Author: ishika-banerjee

  • India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India-Pakistan War) কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) কোনও পাইলট আটক নেই। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি একটি গুজব, যা সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। একথা স্পষ্ট করে জানালেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে পাকিস্তানিরা দাবি করছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং (Shivani Singh) পাক সেনার হাতে বন্দি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, আগেই পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানায়, খবরটি ভুয়ো। রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনার কড়া বার্তার পর অবশেষে সত্যি স্বীকার করল পাকিস্তান।

    স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (ISPR) আধিকারিক আহমেদ শরিফ চৌধুরি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের হেফাজতে কোনও ভারতীয় পাইলট নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়ো খবর এবং প্রোপাগান্ডা।” এর আগে, সামাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং পাকিস্তানে ধরা পড়েছেন। তবে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) দ্রুত এই গুজব খণ্ডন করে জানায়, “ভারতীয় মহিলা পাইলট আটক হয়নি। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। যে ছবিটি দেখানো হচ্ছে, সেটি আসলে ২০২১ সালে পাঞ্জাবের মোগায় একটি মিগ-২১ ভেঙে পড়ার সময়ের ছবি।”

    আগেই বলেছিল ভারত

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর ইসলামাবাদ (Islamabad) এই ধরনের ভুয়ো প্রচারের আশ্রয় নেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল একে ভারতী রবিবার জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের সব লক্ষ্যে পৌঁছেছি এবং সব ভারতীয় পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেগুলিকে প্রতিহত করা হয়েছে। কয়েকটি শত্রু বিমান ভূপাতিত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো আগেই জানিয়েছিল অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে অন্তত ৪০টি ভুয়ে খবর ছড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) ভারতীয়দের (India-Pakistan War) বারবার যাচাই না করে গুজব বা ভুয়ো তথ্য শেয়ার করতে নিষেধ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রোপাগান্ডা চালানো নতুন কিছু নয়, তবে পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্রের এই স্বীকারোক্তি নিশ্চিত করেছে যে, ভারতীয় পাইলট আটক করার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।

  • India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাক জঙ্গি দমনে করা হলেও, তার পাল্টা বারবার জবাব দিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। ভারত (India-Pakistan War) তাদের সেনা বা নাগরিকের কোনও ক্ষতি করতে চায়নি। চেয়েছে সীমান্তে বসে থাকা জঙ্গিদের শেষ করতে। যা করেছেও। কিন্তু তার পাল্টা ভারতে হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। যার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটি বাধ্য হয়েই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিল ভারত। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্‌স’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, বায়ুসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্‌স’ এয়ার মার্শাল একে ভারতী এবং নৌসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ নেভাল অপারেশন্‌স’ ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ গত কয়েক দিনের সামরিক অভিযানের খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরেন। এদিন বৈঠক শুরু হয় শিব তাণ্ডব স্তোত্র দিয়ে।

    বেয়াদপি করলে বরদাস্ত নয়

    সংঘর্ষ বিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণার পর বিশ্বাসঘাতকতা করে বারবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। রবিবার সেনার সাংবাদিক বৈঠকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়ে জানানো হল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর কোনওরকম ভারত-পাক সমঝোতা ভঙ্গ হলে ভারতও চুপ থাকবে না। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানি সেনা বা সীমান্তের ও পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতের কোনও লড়াই নেই। অপারেশন সিঁদুর তা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে। ভারত আর সন্ত্রাসবাদকে কোনও ভাবে বরদাস্ত করবে না। পাকিস্তান যে জঙ্গিদের মদত দেয় সেটা জলের মতো পরিষ্কার। এর পর পাকিস্তান কোনও রকমের বেয়াদপি করলে ভারত কোনও রকমে রেয়াত করবে না। তিন বাহিনীর কর্তারা জানান, এই সংঘাতের আবহে পাক সেনার ৩৫-৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি ইসলামাবাদের কাছে চাকলালা ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করাচিতেও যে কোনও মুহূর্তে আঘাত করার মতো কৌশলগত অবস্থানে ছিল ভারতীয় নৌসেনা। তবে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির জন্য আপাতত চুপ রয়েছে ভারত।

    ১০০-র বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা (India-Pakistan War) লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং মন্দির, গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত করার চেষ্টা করে। ভারতের জম্মু, উধমপুর, ভাটিন্ডা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। হামলার কড়া প্রত্যাঘাত করেছে ভারতও। পাকিস্তান ও পিওকের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাকলালা, রফিকি-সহ বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে। ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজহার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্‌সর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে। ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে জঙ্গি দমনের সাফল্য এসেছে কী ভাবে তার ব্যাখ্যা দেয় ভারতীয় সেনা।

