Author: ishika-banerjee

  • Swarm Drone: অধিক-উচ্চতা থেকে হামলা! যৌথ উদ্যোগে সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাক-চিন, রুখতে কী ভাবছে ভারত?

    Swarm Drone: অধিক-উচ্চতা থেকে হামলা! যৌথ উদ্যোগে সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাক-চিন, রুখতে কী ভাবছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌমাছির মতো ঝাঁক বেঁধে আক্রমণ। কোনওটার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক। কোনওটার কাজ আবার শুধুই গুপ্তচরবৃত্তি। এ রকম শয়ে শয়ে ড্রোন বানাচ্ছে চিন ও পাকিস্তান (China-Pakistan)। সূত্রের খবর, দুই দেশ যৌথভাবে অধিক-উচ্চতায় কার্যক্ষম আধুনিক সোয়ার্ম ড্রোন (Swarm Drone) বানাচ্ছে। যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এগুলো বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রের নাগালের বাইরে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এল-৭০ বন্দুকের কার্যকর সীমা যেখানে প্রায় ৩,৫০০ মিটার, সেখানে এই ড্রোনগুলো ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ মিটার বা তারও উপরে উড়তে সক্ষম। এর ফলে ভারতকে স্বল্পমেয়াদী ও ব্যয়বহুল মিসাইল নির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে বাধ্য করা হবে, যেমন আকাশ, এমআরস্যাম, এবং এস-৪০০ সিস্টেম।

    কৌশলগত পরিকল্পনা

    অপারেশন সিঁদুরের পর গত ৮ এবং ৯ মে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাটের একাধিক জায়গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় পাক সেনা। সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ফলে ড্রোনগুলিকে (Swarm Drone) চিহ্নিত করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। তাই এবার উচ্চ উচ্চতার ড্রোন বানানোর চেষ্টা চলছে। চিন-পাকিস্তান এই কৌশলগত উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো বিপুল সংখ্যক সস্তা, সমন্বিত ড্রোন দিয়ে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্লান্ত করে ফেলা। একবার যদি ভারতের মিসাইল মজুদ শেষ হয়ে যায় তাহলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়বে। এরপর ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে বড় আকারের হামলা চালানো হবে। এই পদ্ধতি ইতিহাসের সেই পুরনো যুদ্ধকৌশলকে মনে করিয়ে দেয়, যেখানে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে প্রথমে কম দামের বা সহজলভ্য অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালানো হতো।

    চিনের ভূমিকা এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর

    চিন শুধু পাকিস্তানকে (China-Pakistan)  প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না, বরং অত্যাধুনিক ‘ড্রোন মাদারশিপ’ প্রযুক্তিও সরবরাহ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা একাধিক ড্রোন একসঙ্গে নিক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই গভীর সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ভারতের কৌশলগত পরিকল্পনাকে জটিল করে তুলছে, বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর অঞ্চলে।

    ভারতের উপর সম্ভাব্য প্রভাব

    অপারেশনাল চাপ: ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তিন স্তরের – বন্দুক, স্বল্প-পাল্লার মিসাইল এবং দীর্ঘ-পাল্লার মিসাইল। উচ্চ-উচ্চতায় উড়তে সক্ষম ড্রোনগুলো বন্দুক স্তরকে অকার্যকর করে ফেলবে, ফলে অধিক ব্যয়বহুল মিসাইল ব্যবহারের প্রয়োজন হবে।

    সম্পদের অপচয়: প্রথম পর্বে সস্তা ড্রোন ব্যবহারে ভারত তার মূল্যবান মিসাইল মজুদ খরচ করতে বাধ্য হবে। এর ফলে পরবর্তী বড় ধরনের হামলার সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও অসামরিক স্থাপনাগুলোকে প্রতিরক্ষাহীন করে তুলতে পারে ।

    কৌশলগত অস্থিরতা: দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক প্রেক্ষাপটে ড্রোন এবং মিসাইল প্রতিযোগিতা নিরাপত্তাজনিত অস্থিরতা বাড়াতে পারে । যেকোনো সময় পরিস্থিতির ভুল ব্যাখ্যা বা সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

    সোয়ার্ম ড্রোন কী

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, মূলত ঝাঁক বেঁধে হামলা চালানোয় সিদ্ধহস্ত সোয়ার্ম ড্রোন (Swarm Drone) পরিচালিত হয় কৃত্রিম মেধার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) দ্বারা। একসঙ্গে উড়লেও তাদের একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধার কোনও আশঙ্কা নেই। যে কোনও পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে এই সোয়ার্ম ড্রোন। এগুলিতে থাকে অ্যাক্সিলোমিটার, জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, ক্যামেরা এবং অত্যাধুনিক সেন্সর, যা আশপাশের এলাকা চিহ্নিতকরণ (পড়ুন নেভিগেট) এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এই ঝাঁকে ছোট-বড় মিলিয়ে বিভিন্ন আকারের মানববিহীন উড়ুক্কু যান থাকতে পারে। সর্বাধিক ১০ হাজারের বেশি ড্রোনের ঝাঁক পাঠিয়ে হামলা চালানোর নজিরও পৃথিবীতে রয়েছে। সোয়ার্ম ড্রোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ঝাঁকের মধ্যে পর পর এগুলির বেশ কয়েকটিকে ধ্বংস করলেও বাকিগুলি ঠিক কাজ করতে থাকে। ঐতিহ্যবাহী সামরিক সরঞ্জামের তুলনায় এগুলি বেশ সস্তা।

