Author: pranabjyoti

  • Supreme Court: “বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে,” প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিকর কার্টুন মামলায় বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: “বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে,” প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিকর কার্টুন মামলায় বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরএসএস কর্মীদের আপত্তিকর কার্টুন (Cartoons On PM Modi) মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। এই যুক্তিতেই নাকচ করে দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের কার্টুনিস্ট হেমন্ত মালব্যের আগাম জামিনের আবেদন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এবং আরএসএস কর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর কার্টুন আঁকার অভিযোগ উঠেছিল হেমন্তর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মানহানির মামলা। অভিযোগ, হিন্দুদের ভাবাবেগেও আঘাত করেছেন তিনি।

    শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন হেমন্ত (Supreme Court)

    মানহানি মামলা দায়ের হওয়ার পরেই আগাম জামিনের জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন হেমন্ত। আদালত তাঁকে একদিনের জন্যও অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করে। হেমন্তর আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করেন। আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন শুনানির সময় বেঞ্চ মৌখিকভাবে মন্তব্য করে, এই ধরনের কার্টুনিস্ট ও স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানরা বাকস্বাধীনতার নামে সীমা লঙ্ঘন করছেন। এটি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার থাকলেও, সেই অধিকারের অপব্যবহার করলে কাউকে অন্ধভাবে রক্ষা করা যাবে না।

    আগাম জামিনের আবেদন খারিজ আগেও

    এর আগেও আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছিল হেমন্তর আগাম জামিনের আবেদন। ৩ জুলাই তা খারিজ করে দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। সেখানেও বিচারপতিরা বলেছিলেন, তিনি বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার করেছেন এবং কার্টুন প্রকাশে কোনও রকম সংযম দেখাননি। এরপর হেমন্ত সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। সেখানেও প্রাথমিকভাবে মিলল না স্বস্তি। আবেদনপত্রে হেমন্ত উল্লেখ করেন, বিতর্কিত কার্টুনটি ২০২০ সালের কোভিড ১৯ মহামারির সময় প্রকাশিত হয়। তাঁর দাবি, কার্টুনটি মূলত স্যাটায়ারের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক মন্তব্য (Supreme Court)।

    প্রসঙ্গত, কার্টুনটিতে একটি কাল্পনিক দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যেখানে একজন নাগরিককে একটি টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকাটি দিচ্ছেন এক রাজনৈতিক নেতা। হেমন্তর দাবি, এটি (Cartoons On PM Modi) সামাজিক ব্যঙ্গচিত্রের একটি অংশ, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে অপমান করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না (Supreme Court)।

  • Harsh Vardhan Shringla: রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় গেলেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

    Harsh Vardhan Shringla: রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় গেলেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) গেলেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla)। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিদেশ সচিব। ২০২৩ সালে জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারত। তখন শ্রিংলা কাজ করেছিলেন চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে।

    অভিজ্ঞ কূটনীতিক (Harsh Vardhan Shringla)

    বিদেশ সচিব হওয়ার আগে তিনি ছিলেন আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের হাই কমিশনার হিসেবেও কাজ করেছেন শ্রিংলা। শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের অভিজ্ঞ এই কূটনীতিককে মনোনীত করেছেন রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে। শ্রিংলা ১৯৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের অফিসার। তিনি যখন বিদেশ সচিব ছিলেন, তখনই ভারতে হামলে পড়েছিল কোভিড-১৯ অতিমারি। সেই গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিও সামলেছেন শ্রিংলা ঠান্ডা মাথায়। তাইল্যান্ডেও ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন শ্রিংলা। তিনি যখন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ছিলেন, সেই সময় ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। ৩৭০ ধারা ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংক্রান্ত সংবেদনশীল আলোচনার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছিলেন তিনি।

    গভীর জ্ঞানের জন্য পরিচিত শ্রিংলা

    শান্ত স্বভাব ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে গভীর জ্ঞানের জন্য পরিচিত শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla)। অনেকেই বলেন, “তিনি ছিলেন ভারতের সেই কয়েকজন কূটনীতিকদের একজন, যিনি কঠিন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিগুলিকে পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি ও ভারসাম্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারতেন। করোনা অতিমারি-পর্বে তিনি পরিচালনা করেছিলেন বন্দে ভারত মিশন। এই মিশনের মাধ্যমে তিনি লাখ লাখ ভারতীয়কে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন।” মুম্বইয়ে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন শ্রীংলা। দিল্লির সেন্ট স্টিফেনস কলেজ থেকে স্নাতক হন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরিচিতি লাভ করেন ভারতের বিদেশ নীতির ওপর স্পষ্ট ধারণা এবং কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শ্রিংলার রাজ্যসভায় মনোনয়নকে দেশসেবায় তাঁর দশকের পর দশক ধরে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

    গত লোকসভা নির্বাচনের সময় জল্পনা ছড়িয়েছিল দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হতে পারেন শ্রিংলা। প্রাক্তন বিদেশ সচিবও সেই মতো শিলিগুড়িতে এসে নিজেকে ভূমিপুত্র দাবি করে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকায় তিনি নানা কাজকর্মও করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত শ্রিংলাকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সদস্য হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla) বলেন, “এই মনোনয়নে আমি খুশি। পাহাড়-সহ গোটা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে কাজ করব।”

  • Ujjwal Nikam: তাঁর শানিত সওয়ালেই ফাঁসি হয়েছিল কাসভের, ‘স্বীকৃতি’ পেলেন উজ্জ্বল নিকম

