Author: ishika-banerjee

  • INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাপে অনেকখানি শক্তি বাড়ল ভারতের নৌসেনার। মঙ্গলবার, ১ জুলাই নৌসেনায় যোগ হল স্টেলথ প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তমাল (INS Tamal)। রাশিয়ার সংস্থা কালিনিনগ্রাদে ইয়ান্তার শিপইয়ার্ডে ইন্দো-রাশিয়ান যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে যুদ্ধজাহাজটি। সমুদ্রে চিনের কড়া অবস্থানের মোকাবিলায় তমাল ভারতের নৌসেনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আইএনএস তমাল হল তলোয়ার ক্লাস ফ্রিগেট। এটাই বিদেশ থেকে কেনা শেষ রণতরী হতে পারে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদির আত্মনির্ভর ভারত সাম্প্রতিককালে দেশেই রণতরী এবং সাবমেরিন তৈরির ওপর মন দিয়েছে।

    ইন্দ্রের তলোয়ারই হল তমাল

    স্বর্গের দেবতা ইন্দ্রের তলোয়ারের নাম তমাল। ভারতীয় সেনার নতুন এই রণতরীর নাম ইন্দ্রদেবের সেই অস্ত্রের নামেই। আইএনএস তমাল রণতরীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১০ ফুট। বিশালাকার রণতরীর ওজন ৩ হাজার ৯০০ টন। সমুদ্রে রণতরীর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ নট বা ৫৬ কিলোমিটার। এটি গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত। আইএনএস তমাল নির্মাণে ২৬ শতাংশ দেশীয় উপকরণ ব্যবহার হয়েছে।

    জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”

    ভারতীয় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই যুদ্ধ জাহাজ নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিম নৌ কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল সঞ্জয় জসজিৎ সিং, যিনি নিজে উপস্থিত থেকে কমিশনের নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল রাজারাম স্বামীনাথন ও রাশিয়ান নৌবাহিনীর সিনিয়র অফিসার ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই লিপিন। আইএনএস তামাল ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জলে নামানো হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ট্রায়াল হয়। এর পর ধারাবাহিকভাবে ফ্যাক্টরি ট্রায়াল, স্টেট কমিটি ট্রায়াল এবং ডেলিভারি অ্যাকসেপ্ট্যান্স ট্রায়াল সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের জুন মাসে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুত অবস্থায় কমিশন হয়। জাহাজটি সমুদ্র, আকাশ, জলের নিচে এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম — এই চারটি ক্ষেত্রেই সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করতে পারবে। জাহাজটি পরিচালিত হবে প্রায় ২৬ জন অফিসার ও ২৫০ জন নাবিকের দল দিয়ে। এই ,জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”।

    নৌযুদ্ধের মহড়ায়  উত্তীর্ণ তমাল

    নৌসেনা সূত্রের খবর, শত্রুপক্ষের রাডারের নজরদারি এড়াতে বিশেষ ধাতুতে তৈরি আইএনএস তমাল। এই ইঞ্জিনও পৃথক প্রযুক্তির। ৩৯০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজে হেলিকপ্টার ওঠানামা এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে, শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ খোঁজার জন্য অত্যাধুনিক ‘সোনার’ এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টর্পিডো। ইতিমধ্যেই সফল ভাবে নৌযুদ্ধের মহড়ায় (সি ট্রায়াল) উত্তীর্ণ হয়েছে তমাল। বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্টেল্‌থ রণতরীটি আমেরিকার, ইউএসএস জুমওয়াল্ট ডেস্ট্রয়ার। তার পরেই নাম আসে রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি তলোয়ার গোত্রের ফ্রিগেটের নাম। যার নবতম সংস্করণ আইএনএস তমাল।

    তমাল-এ থাকবে ২৪টি মিসাইল

    আইএনএস তমাল-এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি মিসাইল। প্রতিটির রেঞ্জ ৭০ কিলোমিটার। দীর্ঘ ৩ মাস ধরে সমুদ্রে রণতরীর ট্রায়াল করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয় রণতরীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। করা হয়েছে মিসাইল টেস্টও। আইএনএস তমাল থেকে ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়া যাবে। এছাড়া স্থিল-১ স্যাম এয়ার ডিফেন্সও ব্যবহার করা যাবে এই রণতরী থেকে। এই রণতরীতে ১০০ এমএম বন্দুক আছে। এতে-৬৩০ সিআইডাব্লুএস, টর্পিডো এবং আরবিইউ-৬০০০ অ্যান্টি সাবমেরিন রকেট আছে। এই রণতরীতে একটি হেলিকপ্টার ওঠা-নামা করতে পারবে। আইএনএস তমাল ‘তলোয়ার শ্রেণি’র রণতরী। রাশিয়া থেকে আমদানি করা চতুর্থ রণতরী এটি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রাশিয়া থেকে দুটি যুদ্ধজাহাজ কেনার জন্য একটি চুক্তি সই করে। ভারতীয় মুদ্রায় সেই চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা। সেই চুক্তিতেই আইএনএস তমাল কেনার কথা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ওই রণতরী ২০২২ সালেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ওই রণতরী নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

