Author: ishika-banerjee

  • Suvendu Adhikari: ‘অভারতীয়রা টাটা বাইবাই…’, কালীপুজোয় রাজ্যে হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অভারতীয়রা টাটা বাইবাই…’, কালীপুজোয় রাজ্যে হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ফের রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার, কালীপুজোর উদ্বোধনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu on President Rule)। সেখান থেকেই সমস্ত বাঙালি হিন্দুদের একজোট হওয়ার কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আদি বাসিন্দারা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে ঘটছে অনুপ্রবেশ। নির্বাচনের আগে এসআইআর হলেই তা স্পষ্ট হবে, বলে জানান শুভেন্দু।

    অনুপ্রবেশ রুখতেই হবে

    রবিবার আমতলায় একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “যাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মূল নিবাসী তাদের সংখ্যা কমছে। অন্যরা দখল করে নিয়েছে। ভারতীয় মুসলমানদের নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ভারতীয় নয়। আপনারা যাঁরা ভারতকে ভালবাসেন আমি জানি তাঁরাও চান অভারতীয়রা টাটা বাইবাই।” তিনি আরও বলেন, “এখানে গণতন্ত্র নেই। ভোট কাকে দেবেন আপনার ব্যাপার। কালীমাতার মঞ্চে আমি বলব না আমাদের দিন কিন্তু মনে রাখবেন আপনাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ইভিএম-এ সেলোটেপ। আমার কাছে কয়েকশো ভিডিয়ো আছে। ক্যামেরা বন্ধ ছিল। ডায়মন্ড হারবারের ক্যামেরার লিঙ্ক যাদবপুরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৪ নভেম্বরের পর দেখিয়ে দেব প্রমাণ সহ।”

    জিহাদিদের জন্য নন্দীগ্রামের শুভেন্দু যথেষ্ট

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “আমি রায়দিঘিতে গিয়েছি ২০০০ হাজার লোক ছিল। আমায় অনেকে প্রশ্ন করে আপনাদের দলের লোক কেন লড়ে না? আমি বলি, কর্মীদের দিয়ে আর কত লড়াব? মিথ্যা মামলা আর মার খেতে খেতে আপনাদের পিঠও দেওয়ালে ঠেকে গেছে। জিহাদিদের জন্য নন্দীগ্রামের শুভেন্দু যথেষ্ট।” এদিন, রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমা যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। রায়দিঘিতে কালীপুজোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গাড়িতে চাপড় মারা হয়। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নয়। কালীপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরও তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হল। শুভেন্দু বলেন, “এটা একটা প্রীতিপূর্ণ অনুষ্ঠান। সব হিন্দুরা এসেছেন অনুষ্ঠানে। আমি হিন্দু হিসাবে এসেছি। দলের ঝান্ডা নিয়ে আসিনি। আমায় রাস্তার উপর আটকানো চেষ্টা করছে। গাড়িতে ধাক্কা মারছে। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছে। আমি ধর্ম পালন করতে এসেছি। আমি আজ বিজেপি করতে আসিনি। আমি হিন্দু ধর্ম পালন করতে এসেছিলাম। মায়ের দর্শন করতে এসেছি।”

    বাংলায় হিন্দুরা এক হোন

    এরপরই হিন্দুদের একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, যে সকল হিন্দু তৃণমূল বা সিপিএম করেন, তাঁরা এখনও ভাবুন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জিততে হলে হিন্দুদের একজোট হতে হবে বলে গত কয়েকমাস ধরে বলে আসছেন শুভেন্দু। এদিন ফের সেকথা শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলাদেশে যে ভাবে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে, হিন্দুরা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আজ পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, সব থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশি করে হচ্ছে। আমি এখনও বলব যে সকল হিন্দুরা তৃণমূল বা সিপিএম করছেন, বলব ভাবুন আপনাদের অবস্থাও যোগেন মণ্ডলের মতো হবে।”

    বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

    পাথরপ্রতিমার সভা থেকে এদিন রাষ্ট্রপতি শাসনের (Suvendu on President Rule) দাবি ওঠে। সেখান থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “জনগণ আওয়াজ তুলুন। আমার হাতে তো ওটা নেই। আমার হাতে থাকলে ওটা এক ঘণ্টা লাগত না।” এর আগে আরামবাগের সভা থেকে শুভেন্দু নিজেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সুর চড়িয়েছিলেন এসআইআরের পক্ষে। তৃণমূলের তুলোধনা করে স্পষ্ট বলেছিলেন, “নো এসআইআর, নো ইলেকশন। আর রাষ্ট্রপতি শাসন হলে সিপিএম তো তাও টিকে আছে কিন্তু এদের তো অস্তিত্বই থাকবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বালি মাফিয়া আর পুলিশ নির্ভর এই তৃণমূল কংগ্রেস হাওয়াতে উবে যাবে। আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।” কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকেও। সাফ বলেছিলেন বাংলার মানুষ চাইছে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা লাঘু হোক। এবার ফের বিরোধী দলনেতার সামনেও একই দাবি উঠল।

  • PM Modi on Diwali: ‘স্বদেশি জিনিসের প্রতি গর্ব করুন’, দীপাবলিতে দেশবাসীকে আত্মনির্ভরতার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi on Diwali: ‘স্বদেশি জিনিসের প্রতি গর্ব করুন’, দীপাবলিতে দেশবাসীকে আত্মনির্ভরতার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির প্রাক্কালে দেশবাসীকে স্বনির্ভরতা ও দেশি পণ্যের প্রতি সমর্থন জানাতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Diwali)। স্বদেশি জিনিস নিয়ে গর্ব করার কথা বললেন। সোমবার সকালে দেশবাসীকে দীপাবলির আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এই উৎসবকে “ইতিবাচকতা ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর” করে তোলার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবছরের মতো এবারও ভারতীয় সেনার সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবছর তিনি সম্ভবত ভারতের যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত-এ গিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করবেন। দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুও।

    রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছাবার্তা

    দীপাবলি আলোর উৎসব হিসেবে পরিচিত, যা অধর্মের উপর ধর্মের, অন্ধকারের উপর আলোর, মন্দের উপর ভালোর এবং অজ্ঞতার উপর জ্ঞানের আধ্যাত্মিক বিজয়ের প্রতীক। এই উৎসব দেশজুড়ে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। মানুষ প্রদীপ এবং মোমবাতি জ্বালায় এবং দেবী লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করে। এক্স হ্যান্ডেলে নিজের বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু বলেন, “শুভ দীপাবলি উপলক্ষে, আমি ভারত এবং বিশ্বজুড়ে সকল ভারতীয়কে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানাই।” তিনি আরও বলেন, ‘দেশজুড়ে প্রচুর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত দীপাবলি পারস্পরিক স্নেহ এবং ভ্রাতৃত্বের বার্তা দেয়। এই দিনে ভক্তরা সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর পূজা করেন।’ নিজের পোস্টে সতর্কতার বার্তা দিয়ে রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, ‘আমি সকলকে নিরাপদে, দায়িত্বশীলভাবে এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে দীপাবলি উদযাপন করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই দীপাবলি সকলের জন্য সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’ তিনি প্রবাসী ভারতীয়দেরও এই আলোর উৎসবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘দীপাবলিতে সকলকে শুভেচ্ছা। এই আলোর উৎসব জীবনকে সুখী এবং সমৃদ্ধ করুক। আমাদের চারপাশে ইতিবাচক চেতনা অবস্থান করুক। এই উৎসব হোক ১৪০ কোটির পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের উদযাপন। চলুন দেশীয় পণ্য কিনে বলি — গর্ব সহকারে বলুন, এটি স্বদেশি।’ প্রধানমন্ত্রী আরও অনুরোধ করেন, মানুষ যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের কেনাকাটার ছবি শেয়ার করে অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করেন। তাঁর কথায়, “আপনি কী কিনলেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। এতে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন দেশি পণ্য কেনার জন্য।” ইতিমধ্যেই দীপাবলির আনন্দে মেতেছে গোটা দেশ। রাস্তাঘাট, বাড়ি সেজে উঠেছে আলোয়। তবে কোনও ভাবেই যাতে বায়ুদূষণ না হয়, সেই জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুপ্রিম কোর্টও দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার জন্য বাজি সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে।

    নৌসেনার সঙ্গে দীপাবলি পালন প্রধানমন্ত্রীর

    উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সৃজনশীলতা এবং স্বনির্ভরতার সমর্থনে দেশীয় পণ্য়ের উপর বরাবরই জোর দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ প্রতিরক্ষা, কৃষি, প্রযুক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বনির্ভরতার কথা বলেন তিনি ৷ এদিন আলোর উৎসব উদযাপনে দেশবাসীকে সেই কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন মোদি ৷ এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন তিনি ৷ সেখানে দেশের কারিগরদের সহযোগিতার জন্য সকলকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী ৷ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মোদি প্রতি বছরই সীমান্তে ও দুর্গম এলাকায় মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করছেন। প্রথম বছরে তিনি লাদাখের সিয়াচেন হিমবাহে মোতায়েন সৈনিকদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। পরের বছর যান পাঞ্জাবের অমৃতসরে ডোগরাই ওয়ার মেমোরিয়ালে, যেখানে তিনি ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এবার নৌসেনার সঙ্গে দীপাবলি পালন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির।

  • Ayodhya Deepotsav: ২৬ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত সরযূ! দীপাবলিতে গিনেস বুকে জোড়া রেকর্ড অযোধ্যার

    Ayodhya Deepotsav: ২৬ লক্ষ প্রদীপে আলোকিত সরযূ! দীপাবলিতে গিনেস বুকে জোড়া রেকর্ড অযোধ্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আলোয় আলোকিত অযোধ্যা (Ayodhya Deepotsav)। উত্তরপ্রদেশের পবিত্র শহর ইতিহাস গড়ল বিশ্বমঞ্চে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে অযোধ্যার দীপোৎসবে তৈরি হল এক নয়, দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সরযূ নদীর দুই তীর সেজে উঠল ২৬ লক্ষ প্রদীপে। একসঙ্গে ২ হাজারেও বেশি মানুষ আরতি করলেন। দীপাবলিতে আগেও রেকর্ড গড়েছে উত্তর প্রদেশ। অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে ধুমধাম করে পালিত হয় দীপোৎসব। জ্বালানো হয় লাখ লাখ প্রদীপ। গত বছরও গিনেস বুকে নাম তুলেছিল অযোধ্যা। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল তারাই।

    গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ফের অযোধ্যা

    প্রতি বছরের মতো এবারও দেশ ও বিশ্বের নজর ছিল সরযূ নদীর তীরে। দীপ উৎসব (Deepotsav 2025) উপলক্ষে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রামকথা পার্কের মঞ্চে রামের প্রতীকী রাজ্যাভিষেক করেন। এরপর, রাম মন্দির পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম তলায় রাম দরবারের সামনে মাথা নত করে আশীর্বাদ গ্রহণ ও রামলালার পুজোর পর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী কমপ্লেক্সের প্রধান প্রবেশপথের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপোৎসবের উদ্বোধন করেন। দীপোৎসব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অযোধ্যার মানুষ ৫৬টি ঘাটে ২৬,১৭,২১৫টি প্রদীপ জ্বালিয়ে রেকর্ড গড়া হয়। প্রথম রেকর্ডটি ‘সবচেয়ে বেশি মানুষ একসঙ্গে প্রদীপ ঘোরানোর’ জন্য। দ্বিতীয়টি ‘সবচেয়ে বড় প্রদীপ প্রজ্বলন প্রদর্শনী’র জন্য। মাত্র ১৫ মিনিটে এতগুলি প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে রামভূমির। এই ঐতিহাসিক আয়োজনের দায়িত্বে ছিল উত্তরপ্রদেশ পর্যটন দফতর, অযোধ্যা জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার।

    ভারতের আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতীক

    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর অফিসিয়াল প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে এই অসাধারণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকেন। তাঁরা রেকর্ডের প্রমাণ যাচাই করে উত্তরপ্রদেশ সরকারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি সার্টিফিকেট তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, “অযোধ্যা আজ শুধু আলোয় নয়, ভক্তিতে ও ঐতিহ্যে উজ্জ্বল। এটি ভারতের আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতীক।” এদিন সরযূ ঘাটে দাঁড়িয়ে লাখো দর্শক দেখেছেন এক অনন্য দৃশ্য যতদূর চোখ যায়, ততদূর পর্যন্ত সারি সারি প্রদীপ। এই দীপোৎসবে অংশ নেয় হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী, স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রী এবং তীর্থযাত্রী।