    প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পথে ভারত

    গত ৮ ও ৯ মে রাতে পাকিস্তানের (China-Pakistan) ড্রোন হামলা আটকাতে বেশ কয়েকটি হাতিয়ার ব্যবহার করেছে ভারতীয় ফৌজ। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ ছাড়াও এল-৭০ বন্দুক, জু-২৩এমএম অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট বন্দুক এবং শিল্কা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোন আটকাতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বল্প উচ্চতায় প্রতিপক্ষের ড্রোন, যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে নামানোর ক্ষেত্রে এল-৭০র জুড়ি মেলা ভার। এর নির্মাণকারী সংস্থা হল সুইডেনের বফোর্স। এটি প্রকৃতপক্ষে ৪০ এমএম ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। নিখুঁত ভাবে হামলা করার জন্য এই বন্দুকটিকে অত্যাধুনিক করেছে ভারতীয় সেনা। জু-২৩ এমএম হল সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমানে রাশিয়া) তৈরি ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। এর মারণক্ষমতা অনেক বেশি। খুব অল্প উচ্চতায় প্রতিপক্ষের কোনও ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এলেই সঙ্গে সঙ্গে তা চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে পারে এই হাতিয়ার। শিল্কার অপর নাম জেডএসইউ-২৩-৪। এটি একটি রেডার পরিচালিত ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। ড্রোন ধ্বংস করতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর। এ ছাড়াও পাক ড্রোন ওড়াতে ব্যবহার হয়েছে ‘আনম্যান্‌ড এরিয়াল সিস্টেম’। কিন্তু এবার তো চিনের সঙ্গে মিলে অধিক উচ্চতায় উড়তে পারে এমন সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাকিস্তান। এই ড্রোন প্রতিরোধ করতে ভারতকে এখনই তার বিমান প্রতিরক্ষা কৌশল নতুনভাবে সাজাতে হবে, উন্নত ‘অ্যান্টি-ড্রোন’ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, এবং নিজস্ব ড্রোন যুদ্ধশক্তি জোরদার করতে হবে – যাতে আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।

  • Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি বাংলার নবজাগরণের প্রতীক। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকারকে মনে করিয়ে দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই বাড়ি সংরক্ষণ, সংস্কার এবং মেরামতের জন্যে ভারত সরকার সব রকমের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ভাঙা হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। সমাজ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় ভারত। ঢাকাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা যেন এই ঐতিহাসিক বাড়ি না ভাঙে। প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে দিল্লি।

    উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতে

    বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এটি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ছিল। উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতেই। তবে ইউনূস সরকার বর্তমানে এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। ভারত সরকারের তরফে এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগকে উল্লেখ করে বলা হয় যে এই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। তার বদলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে সাহিত্য়ের মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধকেই তুলে ধরবে।

    ভারত-সরকার সংরক্ষণে সহায়তা করতে প্রস্তুত

    ভারত সরকারের তরফে সত্য়জিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে সংস্কারের কাজে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি, যা তাঁর পিতামহ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ছিল, তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’ এর পরেই বিবৃতিতে বাড়িটি রক্ষা করার আবেদন জানায় ভারত সরকার। সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলার সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে বাড়িটি মেরামত ও সংস্কার করে একে সাহিত্য জাদুঘর ও ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে রক্ষা করাই শ্রেয়। এই উদ্দেশ্যে ভারত সরকার সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।’

    একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি

    বাংলার স্বনামধন্য রায় পরিবারের এই বাড়িটি বাংলাদেশের ঢাকার হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত। হরিকিশোর রায় চৌধুরী নিজে উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার এবং সত্যজিতের পূর্বপুরুষ ছিলেন। শশী লজের ঠিক পিছনে অবস্থিত বাড়িটি, এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রায় একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি। বাংলাদেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাড়িটি সেদেশের সরকারের হাতে আসে। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সেনাশাসক হুসেন মহম্মদ এরশাদের সময় ওই ভবনটি ব্যবহার শুরু করেছিল শিশু অ্যাকাডেমি। তবে সম্প্রতি জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে অ্যাকাডেমির কাজও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০০৭-এর পর থেকে বাড়িটি অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।

    বাংলাদেশ সরকারের যুক্তি

    শতাব্দীপ্রাচীন এই বাড়িটি এখন জরাজীর্ণ তাই এটি একেবারে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনূস সরকার। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বাড়িটিই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঢাকার শিশু বিষয়ক আধিকারিক মহম্মদ মেহেদি জামান বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারকে জানান যে, বিগত ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িটি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। তিনি জানান, এর জায়গায় সেমি-কংক্রিটের একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে। তাঁর কথায়, এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তবে নিয়ম মেনেই বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সরকারের উচিত ছিল আগে থেকেই বাড়িটি মেরামত করা। সেটি না করে তারা এখন পুরোটাই ভেঙে ফেলতে চাইছে। বাড়িটি ভেঙে ফেললেও যেন একই আদলে তৈরি করা হয় সেই দাবিও উঠেছে।