    তমাল-এ ভীত চিন-পাকিস্তান

    রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএনএস তমাল নৌবাহিনীর পশ্চিম কমান্ডের অধীনে আরব সাগরে মোতায়েন করা হবে, একটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখানে ভারত ও পাকিস্তানের সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। এখান থেকে করাচির দূরত্ব খুব কম। একদিকে আরব সাগর, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং চিনের মতো দুটি প্রতিকূল দেশের সাথে স্থল সীমান্ত ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এই আবহে নৌসেনায় তমালের অন্তর্ভুক্তি ভারতকে বেশ সুবিধা দেবে। আইএনএস তমাল এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শত্রু রাডার এটিকে কোন ভাবেই সনাক্ত করতে না পারে। এই সমস্ত আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে, ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও বাড়ানোর দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছে এই যুদ্ধজাহাজটি অত্যাধুনিক ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার। থাকবে আধুনিক হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার সাহায্যে এটি সাবমেরিন এবং আকাশপথে হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

  • India vs England 2nd Test: সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ভারত, রেকর্ড বলছে অন্য কথা! এজবাস্টনে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট

    India vs England 2nd Test: সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ভারত, রেকর্ড বলছে অন্য কথা! এজবাস্টনে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে (India vs England 2nd Test) মুখোমুখি হবে ভারত-ইংল্যান্ড। সিরিজ নিজেদের দখলে রাখতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচেই সমতা ফেরাতে হবে ভারতকে। বিদেশ সফর, তার উপর আবার অনভিজ্ঞ দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়া সমস্যায় ফেলেছে গৌতম গম্ভীরের দলকে। এজবাস্টন টেস্ট হাতছাড়া হলে, বাকি ৩ ম্যাচই জিততে হবে। সেটা বেশ কঠিন কাজ। তাই কাজটা একেবারেই কঠিন করতে নারাজ শুভমন গিলরা। লাল বলের ক্রিকেটে এজবাস্টনে কোনও সুখস্মৃতি সরবরাহ নেই ভারতের। কারণ, এ মাঠে কখনও টেস্ট জেতেনি ভারত।

    অনিশ্চিত বুমরা

    এজবাস্টনে সচরাচর ফাস্ট বোলাররা (Jasprit Bumrah) মদত পেয়ে থাকেন। প্রায়শই আকাশে মেঘ দেখা যায় ফলে টেস্টের শুরুর দিকে বিশেষত বল স্যুইং করানোর জন্য একেবারে ঠিকঠাক পরিবেশ থাকে। এই ম্যাচের পিচ দেখেও কিন্তু তেমনটারই পূর্বাভাস মিলছে। টেস্টের প্রথম দুই দিনে ডিউক বলে ফাস্ট বোলাররা মদত পেতে পারেন। তাই এই ম্যাচে বুমরাকে প্রয়োজন ভারতের। কিন্তু ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে জসপ্রীত বুমরাকে। আগেই জানা গিয়েছিল তিনি সিরিজের সব ম্যাচ খেলবেন না। ফলে বার্মিংহ্যামে তাঁর বদলে খেলতে পারেন আকাশ দীপ ও অর্শদীপ সিং-এর মধ্যে এক জন। তবে বুমরা ছাড়া দল নামাতে ব্যাকফুটে ভারত। দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের সম্ভাব্য বোলিং আক্রমণ সম্পর্কে অধিনায়ক শুভমন বলেছেন, ‘‘জসপ্রীত বুমরাকে পাওয়া যাবে। আমরা সঠিক বোলিং আক্রমণ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে বিপক্ষের ২০টি উইকেট নেওয়া যায় এবং কিছু রানও হয়। অনুশীলনের পর পিচ দেখে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’ আসলে, ব্যাটাররা পাঁচটি সেঞ্চুরি করলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট হারতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। জসপ্রীত বুমরা ছাড়া বাকি বোলারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণেই হারতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।

    দলে বাংলার আকাশ দীপ

    বুমরা এজবাস্টনে না খেলা মানে, ভারতের উপর চাপ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়া। সমর্থক থেকে প্রাক্তনী, সকলেই প্রবলভাবে চাইছেন বুধবার বুমরাকে নামিয়ে দেওয়া হোক। ঘুরে দঁড়াতে মরিয়া ভারতীয় দল আসলে বড় বেশি বুমরা নির্ভর হয়ে পড়েছে। ম্যাচ জেতালে তিনিই জেতাবেন। বাকিরা তালপাতার সেপাই। হেডিংলে টেস্টে ৩৭১ রানের টার্গেট দিয়েও ইংল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হার, সেই ধারণাকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই বুধবার এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে বুমরাকে নিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বার বার হোঁচট খেতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এই ম্যাচে বুমরাকে না পাওয়া গেলে তাঁর জায়গায় খেলার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বাংলার পেসার আকাশ দীপের। এজবাস্টনের নেটে চেনা ছন্দে দেখা গেল আকাশ দীপকে। আরেকটা সুবিধা হচ্ছে, দুদিকেই বল ঘোরাতে পারেন তিনি।

    কেমন হবে দল

    প্রথম টেস্টে হারের পর একাধিক প্লেয়ারের পারফরম্যান্স নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে (India vs England 2nd Test) ভারতের একাদশ কী হবে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলে যার সুযোগ পাওয় নিয়ে সবথেকে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তিনি শার্দুল ঠাকুর। না বোলিংয়ে, না ব্যাটিংয়ে কোনও কিছুতেই নিজের সেরাচা দিতে পারেনি তিনি। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে তার বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। শার্দুলের জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন কুলদীপ যাদব। এছাড়া মিডল অর্ডারে প্রথম ডাউন অভিষেক টেস্টে হতাশ করেছেন সাই সুদর্শনও। প্রথম ইনিংসে ০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান করেন তিনি। ফলে দ্বিতীয় টেস্টে তারও বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার বাদলে দলে আসতে পারেন ওয়াশিংটন সুন্দর, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, নীতিশ কুমার রেড্ডি। সমস্যা হচ্ছে, প্রথম টেস্টে ভারতকে ভুগিয়েছে ফিল্ডিংও। একাই চারটি ক্যাচ মিস করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় টেস্টের স্লিপ কর্ডনে থাকবেন না যশস্বী।