    Ujjwal Nikam: তাঁর শানিত সওয়ালেই ফাঁসি হয়েছিল কাসভের, ‘স্বীকৃতি’ পেলেন উজ্জ্বল নিকম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভকে (Terrorist Ajmal Kasab) ফাঁসিতে ঝোলানোর কারিগর আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম (Ujjwal Nikam) সদস্য হলেন রাজ্যসভার। রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় গিয়েছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, মোট ১২জনকে রাজ্যসভায় মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। নিকম তাঁদেরই একজন।

    আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম (Ujjwal Nikam)

    স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর উজ্জ্বল নিকম আইনজীবী হিসেবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার মামলা। তিন দিনের ওই হামলায় মারা গিয়েছিল পাক মদতপুষ্ট ৯ জঙ্গি। দেড়শোরও বেশি নিরীহ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছিল জঙ্গি হামলায়। পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকেছিল জলপথে। ওই হামলায় একমাত্র জীবিত অবস্থায় ধরা হয় জঙ্গি কাসভকে। তাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন এই নিকমই। সেই মামলায় গোটা দেশের নজর ছিল ওই মামলার দিকে। শুধু তাই নয়, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মামলায়ও আইনজীবী হিসেবে জঙ্গিদের বিপক্ষে লড়েছেন উজ্জ্বল নিকম। অস্ত্র আইনে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে জেলের ঘানি টানানোর নেপথ্যেও ছিলেন সেই তিনিই। বর্ষীয়ান এই আইজীবীকেই এবার রাজ্যসভায় পাঠালেন রাষ্ট্রপতি।

    হাইপ্রোফাইল ফৌজদারি মামলা লড়েছেন

    উজ্জ্বল নিকম একজন সরকারি আইনজীবী সরকারের হয়ে একাধিক হাইপ্রোফাইল ফৌজদারি মামলা লড়েছেন। মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের বাসিন্দা তিনি। বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি পরিচালনা করেছিলেন, তার মধ্যেই একটি মুম্বই জঙ্গি হামলার বিচার। ১৯৯১ সালের মুম্বই বোমা বিস্ফোরণ মামলা, ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং ২০০৩ সালের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া বোমা হামলা সন্ত্রাস সম্পর্কিত অন্যান্য মামলার মধ্যে রয়েছে যেখানে তিনি মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। গুলশন কুমার হত্যা মামলা এবং বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের হত্যা মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায়ও (Terrorist Ajmal Kasab) শানিত সওয়াল করেছিলেন তিনি।

    বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন পুরস্কারও 

    আইনের ফেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কারও পেয়েছেন নিকম। তার মধ্যে একটি হল মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রীও। ২০১৬ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজ্যসভা মনোনীত হওয়ার পর উজ্জ্বল নিকমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “আইনি ক্ষেত্র এবং আমাদের সংবিধানর প্রতি তাঁর নিষ্ঠা অনুকরণীয়।” এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “উজ্জ্বল নিকম শুধুমাত্র একজন সফল আইনজীবীই ছিলেন না বরং গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “তাঁর সমগ্র আইনি জীবনে তিনি (Ujjwal Nikam) সর্বদা সাংবিধানিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করার জন্য এবং সাধারণ নাগরিকদের সর্বদা মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেছেন।”

    নিকমকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    নিকমকে শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এটা আনন্দের যে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছেন। তাঁর সংসদীয় ইনিংসের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করায় যারপরনাই খুশি এই প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমি কখনও ভাবিনি বা আশাও করিনি যে (Terrorist Ajmal Kasab) ভারতের রাষ্ট্রপতি আমায় রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করবেন।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর কি হাইতে কথা বলা উচিত? এও জিজ্ঞেস করলেন এনডিআই অথবা মারাঠিতে। সেটা শুনে আমরা দু’জনেই হাসতে শুরু করলাম।”

    নিকমের প্রতিক্রিয়া

    নিকম বলেন, “তারপর তিনি আমার সঙ্গে মারাঠি ভাষায় কথা বললেন। তিনি জানালেন যে রাষ্ট্রপতি আমায় দায়িত্ব দিতে চান। এরপর (Ujjwal Nikam) তিনি আমায় রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেন। আমি তৎক্ষণাৎ হ্যাঁ বলে দিলাম।” প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধিত্ব করে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব সত্যিকার অর্থে এবং সততার সঙ্গে পালন করব।”

    প্রসঙ্গত, উজ্জ্বল নিকমের বাবাও ছিলেন আইনি পেশায়। তিনি ছিলেন বিচারক। উজ্জ্বল কেসিই সোস্যাইটির মানিয়ার ল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন সায়েন্সেও। জলগাঁওয়ে একজন জেলা সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন নিকম। বহু দশকের অভিজ্ঞতা ও ভারতের সব চেয়ে জটিল ও আলোচিত মামলাগুলি সামাল দিয়ে তিনি নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা কৌঁসুলি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিরিশ বছরের কেরিয়ারে তিনি মৃত্যুদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছেন ৩৭ জনের (Terrorist Ajmal Kasab)। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা নিশ্চিত করেছেন ৬২৮জনের (Ujjwal Nikam)।

  • S Jaishankar: পাঁচ বছর পরে চিন সফরে জয়শঙ্কর, বৈঠক করলেন উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, কী কথা হল?

