Author: pranabjyoti

  • Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারতকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে তাতে যে ভারতের খুব একটা বড়সড় সমস্যা হবে না, তা জানিয়ে দিল সরকারি বিভিন্ন সূত্র। তাদের বক্তব্য, দেশের অর্থনীতির ওপর এর ‘অত্যন্ত সামান্য’ প্রভাব পড়বে। সূত্রের খবর, জিডিপিতে এর প্রভাব ০.২ শতাংশের বেশি হবে না।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য (Donald Trump)

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ভারতীয় এক অর্থনীতিবিদও বলেছিলেন, জিডিপি হয়তো ০.৩ শতাংশ পর্যন্ত স্লো হবে। ওই সূত্র এও জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে সরকার দামের দিক থেকে সংবেদনশীল কৃষি ও দুগ্ধ বাজার খুলে দেবে না। গোমাংস বা ‘নন-ভেজ মিল্ক’ (অর্থাৎ যেসব গরুকে পশু-ভিত্তিক খাবার যেমন হাড়গুঁড়া খাওয়ানো হয়, সেই গরুর দুধ) আমদানি করার অনুমতিও দেবে না। এগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। সরকার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় পদক্ষেপ করবে এবং কৃষক, উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গোষ্ঠীর কল্যাণেও দায়বদ্ধ থাকবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সরকার কৃষকদের স্বার্থে কোনও আপস করবে না। আর তাই জিএম ফসল আমদানি করার অনুমতিও দেয়নি।

    কী চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    প্রসঙ্গত, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত হয়ে রয়েছে। এই আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় তাদের কৃষক ও দুগ্ধ উৎপাদকরা যেন ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারে। ভারত বারবার বলেছে, এই বাজার খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি ভারতের জিডিপিতে ২০ শতাংশেরও কম অবদান রাখে। তবে দেশের ১৪৪ কোটির প্রায় অর্ধেক জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতে নিয়োজিত (Donald Trump)।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    এটি এত বড় ভোট ব্যাংক যে, কোনও সরকারই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করার ঝুঁকি নিতে পারে না। এই বাস্তব বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে ২০২১ সালে যখন তীব্র প্রতিবাদের মুখে বিজেপি সরকারকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এই বিষয়ে মতপার্থক্য ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে খবর। ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, “ভারত আমাদের ভালো বন্ধু। কিন্তু ওরা প্রায় সব দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক ধার্য করেছে। এটা আর চলতে পারে না (Indian Goods)।”

    ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আমেরিকা

    সামগ্রিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং গত চার বছর ধরেই এমনটি রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৩২ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানি ১১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৬.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। তার আগের বছরে (২০২২-২৩) এর পরিমাণ ছিল ৭৭.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে, আমদানি বেড়ে হয়েছে ৪৫.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ছিল ৪২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা

    সূত্রের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা সঠিক পথেই রয়েছে এবং ইতিবাচকভাবেই এগোচ্ছে। এই আলোচনার সূচনা হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। এই আলোচনাই এখনও চলছে। ওই সূত্রেরই খবর, চূড়ান্ত চুক্তির পর ২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা পুনর্বিবেচনা ও তা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। গত সপ্তাহে ভারতের একটি সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়, ভারত একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই চুক্তি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে অনুমান করা হয়েছিল, ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার (আগামী ৭ আগস্ট) আগেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু এখনই সেটি সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না (Donald Trump)।

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আলোচনার জন্য ভারত সফরে আসতে পারেন মার্কিন কর্তারা। তাই দিল্লি তার আস্তিনে রেখে দিয়েছে তুরুপের তাসটি। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উভয় পক্ষ ভারতে অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের শীর্ষস্থানীয় (Indian Goods) সরবরাহকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে জ্বালানি কেনার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দর কষাকষি হতে পারে (Donald Trump)।

  • Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর সাইবার প্রতারকদের (Digital Fraud) খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দিল্লিভিত্তিক মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ডেটালিডস। সেখানেই দেশে ব্যাপক ডিজিটাল আর্থিক প্রতারণা (Cybercriminals) নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্রের অনুমান, চলতি বছরে এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতীয়রা খোয়াবেন ১.২ লাখ কোটিরও বেশি টাকা।

    ডেটালিডসের প্রতিবেদন (Digital Fraud)

    ‘কনট্যুরস অফ সাইবারক্রাইম: পার্সিস্টেন্ট অ্যান্ড এমার্জিং রিস্ক অফ অনলাইন ফিনান্সিয়াল ফ্রডস অ্যান্ড ডিপফেকস ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ডেটালিডস জানিয়েছে, ডিজিটাল প্রতারকরা ২০২৪ সালে যে পরিমাণ টাকা চুরি করেছে, তা ২০২৩ সালের ৭,৪৬৫ কোটিরও তিনগুণ বেশি। ২০২২ সালে প্রতারকরা লুটেছিল ২,৩০৬ কোটিরও বেশি টাকা। সে বারের চেয়ে ২০২৪ সালে তারা লুট করে নিয়েছে প্রায় দশগুণ কোটি টাকা। প্রতারণার পাশাপাশি বেড়েছে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যাও। ২০২৪ সালে প্রায় ২০ লক্ষ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫.৬ লাখ বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় দশ গুণ বেশি। সাইবার অপরাধের অভিযোগ ও আর্থিক ক্ষতির এই লাফ যে বাস্তব ছবিটা তুলে ধরে, তা হল ভারতের ডিজিটাল অপরাধীরা ক্রমেই আরও বেশি স্মার্ট এবং দক্ষ হয়ে উঠছে। একটি দেশে যেখানে প্রায় ২৯০ লাখ মানুষ বেকার, সেখানে এই অপরাধীদের সংখ্যার লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী।