    পাক হামলার প্রত্যাঘাত করা হয়েছে মাত্র

    তিন বাহিনীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ৮-৯ মে’র রাতে পাকিস্তান বেশ কিছু ড্রোন এবং বিমান ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করে। সেগুলির লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি। তার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়েছে। শ্রীনগর থেকে নালিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ড্রোন, পাইলটহীন বিমান দিয়ে হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সেগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি। এ ছাড়া পাকিস্তানি কিছু যুদ্ধবিমানকেও গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে সেগুলি ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করার আগেই সেগুলিকে আটকে দেওয়া গিয়েছে। ভারত স্পষ্ট করে দেয়, পাকিস্তানের এই হামলার কারণেই প্রত্যাঘাত করতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে।

    সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল

    পাক হামলার (India-Pakistan War) পরে ভারতও পাকিস্তানের বেশ কিছু বায়ুসেনা ঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং অন্য সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করে। প্রত্যাঘাত করা হয় পাকিস্তানের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও। পাকিস্তানের যে সামরিক ঘাঁটিগুলিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, তার মধ্যে ইসলামাবাদ সংলগ্ন এলাকাও রয়েছে। এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমরা যে ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছিলাম তার মধ্যে ছিল চাকলালা, রফিকি। উল্লেখ্য, চাকলালা ইসলামাবাদে অবস্থিত।” এ ছাড়া পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান, সরগোদা, জাকোকাবাদ এবং ভুলারির মতো এলাকাতেও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে। এয়ার মার্শাল জানান, এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ভারতের। কিন্তু ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থান

    গত কয়েক দিন ধরে পাক নৌসেনাকে কৌশলগত ভাবে চাপে রেখেছিল ভারতীয় নৌসেনাও। ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ জানান, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে নৌসেনার ডুবোজাহাজ, বিমান-সহ সমস্ত বিভাগকে সংঘাতের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে সমুদ্রে মোতায়েন করে দেওয়া হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী হামলার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নৌসেনা আরব সাগরে বেশ কিছু কৌশলগত অবস্থান নেয়। উত্তর আরব সাগরে এমন জায়গায় বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল যেখান থেকে নিজেদের পছন্দ মতো সময়ে করাচি-সহ বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা ছিল নৌসেনার। ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থানের জন্য পাকিস্তানি নৌসেনাকে রক্ষণমূলক অবস্থান নিতে হয়েছিল এবং সেগুলি বেশির ভাগই নিজেদের বন্দর বা উপকূলের কাছাকাছিই রয়ে গিয়েছিল।

    প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, প্রাথমিকভাবে ৩৬ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পাকিস্তান যদি কোনও রকমভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তাহলে এপার থেকেও উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে পাক সেনাকে। এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত। প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ইসলামাবাদকে।

  • India Pakistan War: পাকিস্তানের ‘ফেক নিউজ ড্রোন’ আক্রমণের জবাবে ভারতের ‘ফ্যাক্ট-চেক মিসাইল’! কী বলছে পিআইবি?

    India Pakistan War: পাকিস্তানের ‘ফেক নিউজ ড্রোন’ আক্রমণের জবাবে ভারতের ‘ফ্যাক্ট-চেক মিসাইল’! কী বলছে পিআইবি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (India Pakistan War) পরিস্থিতিতে পাক নেটনাগরিকরা সমাজমাধ্যমজুড়ে একাধিক ভুয়ো খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। এ নিয়ে জনসাধারণের উদ্দেশে বার্তা দিল প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো (PIB)। ভারত-পাক অশান্তির আবহে পুরনো এবং অন্য জায়গার গন্ডগোল, বিস্ফোরণ এবং হতাহতের ছবি দিয়ে বলা হচ্ছে সেগুলো এখনকার। তা দিয়ে লেখালিখিও হচ্ছে বিস্তর। এই প্রেক্ষিতে পিআইবি ফ্যাক্ট চেক-এ রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।

    মহিলা পাইলট শিবানী সিং বন্দি নন

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পাক নাগরিক একটি পোস্টে লেখেন, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানী সিং পাক সেনার হাতে বন্দি হয়েছেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘যুদ্ধবিমান থেকে লাফিয়ে নামার সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানী পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বন্দি হয়েছেন।’ মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। সেই পোস্ট দেখে উদ্বেগ তৈরি হয় ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে। কিন্তু সেই পোস্ট যে একেবারে ভুয়ো তা শনিবার এক্স হ্যান্ডলে জানাল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)-এর ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট। পিআইবি জানিয়েছে, ওই ভিডিও ২০১৪ সালের। যখন মহারাষ্ট্রের পুণে-আহমেদনগর হাইওয়ের কাছে কুলওয়াড়ি গ্রামে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সুখোই যুদ্ধবিমান এসইউ-৩০এমকেআই ভেঙে পড়ে। এক্সে একটি পোস্টে তারা জানিয়েছে, ‘ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলটকে আটক করা হয়নি।’