    ড্রোন শো থেকে আতশবাজির প্রদর্শনী, কড়া নিরাপত্তা

    সরযূ নদীর তীরে ২,১২৮ জন বেদাচার্যের উপস্থিতিতে মহাআরতির পরই মুখ্যমন্ত্রী যোগীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশ্বরেকর্ডের শংসাপত্র। তার আগে, অযোধ্যায় একটি ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১,১০০টি ড্রোনের মাধ্যমে আকাশে রামের প্রতিচ্ছবি তৈরি করা হয়। রাম কি পৌড়িতে আয়োজিত লেজার এবং ড্রোন শো ছিল দেখার মতো। চলে আতশবাজির প্রদর্শনী। অসাধারণ সেই দৃশ্য উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান রাস্তায়। রামায়ণ অভিনয় করে দেখানো হয়। রামলীলা অভিনয় করতে ৫টি দেশ থেকে শিল্পীরা এসেছিলেন। কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। অযোধ্যাকে ১৮টি জোন এবং ৪২টি সেক্টরে ভাগ করে ১০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয় ওই অঞ্চলে। পিএসি, আরএএফ, এটিএস, বিডিএস এবং স্থানীয় পুলিশ ছিল সর্বত্র। রাম কি পৌড়ি এবং রামপথের পাশের বাড়িগুলির ছাদে মোতায়েন করা হয় সশস্ত্র সেনা। অ্যান্টি-মাইন দল, ব্যাগেজ স্ক্যানার এবং ফায়ার ব্রিগেডও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

    বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রেও উজ্জ্বল অযোধ্যা

    উত্তরপ্রদেশ পর্যটন বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য অযোধ্যাকে বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে আরও উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরা। তাদের মতে, দীপোৎসব আজ শুধুমাত্র এক ধর্মীয় আচার নয় এটি হয়ে উঠেছে এক বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। বিশেষজ্ঞদের মতে, অযোধ্যার দীপোৎসব এখন কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ভারতের ‘সফট পাওয়ার’-এর প্রতীক যা বিশ্বে ভারতের ঐতিহ্য, ঐক্য ও ভক্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন, “রাম রাজ্যের আদর্শে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই দীপোৎসব বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, বিশ্বাস ও ঐতিহ্য একসঙ্গে থাকলে ইতিহাস তৈরি হয়।”

  • Mohun Bagan: যুবভারতীতে দীপাবলির রোশনাই! আইএফএ শিল্ড জিতল বাগান

    Mohun Bagan: যুবভারতীতে দীপাবলির রোশনাই! আইএফএ শিল্ড জিতল বাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুবভারতী দীপাবলির আগেই বাজির বাজনা। আরও একটি ফাইনাল জিতল মোহনবাগান। আরও একটি ফাইনালে ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে হারাল তারা। চলতি মরসুমের প্রথম দু’টি ডার্বি হেরেছিল মোহনবাগান। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচ জিতে নিল তারা। যুবভারতীতে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল এই ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। বেশির ভাগ সময় দাপট দেখিয়েছে তারাই। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। গোল না করতে পারলে যে ম্যাচ জেতা যায় না তা আরও এক বার দেখা গেল। টাইব্রেকারে জিতে চলতি মরসুমে প্রথম বড় ট্রফি জিতল মোহনবাগান।

    আবেগের রঙ সবুজ-মেরুন

    মেহতাব সিংয়ের গোলের পরেই মুহূর্তে বিস্ফোরণ! জমে থাকা টেনশন যেন এক ঝটকায় উড়ে গেল সবুজ-মেরুন শিবির থেকে। দিমিত্রি পেত্রাতোস, মেহতাব, থাপা— উচ্ছ্বাসে ভাসলেন সবাই। পেনাল্টি মিসের যন্ত্রণা ভুলে উৎসবে যোগ দিলেন জেসন কামিংসও। ২২ বছর পর আবার আইএফএ শিল্ড জিতল বাগান। শিল্ড জেতার সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল গ্যালারির ছবিও। বাজির শব্দে কেঁপে উঠল স্টেডিয়াম। ঝোলা থেকে বেরিয়ে এল মোহনবাগানের পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার। সবুজ-মেরুনে ছড়িয়ে পড়ল আবেগের রং।

    ভাল খেলেও হার ইস্টবেঙ্গলের

    টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন মিগুয়েল, কেভিন, নওরেম মহেশ, হিরোশি। কিন্তু জয় গুপ্তর শট আটকে দিয়ে এ দিনের ম্যাচের নায়ক হয়ে যান বিশাল কাইথ। সবুজ-মেরুনের হয়ে সফল রবসন, মনবীর, লিস্টন, দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং মেহতাব সিং। তবে ম্যাচের পর বাগান গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস থাকলেও, আবেগের বিস্ফোরণটা কোথাও যেন অনুপস্থিত ছিল। যে কারণে কিছুটা হলেও অচেনা হয়ে উঠেছিল যুবভারতী। নব্বই মিনিট শেষে স্কোরলাইন ১-১। হামিদ আহদাদের গোলে লাল-হলুদ এগিয়ে যায়, বিরতির ঠিক আগে সমতা ফেরান আপুইয়া। বাকি সময়টা যেন এক টানটান অপেক্ষা— দু’দলের কিছু বিক্ষিপ্ত আক্রমণ, কিন্তু খেলার মান আহামরি নয়। বল মাঝমাঠেই ঘুরপাক খেল, যা দেখার পর ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ম্যাকলারেন, কামিন্স ছিলেন যেন বোতলবন্দী। রবসনও পাননি তেমন সুযোগ। বরং, মিগুয়েলের ফুটবলে ছিল ছন্দ, ছিল মুক্তি। কিন্তু সাপোর্টিং প্লে-র অভাব স্পষ্ট। ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে খেলার ফল ছিল ১-১। টাইব্রেকারে বাগানের জয়ের নায়ক সেই বিশাল কাইথ। ইস্টবেঙ্গলের নতুন ডিফেন্ডার জয় গুপ্তের শট বাঁচিয়ে দিলেন তিনি। মেহতাব সিং-এর শট জালে জড়াতেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল সবুজ-মেরুন। যুবভারতীতে উল্লাস শুরু করে দিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা।