    S Jaishankar: পাঁচ বছর পরে চিন সফরে জয়শঙ্কর, বৈঠক করলেন উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের জন্য প্রতিবেশী দেশ চিন সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সোমবার চিনের রাজধানী বেজিংয়ে চিনের (China) উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। উল্লেখ করেন ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি। জয়শঙ্করের আশা, তাঁর সফরের সময় যেসব আলোচনা হবে, তা এই ইতিবাচক ধারাই বজায় রাখবে।

    জয়শঙ্করের বার্তা (S Jaishankar)

    এবার এসসিও-র (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) সভাপতিত্ব করেছে চিন। হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকে জয়শঙ্কর তাকে সমর্থন জানান। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে ভারতের বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “আজ বেইজিংয়ে পৌঁছানোর পরপরই উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভালো লাগল। চিনের এসসিও সভাপতিত্বের প্রতি ভারতের সমর্থন জানিয়েছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টিও উল্লেখ করেছি এবং আমার সফরের বিভিন্ন আলোচনা এই ইতিবাচক ধারাকে বজায় রাখবে বলেই আশা করছি।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    এদিন হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতেই জয়শঙ্কর জানান যে, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে সফরের আলোচনাগুলি ইতিবাচক ধারার দিকেই যাবে। তিনি বলেন, “কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত চিনের সফল এসসিও সভাপতিত্বকে সমর্থন করে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আপনি (চিনের উপরাষ্ট্রপতি) যেমন বলেছেন, তা গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর থেকে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে, আমার এই সফরের আলোচনাগুলি সেই ইতিবাচক ধারাকেই বজায় রাখবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছে। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু হওয়ায় ভারতে তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে (S Jaishankar)।” চিনের (China) উপরাষ্ট্রপতিকে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছি। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার পুনরারম্ভ ভারতে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে উপকৃত হবে দুই দেশই।”

    আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে জটিল

    বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে জটিল আখ্যা দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা যখন আজ সাক্ষাৎ করছি, তখন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। প্রতিবেশী দেশ এবং প্রধান অর্থনীতি হিসেবে, ভারত ও চিনের মধ্যে মুক্তভাবে মত ও দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় অত্যন্ত জরুরি। আমি এই সফরের সময় এমন আলোচনার প্রত্যাশাই করছি (S Jaishankar)।” প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুর সফর শেষে চিনে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সোমবার সেখানেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি। জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই শেষবারের মতো গত ফেব্রুয়ারি মাসে জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেখানে উভয় পক্ষই পারস্পরিক আস্থা ও সমর্থনের ওপর জোর দেন।

    এসসিওর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক

    ১৫ জুলাই তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হবে এসসিওর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। মূলত সেই বৈঠকে যোগ দিতেই চিনে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিতব্য এসসিও কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী চিন সফর করবেন। এছাড়াও, তিনি ওই সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেবেন।” ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘাত হয়। সেই ঘটনার পর এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তার পর এই প্রথমবার চিনে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্করের আগে শি জিনপিংয়ের দেশে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। জুন মাসে এসসিও বৈঠকে অংশ নিতেই সে দেশে গিয়েছিলেন রাজনাথ ও ডোভাল।

    ভারতে আসতে পারেন ওয়াং ই

    এদিকে, আগামী (S Jaishankar) মাসে ভারত সফরে আসতে পারেন ওয়াং ই। তিনি বৈঠক করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। এটি হবে বিশেষ প্রতিনিধি প্রক্রিয়ার আওতায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ (China) মেটানোর পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি ছিল গত ৪০ বছরের মধ্যে ভারত ও চিনের মধ্যে সব চেয়ে খারাপ সীমান্ত সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুই দেশেরই কয়েকজন করে সেনা। এই ঘটনার পরেই তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ভারত ও চিনের মধ্যে।

    দুই দেশের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া সেই উত্তেজনার পারদ কমাতেই সচেষ্ট হয়েছে দুই দেশই। গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। সেখানেই ঠিক হয় দুই দেশের মধ্যে থেমে যাওয়া আলোচনা ফের শুরু করা হবে। সেই মতোই চলছে (China) সব কিছু। ফের শুরু হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে (S Jaishankar) বন্ধ থাকা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রাও।

  • Lawyer Shot: বিহারে গুলি করে খুন আইনজীবীকে, অন্যত্র আততায়ীরা হত্যা করল বিজেপি নেতাকে

    Lawyer Shot: বিহারে গুলি করে খুন আইনজীবীকে, অন্যত্র আততায়ীরা হত্যা করল বিজেপি নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহারে (Patna)। তার আগে আজ, রবিবার প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হল একজন আইনজীবীকে (Lawyer Shot)।

    পাটনায় খুন আইনজীবী (Lawyer Shot)

    পাটনা পূর্বের এসপি পরিচয় কুমার জানান, নিহত ব্যক্তির নাম জিতেন্দ্র মাহাতো। তাঁকে গুলি করে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। তিনি বলেন, “অপরাধীরা জিতেন্দ্র মাহাতো নামে একজনকে গুলি করেছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা যান।” তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো এদিনও ওই আইনজীবী এলাকার একটি দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি গুলির খোল। এই ঘটনার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তাদের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    গুলি করে খুন বিজেপি নেতাকেও

    এসপি বলেন, “ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।” তিনি জানান, জিতেন্দ্র মাহাতো নামের ওই আইনজীবী গত দু’বছর ধরে আইনি পেশায় ছিলেন না। তাই ঠিক কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, পাটনার পিপরা এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন বিজেপি নেতা তথা কিষান মোর্চার প্রাক্তন কর্মী সুরেন্দ্র কেওয়াত। জানা গিয়েছে, এদিন নিজের জমিতেই কাজ করছিলেন ওই বিজেপি নেতা। বিহার পুলিশের এক কর্তা কানহাইয়া সিং বলেন, “সুরেন্দ্রকে বাইকে করে এসে দুই ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করে। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় এইমসে। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর।” পুলিশ (Patna) জানিয়েছে, সুরেন্দ্রর পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য আত্মীয়দের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে এবং অপরাধীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেনসিক দল। আততায়ীদের ধরতে পাটনা ও তার আশপাশ এলাকায় তল্লাশি করছে পুলিশ (Lawyer Shot)।

    শনিবারও সীতামারহি জেলার মেহসৌল চকে ব্যস্ততম বাজার এলাকায় গুলি করে খুন করা হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী পুটু খানকে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয় হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর (Lawyer Shot)।

  • Meenakshi Jain: ইতিহাসবিদ মীনাক্ষি জৈনকে রাজ্যসভায় পাঠালেন রাষ্ট্রপতি, চেনেন এঁকে?

