Author: pranabjyoti

  • Pohela Boishakh 2025: আকবর নন, বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন করেছিলেন হিন্দু রাজা শশাঙ্ক!

    Pohela Boishakh 2025: আকবর নন, বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন করেছিলেন হিন্দু রাজা শশাঙ্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে বাংলা নববর্ষ। পয়লা বৈশাখ (Pohela Boishakh 2025), বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। ইতিহাস বলে, বাংলা নববর্ষের প্রচলন করেছিলেন মুঘল সম্রাট আকবর। এতদিন ধরে আমরা যা জেনে এসেছি, পড়ে এসেছি, তা একটি মিথ্যে তথ্য, তা-ই আজ প্রমাণ করবে মাধ্যম

    মহারাজ শশাঙ্ক (Pohela Boishakh 2025)

    বঙ্গাব্দের প্রকৃত প্রবর্তক মহারাজ শশাঙ্ক। স্বাধীন বাংলার শাসক ছিলেন তিনি।! হিন্দু এই রাজা কালগণনার ক্ষেত্রে সূর্য সিদ্ধান্ত পদ্ধতি চালু করেছিলেন। শশাঙ্কই যে বঙ্গাব্দের প্রকৃত প্রবর্তক, তা আঁক কষেই বলে দেওয়া যায়। এটা বাংলায় ১৪৩১ সাল। ইংরেজিতে ২০২৫। এই দুই সালের পার্থক্য করলে ফারাক কত দাঁড়ায়? ২০২৫-১৪৩১ = ৫৯৪। এই ৫৯৪ সালে কে রাজত্ব করতেন? তখন তো মুঘলরা ভারতই আক্রমণ করেনি! আসলে এই সময় ছিল হিন্দু রাজা শশাঙ্কের রাজত্বকাল। ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গাব্দ চালুর কারণ হল ওই বৈশাখের প্রথম দিনেই রাজ্যাভিষেক হয়েছিল তাঁর। সেদিন ছিল সোমবার। আনুমানিক ৫৯০ থেকে ৬২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছিল শশাঙ্কের রাজত্বকাল। তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিন ছিল ১লা বৈশাখ ৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১২ এপ্রিল, সোমবার। পরবর্তীকালে পঞ্জিকার বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পয়লা বৈশাখ ১২ এপ্রিল থেকে বদলে এখন পালিত হয় ১৫ এপ্রিল।

    হাজার বছরের পার্থক্য কেন?

    প্রশ্ন হল, যদি আকবর বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা হন, তাহলে কালগণনায় প্রায় এক হাজার বছরের পার্থক্য কেন? ইতিহাস থেকেই জানা যায়, বাংলায় যে অজস্র ছোটো-ছোটো রাজ্যগুলি ছিল, সেগুলিকে একত্রিত করে প্রথম স্বাধীন বাঙালি সাম্রাজ্য স্থাপন করে সিংহাসনে বসেছিলেন মহারাজ নরেন্দ্রাদিত্য শশাঙ্ক। রাজধানী ছিল আজকের মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণতে। শশাঙ্কের অধীনে ছিল বাংলা, বিহার, ওড়িশা এবং অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রথম বাঙ্গালি সম্রাট শশাঙ্কের রাজ্যাভিষেক থেকেই বাঙালির নিজস্ব ক্যালেন্ডার বঙ্গাব্দর সূচনা। তাই বাংলা নববর্ষের প্রবর্তক আকবর নন, শশাঙ্ক। বঙ্গাব্দ প্রচলন এবং বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ইসলামের কোনও যোগই নেই। এই ভাবনা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

    শশাঙ্কের রাজত্বকাল (Pohela Boishakh 2025) চলাকালীন ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গাব্দ শুরু হয়। ২০২৫-এর সঙ্গে হিসেব মিলিয়ে করলে কত দাঁড়ায়? ২০২৫-৫৯৩=১৪৩২। দুদিন পরেই সেই ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। আর সম্রাট আকবরের শাসনকাল ছিল ১৫৫৬ থেকে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দ। অর্থাৎ সম্রাট আকবর বাংলা নববর্ষের প্রবর্তক, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল এবং ভিত্তিহীন!

