Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • The Kerala Story: নিজের ঘরেই ব্রাত্য! হতাশ দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন

    The Kerala Story: নিজের ঘরেই ব্রাত্য! হতাশ দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই শহরে এসেছেন দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন। এসেছেন অভিনেত্রী আদা শর্মা। আসেনি শুধু ছবিটি।  শীর্ষ আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) সিনেমা (Cinema) প্রদর্শনে বাধা নেই। তবে এখনও সিনেমা দেখানো হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের (Westbengal) হলে। এই ঘটনায় হতাশ বাংলার ছেলে ছবির পরিচালক সুদীপ্ত। তাঁর কথায়, “নিজের ঘরেই আমি ব্রাত্য।” 

    হতাশ সুদীপ্ত 

    কলকাতায় এসে শুক্রবার একরাশ হতাশা প্রকাশ করলেন সুদীপ্ত। এদিন তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার মানছে না পশ্চিমবঙ্গ। এই সমস্যার সমাধান না হলে আমাদের আবার কোর্টে যেতে হবে। নিরাপত্তা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না। সিনেমার স্ক্রিনিং (Screening) করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা খুব হতাশার বিষয়। যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আবার আদালতের দ্বারস্থ হব। সেন্সর বোর্ড পাশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, একবার সিনেমাটা দেখুন। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে সিনেমা থেকে একটা লাইনও কাটার কথা বলা হয়নি। ডিস্ট্রিবিউটররা ফোন করে বলছে আমরা সিনেমা চালাতে চাই। কিন্তু আমাদের চালাতে দেওয়া হচ্ছে না।” 

    আরও পড়ুন: বক্স অফিসে বাজিমাত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র! প্রথম দিনে আয় কত?

    বাঙালি হিসেবে আক্ষেপ

    সুদীপ্ত আরও বলেন,  ‘ভারতবর্ষে দেড় থেকে দু’ কোটি লোক দেখেছে ছবিটা। সারা পৃথিবীতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ছবিটা নিয়ে। আমরা রাজনীতিবিদ নই, আমরা সিনেমা তৈরি করি। আমরা অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম, যে আজ বিভিন্ন হল-এ মানুষের কাছে পৌঁছে যাব। কিন্তু, এখানে এসে জানতে পারলাম আজও চালোনো হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কীভাবে এমনটা হয় জানা নেই।’ সাত থেকে আট বছর রিসার্চ করে তবে ছবিটা তৈরি করেছেন বলেও জানিয়েছেন পরিচালক। এমনকী মাস দু’য়েক ছবিটা সেন্সর বোর্ডেও পড়েছিল। যারা ছবিটা দেখেছে তারা কখনও কোনও অভিযোগ করেনি। বরং, ছবি যারা দেখেনি তারাই অভিযোগ করছে বললেন পরিচালক। এমনকী তিনি এমনও বলেছেন, ‘একজন বাঙালি হিসেবে এই ছবি নিয়ে গর্ববোধ করার কথা। কারণ, এই ছবির পরিচালক থেকে মিউজিক ডিরেক্টর সকলেই বাঙালি। তাই ভেবেছিলাম পশ্চিমবঙ্গে এসে সেলিব্রেট করব সবচেয়ে বেশি।’কিন্তু এখানে বাস্তব ছবিটাই ভিন্ন আক্ষেপ দ্য কেরালা স্টোরির (The Kerala Story) পরিচালক সুদীপ্ত সেনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adani Group: আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপির প্রমাণ নেই! সুপ্রিম কোর্টে জানাল বিশেষজ্ঞ কমিটি

    Adani Group: আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপির প্রমাণ নেই! সুপ্রিম কোর্টে জানাল বিশেষজ্ঞ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৌতম আদানির (Adani Group) সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার দর হেরফের করার অভিযোগের কোনও ভিত্তি এখনও খুঁজে পায়নি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর রিপোর্টের প্রেক্ষিতে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়েও মেলনি কোনও অনিয়মের নথি। শীর্ষ আদালতে একথা জানাল বিশেষজ্ঞ কমিটি।

    আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত গৌতম আদানির (Adani Group) সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো এবং কর ফাঁকি-সহ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনেছে আমেরিকান লগ্নি গবেষণা সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বেঞ্চ এর সত্যতা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপির প্রমাণ তো মেলেনি। বরং খুচরো বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আদানি গোষ্ঠী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে বলেও জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ফাঁসির দড়ি পরার দরকার নেই, তদন্তে সহযোগিতা করুক’’! অভিষেক প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    রাহুলকে নিশানা অমিতের

