Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Anubrata Mondal: শিবঠাকুর মণ্ডল মামলায় জামিন অনুব্রতর! এবার কি ইডির হাত ধরে দিল্লি যাত্রা?

    Anubrata Mondal: শিবঠাকুর মণ্ডল মামলায় জামিন অনুব্রতর! এবার কি ইডির হাত ধরে দিল্লি যাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবঠাকুর মণ্ডলকে খুনের চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতিকে। ২ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। ওই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ জানুয়ারি। শিবঠাকুরের করা মামলায় অনুব্রতর জামিন হতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আসানসোল সংশোধনাগারে।

    এবার তিহারের পথে?

    জামিন মিললেও এখনই অস্বস্তি কাটছে না অনুব্রত মণ্ডলের। গরু পাচার মামলাতে আগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এমনকী এরপর জেলের মধ্যেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে আরও এক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গরু পাচার মামলাতে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে আরও তথ্য জানতেই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এজন্যে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইলেও আইনি লড়াই জারি রয়েছে। মঙ্গলবার ওই মামলার নথিপত্র দুবরাজপুর আদালত থেকে নিয়েছে ইডি। বীরভূমের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর। গত সোমবার তিনি অনুব্রতের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। জানান, ২০২১ সালে অনুব্রত তাঁকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল ইডি। তাদের আবেদনে সায়ও দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কিন্তু শিবঠাকুরের করা এই অভিযোগের পর আপাতত অনুব্রতের দিল্লিযাত্রা থমকে যায়। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন, পুলিশের তরফে আদালতে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হয়। পুলিশের গত্রফে সরকারি আইনজীবী জানান, গত কয়েকদিন ধরে তেমন কোনও তথ্য দেননি অনুব্রত। কিন্তু আজ সকালে মুখ খোলেন তিনি। বেশ কিছু তথ্য দেন। ফলে এই বিষয়ে আরও তথ্য এবং উত্তর জানার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এমনকী এদিন পুলিশের তরফে আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করা হয়। যদিও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যে জায়গাতে এই ঘটনা সেখানে এখনও পুলিশ যায়নি। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে যদিও আদালত অনুব্রতকে জামিন দেয়। এবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Russia Ukraine War: শান্তি সমঝোতায় ভারতের সাহায্য চায় ইউক্রেন! মোদির আশ্বাস জেলেনস্কিকে

    Russia Ukraine War: শান্তি সমঝোতায় ভারতের সাহায্য চায় ইউক্রেন! মোদির আশ্বাস জেলেনস্কিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে যুদ্ধের ইতি টানতে ‘শান্তি ফর্মুলা’ কার্যকরের জন্য ভারতের সমর্থন চাইলেন ভ্লাদিমির জেলেনস্কি (Ukraine President Volodymyr Zelenskyy)। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। সোমবার ট্যুইট করে নিজেই সেকথা জানান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।

    জেলেনস্কি-মোদি ফোনালাপ

    সোমবার এই ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ট্যুইটে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। G20-র সভাপতিত্বের জন্য তাঁকে অভিনন্দনও জানিয়েছি। এই মঞ্চেই আমি শান্তি সমঝোতার কথা বলেছি। এর বাস্তবায়ন এখন ভারতের উপর নির্ভর করছে।” এছাড়া যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনকে মানবিক সাহায্য পাঠানো ও রাষ্ট্রসংঘে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। ভারতের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে যে সংঘাত চলছে, তা নিয়ে মোদি এবং জেলেনস্কির আলোচনা হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিবর্তে আলোচনার টেবিলে বসে যাতে সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই বার্তা দিয়েছেন মোদি।