    প্রাচীন ওড়িশার গঞ্জাম থেকে পাওয়া তাম্রশাসন থেকে জানা যায়, শৈলোদ্ভববংশীয় দ্বিতীয় মাধববর্মা মহারাজ শশাঙ্কদেবের সামন্ত ছিলেন। এই তাম্রশাসন মাধববর্মা ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে লিখেছিলেন। সুতরাং ৬১৯ খ্রিস্টাব্দের আগেই শশাঙ্ক পূর্ব ভারতের রাজ্যপাটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। শশাঙ্ক সম্পর্কে যেটুকু তথ্য পাওয়া যায় তার অনেকটাই হর্ষবর্ধনের সভাকবি বাণভট্ট রচিত ‘হর্ষচরিত’ থেকে। সেই সঙ্গে চিনা পরিব্রাজক হিউএনসাঙের ভারত ভ্রমণের বৃত্তান্ত থেকেও জানা যায়।

    শশাঙ্কের রাজকার্যের প্রচলিত ভাষা ছিল বাংলা। রাজধর্ম ছিল হিন্দু। তিনিই প্রথম অপরাজিত (Pohela Boishakh 2025) এবং বিস্তৃত বঙ্গের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন ধর্মসংরক্ষক এবং পরধর্মসহিষ্ণু। বাঙালি হিন্দু রাজাদের মধ্যে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক।

  • Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই (মুর্শিদাবাদের) পরিস্থিতি (Murshidabad Violence) এমন হয়েছে।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঘটে চলা হিংসার প্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে রাজ্যে আরও একটা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড়! (Murshidabad Violence)

    সুকান্ত বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। হাইকোর্টের আজকের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড় – যে তিনি রাজ্য শাসনের জন্য প্রস্তুত নন। তিনি এই রাজ্য শাসনের অযোগ্য।”

    মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড়!

    সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুকান্তর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। তিনি (Murshidabad Violence) বলেন, “পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড় দিচ্ছে। এই সময়ে তারা লুটপাট করতে পারে, মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে পারে, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে পারে এবং ইচ্ছেমতো সব করতে পারে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল, গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কলকাতা হত্যাকাণ্ডের মতো আরও একটি ঘটনা ঘটবে।”

    প্রসঙ্গত, শনিবারই পশ্চিমবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি কর্নি সিং শেখাওয়াত জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের অপারেশনে সাহায্য করতে তারা পাঁচ কোম্পানি সেনা (BJP) মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে।” গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Murshidabad Violence)।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদে (Violence Hit Murshidabad) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনলেন না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Suvendu Adhikari) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা সংঘর্ষ ও তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনীশ মুখার্জি। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।”

    হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ

    হাইকোর্ট মমতা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ এপ্রিল। আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মামলাটি শুনানির পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহায়তা করবে যাতে প্রাণহানি, আইন লঙ্ঘন বা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এই জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে এবং ১৭ এপ্রিল এর আবার শুনানি হবে, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই তাদের অবস্থান (Violence Hit Murshidabad) স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেবে।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বিরোধী উত্তেজনার জেরে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে (Suvendu Adhikari) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

  • BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হিংসাকে উৎসাহিত, সমর্থন এবং উসকানি দিচ্ছেন। বাংলায় টার্গেটেড হিন্দুবিরোধী হিংসাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুরক্ষা দিচ্ছেন এবং তাকে উৎসাহিত করছেন।” ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ (Anti Waqf Act Protests) করতে গিয়ে যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে রাজ্যে, সে সম্পর্কে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী।

    বিজেপির তোপ (BJP)

    তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামী বিবেকানন্দের ভূমি, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ভূমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকে তোষণের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করেছেন। পাশের রাজ্য অসমে সব শান্তিপূর্ণ, দেশের অন্যান্য অংশে শান্তি থাকলেও, বাংলায় কেন হিংসা হচ্ছে? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে সমর্থন করছেন।” বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এক দিকে এসএসসি কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে যাওয়ায় পুলিশ-প্রশাসন লাঠি ও বেতন ব্যবহার করে। অন্যদিকে, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় যখন সুনির্দিষ্টভাবে হিন্দুদের লক্ষ্য করে উগ্রপন্থী জনতা হামলা চালায়, তখন পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে। যখন তাদের ওপর পাথর ছোড়া হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তখন পুলিশ চুপচাপ বসে থাকে (Anti Waqf Act Protests)।” তিনি বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে চাই, বাংলার হিন্দুদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা কি আপনার দায়িত্ব নয়? আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, এবং এজন্য সরাসরি দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ

    এদিকে, মুর্শিদাবাদের (BJP) ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সেই মামলার শুনানি হল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলায়ই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে গত (BJP) কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় অশান্তিও ছড়িয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। এই হিংসায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বেসরকারি সূত্রের খবর (Anti Waqf Act Protests)।

  • Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Incidents) ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। সেখানেই মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের যেখানে তাণ্ডব চলছে, সেখানে ঠিক থানার উল্টোদিকের একটি বড় হলে অস্ত্রশস্ত্র, বোমা ও বারুদ মজুত রেখেছে তাণ্ডবকারীরা। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে সনাতনীদের দমিয়ে রাখতে পারবেন না। একটা সময় সনাতনীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন।” এদিন সুকান্ত মজুমদার কয়েকটি বাস এবং মোটরবাইকে গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দেন। শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে হাজির ছিলেন কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি চণ্ডীচরণ রায়, যুব নেতা জয় সাহা প্রমুখ।

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব (Sukanta Majumdar)

    ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধীরা জলঙ্গিতে বিডিও অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত এই নিয়ে লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তথাকথিত ‘শান্তির দূত’রা – তোষণের পতাকাতলে লালিত সংখ্যালঘুরা চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে তাদের রোষে পুলিশ বাধ্য হয়েছিল পিছু হটতে। যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেখানে এবং মুহূর্তের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ বিডিও অফিস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই বিডিও অফিসাররা, যাঁরা একসময় নির্বাচনের সময় এবং পরে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজ করতেন, তাঁরা এখন হতবাক – আইনশৃঙ্খলা ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। এই আধিকারিকরা যে রাজ্যের সেবা করেন, সেই রাজ্যই তাঁদের নিরাপত্তা বা মর্যাদা দেয় না (Sukanta Majumdar)।”

    কী লিখলেন সুকান্ত?

    সুকান্ত আরও লেখেন, “এটা কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয় – ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির বেদিতে যখন শাসনব্যবস্থাকে বলি দেওয়া হয়, তখন এটাই ঘটে। অফিসগুলি অনিরাপদ। সরকারি আধিকারিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবুও শাসকগোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষতার নামে বিশৃঙ্খলাকে আড়াল করছে। বাংলার রক্ত ​​ঝরছে। আর যারা একসময় এটা সম্ভব করেছিল, এই পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করেছিল, তারাই এখন সেই নৈরাজ্যের শিকার। এটি নির্লজ্জ তুষ্টিকরণের মূল্য। এটাই ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রাজনীতির ব্র্যান্ডের উত্তরাধিকার।”

    প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়ল পুলিশ!

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে ফের একবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Incidents) বিস্তীর্ণ এলাকা। এর আগে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল জঙ্গিপুরে। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল সামশেরগঞ্জও। প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন একাধিক পুলিশ কর্মী (Sukanta Majumdar)।

    সড়ক অবরোধ  

    শুক্রবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরে উত্তেজনা ছড়ানোর পর থেকেই সতর্ক ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। নয়া আইন অনুসারে, এলাকায় জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। যদিও শুক্রবার দুপুরে সামশেরগঞ্জের ডাকবাংলো মোড় থেকে সুতির সাজুর মোড় পর্যন্ত অংশে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয় যান চলাচল। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এই সময় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।

    ইটের ঘায়ে জখম পুলিশ কর্তা

    বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ফরাক্কার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ একাধিক পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাটাতে হয় কাঁদানে (Murshidabad Incidents) গ্যাসের সেল। তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। ততক্ষণে বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর আকার নিয়ে নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাস। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ফরাক্কা-আজিমগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শেষমেশ নামানো হয় বিএসএফকে (Sukanta Majumdar)।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আন্দোলনের নামে গুন্ডারা মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই কাজ করছে। এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও, তিনি। আর পুলিশ (Murshidabad Incidents) দর্শকের মতো আচরণ করছে।”

  • Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের এক প্রথা। প্রথার নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ (Mongol Shobhayatra)। ইউনূস জমানায় মৌলবাদীদের হুমকির জেরে বদলে গেল নববর্ষের অনুষ্ঠানের সেই শোভাযাত্রার নাম (Bangladesh Crisis)। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে নয়া নাম হল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তরফে এই নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষদের ডিন মহম্মদ আজহারুল ইসলাম শেখের দাবি, শুরুতে বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। অন্যান্যবারের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রা আরও বড় আকারে হবে। তিনি জানান, ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’-এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের ২৮টি জনগোষ্ঠী অংশ নেবে।

    ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর (Bangladesh Crisis)

    ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এদিন লাখ লাখ বাঙালি অংশ নেন শোভাযাত্রায়। পেঁচা-সহ অশুভ নাশকারী বিভিন্ন প্রতীক দেখা যায় সেই শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রা শুরুর বেশ কয়েক বছর পরে বাংলাদেশে শুরু হয় স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন। তখন এই অনুষ্ঠানের নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ফি বার রমনার ছায়ানট থেকে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বক্তব্য

    এবার বাংলাদেশের মৌলবাদীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে তাদের কোনও আপত্তি না থাকলেও, ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকবে না। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম মুখ আমির মুফতি সৈয়দ মহম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, “কোনও শোভাযাত্রা করলে দেশবাসীর মঙ্গল হবে, এই বিশ্বাস বা ধারণা ইসলামের দিক থেকে গুনাহ্ (পাপ)। মূর্তি-সহ ইসলাম অসমর্থিত সবকিছু বাদ দিতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রাণহীন উৎসবের প্রস্তুতি

    ডিন সকলকে নিয়ে শোভাযাত্রার কথা বললেও, বাস্তব বলছে অন্য কথা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার পয়লা বৈশাখের আগে আগে চারুকলার (Mongol Shobhayatra) শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়া ও শিল্পীদের সেই চেনা ব্যস্ততা নেই। অন্যান্যবার মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত বর্ষবরণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজ। এবার তা হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীকে নিয়েই চলছে কাজ (Bangladesh Crisis)। পড়ুয়াদের একাংশের মতে, এবারের শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ কার্যত নেই। এরকম প্রাণহীন চারুকলা অনুষদ আগে দেখা যায়নি। মঙ্গল শোভাযাত্রা আদতে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকেন। সর্বজনীনতার নামে সেটা সকলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    সাজছে বাংলাদেশ

    আয়োজকরা জানান, শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে গত বছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হবে। এবার শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে থাকছে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার স্বৈরাচারের দৈত্যাকৃতি প্রতিকৃতি, ১৬ ফুট উচ্চতার ইলিশ মাছ, সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাঘ এবং শান্তির দূত পায়রাও। থাকছে হাতি, বাঘ, পেঁচা-সহ অন্যান্য পশুপাখির মুখোশও। চারুকলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে সেসব মুখোশ ও প্রতিকৃতি তৈরির কাজ। এ ছাড়া চারুকলার সীমানা প্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল-লতাপাতা আর পাখি দিয়ে সাজানো হচ্ছে দেওয়াল (Bangladesh Crisis)।

    কী বলছে ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতি

    ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পয়লা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়ে-শাদি সহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সেজন্য বাদশা আকবর ইসলামি বর্ষপঞ্জীকে ভিত্তি করে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সন প্রবর্তনের সঙ্গে মুসলামনদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার প্রথা সংস্কৃতিতে ইসলাম-বিরোধী কোনও (Mongol Shobhayatra) কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সেজন্য বাংলা নববর্ষ উদযাপনে কোনও আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।

    বাংলাদেশে নববর্ষের এই আয়োজন বরাবরই বর্ণিল। দলে দলে মানুষ বের হন রাস্তায়। আনন্দে-উচ্ছ্বাসে, রূপে-রংয়ে বরণ করা হয় বাংলা নতুন বছরকে। হাসিনা-উত্তর জমানায় তৈরি হয়েছে নয়া বাংলাদেশে। বদলে যাওয়া সেই বাংলাদেশের শোভাযাত্রায় কার্যত ফতোয়া জারি করল ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’ (Bangladesh Crisis)।

  • Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গিদের বীরত্বের জন্য পুরস্কার দিক পাকিস্তান।” মুম্বই হামলায় (Mumbai Attacks) জঙ্গিদের মৃত্যুর পর বন্ধু ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে বলেছিলেন মুম্বই হামলার চক্রী তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। আমেরিকা রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত নথিতে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার সংক্রান্ত দফতর। রানা ও তাঁর সহ-ষড়যন্ত্রী ডেভিড হেডলির মধ্যে যে কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার সময় যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছিলেন, রানা লস্কর ই-তৈবার সেই জঙ্গিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ওই জঙ্গিদের পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার নিশান–ই-হায়দার দেওয়া উচিত। যুদ্ধক্ষেত্র কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিহত হলে পাকিস্তান সরকার সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিশান-এ-হায়দর পুরস্কার দেয়। আমেরিকার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কার মৃত ৯ জঙ্গিকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন রানা।

    নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর উল্লাস প্রকাশ! (Mumbai Attacks)

    উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জন জঙ্গির। জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন কেবল আজমল কাসভ। পরে ২০১২ সালে তিহাড় জেলে ফাঁসি হয় তার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় ১০ জন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের হামলার পর রানা হেডলিকে বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয়দের এটা পাওনা ছিল।’’ ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর তিনি উল্লাসও প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানিয়েছে মার্কিন বিচারবিভাগ।

    এনআইএ হেফাজতে তাহাউর

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের ওই হামলায় বিভিন্ন দেশের মোট ১৬৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল (Mumbai Attacks)। পাক বংশোদ্ভূত রানা বর্তমানে কানাডার নাগরিক। বছর চৌষট্টির রানা ১৯৯০ সালে পাকাপাকিভাবে কানাডায় চলে যান। পরে সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার(এনআইএ) হেফাজতে। তার আগে রানা বন্দি ছিলেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের জেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ রানাকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁকে ভারতে ফেরানোর পরে এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে (Tahawwur Rana)। ২০০৮ সালের ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল।

    মুম্বই হামলার পরিকল্পনা

    রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এনআইএর সদর দফতরে ইতিমধ্যেই বিশেষ কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, ১২ জন আধিকারিক মুম্বই হামলার এই চক্রীকে জেরা করবেন। লস্কর জঙ্গিদের হামলার আগে আলাদা আলাদা সময়ে মুম্বইয়ে রেকি করে গিয়েছিলেন ডেভিড হেডলি ও তাহাউর রানা। কানাডায় বাস করলেও, পাক সেনা ও আইএসআইয়ের সঙ্গে তাহাউর রানার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হেডলিকে তিনি ভুয়ো ভিসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। মুম্বই হামলার পরেও তাহাউরের বড় পরিকল্পনা ছিল। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, মুম্বইয়ে তাঁর ইমিগ্রেশন ব্যবসার শাখা খোলা। হেডলিকে সেই অফিসের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগও করতে চেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার দুবছর আগে শিকাগোয় একাধিকবার ডেভিড হেডলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাহাউর। সেই সময়ই মুম্বই হামলার পরিকল্পনা করেছিল তারা।