    জেট ভেঙে পড়ার মিথ্যা প্রচার

    ভারতের আকাশে একের পর হানা পাকিস্তানের। ভারতও প্রত্যাঘাত হেনেছে কিন্তু এর মাঝেই ভুয়ো খবর ছড়াতে শুরু করেছে পাকিস্তান এবং চিন। এমনই একটি খবরের পর্দাফাঁস করল পিআইবি (PIB)। চিনের অন্যতম প্রধান সংবাদ সংস্থা চায়না ডেইলির একটি প্রতিবেদন অনুসারে বলা হয়েছিল জম্মু কাশ্মীরে ভারতের তিনটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এই খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে ‘ফ্যাক্ট চেকে’ প্রমাণ করে পিআইবি। এক্ষেত্রে আল জাজিরার ইংরাজি সংস্করণের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন সামনে আনা হয়। সেখানেই জানানো হয় কীভাবে পাকিস্তান এবং চিন দুই পক্ষই একসঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুয়ো খবর প্রচার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পিআইবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখে, “চায়না ডেইলি মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে ভারতের তিনটি জেট কাশ্মীরে ভেঙে পড়েছে। এই ছবি ২০১৯ সালের।”

    ভুয়ো খবরের ছড়াছড়ি

    শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে ১০টি বিস্ফোরণের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অস্বীকার করেছে পিআইবি (PIB)। জয়পুর বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের খবরও মিথ্যা। বিমানবন্দর সচল রয়েছে। দিল্লি-মুম্বাই এয়ার রুট বন্ধ। এই খবরের কোনও যৌক্তিকতা নেই। বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নানকানা সাহিবে ড্রোন হামলা এই খবরও মিথ্যা। গুরু নানকের জন্মস্থান এই গুরুদ্বারে কোনও হামলা হয়নি। পাকিস্তানের সাইবার হামলায় ভারতের পাওয়ার গ্রিড ধ্বংস। বিদ্যুৎ মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে, পাওয়ার গ্রিড পুরোপুরি সচল।

    ভুয়ো ভিডিও প্রমাণিত

    পিআইবি (PIB) জানিয়েছে একটি ভিডিওয় জলন্ধরে পাকিস্তানের ড্রোন অ্যাটাকের কথা বলা হচ্ছে।  কিন্তু পিআইবি এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে যে, এটি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কহীন। নিছক একটি ‘ফার্ম ফায়ার’ ভিডিও। আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দাবি করা হয়, পাকিস্তানি সেনারা ভারতের একটি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। পিআইবি এই ভিডিওটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়ো বলে জানিয়েছে। বস্তুত, ভারতীয় সেনায় ‘২০ রাজ ব্যাটেলিয়ন’ নামে কোনও ঘাঁটি বা ইউনিট নেই। ওই ভিডিওটি ভারতীয়দের আতঙ্কিত করার জন্য প্রচার করা হয় বলে জানিয়েছে পিআইবি। আর একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়, তাতে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের উপরে প্রতিশোধ নিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। পিআইবি এই ভিডিওটিকেও ভুয়ো বলে চিহ্নিত করেছে। জানানো হয়েছে, যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে তা আদপে বেইরুট, লেবাননে ২০২০ সালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফুটেজ। আবার এমনই একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ভারতীয় সেনা অম্বলা বিমানঘাঁটিকে হাতিয়ার করে অমৃতসর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারতীয় নাগরিকদের উপরেই হামলা চালিয়েছে! পিআইবি তথ্য যাচাই করে দেখেছে যে, ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই প্রচার করা হয়েছে।

    ভুয়ো তথ্য যাচাই করতে নির্দেশ

    ভারত-পাক যুদ্ধের (India Pakistan War) আবহে ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে বলেই জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। তাদর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বেশ কয়েকটি ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে যা প্রতিটিই সম্পূর্ণ মিথ্যে। এই ভুয়ো ভিডিও, ভুয়ো তথ্যের শিকার হওয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে পিআইবি। মিডিয়া চ্যানেলগুলি কোনও কিছু যাচাই না করে যাতে কোনও তথ্য প্রচার না করে সেই ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার স্বার্থে তথা দেশের জন্য ভুয়ো তথ্য এবং অপপ্রচার ঠেকাতে হলে, কোনও ভিডিও বা ছবি যাচাই করার জন্য হোয়াট্‌সঅ্যাপ করুন ৮৭৯৯৭১১৫৯ এই নম্বরে। এ ছাড়া Socialmedia@pib.gov.in-এ ইমেল করা যাবে।