    আরও পড়ুন: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    চলতি বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বসেছিল G20-র সম্মেলন। সেখানে ১০টি পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে ‘শান্তি সমঝোতার’ রূপরেখা দিয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “ইউক্রেনকে তার বিবেক, সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ড এবং স্বাধীনতার সাথে আপস করার প্রস্তাব দেওয়া উচিত নয়।” তাঁর দেওয়া শান্তি সমঝোতায় রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া পারমাণবিক নিরাপত্তা, খাদ্য সুরক্ষা, জ্বালানি নিরাপত্তা, রাশিয়ার থেকে বন্দি মুক্তি, ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধারের কথা বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। পালটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপের দেশে যাতে সংঘাতে ইতি পড়ে, সেজন্য যে কোনও শান্তি ফেরানোর চেষ্টায় সমর্থন করতে রাজি আছে নয়াদিল্লি। মোদি স্পষ্ট করে দেন যে অবিলম্বে সংঘাতে ইতি টেনে কূটনৈতিকভাবে ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষে আছে ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Darjeeling Municipality: সুপ্রিম দুয়ারে হামরো পার্টি! দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোট কালই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Darjeeling Municipality: সুপ্রিম দুয়ারে হামরো পার্টি! দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোট কালই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে হামরো পার্টি (Hamro Party)। সোমবার, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে (Jalpaiguri Circuit Bench) হামরো পার্টির আর্জি খারিজ হতেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন অজয় এডওয়ার্ড (Ajay Edward)। সূ্ত্রের খবর, আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনার পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    হামরো পার্টির আবেদন খারিজ

    প্রথম বার নির্বাচনে লড়েই গত ফেব্রুয়ারি মাসে দার্জিলিং পুরসভা দখল করে চমকে দিয়েছিল ‘গ্লেনারিজ’ (Glenary’s) কর্তা অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। কিন্তু দলের মধ্য়ে ফাটল ধরায় আপাতত তাদের হাত থেকে পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সোমবার, কলকাতা হাইকোর্টও জানিয়ে দেয়, আগামী ২৮ ডিসেম্বরই দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোট হবে। হামরো পার্টির আবেদন খারিজ করে এ দিন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। গত নির্বাচনে দার্জিলিং পুরসভার ৩২টি আসনের মধ্যে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির ঝুলিতে এসেছিল ১৮ আসন। অন্যদিকে, অনিত থাপার BGPM  জিতেছিল ৯টি আসন, তৃণমূল কংগ্রেস ২টি এবং বাকি ৩টি আসন পেয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM)। 

    আরও পড়ুন:কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    পুরসভা দখলের পথে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টি

    বর্তমান পরিস্থিতিতে হামরো পার্টি থেকে ৬ জন কাউন্সিলর প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টিতে যোগ দেয়। ফলে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ জন। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের ২ জন তাদের বাইরে থেকে সমর্থন করবে। ফলে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ জন। তাই তারা দার্জিলিং পুরসভার হামরো পার্টির চেয়ারম্যান রিতেশ পোরতেলের অপসারণ চেয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। ২৮ ডিসেম্বর সেই অনাস্থা প্রস্তাবে দিন ধার্য হয়েছে। সেই অনাস্থা প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তার স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়ে দিলেন, ২৮শে ডিসেম্বরই দার্জিলিং পুরসভার অনাস্থা প্রস্তাবের বৈঠক সংঘটিত হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,পুরসভায় বদল এখন সময়ের অপেক্ষা। শীঘ্রই পুরসভা দখল করতে পারে অনিত থাপার (Anit Thapa) প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। গত ২৪ নভেম্বর কার্শিয়াঙে হামরো পার্টির পাঁচ কাউন্সিলর যোগ দেন BGPM দলে। তার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। এদিকে দুই তৃণমূল কাউন্সিলরও BGPM-কে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণায় আরও টলমলে অজয় এডয়ার্ডের পার্টির ভবিষ্যত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Test Championship: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২-০ জয়! বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের ছাড়পত্র কী পাবে টিম ইন্ডিয়া?

    World Test Championship: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২-০ জয়! বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের ছাড়পত্র কী পাবে টিম ইন্ডিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। তার ফলে বিরাট কোহলিদের ফের এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। পাঁচটি সিরিজ শেষে টিম ইন্ডিয়ার পয়েন্ট শতকরা ৫৮.৯৩।  তার পরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (৫৪.৫৫ পিটিসি)। আর ৭৬.৯২ শতকরা পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ফাইনালে খেলা প্রায় নিশ্চিত। এখন ঠিক হবে প্যাট কামিন্সদের প্রতিপক্ষ হবে কোন দল। ভারতের সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, রোহিত শর্মাদের পরের সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। দুই দল খেলবে চার ম্যাচের সিরিজ। 

