটি টাকা এবং রাজ্যগুলো ৪,৭৩১.৩০ কোটি টাকা।

    কী কী সুবিধা মিলবে এই প্রকল্পে?

    দুর্গম ও গ্রামীণ অঞ্চলে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা বাড়বে।

    বর্তমান পরিকাঠামো ব্যবহার করে আরও বেশি যত্নশীল চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা যাবে।

    গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল স্পেশালিটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি মেটানো।

    স্বাস্থ্যসেবা খাতে ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক বণ্টন নিশ্চিত করা।

    প্রত্যাশিত প্রভাব

    দেশে মেডিক্যাল শিক্ষার সুযোগ আরও বাড়বে।

    আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন করা যাবে।

    পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ প্রস্তুত করা যাবে। এর ফলে ভারতে সাশ্রয়ী চিকিৎসার বিস্তার ঘটবে।

    চিকিৎসক, শিক্ষক, প্যারামেডিক্যাল, গবেষক, প্রশাসক ও সহায়ক কর্মীদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।

    স্বাস্থ্য খাতের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি ও সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি মেটানোই লক্ষ্য

    ভারতের ১৪০ কোটির জনসংখ্যার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা (Universal Health Coverage) নিশ্চিত করতে প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত ও দক্ষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বর্তমানে দেশে ৮০৮টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে, যেখানে ১,২৩,৭০০টি এমবিবিএস আসন রয়েছে। যা বিশ্বে সর্বাধিক। গত দশ বছরে ৬৯,৩৫২টি নতুন এমবিবিএস আসন যুক্ত হয়েছে (১২৭% বৃদ্ধি), পিজি আসন যুক্ত হয়েছে ৪৩,০৪১টি (১৪৩% বৃদ্ধি)। তবুও কিছু অঞ্চলে এখনও পরিকাঠামো এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। নতুন এই প্রকল্প সেই ঘাটতি পূরণ করে স্বাস্থ্য খাতকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে, বলে বিশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার।

    নতুন নতুন কলেজ তৈরি

    গত কয়েক বছরে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে কলেজের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তবে কেবল সংখ্যা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়, শিক্ষার মানও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল এখন কলেজগুলির পরিকাঠামো, অনুষদ এবং ক্লিনিক্যাল সুবিধেগুলি পরিদর্শন ও পর্যালোচনা করছে। দেশের বেশ কিছু রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যেমন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অরুণাচল প্রদেশ, দাদরা এবং নগর হাভেলি, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং তেলঙ্গানায় ২০১৩-১৪ সালে কোনও মেডিক্যাল কলেজ ছিল না। যাইহোক, এখন এই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতি জোড় দিচ্ছে। তাই ডাক্তারিতে আসন সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

  • Zoho India: মাইক্রোসফট বা গুগল নয়, অশ্বিনী বৈষ্ণব শুরু করলেন ভারতীয় অ্যাপ জোহো-র ব্যবহার

    Zoho India: মাইক্রোসফট বা গুগল নয়, অশ্বিনী বৈষ্ণব শুরু করলেন ভারতীয় অ্যাপ জোহো-র ব্যবহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। জনপ্রিয় বিদেশি সফটওয়্যার যেমন মাইক্রোসফট অফিস ও গুগল ওয়ার্কস্পেস ছেড়ে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জোহো সফটওয়্যার (Zoho India) ব্যবহার শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার, ক্যাবিনেট ব্রিফিং করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর তখনই তৈরি হল ইতিহাস। সেই ব্রিফিংয়ে তিনি ব্যবহার করলেন জোহো। এবং সেই ব্রিফিংয়ের শুরুতেই তিনি ঘোষণা করলেন, এদিনের যে পিপিটি তৈরি করা হয়েছে, সেটা জোহোতেই তৈরি করা হয়েছে।