    মন্ত্রকের সতর্কবার্তা ও জনগণের প্রতি আহ্বান

    ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক নাগরিকদের উদ্দেশে সাইবার সতর্কতা জারি করেছে। তারা বলেছে, “অনলাইনে সতর্ক থাকুন, গুজবের ফাঁদে পা দেবেন না। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।” পিআইবি জনগণকে অনুরোধ করেছে যে, তারা যেন শুধুমাত্র সরকারি ও বিশ্বস্ত সোর্স থেকে খবর গ্রহণ করে এবং যাচাই না করে কোনও তথ্য শেয়ার না করে। এমন ভুয়ো তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা ও জনসাধারণের মানসিক স্থিতি বিঘ্নিত করতে পারে।

  • India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। তারা অনবরত আগ্রাসী ভূমিকা বজায় রাখছে। শনিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানানো হয়েছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান বারবার হামলার চেষ্টা করছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি তাদের নিশানায়। পাক সেনাদের গোলাবর্ষণ চলছে, যদিও হামলার চেষ্টা প্রতিহত করছে ভারতীয় সেনা। এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।

    সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল পাকিস্তান

    সব সীমা ছাড়াচ্ছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। লাগাতার গোলাবর্ষণ তো করছিলই, এবার সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল। ভারত সরকারের তরফেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর প্রথম এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান চার রাজ্যে মোট ২৬টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। যদিও ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলিক নিষ্ক্রিয় করেছে। ভারতও পাল্টা জবাবে ৪টি পাকিস্তানি এয়ারবেসে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া হামলা চালানো হয়েছে আরও ২ পাক এয়ারবেস, একটি সেনা বেস ও একটি রেডার স্টেশনে। পাকিস্তান সেনা সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোনো শুরু করতেই ভারতও তাদের সেনাকে প্রস্তুত রেখেছে এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

    সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত পাকিস্তানের

    এ দিন উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তানের সেনা এগোনোর সিদ্ধান্ত তাদের আক্রমণাত্বক অভিপ্রায়কেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কর্নেল সোফিয়া বলেন, ‘‘পাকিস্তান মিলিটারি সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোচ্ছে। দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনা তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে আনছে। এতে তাদের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় প্রকাশ পাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এটা। পাকিস্তান সেনা সীমান্তের দিকে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তা নিছক প্রতিরক্ষা কৌশল নয়—এটি সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনও আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে।”  উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং-ও এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করে জানান যে, পাকিস্তান তাদের বাহিনী সীমান্ত বরাবর এগিয়ে এনে ভারতের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত হানতে চাইছে। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের পরিচয় বহন করে।” তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী (India-Pakistan War) সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভারতের তিন বাহিনী।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি সাধন 

    জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান ভারী গোলাবর্ষণ করে চলেছে। এই ধরনের গোলাবর্ষণ যুদ্ধে কোনও অগ্রগতি এনে দেয় না। সীমান্তবর্তী সামরিক চৌকিতে উচ্চক্ষমতার আর্টিলারি গান (কামান) বসিয়ে সীমান্তের অন্য দিকে একনাগাড়ে গোলাবর্ষণ করাই যায়। যে কোনও দেশই সেটা করতে পারে। কিন্তু তাতে সীমান্ত এগোবে বা পিছোবে না। শত্রুপক্ষও খতম হবে না।পাকিস্তানের সামরিক কর্তারা সে কথা ভালই জানেন। তবু অনবরত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের সামরিক বাহিনীর দুর্ভেদ্য বর্মে পাকিস্তান এত জোরে ধাক্কা খাচ্ছে যে, অপমান ভুলতে লোকালয়ে গোলা ছুড়ছে, এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। প্রেস বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গতকাল সারা রাত ধরে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে। উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ, ভাটিন্ডা সহ ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পাকিস্তান হাই স্পিড মিসাইল দিয়ে পাঞ্জাবের একটি এয়ারবেসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। ভারত সেই হামলাও প্রতিহত করেছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একটানা ড্রোন, যুদ্ধবিমান, এমনকী লং রেঞ্জ মিসাইল দিয়েও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