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ছাড়পত্র

    দেখে নেওয়া যাক, কী ফল হলে ভারত সরাসরি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পাবে-
    ১) ভারত যদি অস্ট্রেলিয়াকে ৪-০ ব্যবধানে হারায় তাহলে শতকরা পয়েন্ট হবে ৬৮.০৬। সেক্ষেত্রে সরাসরি ফাইনালে উঠবে টিম ইন্ডিয়া।
    ২) ভারত যদি ৩-১ কিংবা ৩-০ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়াকে হারায়, তাহলে ৬২.৫০ শতকরা পয়েন্ট দাঁড়াবে টিম ইন্ডিয়ার। সেক্ষেত্রেও অন্য কারও উপর নির্ভর করতে হবে না ফাইনালে ওঠার জন্য।
    ৩) এমনকী ভারত যদি ২-০ বা ১-০ ব্যবধানে যেতে, তাহলে শতকরা পয়েন্ট হবে ৬০.৬২। তাও অবশ্য রোহিত শর্মাদের ফাইনালে খেলার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
    তবে সিরিজ যদি ০-০, ১-১ কিংবা ২-২ ফলে অমীমাংসিত থাকে, তাহলে ভারতের শতকরা পয়েন্ট ৬০-এর নীচে নেমে যাবে। তখন ভারতকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকে। তখন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজের ফল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: নিজের অটোগ্রাফ দেওয়া জার্সি বিসিসিআই সচিব জয় শাহকে পাঠালেন মেসি

    এখন প্রশ্ন হল, ভারত যদি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায়, তাহলে কি রোহিতদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) ফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভেঙে যাবে?
    এই পরিস্থিতিতে অঙ্ক অবশ্যই জটিল হবে। দেখতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা যেন তাদের আসন্ন টেস্ট সিরিজ হারে। আর এই অঙ্ক তখনই গুরুত্ব পাবে, ভারত যদি ০-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে। পরাজয়ের ব্যবধানে বেশি হলে ছিটকে যাবে টিম ইন্ডিয়া। উল্লেখ্য, গতবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ria Kumari: বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি! বাগনানে অভিনেত্রী রিয়া কুমারী খুনে গ্রেফতার স্বামী প্রকাশ

    Ria Kumari: বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি! বাগনানে অভিনেত্রী রিয়া কুমারী খুনে গ্রেফতার স্বামী প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী রিয়াকে খুন করিয়েছিলেন স্বামী  প্রকাশ কুমার। এমনই অভিযোগ রিয়া কুমারীর পরিবারের। বাগনানে (Bagnan) ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী রিয়া কুমারীকে (Riya Kumari) গুলি করে খুনের (murder) ঘটনায় তাঁর স্বামী (husband) প্রকাশ কুমারকে গ্রেফতারও (arrest) করেছে পুলিশ। রিয়ার পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে পরিকল্পনা করে দুষ্কৃতীদের দিয়ে খুন করিয়েছে তাঁর স্বামীই। একইসঙ্গে রিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্তের (investigation) আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।  বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে প্রকাশকে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে। 

    কী অভিযোগ

    রোজগার করতেন বলেই রিয়ার উপর সব রাগ গিয়ে পড়েছিল প্রকাশের। ইউটিউবার হওয়ায় রিয়ার গতিবিধি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হত। প্রতিনিয়ত তাঁকে সন্দেহ করতেন প্রকাশ। পাশাপাশি চলত মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন। রিয়ার উপার্জন করা অর্থ হাতিয়ে নিতেন প্রকাশ,এমনও বলছে অভিনেত্রীর পরিবার। সেই থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। দাম্পত্যকলহ বড় আকার নিয়েছিল। রিয়া কুমারী ওরফে ইশা আলিয়া ছিলেন প্রকাশের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। ‘আগেও বেশ কয়েকবার রিয়াকে খুনের হুমকি দেন প্রকাশ। রিয়াকে মারধরও করতেন প্রকাশ, এমনটাই অভিযোগ রিয়ার পরিবারের। প্রকাশের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও আরও দুই আত্মীয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছে রিয়ার পরিবার। প্রশ্ন উঠছে, ছিনতাইয়ের ঘটনাকে সামনে রেখে কি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রিয়াকে খুনের ছক কষা হয়েছিল? সেই উত্তরই খুঁজছে পুলিশ। 