    Meenakshi Jain: ইতিহাসবিদ মীনাক্ষি জৈনকে রাজ্যসভায় পাঠালেন রাষ্ট্রপতি, চেনেন এঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ডঃ মীনাক্ষি জৈনকে (Meenakshi Jain) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজ্যসভার জন্য মনোনীত করেছেন। মীনাক্ষি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্গী কলেজে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ভারতীয় সভ্যতা, ধর্ম ও রাজনীতির ওপর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। রাজ্যসভায় তাঁর মনোনয়ন (Rajya Sabha) স্বদেশি দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাঁকে ইতিহাসের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কার দেয়। তাঁর রচিত কিছু পাঠ্যপুস্তক স্কুলের পাঠ্যক্রমেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    মীনাক্ষির উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ

    মীনাক্ষি কাজ করেছেন নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও। বর্তমানে তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চের সিনিয়র ফেলো। তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র হল মধ্যযুগ এবং প্রারম্ভিক আধুনিক ভারতের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিকাশ। মীনাক্ষির উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে দেবতাদের অপসারণ ও মন্দিরের পুনর্জন্ম, রামের জন্য যুদ্ধ: অযোধ্যায় মন্দিরের মামলা, সতী: ইভানজেলিকাল, ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি ও ঔপনিবেশিক কথনপদ্ধতির পরিবর্তন (২০১৬), রাম ও অযোধ্যা (২০১৩) এবং সমান্তরাল পথ: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক নিয়ে প্রবন্ধ (১৭০৭–১৮৫৭) (২০১০)।

    অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়েও কাজ

    মীনাক্ষির অযোধ্যার রাম মন্দির সংক্রান্ত কাজগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নিখুঁত গবেষণালব্ধ তথ্যের মাধ্যমে তিনি রোমিলা থাপার এবং ইরফান হাবিবের মতো বামপন্থী ইতিহাসবিদদের দ্বারা প্রচারিত প্রতিষ্ঠিত বাম ঘরানার বর্ণনার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রাতিষ্ঠানিক খণ্ডন করেছেন। এঁরা অযোধ্যার রাম মন্দিরের মতো জাতীয় ও সভ্যতাগত গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়গুলির ক্ষেত্রে ইতিহাস বিকৃত করেছিলেন। তাঁর এই গবেষণামূলক কাজগুলি ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পথ প্রশস্ত করে, যেখানে বলা হয়েছিল, অযোধ্যায় জন্মভূমিতে ঐতিহাসিকভাবে একটি রাম মন্দির ছিল (Meenakshi Jain)।

    রাম মন্দির নিয়ে লেখা তাঁর গ্রন্থে মীনাক্ষি তুলে ধরেছেন কীভাবে তথাকথিত বাম ঘরানার ইতিহাসবিদরা সত্যকে বিকৃত করেছেন এবং কীভাবে ঐতিহাসিক দলিল ও সরকারি নথিপত্রকে জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়েছে। যদিও ব্রিটিশ শাসকরা নিজেরাই এই জায়গাকে ভগবান রামের জন্মস্থান হিসেবে (Rajya Sabha) চিহ্নিত করেছিল। প্রসঙ্গত, মীনাক্ষির সর্বশেষ বই “বিশ্বনাথ রাইজেস অ্যান্ড রাইজেস” (২০২৪)। এই বইয়ে তিনি লিখেছেন কাশীর ইতিহাস (Meenakshi Jain)।

  • An Unsung Indian: নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদিদের বাঁচাতে কুন্দনলালের অবদান সম্পর্কে জানেন?

    An Unsung Indian: নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদিদের বাঁচাতে কুন্দনলালের অবদান সম্পর্কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তোমায় একটা গোপন কথা বলি। তোমার দাদু নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদি পরিবারগুলিকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন।” মায়ের মুখ থেকে শোনা এই একটিমাত্র বাক্যই বিনয় গুপ্তকে ঠেলে দিয়েছিল তাঁর দাদুর অতীত খুঁজে বের করার কাজে হাত দিতে। শেষমেশ (An Unsung Indian) তিনি যা আবিষ্কার করেন, তা কল্পনার চেয়েও বেশি নাটকীয় — এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর অজানা বীরত্বগাথা, যিনি ইউরোপের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে (Austrian Jews) অপরিচিত মানুষদের প্রাণ বাঁচাতে বাজি রেখেছিলেন নিজের সব কিছু।

    ঝুঁকি এবং দৃঢ় সংকল্পের গল্প (An Unsung Indian)

    এটি শুধুমাত্র সহানুভূতি কুড়নোর কোনও গল্প নয়, বরং একটি পরিকল্পনা, ঝুঁকি এবং দৃঢ় সংকল্পের গল্প। ভারতে ফিরে এসে কুন্দনলাল ইহুদিদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, তাঁদের মাথা গোঁজার জন্য ঘর বানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরেই ব্রিটিশরা তাঁদের ‘শত্রু বিদেশি’ বলে ঘোষণা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই আটক করা হয় তাঁদের। কুন্দনলালের জীবনটা যেন একটা আস্ত মহাকাব্য। লুধিয়ানার এক হত দরিদ্র ছেলের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সংসার চালাতে তিনি কাঠ, নুন থেকে শুরু করে পরীক্ষাগার সরঞ্জাম ও বলগাড়ির চাকা পর্যন্ত সব কিছু বিক্রি করেন। পরে কাপড়ের ব্যবসা এবং একটি দেশলাই কারখানাও চালান। লাহোরে ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে ২২ বছর বয়সে ঔপনিবেশিক সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে যোগ দেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। নিজেকে নিয়োজিত করেন শিল্প গড়ার কাজে।