    প্রশ্ন যেখানে

    প্রশ্ন হল, গত তিন বছরে এই সংখ্যাগুলি এত বেড়ে গেল কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ হল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়তে থাকা। স্মার্টফোন-নির্ভর পরিষেবা যেমন পেটিএম এবং ফোন-পে এবং আর্থিক তথ্য অনলাইনে শেয়ার ও প্রক্রিয়াকরণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। এই কাজগুলি সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হয়, যেগুলিকে অনেকেই নিরাপদ ও এনক্রিপটেড মনে করেন। ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসেই ১৯০ লাখেরও বেশি ইউপিআই (ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস) লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ২৪.০৩ লাখ কোটি টাকা। আসলে ডিজিটাল পেমেন্টের মোট মূল্য ২০১৩ সালে প্রায় ১৬২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ১৮,১২০.৮২ কোটি টাকায়। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পেমেন্টের প্রায় অর্ধেকই এখন ভারতেই হয় (Digital Fraud)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই (Cybercriminals) বৃদ্ধির বেশিরভাগ অংশই অতিমারি ও তৎপরবর্তী কালে লকডাউনের কারণে হয়েছে। কোভিডের সময় সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুদ্রার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো রোধে পেটিএমের মতো ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহিত করেছিল। সরকার এও বলেছিল, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রসার গ্রামীণ এলাকা-সহ আর্থিক পরিষেবাগুলির ব্যাপকতর প্রবেশ নিশ্চিত করবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই ভারতে ৪৪ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছিল এবং ডেটার দাম ছিল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা — ১ জিবির দাম ছিল প্রায় ২০০ টাকা বা তিন ডলারেরও কম।

    ডিজিটাল লেনদেন

    এর ফলে ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষরাও সহজেই ফোনে আর্থিক পরিষেবাগুলি ব্যবহার করতে পেরেছেন। তবে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা যতই বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার অপরাধী ও প্রতারক গোষ্ঠীর সংখ্যা। যারা প্রতারণার কৌশল শিখে তা নিখুঁত করে আরও বিস্তৃত পরিসরে ‘কারবার’ চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনে ভারতে অনলাইন আর্থিক প্রতারণা পুরো সেক্টরকে লক্ষ্য করছে – ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বিমা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে খুচরো ব্যবসা পর্যন্ত বহুস্তরীয় জালিয়াতির মাধ্যমে, যাতে জটিল কাজের ধারা থাকে এবং প্রতারকদের শনাক্তকরণ এড়ানো যায় (Cybercriminals)। আধুনিক ডিজিটাল প্রতারকরা এখন প্রযুক্তির সঙ্গেও ভালোভাবে পরিচিত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই তাদের করায়ত্ত। আজকাল মানুষের আস্থা অর্জন করতে সেলিব্রিটি বা ব্যবসায়িক নেতাদের মুখের মতো দেখতে ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে ব্যবহারও করছে। তারপরেই চলছে প্রতারণার ‘বেওসা’। কীভাবে হয় প্রতারণা (Digital Fraud)?

    ফিশিং মেসেজ: এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো বার্তা, যেখানে বলা হয় আপনি কোনও ‘পুরস্কার জিতেছেন’ বা আমাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো পরিচিত ই-কমার্স সাইট থেকে ‘রিফান্ড’ পাবেন। এসব বার্তায় প্রতারিত হন মানুষ।

    ভুয়ো পণ্যের তালিকা: জনপ্রিয় জিনিসপত্র অনলাইনে খুবই কম দামে তালিকাভুক্ত করা হয়। ক্রেতা অগ্রিম টাকা দেন। তারপরেই হাওয়া হয়ে যান বিক্রেতা (Cybercriminals)।

    পেমেন্ট কনফার্মেশন প্রতারণা: প্রতারকরা ভুয়ো বার্তা বা ইমেইল পাঠায়, যাতে ‘পেমেন্ট যাচাই’য়ের অনুরোধ থাকে। এই লিংকে ক্লিক করলে আপনার ফোন থেকে আর্থিক তথ্য চুরি হতে পারে অথবা ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে (Digital Fraud)।

    প্রতারকরা কোথায় আঘাত হানে? প্রতারকরা সব চেয়ে বেশি আঘাত হানে হোয়াটসঅ্যাপে। ১৪সি-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই হোয়াটসঅ্যাপে ১৫,০০০-এর বেশি অর্থনৈতিক সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দায়ের হয়েছে ১৪,০০০ এবং মার্চে আরও ১৫,০০০ অভিযোগ (Digital Fraud)।

  • Indus Waters Treaty: পাক আপত্তি উড়িয়ে চন্দ্রভাগা নদীর ওপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে টেন্ডার ডাকল ভারত

    Indus Waters Treaty: পাক আপত্তি উড়িয়ে চন্দ্রভাগা নদীর ওপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে টেন্ডার ডাকল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে হাতের পাশাপাশি পাকিস্তানকে (Pakistan) ভাতেও (Indus Waters Treaty) মারতে উদ্যোগী হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তান হাতে-পায়ে ধরায় আপাতত চলছে যুদ্ধবিরতি। তবে পাক প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের দেশকে ভাতে মারতে আরও একধাপ এগোল নয়াদিল্লি। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে যে প্রকল্প, শেষমেশ সেই প্রকল্পই শুরুর উদ্যোগ নিল ভারত। জম্মু-কাশ্মীরের চন্দ্রভাগা নদীর ওপর সাওয়ালকোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য ডাকা হল টেন্ডার।