    জোহো-তে স্থানান্তরের ঘোষণা

    গত ২২ সেপ্টেম্বর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) ঘোষণা করেন যে ডকুমেন্ট, স্প্রেড শিট ও প্রেজেন্টেশনের জন্য তিনি এবার থেকে ব্যবহার করবেন জোহো। তিনি লেখেন, ‘‘আমি এবার জোহোতে চলে যাচ্ছি। আমাদের নিজেদের প্ল্যাটফর্ম।’’ অর্থাৎ তিনি সেদিনই জানিয়ে দেন অফিসের যে একাধিক কাজের জন্য এবার থেকে মাইক্রসফট অফিস বা গুগলের ডকস তিনি আর ব্যবহার করবেন না। এটি ছিল কার্যত এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার ঘোষণা।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রেরণা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের জনগণকে লেখা একটি চিঠিতে উৎসবের মরসুমে মেড-ইন-ইন্ডিয়া পণ্যগুলিকে সমর্থন করার জন্য আহ্বান জানানোর ঠিক পরেই এই আবেদন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই পদক্ষেপকে ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’-এর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, যে স্বদেশি পণ্য কেনা কেবল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে না বরং স্থানীয় কারিগর, শ্রমিক এবং শিল্পকেও সহায়তা করে। তাঁর কথায়, ‘‘যখনই আপনি আমাদের কারিগর, শ্রমিক এবং শিল্পের তৈরি পণ্য কিনবেন, তখন আপনি পরিবারগুলিকে তাদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করছেন এবং আমাদের যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছেন।’’

    জোহো আসলে কী?

    ১৯৯৬ সালে শ্রীধর ভেমবু ও টনি টমাস জোহো (Zoho India) তৈরি করেন। এই সংস্থার সদর দফতর চেন্নাইয়ে। জোহো একটি সফটওয়্যার কোম্পানি, যা ব্যবসায়ী ও পেশাদারদের জন্য ৫৫টির বেশি ক্লাউড-ভিত্তিক টুল সরবরাহ করে। ইমেল, অ্যাকাউন্টিং, এইচআর বা প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টের মতো সব ধরনের কাজের জন্য সফটওয়্যার রয়েছে জোহোর। আমেরিকায় এই সংস্থা নথিবদ্ধ হলেও সংস্থার বেশিরভাগ কাজই হয় তামিলনাড়ু থেকে। ১৫০টিরও বেশি দেশে জোহোর ১০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে, এই সংস্থা যে কেবলমাত্র স্বনির্ভর ভারতের প্রতীক, এমনটা নয়। এই সংস্থা প্রমাণ করে যে ভারতীয় সংস্থাগুলোও পারে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে পারবে।

    স্বদেশির টান

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশিয়ানায় জোর দেওয়ার এই ডাক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নতুন করব্যবস্থাকে ‘জনবান্ধব সংস্কার’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উৎসবের মরসুমে আসুন আমরা সকলে ঠিক করি, দেশীয় পণ্যকেই সমর্থন করব। এর অর্থ হচ্ছে, যে কোনও ভারতীয় শিল্পী, শ্রমিক বা কারখানার ঘাম-রক্তে তৈরি সামগ্রী কেনা। সেটা যে ব্র্যান্ড বা সংস্থাই তৈরি করুক না কেন।’ এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকানদারদেরও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে বলি, যা কিনছি তা স্বদেশি। আমরা গর্বের সঙ্গে বলি, যা বিক্রি করছি তা স্বদেশি।’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অশ্বিনী বৈষ্ণব দেশের মানুষের কাছে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের অনুরোধ জানালেন। তিনি নিজেও স্বদেশি প্রযুক্তিকে আপন করে নিয়েছেন।ডেটা প্রাইভেসি ও মূল্য?

    ডেটা প্রাইভেসিতে জোর

    জোহোর (Zoho India) অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ব্যবহারকারীর ডেটা প্রাইভেসিতে জোর দেওয়া। তারা বিজ্ঞাপন থেকে রাজস্ব উপার্জন করে না, এবং ব্যবহারকারীর তথ্য গোপন রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বিভিন্ন দেশের আইন মেনে ডেটা হোস্ট করা হয়। এছাড়াও, জোহো ওয়ার্ক স্পেসের মূল্য সাধারণত মাইক্রোসফট ও গুগলের তুলনায় অনেকটাই কম, যা বিশেষ করে ভারতের ছোট ও মাঝারি ব্যবসার মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

  • BCCI Complaint To ICC: মাঠে ‘ভারতবিদ্বেষী’ সেলিব্রেশন, ফারহান-রউফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ বিসিসিআই-এর