  • iPhone 17 Pro: দীপাবলির আগে চাহিদা মেটাতে বাজারে এলো ভারতে তৈরি আইফোন ১৭ প্রো

    iPhone 17 Pro: দীপাবলির আগে চাহিদা মেটাতে বাজারে এলো ভারতে তৈরি আইফোন ১৭ প্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলিকে কেন্দ্র করে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে ভারতে তৈরি আইফেন ১৭ প্রো (iPhone 17 Pro) এবং প্রো ম্যাক্স (iPhone 17 Pro Max) এই সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন রিটেল স্টোরে পৌঁছতে শুরু করেছে। এতে করে দেশে সরবরাহ ঘাটতি কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এই বছর দেশে উৎপাদন বেড়েছে, রিটেলারদের অভিযোগ— আইফোন (iPhone 16) সিরিজের তুলনায় এবার মাত্র ৬০ শতাংশ ইউনিটই সরবরাহ করা হয়েছে। তবুও, অ্যাপল-এর বিক্রি গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। বিশেষ করে নতুন ডিজাইনের আইফোন-এর প্রতি চাহিদা প্রবল।

    ভারতে চাহিদা প্রচুর

    গত বছরের তুলনায় এবার ভারতে তৈরি প্রো মডেলগুলোর বাজারে পৌঁছানোর সময় অনেকটাই কমেছে। সূত্র জানিয়েছে, “২০২৪-এ গ্লোবাল লঞ্চ আর ভারতে তৈরি ইউনিটের মধ্যে ৮ সপ্তাহের ব্যবধান ছিল, কিন্তু এবার সেই ব্যবধান অনেকটাই কম।”প্রাথমিকভাবে, আ্যাপল সাধারণত আমদানি করা ইউনিট দিয়েই বাজারে ধাপে ধাপে প্রবেশ করে, ফলে অনেক সময় সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়। তবে এবার অ্যাপল আগেভাগেই উচ্চ চাহিদা অনুমান করে আমদানি করা ইউনিটের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। বর্তমানে ফক্সকন এবং টাটা পরিচালিত পেগাট্রন তৈরি করছে আইফোন ১৭ প্রো, এবং উইসট্রন (কর্নাটক ও হোসুরে) তৈরি করছে আইফোন ১৭-এর বেস মডেল। ফক্সকন-এর শ্রীপেরুম্বুদুর প্লান্টে তৈরি হচ্ছে অ্যাপল-এর সবচেয়ে স্লিম মডেল, আইফোন এয়ার (iPhone Air)। যদিও এই উৎপাদনের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে রফতানি হচ্ছে, তবে ভারতীয় বাজারও কিছুটা উপকৃত হচ্ছে।

    সেপ্টেম্বর ১৯ থেকে চলছে ঘাটতি

    অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেলর অ্যাসোসিয়েশন (All India Mobile Retailers Association) এবং দক্ষিণ ভারতের ওআরএ (Organised Retailers of South India) জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর ১৯ থেকে প্রো মডেলগুলোর সংকট চলছে। অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেলর অ্যাসোসিয়েশন (AIMRA) একটি চিঠিতে জানিয়েছে, “এই বছর আমাদের সদস্যরা গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম ইউনিট পেয়েছেন। এর ওপর অনেক সময় পুরনো আইফোন ১৫ ও ১৬ মডেলগুলোর সাথে নতুনগুলো জোড়া দিয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা ডিজকাউন্টসহ অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে।” ওরা বলেছে, “যখন ক্রেতারা খোলা বাজারে এই ফোনগুলোর জন্য অতিরিক্ত মূল্য দিতে রাজি হয়, তখন রিটেলারদের ওপর ব্ল্যাক মার্কেটিং-এর অভিযোগ আসে, যা তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতায় আঘাত করছে।”

    দীপাবলির আগে সরবরাহে উন্নতি

    বেশ কয়েকজন রিটেলার জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে ভারতে তৈরি ইউনিট বাজারে পৌঁছাতে শুরু করায় সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। “দশেরা সময়ে প্রো মডেলের ঘাটতির কারণে বিক্রি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।” এক আধুনিক রিটেল চেইনের মুখপাত্র জানিয়েছেন। তবে দীপাবলির আগে এই ঘাটতি পূরণের আশা করছেন তাঁরা। আরও এক রিটেলার জানান, “যদি সরবরাহ এমনই অব্যাহত থাকে, তাহলে দীপাবলির পরেও বিক্রি ভালো চলবে।” অ্যাপলের নতুন প্রজন্মের এই আইফোনে রয়েছে উন্নত ক্যামেরা সিস্টেম, প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং শক্তিশালী প্রসেসর।

    আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম

    আইফোন ১৭ সিরিজের বেস মডেলের ২৫৬ জিবি স্টোরেজ মডেলের দাম ৮২,৯০০ টাকা। আইফোন এয়ার- এর ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১,১৯,৯০০ টাকা। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১,৩৪,৯০০ টাকা। আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স ফোনের ২৫৬ জিবি স্টোরেজ মডেলের দাম ১,৪৯,৯০০ টাকা। অ্যাপেল স্টোর ৬ মাস পর্যন্ত নো-কস্ট ইএমআই অপশনের সুবিধা দেবে ক্রেতাদের। এছাড়াও থাকছে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাওয়ার সুবিধা। আমেরিকান এক্সপ্রেস, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কার্ডে ফোন কিনলে এই ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাবেন ক্রেতারা।

    অ্যাপল-এর রিটেল প্রসার এবং বিক্রি বৃদ্ধি

    অ্যাপল বর্তমানে ভারতে চারটি নিজস্ব রিটেল স্টোর চালু করেছে — মুম্বাইয়ের বিকেসি ও দিল্লির সাকেতের পরে নতুন করে বেঙ্গালুরু ও পুনেতে দুটি স্টোর খুলেছে। শুধু বিকেসি এবং সাকেত স্টোরেই প্রথম বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যার ৬০ শতাংশ এসেছে ছোট সাকেত স্টোর থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে এবার প্রো মডেলের অংশীদারিত্ব দ্বিগুণ হয়ে “ডাবল ডিজিটে” পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চিনে এই অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। ভারতে এবার প্রো মডেলের অংশীদারিত্ব দ্বিগুণ হয়ে “ডাবল ডিজিটে” পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চীনে এই অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। অ্যাপল-এর গড় বিক্রয়মূল্য (ASP) এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে, বলে মনে করা হচ্ছে।