    একটানা ড্রোন হামলা পাকিস্তানের

    দেশের পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন হামলাও চালাচ্ছে পাকিস্তান। শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ অমৃতসরের খাসা ক্যান্টের উপর শত্রুপক্ষের একাধিক সশস্ত্র ড্রোন দেখা উড়তে দেখা যায়। যা প্রতিহত করে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১০টার পরে বিদেশ মন্ত্রক, সেনার সাংবাদিক বৈঠক শুরু হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকে পাকিস্তান সেনাকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালানো হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয়। এই দাবিগুলি ভুয়ো বলে জানান বিদেশসচিব। আফগানিস্তানে ভারতের মিসাইল পড়েছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, তা–ও মিথ্যা বলে জানান তিনি। মিস্রি বলেন, ‘কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    এই প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে (India-Pakistan War) উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে আলোচনা করছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক (India-Pakistan Conflict) থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করা এবং রণসজ্জা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এই ধরণের আচরণ করে (India-Pakistan Conflict) আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করতে চাইছে। এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম ও সমঝোতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

  • Virat Kohli: টেস্টকে বিদায় জানাতে চান কোহলিও! ইংল্যান্ড সিরিজের আগে বিপাকে বোর্ড

    Virat Kohli: টেস্টকে বিদায় জানাতে চান কোহলিও! ইংল্যান্ড সিরিজের আগে বিপাকে বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত শর্মার পর লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চলেছেন বিরাট কোহলি। বিসিসিআই (BCCI) সূত্রে খবর, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে কোহলি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান না। বুধবার টেস্ট ক্রিকেটকে (Test Cricket) আলবিদা জানিয়েছেন রোহিত (Rohit Sharma)। দু’দিন বাদে বন্ধুর পথেই হাঁটার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। প্রসঙ্গত, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া এবং তারপর অস্ট্রেলিয়া সফরে হতাশাজনক পরাজয়ের জেরে বিরাট ও রোহিতকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। লাগাতার ও দীর্ঘমেয়াদি অফ ফর্মের জেরে রোহিতকে আলাদা করে টার্গেট করা হয়। বিরাটকে নিয়েও সমালোচনার কমতি ছিল না।

    বিরাটকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি

    গত বুধবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি সমাজমাধ‍্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কোহলি (Virat Kohli) এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানাননি। তবে সূত্রের খবর, বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন টেস্ট থেকে এবার অবসর নিতে চান তিনি। তবে, বোর্ডের পক্ষ থেকে কোহলিকে অনুরোধ করা হয়েছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য। বোর্ড চাইছে ইংল্যান্ড সফরে যান বিরাট। খারাপ ফর্মে থাকলেও, তিনি যে কিং কোহলি। যে কোনও সময় জ্বলে উঠবে তাঁর ব্যাট। রোহিতের পর কোহলিকেও যদি কঠিন এই সফরে না পাওয়া যায়, তা হলে ভারতীয় ব‍্যাটিং অনেকটাই অনভিজ্ঞ হয়ে পড়বে। সেই কারণেই বোর্ডের (BCCI) পক্ষ থেকে কোহলিকে অনুরোধ করা হয়েছে এখনই টেস্ট ক্রিকেট না ছাড়তে। কিন্তু ৩৬ বছর বয়সি কোহলির থেকে কোনও জবাব এখনও আসেনি।

    টেস্টে বিরাট আধিপত্য

    টেস্ট ক্রিকেটে তো বটেই, সব ফর্ম্যাটে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার কোহলি (Virat Kohli)। টেস্টে ভারতের হয়ে ১২৩টি টেস্ট খেলেছেন কোহলি, ৪৬.৮৫ গড়ে ৯,২৩০ রান করেছেন। তাঁর নামে রয়েছে ৩০টি শতরান এবং ৩১টি অর্ধশতরান। ২০১১ সালের ২৯ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। ২০১৪ সালে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকারী কোহলি ভারতের সর্বকালের সেরা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জয় অন্যতম। তাঁর নেতৃত্বে ভারত ৬৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলে, এর মধ্যে ৪০টি জয়, ১৭টি হার এবং ১১টি ড্র করে। এই ৪০ জয়ের মধ্যে ২৫টি ঘরের মাঠে এবং ১৫টি বিদেশে।

  • India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুতে (Jammu) জারি হল রেড অ্যালার্ট৷ শনিবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকেই জম্মুতে লাগাতার শেলিং শুরু করে পাকিস্তান (India Pakistan War) ৷ পাক হামলায় এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই, তিনজন আহত৷ গতকাল রাত থেকে জম্মু থেকে শুরু করে শ্রীনগর, এদিকে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে রাজস্থানের একাধিক এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়েছে পাকিস্তান৷ জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার চলছে গোলাবর্ষণ ৷ তবে পাকিস্তানের হামলা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে ভারত। শনিবার সকালে জম্মুর শম্ভু মন্দিরে পাকিস্তানের গোলা এসে পড়েছে। মন্দির চত্বরে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর।

    মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ

    উত্তর পশ্চিম সীমান্তে টানা গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ জম্মুর আপ শম্ভু মন্দিরের কাছে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সেই ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়। কাছে থাকা একটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় থাকা গাড়িগুলিরও ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে আপ শম্ভু মন্দিরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাকিস্তানের হামলায় রজৌরিতে সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজৌরির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের ছোড়া একটি গোলা গিয়ে পড়ে। তিনি গুরুতর জখম হয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

    জম্মুতে লাগাতার হামলা পাকিস্তানের

    জম্মু (Jammu) উধমপুরে শোনা যাচ্ছে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ। শহরের মধ্যে আকাশ ঢেকে যাচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে। জম্মু, পাঠানকোট, শ্রীনগর, উধমপুর লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করছে পাকিস্তান। প্রায় প্রতি ২ মিনিট অন্তর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। জম্মুর পাশাপাশি ভারতের পশ্চিম সীমান্তে লাগাতার ড্রোন দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান (India Pakistan War)। সাধারণ নাগরিকদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চলছে। সেনা প্রতিহত করছে। পাল্টা জবাবও দেওয়া হচ্ছে, বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। শ্রীনগর, জম্মু, রজৌরিতে শোনা যাচ্ছে পর পর বিস্ফোরণের আওয়াজ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, পাকিস্তানের রওয়ালপিন্ডির কাছে তিনটি এয়ারবেসে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির নুর খান, সিন্ধ প্রদেশের সুক্কুর, চাকওয়ালের মুরিদ এয়ারবেস ক্ষতিগ্রস্ত। পাকিস্তানের আকাশে আপাতত সমস্ত রকম বিমানের উড়ান বন্ধ রাখা হয়েছে। হরিয়ানার সিরসার আকাশে পাক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারত। অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, উধমপুরে বায়ুসেনা চিকিৎসা কেন্দ্র ও স্কুলকে নিশানা করেছে পাকিস্তান। বারবার সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সেনা সূত্রে খবর, অন্তত ২৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা হয়েছে। দ্রুত জবাব দিয়েছে ভারত।

  • India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে বড় পদক্ষেপ করল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আগামী ১৪ মে পর্যন্ত দেশের ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাক সীমান্তবর্তী উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিমানবন্দর গুলিতে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। ১৫ মে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ফের এখানে পরিষেবা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘোষিত এই সিদ্ধান্তটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অশান্তির আবহে নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।

    কোন কোন বিমানবন্দরকে নির্দেশ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI) এবং সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ বিমানকর্মীদের (NOTAMs) জন্য একাধিক নোটিস জারি করেছে। যে ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে অমৃতসর, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, লুধিয়ানা, ভুন্টার, কিষেণগড়, পাটিয়ালা, সিমলা, কাংড়া-গগ্গল, ভাটিণ্ডা, জৈসলমের, জোধপুর, বিকানের, হলওয়ারা, পঠানকোট, জম্মু, লেহ্‌, মুন্দ্রা, জামনগর, হিরাসর, পোরবন্দর, কেশোড়, কান্দলা, ভূজ। ইতিমধ্যে এই ৩২টি বিমানবন্দরে ওঠানামা করার কথা ছিল যে সব বিমানের, সেগুলি বেশির ভাগই বাতিল করে দিয়েছে সংস্থাগুলি। এয়ার ইন্ডিয়া জম্মু, শ্রীনগর, লেহ্‌, জোধপুর, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, ভূজ, রামনগর, রাজকোটে যাতায়াতকারী তাদের সমস্ত বিমান বাতিল করেছে। যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সংস্থা। বিমান সংস্থা ইন্ডিগোও বেশ কিছু বিমান বাতিল করেছে।

    কেন বন্ধ বিমান চলাচল

    অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। যার বেশিরভাগই মাঝ আকাশে নষ্ট করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই অবস্থায় সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে সরকার। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী ১৪ মে পর্যন্ত ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।

    কলকাতা বিমানবন্দরে জারি হাই অ্যালার্ট

    ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ আবহে কলকাতা বিমানবন্দরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সিআইএসএফের সমস্ত কর্মীদের ছুটি। যারা ছুটিতে ছিলেন, তাদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে অ্যারাইভাল, ডিপারচারে কোন গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের উড়ানের ৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে বলা হয়েছে। দেড় ঘণ্টা আগেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

  • India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার স্ট্রাইকের পাশাপাশি পাকিস্তানে ‘ওয়াটার স্ট্রাইক’ (India-Pakistan War)। খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে। ভারতের দিকে কুনজর দিলে, কী পরিণতি হতে পারে, তা জল-স্থল-আকাশপথে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের মিশাইল হানায় লন্ডভন্ড পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। এবার ভসে যেতে পারে চন্দ্রভাগার তীরবর্তী পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলা।