    প্রকাশের বয়ানে অসঙ্গতি

    প্রকাশ দাবি করে, বুধবার ভোরে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় আসার সময় খুন হন রিয়া। আড়াই বছরের শিশুকন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রকাশ নিজেদের গাড়িতে চেপে আসছিলেন।  প্রযোজক হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন প্রকাশ। তাঁর কথায়, ভোর ৫.৩০টা নাগাদ মহিষরেখা সেতুর কাছে তিনি গাড়ি থামান। শৌচকর্ম সারতে যান। সেই সময় চড়াও হয় তিন ছিনতাইকারী। রিয়া বাধা দিতে গেলে,পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রিয়ার কানের পাশে গুলি লাগে। তদন্তকারীদের মতে, প্রকাশ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন, গাড়ির বাইরে থেকে গুলি করা হয়েছে রিয়াকে। কিন্তু, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল। প্রকাশ আরও দাবি করেছিলেন, ছিনতাইকারীরা তাঁকে ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু রিয়া তাদের বাধা দেওয়ায় ছিনতাইকারীরা তাঁকে গুলি করে। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে প্রকাশকেই ছিনতাইকারীদের আক্রমণ করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। 

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    পুলিশের সন্দেহ, প্রকাশ নিজেই রিয়াকে গুলি করে ছিনতাইয়ের গল্প ফেঁদেছেন। এই সন্দেহ জোরালো হয়, আরও কয়েকটি তথ্যে। হাওড়ার বাগনানের রাজাপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর মহিষরেখা সেতুর কাছে গুলি করে খুন করা হয়েছে রিয়াকে। তদন্তকারীদের মতে, ওই এলাকায় ইতিপূর্বে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যের তেমন ইতিহাস নেই। তা ছাড়া, প্রকাশ দাবি করেছিলেন, তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে সেতুর কাছে গাড়ি দাঁড় করান। তাঁর দাবি ছিল, ঠিক সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা প্রকাশকে ঘিরে ফেলে। এই দুই ঘটনার সমাপতন কি নেহাতই কাকতালীয়, সেই প্রশ্নও ভাবিয়ে তোলে তদন্তকারীদের। দুষ্কৃতীরা কী করে জানল যে, ওই দম্পতি মহিষরেখা সেতুর কাছে গাড়ি দাঁড় করাবেন, এই প্রশ্নও ভাবিয়ে তোলে তদন্তকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Year Ender 2022: ফিরে দেখা সাল ২০২২! মহিলাদের স্বার্থে দেওয়া যুগান্তকারী কয়েকটি রায় শীর্ষ আদালতের

    Year Ender 2022: ফিরে দেখা সাল ২০২২! মহিলাদের স্বার্থে দেওয়া যুগান্তকারী কয়েকটি রায় শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকটা দিন, শেষ হতে চলল সাল ২০২২। ঘটনাবহুল এই বছরে ভারতীয় মহিলাদের স্বার্থে যুগান্তকারী বেশ কয়েকটি রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। নারীর অধিকার সুরক্ষিত রাখতে  সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়গুলির একঝলক:

    বৈবাহিক ধর্ষণ

    ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ও ‘ধর্ষণ’ বলে মন্তব্য করেছে আদালত। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, বিবাহিত মহিলারও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। বিনা সম্মতিতে স্বামীর আচরণে এক জন মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন। প্রসঙ্গত, এ দেশে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’কে আইনি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সেই নিরিখে শীর্ষ আদালতের এ হেন পর্যবেক্ষণ উল্লেখযোগ্য। স্বামীও ধর্ষক হতে পারেন এমন একাধিক অভিযোগ থানায় জমা হলেও সেগুলি অপরাধের সামিল বলে মনে করা হত না। চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রম কোর্ট জানিয়েছে বিবাহের সম্পর্কে ধর্ষণও আইনত দণ্ডনীয়। অর্থাৎ এখন থেকে কোনও স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য। এত দিন পর্যন্ত একে কোনও অপরাধ বলেই ধরা হত না।