    দেশের শীর্ষ আদালত গঠিত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির তরফে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করা হয়েছে। সুপ্রিম কমিটির রিপোর্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করে এদিন অমিত মালব্য বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর স্পিচরাইটারদের কাজ বেড়ে গেল। এখন নতুন নতুন ভিত্তিহীন অভিযোগ খুঁজে বের করতে হবে তাদের।’ উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে আদানির নাম করে বিজেপিকে তোপ দেগে থাকেন রাহুল গান্ধী। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর সেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। 

    এদিন অমিত মালব্য টুইটে লেখেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যা স্লোগানের জন্য ভারতের জনগণ রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসকে ডগহাউজে পাঠিয়েছিলেন। রাফাল নিয়ে ভিত্তিহীন প্রচার চালিয়েছিলেন রাহুল। এর জেরে ভারতের বায়ুসেনার আধুনিকীকরণের প্রক্রিয়া সংকটের মুখে পড়েছিল। আর এখন আদানি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়ে দিল যে সেবির থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখে তারা আদানিদের জালিয়াতির কোনও প্রমাণ পায়নি। নিয়ামক সংস্থার কোনও গলদও নেই এই ঘটনায়। রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা যাঁরা লেখেন, তাঁদের এখন আরও অদ্ভুত কিছু সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাঁর মিথ্যার যন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের আর্জি শুনল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

    Municipality Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের আর্জি শুনল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলা শুনল না বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্‌হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানালেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) দুর্নীতি নিয়ে মূল মামলা ছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই এই বেঞ্চের। তাই এই মামলা এই বেঞ্চের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়। ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি ছেড়ে দেওয়ায়, তা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। 

    পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে সমস্যায় রাজ্য

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Scam) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় সমস্যায় পড়ল রাজ্য সরকার। স্কুলে নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে, পুরসভার নিয়োগেও ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ, হুগলির প্রোমোটার, অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ডডিস্ক। 

    আরও পড়ুন: আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায়

    গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Municipality Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। এরপরই, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে কিন্তু তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বহাল রাখেন। তিনি জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই-ই। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যায়। এদিন সেখানেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দফতরে চিঠি দিল রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলি নিয়ে ফের আদালতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শিক্ষক বদলি (Teacher Transfer) নিয়ে সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১৩ জুন পর্যন্ত শিক্ষকরা যদি নতুন জায়গায় কাজে যোগ নাও দেয়, তাহলে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না কমিশন। কারণ, মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে ১৩ জুন।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    শিক্ষক বদলিতে প্রবল দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তার পরিপ্রক্ষিতেই বিচাপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারকে শিক্ষক বদলি নিয়ে গাইড লাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু যে গাইড লাইন তৈরি হয়েছে, সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ১০ (সি) রুল মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন কিছু শিক্ষক। তাঁরা ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানিতে হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষক বদলির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

    বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন

    এই বদলি ইস্যুতে কিছু আবেদন নিয়ে বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন করেছেন বদলি হওয়া কয়েকজন শিক্ষক। তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চ কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সেই মামলার শুনানি হবে আগামী ১৬ জুন। বদলি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    আরও পড়ুুন: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাতের বিচার করেই বদলি নীতি তৈরি, তা অবশ্য মেনে চলা আর তা না মানা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি। তিনি এমনও বলেছিলেন, ‘অন্য কোনও চাকরিতে বদলি নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। শুধুমাত্র শিক্ষকরাই কেন পছন্দের স্কুলে চাকরি করবেন?’ এই শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি বসুকে এমনও বলতে শোনা গিয়েছে, বদলির পর নতুন স্কুলে যোগ না দিলে তা ‘সার্ভিস ব্রেক’ হিসাবেও গণ্য হতে পারে। এসব মাথায় রেখেই নাকি নতুন বদলি নীতি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা সামনে আসার পর থেকেই একাধিক মামলা হতে থাকে। শিক্ষকদের অভিযোগ, একই জেলার দুটি বিপরীত প্রান্তে বদলি করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলি করা হচ্ছে শিক্ষকদের, যাতে সমস্যা বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, ডেপুটি শিবকুমার! ঘোষণা কংগ্রেস হাইকমান্ডের