    পাক আপত্তি উড়িয়েই হবে প্রকল্প (Indus Waters Treaty)

    এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছিল আটের দশকে। তার পর থেকে বার বার আপত্তি জানিয়ে এসেছে পাকিস্তান। এতদিন পর এবার তাদের আপত্তি উড়িয়ে দিয়েই শুরু হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। ন্যাশনাল হাইড্রোলিক্টক পাওয়ার কর্পোরেশন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বিডিংয়ের ভিত্তিতে সাওয়ালকোট প্রকল্পের টেন্ডার ডাকা হয়েছে। টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর। কাজ শুরু হচ্ছে এনএইচপিসি এবং জম্মু-কাশ্মীর পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে। সাওয়ালকোট ভারতের সবচেয়ে বড় রান-অফ-দ্য-রিভার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। একে দেখা হচ্ছে সিন্ধু অববাহিকার জলস্রোত ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে, বিশেষত যখন স্থগিত রয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি।

    সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি

    বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে সিন্ধু ও তার পাঁচটি উপনদীর জল বণ্টিত হয়ে থাকে দুই দেশের মধ্যে। সিন্ধু, চন্দ্রভাগা এবং বিতস্তা – এই তিন পশ্চিমমুখী নদী পাকিস্তানের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। সেই দেশের ৮০ শতাংশ কৃষি এই তিন নদীর ওপর নির্ভরশীল। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী। তারাই এই হত্যালীলা চালিয়েছিল। ওই ঘটনার পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায় ভারত। শুরু হয় দুই পড়শি দেশের সংঘাত। তার আগেই অবশ্য ভারত বাতিল করে দিয়েছিল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এখনও সেই সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। তাই চুক্তির শর্ত মেনে চন্দ্রভাগার ওপরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য পাকিস্তানের সম্মতির আর প্রয়োজন নেই। সাওয়ালকোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে সেই সম্মতি ছাড়াই কাজ শুরু (Pakistan) করতে চলেছে ভারত।

    ডিপিআর জমা দেওয়া হয় ২০১৮ সালে

    সাওয়ালকোট প্রকল্পটি জম্মু-কাশ্মীরের রামবান ও উধমপুর জেলাজুড়ে (Indus Waters Treaty) বিস্তৃত। জম্মু থেকে ওই এলাকার দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার, আর শ্রীনগর থেকে ১৩০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছিল সেই ১৯৬০ সালে। তবে ডিপিআর জমা দেওয়া হয় ২০১৮ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায়। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পর এখন এই প্রকল্পের কাজই দ্রুত শেষ করতে চাইছে নয়াদিল্লি। চন্দ্রভাগা নদীর ওপর যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে, তা থেকে মেলার কথা ১ হাজার ৮৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এটিই হবে কাশ্মীরের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে আশা ভূস্বর্গ প্রশাসনের। ভারত চন্দ্রভাগার ওপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করলে বিপাকে পড়বে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই তারা এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে (Pakistan)। তাদের বক্তব্য, ভারতের এই পদক্ষেপের জেরে প্রভাবিত হবে চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ।

    কাজ হবে দু’টি ধাপে

    জানা গিয়েছে, চন্দ্রভাগার ওপর ভারতের এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা দু’টি ধাপে। কারণ প্রক্রিয়াগত নানা অসুবিধার কারণে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে এই প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পে খরচ হওয়ার কথা ২২ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা (Indus Waters Treaty)। সাওয়ালকোট প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চন্দ্রভাগার তীরের একাধিক গ্রাম। সেই সব গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং তাঁদের অন্যত্র থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়াও প্রকল্পের অংশ।

    কী বলছেন ওমর আবদুল্লা

    জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা রয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্বেও। এই প্রকল্প শুরুর উদ্যোগকে তিনি বহু প্রতীক্ষিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন (Indus Waters Treaty)। রামবানের বিধায়ক অর্জুন সিং রাজু বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি উপকৃত হবে পুরো দেশ (Pakistan)।” প্রসঙ্গত, সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে পাকিস্তান। তাদের বক্তব্য, এই জলের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তানের বহু মানুষ। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে তারা (Indus Waters Treaty)।

  • Tariff War: বক্তব্যে ‘ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’! ট্রাম্প-প্রীতি দেখাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচিত রাহুল গান্ধী

    Tariff War: বক্তব্যে ‘ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’! ট্রাম্প-প্রীতি দেখাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচিত রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্প-প্রীতি দেখাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে বিতর্কের মুখে পড়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের “মৃত অর্থনীতি” মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাহুল চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে (Tariff War)। তবে তা যে ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি কংগ্রেসের এই নেতা। কারণ তাঁর দলের সহকর্মী এবং ‘ইন্ডি’ জোটের কিছু নেতাও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের মন্তব্যকে সমর্থন করার মাধ্যমে রাহুল একদিকে যেমন বিজেপিকে রাজনৈতিক পাল্টা আক্রমণের সুযোগ করে দিয়েছেন, তেমনই বিরোধ বাঁধিয়ে দিয়েছেন দলের অভ্যন্তরেই।

    ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য (Tariff War)