    এজবাস্টনে জেতেনি ভারত

    ইংল্যান্ড সফরের শুরুটা ভালো হয়নি ভারতীয় দলের। লিডস টেস্টে জয়ের কাছে পৌঁছেও হার মানতে হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে ০-১ পিছিয়ে। এই অবস্থায় এজবাস্টনের (India vs England 2nd Test) রেকর্ডও ভারতের অনুকূলে নয়। ১৯৬৭ সালে ভারতীয় দল এজবাস্টনে প্রথমবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামে। তারপর থেকে ৫৮ বছর কেটে গিয়েছে। এই মাঠে আরে সাতবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ভারত। দুর্ভাগ্যবশত আটবারের মধ্যে টিম ইন্ডিয়া এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটিও টেস্ট ম্য়াচ জিততে পারেনি। তিন ম্যাচে তো ইনিংসে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। কেবল ১৯৮৬ সালে টেস্ট ম্য়াচ ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল ভারতীয় দল। বাকি সাত ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে ভারত। শেষবার তিন বছর আগেও সাত উইকেটে হেরেছিল ভারত। তবে কাজটা কঠিন হলেও শুভমন-গম্ভীরের তরুণ ভারত অবশ্য ইতিহাস পাল্টানোর অপেক্ষাতেই রয়েছে।

  • Attacks on Hindu: বাংলাদেশে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের হুমকি

    Attacks on Hindu: বাংলাদেশে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) নাগাড়ে অশান্তি চলছেই। বেছে বেছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Attacks on Hindu) উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটাচ্ছে সেদেশের হিন্দুরা। শনিবার (২৮ জুন) রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলায় স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে পরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা একাধিক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালায়, দেব-দেবীর প্রতিমা নষ্ট করে এবং বেছে বেছে হিন্দুদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠি নিয়ে হামলা

    স্থানীয় একজন হিন্দু (Attacks on Hindu) প্রবীণ নাগরিক বিজয় চন্দ্র রায় জানান, জমি নিয়ে পূর্বে থেকেই শাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। শনিবারের হামলা ছিল সেই বিরোধেরই ধারাবাহিকতা, যা জমি দখলের উদ্দেশ্যেই চালানো হয়েছে। হামলার সময় শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে থাকা দুর্বৃত্তরা বিজয় চন্দ্র রায়ের বাড়ির সামনে একটি লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মন্দিরে থাকা মা মনসার প্রতিমা-সহ অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তিও ভাঙচুর করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা হাতে ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় এবং সংখ্যালঘু পরিবারগুলিকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। এক হিন্দু মহিলা বলেন, “ওরা বলেছে— জমি দখল করে নেবে, আমাদের পুড়িয়ে মারবে। ওরা আবার আসবে বলেও হুমকি দিয়েছে।”

    হেলদোল নেই ইউনূস প্রশাসনের

    রবিবার (২৯ জুন) ‘বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) অগ্নিবীর, রংপুর বিভাগ’ নামক একটি হিন্দু (Attacks on Hindu) সংগঠন সামাজিক মাধ্যমে ওই ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে, যেখানে মন্দিরে ভাঙচুরের ছবি এবং আহত লোকজনের আর্তনাদ শোনা যায় (ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এর আগেও, গত মাসে নওগাঁ জেলার খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর এলাকায় একটি মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে হিন্দু সম্প্রদায়। ওই ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতির উপরও হামলা চালানো হয়েছিল। স্থানীয় সংখ্যালঘুদের দাবি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা ঘটলেও তা স্বীকার করতে রাজি নয় মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতিদিন পদ্মাপারের দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ইউনূস প্রশাসনকে বারবার বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। কিন্তু, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তা নিয়ে বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি।

  • Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই অযত্নে পড়ে থাকা ফড়িয়াপুকুর স্ট্রিটের ২৯ নম্বর বাড়িটায় হঠাৎই শুরু হল মেরামতির কাজ। করা হল চুনকাম। ভ্যানে করে আসতে লাগল টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ। ব্যাপার কী? গুঞ্জন উঠল সেখানে নাকি মেডিক্যাল কলেজ খুলবেন কোনো এক বদ্যিমশাই। কিছুদিনের মধ্যেই চালু হয়ে গেল সেই কলেজ। আসতে শুরু করল শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে শুরু হল বিনামূল্যে চিকিৎসাও। দরিদ্রদের চিকিৎসা করতে স্বয়ং সেই কলেজের প্রতিষ্ঠাতাই রোজ হাজির হতেন সেখানে। সালটা ১৯১৬, ফড়িয়াপুকুরে গড়ে উঠেছিল ‘অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতাল’। ভারত তো বটেই, গোটা এশিয়ার মধ্যেই সেটাই ছিল প্রথম আয়ুর্বেদিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার নেপথ্যে ছিলেন ডঃ যামিনীভূষণ রায় (Kaviraj Jamini Bhusan Roy)। সবার কাছে তিনি জে বি রায় নামে বেশি পরিচিত। বাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে অনেকেই ভুলতে বসেছেন তাঁর নাম।

    জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ যামিনী

    সালটা ১৮৭৯। অধুনা বাংলাদেশের খুলনা জেলায় ১লা জন্ম যামিনীভূষণের। বাবা পঞ্চানন রায় ছিলেন খুলনার নামকরা কবিরাজ। পূর্ববঙ্গে বড়ো হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে সংস্কৃত শিক্ষার জন্যই তিনি চলে আসেন কলকাতায়। ভবানীপুরে ভাড়া বাড়িতে থেকেই চলত পড়াশোনা। স্নাতক পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করার পর ভর্তি হলেন স্নাতকোত্তরেও। সংস্কৃতের পাঠ চুকিয়ে ১৯০২ সালে ভর্তি হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পাশাপাশি বাবার কাছেও চলতে থাকল আয়ুর্বেদ চিকিৎসার পাঠ। ১৯০৫ সালে গোল্ড মেডেল নিয়েই ব্যাচেলর অফ মেডিসিন পাস করলেন যামিনীভূষণ। হয়ে উঠলেন ‘গাইনোকলজি এবং মিডওয়াইফারি’-র বিশেষজ্ঞ। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালে চাকরির সুযোগ থাকলেও, সে পথে গেলেন না। ঠিক করে ফেললেন বাবার মতোই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হবেন তিনি। আয়ুর্বেদ (Ayurveda) চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যামিনীভূষণ রায় (J B Roy) না থাকলে হয়তো দেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাই উঠে যেত।

    অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ

    প্রথাগত চিকিৎসা শাস্ত্রের থেকে সরে এসে আয়ুর্বেদ নিয়ে তাঁর গবেষণা অনেকের কাছে বোকামি হলেও, যামিনীভূষণের মতো করে ভাবলে নতুন দিশা দেখতে পাবেন সবাই। আসলে আজ যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত ভারতে, সেই অ্যালোপ্যাথি এসেছে ব্রিটিশ শক্তির হাত ধরে। তারও বহু আগে থেকেই এদেশে প্রচলিত ছিল আয়ুর্বেদ। সেখানেই যে লুকিয়ে রয়েছে সংস্কৃতির শিকড়। আর অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় দ্রুত আরোগ্যলাভ হলেও, দীর্ঘস্থায়ী রোগকে বাগে আনা বেশ কঠিন এই চিকিৎসায়। সেখানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দুরারোগ্য রোগকেও ধীরে ধীরে সারিয়ে তুলতে পারে বলেই বিশ্বাস ছিল তাঁর। বিখ্যাত চিকিৎসক মহামহোপাধ্য়ায় কবিরাজ রিজয়রত্ন সেনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করেন যামিনীভূষণ। অনেক মানা করেছিলেন তাঁকে। পরামর্শ দিয়েছিলেন, পশ্চিমী চিকিৎসায় উপার্জনের সুযোগ অনেক বেশি। তবে সে কথা না শুনেই নিজের পথ ধরেছিলেন। ব্যর্থ হননি। ইতিহাস তা-ই বলছে।

    গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’

    যামিনী বুঝেছিলেন আয়ুর্বেদকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। তাই পড়াশোনার সঙ্গে বগল মাড়োয়াড়ি হাসপাতালে শুরু করলে চিকিৎসাও। সে সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল চল্লিশ টাকা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল গোটা ভারতে। ডাক আসতে থাকল বরোদা, গোয়ালিয়র, কোচি রাজবাড়ি থেকে। আজকের দিনের হিসেবে দেখতে গেলে এককথায় তিনি কোটিপতি হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন সময়ে। তবে বিলাসবহুল জীবন তাঁকে টানেনি কোনোদিনই। বরং, সেই টাকাতেই দরিদ্রদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’। আধুনিক পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি হত সেখানে। আর দরিদ্ররা সেই ওষুধ পেতেন বিনামূল্যেই। সেখানে রীতিমতো আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করা হয়।

    মানুষের সেবায় নিয়োজিত

    ১৯২৬ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হন যামিনীভূষণ। মৃত্যুর আগে নিজের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিই তিনি দান করে গিয়েছিলেন জনকল্যাণে। নিজের তৈরি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার গবেষণাগার ও সংগ্রহশালা তো বটেই, পাতিপুকুরে ১২ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত বিশাল বাগানবাড়িও দান করে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুর ৭ বছর পর সেই বাগানবাড়িতেই ডঃ বিধানচন্দ্র রায় তৈরি করেন যক্ষ্মার হাসপাতাল। যা পাতিপুকুর টিবি হাসপাতাল বলেই পরিচিত। অদ্ভুত বিষয় হল, কিংবদন্তি এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের জন্মদিন ১ জুলাই-ই। হ্যাঁ, এই একই দিনে জন্ম বিধানচন্দ্রেরও। এও যেন এক অদ্ভুত সমাপতন। চিকিৎসাশাস্ত্রে আজও অস্বীকার করা যায় না তাঁর অবদান। শিশুদের রোগ নির্ণয় হোক কিংবা টক্সিকোলজি— তাঁর লেখা বইগুলি প্রমাণ্য হয়েই রয়ে গিয়েছ। ইএনটি’র চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দিশা দেখিয়েছিলেন যামিনীভূষণ।

  • Shubhanshu Shukla: মহাকাশে মাইক্রো অ্যালগি নিয়ে গবেষণায় মগ্ন শুভাংশু, ৪ তারিখ ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে বলবেন কথা

