Author: ishika-banerjee

  • Jaish-e-Mohammed: নাম বদল জইশ-ই-মহম্মদের! নয়া পরিচয়ের নেপথ্যে কারণগুলি জানেন?

    Jaish-e-Mohammed: নাম বদল জইশ-ই-মহম্মদের! নয়া পরিচয়ের নেপথ্যে কারণগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে নামই বদলে ফেলল পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নাম হচ্ছে আল-মুরাবিতুন। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘ইসলামের রক্ষক’। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের ভাই ইউসুফ আজহারের ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ উন্মোচনের সময় থেকে সংগঠনের নতুন নামটি ব্যবহার করা হবে। একে তো আন্তর্জাতিক নজরদারি। তার উপর নিষেধাজ্ঞা। জোড়া ধাক্কায় অর্থ সংগ্রহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই নাম বদল জইশের।

    কেন নাম পরিবর্তন

    সংগঠনের নয়া নামকরণ একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা, ২৬/১১ মুম্বই হামলা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উরি ও পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর উপর হামলার জন্য দায়ী জঙ্গি গোষ্ঠী ‘জইশ-ই-মহম্মদ’। গোটা বিশ্বেই এই সংগঠন নিষিদ্ধ। ফলে অতি পরিচিত জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) নামে তহবিল সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ছে। পাকিস্তানও মুখরক্ষায় প্রকাশ্য়ে এই সংগঠনকে সহায়তা করতে পারে না। এইসব অসুবিধা দূর করতেই জইশের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তহবিল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) জুলাইয়ের এক প্রতিবেদনে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মুখোমুখি তহবিল চ্যালেঞ্জের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এফএটিএফ জানিয়েছে যে, জইশ এখন ডিজিটাল পেমেন্ট, অর্থাৎ ই-ওয়ালেট এবং ইউপিআই ট্রান্সফার ব্যবহার করে নিজেদের পুনর্গঠনে অর্থ ব্যবহার করছে।

    কবে থেকে পরিবর্তিত নাম ব্যবহার

    আগামী সপ্তাহে মাসুদ আজহারের নিহত ভাই ইউসুফ আজহারের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেও জইশের (Jaish-e-Mohammed) বদলে উদ্যোক্তা হিসেবে আল-মুরাবিতুন নামটির ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রাণ কেড়েছিল মাসুদ আজহারের ভাইয়ের। আগামী সপ্তাহে পেশোয়ারের মারকাজ শাহিদ মুকসুদাবাদে ইউসুফ আজহারের এই স্মরণসভা হবে। সূত্রের খবর, সেখানে জইশের শীর্ষ কমান্ডার ও নেতারা উপস্থিত থাকবে। সেখানে নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। তবে শুধুমাত্র পাকিস্তানেই এই নয়া নামে কাজ করবে তারা। এফএটিএফ অনুসারে, এখন পর্যন্ত পাঁচটি ই-ওয়ালেট শনাক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিটিরই জঙ্গি গোষ্ঠী এবং প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ওই সংগঠনের লক্ষ্য হল প্রায় চার বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা সংগ্রহ করা- যাতে ৩০০ টিরও বেশি ‘মারকাজ’ অর্থাৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা কেন্দ্র স্থাপন করা যায়। আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গিগোষ্ঠীদের মদতদাতা পাক সরকারকে বাঁচানোও নাম পরিবর্তনের আর একটি কারণ বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

    পাকিস্তানকে বাঁচাতেই নাম বদল

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি সরিয়ে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে নিয়ে যাচ্ছে বলে ভারতের গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ফলে নতুন করে ঘাঁটি তৈরির ক্ষেত্রে ওইসব এলাকাকে আর নিরাপদ বলে মনে করছে না জঙ্গি সংগঠনগুলি। সেই কারণেই কৌশলগত ও অবস্থানগতভাবে নিরাপদ খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশকে তারা বেছে নিয়েছে। আর এই ডেরা স্থানান্তরের কাজে পাকিস্তানের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলেও ভারতের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সূত্রের খবর, খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের মানসেহরা জেলায় অবস্থিত গারহি হাবিবুল্লা শহরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন জঙ্গি নিয়োগের লক্ষ্যে একটি শিবির করে জয়েশ। সেই শিবিরে এসেছিল মাসুদ আজহার ঘনিষ্ঠ শীর্ষ কমান্ডার মৌলানা মুফতি মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি। জইশের সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গেই নতুন নিয়োগের সেই শিবির পাহারা দিতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তান পুলিশকেও।

  • India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্রে পর পর সাফল্যের পর এবার ক্রিকেট মাঠেও পাকিস্তানকে (India vs Pakistan) কার্যত ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর, এশিয়া কাপ ২০২৫-এ পাকিস্তানকে টানা দু’বার হারিয়ে ক্রিকেট যুদ্ধেও জয়ী ভারত। তবে শুধু ব্যাট ও বলেই নয়, কথিত ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ যুদ্ধ’-এও ভারত দিয়েছে চোখে চোখ রেখে জবাব। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় পেসার অর্শদীপ সিং পাকিস্তানের হারিস রউফকে পাল্টা এক ইঙ্গিত দেন। এই ‘জবাব’-কে ভক্তরা বলছেন পাকিস্তানের আগ্রাসী বার্তার যোগ্য প্রত্যুত্তর।