    “আ রেসকিউ ইন ভিয়েনা”

    “আ রেসকিউ ইন ভিয়েনা” নামে এক পারিবারিক স্মৃতিচারণে বিনয় আবিষ্কার করেন বিদেশের মাটিতে তাঁর দাদুর এই অসাধারণ উদ্ধার অভিযানের কাহিনি। ১৯৩৮ সালে হিটলারের অস্ট্রিয়া দখলের ছায়ায়, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরের মেশিন টুল প্রস্তুতকারী কুন্দনলাল গোপনে ইহুদিদের ভারতে চাকরির অফার দেন, যাতে তাঁরা জীবনরক্ষাকারী ভিসা পেতে পারেন। তিনি তাঁদের কাজ দেন, জীবিকার ব্যবস্থা করেন, এমনকি তাঁদের জন্য ভারতে ঘরও বানিয়ে দেন। সব মিলিয়ে কুন্দনলাল মোট ৫টি পরিবারকে উদ্ধার করেছিলেন। ফ্রিট্‌জ ওয়েইস একজন বছর তিরিশের ইহুদি আইনজীবী। প্রাণ বাঁচাতে অসুস্থতার ভান করে তিনি লুকিয়েছিলেন একটি হাসপাতালে। অসুস্থতার কারণে সেখানে ভর্তি ছিলেন কুন্দনলালও। নাৎসিরা যখন ওয়েইসকে বাধ্য করেছিল নিজের বাড়ির সামনের বিভিন্ন রাস্তা পরিষ্কার করতে, তখন কুন্দনলাল তাঁকে (Austrian Jews) “কুন্দন এজেন্সিজ” নামের এক কাল্পনিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির অফার দেন। এই অফারের পেতেই ওয়েইস ভারতে ভিসা পান (An Unsung Indian)।

    কুন্দনলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    আলফ্রেড ভাখ্‌সলার দক্ষ কাঠের কারিগর। এই ইহুদি যুবকও হাসপাতালে গিয়ে কুন্দনলালের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর পরিবারও চলে আসেন ভারতে। হান্স লোশ ছিলেন টেক্সটাইল প্রযুক্তিবিদ। একটি অস্ট্রিয়ান পত্রিকায় কুন্দনলালের দেওয়া বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে লুধিয়ানায় তাঁর কাল্পনিক “কুন্দন ক্লথ মিলসে” চাকরি দেওয়া হয় তাঁকে। নবজীবন লাভ করেন এই ইহুদিও। আলফ্রেড শাফ্‌রানেক নিজেই একসময় ৫০ জন কর্মচারীর একটি প্লাইউড কারখানার মালিক ছিলেন। কুন্দনলালের কাছে নিজের দক্ষতার কথা জানান তিনি। তার পরেই ভারতের সবচেয়ে আধুনিক প্লাইউড ইউনিট তৈরির কাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পান আলফ্রেড। তাঁর পুরো পরিবারও একইভাবে রক্ষা পেয়েছিল নাৎসিদের হাত থেকে।

    ত্রাতার ভূমিকায় কুন্দনলাল

    সিগমুন্ড রেটার ব্যবসা করতেন যন্ত্র সরঞ্জামের। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ হয় কুন্দনলালের। নাৎসি শাসনে ব্যবসা লাটে উঠলে কুন্দনলাল তাঁর ভারতে আসার ব্যবস্থা করে দেন। এসবই শুরু হয়েছিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার একটি হাসপাতালের বিছানা থেকে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Austrian Jews) থাকার সময়ই কুন্দনলাল জানতে পারেন ইহুদিদের বিরুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বাড়তে থাকা হিংসা ও জীবনজীবিকা ধ্বংসের কথা (An Unsung Indian)। পরবর্তী কয়েক মাসে তিনি আরও কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের বাঁচাতে ফের দক্ষ কর্মী চাই বলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেন কুন্দনলাল। সেই বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে যাঁরা ভারতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওয়াখ্সলার, লসচ, শাফ্রানেক এবং রেটারও। কুন্দনলাল এঁদের প্রত্যেককে চাকরি, আর্থিক নিশ্চয়তা এবং ভারতীয় ভিসা পেতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

    বিনয় গুপ্তর বক্তব্য

    বিনয় লেখেন, “এই সব পরিবারগুলির জন্য কুন্দনলালের এত জটিল পরিকল্পনার একটি বিস্ময়কর দিক ছিল তাঁর গোপনীয়তা — তিনি সব সময় এটিকে ভারতের প্রযুক্তি স্থানান্তরের একটি প্রচেষ্টা বলে তুলে ধরতেন। তিনি তাঁর ইচ্ছা বা পরিকল্পনার কথা কোনও ভারতীয় বা ব্রিটিশ আধিকারিকের সঙ্গে শেয়ার করেননি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তা জানতে পারেন কুন্দনলাল বাড়ি ফিরে এলে (An Unsung Indian)।” ১৯৩৮ সালের অক্টোবরে লসচ ছিলেন কুন্দনলালের ডাকা প্রথম ব্যক্তি যিনি লুধিয়ানায় পৌঁছন। বিনয় লেখেন, তাঁকে কুন্দনলালের (Austrian Jews) বাড়িতে স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু ইহুদি কোনও সমাজ না থাকায়  এবং কুন্দনলালের বস্ত্রকলের বিপর্যস্ত দশা দেখে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই লসচ তৎকালীন বোম্বেয় চলে যান। ওয়েইস টিকেছিলেন দুমাসেরও কম। তাঁর জন্য যে কোম্পানিটি তৈরি করা হয়েছিল, ‘কুন্দন এজেন্সি’, সেটি কোনওদিন চালুই হয়নি। তিনিও দ্রুত বোম্বে চলে যান। তাঁরা চলে যাওয়ার পরেও কুন্দনলালের কোনও ক্ষোভ ছিল না। বিনয় লেখেন, “আমার পিসি আমায় বলেছিলেন, বরং কুন্দনলাল লজ্জিত ছিলেন এই ভেবে যে তিনি ভিয়েনার মতো জীবনধারা বা সামাজিক পরিবেশ দিতে পারেননি, এবং তিনি মনে করতেন যদি দিতে পারতেন, তাহলে এই দুই ব্যক্তি হয়তো লুধিয়ানায়ই থেকে যেতেন।”