    বন্যার আশঙ্কা শিয়ালকোটে

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবেই প্রথমে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছিল ভারত সরকার। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিন্ধু ও উপনদী চন্দ্রভাগা, ঝিলমের জল। পাকিস্তানের রাতারাতি শুকিয়ে মরার মতো অবস্থা হয়, কারণ এই নদীগুলির উপরই নির্ভরশীল পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ। এবার খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। রামবানসহ জম্মু-কাশ্মীরের অনেক স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে কয়েকদিন ধরে । পাশাপাশি রামবানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধ্বসের ঘটনাও ঘটেছে। এর ফলে জলের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাই বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। রামবানে সালাল বাঁধের চারটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল এই লকগেট। সেই লকগেটগুলো খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকগুন বেড়ে যায় চন্দ্রভাগার জল। যেকোনও মুহূর্তেই ভেসে যেতে পারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট। এই আশঙ্কায় সেখানকার শয়ে শয়ে মানুষ নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।

    চন্দ্রভাগা নদীতে বেড়েছে জলস্রোত

    দুই দিন আগে, চেনাব বা চন্দ্রভাগার বাগলিহার বাঁধ আটকে জলের মর্ম বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারত। কয়েক ঘণ্টা জল আটকে দেওয়ায় শুকিয়ে মরার আতঙ্কে হাহাকার করে উঠেছিল পাকিস্তান। সেদেশের কৃষি-শিল্পের অনেকটাই নির্ভর করে এই চেনাবের জলের উপর। এবার সেই চেনাবেরই চার চারটি লক গেট খুলে দিল ভারত। এর জেরে এবার বন্যায় ভাসতে পারে পাকিস্তান। জম্মুতে অতি ভারী বৃষ্টির পর পাকিস্তানে এখন বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চেনাব নদীতে নির্মিত বাগলিহার বাঁধের চারটি ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে শুক্রবারই। বৃহস্পতিবার এই চেনাব নদীতেই নির্মিত রিয়াসি সালাল বাঁধের ৩টি ফটকও খুলে দেওয়া হয়। বাঁধের ফাটক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল বের হচ্ছে। শুক্রবারের খবর অনুসারে, চন্দ্রভাগা নদীর উপর সালাল বাঁধের ৪টি লকগেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে চন্দ্রভাগা নদীতে একলাফে বেড়েছে জলস্রোত। ভারত জল ছাড়ায় এবার পাকিস্তানের শিয়ালকোটে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে হু হু করে। এমন চলতে থাকলে পাকিস্তানের ওই অঞ্চল বন্যায় ভেসে যেতেও পারে।

  • India Pakistan War: হার্পির আতঙ্কে হাসি উড়েছে পাকিস্তানের, ইহুদি ড্রোনে ছিন্নভিন্ন চিনা-কবচ

    India Pakistan War: হার্পির আতঙ্কে হাসি উড়েছে পাকিস্তানের, ইহুদি ড্রোনে ছিন্নভিন্ন চিনা-কবচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর’-এর এক দিনের মাথাতেই লাহোরের (India Pakistan War) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করল নয়াদিল্লি। ইসলামাবাদের দাবি, এতে ইজরায়েলি মানববিহীন উড়ুক্কু যান ব্যবহার করেছে ভারতীয় সেনা। যদিও সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। সূত্রের খবর, লাহোরে সেনাছাউনি সংলগ্ন এলাকায় চিনের তৈরি এইচকিউ-৯পি নামের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ মোতায়েন রেখেছিলেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা। পাক গণমাধ্যমগুলির দাবি, ইজরায়েলি ‘হার্পি’ দিয়ে সেটি উড়িয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানের আতঙ্ক

    পাক সেনার জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি জানিয়েছেন, ইজরায়েলে তৈরি ওই ড্রোন দিয়ে একাধিক শহরকে নিশানা করে ভারতীয় বাহিনী। সেই তালিকায় ছিল করাচি, বহাওয়ালপুর, শিয়ালকোট এবং রাওয়ালপিন্ডি। এ প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ আরও বলেন, ‘‘ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে আগ্রাসন দেখিয়েছে ভারত। সেগুলির অধিকাংশকেই নিষ্ক্রিয় করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও একটি লাহোরের সেনাছাউনিতে ঢুকে পড়ে। সংশ্লিষ্ট ড্রোনটির বিস্ফোরণে চার জন সৈনিক আহত হন।’’