    হেডলি এখনও আমেরিকায়

    জানা গিয়েছে, তাহাউর রানা ও ডেভিড হেডলি ছোটবেলার বন্ধু। বছরের পর বছর অপেক্ষার পর রানাকে শেষ পর্যন্ত ভারত হাতে পেলেও, হেডলি এখনও আমেরিকায়ই রয়েছে। এই হেডলিই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ও সরাসরি ভারতে এসে কমপক্ষে আটবার দফায় দফায় রেকি করে গিয়েছে (Tahawwur Rana)। কিন্তু রানাকে প্রত্যর্পণ করলেও, নানা অজুহাতে হেডলিকে এখনও ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করেনি আমেরিকা। মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে সেখানকার গারদে পুরে রাখা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, হেডলিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না। হেডলির আসল নাম দাউদ গিলানি। ভারত তাকে এই মামলায় নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার বারংবার দাবি জানালেও, আমেরিকা (Mumbai Attacks) প্রতিবারই ভারতের সেই অনুরোধে কান দেয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জিকে পিল্লাই। তাঁর মতে, জঙ্গি হেডলি ডাবল এজেন্টের কাজ করতেন। তিনি একই সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর হয়ে কাজ করতেন।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে মুম্বই হামলার ভূমিকা ও পৃথক ষড়যন্ত্রের জন্য বর্তমানে আমেরিকায় ৩৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন হেডলি। তাঁর সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার মধ্যে যে সরাসরি যোগাযোগ (Tahawwur Rana) ছিল, তাও বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে (Mumbai Attacks)।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংককে বিমস্টেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। সেই বৈঠকে পড়শি দেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় ভারত (New Delhi) যে উদ্বিগ্ন, ইউনূসকে তা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার বিকেলে এ ব্যাপারে ফের একবার ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা কথা হয়েছে ভারতের। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়, তাঁদের ওপর যে নির্মমতার অভিযোগ উঠে আসে, তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে বাংলাদেশকে।

    বাংলাদেশ পুলিশের দাবি (Bangladesh Crisis)

    গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছিল, সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের সিংহভাগ ঘটনাই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে। পরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছিল, গত ৫ অগাস্ট থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ২ হাজার ৩৭৪টি। তার মধ্যে ১ হাজার ২৫৪টি অভিযোগ যাচাই করে দেখেছে পুলিশ। যাচাই করা অভিযোগগুলির ৯৮ শতাংশই রাজনৈতিক কারণে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে এদিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে দেখিয়ে বা সংবাদমাধ্যমের অতিরঞ্জিত বলে ঘটনাগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

    কী বললেন রণধীর জয়সওয়াল

    রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাগুলিকে কখনও রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বা সংবাদ মাধ্যমের অতিরঞ্জিত, এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এই ধরনের নৃশংসতায় যারা অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ করবে বলে আমরা আশা করি।” প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে আগেও বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছে ভারত। যদিও ইউনূস প্রশাসন বিভিন্ন সময় জানিয়ে দিয়েছে, সে দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই রয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভিন দেশের মন্তব্য (New Delhi) যে তাদের না-পসন্দ, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

  • Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি-আমেরিকান জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলি ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর হুসেন রানার (Tahawwur Rana) সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ২৬/১১ হামলার আগে তিনি ভারতে এসেছিলেন সব মিলিয়ে আটবার। এই সময় তিনি রানাকে ফোন করেছিলেন মোট ২৩১ বার।

    দ্বিশতাধিকবার ফোন (Tahawwur Rana)

    ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রথমবারের মতো রেইকি করার সময় ডেভিড হেডলি রানাকে ৩২ বারেরও বেশি বার ফোন করেছিলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয় নাগরিক রানা, কাজ করতেন পাক সেনায়। তিনি ছিলেন ডাক্তার। ২৬/১১ হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হেডলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন (Mumbai Terror Attack)। হেডলি তাঁর দ্বিতীয়বার ভারত সফরে রানাকে ২৩ বার ফোন করেছিলেন। তৃতীয়বার সফরের সময় ফোন করা হয়েছিল ৪০ বার। পঞ্চমবার সফরের সময় ফোন হয়েছিল ৩৭ বার। ষষ্ঠ ও অষ্টমবারের সফরে ফোন করা হয়েছিল যথাক্রমে ৩৩ ও ৬৬ বার।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্পের আমন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় মোদির পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার সরকার ভেরি এভিল (খুব দুষ্টু) রানার প্রত্যর্পণ অনুমোদন করেছে। তিনি এও বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্যতম শত্রু, যিনি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় জড়িত, তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ট্রাম্পের এই বক্তব্যের দু’মাসের মধ্যেই ২৬/১১ হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছাবেন। জানা গিয়েছে, হেডলির জন্য ভিসা জোগাড় করা থেকে শুরু করে তাঁর ঘন ঘন ভারত সফরের সময় তাঁকে শনাক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা পর্যন্ত সব চেষ্টাই করেছেন রানা। এনআইএ-এর মামলায় এর বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। নথিগুলি থেকে জানা গিয়েছে, রানা কীভাবে হেডলিকে ভারতে থাকার ব্যবস্থা করতে এবং জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য জায়গা বাছাই করতে সাহায্য করেছিলেন। রানা ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলা চালানোর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য ডেভিড হেডলি ও অন্যান্য সহ-ষড়যন্ত্রকারীদেরকে লজিস্টিক্যাল, আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্য দিয়েছিলেন।

    ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    তাহাউর রানা ডেভিড হেডলি, আবদুর রহমান হাশিম সৈয়দ এবং ইলিয়াস কাশ্মীরির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছিলেন। তার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। মুম্বই হামলার আগে ডেভিড হেডলির প্ররোচনায় তাহাউর দুবাইতে আবদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন (Tahawwur Rana)। ২০০৫ সালের শুরুতে, ডেভিড হেডলি লস্কর-ই-তৈবা (LeT) এবং হুজির (HUJI) নির্দেশে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে নরমেধ যজ্ঞ ও সম্পত্তি ধ্বংসের উদ্দেশ্যেও একটি ষড়যন্ত্র করেছিলেন। লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সৈয়দ ডেভিড হেডলিকে ভারত ঘুরে জঙ্গি হামলার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন (Mumbai Terror Attack)। সৈয়দ আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নেবেন এবং তাঁর সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য গোপন রাখতে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যমগুলি ব্যবহার করবেন।

    ষড়যন্ত্রের নীল নকশা

    ২০০৬ সালের জুন মাসে ডেভিড হেডলি শিকাগো গিয়ে তাহাউরের সঙ্গে পুরো ষড়যন্ত্রের নীল নকশা ছকে ফেলেছিলেন। ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নিয়েছিলেন এবং লস্কর-ই-তৈবার দেওয়া দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁর ইমিগ্রেশন ফার্ম ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’-কে কভার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। ২০০৬ সালের ৩০ জুন তাহাউর রানার সক্রিয় সমর্থনে ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে ‘ইমিগ্র্যান্ট ল সেন্টার, শিকাগো’র একটি শাখা অফিস স্থাপনের উদ্দেশ্যে ভারতের কাছে মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসার আবেদন করেছিলেন। ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে পৌঁছেছিলেন। তাঁকে রিসিভ করেছিলেন তাহাউরের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি।

    হেডলির জন্য অভ্যর্থনা

    তাহাউর ওই ব্যক্তিকে ডেভিড হেডলির জন্য অভ্যর্থনা, যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা এবং অফিস-সহ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাহাউরের পরিচিত ওই ব্যক্তি প্রথমে হেডলিকে মুম্বইয়ের হোটেল আউট্রামে রাখেন। পরে তিনি আর একজন পরিচিতির বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকতে শুরু করেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে তাহাউরের সাহায্যে ডেভিড হেডলি তাঁর ভারতীয় ভিসা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে তাঁকে দশ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা এক্সটেনশন দেওয়া হয়। তাহাউরের হস্তক্ষেপে ভিসা এক্সটেনশনের প্রক্রিয়াটি অনায়াস হয়েছিল (Tahawwur Rana)।

    নিয়মিত যোগাযোগ

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউর ভারত সফরের সময় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। যখন ডেভিড হেডলি মার্কিন (Mumbai Terror Attack) যুক্তরাষ্ট্রে তাহাউরের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তাঁরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। যেহেতু রানা একজন সেনা ডিজার্টার ছিলেন, তাই ডেভিড হেডলি তাঁকে মেজর ইকবালের মাধ্যমে সাহায্যের আশ্বাস দেন। ২৬/১১ হামলার ঠিক আগে ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে তাহাউর ফের ভারত সফরে আসেন। তাঁর এই সফর বেশ কয়েকজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। তাঁর ভারতে থাকাকালীন সময়ে, তাহাউর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছিলেন, যার মধ্যে ছিল হাপুড়, দিল্লি, আগ্রা, কোচিন, আহমেদাবাদ, মুম্বই প্রভৃতি জনবহুল শহর।

    প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউরের সক্রিয় সাহায্য ও প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে নাশকতা চালাতে পেরেছিল (Tahawwur Rana)। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (Mumbai Terror Attack) সুপ্রিম কোর্ট। বছর চৌষট্টির রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে ভারতে ফেরাতে আমেরিকা পৌঁছে গিয়েছে এনআইএর একটি দল।

    তিহাড় জেলে ঠাঁই!