  • PM Modi on Unstoppable Bharat: “ভারতকে আর থামানো যাবে না, ভারত সব চ্যালেঞ্জকে জয় করেছে” দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi on Unstoppable Bharat: “ভারতকে আর থামানো যাবে না, ভারত সব চ্যালেঞ্জকে জয় করেছে” দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এখন থামার মেজাজে নেই। পথে অনেক ধরনের বাধা রয়েছে। তা সত্ত্বেও ভারতের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। দিল্লির ভারত মণ্ডপমে অনুষ্ঠিত এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এ “অপ্রতিরোধ্য ভারত: বর্তমানের শক্তি” (Unstoppable Bharat: The Force of Now) শীর্ষক বক্তৃতায় এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, একসময়ের ‘ফ্র্যাজাইল ফাইভ’-এর অংশ থাকা ভারত আজ বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি অর্থনীতির একটি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের বিশ্বে নানা অনিশ্চয়তা ও সঙ্কট থাকলেও, ভারত থেমে নেই। ১৪০ কোটির বেশি ভারতবাসী দৃঢ় সংকল্পে এগিয়ে চলেছে।”

    ভারত সব চ্যালেঞ্জকে জয় করেছে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালের পূর্ববর্তী সময়কে স্মরণ করে বলেন, “আগে বিশ্ব ভাবত, ভারত এই দুর্যোগ সামলাতে পারবে তো? নীতি স্থবিরতা, দুর্নীতি, নারীদের নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাসবাদ ও মূল্যবৃদ্ধি ছিল দেশের বড় সমস্যা। কিন্তু গত ১১ বছরে ভারত সব চ্যালেঞ্জকে জয় করেছে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, কোভিডের পর বিশ্ব যখন মন্দায় পড়েছিল, তখনও ভারত ৭.৮% গড় হারে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। তাঁর কথায়, “কোভিড, যুদ্ধ, বৈশ্বিক সঙ্কট — সবকিছুর মধ্যেও ভারত এগিয়ে গিয়েছে। আজ মূল্যস্ফীতি ২%–এর নিচে, আর প্রবৃদ্ধি ৭%–এর উপরে।”

    আত্মনির্ভর ভারত

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চিপ থেকে জাহাজ পর্যন্ত, সর্বত্রই রয়েছে আত্মনির্ভর ভারত। আজ ভারত আত্মবিশ্বাসী, সক্ষম, এবং সারা বিশ্বে একটি নির্ভরযোগ্য, দায়িত্বশীল ও স্থিতিশীল অংশীদার।” প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতা নিয়েও মোদি বলেন, “ভারত আজ বিশ্বের অন্যতম দেশ যারা নিজেদের ৪জি স্ট্যাক তৈরি করেছে, এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডিজিটাল নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিচ্ছে।” তিনি জানান, গুগলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ভারতের শক্তি ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে বিনিয়োগ করছে। জিএসটি ও আয়কর সংস্কারের ফলে নাগরিকদের ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও মোদি বলেন, “আজকের দিনে বিশ্বজুড়ে হওয়া ডিজিটাল লেনদেনের ৫০ শতাংশই ভারতে হচ্ছে, ইউপিআই ব্যবস্থার মাধ্যমে।”

    সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়েও এদিন মোদি বলেন, “আজকের ভারত আর নীরব থাকে না, প্রত্যুত্তর দেয় সার্জিকাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে।” নকশাল সন্ত্রাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নকশালবাদ ভারতের যুব সমাজের সঙ্গে এক ভয়ানক অবিচার, এক গর্হিত পাপ।” দেশজুড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’ অর্জনের দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার রাতে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৩ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকার ‘দেশীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান’ নিয়েছে এবং ‘রক্তপাতের যে দীর্ঘ ইতিহাস’, তা শেষ করার প্রয়াস চলছে। মোদি বলেন, “গত ৫০-৫৫ বছরে হাজার হাজার মানুষ মাওবাদী সন্ত্রাসে প্রাণ হারিয়েছেন। এই নকশালরা স্কুল-হাসপাতাল গড়তে দিত না, চিকিৎসকরা যাতে গ্রামে যেতে না পারেন, তার জন্য হামলা চালাত, প্রতিষ্ঠান উড়িয়ে দিত। মাওবাদী সন্ত্রাস যুবসমাজের প্রতি এক ভয়ঙ্কর অন্যায় ছিল।”তিনি আরও যোগ করেন, “আমি বহুবার ভিতরে ভিতরে ক্ষুব্ধ হতাম। আজ প্রথমবার সেই বেদনা আমি প্রকাশ করছি।” তিনি জানান, গত এক দশকে নকশাল-প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১২৫ থেকে নেমে এসেছে মাত্র ১১-তে। তিনি বলেন, “এক সময়ের খবর ছিল — বস্তারে বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়ি, শহিদ জওয়ান। আজ সেখানে হচ্ছে ‘বস্তার অলিম্পিক’। এটি এক বিশাল পরিবর্তন।”

    ব্যাঙ্কিং সেক্টর থেকে গ্যাসের সংযোগ

    প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমরা ব্যাঙ্কিং সেক্টরে সংস্কার করেছি। আজ গ্রামে গ্রামে ব্যাঙ্ক পৌঁছে গিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০১৪ সালের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে গ্যাসের সংযোগ জন্য মানুষকে হয়রান হতে হত। তখন সাংসদরা কুপন পেতেন, যার ভিত্তিতে গ্যাস কানেকশন পাওয়া যেত। সাংসদদের বাড়ির সামনে মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। আজ বিজেপি সরকার ১০ কোটি গরিব মানুষকে বিনামূল্যে গ্যাস কানেকশন দিয়েছে।” সমাপ্তিতে মোদি বলেন, “বিশ্ব যখন অনিশ্চয়তার কিনারায় দাঁড়িয়ে, ভারত তখন সুযোগের দ্বারে। আমরা ঝুঁকিকে রূপান্তর করেছি সংস্কারে, সংস্কারকে রূপ দিয়েছি স্থিতিতে, আর স্থিতিকে এক বিপ্লবে।” এই সামিটে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হরিনী অমরসূরিয়া উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

  • Pakistan vs Afghanistan: ভারতই ঠিক! পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে না আফগানিস্তান, পাক হামলায় নিহত ৩ আফগান ক্রিকেটার