    গর্ভপাতের অধিকার

    দেশের সব নারীই নিরাপদে গর্ভপাত করাতে পারবেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত এক মামলায় এমনই যুগান্তকারী রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গর্ভপাতের ক্ষেত্রে বিবাহিত ও অবিবাহিত মহিলার ফারাক করা অসাংবিধানিক বলেও উল্লেখ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে অবিবাহিত মহিলারাও গর্ভপাত করাতে পারবেন। ২০০৩ সালে গর্ভপাতের আইনে সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। সেই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি জেপি পড়িওয়াল। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সঠিকভাবে নষ্ট করা হয় না মেডিক্যাল বর্জ্য, অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে 

    মায়ের পদবী ব্যবহার করতে পারবে সন্তান

    জন্মের পর নিজের বাবার পদবীই পায় সন্তান,বহুকাল ধরেই এই নিয়ম চলে আসছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই চিরাচরিত প্রথা ভেঙে নজিরবিহীন রায় দিয়ে জানায়,সন্তানের পদবী কি হবে তা নির্ধারণ করার অধিকার একমাত্র মায়ের। সন্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার লালন পালনেও মায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সেই সঙ্গে একা অনেক মা তাঁদের সন্তানকে বড় করে তোলেন। সেক্ষত্রে পদবীর ব্যবহার নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় স্কুলে-কলেজে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারীর বেঞ্চ একটি মামলার প্রেক্ষিতে জানিয়েছে সন্তান কোন পদবী ব্যবহার করবে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা মায়েরও রয়েছে।

    টু-ফিঙ্গার টেস্ট

    ধর্ষণের একটি মামলায় গত ৩১ অক্টোবর গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষিতার ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বা ‘দুই আঙুলের পরীক্ষা’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ। বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, এরপর কোনও ধর্ষণ মামলায় ‘টু ফিঙ্গার টেস্টের’ নির্দেশ দেওয়া হলে, তাদের অভব্য আচারণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হবে। নিম্ন আদালতে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির সাজা বহাল রেখেছিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হলে, সেই মামলার শুনানির শেষে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় আদালত। 

    বাড়ি তৈরির টাকা পণ নেওয়ার সামিল

    বাড়ি তৈরির জন্য টাকা চাওয়া পণ নেওয়ার সামিল সুপ্রিম কোর্ট আরও একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে এই বছর। কোনও মেয়ের বাড়ির কাছে যদি বাড়ি তৈরির জন্য টাকা নেওয়া হয় সেটা পণ নেওয়ার সামিল অর্থাৎ পণ নেওয়ার মতই দণ্ডনীয় অপরাধ বলেই বিবেচিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এএস বোপান্না এই রায় দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: লে-লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক! কী উপদেশ দেবেন অমিত শাহ?

    Amit Shah: লে-লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক! কী উপদেশ দেবেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকা ও লে লাদাখের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আজ, বুধবার বিকেলেই শাহি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। জম্মু ও কাশ্মীরে আবার হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। গোপনে ঘাঁটি গেড়ে বসছে বসতি অঞ্চলে। শীতের শুরুতেই ঠান্ডার সুযোগে সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। তাই উপত্যকায় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। 

    শাহি-বৈঠকের আগেই হামলা

    বুধবার সকালেই জম্মু ও কাশ্মীরের সিধরা এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াইয়ে ৩ জঙ্গি নিহত হয়। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতে উপত্যকা ও লাদাখ নিয়ে শাহি বৈঠকের সম্ভাবনা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে  বিশেষজ্ঞ মহল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে অগাস্ট মাসে উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ওই বেঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজ্যপাল, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (home minister amit shah) দাবি করেছিলেন, “কাশ্মীরে নাশকতার ঘটনা আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে।” পাশাপাশি দেশে অনুপ্রবেশ আটকানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর! কাশ্মীরে এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    চিনকেও কড়া বার্তা