    জানা গিয়েছে, ভারতে পৌছনোর পর তিহাড় জেলের চূড়ান্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে একটি ওয়ার্ডে রাখা হতে পারে রানাকে। তাঁকে ভারতে নিয়ে আসার আগেই জেলে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে বলেও খবর। তাঁকে সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের জন্য এনআইএর হেফাজতে রাখা হবে। এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছেন বলে খবর (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ১০ জন পাক জঙ্গির একটি দল আরব সাগর দিয়ে মুম্বইয়ে ঢোকে। এরপর একটি রেলস্টেশন, দুটি বিলাসবহুল হোটেল এবং একটি ইহুদি কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালায় তারা। হামলা চলে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে। মৃত্যু হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬৬ জন নাগরিকের। এই হামলারই মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ডেভিড হেডলি। তাঁকে বিভিন্ন তথ্য ও নথি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাহাউর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বন্দি ছিলেন মার্কিন জেলে (Mumbai Terror Attack)। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর শেষমেশ তাঁকে ফেরানো হচ্ছে ভারতে (Tahawwur Rana)।

  • BJP Government: রাজনৈতিক স্বার্থে নিয়োগ! আপ জমানার ১৭৭ জনের চাকরি বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী

    BJP Government: রাজনৈতিক স্বার্থে নিয়োগ! আপ জমানার ১৭৭ জনের চাকরি বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক যোগ্যতার বদলে রাজনৈতিক লাভের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের (BJP Government)। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপের (AAP Govt) জমানায় নিয়োগ হওয়া এমন ১৭৭ জনের নিয়োগ বাতিল করে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্তা। বুধবারই এই নিয়োগ বাতিলের কথা ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বাতিলকরণ কার্যকর করা হবে অবিলম্বে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি অধীন বোর্ড, কমিটি এবং অ্যাকাডেমি।

    স্বজনপোষণ! (BJP Government)

    এই মনোনয়নগুলির মধ্যে অনেকেই বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্য এবং পদস্থ দলীয় কর্তারা। জানা গিয়েছে, এই নিয়োগপ্রাপ্তদের দিল্লি জল বোর্ড, কল্যাণ বোর্ড, তীর্থযাত্রা উন্নয়ন কমিটি, হজ কমিটি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ভাষা অ্যাকাডেমির মতো সংস্থাগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। এদিন যাঁদের নিয়োগ বাতিল হল তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আপ বিধায়ক পবন রানা, বিধায়ক বিনয় মিশ্র এবং আপ মন্ত্রিসভার সদস্য জিতেন্দ্র তোমরের স্ত্রী প্রীতি তোমরও। পবনকে নিয়োগ করা হয়েছিল দিল্লির জল বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে। ওই বোর্ডেরই ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বিধায়ক বিনয় মিশ্রকে। প্রীতি তোমর ছিলেন ওই বোর্ডের সদস্য।

    বিজেপির দাবি

    বর্তমান বিধায়কদের পাশাপাশি নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাক্তন বিধায়কদেরও। আবদুল রেহমান ও হাজি ইউনূসকে নিয়োগ করা হয়েছিল হজ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে। পাঞ্জাবি অ্যাকাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল আপেরই প্রাক্তন বিধায়ক জারনাইল সিংকে। বিজেপির দাবি (BJP Government), প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে স্বচ্ছতা পুনরুদ্ধারের জন্য পদ্ম-নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল। বিজেপি সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং সংস্থাগুলির নির্দলীয় কার্যকারিতা নিশ্চিত করার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে আরও কঠোরভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝাড়াই (AAP Govt) বাছাই পর্ব চালাবে সরকার। যেখানে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার চেয়ে যোগ্যতা এবং পেশাদারি দক্ষতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে (BJP Government)।

LinkedIn
Share