    রবিবার ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করার পরের দিনই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। ভারত ও রাশিয়ার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, তিনি একেবারেই চিন্তিত নন দিল্লি-মস্কোর মধ্যের এই সম্পর্ক নিয়ে। এই দুই দেশই তাদের মৃত অর্থনীতি এক সঙ্গে ধ্বংস করতে পারে। ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “আমি চিন্তা করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে। তারা চাইলে তাদের মৃত অর্থনীতিকে এক সঙ্গে তলিয়ে যেতে দিতে পারে। এতে আমার কিছু আসে যায় না। আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করি। ওদের শুল্ক হার অত্যন্ত বেশি। বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উচ্চ। একইভাবে, রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যেও প্রায় কোনও ব্যবসা নেই। সেটাই থাকা উচিত।”

    কংগ্রেসে মতবিরোধ

    ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই রাহুল সংসদে সাংবাদিকদের জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) ঠিকই বলেছেন। এটা সবাই জানে, শুধু প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ছাড়া। আমি খুশি যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যি কথাই বলেছেন।” রাহুল যখন ট্রাম্পের মন্তব্য সমর্থন করে (Tariff War) কেন্দ্রকে নিশানা করেন, তখন কংগ্রেসেরই প্রবীণ নেতা শশী থারুর এবং রাজীব শুক্লা ভারতের অর্থনীতির শক্তির দিকটি তুলে ধরেন। থারুর বলেন, “দিল্লির উচিত নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।” শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী)-র সাংসদ এবং বিরোধী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ট্রাম্পকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য স্রেফ অহংকার বা অজ্ঞতার প্রকাশ (Rahul Gandhi)।”

    রাহুলের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থনীতি ধ্বংস করার অভিযোগ এনে রাহুল দায়ী করেন নোটবন্দি এবং ত্রুটিপূর্ণ জিএসটিকে। লোকসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, “অ্যাসেম্বল ইন ইন্ডিয়া – যা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র একটি পরোক্ষ সমালোচনা – ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে, কৃষকদের পিষে ফেলা হয়েছে।” রাহুলের এই মন্তব্যের একেবারে উল্টো সুর শোনা গিয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা থারুরের গলায়। তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চলছে, ব্রিটেনের সঙ্গে একটি চুক্তি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছি। যদি আমেরিকায় প্রতিযোগিতা করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের মার্কিন বাজার ছেড়ে অন্য বাজারে বৈচিত্র্য আনতে হবে (Rahul Gandhi)। আমাদের কাছে বিকল্পের অভাব নেই।”

    থারুরের যুক্তি

    থারুর বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক আচরণ করে, তাহলে ভারতকে অন্য কোথাও এগিয়ে যেতে হবে। এটাই ভারতের শক্তি। আমরা চিনের মতো পুরোপুরি রফতানি- নির্ভর অর্থনীতির দেশ নই। আমাদের একটি শক্তিশালী ও বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। আমাদের দর কষাকষির জন্য যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সমর্থন করতে হবে যাতে সম্ভব হলে সেরা চুক্তিটি করা যায়। আর যদি ভালো চুক্তি সম্ভব নাও হয়, তাহলে আমাদের সেখান থেকে সরে আসতে হতেই পারে (Tariff War)।”

    রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ অমিত

    রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি বলেন, “কংগ্রেস নেতা যখন ট্রাম্পের মৃত অর্থনীতি মন্তব্যকে তোল্লাই দেন, তখন তিনি এক নয়া নিম্নস্তরে পৌঁছে যান। এটি ভারতীয় জনগণের আকাঙ্ক্ষা, সাফল্য এবং মঙ্গলকে লজ্জাজনকভাবে অপমান করা (Rahul Gandhi)”। তিনি বলেন, “কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, এখানে একমাত্র যা সত্যিকার অর্থে ‘মৃত’, তা হল রাহুল গান্ধীর নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও উত্তরাধিকার। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও ভারত আজ বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ। আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাঙ্ক এর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ওপরের দিকেই বলে জানিয়েছে।” মালব্য বলেন, “এটি কোনও মৃত অর্থনীতি নয়। এটি একটি উত্থানশীল, দৃঢ় ভারত।”

    তাঁর প্রশ্ন, “রাহুল গান্ধী আসলে কার হয়ে কথা বলছেন? কেন তিনি বারবার এমন বিদেশের হয়ে প্রচার করেন, যা ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে?” মালব্য বলেন, “আমি আজ একই বিষয়ে কংগ্রেসের দুই নেতার মন্তব্য শুনেছি (Rahul Gandhi)। একজন ভারতের স্বার্থে কথা বলেছেন, আর অন্যজন এমন সুরে কথা বলেছেন যা তাঁর বিদেশি (Tariff War) প্রভুদের খুশি করবে।”

  • S Jaishankar: ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর ম্যাপে ভারতের অংশ, বাংলাদেশ-তুরস্কের নতুন চক্রান্ত! কী বললেন জয়শঙ্কর?