    BCCI Complaint To ICC: মাঠে ‘ভারতবিদ্বেষী’ সেলিব্রেশন, ফারহান-রউফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ বিসিসিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ‘ভারতবিদ্বেষী’ সেলিব্রেশন নিয়ে আইসিসির (BCCI Complaint To ICC) কাছে অভিযোগ দায়ের করল বিসিসিআই। সূত্রের খবর, পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান এবং পাক পেসার হ্যারিস রউফের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে সরকারিভাবে ভারতের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে পিসিবি।

    আইসিসি’র দ্বারস্থ হল দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড

    আগামী রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে আবারও ভারত-পাক লড়াই হলে অবাকের কিছু থাকবে না৷ কিন্তু তার আগে মাঠের বাইরের লড়াই থামছে না কোনওভাবেই৷ গ্রুপ পর্বের ম্য়াচে হ্যান্ডশেক-বিতর্কের রেশ যেতে না-যেতেই সুপার-ফোরের ম্য়াচে পাক ক্রিকেটারদের উস্কানিমূলক অভিব্যক্তি নিয়ে চর্চা চলছেই৷ এর মধ্যেই আইসিসি’র দ্বারস্থ হল দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড৷ গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে দুরমুশ হয়েছিল পাকিস্তান। সূর্যকুমার যাদব এবং ভারতীয় ক্রিকেটাররা কেন হাত মেলাননি, এই নিয়ে কাঁদুনি গাইছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সুপার ফোরে ভারতের বিরুদ্ধে জোড়া জীবনদান পেয়ে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। এরপরই দেখা যায় ব্যাট তুলে একে-৪৭ ভঙ্গিতে সেলিব্রেশন করছেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি পেসারও নানা অঙ্গভঙ্গি করেন। শুভমন গিল ও অভিষেক শর্মার সঙ্গে বাগবিতণ্ডাতেও দেখা যায়। এ বার পদক্ষেপ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।

    দ্রুত শুনানি করবে আইসিসি

    পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান এবং পেসার হ্যারিস রউফের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালো ভারতীয় বোর্ড। কোনও মৌখিক নয়, সরকারি ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার কাছে পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও পেসার হ্যারিস রউফের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল বিসিসিআই। আইসিসি দ্রুতই এর শুনানি করবে বলে খবর। আইসিসির দুই ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন ও অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট এই অভিযোগের বিষয়টি দেখবেন।

    পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের মৃত্যুকে বিদ্রুপ

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উন্মাদনা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে তা মাত্রা ছাড়ালে বিরক্তি হওয়ারই কথা। সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের আচরণ এমনই ছিল। সাহিবজাদা ফারহানের গান সেলিব্রেশন পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিরীহ পর্যটকদের মৃত্যুকে বিদ্রুপ করা। যা একেবারেই ভালো ভাবে নেয়নি ভারতীয় বোর্ড। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা এই হামলা চালিয়েছিল। সেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের এমন ঘৃণ্য আচরণ। তেমনই ফিল্ডিংয়ের সময় দেখা যায়, ভারতীয় সমর্থকদের দিকে ফাইটার জেটের মতো অঙ্গভঙ্গি করেন পাক পেসার হ্যারিস রউফ। তিনি ইশারা করেন, উড়তে উড়তে আচমকাই ভেঙে পড়ছে যুদ্ধবিমান। তারপর হাতের ছয় আঙুল দেখান। আসলে অপারেশন সিঁদুরের সময় ছ’টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল বলে দাবি করা হয় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কোনও প্রমাণও মেলেনি। নেটিজেনদের মতে, এই সেলিব্রেশন ‘ভারতবিদ্বেষী’।