    পাকিস্তানের আগ্রাসী ভঙ্গি ও ভারতের শান্ত-তীক্ষ্ণ জবাব

    ২১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সুপার ফোর ম্যাচে পাক পেসার হারিস রউফ দর্শকদের ভিড় থেকে “কোহলি-কোহলি” ধ্বনি শুনে মেজাজ হারিয়ে ‘ফাইটার জেট ক্র্যাশ’-এর ভঙ্গিতে ভারতের দিকে কটাক্ষ ছোড়েন। তিনি হাত দিয়ে ‘৬-০’ দেখিয়ে দাবি করেন মে মাসের চারদিনের সংঘর্ষে পাকিস্তান ৬টি ভারতীয় জেট গুলি করে নামিয়েছে। যদিও বাস্তবে তা শুধুই প্রোপাগান্ডা। অন্যদিকে, পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহান ব্যাটকে ‘একে-৪৭’-এর মতো তুলে ধরে ভারতীয় ডাগআউটের দিকে ‘গোলাগুলি’র ভঙ্গি করেন। এই কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের মৌলবাদী মানসিকতার প্রতিচ্ছবি বলেই অনেকের অভিমত। ভারতের ব্যাটসম্যান শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা জবাব দেন ব্যাটে-বলে। ১৭২ রানের টার্গেট ৬ উইকেট হাতে রেখেই তুলে নেয় ভারত। ম্যাচ শেষে অর্শদীপ সিংয়ের ‘বিমান ভেঙে পড়া’র ইঙ্গিত মুহূর্তে ভাইরাল হয়। পাকিস্তানের আগ্রাসনকে ব্যঙ্গ করে দেওয়া এই সাইনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ড করে।

    সীমান্তে পাকিস্তানের বিপর্যয়

    ৭ মে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনার সম্মিলিত অভিযানে পাকিস্তান এবং পিওকে-র (India vs Pakistan)  ন’টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন-এর মতো সংগঠনের শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। সরাসরি আক্রমণের পাশাপাশি ভারত সুনির্দিষ্ট উপগ্রহ চিত্র ও তথ্য দিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যে প্রচার ভেঙে দেয়। লস্কর এবং জইশের শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেরাই তাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে, যা ভারতের তথ্যভিত্তিক কূটনৈতিক জয়ের অন্যতম নিদর্শন। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (S-400 ও আকাশতীর সিস্টেম) কারণে পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক ড্রোন ও মিসাইল হামলা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

    ‘ভারতের সাংকেতিক ভাষা’ বনাম ‘পাকিস্তানের প্ররোচনা’

    পাকিস্তানের (India vs Pakistan) বোলাররা যেখানে স্লেজিং, অঙ্গভঙ্গি ও মৌলবাদী ভঙ্গিমায় মাঠকে উত্তপ্ত করতে চেয়েছিল, ভারতীয় দল তাদের খেলায় এবং সূক্ষ্ম বার্তায় তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়। অর্শদীপের ছোট্ট কিন্তু মারাত্মক ‘সংকেত’-ই বুঝিয়ে দিয়েছে— ভারত এখন শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, প্রতিরোধেও সিদ্ধহস্ত। যুদ্ধ হোক বা খেলা— ভারত জানে কখন, কোথায়, কীভাবে জবাব দিতে হয়। অপারেশন সিঁদুর থেকে দুবাইয়ের ক্রিকেট মাঠ সর্বত্রই ‘চক দে ইন্ডিয়া’

    এশিয়া কাপ ফাইনাল, ভারত বনাম পাকিস্তান!

    চলতি এশিয়া কাপ ফাইনালে পৌঁছনোর দৌড়ে এখন মূলত রয়েছে তিনটি দল – ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান। পাকিস্তানের (India vs Pakistan) কাছে পরাজয়ের পরে শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছে। সুপার ফোরে ওঠা বাকি সবকটি দল ১টি করে ম্যাচ জিতে ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার খাতায় এখনও শূন্য। তবে তাদের হাতে একটি ম্যাচ রয়েছে। এদিকে আজ, বুধবার ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ হবে। এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবে। সেই অর্থে, আজকের ম্যাচটি ভারত বা বাংলাদেশের জন্য নকআউট না হলেও ‘সেমিফাইনাল’। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে তাদের যাত্রা শুরু করেছে। ভারত পাকিস্তানকে পরাজিত করে ২ পয়েন্ট অর্জন করেছে, সঙ্গে ভারতের এখন নেট রান রেট +০.৬৮৯। আজ সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ভারত। বাংলাদেশেরও এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কারে হারিয়েছিল। এদিকে সলমন আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট দল দুটি ম্যাচ খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে। এদিকে সুপার ফোর পর্বে নিজেদের পরবর্তী এবং শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালেই পাকিস্তানও উঠে যাবে ফাইনালে। তাই বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই রবিবার, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এশিয়া কাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।

     

     

     

     

     

  • BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দিওয়ালি, কালীপুজো উৎসবের মরসুমেও সতর্ক ভারতীয় সেনা। আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর নতুন ড্রোন ওয়ারফেয়ার স্কুল (newly established Drone Warfare School) থেকে প্রথম ব্যাচের ৪৭ জন জওয়ান ড্রোন কমান্ডো হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করে পাস আউট করবেন। মধ্যপ্রদেশের টেকানপুরে (Tekanpur, Madyapradesh) এখন তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (Border Security Force) ৪৭ জন কমান্ডো অফিসারের প্রশিক্ষণ চলছে সেখানে। এই প্রশিক্ষণ অবশ্য ভিন্ন ধরনের। কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ড্রোন পরিচালনার কৌশল শেখানো হচ্ছে তাঁদের (Drone Commandos)।

    ড্রোন নিয়েই লড়বেন কমান্ডোরা

    বিএসএফের ওই অ্যাকাডেমির অতিরিক্ত ডিজি শামশের সিং জানিয়েছেন, শত্রুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জওয়ান, অফিসারেরা রাইফেল, লাইট মেশিনগান ব্যবহার করে থাকেন। এবার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ৪৭ কমান্ডো অফসার লড়াই করবেন ড্রোন নিয়ে। তাঁদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে। লড়াইয়ের সময় ড্রোনকে তারা শত্রুর বিরুদ্ধে কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ব্যবহার করবেন। তারই প্রশিক্ষণ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিএসএফ সূত্রে বলা হচ্ছে, ড্রোন কমান্ডার নিয়ে ভাবনাচিন্তার শুরু অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর। ওই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা হল, যুদ্ধের কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। তাই বিমান বাহিনীর মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও ড্রোন লড়াইয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ট্রেনিং সেন্টারে যে ৪৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দুর্গাপুজো বা নবরাত্রির মধ্যে সীমান্তে তাঁদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নবরাত্রির (Navaratri) একদিন সীমান্তে সেনা, সীমান্ত রক্ষীদের শিবিরে কাটান। বিএসএফের যে কোনও সীমান্ত পোস্টে তিনি ড্রোন কমান্ডোদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন।

    ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক

    ইতিমধ্যেই জওয়ান এবং আধিকারিকদের জন্য ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে বিএসএফ ৷ তার ফলে এখন থেকে বাহিনীর ২ লাখ ৭০ হাজার সদস্যকেই ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে হবে ৷ পাশাপাশি শত্রুদের দিক থেকে আসা ড্রোন কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সেটাও শিখতে হবে তাঁদের ৷ অপারেশন সিঁদুরের পর বাহিনীর কর্তাদের মনে হয়েছে আধুনিক পৃথিবীতে সামরিক সংঘাতের গতি-প্রকৃতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে বিএসএফের জওয়ান থেকে শুরু করে সকলেরই ড্রোন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা আবশ্যক ৷ আর তাই মধ্যপ্রদেশে বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেখানে ড্রোন সংক্রান্ত কৌশল শেখাতে একটি বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে একমাত্র বিএসএফেরই নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে ৷

    ড্রোন প্রশিক্ষণের নানা পদ্ধতি

    নতুন ড্রোন যুদ্ধবিদ্যা স্কুলে জওয়ানদের ড্রোন ওড়ানো, নজরদারি, আক্রমণ এবং শত্রুপক্ষের ড্রোন প্রতিরোধের কৌশল শেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে সিনিয়র অফিসারদের জন্যও ড্রোন যুদ্ধকৌশল সংক্রান্ত একটি বিশেষ কোর্স চালু করা হবে। শামশের সিং বলেন, “অপারেশন সিন্দুর এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে যুদ্ধ শুধু ট্যাঙ্ক আর রাইফেলের নয়, এখন এটি আকাশপথেও হচ্ছে। আমাদের জওয়ানরা যেমন মাত্র ১৫ সেকেন্ডে একটি ইনসাস রাইফেল খুলে আবার জোড়ার দক্ষতা রাখে, তেমনি আমরা চাই ড্রোনকেও তারা যেন তাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।” এই স্কুলে দুটি মূল প্রোগ্রাম চালু হয়েছে— ‘ড্রোন কমান্ডো’ (জওয়ানদের জন্য) এবং ‘ড্রোন ওয়ারিয়র’ (অফিসারদের জন্য)। স্কুলটি তিনটি শাখায় বিভক্ত— ফ্লাইং অ্যান্ড পাইলটিং, ট্যাকটিক্স (প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ কৌশল) এবং গবেষণা ও উন্নয়ন। প্রশিক্ষণের বিষয়ে স্কুলের ট্রেনিং প্রধান ব্রিগেডিয়ার রুপিন্দর সিং জানান, কোর্সে ফ্লাইং, কারিগরি এবং কৌশলগত বিভিন্ন মডিউল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএসএফ অ্যাকাডেমির আইজি উমেদ সিং জানান, সব প্রশিক্ষণ কোর্সেই এখন থেকে ড্রোন সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

  • Kolkata Waterlogging: শহরের বিভিন্ন রাস্তা এখনও জলমগ্ন! কলকাতার আকাশে কখনও রোদ, কখনও মেঘ, পঞ্চমীতে ফের বৃষ্টি?

    Kolkata Waterlogging: শহরের বিভিন্ন রাস্তা এখনও জলমগ্ন! কলকাতার আকাশে কখনও রোদ, কখনও মেঘ, পঞ্চমীতে ফের বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের শুরুতেই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। শহরের কোণায় কোণায় জলযন্ত্রণার ছবি চোখে পড়েছে মঙ্গলবার। বুধবার সকাল থেকে শরতের আকাশে চলছে রৌদ্র-ছায়ার লুকোচুরি। আকাশ কখনও পরিষ্কার, কখনও মেঘলা। তবে বৃষ্টি এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু এখনও শহরের বহু রাস্তা জলের তলায়। অলি-গলির ভিতর জল জমে রয়েছে। গতকাল জলমগ্ন শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও জলে ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আজ আবহাওয়া কেমন থাকে তার ওপর নির্ভর করবে শহরের জলছবি।

    শহরের কোথায় কোথায় এখনও জল

    রোদ উঠেছে কলকাতার আকাশে। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে নতুন করে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি কলকাতা এবং শহরতলিতে। তবে রাতেও জল জমেছিল কলকাতার বহু অঞ্চলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একটি অংশে এখনও রয়েছে জল। গতকাল পার্ক সার্কাসের রাস্তায় জল থইথই করছিল। পার্ক সার্কাসের একটা অংশে জল এখনও নামেনি। এদিকে পাটুলিতেও জল রয়েছে রাস্তায়। এছাড়া মুকুন্দপুরের চিত্রটাও প্রায় এক। গতকাল মিন্টো পার্ক অঞ্চলে এজেসি বোস রোড জলের তলায় চলে গিয়েছিল। সেখানে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। আজও সেখানে জল পুরোপুরি নামেনি সকালের দিকে। এদিকে চিংড়িঘাটা বা সল্টলেকের বেশ কিছু জায়গায় জল নেমেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উত্তরের শহরতলিতেও বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় জল জমেছিল গতকাল। সেই জল নেমেছে। এদিকে অঘটন এড়াতে জল না-নামা পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় পথবাতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গতকাল। এছাড়া স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ (এমজি রোড ক্রসিং থেকে গিরিশ পার্ক), বিবেকানন্দ রোড, এপিসি রোড, জেএম অ্যাভিনিউতে জল নেমেছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।