    হার্পির সুবিধা

    গত কয়েক বছর ধরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই হাতিয়ারটিকে সযত্নে অস্ত্রাগারে সাজিয়ে রেখেছিল নয়াদিল্লি। মোক্ষম সময়ে এর এক আঘাতেই দিশেহারা পাকিস্তান, মুখ পুড়েছে বেজিঙেরও। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, ‘হার্পি’ ড্রোনে রয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর। একটানা ন’ঘণ্টা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এর। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে বিশেষ একটি পদ্ধতিতে পরিকল্পনামাফিক বিভিন্ন কোণ থেকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম ইজরায়েলের তৈরি এই মানববিহীন উড়ুক্কু যান। শুধু তা-ই নয়, হামলার সময়ে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’-এর (জিএনএসএস) সাহায্যে একে নিষ্ক্রিয় করাও সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রতিকূল পরিবেশেও অপারেটরের সঙ্গে দিব্যি যোগাযোগ রেখে চলে ‘হার্পি’। একে যুদ্ধজাহাজ বা সামরিক ট্র্যাকের উপর বসানো লঞ্চার থেকে শত্রুর ঘাঁটির দিকে ছোড়া যায়। ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গিয়ে নিখুঁত নিশানায় হামলা করতে সক্ষম ‘হার্পি’।

    হার্পির সংখ্যা এখন ১০০

    নির্মাণকারী সংস্থা হল ‘ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ’। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে মানববিহীন এই আত্মঘাতী উড়ুক্কু যানটিকে বহরে সামিল করার কথা ঘোষণা করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর জন্য ১০ কোটি ডলার খরচ করেছিল কেন্দ্র। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথমে ১০টি ‘হার্পি’ ড্রোন সরবরাহ করে ইজরায়েল। ২০২০ সালের মধ্যে ফৌজের অস্ত্রাগারে ইজরায়েলি ‘হার্পি’-র সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

  • New Pope: রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান নির্বাচিত হলেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট, প্রথম আমেরিকান পোপ

    New Pope: রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান নির্বাচিত হলেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট, প্রথম আমেরিকান পোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোমান ক্যাথলিক সমাজের নতুন পোপ (New Pope) নির্বাচিত হলেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট। ২৬৭তম পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর নাম হল পোপ লিও (চতুর্দশ)। এই প্রথম কোনও আমেরিকান পোপের আসনে বসলেন। ভ্যাটিক্যান সিটির সিস্টিন চ্যাপেলের চিমনি থেকে সাদা ধোঁয়া ওড়ার অর্থই হল পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ। যার খানিক পরই চতুর্দশ লিও হিসেবে রবার্ট প্রিভোস্টের নাম ঘোষণা করা হয়।

    পোপ লিও-র দায়িত্ব

    কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের (New Pope) উত্তরসূরি শিকাগোর নাগরিক। ৬৯ বছর বয়সি রবার্ট প্রিভোস্ট জীবনের বেশিটা সময় পেরুর মিশনারিতে কাটিয়েছেন। প্রিভোস্ট গত দুই দশক ধরে পেরুর নাগরিক হিসেবে বসবাস করতেন। সেখানে শিক্ষক এবং বিশপের ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। তার আগে রোমের পন্টিফিকাল ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট থমাস অ্যাকুইনাস থেকে যাজক অনুশাসন (ক্যানন আইন) বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে তিনি কার্ডিনাল হন। এবার পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত হলেন মীতভাষী রবার্ট। ১০০ কোটিরও অধিক রোমান ক্যাথলিক অনুসরণকারীদের প্রধান হওয়ার পরে তাঁর বার্তা, “আপনাদের মনে শান্তি বিরাজ করুক।”

    পোপ বাছতে দফায় দফায় ভোট গ্রহণ

    ১৩৩ জন বিশপের উপস্থিতিতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার পরেই রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট নির্বাচিত হলেন পোপের পদে। তবে বিশপদের মধ্যে বিস্তর মতভেদ থাকার কারণে পোপ নির্বাচনে ঐক্যমতে পৌঁছানো খুব সহজ ছিল না। গির্জার ভবিষ্যৎ নিয়েও বিভিন্ন মত ছিল। জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে যত ‘কনক্লেভ’ হয়েছে তার মধ্যে এত জন বিশপের জমায়েত হওয়ার নজির নেই।

    ছিলেন ভারতের ৪ জন

    প্রায় ৭৫০ বছর ধরে একই পদ্ধতিতে পোপ (New Pope) নির্বাচন হয়ে আসছে। বলা হয়, এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন বাছাইপর্ব। এককালে ভ্যাটিকানে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে থাকা কার্ডিনালরা বহির্জগতের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতেন নতুন পোপ নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত। এখনকার দিনে মোবাইল, ক্যামেরা বাইরে রেখে নিজেদের ঘরে ঢুকতে হয়। এবছর ৭০ দেশ থেকে ১৩৩ জন কার্ডিনাল পৌঁছেছিলেন ভ্যাটিকানে। ছিলেন ভারতের ৪ জন, যাঁদের ভোটাধিকার রয়েছে।

LinkedIn
Share