    লুধিয়ানায় ইহুদি পরিবার

    আলফ্রেড এবং লুসি ভ্যাক্সলার তাঁদের ছোট ছেলেকে নিয়ে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষমেশ লুধিয়ানায় এসে পৌঁছন। তাঁরা ওঠেন একটি বিরাট বাড়িতে, যেটি কুন্দনলাল তাঁদের জন্য বানিয়েছিলেন। পাশেই আর একটি বাড়ি যেটি তৈরি হয়েছিল শাফরানেক পরিবারের জন্য। ১৯৩৯ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রিয়া থেকে আলফ্রেড শাফরানেক, তাঁর ভাই সিগফ্রিড এবং তাঁদের পরিবার নিয়ে লুধিয়ানায় পৌঁছন। তাঁরা চালু করেন ভারতের অন্যতম প্রাচীন প্লাইউড কারখানা (An Unsung Indian)। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেন। এর ক’দিনের মধ্যেই ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতকে সেই যুদ্ধে জোরপূর্বক টেনে নিয়ে যায়। এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ লাখেরও বেশি ভারতীয়, যাঁদের মধ্যে ৮৭ হাজার জন আর ফিরে আসেননি।

    বন্দি শিবিরে জার্মানরা

    ১৯৪০ সালের মধ্যে নয়া নিয়মে সব জার্মান নাগরিককে পাঠানো হয় বন্দি শিবিরে। ওয়াখসলার ও শাফরানেকের পরিবারকে জোর করে পুনার (বর্তমান পুণে) নিকটবর্তী পুরানধর ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়। করাচিতে চাকরি পাওয়ায় ওয়াখসলার পরিবার ১৯৪২ সালে ক্যাম্প ছাড়েন। ১৯৪৮ সালে আলফ্রেড ওয়াখসলারের এক খুড়তুতো ভাই তাঁদের পরিবারের জন্য আমেরিকায় শরণার্থী ভিসার ব্যবস্থা করেন। তার পরেই চিরতরে ভারত ছেড়ে চলে যান তাঁরা। শাফরানেক পরিবার ১৯৪৭ সালে চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। বিনয় লেখেন, “মাত্র ১০ বছর বয়সে মার্কিন (Austrian Jews) যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও, আজ তাঁর বয়স আশির কোঠায়, অ্যালেক্স ওয়াখসলার এখনও ভারতের জীবনকে গভীরভাবে মিস করেন, ভারতীয় রেস্তোরাঁয় খেতে ভালোবাসেন, ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করে খুশি হন এবং উর্দু ভাষায় তাঁর জ্ঞান দিয়ে তাঁদের চমকে দেন (An Unsung Indian)।”

    মেয়েদের জন্য স্কুল

    লুধিয়ানায় কুন্দনলাল তাঁর মেয়েদের জন্য বাড়িতেই একটি স্কুল তৈরি করেছিলেন। সেই স্কুলে বর্তমানে ৯০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। ১৯৬৫ সালে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় কুন্দনলালের স্ত্রী সরস্বতীর। এর ঠিক এক বছর পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কুন্দনলাল। বিনয় লেখেন, “‘নীরব দর্শক’ হওয়া কুন্দনলালের চরিত্রে ছিল না। যদি তিনি কিছু দেখতেন বা কারও যার যত্নের প্রয়োজন, তিনি তৎক্ষণাৎ এগিয়ে আসতেন। সমস্যা তাঁকে কখনও ভয় দেখাতে পারেনি (An Unsung Indian)।”

     

  • Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার (Roundup Week)। ভারত তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বারবার হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ওপর। কোথাও কোথাও হিন্দুদের ওপর এই নির্যাতন রূপ নিচ্ছে গণহত্যার। বহু দশক ধরে এই নির্যাতন চললেও, ঘটনাগুলিকে গুরুত্বই দেয়নি তামাম বিশ্ব। তাই ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষের বিষবাষ্প। হত্যা, জোর করে ধর্মান্তর, জমিজমা দখল, হিন্দুদের উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, ঘৃণাসূচক মন্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত চলছেই। ২০২৫ সালের ৬ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত এই ছ’দিনে আমরা এমন কিছু অপরাধের একটি ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যাতে করে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি করে মানুষ এই মানবাধিকার সংকট সম্পর্কে সচেতন হন।

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্যাতন (Hindus)