    S Jaishankar: ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর ম্যাপে ভারতের অংশ, বাংলাদেশ-তুরস্কের নতুন চক্রান্ত! কী বললেন জয়শঙ্কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ (Greater Bangladesh Map Controversy) নিয়ে একটি ম্যাপ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। ওই মানচিত্রে ভারতেরও বেশ কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছিল। এ নিয়ে ব্যাপক হইচই করতে শুরু করে দেন বিরোধীরা। দেশজুড়ে ওঠে রব। সম্প্রতি প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বিষয়টি উত্থাপন করেন। তারই জবাব দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “সরকার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। ঢাকার একটি ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ‘সলতনাত-ই-বাংলা’, যেটি তুরস্কভিত্তিক একটি এনজিও ‘তুর্কিশ ইয়ুথ ফেডারেশনে’র সাহায্যে পরিচালিত হয়, তারাই একটি তথাকথিত ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর মানচিত্র প্রকাশ করেছে। ওই মানচিত্রে ভারতের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই মানচিত্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিতও হয়েছিল।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশের সরকারি ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম বাংলাফ্যাক্টের দাবি, ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামে কোনও সংগঠনের অস্তিত্বের প্রমাণ বাংলাদেশে মেলেনি। প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, মানচিত্রটি ছিল একটি ঐতিহাসিক প্রদর্শনীর অংশ, যা ২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়েছিল। এটি বাংলার সালতানাত সংক্রান্ত ছিল। আয়োজকেরা কোনও বিদেশি রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।” ভারত সরকার যে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে, তাও জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত সব ধরনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয় (S Jaishankar)।”

    বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের মাখামাখি!

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের মাখামাখি। তুরস্ক বাংলাদেশকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের একে পার্টির ঘনিষ্ঠ তুর্কি এনজিওগুলিও বাংলাদেশে তাদের কাজকর্মের ক্ষেত্র বাড়িয়ে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তারই ফলশ্রুতি এই ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর ম্যাপ (Greater Bangladesh Map Controversy)। এই প্রসঙ্গেই জয়শঙ্কর ফের একবার জানিয়ে দিলেন, ‘ভারতের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য যা করতে হয়, করা হবে (S Jaishankar)।’

  • Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ মামলায় (Malegaon Blast Case) অভিযুক্ত সাতজনকেই বেকসুর খালাস করে দিল মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিজেপির প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Thakur) এবং সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিতও। বৃহস্পতিবার আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কেবল সন্দেহের বশে মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ দাখিল করা হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলেও জানিয়েছে আদালত। বিচারক একে লাহোটি বলেন, “সমাজে এটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু কেবল নৈতিকতার যুক্তিতে আদালত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে না।”

    মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ (Malegaon Blast Case)

    ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমজান মাসের রাতে মুম্বই থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার সাম্প্রদায়িক স্পর্শকাতর শহর মালেগাঁওয়ের ভিক্কু চৌকের কাছে ঘটেছিল শক্তিশালী বিস্ফোরণ। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। জখম হয়েছিলেন ১০০জনেরও বেশি। তদন্তে জানা যায়, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি বাইকে রাখা ছিল দুটি বোমা। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা। জানা যায়, ঘটনার নেপথ্যে ছিল একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। গ্রেফতার করা হয় ভোপালের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত-সহ সাতজনকে। পরে অবশ্য সবাই জামিন পান। এই মামলায় (Malegaon Blast Case) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল প্রজ্ঞার নাম। কারণ যে বাইকটিতে বোমা রাখা ছিল, সেটি নথিভুক্ত ছিল প্রজ্ঞার নামেই। অভিযোগ উঠেছিল, বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিলেন প্রজ্ঞাই।

    আদালতের বক্তব্য

    এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ফরেন্সিক পরীক্ষায় এটি প্রমাণ হয়নি যে বাইকটি প্রজ্ঞার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “বিস্ফোরণের ঘটনার দু’বছর আগেই সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন প্রজ্ঞা।” ২০১১ সালে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার হাত থেকে মামলার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইনে করা মামলা বলবৎ ছিল। বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালত জানায়, এই মামলায় ইউএপিএ প্রযুক্ত (Pragya Thakur) হয় না। রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেন, “পুলিশ ও তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার কোনও জোরালো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তাই তাঁদের বেনিফিট অফ ডাউটের সুবিধা দিয়ে নিরপরাধ ঘোষণা করা হচ্ছে। এই মামলায় যে সাতজন অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁরা হলেন ভোপালের প্রাক্তন বিজেপি এমপি সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর, তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়, অজয় রাহিরকর, সুধাকর দ্বিবেদী, সুধাকর চতুর্বেদী এবং সমীর কুলকার্নি।”

    তদন্তভার যায় এনআইএয়ের হাতে

    তদন্তভার এনআইএয়ের হাতে যাওয়ার পর আদালতে জমা পড়ে একের পর এক চার্জশিট। জমা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও। ২০১৮ সালে শুরু হয় বিচার। সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই গঠন করা হয় চার্জ। বিচার চলাকালীন আদালত খতিয়ে দেখে ৩২৩ জন সাক্ষীর বয়ান। চলতি বছরের এপ্রিলে বিশেষ আদালতে কয়েকশো পাতার তথ্যপ্রমাণ পেশ করে এনআইএ। ১৯ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। বৃহস্পতিবার আদালত জানায়, এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে এপ্রিল মাসে। কিন্তু মামলার (Malegaon Blast Case) প্রকৃতির কারণে, যেখানে এক লাখেরও বেশি পৃষ্ঠার প্রমাণ ও নথি রয়েছে, রায় দেওয়ার আগে সমস্ত রেকর্ড পর্যালোচনা করার জন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন ছিল। মামলার সমস্ত অভিযুক্তকে রায়ের দিন আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন প্রজ্ঞা

    এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাত অভিযুক্তই। আদালতের রায় শোনার পর প্রজ্ঞা (Pragya Thakur) বলেন, “এই মামলা আমার পুরো জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা দোষী, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন (Malegaon Blast Case)।” তিনি বলেন,  “আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, যাদের তদন্তের জন্য ডাকা হয়, তার পেছনে কোনও ভিত্তি থাকা উচিত। আমাকে ডাকা হয়েছিল, আমাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল এবং নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এতে আমার পুরো জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমি এক সাধু জীবন যাপন করছিলাম। কিন্তু আমাকে অভিযুক্ত করা হয় এবং তখন কেউ স্বেচ্ছায় আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমি বেঁচে আছি, কারণ আমি একজন সন্ন্যাসিনী।”