    Shubhanshu Shukla: মহাকাশে মাইক্রো অ্যালগি নিয়ে গবেষণায় মগ্ন শুভাংশু, ৪ তারিখ ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে বলবেন কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছনো ৬৩৪ নম্বর মহাকাশচারী ভারতের নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের কিছুটা পরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ভারতীয় সময়) পৌঁছেছেন তিনি। তারপর থেকে সেখানেই নানা পরীক্ষা করছেন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছেন। বর্তমানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) প্রেরিত মাইক্রো অ্যালগি পরীক্ষায় ব্যস্ত রয়েছেন শুভাংশু। মহাকাশে মাইক্রো অ্যালগির ব্যবহার ভারতের ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী শুক্রবার, ৪ জুলাই মহাকাশ থেকেই দেশের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপ জমানোর কথা রয়েছে শুভাংশুর।

    ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন শুভাংশু

    জানা গিয়েছে, আগামী ৪ জুলাই ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে ৪৭ নাগাদ কর্নাটকের ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার (ইউআরএসসি)-এর সঙ্গে মহাকাশ থেকে হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে চলেছেন শুভাংশু (Shubhanshu Shukla)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানটি হবে। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এখানে যোগ দিতে পারবেন। বর্তমান প্রজন্মকে মহাকাশ ও মহাকাশ গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই হ্যাম রেডিও যোগাযোগ ভারতীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং শিক্ষার জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত হবে। যা বিশ্বব্যাপী মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির প্রতীক হিসাবে নজির গড়বে। বলে রাখা ভালো, নির্ধারিত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে, হ্যাম রেডিও অপারেটররা শহর, দেশ এবং এমনকী মহাকাশে থাকা মহাকাশচারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারে। হ্যাম রেডিও জরুরি অবস্থার সময় খুবই নির্ভরযোগ্য। যখন বিভিন্ন নেটওয়ার্ক যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থ তখনও এই হ্যাম রেডিও কাজ করে।

    মাইক্রো অ্যালগি নিয়ে গবেষণায় শুভাংশু

    ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ অভিযানের (Axiom 4 Space Mission) পদে পদে দেশবাসীকে সঙ্গে রাখছেন গ্রুপ ক্যাপটেন শুভাংশু। আগেই জানিয়েছিলেন মহাকাশে একা বোধ করছেন না তিনি। যেহেতু তাঁর সঙ্গে রয়েছে একশো চল্লিশ কোটি ভারতবাসী। ইসরো, জৈবপ্রযুক্তি দফতর (ডিবিটি) ও নাসার মধ্যে সহযোগিতার অঙ্গ হিসেবে গবেষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন শুভাংশু। দীর্ঘদিন মহাকাশে থেকে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য খাদ্য ও পুষ্টিগত ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা প্রয়োজন। অর্থাৎ মহাকাশেই প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ফলনের গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এই মিশনের লক্ষ্য। জানা যাচ্ছে, সেই লক্ষ্যেই শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) কাজ হচ্ছে খাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য মাইক্রো অ্যালগি বা অতি ক্ষুদ্র শৈবালের উপর মাইক্রোগ্র্যাভিটি ও রেডিয়েশনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ। পুষ্টির ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এইসব মাইক্রো অ্যালগিকে মহাকাশে থাকাকালীন খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে এই গবেষণা। সায়ানোব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি ও প্রোটিন সংশ্লেষ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণও করছেন শুভাংশু। মূলত প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর এইসব সায়ানোব্যাকটিরিয়াকে মহাকাশে থাকাকালীন ‘সুপারফুড’ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। ইউরিয়া সহ মানববর্জ্যের নাইট্রোজেন ব্যবহার করে মহাকাশে সায়ানোব্যাকটিরিয়াগুলির বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব কি না, মূলত সেটা খতিয়ে দেখাই এই গবেষণার উদ্দেশ্য। এই গবেষণা ভারতের গগনযান অভিযানে কাজে আসবে বলে জানিয়েছে ইসরো।

  • Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী কেন্দ্র ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলির (Pakistan Terror Camps) পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, হামলার এক মাস পর ফের চালু হয়েছে বাহাওয়ালপুরের একটি কুখ্যাত মাদ্রাসার সুইমিং পুল—যা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার, সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মানের কাজ চলছে। ঘাঁটিগুলিতে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রশিক্ষণ দিত।

    জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা পাক সেনার

    পহেলগাঁও হামলার পর সম্মুখ সমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কাছে রীতিমতো পর্যদুস্ত হওয়ার পরও শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই ইসলামাবাদের। বরং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারত যে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছিল, পাকিস্তান সেগুলির পুনর্নির্মাণ করছে। নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চপ্যাডের নির্মাণ চলছে সেখানে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের অভিযানে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হওয়ার পরে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বরাবর ছোট ছোট শিবির গড়ে প্রশিক্ষণ (Pakistan Terror Camps) দেওয়ার কাজ করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। কিন্তু এবার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অত্যাধুনিক কেন্দ্র গড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দেশের সরকার জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা করছে, আর্থিক সাহায্য় জোগাচ্ছে।