    ইউনূস-জমানায় আক্রান্ত সংস্কৃতি

    হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার গঠনের পর থেকেই ওপার বাংলায় সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে। মাস খানেক আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার মুখে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে দুই বাংলার মানুষের মনে। ভারত সরকার বিষয়টির নিন্দা করে বাড়ি রক্ষণে সবরকম সহযোগিতার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ইউনূস-সরকার এই বাড়ির গুরুত্ব বুঝবে কি না তা সময় বলবে।

  • Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে (Bihar Poll 2025) চলছে ভোটার তালিকা সংশোধন (Special Intensive Revision of voter list)। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রিভিউ ফর্ম পূরণ করেছেন। যা মোট ভোটারের ৮৮.১৮ শতাংশ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফর্ম পূরণের সময় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে খবর, বিহারের (Bihar) বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে ৩৯ লাখ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। তারা ভারতীয় নন বলে কমিশনের বুথ লেভেল অফিসারের চিহ্নিত করেছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। কেন? আসলে কী ভয়। এ রাজ্যে বিরোধীদের সঙ্গে শাসক দলের ভোটের ফারাক খানিকটা ওরকমই। তাই কী ভয় পাচ্ছেন মমতা?

    ভোটার তালিকায় বিদেশিরা

    এই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তারই প্রস্তুতিতে এখন তৎপর নির্বাচন কমিশন। ভোটার (Bihar Poll 2025) তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে জোরকদমে। সেই প্রক্রিয়াতেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভোটার তালিকায় নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম রয়েছে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বুথ স্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তাতেই তাঁদের নজরে আসে ভোটার তালিকায় এই ‘বিদেশি’ অভিবাসীদের উপস্থিতি। কমিশনের মতে, এঁদের মধ্যে কেউই ভারতে ভোটাধিকার পাওয়ার যোগ্য নন। সূত্রের খবর, ১ অগাস্টের পর থেকে কমিশন এই তালিকায় থাকা সন্দেহভাজন নামগুলি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালাবে। সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, তাতে এ ধরনের ‘অবৈধ’ ভোটারদের নাম আর থাকবে না বলেই জানানো হয়েছে।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য

    বিহারের (Bihar Poll 2025) ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে, তাঁদের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। তাঁরা গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকলেও ছাড় নেই। ১৯৮৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজেদের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ২০০৪-এর পরে জন্ম হলে নিজের ও বাবা-মায়ের দু’জনেরই জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, এই ভুয়ো ভোটার বাছতে গিয়েই ভূরি ভূরি বিদেশি ভোটারের হদিশ মিলছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ বা নেপালের বাসিন্দা। কেউ কেউ রয়েছেন মায়ানমারের। সংখ্যাটা সঠিকভাবে জানানো না হলেও সেটা চমকে দেওয়ার মতো। কমিশন সূত্রের খবর, এই ধরনের ভোটারদের নাম আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হতে চলে ভোটার তালিকায় রাখা হবে না। ওই ভোটার তালিকায় শুধু ভারতীয়দের নাম থাকবে। সেটাই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য।

    সারা দেশে হবে ভোটার তালিকা সংশোধন

    এই পদক্ষেপ শুধু বিহারেই (Bihar Poll 2025) সীমাবদ্ধ থাকবে না, নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সারা দেশে ভোটার তালিকা পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এমনই কড়া নজরদারি চালানো হবে। সন্দেহজনক ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে, প্রয়োজনে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার দিকেই এগোবে কমিশন। বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক ভোট বাদ পড়লে সমস্যায় পড়বে মমতা সরকার। টলমল করবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তাই কী ভীত মমতা? তাই কী এই পদক্ষেপের বিপক্ষে সুপ্রিম দুয়ারে কড়া নাড়ছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

    ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন

    এদিকে বিহারে (Bihar Poll 2025) ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন। এরই মাঝে, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সময় আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড এই তিনটি নথিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি আদালত এটাও খতিয়ে দেখবে যে, তালিকা সংশোধনের নামে আদৌ কোনও নাগরিক তাঁর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিনা। এই পরিস্থিতিতে বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন এখন রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • Weather Update: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আরও দু-দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আরও দু-দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা বর্ষায় নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবারও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সকাল থেকেই চলছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার রাজ্যের ১১ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতেও। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার এই নিম্নচাপের প্রভাব কমবে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে সামান্য কম। একটানা বৃষ্টিতে কলকাতার নীচু এলাকায় জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    দক্ষিণ-পূর্ব গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে গভীর নিম্নচাপ

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পূর্ব গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপ। এটির অভিমুখ রয়েছে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। এটি কলকাতার ৯০ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে। আর বর্ধমান থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করবে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে। এদিকে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের উপর মৌসুমী অক্ষরেখা। উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব। যার প্রভাবে আজ মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।

    সপ্তাহান্তে উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি

    আজ উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গে লক্ষ্যনীয়ভাবে বৃষ্টি বাড়বে এই সপ্তাহের শেষে। ১৯ ও ২০ জুলাই অর্থাৎ শনি ও রবিবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে একাধিক জেলায়।