    আইনজীবীর বক্তব্য

    অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন সুধাকর ধর দ্বিবেদীও। তাঁর আইনজীবী রঞ্জিত সাঙ্গালে বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর দেরি হওয়ার পরে ৩২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ৪০ জন সাক্ষীর বিরোধিতা, ৪০ জন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর জবানবন্দি বাতিল এবং ৪০ জন সাক্ষীর মৃত্যুর পর আজ ন্যায় বিচার হল (Pragya Thakur)। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না। সব অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে (Malegaon Blast Case)।”

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হালটা যে নরেন্দ্র মোদির হাতে, মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে তা বুঝিয়ে দিল ‘হাতি’। ভারতকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করেও, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর (American Bullying) ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে অতিরিক্ত পেনাল্টিও দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, নয়াদিল্লি অসহনীয় নন-মানিটরি ট্রেড ব্যারিয়ার্স বজায় রেখেছে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কিনছে এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার সময় মার্কিন চাপকে প্রতিহত করছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “মনে রাখবেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে খুব কম হয়েছে। কারণ ওরা অনেক বেশি শুল্ক নেয়। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি হারে শুল্ক নেওয়া দেশগুলির মধ্যে একটি। ওদের সঙ্গে ব্যবসায় অনেক বিরক্তিকর বাধা রয়েছে, যার সঙ্গে আর্থিক কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়া ওরা সব সময় সামরিক সরঞ্জামের একটি বড় অংশ কেনে রাশিয়া থেকে। রাশিয়ার জ্বালানিও ওরা সব চেয়ে বেশি কেনে।” তিনি লিখেছেন, “যখন সকলে চাইছে রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যালীলা বন্ধ করুক, তখন এসব কাজ ভালো নয়। তাই ভারত ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে এবং উল্লিখিত বিষয়গুলির জন্য একটি জরিমানাও নেওয়া হবে ১ অগাস্ট থেকে।”

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ। বরং নিজের অবস্থানেই অটল রয়েছে ভারত। অর্থনৈতিক অধীনতার বদলে অগ্রাধিকার দিয়েছে কৌশলগত সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে (Donald Trump)। সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সঙ্গীকে ১৫ শতাংশ বা তারও কম হারে শুল্কের সুবিধা দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘বন্ধুদেশ’ হওয়ায় ভারতও তেমনটাই আশা করেছিল। ভারতের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি আমেরিকার কৃষিপণ্যকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিত এবং নিজস্ব শিল্প রক্ষার নীতি শিথিল করত, তাহলে মার্কিন শুল্কে ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। ভারত তা তো করেইনি, উল্টে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে কঠোর অবস্থান নেয় মোদি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির এই কঠোর অবস্থানেই ‘ব্যবসায়ী’ ট্রাম্প বুঝে যান, এই দেশ নয়া ‘ইন্ডিয়া’ নয়, বরং (American Bullying) ‘মোদির ভারত’।

    বন্ধুদেশকে শাস্তি

    বন্ধুদেশকে শাস্তি দেওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেটি হল ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জেরে ভারত-পাক যে সংঘাত হয়েছিল, তাতে রাশ টেনেছিলেন তিনি। ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি হয়েছে তাঁরই হস্তক্ষেপে। ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ প্রত্যাশী ট্রাম্পের এহেন দাবিকেও নস্যাৎ করে দেয় নয়াদিল্লি। বিভিন্ন সময় নানা জায়গায় ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, পাকিস্তান অনুনয়-বিনয় করায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপে নয় (Donald Trump)। বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তির দেশের তালিকায় আমেরিকা রয়েছে এক নম্বরে, চারে রয়েছে ভারত। তাই ফোর্থ হওয়া স্টুডেন্টটি যেভাবে ‘ফার্স্টবয়’কে উপেক্ষা করছে, সেটা ভালো চোখে দেখেননি ট্রাম্প। অথচ মোদি জমানায় ভারত বরাবর তা-ই করে এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র  

    রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় জারি করে নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন রক্তচক্ষুর ভয়ে যখন বিড়াল সেজে বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে সেঁধিয়ে গিয়েছে টেবিলের তলায়, সেই সময়ও রাশিয়া থেকে বীর-বিক্রমে নিয়মিত তেল কিনে চলেছেন “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র মানুষের (নরেন্দ্র মোদি নিজেকে এভাবেই পরিচয় দেন) দেশ। তার জেরে ব্যয় কমেছে ভারতের জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় জীবাশ্ম জ্বালানির দাম, কমতে থাকে রাশিয়ার তেলের দর (American Bullying)। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাঁচিয়ে তিনি আদতে আরও বেশি করে মজবুত করেছেন দেশীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডটি।