    সূর্যকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ভারতীয় ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবও সমস্যায় পড়তে পারেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। আইসিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পাকিস্তানের অভিযোগ গ্রহণ করেছে। শুনানির জন্যও ডাকা হতে পারে সূর্যকুমার যাদবকে। রিপোর্টে প্রকাশ, এই নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে একটি ইমেলও করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পরে সূর্যকুমার যাদব বলেছিলেন, ‘পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করছি এই জয়।’ এখানেই শেষ নয়। ম্যাচ শেষে প্রেস মিটে হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে তিনি জানান, বিসিসিআই এবং ভারত সরকারের নীতি একই ছিল। শুধুমাত্র ম্যাচ খেলতেই এসেছিল ভারতীয় দল। সৌজন্য না দেখানো নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। এই ঘটনা মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তান। খেলার মাঠে রাজনীতিকে টেনে আনা ও আইসিসি-র আচরণবিধি ভঙ্গের ভিত্তিতে সূর্যকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তারা।

    ফাইনালে জিতলেই কেল্লা ফতে

    এ বারের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের আগে থেকেই ক্রিকেটের বাইরের বিষয়ে আলোচনা চলছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা উচিত কি না তা নিয়ে তরজা চলেছে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জয়ের পর ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেন। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই কথা শোনা যায় ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরের মুখেও। সুপার ফোরের ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। অর্ধশতরান করার পর বন্দুক চালানোর কায়দায় উল্লাস করেন ফারহান। অনেকের অভিযোগ, ভারতীয় ডাগ আউটের দিকে তাকিয়ে একে-৪৭ চালানোর কায়দায় উল্লাস করেছেন তিনি। সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন রউফ। এই গরম গরম আবহেই ফের রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান। কুড়ির ফর্ম্যাটে ১৫ ম্য়াচের মধ্যে ১১টি জিতেছে ভারত ও পাকিস্তান জিতেছে ৩ ম্য়াচে। তাই দেবীর বোধনের দিনে ফের একবার বাইশ গজে পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই কেল্লা ফতে।

  • India vs Bangladesh: এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারত, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা চলবে জানালেন সূর্য

    India vs Bangladesh: এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারত, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা চলবে জানালেন সূর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) ফাইনালে উঠল ভারত (India vs Bangladesh)। তর্জন-গর্জনই সার হল। টিম ইন্ডিয়ার সামনে কার্যত দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। বল হাতে ভারতকে মিডল অর্ডারে একটু বেগ দিলেও সেই অর্থে খেলা ছিল একপেশে। যদিও ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমারের দাবি, ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। তাই টস জিতলেও আগে ব্যাট করার কথাই ভেবেছিল ভারতীয় শিবির। বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার পর দলের ব্যাটিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ভারত অধিনায়ক।

    অভিষেকের মারকাটারি ইনিংস

    এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ১৬৯ রানের লক্ষ্য রাখে সূর্যকুমারের ভারত। জবাবে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বুধবার টসে জিতে ভারতকে (India vs Bangladesh) ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। জাকের আলির এই সিদ্ধান্ত কার্যত বুমেরাংয়ে পরিণত হয়। কারণটা অবশ্য অভিষেক শর্মা। তাঁর মারমুখী মেজাজের সামনে রীতিমতো পরিত্রাহি অবস্থা হয় বাংলাদেশি বোলারদের। বাঁ-হাতি ওপেনার রান আউট হন ৩৭ বলে ৭৫ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে। তিনি ফিরতেই ভারতের রানের গতিও কমে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। ব্যর্থ হন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (৫), তিলক বর্মারা (৫)। শেষের দিকে হার্দিক পাণ্ডিয়া (৩৮) এবং অক্ষর প্যাটেলের (১০) সৌজন্যে ১৬৮ রানে তোলে ভারত। ভারতের দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। যশপ্রীত বুমরা ফেরান তানজিদ হাসানকে (১)। প্রথম দিকে বুমরাকে সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদবের শিকার ৩ উইকেট। বুমরা এবং বরুণ চক্রবর্তী পান ২টি উইকেট। অক্ষর প্যাটেল এবং তিলক বর্মা নেন ১ উইকেট।

    ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা

    ম্যাচের পর সূর্যকুমার বললেন, ‘‘প্রতিযোগিতায় আমরা প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ বেশি পাইনি। তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমরা ব্যাটিং দেখে নিতে চেয়েছিলাম। সুপার ফোরে আমাদের ব্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কতটা কী করতে পারছি, সেটা বুঝে নেওয়ার দরকার ছিল। এখানকার পিচ পরের দিকে একটু মন্থর হয়ে যাচ্ছে। এখানে শিশিরের সমস্যা নেই। তাই পরে বল করতে অসুবিধা হচ্ছে না। সব মিলিয়েই আমরা ২০ ওভার ব্যাট করার কথা ভেবেছিলাম।’’ শিবম দুবেকে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে পাঠানো পরিকল্পনার অংশ বলে জানিয়েছেন সূর্যকুমার। তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ভালো বাঁহাতি স্পিনার এবং লেগ স্পিনার রয়েছে। শিবম স্পিন ভালো খেলে। ওদের সামলানোর জন্য শিবমকেই সঠিক ব্যক্তি মনে করেছিলাম আমরা। সেই পরিকল্পনা থেকেই ওকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম, সাত থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ব্যাট করতে নামুক শিবম। ঠিক সেটাই হয়েছে। একদম আমাদের পরিকল্পনা মতো। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শিবম রান পেল না ঠিকই। তবে আমরা পরের ম্যাচেও চেষ্টা করব।’’

    ফাইনালে ভারতের সামনে কে

    সুপার ফোর পর্বে ভারতের পরের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। শুক্রবারের সেই ম্যাচ এখন নিয়মরক্ষার। কারণ ভারত ফাইনালে (Asia Cup 2025) উঠে গিয়েছে। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের ফলে শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এখন বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচ কার্যত সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে যে জিতবে, রবিবার ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।

  • Jaish-e-Mohammed: নাম বদল জইশ-ই-মহম্মদের! নয়া পরিচয়ের নেপথ্যে কারণগুলি জানেন?

    Jaish-e-Mohammed: নাম বদল জইশ-ই-মহম্মদের! নয়া পরিচয়ের নেপথ্যে কারণগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে নামই বদলে ফেলল পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নাম হচ্ছে আল-মুরাবিতুন। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘ইসলামের রক্ষক’। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের ভাই ইউসুফ আজহারের ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ উন্মোচনের সময় থেকে সংগঠনের নতুন নামটি ব্যবহার করা হবে। একে তো আন্তর্জাতিক নজরদারি। তার উপর নিষেধাজ্ঞা। জোড়া ধাক্কায় অর্থ সংগ্রহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই নাম বদল জইশের।

    কেন নাম পরিবর্তন

    সংগঠনের নয়া নামকরণ একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা, ২৬/১১ মুম্বই হামলা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উরি ও পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর উপর হামলার জন্য দায়ী জঙ্গি গোষ্ঠী ‘জইশ-ই-মহম্মদ’। গোটা বিশ্বেই এই সংগঠন নিষিদ্ধ। ফলে অতি পরিচিত জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) নামে তহবিল সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ছে। পাকিস্তানও মুখরক্ষায় প্রকাশ্য়ে এই সংগঠনকে সহায়তা করতে পারে না। এইসব অসুবিধা দূর করতেই জইশের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তহবিল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) জুলাইয়ের এক প্রতিবেদনে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মুখোমুখি তহবিল চ্যালেঞ্জের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এফএটিএফ জানিয়েছে যে, জইশ এখন ডিজিটাল পেমেন্ট, অর্থাৎ ই-ওয়ালেট এবং ইউপিআই ট্রান্সফার ব্যবহার করে নিজেদের পুনর্গঠনে অর্থ ব্যবহার করছে।

    কবে থেকে পরিবর্তিত নাম ব্যবহার

    আগামী সপ্তাহে মাসুদ আজহারের নিহত ভাই ইউসুফ আজহারের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেও জইশের (Jaish-e-Mohammed) বদলে উদ্যোক্তা হিসেবে আল-মুরাবিতুন নামটির ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রাণ কেড়েছিল মাসুদ আজহারের ভাইয়ের। আগামী সপ্তাহে পেশোয়ারের মারকাজ শাহিদ মুকসুদাবাদে ইউসুফ আজহারের এই স্মরণসভা হবে। সূত্রের খবর, সেখানে জইশের শীর্ষ কমান্ডার ও নেতারা উপস্থিত থাকবে। সেখানে নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। তবে শুধুমাত্র পাকিস্তানেই এই নয়া নামে কাজ করবে তারা। এফএটিএফ অনুসারে, এখন পর্যন্ত পাঁচটি ই-ওয়ালেট শনাক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিটিরই জঙ্গি গোষ্ঠী এবং প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ওই সংগঠনের লক্ষ্য হল প্রায় চার বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা সংগ্রহ করা- যাতে ৩০০ টিরও বেশি ‘মারকাজ’ অর্থাৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা কেন্দ্র স্থাপন করা যায়। আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গিগোষ্ঠীদের মদতদাতা পাক সরকারকে বাঁচানোও নাম পরিবর্তনের আর একটি কারণ বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