    প্রথমে ধরা যাক ভারতের কথাই। কাশ্মীরের মাগামে মহরমের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ইসলামপন্থী একদল জনতা এক ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টকে আক্রমণ করে। শিবমোগার রাগিগুড়ার বাঙ্গারাপ্পা লেআউট এলাকায় কয়েকজন মুসলমান ভাঙচুর করে গণেশ ও নাগ দেবতার মূর্তি। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় একটি রথযাত্রার শোভাযাত্রায় হামলা চালায় মুসলমানরা। শোভাযাত্রা চলাকালীনই হঠাৎ করে একদল মুসলিম যুবক ওই রথযাত্রায় হামলা চালায়। বিহারের পূর্ব চম্পারণের মেহসি ব্লকের কানক্তি গ্রামে মহরমের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনায় অজয় যাদবকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় জখম হন আরও কয়েকজন। গত বছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গে (Hindus) মহরম উপলক্ষে হিংসার ঘটনা ঘটে। রাজ্যের একাধিক জেলায় মুসলমানরা হিন্দুদের আক্রমণ করে। দেশের বিভিন্ন শহর ও জেলায় মহরমের মতো শোকাবহ অনুষ্ঠানকে উসকানিমূলক আচরণ এবং মন্দিরের প্রতি প্রকাশ্য অবমাননার রূপ দেওয়া হয়েছে। বিলাসপুর থেকে হাজারিবাগ পর্যন্ত একাধিক অশান্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।

    নির্যাতন বিহারেও

    বিহারের দ্বারভাঙা জেলায় ইসলামপন্থীদের (Roundup Week) অসহিষ্ণুতার বর্বর রূপ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে গৌরব কুমার সিংকে এক মুসলিম মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মেয়েটির পরিবার ‘তালিবানি’ কায়দায় তার চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে নৃশংস কাণ্ড ঘটায়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেয়। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD) এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এ রাজশেখর বাবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি নিয়মিতভাবে পুট্টুরে তাঁর নিজের শহরে ফি রবিবার গির্জার প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন। এটি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের কর্মীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার শামিল। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরে মহরমের আগেই চাঁদা না দেওয়ায় মুসলিম জনতা বেধড়ক মারধর করে টোটো চালক বেদন ঘোষকে। উত্তরপ্রদেশে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি বড় চক্র ধরা পড়েছে। এর মূলহোতা জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরবাবা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

    বাদ নেই উত্তরপ্রদেশও

    উত্তরপ্রদেশের লখনউতে লুলু মলের এক হিন্দু মহিলা কর্মচারীকে তাঁর ম্যানেজার ফারহাজ ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করে বলে অভিযোগ। ফারহাজ তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্যও করেছিল (Hindus)। তিনি (Roundup Week) জানান, ফারহাজ তাঁকে মাদকমিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করে। উত্তরপ্রদেশেরই মুজফফরনগরে কাওর যাত্রা চলাকালীন একটি ঘটনায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মহম্মদ শেহজাদ নামে একজন এক মহিলা ভক্তের কাঁধে থাকা ‘কাঁওর’-এর ওপর থুতু ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। অসমের গোয়ালপাড়া শহরে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতকারীরা দুর্গা মন্দির কমপ্লেক্সে একাধিক মূর্তি ভাঙচুর করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিব, মনসা ও দেবী দুর্গার মূর্তি। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে শান খান নামে এক মুসলিম যুবক নিজের নাম শান শর্মা বলে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলে। প্রায় দুবছর ধরে সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    পাকিস্তানের ছবি

    এ তো গেল ভারতের কথা। এবার দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তানের ছবিটা। পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে হিন্দু সংখ্যালঘু মেয়েদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং বিয়ে খুব সাধারণ ঘটনা। শুধুমাত্র সিন্ধ প্রদেশেই প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই যৌন দাসত্বের শিকার হন (Roundup Week)। পাকিস্তানি হিন্দুরা প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও অবহেলার শিকারও হন সে দেশে। হিন্দু মন্দিরে বারংবার আক্রমণ, পাঠ্যসূচিতে হিন্দুদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থায় পক্ষপাতিত্ব, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, এমনকি ছোঁয়াছুঁয়ির মতো জাতিগত বৈষম্যও বজায় রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানে একজন ভিল নারীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড এই পরিস্থিতিরই আর একটি প্রমাণ। গত ২০ জুন, ২০২৫ তারিখে সিন্ধ প্রদেশের শাহদাদপুরের একটি আদালত দুটি হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক দশিনা বাই (১৫) ও হরজিত কুমার (Hindus) ওরফে হানি (১৩)-এর হেফাজতের বিষয়ে একটি বিতর্কিত রায় দেয়। আদালত তাদের পরিবারের কাছ থেকে প্রত্যেকের জন্য ৩৫,০০০ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ব্যক্তিগত জামিন বন্ড জমা দেওয়ার শর্তে শিশুদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা চালিত হয়, যা কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় শিক্ষার ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যেই নিহিত। যদিও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ দেখা যায়, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন, ভারত) সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে এক প্রকার সূক্ষ্ম হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে। এসবই হিন্দুবিদ্বেষ এবং ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)। এই সূক্ষ্ম ও দৈনন্দিন বৈষম্য চোখে পড়ে না, যদি না কেউ প্রচলিত আইন ও সামাজিক ধারা পর্যবেক্ষণ করে। দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা তার একটি উদাহরণ। দূষণজনিত কারণে আতশবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হলেও, সেটা প্রযোজ্য শুধু হিন্দু উৎসবগুলির ওপর। সবেবরাতের মতো মুসলমানদের অনুষ্ঠানের সময় দেদার শব্দবাজি এবং আতশবাজি পোড়ানো হয় বলেও অভিযোগ (Hindus)।