    Pakistan vs Afghanistan: ভারতই ঠিক! পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে না আফগানিস্তান, পাক হামলায় নিহত ৩ আফগান ক্রিকেটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতই ঠিক পথে হেঁটেছে, বুঝতে পারল আফগানিস্তানও। পাকিস্তানের হামলায় নিহত হয়েছে আফগানিস্তানের (Pakistan vs Afghanistan) তিন ক্রিকেটার। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী নভেম্বরের ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে দল তুলে নিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (ACB)। সিরিজে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা না-খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বুধবার ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছিল দুই দেশ। তার মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। তার পরেই রাতে পাকিস্তান বর্বরোচিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

    সাধারণ মানুষের উপর হামলা

    শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে আকাশপথে হামলা চালায় ইসলামাবাদ। তাতেই তিন জন ক্রিকেটার-সহ মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তিন ক্রিকেটারের নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (ACB)। নিহতেরা হলেন কবীর, শিবঘাতুল্লা এবং হারুন। এসিবি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটারেরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উরগুনে ফেরার পরেই তাঁদের নিশানা করা হয়।’’

    বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ক্রিকেটাররা

    বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আফগানিস্তানের ক্রীড়াজগতে এটা অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁদের পরিবারের প্রতি এবং পাকতিকার মানুষের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের, তাতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান বোর্ড।’’ আফগানিস্তানের টি২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রশিদ খান সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানের নাগরিকদের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। এই হামলায় অনেক মহিলা, শিশুর প্রাণ গিয়েছে। প্রাণ গিয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদের, যাঁরা এক দিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এভাবে অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা বর্বরোচিত এবং অনৈতিক। এই ধরনের কাজ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, একে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।’’ বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এর পর রশিদ বলেন, ‘‘এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণের মৃত্যু হয়েছে। আমি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমি আমাদের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দেশের মর্যাদা সবচেয়ে আগে।’’

    তিন উদীয়মান ক্রিকেটারের করুণ পরিণতি

    তিন জনের মধ্যে কবীরকে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে কবীর নজর কাড়ছিলেন গত দু’মরসুম ধরে। আগ্রাসী ব্যাটার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সাধারণত ওপেন করতেন। কখনও কখনও তিন নম্বরেও ব্যাট করতেন। ধারাবাহিকতার জন্য আফগানিস্তানের দক্ষিণ প্রাদেশিক অনূর্ধ্ব-২৩ প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাক পেয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আফগানিস্তানের জাতীয় নির্বাচকদের নজরেও ছিলেন। পাকতিকা প্রদেশের বাসিন্দা শিবঘআতুল্লা ছিলেন জোরে বোলার। হাতে ছিল ভাল ইনসুইং। পাকতিকা প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন। আগামী মরসুমে উরগুন ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন শিবঘাতুল্লা। হারুন ছিলেন প্রতিভাবান অলরাউন্ডার। টেনিস বলের ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছিলেন। পাকতিকা প্রদেশের স্থানীয় একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় নজর কেড়েছিলেন। ডান হাতি ব্যাটার কার্যকর স্পিন বল করতে পারতেন। তিনিও শিবঘাতুল্লার মতোই পাকতিকা প্রদেশের উরগুনের বাসিন্দা ছিলেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি পড়াশোনায়ও ভাল ছিলেন। স্থানীয় এক কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াশোনাও করছিলেন। মৃত তিন ক্রিকেটারের ছবি প্রকাশ করেছে আফগান বোর্ড।

    ভারতের পথেই আফগানিস্তান ক্রিকেট

    ভারতের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর টিম ইন্ডিয়া যেভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল, এটিও ঠিক সেইরকমই৷ ভারত যেমন আর পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ক্রিকেট খেলে না, এখন আফগানিস্তানও একই কাজ করতে চলেছে। আফগান ক্রিকেটারদের টার্গেট করছে পাকিস্তান। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান আফগানিস্তানে অসামরিক টার্গেটে বোমাবর্ষণ করে। পাকিস্তানি বিমান বাহিনী এমন একটি স্থানেও বোমাবর্ষণ করে যেখানে আফগানরা ক্লাব-স্তরের ক্রিকেট ম্যাচ খেলে বাড়ি ফিরছিল। এর আগে থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে আইসিসি ইভেন্ট ছাড়া কোনও ম্যাচই খেলে না ভারত। এবার আফগানিস্তানও সেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। আসলে পাকিস্তান বরাবরই অসামরিক লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে। ভারত-পাক সীমান্তেও সাধারণ মানুষদের নিশানা করা হয়েছিল। এবার পাকিস্তানের নজরে আফগানিস্তান।

  • Tejas MK1A: আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ, রাজনাথের সামনে তেজস মার্ক-১এ ফাইটারের প্রথম উড়ান

    Tejas MK1A: আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ, রাজনাথের সামনে তেজস মার্ক-১এ ফাইটারের প্রথম উড়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বায়ুসেনার অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হতে চলেছে তেজসের (Tejas MK-1A) উন্নততর সংস্করণ মার্ক-১এ। শুক্রবার নাসিকের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে প্রথমবার আকাশে ডানা মেলল এই যুদ্ধবিমানটি। শুক্রবার নাসিকে তেজসের তৃতীয় উৎপাদন শাখা উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি, এইচটিটি-৪০ প্রশিক্ষণ বিমানের দ্বিতীয় উৎপাদন শাখাও চালু করলেন তিনি। আত্মনির্ভর ভারতকে আরও শক্তিশালী করতে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর নাসিক ক্যাম্পাসে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)।

    আত্মনির্ভর ভারতের প্রকৃত উদাহরণ

    এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) হ্যাল-এর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধিতে হ্যাল একটি মজবুত স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে। আজকের দিনটি গর্বের দিন।” তিনি আরও বলেন, “এটি আমার প্রথমবার হ্যাল-এর নাসিক ক্যাম্পাসে আসা। এখানে কর্মীদের মুখে আমি গর্ব আর উচ্ছ্বাস দেখেছি। তেজস মার্ক-১এ (Tejas MK-1A) ও সুখোই-৩০ বিমানের পাইলটদের আমি শুভেচ্ছা জানাই। আজ সুখোই-৩০, মার্ক-১এ ও এইচটিটি-৪০ বিমানের উড়ান দেখে আমার হৃদয় গর্বে ভরে উঠেছে। এটি আত্মনির্ভর ভারতের প্রকৃত উদাহরণ। একসময় এই স্থানে মিগ বিমান তৈরি হতো, আর আজ এখান থেকে তৈরি হচ্ছে আধুনিক সুখোই জেট। এটা এক বিশাল অগ্রগতি।” তিনি আরও বলেন, “নাসিকের এই ভূমি ঐতিহাসিক। ত্রিম্বকেশ্বর রূপে এখানে অধিষ্ঠিত আছেন শিব ঠাকুর। এই ভূমি যেমন বিশ্বাস ও ভক্তির প্রতীক, তেমনই আজ আত্মনির্ভরতারও প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে হ্যাল আমাদের প্রতিরক্ষা শক্তির প্রতিচ্ছবি।”