    কলকাতার আবহাওয়া

    হাওয়া অফিস বলছে, এদিনও কলকাতায় মূলত মেঘলা আকাশ। দিনভর কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দু-তিন ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। এ দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ০.৮ ডিগ্রি কম। গতকাল, সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় ঝড়-বৃষ্টির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ দক্ষিণবঙ্গে আগামী রবিবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট কমবে। বুধবার নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডের দিকে সরলে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।

  • West Indies : ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে লজ্জার দিন, টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    West Indies : ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে লজ্জার দিন, টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের (Australia vs West Indies)। সাবিনা পার্কে তৃতীয় টেস্টে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৭ রানে অলআউট ক্যারিবিয়ানরা। যা টেস্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। ১ রানের জন‍্য রক্ষা পেল লজ্জার বিশ্বরেকর্ড। বিশ্ব ক্রিকেটে এক সময়ের ত্রাস যারা ছিল, তারাই লজ্জার রেকর্ড গড়ল। এর আগে ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল নিউ জিল‍্যান্ড। তার থেকে মাত্র এক রান বেশি করে ওয়েস্টইন্ডিজ। টেস্টে এটাই তাদের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের লজ্জা

    অস্ট্রেলিয়ার (Australia vs West Indies) মিচেল স্টার্ক ৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন। তিনিই প্রথম বোলার, যিনি ১৫ বলের মধ্যে পাঁচটা উইকেট তুলে নেন। ১৯৪৭ সালে আর্নি টোশাক ও ২০১৫ সালে স্টুয়ার্ট ব্রড ১৯ বলে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ১০০ তম টেস্টে খেলতে নেমে ৪০০ উইকেট তুললেন স্টার্ক। অন্যদিকে হ্যাটট্রিক করেন স্কট বোলান্ড। ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বোলান্ড। সাবিনা পার্কে গোলাপি বলের টেস্টে তিন দিনের মধ‍্যে অস্ট্রেলিয়া ১৭৬ রানে জিতে গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ২২৫। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় ১৪৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে শামার জোসেফ ও আলজারি জোসেফের দাপটে অস্ট্রেলিয়াও ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে হলে ২০৪ রান করতে হত। প্রথম দুটি টেস্টে হেরে থাকা নড়বড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং অর্ডার যে গোলাপি বলে রানটা তুলতে পারবে না, তা কার্যত দেওয়াল লিখন ছিল। কিন্তু তারা যে ১৪.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়ে যাবে, তা ভাবা যায়নি।

    স্টার্ক-বোলান্ডের নজির

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের (Australia vs West Indies) সাত জন ব‍্যাটার শূন‍্য রানে আউট হয়েছেন। এর আগে ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ১২৮ রানে। বাংলাদেশের ৬ উইকেট পড়েছিল ৮৭ রানে। ম্যাচ এবং সিরিজের সেরা হয়েছেন স্টার্ক। এটা তাঁর শততম টেস্ট। বোল‍্যান্ড হ‍্যাটট্রিক করেছেন। প্রথম বোলার হিসেবে দিন-রাতের টেস্টে হ্যাটট্রিক করার নজির গড়লেন তিনি।

  • UPI: লেনদেনের সংখ্যা মাসে ১৮০০ কোটি! ভিসাকে টেক্কা দিল ইউপিআই, আইএমএফ-এর প্রশংসা

    UPI: লেনদেনের সংখ্যা মাসে ১৮০০ কোটি! ভিসাকে টেক্কা দিল ইউপিআই, আইএমএফ-এর প্রশংসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ইউপিআই। বর্তমানে দেশের একটি বড় অংশের মানুষ নিয়মিতভাবে অনলাইন পেমেন্টে এই অ্যাপ করছেন। হু হু করে বাড়ছে ইউপিআই ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ভারতের ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (UPI) এখন বিশ্বের কাছেও এক অনন্য উদাহরণ। সম্প্রতি একটি বড় মাইলফলক স্পর্শ করেছে ইউপিআই। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ (UPI) অফিশিয়ালি ভিসাকে (Visa) টপকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। দৈনিক ৬৫০ মিলিয়ন লেনদেন এবং প্রতি মাসে প্রায় ১৮ বিলিয়ন (১৮০০ কোটি) ট্র্যানজাকশন হয় এর মাধ্যমে। ইউপিআই-এর হাত ধরে ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে দ্রুতগতির রিটেইল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উদাহরণ স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভারতের এই সাফল্যের প্রশংসা করা হয়েছে।

    ইউপিআই-এর প্রশংসায় আইএমএফ

    ২০১৬ সালে ভারতে চালু হয় ইউপিআই। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যৌথ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিউআর কোড বা ইউপিআই আইডির মাধ্যমে সহজে পেমেন্ট করা যায় বলে এই ব্যবস্থা এবার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। ‘গ্রোয়িং রিটেল জিজিটাল পেমেন্টস’(Growing Retail Digital Payments: The Value of Interoperability) শীর্ষক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে চালু হওয়ার পর থেকে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় এক বিপ্লব ঘটিয়েছে ইউপিআই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) জানিয়েছে, উন্নত দেশগুলোকেও পেছনে ফেলে এখন ভারতই এই খাতে পথপ্রদর্শক।