    ফের খুলল জঙ্গিদের সাঁতার কেন্দ্র

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে নির্ভুল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন উপগ্রহ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও নির্ভুল বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল। বাহাওয়ালপুরে জইশ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে পুনরায়, পাক সেনা, আইএসআই ও সরকারের পূর্ণ মদতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছোট ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খোলা হয়েছে বাহাওয়ালপুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Pakistan Terror Camps)। এই সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রটিই ব্যবহার করেছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা। ওই হামলায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। জানা যায়, ওই চার মূল জঙ্গি—মহম্মদ উমর ফারুক, তালহা রাশিদ আলভি, মহম্মদ ইসমাইল আলভি ও রাশিদ বিল্লা—হামলার আগে এই পুলেই ছবি তুলেছিল। সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও, এই পুলটি সন্ত্রাসবাদীদের “শারীরিক পরীক্ষার” অংশ। যেসব জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে চায়, তাদের এই পুলে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

    পুনরায় তৈরি হচ্ছে লঞ্চ প্যাড

    গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) মতো সংগঠনগুলোর নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর কাছাকাছি জঙ্গলে, যাতে সেগুলি সহজে নজরে না আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে চারটি লঞ্চপ্য়াডের পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের আওতায় যেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চারটি লঞ্চপ্যাডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মসরুর বড়া ভাই, ছাপরার, লুনি রয়েছে তালিকায়, শকরগড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ড্রোন কেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। বড় বড় শিবিরগুলিকে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে, যাতে এক জায়গায় সমস্ত রসদ, সব জঙ্গি না থাকে। এতে হামলা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

    আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে যে, সম্প্রতি বাহওয়ালপুরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Pakistan Terror Camps) সঙ্গে পাক প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। জইশ, লস্কর, হিজবুল, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিসস্ট্যান্স ফ্রন্ট, আইএসআই আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা অর্থসাহায্য় দিতে সম্মত হয় আইএসআই। জঙ্গি ঘাঁটি নির্মাণে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে, সহজে হামলাও চালানো যায় না। এই মুহূর্তে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট, উমরানওয়ালি, ছাপরার, ফরোয়ার্ড কাহুটা, ছোটা চক, জঙ্গলোরায় জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে সেখানে, থার্মাল ইমেজার প্রতিহত করার ব্যবস্থা থাকছে। রেডার, স্যাটেলাইট নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তিও থাকছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

  • Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তা সত্ত্বেও মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এক বছরের মধ্যে শহরের বুকে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কসবার (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করল বিজেপি (BJP Fact Finding Team)। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে বিজেপির চার সদস্যের একটি দল কলকাতায় এসেছে। সেই দলে রয়েছেন সৎপাল সিং, মীনাক্ষী লেখি, বিপ্লব দেব এবং মনন মিশ্র। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    ঘটনাস্থলে যাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনা লজ্জার। কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করল বিজেপির চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম৷ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৎপাল সিং৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তাঁদের তরফে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, ঘটনাস্থল কসবা ল’ কলেজে যাওয়ার অনুমতিও কলকাতা পুলিশের তরফে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সৎপাল। তবে, তাঁরা মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন৷ সেই মতো চিঠিও পাঠানো হয়েছে৷ মুখ্যসচিব এবং কমিশনার কেউ দেখা না-করলে, সোজা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি৷

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেছেন, ‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নারীদের উপর শোষণ ও অত্যাচারের নিরিখি পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। নারীদের উপর অত্যাচার আর তৃণমূল এখন সমার্থক হয়ে উঠেছে। দলটির নেতারা সবসময় অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। তারা নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ায় না। আমরা অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছি।’ কসবার কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সহ মোট চারজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ২৫ জুন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছেন ‘জে’, ‘এম’, এবং ‘পি’ নামে।

    মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনা লজ্জার

    এ নিয়ে ত্রিপুরা পশ্চিমের সাংসদ বিপ্লব দেব বলেন, “বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা একেবারেই নেই ৷ বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে৷ তাও কি না, মেডিক্যাল কলেজ ও ল’ কলেজে৷ একজন ছাত্রী পরবর্তী সময়ে যিনি অন্য মেয়ের অধিকারের হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে ৷ এটা খুবই লজ্জাজনক৷ বিশেষ করে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা৷ সেখানে মহিলাদের নিরাপত্তার এই হাল ৷” প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেন, “এমন একটা প্রশাসন চলছে, যেখানে বারবার মহিলাদের সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে৷ আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা ৷ সেখানে এই ঘটনা খুবই লজ্জাজনক৷ আর এখানকার প্রশাসনিক আধিকারিকরা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চান না৷ সেখানে রাজ্যের মানুষের কী অবস্থা, তা বোঝাই যাচ্ছে ৷ আমরা ঘটনাস্থলে যাব, খতিয়ে দেখব পুরো বিষয়টা৷”

    রাজ্যে অরাজকতা চলছে

    সাংসদ সত্যপাল সিং বলেন, “আমরা নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। এই ধরনের ঘটনার থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু হয় না। পুলিশের কী ভূমিকা ছিল, সেটাও দেখা হবে। আমি বিশ্বাস করি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেবেন।” ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য বলেন, “এই রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাজ্য পহেলগাঁওতে টিম পাঠাতে পারে, হাথরসে টিম যেতে পারে, কিন্তু অন্য দলের কোনও টিম আসবে, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে না। মুখ্যসচিব দেখা করবেন না। ডিজিপি দেখা করবেন না। এটা অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা।” উল্লেখ্য, সোমবার কসবা কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। ঘটনায় বিচারপতি সৌমেন সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবীরা। তাঁরা আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানান তাঁরা। আদালত সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Indus Treaty: সিন্ধুর জল নিয়ে পাকিস্তানকে জবাব! আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের অস্তিত্বই মানল না ভারত