    পাকিস্তানকে বাঁচাতেই নাম বদল

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি সরিয়ে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে নিয়ে যাচ্ছে বলে ভারতের গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ফলে নতুন করে ঘাঁটি তৈরির ক্ষেত্রে ওইসব এলাকাকে আর নিরাপদ বলে মনে করছে না জঙ্গি সংগঠনগুলি। সেই কারণেই কৌশলগত ও অবস্থানগতভাবে নিরাপদ খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশকে তারা বেছে নিয়েছে। আর এই ডেরা স্থানান্তরের কাজে পাকিস্তানের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলেও ভারতের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সূত্রের খবর, খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের মানসেহরা জেলায় অবস্থিত গারহি হাবিবুল্লা শহরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন জঙ্গি নিয়োগের লক্ষ্যে একটি শিবির করে জয়েশ। সেই শিবিরে এসেছিল মাসুদ আজহার ঘনিষ্ঠ শীর্ষ কমান্ডার মৌলানা মুফতি মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি। জইশের সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গেই নতুন নিয়োগের সেই শিবির পাহারা দিতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তান পুলিশকেও।

  • India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্রে পর পর সাফল্যের পর এবার ক্রিকেট মাঠেও পাকিস্তানকে (India vs Pakistan) কার্যত ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর, এশিয়া কাপ ২০২৫-এ পাকিস্তানকে টানা দু’বার হারিয়ে ক্রিকেট যুদ্ধেও জয়ী ভারত। তবে শুধু ব্যাট ও বলেই নয়, কথিত ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ যুদ্ধ’-এও ভারত দিয়েছে চোখে চোখ রেখে জবাব। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় পেসার অর্শদীপ সিং পাকিস্তানের হারিস রউফকে পাল্টা এক ইঙ্গিত দেন। এই ‘জবাব’-কে ভক্তরা বলছেন পাকিস্তানের আগ্রাসী বার্তার যোগ্য প্রত্যুত্তর।

    পাকিস্তানের আগ্রাসী ভঙ্গি ও ভারতের শান্ত-তীক্ষ্ণ জবাব

    ২১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সুপার ফোর ম্যাচে পাক পেসার হারিস রউফ দর্শকদের ভিড় থেকে “কোহলি-কোহলি” ধ্বনি শুনে মেজাজ হারিয়ে ‘ফাইটার জেট ক্র্যাশ’-এর ভঙ্গিতে ভারতের দিকে কটাক্ষ ছোড়েন। তিনি হাত দিয়ে ‘৬-০’ দেখিয়ে দাবি করেন মে মাসের চারদিনের সংঘর্ষে পাকিস্তান ৬টি ভারতীয় জেট গুলি করে নামিয়েছে। যদিও বাস্তবে তা শুধুই প্রোপাগান্ডা। অন্যদিকে, পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহান ব্যাটকে ‘একে-৪৭’-এর মতো তুলে ধরে ভারতীয় ডাগআউটের দিকে ‘গোলাগুলি’র ভঙ্গি করেন। এই কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের মৌলবাদী মানসিকতার প্রতিচ্ছবি বলেই অনেকের অভিমত। ভারতের ব্যাটসম্যান শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা জবাব দেন ব্যাটে-বলে। ১৭২ রানের টার্গেট ৬ উইকেট হাতে রেখেই তুলে নেয় ভারত। ম্যাচ শেষে অর্শদীপ সিংয়ের ‘বিমান ভেঙে পড়া’র ইঙ্গিত মুহূর্তে ভাইরাল হয়। পাকিস্তানের আগ্রাসনকে ব্যঙ্গ করে দেওয়া এই সাইনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ড করে।