    ইউপিআই সাফল্যের পেছনের কারণ

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যবহারকারী-বান্ধব ডিজাইন, রিয়েল-টাইম পেমেন্ট, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যুক্ত হওয়ার সুযোগ এবং সহজ ইন্টারঅপারেবিলিটি ইউপিআই-কে সফল করেছে। কিউআর কোড, ভয়েস-নোটিফিকেশন ও সহজ ইন্টারফেস থাকায় গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহর, ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রবীণ নাগরিক—সবাই খুব সহজেই ডিজিটাল লেনদেন গ্রহণ করতে পেরেছেন। ইউপিআই কার্যত বর্তমানে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।

    অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মডেল

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৬৩২-টিরও বেশি ব্যাঙ্ক ইউপিআই (UPI) প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় এবং প্রতি মাসে ১৬.৫৮ বিলিয়নেরও বেশি লেনদেন হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২৩.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা। এটি শুধু ডিজিটাল লেনদেন নয়, বরং আইনি স্বচ্ছতা, আর্থিক সাক্ষরতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকেও এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) অমিতাভ কান্ত সম্প্রতি ইউপিআই –এর এই নয়া মাইলফলক সম্পর্কে জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘X’ –এ একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ ভিসা কে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম হয়ে উঠেছে। ইউপিআই মাত্র নয় বছরে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই বিষয়টি ইউপিআই –এর দুর্দান্ত বৃদ্ধির ইঙ্গিত করছে। দুর্দান্ত গতিতে এই সিস্টমেটির গ্রহযোগ্যতা বেড়েছে।

    সীমান্ত পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে

    শুধু ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এখনও পর্যন্ত মোট ৮টি দেশে এই ইউপিআই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ভারতের বাইরে প্রথম দেশ হিসাবে ২০২১ সালে ইউপিআই চালু হয় ভূটানে। এর পর ওই বছরই ইউপিআই চালু হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ২০২৪ সালে প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসাবে ইউপিআই গ্রহণ করে ফ্রান্স। ভারতের এনপিসিআই ও ফ্রান্সের লায়রা নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় সে দেশে ইউপিআই চালু হয়। এ ছাড়াও নেপাল, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতেও চালু হয়েছে ইউপিআই। আগামীতে কাতার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, ওমান ও মালদ্বীপের মতো দেশে ইউপিআই চালু হতে পারে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর ফলে বিদেশে ভারতীয় পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক লেনদেন আরও সহজ ও নিরাপদ হয়েছে।

    ভিসাকে টেক্কা ইউপিআই-এর

    সম্প্রতি ইউপিআই –এর দৈনিক ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা সাড়ে ৬০০ মিলিয়নে পোঁছে গিয়েছে। অপরদিকে, ভিসা –এর দৈনিক ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা রয়েছে ৬৩৯ মিলিয়ন। অর্থাৎ, দৈনিক লেনদেনের দৌড়ে ভিসার থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইউপিআই। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২০০ টিরও বেশি দেশে ভিসার উপস্থিতি রয়েছে। সেই তুলনায় ইউপিআই –এর উপস্থিতি রয়েছে মাত্র ৮ টি দেশে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই দুর্দান্ত সাফল্যের দেখা পেয়েছে পেমেন্ট সিস্টেমটি। উল্লেখ্য, ইউপিআই হল মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য ডিজাইন করা একটি ইনস্ট্যান্ট ইন্টার ব্যাঙ্ক পেমেন্ট সিস্টেম। এটিকে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এটি প্রতি মাসে ১৮ বিলিয়ন ট্রানজ্যাকশন প্রসেস করে থাকে। সম্প্রতি ইউপিআই নিয়ে আইএমএফ-এর স্বীকৃতি ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক আর্থিক নেতৃত্বের পথে এক বড় ধাপ, যা শুধুমাত্র প্রযুক্তি নয়, আর্থিক স্বচ্ছতা, শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও ভারতের অবস্থানকে মজবুত করে।

  • India vs England: ব্যর্থ জাদেজার লড়াই, লর্ডসে ২২ রানে হার মানল টিম ইন্ডিয়া

    India vs England: ব্যর্থ জাদেজার লড়াই, লর্ডসে ২২ রানে হার মানল টিম ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেওয়াল লিখনটা স্পষ্টই হয়ে গিয়েছিল লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিনে। পঞ্চম দিনে প্রাপ্তি শুধুই জাদেজার লড়াই। লড়েছিলেন তিনি। ভয়ঙ্কর রকম লড়েছিলেন। যদি জেতাতে পারতেন তাহলে নায়কের আসন ছিল পাকা। কিন্তু পরাজিত হলে লড়াইয়ের দাম থাকে না। তাই হল। জাদেজা নিজে অপরাজিত থাকলেন ৬১ রানে। কিন্তু শোয়েব বশিরের বলটা সিরাজ খেলার পরেও দিল উইকেট ভেঙে। আটকাতেই পারতেন পা দিয়ে। মুহূর্তের ভুল। আর তাতেই সবশেষে। ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে ভারত শেষ হয়ে গেল ১৭০ রানে। লর্ডস টেস্ট ইংল্যান্ড (India vs England) জিতে নিল ২২ রানে। সিরিজে এগিয়ে গেল ২–১ ব্যবধানে।