    Indus Treaty: সিন্ধুর জল নিয়ে পাকিস্তানকে জবাব! আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের অস্তিত্বই মানল না ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জলচুক্তি প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতের অস্তিত্বই অস্বীকার করল নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি বা (Indus Treaty) তিলের ফলে গভীর সঙ্কটের মুখে পাকিস্তান। পরিস্থিতি পাল্টাতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইসলামাবাদ। এ প্রসঙ্গে ভারত জানিয়েছে, ওই আদালত অবৈধ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাতলে ও কিষেনগঙ্গায় ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির অন্তর্গত। এই নিয়ে আপত্তি করেছে পাকিস্তান। এবার এই বিষয়ে মামলা শুনবে কিনা তা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়েছে, তারা তা বিচার করবে।

    আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতকে অস্বীকার

    এদিন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘ভারত কখনও এই তথাকথিত সালিশি আদালতের অস্তিত্বকে আইনত স্বীকৃতি দেয়নি। এবং ভারতের অবস্থান সর্বদাই এই যে এই তথাকথিত সালিশি সংস্থার গঠন নিজেই সিন্ধু জলচুক্তির একটি গুরুতর লঙ্ঘন। ফলস্বরূপ এর দ্বারা গৃহীত কোনও রায় বা সিদ্ধান্তও সেই কারণে অবৈধ এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বাতিল।’উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে দিল্লি। যা নিয়ে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। বারবার দাবি করছে, ভারত নাকি এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভারত আগেও রাষ্ট্রসংঘে জানিয়েছে পাকিস্তানের উপর আস্থা রেখে, বিশ্বাস করে ৬৫ বছর আগে ভারত এই চুক্তি করেছিল। কিন্তু সেই বিশ্বাস ভেঙে ভারতের বুকে ৩টি যুদ্ধ ও হাজার হাজার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে পাক সন্ত্রাসীরা।

    ভারতের জল কোথাও যাচ্ছে না

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওল ভুট্টো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভারত যদি আমাদের ন্যায্য জল অধিকার না দেয়, তাহলে যুদ্ধ অনিবার্য।’ সেই প্রেক্ষিতেই ভারতের এই প্রতিক্রিয়া। জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাটিল বলেন, ‘পাকিস্তান যতবারই চিঠি পাঠাক না কেন, এটা একরকম ফর্মালিটি ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আসবে না।’ তিনি সাফ জানান, ভারতের জল কোথাও যাচ্ছে না। চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কোনও পরিকল্পনাও নেই।

  • Weather Update: ভরা বর্ষায় ফের নিম্নচাপ সাগরে! সকাল থেকে বৃষ্টি শহরে, চলবে কত দিন?

    Weather Update: ভরা বর্ষায় ফের নিম্নচাপ সাগরে! সকাল থেকে বৃষ্টি শহরে, চলবে কত দিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা বর্ষায় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হল গভীর নিম্নচাপ। তারই জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দিল হাওয়া অফিস। চলতি সপ্তাহে কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে। ভিজেছে শহরতলিও। সপ্তাহের প্রথম দিনে বৃষ্টিতে বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাসে-ট্রেনে ভোগান্তি চরমে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-সহ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সকাল থেকে জলমগ্ন।

    কলকাতায় ধারাপাত

    সোমবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Rain in Kolkata) হচ্ছে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে। এদিন, কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৬ ডিগ্রি বেশি। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি কম। এদিনও শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে।

    মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আর তারফলে আপাতত বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ বঙ্গের বহু জেলায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে থাকা উচ্চ ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রবিবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের উপরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। এর ফলে বাংলা, ওড়িশার সমুদ্র উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। সমুদ্রও এর প্রভাবে উত্তাল থাকতে পারে ১ জুলাই পর্যন্ত। মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকতে পরমার্শ দিয়েছে আলিপুর।

    ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা

    আগামী ৭ দিন দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই কম বা বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে সোমবার অর্থাৎ আজ থেকে বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ভারী বর্ষণ চলতে পারে বলে পূর্বাভাস। ইতিমধ্যেই বৃষ্টির জন্য উপকূলবর্তী এলাকায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। সপ্তাহের শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মেজাজে থাকতে পারে বৃষ্টি। সোমবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতায়, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কেবল তিন জেলায়— দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান এবং পুরুলিয়ায়। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার থেকে আবার কিছু কিছু জেলায় বৃষ্টি বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। এই জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ চলতে পারে রবিবার পর্যন্ত।

    উত্তরেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

    উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, কোচবিহারে ভারী বর্ষণ চলতে পারে আগামী কয়েক দিন। জলপাইগুড়িতে শুক্রবার পর্যন্ত এবং আলিপুরদুয়ারে রবিবার পর্যন্ত সতর্কতা জারি রয়েছে। উত্তরের বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলবে। তবে আর কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা জারি নেই আপাতত।

  • S-400 in South India: চিন-পাক সীমান্তের পর এবার সাগর-সুরক্ষাতেও এস-৪০০ মোতায়েনের পথে ভারত?