    অমিত শাহের নির্দেশের পর সক্রিয় ছিল সেনা। কিন্তু উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে মাঝে মাঝেই বিস্ফোরক উদ্ধার ও জঙ্গি খতমের ঘটনা প্রমাণ করছে, এখনও কাশ্মীরে অশান্তি সৃষ্টির চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে সীমান্তের ওপারের জঙ্গিরা। শাহি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন করে নাশকতা রুখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথাও জানাতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া, কয়েকদিন আগে অরুণাচলে চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে। লাদাখ সীমান্তেও চিনা আগ্রাসনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। লাদাখ সংক্রান্ত বৈঠকে বেজিংয়ের প্রতিও অমিত শাহ (Amit Shah) কড়া বার্তা দিতে পারেন বলে সূত্র মারফৎ খবর। পাকিস্তান ও চিন দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চক্রান্ত কোনওভাবেই সফল হতে দেবে না ভারত। এ বিষয়ে সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীকে বিশেষ উপদেশ দিতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

     

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! ১৬৯৮ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি যাওয়ার পথে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! ১৬৯৮ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি যাওয়ার পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ১৬৯৮ জনকে এবার নোটিস ধরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ১৬৯৮ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর নিয়োগ দুর্নীতির আভাস দিয়েছিল সিবিআই। এঁরা রাজ্যের বিভিন্ন হাই ও জুনিয়ার হাইস্কুলে কর্মরত। রাজ্য শিক্ষা দফতর এবার এই কর্মীদের বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরকে জানিয়ে দিল। ইতিমধ্যেই এই মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের একদিনও স্কুলে ঢুকতে দেব না৷ এই দুর্নীতির জেরে ছাত্রদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি৷ 

    শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা

    শিক্ষা দফতরের কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তী ২৩ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তদন্তে চিহ্নিত ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ব্যক্তিকে নোটিস ধরাতে হবে। সেই নোটিসের সঙ্গে আদালতের রায়টিও যুক্ত করে দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিযুক্ত ১৬৯৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম ধরা পড়েছে বলেই অভিযোগ। নির্দেশিকাটির সঙ্গে ১৬৯৮ জনের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা কোন কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর (ডিআই)-দের কাছে। তাঁদের চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একজনের নিয়োগপত্রে অন্যজনের চাকরি! মুর্শিদাবাদের স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমিক মজুমদার বলেন, ‘কিছু প্রার্থী যেমন উৎকোচ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তেমনই কিছু প্রার্থী পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পেয়েছেন৷ তাঁদের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার প্রমাণও আছে৷ সকল প্রার্থীর চাকরি বাতিল করা হলে, তা চূড়ান্ত অমানবিক হবে৷ পর্ষদ কি প্রতিদিন নতুন করে তাঁদের অবস্থান জানাবে? প্রতিদিন নতুন নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হবে? একজনের পাপের ভার যেন সকলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া না হয়৷ এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকেও হস্তক্ষেপ করতে হবে৷’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: গুজরাট বিধানসভায় বিপুল জয় বলে দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে কী হবে! অভিমত অমিত শাহের

    Amit Shah: গুজরাট বিধানসভায় বিপুল জয় বলে দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে কী হবে! অভিমত অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিশাল জয় আসন্ন লোকসভা ভোটে ভাল প্রভাব ফেলবে। এমনই অভিমত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। রবিবার সুরাট শহর ও জেলা বিজেপি আয়োজিত নব নির্বাচিত বিধায়কদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই মত ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    যা বললেন অমিত শাহ

    গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিশাল জয়ে উজ্জীবিত বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই সাফল্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। গুজরাট বিধানসভায় নিবনির্বাচিত বিধায়কদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেক নতুন নতুন দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। দিয়েছিল ভুরিভুরি প্রতিশ্রুতি। যা শুনে কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হলেও, রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই আছেন। তাই বাকি দলগুলির ব্যাপক বিপর্যয় ঘটেছে নির্বাচনের ফলাফলে। একই সঙ্গে গুজরাটের বিপুল জয় আগামী দিনে লোকসভা নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ চায়, মজবুত সরকার। শক্ত হাতেই থাক দেশের শাসন ব্যবস্থা। আর এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির কোনও বিকল্প নেই।’

    আরও পড়ুন: জন্মবার্ষিকীতে ‘সদাইব অটল’-এ গিয়ে বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা মোদি-শাহের 