    Karnataka: কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, ডেপুটি শিবকুমার! ঘোষণা কংগ্রেস হাইকমান্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচদিন পর কাটল জট। সব জল্পনার অবসান। কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী (Karnataka Chief Minister) হিসেবে শপথ নেবেন সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। টানা ৫ দিন দীর্ঘ আলোচনার পর বৃহস্পতিবার সকালে একথা ঘোষণা করল কংগ্রেসের হাই কমান্ড। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ডি কে শিবকুমার (DK Shivakumar Deputy)।

    কর্নাটকে শপথগ্রহণ 

    শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বেঙ্গালুরুতে (Karnataka) কংগ্রেস বিধায়ক দলের বৈঠক ডেকেছেন শিবকুমার। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা সেই বৈঠকে অংশ নেবেন। সেই বৈঠকে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

    হাতে-হাত রেখে চলার বার্তা

    বৃহস্পতিবার এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল কংগ্রেস হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, “উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদেও বহাল থাকবেন শিবকুমার।’’  তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি গণতান্ত্রিক দল, আমরা ঐক্যমত্যে বিশ্বাস করি, স্বৈরাচারে নয়।” শিবকুমার এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে তাঁর এবং সিদ্দারামাইয়ার ছবি ট্যুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘‘কর্নাটকের (Karnataka) নিরাপদ ভবিষ্যৎ এবং আমাদের জনগণের কল্যাণই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আর এর নিশ্চয়তা দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’’ আগামী শনিবার নয়া সরকার শপথ নিতে পারে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এবার ১৩৫টি জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে? দু’পক্ষই রাজি ‘আড়াই-আড়াই’ ফর্মুলায়! ঘোষণা বৃহস্পতি-সন্ধ্যায়

    সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমার দুজনেই একসঙ্গে কাজ করার জন্য কথা দিয়েছেন। ‘দুজনে একসঙ্গে কাজ করে কর্নাটকের ভবিষ্যৎ এবং কর্নাটকবাসীর (Karnataka) ভবিষ্যৎ উন্নত করবেন। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’, এমনটাই ট্যুইট করেছেন ডিকে শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘আমাদের হাত সবসময়ে একসঙ্গে থাকবে কন্নড়দের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে? দু’পক্ষই রাজি ‘আড়াই-আড়াই’ ফর্মুলায়! ঘোষণা বৃহস্পতি-সন্ধ্যায়

    Karnataka: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে? দু’পক্ষই রাজি ‘আড়াই-আড়াই’ ফর্মুলায়! ঘোষণা বৃহস্পতি-সন্ধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্দারামাইয়া নাকি শিবকুমার, কর্নাটকের (Karnataka) নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কে শপথগ্রহণ করবেন তা নিয়ে টানা চারদিন আলোচনা চলেই যাচ্ছে হাত শিবিরে। দলের একটি সূত্রের খবর, ২০ মে অর্থাৎ আগামী শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারবেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে পারেন শিবকুমার। বুধবার গভীর রাতে এমনই ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। অচলাবস্থা কাটাতে বুধবার সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দলের সভাপতি খাড়্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল এবং রণদীপ সুরজেওয়ালা উপস্থিত ছিলেন। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সেই বৈঠক। সেখানেই না কি চূড়ান্ত হয় ফর্মুলা।

    আড়াই-আড়াই ফর্মুলা

    দলের একটি সূত্রে খবর, কর্নাটকের (Karnataka) অধিকাংশ কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাইলেও শিবকুমার হাইকমান্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। শুধু উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকতে তিনি রাজি নন। পাঁচ বছরের সরকারের মেয়াদকাল যদি দু’ভাগে ভেঙে আড়াই বছর করে দু’জনকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়, তা হলে তিনি প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সরকার গঠন হওয়ার পর সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হবেন, কিন্তু তিনি ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকবেন, তা মানতে রাজি ছিলেন না শিবকুমার। যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা না হয়, তবে তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদেও বসতে রাজি নন বলে দাবি করেছিলেন শিবকুমার। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রদেশ সভাপতি এবং বিধায়ক পদে থাকবেন বলেও জানান তিনি। এরই মধ্যে, রবিবার গোপন ব্যালটে বিধায়কদের থেকে যে মত নেওয়া হয়েছিল, তাতে এগিয়ে ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। আর তার ভিত্তিতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই ফের একবার গদিতে বসাচ্ছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সূত্রের খবর, দুই নেতাকেই ‘আড়াই বছরের’ ফর্মুলাতে রাজি করানো হয়েছে। অর্থাৎ, কংগ্রেস সরকারের মেয়াদের প্রথম আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দারামাইয়া, আগামী আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসবেন শিবকুমার। 