    জল না নামায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ

    বুধবার সকালেও পাটুলিতে দেখা গেল, হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট গুটিয়ে জল ডিঙিয়ে হেঁটে চলেছেন বাসিন্দারা। জল কতক্ষণে নামবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কলকাতা পৌরনিগম জানায়, দিনরাত কাজ করছেন পৌরনিগমের কর্মীরা। পাম্পের সাহায্যে জল নামানোর কাজ চলছে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমন জলযন্ত্রণার ছবি তাঁরা আগে দেখেননি। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরও জল না কমায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। পুজোর মুখে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। আজ ফের বৃষ্টি হলে শহরের পরিস্থিতি কী হবে, তা ভেবেই শঙ্কায় শহরবাসী।

    পুজোর আগে আবার বৃষ্টি

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বুধবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা অবশ্য সেই পাঁচ জেলার মধ্যে নেই। কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে বাঁকুড়া পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও। প্রায় ৪৭ বছর আগে, ১৯৭৮ সালের এই সেপ্টেম্বর মাসেই ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় প্রায় ৩৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।তার জেরে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশে । ১৯৮৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় প্রায় ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় হওয়া বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৭৪.৪ মিলিমিটার। আর সোমবার রাতে বৃষ্টির পরিমাণ ২৫১.৪ মিলিমিটার।

    শহরবাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন দুর্গাপুজোর মুখে অসুররূপী বৃষ্টি কি সব আনন্দ মাটি করে দেবে?

  • Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    Imran Khan: ‘‘ভারতকে হারাতে ওপেনে নামুক নকভি আর মুনির’’! এশিয়া কাপে শাহিনদের ‘টোটকা’ জেলবন্দি ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক ক্রিকেটকে খোঁচা দিলেন সেদেশের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান (Imran Khan)। ক্রিকেট মাঠে ভারতকে কী করে পাকিস্তান হারাতে পারবে, জেলে বসেই তার উপায় বাতলে দিলেন ইমরান। তিনি বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এবং পাক সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরের ব্যাট হাতে ওপেন করতে নামা উচিত। তা হলেই পাকিস্তান হারাতে পারবে ভারতকে!

    নকভির অযোগ্যতার ফল ভুগছে পাক ক্রিকেট

    একাধিক মামলায় আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সোমবার ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বোন আলিমা খান। তারপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলিমা জানান, “ইমরান বলছে, ভারতকে হারাতে গেলে একটাই পথ রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। সেটা হল, মুনির আর নকভি একসঙ্গে ওপেন করুক। তবে সেটুকুই যথেষ্ট নয়। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কাজি ফৈয়জ ইসা এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান রাজাকে ওই ম্যাচের আম্পায়ার হতে হবে। ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার হবেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগার।” ১৯৯২ সালের পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান মনে করেন, নকভির অযোগ্যতা এবং স্বজনপোষণই পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্দশার কারণ।

    মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন

    ইমরান মনে করেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ -এর ভরাডুবির কারণ জেনারেল মুনির। তাঁর বিশ্বাস, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইশা এবং মুখ্যনির্বাচন আধিকারিক রাজার সাহায্যেই মুনির তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। ২০২৩-এর অগাস্ট থেকে ইমরান জেলবন্দি। প্রসঙ্গত, পাক সেনার রোষের মুখে পড়ে গদি হারাতে হয়েছিল ইমরানকে। এর পরেই তাঁর ঠাঁই হয় জেলে। দু’বছর পার হয়ে গেলেও জেলমুক্তি ঘটেনি ইমরানের। বরং একের পর এক নয়া মামলা চেপেছে তাঁর উপর। ইমরানের মুক্তি চেয়ে কিছুদিন আগেও পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল তাঁর দল পিটিআই। যদিও তাতে বিশেষ ফল হয়নি। নিষ্ঠুরভাবে সেই বিদ্রোহ দমন করে সরকার।

    স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস

    দিনকয়েক আগেই মুনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন ইমরান। জেলে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির উপর মানসিক নির্যাতন করছেন পাক সেনাপ্রধান, এমনটাই দাবি করেছিলেন ইমরান। অন্যদিকে স্বজনপোষণ করে পাক ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছেন পিসিবি প্রধান তথা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকভি, এমনটাও বারবার বলেছেন পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর অভিযোগ, ইসা এবং রাজার মদতে ২০২৪ সালের পাক নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছিল। তাই একসঙ্গে সকলকে বিঁধেছেন ইমরান খান। মাঠে ভরাডুবি, মাঠের বাইরে চরম বিতর্ক। আর এতকিছুর ভিড়ে ফের একবার আলোচনায় পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক, কিংবদন্তি অলরাউন্ডার, দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো দলনেতা ইমরান খান (Imran Khan)। এবার জেল থেকে ছুড়লেন তির। লক্ষ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মসনদ। ব্যঙ্গের সুরে জানালেন—ভারতকে হারাতে চাইলে পাকিস্তানের জার্সিতে ওপেনিংয়ে নামতে হবে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি (Mohsin Naqvi) আর আর্মি চিফ আসিম মুনিরকে (Asim Munir)। এ ছাড়া টিম ইন্ডিয়াকে কুপোকাত করার অন্য কোনও গতি নেই।

  • Airspace Ban on Pakistan: পাকিস্তানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভরত

    Airspace Ban on Pakistan: পাকিস্তানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভরত

    মাধ্যম নিউ ডেস্ক: পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা (Airspace Ban on Pakistan) বন্ধই রাখল ভারত। এই নিয়ে একটি নতুন নোটাম (NOTAM) জারি করে ভরত আবারও পাকিস্তানের-নিবন্ধিত বিমানের আকাশসীমা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। জারি করা নোটাম অনুসারে, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সের বিমানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে না, বরং পাক অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত বিমান বা ভাড়া করা বিমান এমনকি সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

    পাক বিমানের জন্য ভারতের আকাশসীমা বন্ধ

    আবারও পাকিস্তানের-নিবন্ধিত বিমানের (Airspace Ban on Pakistan) আকাশসীমা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। জারি করা NOTAM অনুসারে, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সের বিমানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে না, বরং পাকিস্তানি অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত বিমান বা ভাড়া করা বিমান এমনকি সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ভিসা। এই আবহে পাকিস্তানের জন্য বন্ধ করা হয়েছে আকাশসীমা।

    আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি

    পহেলগাঁও হামলার পরেই ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করেছিল পাকিস্তানও। সেই মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে ইসলামাবাদ। এই নিয়ে ছ’বার ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তান। শুক্রবারই নতুন করে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ (Airspace Ban on Pakistan) রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে ইসলামাবাদ। এই নিয়ে একটি নতুন নোটাম (NOTAM) জারি করে পাকিস্তান এয়ারপোর্ট অথরিটি। ওই নোটাম বা নোটিস টু এয়ারম্যানে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই সময় পর্যন্ত ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের ওপর দিয়ে যেতে পারবে না। এবার ভারতও একই সিদ্ধান্ত নিল। এই নিয়ে ষষ্ঠবার দুই দেশ একে অপরের জন্য আকাশসীমা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল। উল্লেখ্য,গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এর পর থেকেই উভয় দেশ একে অপরের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে ভারত ও পাকিস্তান প্রতি মাসে পারস্পরিক বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের দিন বিমানবন্দরে কেন আটকানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চাইল লোকসভার সচিবালয়। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল? এবার তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যকে রিপোর্ট তলব করবে। ১৫ দিনের মধ্যে এই নিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তুলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ করেছে লোকসভার সচিবালয়। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে।

    সুকান্তর অভিযোগ

    ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বিমানবন্দরে প্রথম ব্যারিকেডেই তাঁর গাড়ি আটকান একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন কনস্টেবল। কিন্তু, একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়িকে ৪ নম্বর ভিভিআইপি গেট দিয়ে যেতে দেওয়া হয়। কোনও বাধাই দেওয়া হয়নি। সুকান্ত চিঠিতে আরও লেখেন, তাঁকে আটকানোর কারণ জানতে চাইলে ওই পুলিশকর্মীরা জানান, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ঐশ্বর্য সাগরের নির্দেশে এই কাজ করেছেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, এতে স্পষ্ট যে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে আটকানো হয়েছে। স্বাধিকার ভঙ্গ ও লোকসভার মর্যাদাহানির অভিযোগ করেন তিনি। এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।

    শোকপ্রকাশ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

    মঙ্গলবার সকালে জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই শোকের সময় নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি জানাই আমার আন্তরিক সমবেদনা।’’ সেই সঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে অনুরোধ করেছেন, সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু করতে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছেও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

  • Rain in Kolkata: এখনই স্বস্তি নেই! সপ্তাহভর বৃষ্টির পূর্বাভাস, জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

    Rain in Kolkata: এখনই স্বস্তি নেই! সপ্তাহভর বৃষ্টির পূর্বাভাস, জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মুখে বানভাসি কলকাতা! হাতে আর কটা দিন, শুরু হয়ে গিয়েছে দেবীপক্ষ। কিন্তু নিম্নচাপ পিছু ছাড়ছে না। পুজোর মরসুমে কাঁটা বৃষ্টি ৷ নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় বঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস ৷ শারদোৎসবের সময় এমন নজিরবিহীন বৃষ্টি আগে দেখেনি কলকাতা। সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণ চলছে মঙ্গলবার সকালেও। বৃষ্টি চলবে বুধবারও। অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলের মাঝামাঝি এলাকা বরাবর বঙ্গোপসাগরের বুকে একটি নিম্নচাপ গতকাল থেকে আকার নেওয়া শুরু করেছে। আগামিকালের মধ্যে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার আগেই অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের মাঝে কোনও অংশে তা স্থলভাগের প্রবেশ করে যাবে।

    কলকাতায় মেঘভাঙা বৃষ্টি

    আবহবিদরা বলছেন, পাহাড়ের মেঘভাঙা বৃষ্টি দেখা গেল মহানগরে। সাধারণভাবেই টানা ১ ঘণ্টা ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলেই সেটিকে ‘ক্লাউডবার্স্ট’ বা মেঘভাঙা বৃষ্টির তকমা দিয়ে থাকে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার সেই বৃষ্টিরই সাক্ষী থাকল কলকাতা। মোট ৭ জায়গায় টানা ১ ঘণ্টা ধরে চলল ১০০ মিলিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাত। বেশ কয়েকটি জায়গায় আবার মাত্র দু-তিন ঘণ্টায় বৃষ্টি হল ২০০ মিলিমিটারেরও অধিক। সোমবার রাত ১২টা থেকে শহরে শুরু হয় হালকা বৃষ্টিপাত। কিন্তু রাত গভীর হতেই বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বৃষ্টির তেজ খানিক কমলেও, হাওয়া অফিস বলছে, এটা আসলে ‘ইনিংস ব্রেক’। বানভাসি কলকাতায় রয়েছে আরও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলার অদূরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ। তার প্রভাবেই মঙ্গলে ভাসল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতা সংলগ্ন একাধিক এলাকা। ওই নিম্নচাপের জেরেই জল ভরে মেঘ ভেসে ভেসে ঢুকে পড়ছে বাংলায়। আর তারপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে বৃষ্টিপাত। আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ফের বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলেই পূর্বাভাস। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, যদি আবার বৃষ্টি হয়, তা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি না হলেও শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

    বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যু

    দুর্যোগের সকালে কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যুর খবর মিলছে। মঙ্গলবার সকালে একবালপুরের হোসেন শাহ রোডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। পাশাপাশি নেতাজিনগর এবং বেনিয়াপুকুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। গড়িয়াহাটেও এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। গড়ফাতেও এক সাইকেল আরোহীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।