    সীমান্তে পাকিস্তানের বিপর্যয়

    ৭ মে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনার সম্মিলিত অভিযানে পাকিস্তান এবং পিওকে-র (India vs Pakistan)  ন’টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন-এর মতো সংগঠনের শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। সরাসরি আক্রমণের পাশাপাশি ভারত সুনির্দিষ্ট উপগ্রহ চিত্র ও তথ্য দিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যে প্রচার ভেঙে দেয়। লস্কর এবং জইশের শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেরাই তাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে, যা ভারতের তথ্যভিত্তিক কূটনৈতিক জয়ের অন্যতম নিদর্শন। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (S-400 ও আকাশতীর সিস্টেম) কারণে পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক ড্রোন ও মিসাইল হামলা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

    ‘ভারতের সাংকেতিক ভাষা’ বনাম ‘পাকিস্তানের প্ররোচনা’

    পাকিস্তানের (India vs Pakistan) বোলাররা যেখানে স্লেজিং, অঙ্গভঙ্গি ও মৌলবাদী ভঙ্গিমায় মাঠকে উত্তপ্ত করতে চেয়েছিল, ভারতীয় দল তাদের খেলায় এবং সূক্ষ্ম বার্তায় তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়। অর্শদীপের ছোট্ট কিন্তু মারাত্মক ‘সংকেত’-ই বুঝিয়ে দিয়েছে— ভারত এখন শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, প্রতিরোধেও সিদ্ধহস্ত। যুদ্ধ হোক বা খেলা— ভারত জানে কখন, কোথায়, কীভাবে জবাব দিতে হয়। অপারেশন সিঁদুর থেকে দুবাইয়ের ক্রিকেট মাঠ সর্বত্রই ‘চক দে ইন্ডিয়া’

    এশিয়া কাপ ফাইনাল, ভারত বনাম পাকিস্তান!

    চলতি এশিয়া কাপ ফাইনালে পৌঁছনোর দৌড়ে এখন মূলত রয়েছে তিনটি দল – ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান। পাকিস্তানের (India vs Pakistan) কাছে পরাজয়ের পরে শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছে। সুপার ফোরে ওঠা বাকি সবকটি দল ১টি করে ম্যাচ জিতে ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার খাতায় এখনও শূন্য। তবে তাদের হাতে একটি ম্যাচ রয়েছে। এদিকে আজ, বুধবার ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ হবে। এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবে। সেই অর্থে, আজকের ম্যাচটি ভারত বা বাংলাদেশের জন্য নকআউট না হলেও ‘সেমিফাইনাল’। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে তাদের যাত্রা শুরু করেছে। ভারত পাকিস্তানকে পরাজিত করে ২ পয়েন্ট অর্জন করেছে, সঙ্গে ভারতের এখন নেট রান রেট +০.৬৮৯। আজ সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ভারত। বাংলাদেশেরও এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কারে হারিয়েছিল। এদিকে সলমন আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট দল দুটি ম্যাচ খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে। এদিকে সুপার ফোর পর্বে নিজেদের পরবর্তী এবং শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালেই পাকিস্তানও উঠে যাবে ফাইনালে। তাই বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই রবিবার, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এশিয়া কাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।

     

     

     

     

     

  • BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দিওয়ালি, কালীপুজো উৎসবের মরসুমেও সতর্ক ভারতীয় সেনা। আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর নতুন ড্রোন ওয়ারফেয়ার স্কুল (newly established Drone Warfare School) থেকে প্রথম ব্যাচের ৪৭ জন জওয়ান ড্রোন কমান্ডো হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করে পাস আউট করবেন। মধ্যপ্রদেশের টেকানপুরে (Tekanpur, Madyapradesh) এখন তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (Border Security Force) ৪৭ জন কমান্ডো অফিসারের প্রশিক্ষণ চলছে সেখানে। এই প্রশিক্ষণ অবশ্য ভিন্ন ধরনের। কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ড্রোন পরিচালনার কৌশল শেখানো হচ্ছে তাঁদের (Drone Commandos)।