    বন্ধুত্বের বার্তা

    ২০২০ সালে গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র আয়োজন করে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন মোদি। পরে ট্রাম্পও পাল্টা বন্ধুত্বের বার্তা দিতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’র। তার পরিণতি যে এমন হবে, চার বছর পরে মার্কিন কুর্সিতে ফিরে তা ভাবতেও পারেননি ট্রাম্প। তাঁর আশা ছিল, ভারত আর পাঁচটা দেশের মতোই মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করতে পারবে না (Donald Trump)। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করবেন মোদি। কিন্তু তা না হওয়ায় বড্ড হতাশ হয়েছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। এহ বাহ্য। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক অস্ত্র কিংবা যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনে আসছে রাশিয়া থেকে। সেই নেহরু জমানা থেকে শুরু করে ভায়া অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং হয়ে বর্তমানে মোদি আমলেও ছেদ পড়েনি তাতে। কারণ মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রচিত হয়েছে প্রয়োজন এবং নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে (American Bullying)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা তারও আগে বিভিন্ন সংঘাতের সময় বারবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে মস্কো।

    ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা

    অথচ ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকা আফগানিস্তানে মুজাহিদিন যুদ্ধ চালানোর জন্য পাকিস্তানকে কোলে টেনে নিয়েছিল। যার জেরে তখন ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজারের দোর। সেই সময়ও প্রকৃত বন্ধুর মতোই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। এমতাবস্থায় ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা তাঁর দেশ যদি আশা করে, ভারত দশকের পর দশক ধরে গড়ে তোলা অস্ত্র ব্যবসার কার্যকর সামঞ্জস্যতা, প্রশিক্ষণ প্রোটোকল এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা ছিঁড়ে বেরিয়ে স্রেফ মার্কিন খামখেয়ালিপনা মেটাতে পদক্ষেপ করবে, তবে তা হবে আদতে অবাস্তব এবং মূর্খের স্বর্গে বাস করার শামিল (Donald Trump)। বস্তুত, এই ঘটনা কেবল বাণিজ্য সংক্রান্ত নয়। এটা ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। ব্যবসায়ী ট্রাম্পের আগ্রাসী এবং লেনদেন নির্ভর কূটনীতির সামনে নতিস্বীকার না করে ভারত তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে, ভারত কোনও বৈশ্বিক শক্তির তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হবে না। হবে না ‘জো হুজুরে’র মতো ধামাধারীও। তা সে সামরিক সিদ্ধান্তই হোক কিংবা জ্বালানি কেনা কিংবা বাণিজ্য নীতি – ভারত সিদ্ধান্ত নেবে তার জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই, অন্য কোনও দেশকে খুশি করতে নয়।

    কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত

    ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে নয়াদিল্লি দেখিয়ে দিয়েছে, কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত মোদির ভারত। বন্ধুরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে আমেরিকা ভেবে ছিল, চাপে পড়ে বাপ বলবে ভারত। তবে তা না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ তামাম দুনিয়াকে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে (American Bullying), কোনও মূল্যেই ভারত তার সার্বভৌমত্ব বিক্রি করবে না, এমনকি পৃথিবীর সব চেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের কাছেও নয়। ভারত কারও উপগ্রহ হয়ে থাকতে চায় না, চায় না কৃপার পাত্র হয়ে থাকতে, সে নিজেই হতে চায় গ্রহ, বাঁচতে চায় নিজের শর্তে। মোদির ভারত কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না, বরং চোখে চোখ রেখে কথা বলে।

    ওহ, ডার্লিং ইয়ে হ্যায় নয়া ইন্ডিয়া (Donald Trump)!

  • Donald Trump: ‘দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত,’ শুল্ক-যুদ্ধে সাফ কথা নয়াদিল্লির

    Donald Trump: ‘দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত,’ শুল্ক-যুদ্ধে সাফ কথা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা (Donald Trump)। এর প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুলল নয়াদিল্লি। সাফ জানিয়ে দিল, দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত সরকার। বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতের (Indias Reaction) বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এই শুল্কের কী প্রভাব পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখছে সরকার।

    ভারতের বিবৃতি (Donald Trump)

    বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তা সরকারের নজরে এসেছে। সরকার এর প্রভাব খতিয়ে দেখছে। একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ এবং দুই দেশই উপকৃত হবে এমন একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তির জন্য গত কয়েক মাস ধরে ভারত এবং আমেরিকা আলোচনা চালাচ্ছে। আমরা সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কৃষক, উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের স্বার্থরক্ষা ও তাঁদের উন্নয়নকেই সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারত সরকারের ওই বিবৃতিতে এও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে ভারত সরকার। উদাহরণ হিসেবে সম্প্রতি ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই স্বাক্ষরিত হয় ওই চুক্তি। ওই চুক্তিতে আদতে লাভবান হবে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশই।

    রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘মাখামাখি’ সম্পর্ক

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘মাখামাখি’ সম্পর্ক ভালো চোখে দেখেনি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই কারণেই নয়াদিল্লির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি একটি জরিমানাও চাপানো হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে সেই পেনাল্টির পরিমাণ কত বা কী হতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টে তার উল্লেখ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া হামলা বন্ধ না করলে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য করা দেশগুলির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে (Donald Trump)।

    বুধবার বিকেলে ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের পাতায় তিনি এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে ভারতকে (Indias Reaction) বন্ধুরাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেও, নয়াদিল্লি চড়া হারে শুল্ক নেয় বলে অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাশিয়া থেকে ভারত যে অস্ত্র এবং জ্বালানি কিনছে, সে কথাও সমাজমাধ্যমে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তার পরেই ২৫ শতাংশ হারে শুল্কের ঘোষণা।

    এর পরেই বিবৃতি জারি করে ভারত। জানিয়ে দেয়, সরকার দেশের কৃষক, উদ্যোগপতি, ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প রক্ষার ওপর সব থেকে বেশি জোর দেয় (Indias Reaction)। জাতীয় স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য সরকার সব রকম পদক্ষেপ করবে (Donald Trump)।

  • Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দুর্গ রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীকে (Kerala Nuns Arrest)। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। ওই দুই সন্ন্যাসিনীর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস।

    কংগ্রেসের বক্তব্য (Kerala Nuns Arrest)

    সংসদের জিরো আওয়ারে এই ইস্যুটি তুলে ধরেন কংগ্রেস সাসদ কেসি বেণুগোপাল এবং কে সুরেশ। তাঁরা বলেন, “ঘটনাটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও আতঙ্কজনক। কারণ সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা ক্যন্সার আক্রান্ত রোগীদের সেবা-সুশ্রুষা করে সমাজসেবা করছিলেন।” বেণুগোপালের অভিযোগ, বজরং দলের সদস্যরা তাঁদের গায়ে হাত তুলেছেন এবং মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, এই দুই সন্ন্যাসিনী আগ্রার পথে যাচ্ছিলেন। তখনই দুর্গ রেলস্টেশনে আটকানো হয় তাঁদের। বেণুগোপাল বলেন, “এই দুই সন্ন্যাসিনী গত পাঁচ দিন ধরে কোনও কারণ ছাড়াই জেলে রয়েছেন। কী নিষ্ঠুরতা! দেশ কি একটি কলার প্রজাতন্ত্র (banana republic) হয়ে গিয়েছে? আমরা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তাঁদের মুক্তির আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বজরং দলের বক্তব্যেরই শুধু পুনরাবৃত্তি করছেন। এটা লজ্জার ব্যাপার!” সুরেশ বলেন, “সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা সমাজসেবার কাজ করছিলেন। আমি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানাই। উভয় সন্ন্যাসিনীই নির্দোষ।”

    বিজেপির তোপ

    যদিও দুর্গের সাংসদ বিজেপির বিজয় বাঘেল বলেন, “কংগ্রেস সাংসদরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছেন। ছত্তিশগড় সরকার যে সন্ন্যাসিনীদের গ্রেফতার (Kerala Nuns Arrest) করেছে, তাঁদের সমর্থন করছেন।” তাঁর দাবি, ছত্তিশগড়ের তিন আদিবাসী কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে দুর্গ রেলস্টেশনে আনা হয়েছিল। ধৃত সন্ন্যাসিনীদের মধ্যে একজন আগ্রা থেকে এবং অন্যজন জব্বলপুর থেকে এসেছেন। বাঘেল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ছড়িয়ে যাওয়ায় সেখানে ভিড় জমে যায়। তার মধ্যে যেমন বজরং দলের সদস্যরা ছিলেন, তেমনই ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও।” কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এটি একটি ষড়যন্ত্র। সংবেদনশীল ছত্তিশগড় সরকারের বদনাম করতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এসব করা হচ্ছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “তাহলে কি (Chhattisgarh) আমাদের রাজ্যের মেয়েদের রক্ষা করা আমাদের উচিত নয় (Kerala Nuns Arrest)?”

  • S Jaishankar: লোকসভায় কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    S Jaishankar: লোকসভায় কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনার সময় ব্যাপক হইচই করেন বিরোধীরা। এই সময় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, পাকিস্তান ও চিন একযোগে কাজ করছে। এরই (China Guru) প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসকে নিশানা করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই দুই দেশের মধ্যে বর্তমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণ হল কংগ্রেস জমানায় নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত।”

    ‘চিনা গুরু’ (S Jaishankar)

    প্রাক্তন মন্ত্রী কংগ্রেসের জয়রাম রমেশকে ‘চিনা গুরু’ বলেও কটাক্ষ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “ইউপিএ সরকারই চিনের বিরোধিতা না করে তাকে কৌশলগত অংশীদার করে তুলেছিল।” মন্ত্রী বলেন, “এখানে ‘চিনা গুরু’ রয়েছেন। তাঁদের একজন হলেন আমার সামনে বসে থাকা সদস্য (জয়রাম রমেশ), যিনি চিনের প্রতি এতটাই স্নেহপ্রবণ যে তিনি ‘চিন্ডিয়া’(Chindia) শব্দটির উদ্ভাবন করেছেন। আমি হয়তো চিনের বিষয়ে কম জানি। কারণ আমি অলিম্পিকস দেখে চিনকে চিনিনি। কেউ কেউ অলিম্পিকস সফরের সময় চিনের বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান অর্জন করেছেন। চলুন না জেনে নিই, তাঁরা কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন বা কী চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন।” মন্ত্রী বলেন, “তাঁরা চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকেও বাড়িতে ব্যক্তিগত টিউশন নিতেন। ‘চিনা গুরু’রা বলেন যে পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা তা জানি এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করছি। কিন্তু যদি কেউ বলে এই সম্পর্ক হঠাৎ গড়ে উঠেছে, তাহলে এর মানে তাঁরা ইতিহাস ক্লাসে ঘুমোচ্ছিলেন (S Jaishankar)।”

    কংগ্রেসকে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, সংসদে চলছে বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৬ ঘণ্টা। এই আলোচনায়ই যোগ দিয়ে কংগ্রেস দাবি করেছে, পাকিস্তান ও চিন একটি জোট হিসাবে কাজ করছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রের কৌশল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। এই অধিবেশনেই রাহুল বলেন, “ভারত মনে করছিল, ওরা শুধু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়ছে (China Guru), কিন্তু বাস্তবে তারা চিনের বিরুদ্ধেও লড়ছিল।” কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

LinkedIn
Share