    পুজোতে ফের নিম্নচাপ

    পূর্বাভাস অনুযায়ী, উৎসব মুখর শহরে বৃষ্টি চলবে। ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নাগদ পূর্ব-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নতুন নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার জোরালো ইঙ্গিত রয়েছে। এই নিম্নচাপটির পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে গিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দক্ষিণ ওড়িশা-উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে উত্তর-পশ্চিম ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে এবং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি এবং কিছু কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যে নিম্নচাপটি ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে, তার ব‍্যাসার্ধ ৭০০ কিলোমিটার। তাই কেন্দ্রস্থল থেকে দু’পাশের প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার এলাকার আবহাওয়াকে এই নিম্নচাপটি নিয়ন্ত্রণ করছে। এই নিম্নচাপ কাটলেই আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলের মাঝামাঝি এলাকা বরাবর। সেই নিম্নচাপ ক্রমে পশ্চিমে সরে এসে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের মাঝামাঝি কোনও এলাকা দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে। সেই নিম্নচাপটির ব‍্যাসার্ধও বেশ বড় হবে।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

    আজ মঙ্গলবার বেশিরভাগ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির (৭০-১১০ মিমি) পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দমকা হাওয়া (৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টা) হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝোড়ো হাওয়া (৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টা) বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার বেশিরভাগ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া (৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টা) বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দমকা হাওয়া (৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টা) হতে পারে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দমক হাওয়া (৪-৫০ কিমি/ঘণ্টা) বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া (৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টা) বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শনি ও রবিবার একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। ২৮ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে। ২৯ ও ৩০ তারিখ আবহাওয়া পরিষ্কার থাকতে পারে। তার পর থেকেই ফের পরবর্তী নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে।

  • Heavy Rainfall in Kolkata: রাতভর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ডুবল কলকাতা! পুজোর মুখে চরম ভোগান্তি, বিপর্যস্ত ট্রেন-মেট্রো চলাচলও

    Heavy Rainfall in Kolkata: রাতভর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ডুবল কলকাতা! পুজোর মুখে চরম ভোগান্তি, বিপর্যস্ত ট্রেন-মেট্রো চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর নিরবচ্ছিন্ন অতিবৃষ্টিতে (Rain) বিপর্যস্ত কলকাতা (Kolkata Heavy Rain)। একটানা পাঁচ ঘণ্টা বৃষ্টি! শেষ কবে এরকম দেখেছিল, ভাবছে কলকাতাবাসী। এক ধাক্কায় শহরের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে গলি, চত্বর, সব জায়গায় হাঁটুজল (Kolkata Flooded)। কলকাতা ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বহু বাড়ির একতলা ভেসে গিয়েছে জলে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। কোথাও মণ্ডপ ভেঙে পড়েছে, কোথাও ভেসে গিয়েছে সাজসজ্জার সামগ্রী। অনেকেই বলছেন, সাম্প্রতিক কালে এমন দুর্যোগের সাক্ষী হননি তাঁরা। ফলে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে কি না (Kolkata Weather), তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।

    রাতভর তুমুল বৃষ্টি

    রাতভর টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা এবং শহরতলির স্বাভাবিক জনজীবন। শহরের বহু জায়গা জলের তলায়। ব্যাহত যান চলাচল। অধিকাংশ রাস্তায় যানজটে ভোগান্তি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, ষষ্ঠীর দু’দিন আগে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ তৃতীয়া থেকেই সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রযেছে। তার আগেই সোমবার রাতভর অতিভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরবাসী। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এক রাতে কলকাতায় প্রায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপুজোর আগে এই বৃষ্টি দেখে আতঙ্কিত শহরবাসী। সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও মধ্যরাতের পর তীব্রতা বেড়ে যায়। টানা বৃষ্টিতে দ্রুতই নীচু এলাকাগুলি ডুবে যায়।

    জেলায় জেলায় বৃষ্টি

    হাওয়া অফিস তরফে আরও জানা গিয়েছে, এদিনের বৃষ্টির মূল প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সেই সংলগ্ন জেলায়। প্রভাব পড়েছিল হাওড়া, হুগলিতেও। এছাড়াও দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের আর জেলাগুলিতে জারি হয়েছে হলদু সতর্কতা। এদিকে আজও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলিতে ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই ওই সাতটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    দক্ষিণে বেশি বৃষ্টি

    পুর প্রশাসনের হিসাবে, দক্ষিণ কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতার তুলনায় বেশি। তাই দক্ষিণ শহরতলির জীবনযাত্রা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। মঙ্গলবারও সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলেই অনুমান। তবে ভারী বৃষ্টি নামলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে কলকাতার মানুষের। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। গত তিন ঘণ্টায় কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দেখা গিয়েছে মেঘভাঙা বৃষ্টিপাত। সঙ্গী হয়েছে প্রবল বজ্রবিদুৎ। তার সঙ্গে আবার ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়েছে দমকা হাওয়াও। পুরসভার একটি সূত্রের বক্তব্য, ভোর ৪টে থেকে লকগেট খোলা হয়েছে। তাতে জল নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পুরসভাস লকগেটগুলি বন্ধ থাকবে গঙ্গায় জোয়ার আসার কারণে। ওই সময়ে আবার এমন ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

    ব্যাহত রেল-মেট্রো পরিষেবা

    রেললাইনে জল জমায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। লাইনে জল জমে থাকার কারণে চক্ররেলের আপ এবং ডাউন লাইনের পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন পরিষেবা। একই ভাবে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীরাও। ভারী বৃষ্টির জেরে হাওড়াতেও বেশি রাতের দিকে বেশ কিছু জায়গায় রেল লাইনে জল জমে গিয়েছে। কলকাতার মেট্রো পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে মহানায়ক উত্তম কুমার এবং রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনের মাঝে জল জমে গিয়েছে। সেই কারণে আপাতত শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাঙাপথে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে।