    ডুবল গিলের রণতরী

    ২০২১ সালে ভারত শেষ বার লর্ডসে (India vs England) জিতেছিল। চার বছর আগের লর্ডস টেস্টে লোকেশ রাহুল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। চার বছর পরে লর্ডস টেস্টের নায়ক হতে পারতেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তিনি সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেই ত্রাতা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেন স্টোকসের বাঁক খাওয়া বলটা মৃত্য পরোয়ানা নিয়ে হাজির হল ভারতের ওপেনারের সামনে। চতুর্থ দিনের শেষে রাহুল ব্যাট করছিলেন ৩৩ রানে। পঞ্চম দিন রাহুল বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। বেন স্টোকসের ব্যুমেরাং মোক্ষম সময়ে রাহুলের পায়ে লাগল। ৩৯ রানে ফিরে গেলেন ভারতের ওপেনার। লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে একেবারেই স্বস্তিতে ছিল না টিম ইন্ডিয়া। ১৯৩ রান তাড়া করতে গিয়ে চতুর্থ দিনের শেষে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ৫৮/৪। সোমবার ম্যাচের শেষ দিনে জয়ের জন্য লোকেশ রাহুলদের প্রয়োজন ছিল ১৩৫ রান। রাহুল-পন্থ থাকলে ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু পন্থও ফিরে গেলেন দ্রুত। আসলে এজবাস্টনের হারটা মানতে পারছিলেন না আর্চার-স্টোকসরা।

    জাদেজার লড়াই

    রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে অনেকক্ষণ ধৈর্য ধরে ব্যাট করছিলেন নীতীশ রেড্ডি। কিন্তু লাঞ্চের ঠিক আগেই আউট হয়ে গেলেন তিনি। সেখান থেকে জশপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে দীর্ঘ সময় একা কুম্ভের মতো লড়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা। বুমরাহও স্টোকস-আর্চারদের সামলে দিচ্ছিলেন। কিন্তু স্টোকসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আশ্চর্যজনকভাবে আউট হলেন মহম্মদ সিরাজ। যখন আশা করা হচ্ছিল, সিরাজ ঠিক লড়ে যাবেন, তখনই বিপর্যয়। তীরে এসে তরী ডুবল ভারতের। চতুর্থ ইনিংসের চাপ নিতে না পারার খেসারত দিল গিল-বাহিনী।

  • BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন শত্রু পাকিস্তানের বুকে আতঙ্ক ধরিয়েছে ভারতের ‘ব্রহ্মস’ (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এর আঘাতেই চোখের নিমেষে ধূলোয় মিশেছে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির অন্তত ন’টি বায়ুসেনা ঘাঁটি। ফলে লড়াই থামতেই দুনিয়ার অস্ত্রবাজারে তুঙ্গে উঠেছে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের চাহিদা। বিশ্বের সমীহ কুড়িয়ে নেওয়া সেই মারণাস্ত্র এবার দেশের রাজকোষ ভরাতে চলেছে। আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান গেয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বের ১৪-১৫টি দেশ।

    লখনউ থেকে রফতানি হবে ব্রহ্মস

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই এক বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে আমি লখনউয়ে ব্রহ্মস এয়ারস্পেস ইন্টিগ্রেশন ও পরীক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছি। আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে আমাদের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ব্রহ্মসের তাণ্ডবলীলায় মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এই মিসাইলের মারণ ক্ষমতা দেখার পর ১৪-১৫টি দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রের কেনার আর্জি জানিয়েছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র এখন লখনউ থেকে রফতানি করা হবে। আমি বিশ্বাস করি এই পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। আমাদের লক্ষ্য এখানে আরও শিল্প আনা যাতে লখনউয়ের পাশাপাশি রাজ্যের উন্নতি হয়।”

    ব্রহ্মস-এর নামকরণ

    ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে মারণ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’। এই নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের দুই নদী বিখ্যাত নদী ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা। ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎপাদনকারী সংস্থা হল ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট মারণাস্ত্রটির প্রযু্ক্তি তৈরিতে রয়েছে ভারতের ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন’ বা ডিআরডিও এবং রুশ প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার যৌথ উদ্যোগ। দেশের প্রতিরক্ষাকে মাথায় রেখে এই ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।

    ব্রহ্মস-এর শ্রেণিবিভাগ

    বর্তমানে ভারত যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার চারটি শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। স্থল, রণতরী, যুদ্ধবিমান এবং ডুবোজাহাজ থেকে একে ছোড়া যায়। প্রথাগত বিস্ফোরকের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু হাতিয়ার বহনেও সমান ভাবে সক্ষম। এর গতিবেগ তিন ম্যাকের সামান্য বেশি। সূত্রের খবর, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪,৯০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে ‘ব্রহ্মস’। ২০০৫ সালের নভেম্বর থেকে এই ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। এর পাল্লার রকমফের রয়েছে। প্রায় সাড়ে আট মিটার লম্বা ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। এক একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন তিন হাজার কেজি। মারণাস্ত্রটি হাইপারসনিক শ্রেণিতে বদলে গেলে এর পাল্লা বেড়ে দাঁড়াবে দেড় হাজার কিলোমিটার। ভারতীয় সেনা এবং নৌবাহিনী যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার। অন্য দিকে এ দেশের বিমানবাহিনীর হাতে থাকা এই হাতিয়ার ৪৫০-৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতের ব্যবহৃত ব্রহ্মস সামরিক ট্রাক, যুদ্ধবিমান, ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ব্রহ্মসের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। তবে স্থলভূমি ও যুদ্ধজাহাজ থেকে যে ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ করা হয় তার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪০০ কিমি। ডুবোজাহাজে যে ব্রহ্মস ব্যবহার হয় তার তুলনায় এই পাল্লা কিছুটা কম।