    কর্নাটক নিয়ে নানা প্রশ্ন ১০ জনপথে

    কর্নাটকের (Karnataka) বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জেতার ৯৬ ঘণ্টা পরও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঠিক করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। বুধবার দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠকের পরও শতাব্দী প্রাচীন দল এখনও সরকারিভাবে শিলমোহর দিতে পারেনি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নাকি কর্নাটকের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার, কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে! ১০, জনপথের অন্দরে ঘুরছে নানা প্রশ্ন। তা হলে কি রাজস্থানের পাইলট-গেহলত বা মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ-জ্যোতিরাদিত্য দ্বন্দ্বের মতোই অবস্থা হবে কর্নাটকেও? ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েও পাঁচ বছর কর্নাটকে শান্তিপূর্ণ ভাবে সরকার চালাতে পারবে না কংগ্রেস? 

    কর্নাটক নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, কর্নাটকের (Karnataka) রাজনীতির জট কাটাতে বুধবার খাড়্গে আলাদা আলাদা ভাবে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রথমে শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক হয়। পঞ্চাশ মিনিট শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্দরামাইয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন খাড়্গে। তিনি একাই নন, রাহুল গান্ধীও বুধবার দশ জনপথে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করেছিলেন।

    আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    কর্নাটকের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক

    মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এই আবহে কোনও কংগ্রেস নেতা কর্নাটক (Karnataka) নিয়ে মিডিয়ার সামনে বেফাঁস মন্তব্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দল। শিবকুমার প্রকাশ্যে বলছেন, ‘দল যে দায়িত্ব দেবে, আমি পালন করব৷ আমি দায়িত্বশীল ব্যক্তি৷ দলকে পিছন থেকে ছুরি মারব না, ব্ল্যাকমেল করব না৷’ অন্যদিকে সিদ্দারামাইয়ার বক্তব্য, ‘আমার যা বলার ছিল, বলে দিয়েছি৷ জানি না কী হবে!’ এর মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডাকলেন ডিকে শিবকুমার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বেঙ্গালুরুর কুইন্স রোডে প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর ইন্দিরা গান্ধী ভবনে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের পাশাপাশি বিধান পরিষদের সদস্য এবং কর্নাটক থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের ডাকা হয়েছে ওই বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে প্রায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শেষ হল। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ১৯ শে মে, শুক্রবার দুপুর ১ টায় এই মামলার রায়দান করবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট (Calcutta High court)।

    সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ 

    অভিযোগ, সাত বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চ ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন৷ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের বক্তব্য ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার আগে তাদের পক্ষের কোনও বক্তব্য শোনা হয়নি। এদিনের শুনানিতে পর্ষদের তরফে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, ‘সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ছত্রে ছত্রে ভুল রয়েছে। যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে মামলাকারীদের আবেদনের উল্লেখ করা হয়নি। আদালত (Calcutta High court) এক্ষেত্রে প্রসিকিউটরের মতো কাজ করেছে। একটি স্পাইরাল বাইন্ডিং দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই স্পাইরাল বাইন্ডিংয়ের তথ্য হলফনামা আকারেও পেশ করা হয়নি।’

    ডিভিশন বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানি

    মঙ্গল এবং বুধ-পর পর ২দিন এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High court)। বুধবার প্রায় পৌনে চার ঘণ্টা শুনানি হয়েছে। এদিন চাকরিহারাদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চে মামলায় যুক্ত ছিলেন না এই শিক্ষকেরা। তাদের বক্তব্যও শোনা হোক এই দাবি কেন জানায়নি পর্ষদ?” এর পরই কল্যাণের প্রশ্ন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে আছেন, মানিক ভট্টাচার্য জেলে আছেন। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে এই শিক্ষকদেরও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে হবে এই সিদ্ধান্ত কিভাবে গ্রহণ করা যায়?” 

    আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    এদিন আদালতে (Calcutta High court) এই মামলার মূল মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা নস্করের আইনজীবী বলেন, ‘পর্ষদের প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাছাড়া বারবার বলা হচ্ছে চাকরি হারানোদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। একথা ঠিক নয়। বক্তব্য শোনার জন্য সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা তা গ্রহণ করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বারবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন ছয় বছর পর মামলা করা হল? এক্ষেত্রে বলতে হয় পর্ষদ কোনও দিনও ২০১৬ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জনসমক্ষে আনেনি। আদালতে জনস্বার্থ মামলা হওয়ার পর মামলাকারীরা যখন তথ্য খতিয়ে দেখার সুযোগ পান তখন সমস্ত বিষয় সামনে আসে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Payments: একটু ভুলে খোয়াতে পারেন অনেক কিছু! অ্যাপের মাধ্যমে টাকা লেনদেনে সতর্ক থাকুন

    Digital Payments: একটু ভুলে খোয়াতে পারেন অনেক কিছু! অ্যাপের মাধ্যমে টাকা লেনদেনে সতর্ক থাকুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্মার্টফোনে মাত্র কয়েকটি অ্যাপের মাধ্যমেই বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে টাকাপয়সা আদানপ্রদান করে ফেলা সম্ভব। অনলাইন লেনদেনে যেমন মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জালিয়াতিও। তাই ‘ইউপিআই’ পেমেন্ট (Digital Payments) মেথডে যাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন। অনলাইনে টাকা পয়সা লেনদেন করার আগে মেনে চলুন বেশ কিছু নিয়ম। 

    নির্ভরযোগ্য অ্যাপ

    ‘প্লে স্টোর’এ নানা ধরনের ‘ইউপিআই’ অ্যাপ রয়েছে। তবে কোনটি সব দিক থেকে বিশ্বস্ত, তা বুঝে নিতে হবে আপনাকেই। গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলি বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আপাত ভাবে নিরাপদ বলেই মনে হয়।

    পিন শেয়ার নয়

    ‘এটিএম’ হোক বা ইউপিআই অ্যাপ, তার ‘পিন’ (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) যেন সুরক্ষিত থাকে। কারণ, ‘পিন’ হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই জালিয়াতরা ওঁত পেতে বসে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু দিন অন্তর ‘পিন’ বদলে ফেলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

    ফোন বা মেসেজ এড়িয়ে চলুন

    কাউকে টাকা দেওয়ার আগে এই ব্যক্তির নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নিন। একই নামে দু’জন ব্যক্তি থাকতেই পারেন। কিন্তু তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সাধারণত এক হয় না। তাই ‘ভেরিফাই পেমেন্ট অ্যাড্রেস’ এ গিয়ে তা যাচাই করে, তবেই টাকা (Digital Payments) পাঠাবেন। ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চেয়ে অনেক সময়ই ফোন বা মেসেজ আসে গ্রাহকদের ফোনে। যা আপাত ভাবে দেখে ভুয়ো বলে মনেই হয় না। সেই সব ফোন বা মেসেজ এড়িয়ে চলাই ভাল।

    আরও পড়ুন: দেশে বর্ষা ঢুকছে ৪ জুন! রাজ্যে কবে? কী জানাল আবহাওয়া দফতর

    ব্যক্তিগত তথ্য সেভ নয়

    ফোন বা কম্পিউটা্রের মাধ্যমে কিছু কেনাকাটা করতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট বা অ্যাপ অনেক সময়ই কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য সেখানে ‘সেভ’ করে রাখতে চায়। এই ফাঁদে পা দেওয়ারও কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, ফোন বা ল্যাপটপটি ব্যক্তিগত হলেও অন্তর্জাল ব্যবস্থাটি ব্যক্তিগত নয়। অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় নিজেদের ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের সমস্ত তথ্য কখনও সেভ করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে অনেকেই আছেন যাঁরা ভবিষ্যতে সেখান থেকে কেনাকাটা করার সময় দ্রুত অনলাইন পেমেন্ট (Digital Payments) করার জন্য নিজেদের কার্ডের সমস্ত ডিটেলস সেভ করে রাখেন। কিন্তু এটি করলে নিজেদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

    নিজের ডিভাইস ব্যবহার করুন

    ডিজিটাল পেমেন্ট করার সময় যে কোনও ডিভাইস অথবা ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ সাইবার হ্যাকারদের নজর সবসময় এই ধরনের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইসের ওপরেই থাকে। সেখান থেকে একবার ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) করলে সেই গ্রাহকের সমস্ত তথ্য হ্যাক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অন্যের ডিভাইস ও পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডিজিটাল ট্রানজাকশন কখনওই করবেন না। সবসময় নিজেদের ডিভাইস অথবা মোবাইল থেকেই এই ধরনের ডিজিটাল পেমেন্ট করা উচিত।

    কিউ আর কোড

    কিউ আর কোড ব্যবহারে সতর্ক থাকুন- কোনও প্রাইজ বা অর্থ পুরস্কার পাবেন এরকম মেসেজ পাঠিয়ে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে বললে এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, টাকা-পয়সা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিউ আর কোড ব্যবহার হয়, এরকমভাবে কাউকে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে পাঠানো হয় না।