    শহরের নিকাশিব‍্যবস্থা নিয়ে আলোচনা

    সকালের আলো ফোটার পরে বৃষ্টির বেগ কমেছে। কিন্তু বৃষ্টি একেবারে থেমে যায়নি। আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে যে এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই বানভাসি, সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পুর-প্রশাসন ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা শুরু করেছে। কিন্তু জমা জলের পরিমাণ এত বেশি যে, পাম্প চালিয়েও দ্রুত সে জল নামানোর পরিস্থিতি নেই। সময় লাগবে বলে পুর প্রশাসকেরাই জানাচ্ছেন। ফলে বৃষ্টি একেবারে না থামলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনেককেই অতীতের বন্যার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। অনেকেই ১৯৭৮ সালের ভয়াবহ বানভাসি পরিস্থিতির সঙ্গে সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরের তুলনাও করতে শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতার অনেক এলাকায় সেই বন্যার সময়েও জল জমেনি। এ বার জমেছে। যার প্রেক্ষিতে আবার শহরের নিকাশিব‍্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

    ভোর ৫টা পর্যন্ত শহরের কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে  

    কামডহরি(গড়িয়া)- ৩৩২ মিলিমিটারে

    যোধপুর পার্ক- ২৮৫ মিলিমিটার

    কালিঘাট- ২৮০.২ মিলিমিটার

    তপসিয়া- ২৭৫ লিমিমিটার

    বালিগঞ্জ- ২৬৪ মিলিমিটার

    চেতলা- ২৬২ মিলিমিটার

    মোমিনপুর- ২৩৪ মিলিমিটার

    চিংড়িহাটা- ২৩৭ মিলিমিটার

    পামার বাজার- ২১৭ মিলিমিটার

    ধাপা- ২১২ মিলিমিটার

    সিপিটি ক্যানেল- ২০৯.৪ মি.মি

    উল্টোডাঙ্গা- ২০৭ মিলিমিটার

    কুদঘাট- ২০৩.৪ মিলিমিটার

    পাগলাডাঙ্গা‌ (ট্যাংরা)- ২০১ মি. মি

    কুলিয়া (ট্যাংরা)- ১৯৬মি.মি

    ঠনঠনিয়া- ১৯৫ মিলিমিটার

  • PM Modi in Arunachal: কংগ্রেসের সমালোচনা, চিনকে বার্তা! অরুণাচলে হাইড্রো প্রজেক্ট ও ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে উদ্বোধন করে কী বললেন মোদি?

    PM Modi in Arunachal: কংগ্রেসের সমালোচনা, চিনকে বার্তা! অরুণাচলে হাইড্রো প্রজেক্ট ও ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে উদ্বোধন করে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলপ্রদেশের ইটানগরের জনসভা থেকে অরুণাচল ও উত্তর-পূর্বের অনুন্নয়নের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Arunachal)। সোমবার অরুণাচল প্রদেশে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৫,১২৭ কোটিরও বেশি টাকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ১,৮৪০ কিমি দীর্ঘ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে (NH-913)। প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই দুই লেনের হাইওয়ে ঐতিহাসিক ম্যাকমাহন লাইন বরাবর নির্মিত হবে, যা ভারত-চিন সীমান্তকে চিহ্নিত করে। চিনের পক্ষ থেকে এখনও অরুণাচলের কিছু অংশ নিয়ে দাবি তোলা হচ্ছে, এই প্রেক্ষিতে মোদির এই সফর কূটনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    অরুণাচল নিয়ে মোদির অবস্থান

    এদিন ইটানগরে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, অরুণাচল প্রদেশ শুধুমাত্র ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং এটি দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও সরলতার এক অপূর্ব উদাহরণ। এই ভূমি যেন জাতীয় পতাকার গেরুয়া রঙের প্রতিচ্ছবি—অগ্রগামী, উৎসাহী ও দেশপ্রেমে ভরপুর। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্বের কোনও শক্তিই অরুণাচলকে ভারতের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।” চিনের সম্প্রসারণবাদী মনোভাবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, চিন যদি শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তবে সম্প্রসারণের চিন্তা ত্যাগ করে গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Arunachal) বলেন, “আক্ষেপের কথা, সূর্যের কিরণ অরুণাচলে সবার আগে এলেও, বিকাশের কিরণ পৌঁছাতে কয়েক দশক লেগে গেল। এখানে এত সম্পদ, এত দক্ষ মানুষ কিন্তু আগের আমলের দিল্লির শাসকেরা বারবার অরুণাচলকে অবহেলা করেছে। কংগ্রেস ভাবত অরুণাচলে মাত্র দু’টো আসন, তাই এখানে নজর দিয়ে লাভ নেই।’’ তিনি আরও জোড়েন, ‘‘গোটা উত্তর-পূর্বই তাদের এই মনোভাবের জন্য পিছিয়ে পড়েছে। ২০১৪ সাল ক্ষমতায় এসেই আমি প্রথম এই কংগ্রেসের চিন্তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে মন দিই।” তাঁর আরও দাবি, “আমরা ভোট আর আসনের অঙ্ক করি না, আমাদের কাছে দেশই প্রথম। আমাদের মন্ত্র নাগরিক দেব ভব! যাঁদের কেউ কখনও পাত্তা দেয়নি, মোদী তাঁদের পুজো করে। বিস্মৃত উত্তর-পূর্ব এখন উন্নয়নের কেন্দ্র। বিজেপির আমলে আট শতাধিকারবার কেন্দ্রের মন্ত্রীরা এখানে এসেছেন। রাত কাটিয়েছেন। আমি নিজেও সত্তর বারের বেশি এসেছি। আট রাজ্যকে অষ্টলক্ষ্মী হিসেবে পুজো করে বিজেপি এখানকার উন্নয়নের বরাদ্দ বাড়িয়ে এক লক্ষ কোটি করা হয়েছে।’’