    অনুপ্রেরণা জোগাবে এই জয়

    গুজরাটের নতুন বিধায়কদের উদ্দেশে অমিত শাহ আরও বলেন, ‘এই বিশাল জয় গোটা দেশের বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়াবে, আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে। তা ২০২৪ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই আমার বিশ্বাস। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করেন। তাঁর জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। গুজরাটের মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন বলেই পর পর দু’বার লোকসভা নির্বাচনে এখানে আমরা ২৬টির মধ্যে ২৬টি সিট জিততে পেরেছি। আশা করি, এবারও তার অন্যথা হবে না। এখন থেকেই আমাদের নতুন লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিতে হবে। গুজরাটের মানুষকে ভীষণই ভালোবাসেন প্রধানমন্ত্রী। তাই বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার করেছিলেন। তার ফল আমরা হাতেনাতে পেয়েছি। বিরোধীরা মোদি-ঝড়ে উড়ে গিয়েছে। সব কিছুই ফিকে পড়েছে তাঁর জনপ্রিয়তার সামনে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PCB: ভারত-পাক সিরিজ দুই দেশের সরকার সিদ্ধান্ত নেবে! অভিমত পিসিবির নয়া চেয়ারম্যান নজম শেঠির

    PCB: ভারত-পাক সিরিজ দুই দেশের সরকার সিদ্ধান্ত নেবে! অভিমত পিসিবির নয়া চেয়ারম্যান নজম শেঠির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (PCB) চেয়ারম্যান পদ থেকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রামিজ রাজাকে। এবার তাঁর সময়কালে গঠিত যাবতীয় ক্রিকেট সংক্রান্ত কমিটিকেও বরখাস্ত করা হল। পিসিবি’র নতুন চেয়ারম্যান নজম শেঠির এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিতই। কারণ, ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পিসিবি চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। পাকিস্তানে সরকার বদল হয়েছে। তার প্রভাব পড়ছে ক্রিকেট প্রশাসনেও।

    দল অপরিবর্তিত

    রামিজ রাজার চেয়ারম্যানশিপে ২০১৯ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (PCB) সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল। সেটাও বাতিল করেছে নজম শেঠির বোর্ড। একই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয়েছে মহম্মদ ওয়াসিমের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নির্বাচক কমিটিও। আপাতত পিসিবি চেয়ারম্যানই নির্বাচক প্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন। তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হতে চলা টেস্ট সিরিজের জন্য ঘোষিত পাকিস্তান দলে কোনও পরিবর্তন হবে না বলে পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে নজম শেঠি বলেন, ‘স্কোয়াড পরিবর্তনের কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।’

    আরও পড়ুন: সাকিবকে দেড় কোটিতে নিয়ে কি ভুল করল কেকেআর?

    ভারত-পাক সিরিজ সরকারের সিদ্ধান্ত

    পিসিবি (PCB) চেয়ারম্যান পদ থেকে রামিজ রাজার বিতাড়ণের পিছনে প্রবল ভারত বিরোধী মনোভাবই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এর সূত্র ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ আয়োজন ঘিরে। বিসিসিআই-এর বর্তমান সচিব জয় শাহ ঘোষণা করেছিলেন, ভারতীয় দল পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে না। প্রতিযোগিতা হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। আর তাতে বেজায় চটেছিলেন রামিজ রাজা। কারণ, তিনি পিসিবি চেয়ারম্যান পদে বসার পর থেকেই পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর প্রবল চেষ্টা শুরু করেছিলেন। তিনি এটাও জানতেন, ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শুরু না হলে আর্থিকভাবে পাক বোর্ড সাবলম্বি হতে পারবে না। তাই বোর্ড সচিবের মন্তব্যের পাল্টা রাজা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে ভারতে হতে চলা ওয়ান ডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান নাও খেলতে পারে। তাই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। আইসিসি কোনওভাবেই চায় না পাকিস্তান বিশ্বকাপ বয়কট করুক। তাই ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে রামিজ রাজাকে সরতে হয়েছে। নতুন পিসিবি চেয়ারম্যান নজম শেঠি অবশ্য ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে সাবধানে পা ফেলতে চাইছেন। তাঁর কথায়, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কিংবা অন্য কোনও ক্রিকেটীয় বিষয়ে দুই দেশের সরকার আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share