    স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ

    স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ ডাউনলোড এড়িয়ে চলুন- সাইবার ক্রিমিনালরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা করে থাকে। ব্যাঙ্কের লোক বা ভরসার পাত্র হওয়ার ভান দেখিয়ে প্রতারকরা এই ধরণের অ্যাপ ডাউনলোড করতে প্রভাবিত করতে পারে। এই ধরণের প্রতারণার ফাঁদের বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কালীপুজোর চল সারা বছর ধরেই দেখা যায়। দুর্গাপুজোর পরে যে কালীপুজো হয় তা জনপ্রিয় দীপান্বিতা কালী পুজো নামে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে রক্ষাকালী পুজো। স্থানীয়ভাবেও বাংলার নানা প্রান্তে কালীপুজো হয়। কোনও কোনও গৃহস্থের বাড়িতেও কালী পুজো বছরের বিশেষ সময়ে দেখা যায়। জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে যে কালীপুজো হয় তা ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালী জীবের কর্মফল অনুসারে তাদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। তিনি প্রসন্না হলে জীবের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলে। পাশাপাশি জীবন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। জানা যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ফলহারিণী কালীপুজোর দিনে সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগত কল্যাণের জন্য। ১২৮০ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন সারদা মা’কে। পরবর্তীতে এই সময়ের কালী পুজো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফলহারিণী কালী (Falharini Kali Puja) পুজো নামেই প্রসিদ্ধি পায়।

    ফলহারিণী (Falharini Kali Puja) কালীপুজো ২০২৩  নির্ঘণ্ট

    ২০২৩ সালের ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) সম্পন্ন হবে ১৮ মে, বাংলার ৩ জৈষ্ঠ্য বৃহস্পতিবার। ১৮ মে রাত্রি ৯টা ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে যা চলবে ১৯ মে রাত্রি ৮টা ৪৩ মিনিট অবধি।

    কেন এই পুজো ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে পরিচিত?

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, জৈষ্ঠ্য মাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল সমেত নানারকম মরসুমী ফল পাওয়া যায়। ভক্তরা তাদের ইষ্ট দেবীকে এই ফল নিবেদন করে থাকেন। দেবী ভক্তদের কর্মফল হরণ করে তাদেরকে মোক্ষফল প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে বিদ্যা, কর্ম এবং অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে প্রেম প্রণয়ের বাধা দূর হয়, দাম্পত্য সংসারী জীবনেও সুখ শান্তি বিরাজ করে। এককথায় এই বিশেষ পুজোয় ভক্তরা আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানসিক শক্তি পেয়ে থাকেন বলে তাদের বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেও লাভ হল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha)। পুকুরে ফেলা ২টি মোবাইল ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে চ্যাট হিস্ট্রিও। ডেটা ডিলিটের পরেও ১০০ শতাংশ তথ্য পুনরুদ্ধার করা গেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের দিল্লির ফরেনসিক ইউনিট থেকে ইতিমধ্যেই সেই খবর এসে পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে।

    মোবাইল-সূত্র

    সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত তৃণমূল বিধায়ক দু’টি ফোন থেকে প্রচুর ডেটা ডিলিট করেছেন। ওড়ানো হয়েছিল প্রচুর কথোপকথনের রেকর্ড ও ছবি। মোবাইল ঘেঁটে সে তথ্য জানতে পেরেছেন, দিল্লির ফরেন্সিক অফিসাররা। এসএসসি মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই তথ্য ওড়ানো হয়েছে, বলে দাবি সিবিআইয়ের। ওই ফোন থেকেই মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতির সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য! কয়েকশো অডিও ক্লিপ! বহু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ! আর গ্য়ালারিভর্তি ছবি! সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিও ক্লিপে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান, তথ্য গোপন করতেই দুটি ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু লাভ হল না। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে মুছে যাওয়া তথ্য প্রায় একশো শতাংশই উদ্ধার করা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান চলে। সেই অভিযান ও বিধায়কের গ্রেফতারি ঘিরে নাটকীয় পর্ব চলে প্রায় তিনদিন ধরে। এবার জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ঘেঁটে পাওয়া তথ্য  রিপোর্ট আকারে তদন্তকারীদের হাতে আসতে চলেছে। সেই ডেটা সামনে এলে বিপদ আরও বাড়তে পারে জীবনকৃষ্ণের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share