    ড্রোন নিয়েই লড়বেন কমান্ডোরা

    বিএসএফের ওই অ্যাকাডেমির অতিরিক্ত ডিজি শামশের সিং জানিয়েছেন, শত্রুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জওয়ান, অফিসারেরা রাইফেল, লাইট মেশিনগান ব্যবহার করে থাকেন। এবার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ৪৭ কমান্ডো অফসার লড়াই করবেন ড্রোন নিয়ে। তাঁদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে। লড়াইয়ের সময় ড্রোনকে তারা শত্রুর বিরুদ্ধে কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ব্যবহার করবেন। তারই প্রশিক্ষণ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিএসএফ সূত্রে বলা হচ্ছে, ড্রোন কমান্ডার নিয়ে ভাবনাচিন্তার শুরু অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর। ওই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা হল, যুদ্ধের কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। তাই বিমান বাহিনীর মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও ড্রোন লড়াইয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ট্রেনিং সেন্টারে যে ৪৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দুর্গাপুজো বা নবরাত্রির মধ্যে সীমান্তে তাঁদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নবরাত্রির (Navaratri) একদিন সীমান্তে সেনা, সীমান্ত রক্ষীদের শিবিরে কাটান। বিএসএফের যে কোনও সীমান্ত পোস্টে তিনি ড্রোন কমান্ডোদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন।

    ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক

    ইতিমধ্যেই জওয়ান এবং আধিকারিকদের জন্য ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে বিএসএফ ৷ তার ফলে এখন থেকে বাহিনীর ২ লাখ ৭০ হাজার সদস্যকেই ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে হবে ৷ পাশাপাশি শত্রুদের দিক থেকে আসা ড্রোন কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সেটাও শিখতে হবে তাঁদের ৷ অপারেশন সিঁদুরের পর বাহিনীর কর্তাদের মনে হয়েছে আধুনিক পৃথিবীতে সামরিক সংঘাতের গতি-প্রকৃতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে বিএসএফের জওয়ান থেকে শুরু করে সকলেরই ড্রোন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা আবশ্যক ৷ আর তাই মধ্যপ্রদেশে বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেখানে ড্রোন সংক্রান্ত কৌশল শেখাতে একটি বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে একমাত্র বিএসএফেরই নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে ৷

    ড্রোন প্রশিক্ষণের নানা পদ্ধতি

    নতুন ড্রোন যুদ্ধবিদ্যা স্কুলে জওয়ানদের ড্রোন ওড়ানো, নজরদারি, আক্রমণ এবং শত্রুপক্ষের ড্রোন প্রতিরোধের কৌশল শেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে সিনিয়র অফিসারদের জন্যও ড্রোন যুদ্ধকৌশল সংক্রান্ত একটি বিশেষ কোর্স চালু করা হবে। শামশের সিং বলেন, “অপারেশন সিন্দুর এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে যুদ্ধ শুধু ট্যাঙ্ক আর রাইফেলের নয়, এখন এটি আকাশপথেও হচ্ছে। আমাদের জওয়ানরা যেমন মাত্র ১৫ সেকেন্ডে একটি ইনসাস রাইফেল খুলে আবার জোড়ার দক্ষতা রাখে, তেমনি আমরা চাই ড্রোনকেও তারা যেন তাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।” এই স্কুলে দুটি মূল প্রোগ্রাম চালু হয়েছে— ‘ড্রোন কমান্ডো’ (জওয়ানদের জন্য) এবং ‘ড্রোন ওয়ারিয়র’ (অফিসারদের জন্য)। স্কুলটি তিনটি শাখায় বিভক্ত— ফ্লাইং অ্যান্ড পাইলটিং, ট্যাকটিক্স (প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ কৌশল) এবং গবেষণা ও উন্নয়ন। প্রশিক্ষণের বিষয়ে স্কুলের ট্রেনিং প্রধান ব্রিগেডিয়ার রুপিন্দর সিং জানান, কোর্সে ফ্লাইং, কারিগরি এবং কৌশলগত বিভিন্ন মডিউল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএসএফ অ্যাকাডেমির আইজি উমেদ সিং জানান, সব প্রশিক্ষণ কোর্সেই এখন থেকে ড্রোন সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

LinkedIn
Share