    S-400 in South India: চিন-পাক সীমান্তের পর এবার সাগর-সুরক্ষাতেও এস-৪০০ মোতায়েনের পথে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কামাল দেখিয়েছে এস-৪০০ (S-400 in South India)। এই ‘সুদর্শন চক্রে’-ই ধ্বংস হয়েছে একের পর এক পাক ড্রোন। ভারতের মাটিতে পাক ড্রোনকে আঁচও কাটতে দেয়নি এই এস-৪০০। ভারতের ‘রক্ষাকবচ’ তথা ‘সুদর্শন চক্র’ হয়ে কাজ করেছে এটি। তাই উত্তরে ভারত-পাক সীমান্তের পর এবার দক্ষিণ ভারতের সুরক্ষাতেও এস-৪০০ বসাতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মোট পাঁচটি এস-৪০০ পুতিনের দেশের থেকে কিনেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত তিনটি ডেলিভারি হয়েছে। বাকি আরও দু’টি। ওই দুটিও খুব শীঘ্রই দিল্লির হাতে তুলে দেবে মস্কো। এছাড়া, আরও ২ এস-৪০০ রেজিমেন্ট অতিরিক্ত কিনতে পারে ভারত, এমন খবরও ঘোরাফেরা করছে। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ ভারতের কেরলে একটি নতুন রেডার কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানেই একটি এস-৪০০ মোতায়েন করা হবে।

    এস-৪০০ এর গুরুত্ব

    রাশিয়ায় তৈরি এই ‘সুরক্ষাকবচ’ আধুনিক যুদ্ধে বিশ্বের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অন্তত ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করতে পারে ‘সুদর্শন চক্র’। ৩৮০ কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আপাতত ভারতের চারটি জায়গায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। এস-৪০০ রাশিয়ার তৈরি দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। যা অত্যাধুনিক রেডার ব্যবহার করে আকাশে হুমকি শনাক্ত এবং ট্র্যাক করে, তারপর তা ধ্বংস করার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এটি একটি বহু-স্তরযুক্ত ব্যবস্থা যার বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা বিমান এবং ড্রোন থেকে শুরু করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত লক্ষ্যবস্তুকে কভার করে।

    কেন দক্ষিণ ভারতে প্রয়োজন এস-৪০০

    এদিকে, ভারতীয় বায়ুসেনা কেরলের কোঝিকোড় জেলার চালিয়ামে একটি উন্নত রেডার কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। ৪০ একর জমির এই কেন্দ্রটি বেয়পুর বন্দরের নিকটে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক প্রকল্পের অংশ। এখানে এমন রেডার স্থাপন করা হবে যা যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এটি আইএএফ-এর সার্বভারতীয় নজরদারি ব্যবস্থার (IACCS) সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাম্বানটোটা বন্দরসহ ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ভারতের প্রতিরক্ষা জোরদার করার এই পরিকল্পনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ভারত মহাসাগরে চিনের তৎপরতা বৃদ্ধি

    ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আবহে যখন বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, ঠিক সেই সময় ভারত মহাসাগরে নতুন করে কারসাজি শুরু করেছে চিন। সাম্প্রতিক সময়ে চিনের সন্দেহজনক সামরিক গতিবিধি ভারতীয় গোয়েন্দা এবং প্রতিরক্ষা মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ভারতের কেরলে প্রথমবার বসানো হচ্ছে এক অত্যাধুনিক এবং উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন রেডার। যার মাধ্যমে নজর রাখা যাবে চিনা উপস্থিতির উপর। কেরলের কোঝিকোড় জেলার বেপোর সংলগ্ন চালিয়ামে ভারতীয় বায়ুসেনা এই শক্তিশালী রেডারটি স্থাপন করেছে। এর ফলে গ্বদর (পাকিস্তান) এবং হাম্বানোটাটা (শ্রীলঙ্কা) বন্দরের উপরে সরাসরি নজরদারি চালাতে পারবে ভারত। জানা গিয়েছে, চিন ইতিমধ্যেই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরকে ৯৯ বছরের জন্য লিজে নিয়ে সেখানে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং গুপ্তচর জাহাজ পাঠিয়ে রেখেছে, যা ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’-এর আড়ালে একটি সুপরিকল্পিত সামরিক তৎপরতা বলে মনে করছে ভারত।

    এস-৪০০-এ ভরসা ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের সময় এস-৪০০ মোতায়েনের ফলে ভারতের কোনও ক্ষতি না করেই কার্যকরভাবে পাক হুমকির সফল মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে সেনা। তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আশা, ভবিষ্যতের আকাশ হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে এস-৪০০ (S-400 in South India)। ভারতের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এর সামরিক সম্পদ এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এস-৪০০-তে জ্যামিং প্রযুক্তিকে ঠেকানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। লক্ষ্যে আঘাত হানতে ছোট রেডার প্রযুক্তি রয়েছে। একটি কমান্ড এবং একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র রয়েছে। ভারত, রাশিয়া, চিন, তুরস্ক, বেলারুসের মতো দেশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে। চিন এবং পাকিস্তানকে ঠেকাতে রাশিয়ার থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি কেনে ভারত। ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর সেই মতো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সবমিলিয়ে খরচ পড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

    চিনকে মাত দিতে ভারতের চাল

    চিনের যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ভারতের রেডার নেটওয়ার্ককে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে—সত্যিই কি এস-৪০০ রেজিমেন্টগুলোর একটি কেরলে মোতায়েন করা হবে? যদি তাই হয়, তবে এটি চালিয়ামের প্রস্তাবিত রেডার কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভারতের আকাশ ও সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

LinkedIn
Share