    ভারতের অস্ত্র মন কেড়েছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মস হল সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটা শুধু হাতিয়ার নয়, একটা বার্তা। শত্রুকে প্রতিহত করার বার্তা। বর্ডার সুরক্ষিত করার বার্তা।” এরপর এ দিন রাজনাথ প্রসঙ্গ তোলের এ পি জে আবদুল কালামের। মন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব শক্তিশালীদের সম্মান করে। ভীতুদের নয়। আমাদের শক্তি বাড়াতে হবে। দেশ শক্তিশালী না হলে কেউ সম্মান করবে না। আর ভারত অন্য়তম শক্তিশালী দেশ।” তবে শুধু ব্রহ্মস নয়, অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের আরও একাধিক মারণাস্ত্র ও প্রযুক্তি মন কেড়ে নিয়েছে বিশ্বের বহু দেশের। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের কমিউনিকেশন সিস্টেম, অফশোর টহল জাহাজ, স্করপিন সাবমেরিন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ও গরুড় বন্দুকের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রাজিল। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই পদক্ষেপে বিরাট সাফল্য পাবে কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প।

     

     

     

     

  • Subhanshu Sukla: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’! মহাকাশ জয় করে ঘরে ফেরার আগে আপ্লুত শুভাংশু

    Subhanshu Sukla: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’! মহাকাশ জয় করে ঘরে ফেরার আগে আপ্লুত শুভাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে তাকালে মনে হয়, ভারত ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’। আত্মবিশ্বাসী, ভয়ডরহীন, গর্বিত এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ এই দেশ। মহাশূন্য থেকে ঘরে ফেরার আগে এমনই বললেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Subhanshu Sukla)। সব ঠিকঠাক থাকলে ১৫ জুলাই পৃথিবীতে ফিরবেন শুভাংশু। সঙ্গে অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের আরও তিন সদস্য- পেগি হুইটসন, টিবর কাপু ও স্লাওস উজনানস্কি। আজ, সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ শুরু হবে শুভাংশুদের আনডকিং প্রক্রিয়া। আনডকিং শেষ হওয়ার পর পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন শুভাংশুরা। এই দু’টি প্রক্রিয়া সরাসরি দেখা যাবে নাসার ওয়েবসাইট এবং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে।

    বিদায় সংবর্ধনা, মহাকাশে সংস্কৃতির আদান-প্রদান

    রবিবারই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে তাঁদের ফেয়ারওয়েল জানানো হয়েছে। রবিবার, ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হয় ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান। নাসার এক্সপিডিশন ৭৩-এর সাতজন সদস্য বিদায় সংবর্ধনা দেন শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারীকে। সেই সংবর্ধনা সরাসরি সম্প্রচার করে নাসা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন শুভাংশুরা। গাজরের হালুয়া-আম রস অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেন শুভাংশু। পোল্যান্ডের স্লাওস উজনানস্কি ভাগ করেন পোলিশ স্যান্ডউইচ। ক্ষণিকের জন্য ঘরোষা উষ্ণতায় ভরে যায় আইএসএস।

    নাসার ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার

    ১৪ জুলাই ভারতীয় সময়ানুসারে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে (আমেরিকার সময় ভোর ৭টা বেজে ৫ মিনিটে) ড্রাগন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তারপর পৃথিবীর অভিমুখে যাত্রা করবে ড্রাগন। প্রায় ৩০ মিনিট এই যাত্রার সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা। তারপর নাসার সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। শুভাংশুদের মহাকাশযান পৃথিবীতে প্রবেশের পর যখন সমুদ্রে অবতরণ করবে, তখন ফের শুরু হবে লাইভ টেলিকাস্ট। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল তিনটের সময় পৃথিবীতে ফিরবেন শুভাংশুরা। সেই দৃশ্যও সম্প্রচারিত হবে নাসার ওয়েবসাইটে।

    সাতদিন রিহ্যাবে শুভাংশুরা

    ক্যালিফোর্নিয়ায় উপকূলে অবতরণ করবেন শুভাংশুরা। এরপর সাতদিন রিহ্যাবে থাকবেন ভারতীয় নভশ্চর। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো একথা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব নেই। যার ফলে হাড়ের ওজন কমে যায়। দুর্বল হয়ে পড়ে পেশি। এছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পৃথিবীতে ফিরলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব পড়বে শরীরে। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সেজন্যই এই রিহ্যাব। বিবৃতিতে ইসরো জানিয়েছে, ‘স্প্ল্যাসডাউনের পর ফ্লাইট সার্জনের পর্যবেক্ষণে সাতদিনের রিহ্যাবে থাকবেন গগনযাত্রী। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এই পদক্ষেপ। যেমন হয়েছিল সুনীতা উইলিয়ামসের ক্ষেত্রেও। বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়রে মাধ্যমে শুভাংশুর স্বাস্থ্যের খবর রাখছেন ইসরোর ফ্লাইট সার্জনরা।’