    বাদ নেই বাংলাদেশও

    পাকিস্তানের পাশাপাশি নির্বিচারে হিন্দু নির্যাতন চলছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন হিন্দুদের ওপর নির্যাতন তুলনামূলকভাবে কম হলেও, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পরেই সে দেশে হিন্দু নির্যাতন চরমে ওঠে। হাসিনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশের ভার তুলে দেন বাংলাদেশিরা। সেই সরকারের প্রধান নির্বাচিত হন মহম্মদ ইউনূস। তাঁর জমানায় হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন হয় বলে অভিযোগ। মন্দির-মূর্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। হিন্দুদের জমিজমা দখল, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ এবং জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগও উঠেছে। মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু ধর্মগুরুদের। নানা অছিলায়, কখনও আবার মিথ্যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে হিন্দু পদাধিকারীদের। বাদ যাননি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কিংবা অধ্যাপকও (Hindus)।

    তার পরেও অদ্ভুতভাবে নীরব বিশ্বনেতাদের একটা বড় অংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই নির্বিচারে চলছে হিন্দু নির্যাতন (Roundup Week)।

  • Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন (Terrorists), বিশেষত লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ। এই মর্মে ভারতকে সতর্কবার্তা দিলেন নেপালের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। নেপালি আধিকারিকদের সতর্কবার্তা পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে নেপাল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট আয়োজিত একটি সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতকে এই বার্তা দেন নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা সুনীল বাহাদুর থাপা।

    ভারত-নেপাল সীমান্ত (Terrorists)

    ভারতের সঙ্গে নেপালের স্থলসীমান্ত বিস্তৃত ১ হাজার ৭৫১ কিলোমিটার। এটি একটি উন্মুক্ত সীমান্ত, ভিসা ছাড়াই যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে দুই দেশের নাগরিকরাই নিয়মিতভাবে চাকরি কিংবা অন্য কোনও কাজে নিত্য সীমান্ত পারাপার করেন। এই দুই দেশের মধ্যে একটি দৃঢ় সাংস্কৃতিক সম্পর্কও রয়েছে।  নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টার আশঙ্কা, এটাকেই কাজে লাগাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পরিচয় গোপন করে কিংবা ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে তারা।

    পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গ্রেফতার

    ২০১৭ সালে সশস্ত্র সীমা বল পাক মদতপুষ্ট এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। নেপালের রুট ব্যবহার করেই ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই সামরিক ও কৌশলগত সাফল্যের প্রেক্ষিতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের সব সীমান্তেই সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে অনায়াসেই রোধ করা যায় কোনও অবৈধ কার্যকলাপ এবং সুরক্ষিত থাকে জাতীয় নিরাপত্তা (Terrorists)।

    মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও অস্থির শাসন ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিবেশও ভারতের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। এহেন আবহে এল নেপালি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সতর্কবার্তা। কাঠমাণ্ডুর ওই সেমিনারে নেপালের কর্তারা এবং বিশেষজ্ঞরা সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত সার্ক-এর ঐক্য ও সমগ্র অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নেপালি কর্তাদের এহেন মন্তব্যে ফের একবার মান্যতা পেল ভারতের দাবি। প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবারই দাবি করে আসছে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান (Terrorists)।

  • Ahmedabad: বোয়িংকে আড়াল করতে গিয়ে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে পাইলটকে

    Ahmedabad: বোয়িংকে আড়াল করতে গিয়ে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে পাইলটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোয়িংকে আড়াল করতে গিয়ে আহমেদাবাদে (Ahmedabad) বিমান দুর্ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে পাইলটকে। অভিযোগ, একাধিক বিদেশি সংবাদমাধ্যম ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রাথমিক রিপোর্টকে। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১ (Air India Plane Crash)। এই দুর্ঘটনায় তদন্তের মুখে ত্রুটিপূর্ণ বাণিজ্যিক জেট নির্মাতা সংস্থা। অভিযোগ, তাকে আড়াল করতেই বিকৃত করা হচ্ছে রিপোর্ট।

    বিমান দুর্ঘটনার রিপোর্ট (Ahmedabad)

    ভারতের এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো ১২ জুনের দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১ দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে মাটিতে থাকা ১৯ জনও ছিলেন। এই বিমানটি ছিল একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যা আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে যায়। বিমানবন্দরের কাছেই একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি।রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানটি ১৮০ নট গতিবেগে পৌঁছতেই দুটি ইঞ্জিনই কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ইঞ্জিন ১ এবং ইঞ্জিন ২–এর ফুয়েল কাটঅফ সুইচ একে অপরের এক সেকেন্ডের মধ্যে “রান” থেকে “কাটঅফ”-এ চলে যায়, যার ফলে জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। এক মুহূর্তের জন্য ইঞ্জিনগুলি সচল হলেও, স্থিতিশীল হয়নি। তার জেরেই মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানটি (Ahmedabad)।

    বিকল হয়ে যায় ইঞ্জিন

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিমানটি ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সক্রিয় হয়ে যায় র‍্যাম এয়ার টারবাইন (এমন একটি যন্ত্র যা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়)। এটি নিশ্চিত করে যে বিমানটি সম্পূর্ণভাবে বৈদ্যুতিক শক্তি ও ইঞ্জিন শক্তি হারিয়েছিল। এয়ার অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা সাইট পরিদর্শন, ড্রোন ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি সম্পন্ন করেছেন। দুটি ইঞ্জিনই একটি সুরক্ষিত হ্যাঙ্গারে সরানো হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিকে ভবিষ্যৎ পরীক্ষার জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছে। তদন্তে পাখির ধাক্কার সম্ভাবনাও বাতিল করা হয়েছে। কারণ ওড়ার (Air India Plane Crash) সময় ওই অঞ্চলে পাখির কোনও গতিবিধির রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এসব খবর উপেক্ষা করেই পাইলটের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে বিদেশি কিছু সংবাদ মাধ্যম (Ahmedabad)।

LinkedIn
Share