    বায়ুসেনার হাতে হস্তান্তর কবে

    ২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান। এরপর থেকে ক্রমে বিমানটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হ্যাল (হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড )। এবার বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিমান তৈরিতে আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে দ্রুত এগোচ্ছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, দশটি মার্ক-১এ বিমান তৈরি করে পরীক্ষা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু এখনও এর চূড়ান্ত উড়ান পরীক্ষা এবং অস্ত্রসজ্জা বাকি রয়েছে। সেই কারণেই বায়ুসেনার হাতে এই বিমান হস্তান্তর করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

    ৬৫ শতাংশ মেক ইন ইন্ডিয়া

    এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সুখোই-৩০, এলসিএ তেজস ও এইচটিটি-৪০ এই তিনটি বিমান নাসিক ইউনিটে তৈরি হওয়া মানে দেশের আত্মনির্ভরতার আকাশে উড্ডয়ন। তিনি জানান, ২০১৪ সালের আগে দেশের প্রায় ৬৫-৭০ শতাংশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করতে হতো, কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৬৫ শতাংশ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। রাজনাথ সিং আরও বলেন, “উদীয়মান প্রযুক্তি মানে শুধু নতুন সরঞ্জাম বা যন্ত্র নয়; এটি একটি নতুন মানসিকতারও প্রতীক। আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি, এবং এখন আমাদের চিন্তাভাবনাকে আরও প্রসারিত করার সময় এসেছে। এটাই আমাদের ভারতের জন্য সময়ের দাবি।”

    তেজস মার্ক-১এ তে কী আছে

    তেজস মার্ক-১-এর উন্নততর সংস্করণ তেজস মার্ক-১এ একক আসনের যুদ্ধবিমান। মার্ক-১এ ৪.৫-প্রজন্মের হালকা যুদ্ধবিমান। এটি একক ইঞ্জিনের বিমান। এই বিমানে উন্নত এভিওনিক্স যুক্ত ক্লরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকলি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রাডার এবং স্ট্যান্ডার্ড মার্ক-১-এর তুলনায় বেশি অস্ত্রসম্ভার থাকবে এই এই বিমানে। মার্ক-১এ বিমানের মূল বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে একটি জিই এফ৪০৪-আইএন২০ ইঞ্জিন। এই বিমানে সর্বোচ্চ ৫,৩০০ কেজি পেলোড বহন করা সম্ভব। মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন প্রায় ১৩,৫০০ কেজি এবং সর্বোচ্চ গতি মাক ১.৮। বিমানটিতে এইএসএ রাডার, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার (EW) স্যুট এবং আকাশে ওড়ার সময়েই জ্বালানি ভরার মত উন্নত ক্ষমতা যুক্ত করা হয়েছে।

    তেজস মার্ক-১এ ঐতিহাসিক মাইলফলক

    হ্যালের দাবি, বায়ুসেনার হাতে তেজস তুলে দেওয়ার পথে প্রধান বাধা ইঞ্জিন। জিই-র ৪০৪ ইঞ্জিন আসার কথা রয়েছে মার্কিন মুলুক থেকে। এখনও পর্যন্ত মাত্র চারটি ইঞ্জিন পেয়েছে হ্যাল। অক্টোবরের শেষে আরও দুটি ইঞ্জিন আসার কথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ইঞ্জিনের জোগানের সমস্যার সমাধান হলেই তেজসের সাপ্লাই সঠিক হবে। তেজস মার্ক-১এ বিমানের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমানে অ্যাস্ট্রা এবং আসরাম ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করার ক্ষমতা। ২০২৯ সালের মধ্যে ৮৩টি মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য চুক্তি করা হয়েছে হ্যালের সঙ্গে। ২৫ সেপ্টেম্বর একটি নতুন চুক্তিতে আরও ৯৭টি বিমান সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই সংস্থাকে। ২০২৭ থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে এই বিমান তুলে দিতে হবে বায়ুসেনার হাতে। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তেজস এলসিএ মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম সফল উড্ডয়ন ভারতীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।

     

     

     

     

  • India Pakistan: ‘‘প্রতিবেশীদের দোষারোপ পাকিস্তানের পুরনো অভ্যাস’’, পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    India Pakistan: ‘‘প্রতিবেশীদের দোষারোপ পাকিস্তানের পুরনো অভ্যাস’’, পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় ও মদত দিয়ে আসছে। নিজেদের ব্যর্থতার দায় প্রতিবেশী দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া তাদের পুরনো অভ্যাস। আফগানিস্তানের (Pakistan Afghanistan) সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের মধ্যেই সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ শানাল ভারত। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের (India Pakistan) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এমনই দাবি করেন। পাক-আফগান যুদ্ধে কার্যত আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আফগানিস্তান নিজেদের মাটিতে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। তাতে পাকিস্তান ক্ষুব্ধ। আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল।’’

    পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘর্ষ

    আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের বাহিনীর সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষ বেঁধেছে পাকিস্তানের। এই পরিস্থিতিতে গা বাঁচাতে ফের ভারতকেই ঢাল করতে চাইলেন পাক মন্ত্রী। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খওজা আসিফ। আফগানিস্তানের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের সমীকরণের প্রেক্ষাপটে কি ভারতের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে খওজা আসিফ বলেন, ‘পাকিস্তান দুই তরফের সঙ্গেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও দাবি করেছেন, ‘সীমান্তে ভারতের নোংরা নীতি নেওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে’। তাঁর দাবি, তাঁরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।

    দিল্লির হয়ে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’