    সারে জাঁহা যে আচ্ছা

    ১৯৮৪ সালে প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা যে অবিস্মরণীয় মন্তব্য করেছিলেন, সেটার রেশ ধরেই ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু বলেন, ‘আজও এখান থেকে ভারতকে দেখে মনে হচ্ছে, সারে জাঁহা যে আচ্ছা….।’ সোমবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর দিকে রওনা দিতে চলেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন। তার আগে অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের মহাকাশচারীদের জন্য বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছেন। আর তিনি যা শিখেছেন, সেই অভিজ্ঞতা দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তাঁর কথায়, ‘এটা আমার কাছে মায়াবী মনে হচ্ছিল। আমার এই যাত্রাটা দুর্দান্ত কাটছে।’

    মহাকাশে ১৭ দিন, শুভাংশুদের জন্য ইসরোর কত খরচ

    মহাকাশে ১৭ দিনে শুভাংশু শুক্লা ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ভারতের পক্ষ থেকে তিনি ৭টি বিশেষ পরীক্ষা করেছেন, যার মধ্যে ছিল— টার্ডিগ্রেডস, একটি ক্ষুদ্র জীব যা মহাকাশে কীভাবে বেঁচে থাকে এবং বংশবৃদ্ধি করে তা দেখার জন্য গবেষণা। মেথি ও মুগ চাষ, যা থেকে মহাকাশে খাদ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা বাড়বে। সায়ানোব্যাকটেরিয়া, মহাশূন্যে অক্সিজেন ও জৈবজ্বালানির সম্ভাব্য উৎস খোঁজাও ছিল শুভাংশুর কাজ। মায়োজেনেসিস, মানুষের পেশীর উপর স্থানের সংস্পর্শের প্রভাব বোঝারও চেষ্টা করেন ভারতীয় মহাকাশচারী। বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুকে যে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে, সেটার জন্য ইসরোর প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আসলে কয়েক মাস পরেই ভারতের গগনযান মহাকাশে পাড়ি দেবে। তার আগে যাতে আরও নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করতে পারে ইসরো এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু মহাকাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, সেটার জন্যই তাঁকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।

     

     

     

  • Tesla In India: ভারতে লঞ্চ হবে টেসলার প্রথম মডেল ওয়াই, দাম কত হতে পারে ?

    Tesla In India: ভারতে লঞ্চ হবে টেসলার প্রথম মডেল ওয়াই, দাম কত হতে পারে ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে আসছে টেসলা (Tesla In India)। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যেতে পারে টিজার। এবার টেসলা নতুন মডেল ওয়াই এসইউভি নিয়ে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার উপস্থিতি শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতে বিক্রির জন্য প্রথম পণ্য হিসাবে আসবে ‘ওয়াই’ এসইউভি । আগামী মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই মুম্বইয়ে টেসলা এই মডেলের প্রথম স্টোর লঞ্চ করবে। সূত্রের মতে, অগাস্টের শেষ দিক থেকে গাড়ি ডেলিভারি শুরু হতে পারে। গ্রাহকরা আগামী সপ্তাহ থেকেই তাদের গাড়ি কনফিগার ও অর্ডার করতে পারবেন। গাড়ির দাম সম্পর্কে আগেই জানিয়ে দিতে পারে কোম্পানি। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে আরও একটি শোরুম খুলবে জুলাইয়ের শেষ নাগাদ।

    টেসলার মডেলে নতুন আপডেট

    টেসলার (Tesla In India) নতুন মডেল ওয়াই একটি বড় আপডেট নিয়ে ভারতে আসতে পারে। একটি নতুন চেহারা আরও ভালো সাসপেনশন ও নতুন ইন্টেরিয়র থাকবে এই গাড়িতে। ভারতে নতুন মডেল ওয়াইয়ের রেঞ্জ ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি হতে পারে। নতুন গাড়িটির সামনের অংশ আলাদা ও অভ্যন্তরীণ অংশে একটি বড় টাচস্ক্রিন ও পিছনের যাত্রীদের জন্য আলাদা স্ক্রিন রয়েছে। এই গাড়ি খুব দ্রুত গতির হবে। ০-১০০ কিমি গতি তুলতে ৫.৯ সেকেন্ড সময় নেবে এই গাড়ি। অন্যদিকে অল হুইল ড্রাইভ (AWD) ৪.৩ সেকেন্ড ১০০ কিমি পর্যন্ত গতি তোলার একটি সুপারকার হবে।

    ভারতে কী তৈরি হবে এই গাড়ি

    আপাতত এই গাড়িগুলি ভারতে আমদানি করা হবে। ভারতে স্থানীয়ভাবে এই গাড়িগুলি (Tesla In India) সেম্বলির কোনও পরিকল্পনা নেই। ভারতে আমদানি করার সময় মডেল ওয়াই-এর দাম প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হতে পারে। অন্যদিকে মডেল ৩ কিছুটা সস্তা হতে পারে, তবে খুব বেশি নয়। মডেল ওয়াই আপাতত ফ্ল্যাগশিপ পণ্য হবে কারণ আরও বড় গাড়ি এস সম্ভবত এখানে আসবে না এবং সাইবারট্রাকও আনুষ্ঠানিকভাবে এখানে আসবে না। প্রথম দফায় চিনের টেসলা কারখানা থেকে আসা পাঁচটি মডেল ওয়াই রিয়ার-হুইল ড্রাইভ এসইউভি ইতিমধ্যেই ভারতে এসে পৌঁছেছে।

LinkedIn
Share