    মেড ইন চায়না নয় ঘরের জিনিস কিনুন

    চিনের বরাবরের দাবি তাওয়াং-সহ অরুণাচলের উপরে। প্রধানমন্ত্রী এক দিকে অরুণাচলবাসীর তীব্র দেশপ্রেমের কথা উল্লেখ করলেন বারবার। সেই সঙ্গে তাওয়াং থেকে শুরু করে রাজ্যের সব শহরের বাজারে ভরে থাকা ‘মেড ইন চায়না’ সামগ্রী বাদ দেওয়ার অনুরোধও রাখলেন, নাম না করেই। তিনি এ দিন সভার আগে স্থানীয় দোকানদার, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশা, দাবি, প্রতিক্রিয়া জেনে নেন। পরে সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নবরাত্রির প্রথম দিনেই জিএসটি উৎসবের সূচনা হল অরুণাচল থেকে। জিএসটি কমায় রান্নাঘরের সামগ্রী, বাচ্চাদের পড়ার জিনিস, কাপড়, জুতো সস্তা হল। এখন আপনারা নিশ্চিন্তে নতুন বাড়ি বানান। বাইক কিনুন। বেড়াতে যান। খেতে যান। এখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের উৎসাহ অনুভব করতে পেরেছি।’’ উল্লেখ্য, জিএসটির নতুন হার বলবৎ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম জনসভা করলেন অরুণাচলপ্রদেশের রাজধানী ইটানগরে। বলাই বাহুল্য, ভাষণের অনেকটা জুড়েই থাকল জিএসটি কমার সুফলগাথা ও স্বদেশী জিনিস ব্যবহারের আহ্বান।

    অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে, কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি

    আজ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Arunachal) যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে। এই হাইওয়ে পশ্চিমে তাওয়াং জেলার নাফরা থেকে শুরু হয়ে পূর্বে চাংলাং জেলার বিজয়নগর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। এটি কেবলমাত্র সীমান্তে সেনাবাহিনীর দ্রুত চলাচলকে সহজতর করবে না, বরং পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের জন্য বহু প্রতীক্ষিত সংযোগের সুযোগ এনে দেবে।

    হাইড্রো পাওয়ার-এর অগ্রগতি

    ইটানগরে প্রধানমন্ত্রী ৩,৭০০ কোটির দুইটি প্রধান জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। হেও (Heo) হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট (২৪০ মেগাওয়াট) ও তাটো-I (Tato-I) হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট (১৮৬ মেগাওয়াট)। এই দুটি প্রকল্প সিয়ম (Siyom) নদীর উপ-খাতে অবস্থিত এবং এর মাধ্যমে রাজ্যের হাইড্রো পাওয়ার সম্ভাবনা কাজে লাগানো হবে, যা ভারতের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে অরুণাচলের বিপুল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং টেকসই শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ করা হবে। পাশাপাশি, এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে বলে কেন্দ্রের আশা।

    তাওয়াং-এ পর্যটন ও সংস্কৃতির উন্নয়নে আধুনিক কনভেনশন সেন্টার

    তাওয়াং-এ প্রায় ৯,৮২০ ফুট উচ্চতায় একটি আধুনিক কনভেনশন সেন্টারের শিলান্যাস করেন মোদি। যেখানে একসঙ্গে ১,৫০০ প্রতিনিধি বসতে পারবে। এটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহৃত হবে এবং এই সীমান্ত জেলার পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যেগুলির মোট মূল্য ১,২৯০ কোটি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে: যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ, ফায়ার সেফটি সিস্টেম, কর্মরত নারীদের জন্য হোস্টেল। এই প্রকল্পগুলি অরুণাচলের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করবে, বলে বিশ্বাস উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের।

    চিনের জন্য কূটনৈতিক বার্তা?

    চিন বর্তমানে তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে মেডোগ হাইড্রো প্রজেক্ট নির্মাণ করছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হতে চলেছে। এতে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেরও জলনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। মোদির সফরকে তাই বিশেষজ্ঞরা চিনের প্রতি একটি “নীরব কৌশলগত বার্তা” হিসেবে দেখছেন। এদিন অরুণাচল প্রদেশের শি ইয়োমি জেলার চিন সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলে দুইটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সোমবার এই প্রকল্পগুলির সূচনা করে তিনি বলেন, “ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল লাভ পাচ্ছে উত্তর-পূর্ব।” চিন সীমান্ত সংলগ্ন অরুণাচলের প্রায় ৪৫০টি গ্রামের উন্নয়নে কেন্দ্র বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান মোদি।

    ‘লাস্ট ভিলেজ’ নয় ‘ফার্স্ট ভিলেজ’ 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে যেসব সীমান্তবর্তী গ্রামকে ‘লাস্ট ভিলেজ’ বলে অবজ্ঞা করা হত, আজ সেগুলিকে ‘ফার্স্ট ভিলেজ’ হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নের মূলস্রোতে যুক্ত করা হয়েছে। ভাইব্রেন্ট ভ্যালেজেস প্রোগ্রাম-এর অধীনে অরুণাচলের ৪৫০টিরও বেশি সীমান্ত গ্রামে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, রাস্তা ও অন্যান্য মৌলিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এখন এই এলাকাগুলি পর্যটনের কেন্দ্র হয়ে উঠছে এবং সেখানে আর আগের মতো মানুষ শহরে চলে যাচ্ছেন না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সীমান্তে কৌশলগত স্থিতিশীলতার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিও মজবুত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পর্যটনের প্রসঙ্গে বলেন, গত এক দশকে অরুণাচল প্রদেশে পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং এই প্রবৃদ্ধি আগামী দিনে আরও জোরদার হবে। নতুন কনভেনশন সেন্টার ও উন্নত বিমান যোগাযোগের কারণে আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণও বাড়বে।

    উত্তর-পূর্বে নয়া গতি

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেটি পারনাইক (অবসরপ্রাপ্ত), মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু-সহ একাধিক মন্ত্রী ও আধিকারিক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Arunachal) দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই লক্ষ্য তখনই পূরণ হবে, যখন প্রতিটি রাজ্য, প্রতিটি অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো দূরবর্তী এলাকাগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এদিনের সফর অরুণাচল প্রদেশের জন্য যেমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, তেমনই গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নকেও এক নতুন গতি প্রদান করল বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত।

     

     

     

     

LinkedIn
Share