    পাকিস্তানের (India Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আরও অভিযোগ ছিল, দিল্লির হয়ে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ করছে তালিবান। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা ঢাকতে প্রতিবেশীদের উপর দোষ চাপানো পাকিস্তানের পুরোনো স্বভাব।’ পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দেয় এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পৃষ্ঠপোষকতা করে। আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি ভারত সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এই বার্তা ছিল বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের। উল্লেখ্য, পাকিস্তান আফগানিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সেই দেশে হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি করেছিল তালিবান সরকার। তালিবানের দাবি ছিল, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে কাবুলে পাকিস্তানের এয়ারস্ট্রাইকের পরে আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষে বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।

    চিন্তিত পাকিস্তান

    দুই সীমান্তে দুই পড়শি দেশকে নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান (India Pakistan)। আফগানিস্তান সীমান্তে তালিবানের সঙ্গে সংঘাতের পর আপাতত সংঘর্ষবিরতির পথে হেঁটেছে পাকিস্তান। কিন্তু আর এক পড়শি ভারতকে নিয়ে চিন্তিত ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তাঁর দাবি, তালিবানের মতো পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে জড়াতে পারে নয়াদিল্লি। সে কথা মাথায় রেখেই দ্বিমুখী যুদ্ধের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনকি বৃহস্পতিবার পাক মন্ত্রী আসিফ দাবি করেন, ভারতের মদতে যুদ্ধ চালাচ্ছে কাবুল। সংঘর্ষবিরতি ৪৮ ঘণ্টাও স্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতি আদৌ বজায় থাকবে কি না সন্দেহ আছে। এই সিদ্ধান্ত তো দিল্লি থেকে নেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি আরও দাবি করেন, আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের পিছনে “গোপন পরিকল্পনা” ছিল। উল্লেখ্য, ডুরান্ড লাইন বরাবর পাকিস্তানি ও আফগান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের কেন্দ্রে রয়েছে ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ (টিটিপি)। এদিকে তালিবানের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার এবং সেনা ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করছে। এদিকে পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানের তালিবান সরকার টিটিপি সদস্যদের আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানে হামলা করছে।

    ভারতের পাল্টা

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের (India Pakistan) সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে পাক মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দেয়, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেয়। প্রতিবেশীদের দোষারোপ করা ওদের পুরনো স্বভাব।’’ তিনি আরও জানান, “আমরা পরিস্থিতির উপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছি। তিনটি বিষয় একেবারে পরিষ্কার — প্রথমত, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দেয় ও তাদের কার্যকলাপকে সমর্থন করে। দ্বিতীয়ত, নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতার দায় প্রতিবেশীদের ঘাড়ে চাপানো পাকিস্তানের অভ্যাস। তৃতীয়ত, আফগানিস্তান যখন নিজস্ব সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ করছে, তখন তাতে পাকিস্তান ক্ষিপ্ত হয়েছে।” রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন,“ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি সম্পূর্ণভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।”  ভারত বলছে, তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির দিল্লি সফর ছিল সম্পূর্ণরূপে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক। প্রসঙ্গত, এটি প্রথম নয়, খাজা আসিফ প্রায়ই এ ধরনের ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক অভিযোগ করে থাকেন, যা কোনও প্রমাণে টিকে না। সংবাদ সম্মেলনে রণধীর জানান, কাবুলে ভারতের একটি টেকনিক্যাল মিশন চালু রয়েছে। তিনি জানান, “এই মুহূর্তে কাবুলে আমাদের একটি টেকনিক্যাল মিশন কাজ করছে। খুব শিগগিরই এটি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসে রূপান্তরিত হবে।”

  • Bangladesh Cricket: আফগানদের কাছে চুনকাম, দেশে ফিরে বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশি ক্রিকেটারেরা

    Bangladesh Cricket: আফগানদের কাছে চুনকাম, দেশে ফিরে বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশি ক্রিকেটারেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে অরাজক পরিস্থিতির ছায়া বাইশ গজেও। বাংলাদেশ ক্রিকেটেও (Bangladesh Cricket) কালো দিন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই পরাজিত হয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ২০০ রানের। লজ্জার সিরিজ শেষে দেশে ফিরে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। ক্রিকেটারেরা বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার সময় বেশ কিছু সমর্থক তাঁদের বিদ্রুপ করেন। সরাসরি ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, ক্রিকেটারদের গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে।

    কেন এমন হাল বাংলাদেশের

    সময়টা ভাল যাচ্ছে না বাংলাদেশের (Bangladesh Cricket)। এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর এক দিনের সিরিজেও শোচনীয় অবস্থা। আফগানিস্তানের কাছে এক দিনের সিরিজে চুনকাম হয়েছে বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচই হারতে হয়েছে। এই সিরিজে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই বাংলাদেশ ছিল ছন্নছাড়া। আফগানিস্তানের বোলাররা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেয়। শেষ ১২টি ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র একটি জিততে পেরেছে, যা দলের পারফরম্যান্স গ্রাফের নিন্মমুখী অবস্থানকে তুলে ধরে। এই ১১ হারের মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই চারটি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে, বর্তমানে তারা দশম স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ এমনিতে খুব ভালো জায়গায় ছিল না কখনওই কিন্তু ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে ৭-৮ নম্বর জায়গাতেই ঘুরে ফিরে ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পতন শুধু খেলোয়াড়দের ফর্মের কারণে নয়, বরং টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনার অভাবও বড় কারণ। নিয়মিত দল পরিবর্তন, স্থায়ী অধিনায়কত্বের অভাব, এবং ব্যাটিং অর্ডারে বিভ্রান্তি দলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।

    সমর্থকদের সংযত থাকার অনুরোধ

    এই পরিস্থিতিতে সমর্থকদের সংযত থাকার অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার নইম শেখ। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন যে, মাঠে নেমে জেতার চেষ্টাই করেন তাঁরা। কিন্তু সব সময় জেতা সম্ভব নয়। খেলায় জয়-পরাজয় থাকে। তাঁরাও মানুষ। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, হেরে যাওয়ায় দেশের সমর্থকদের কষ্ট হয়েছে। সেই কষ্ট থেকেই এই বিক্ষোভ। কিন্তু তাঁদের যে ভাবে ঘৃণা করা হচ্ছে বা গাড়িতে আক্রমণ হয়েছে, তা তাঁদেরও খুব কষ্ট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নইম। বাংলাদেশের এক দিনের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ চাপে রয়েছেন। অধিনায়ক হিসাবে ১০টি ম্যাচের মধ্যে ন’টিতেই হেরেছেন তিনি।

LinkedIn
Share