Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার রাতে শহরে এসে মুরলী ধর সেন লেনে দলের রাজ্য় সদর দফতরে পা দিয়েই বাংলায় দলের নেতাদের এই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন তিনি।

    শাহী পরামর্শ

    শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখান থেকে রওনা দেয় অমিত শাহের কনভয়। গাড়ির সামনের সিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠিক তাঁর পিছনের সিটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল, মঙ্গল পাণ্ডে, সুনীল বনসল, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া, খগেন মুর্মু, সুভাষ সরকার, স্বপন দাশগুপ্ত, নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, দীপক বর্মন, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধন্দ। 

    আরও পড়ুন: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    বিজেপি সূত্রে খবর, এ দিন আধ ঘণ্টার বৈঠকে অমিত শাহ (Amit Shah) স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ২০১৯-এর থেকেও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বেশি আসনে বিজেপি-র জয় চান তিনি। আর সেই লক্ষ্য়মাত্রা পূরণ করতে বুথ স্তর থেকে সংগঠন মজবুত করার জন্য় দলের রাজ্য় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, সেই ভোটের রণকৌশল নিয়েও এদিন কথা বলেন অমিত। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য় নেতাদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘বাংলায় আগের থেকে বিজেপির শক্তি বেড়েছে। সেই শক্তি আরও বাড়াতে হবে। সেই জন্য় বুথস্তর থেকে সংগঠন মজবুত করতে হবে। আমার আশা গত লোকসভা ভোটে যত আসন পেয়েছিলাম, এবার তার থেকে বেশি আসন পাবো। সেই লক্ষ্য়ে কাজ করতে হবে।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তৃণমূলের দুর্নীতি এবং রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন রাজ্য় নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সংগঠন শক্তিশালী করার উপরেই বেশি জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সংগঠন মজবুত করতে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি। বাকি বিষয় কেন্দ্র দেখবে বলে রাজ্য় নেতাদের আশ্বাস দেন অমিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    Amit Shah: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার রাতেই শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামিকাল, শনিবার নবান্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের হিমন্ত সোরেন ও ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকও। 

    রাতের কর্মসূচি

    জানা গিয়েছে, রাত ৯.২০ মিনিটে বিএসএফের বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসবেন শাহ। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন রাজ্য দলীয় নেতৃত্ব। বাইপাসের ধারে পাঁচতারা হোটেলে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রে খবর, রাতে শহরে পৌঁছে বিজেপির রাজ্য দফতরে বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ দলের ৫ সাধারণ সম্পাদককে। 

    আরও পড়ুন: সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! অনুব্রতর হয়ে মামলার খরচ চালাচ্ছে কে? তদন্তে ইডি

    কালকের কাজ

    শনিবার, পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মূলত ৪ রাজ্যের নিরাপত্তা বিষয়ক পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমস্যা নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার প্রয়োজনীয় সমাধান ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ৪ রাজ্যের সীমানা এবং সীমান্ত বিষয়ক সমস্যা প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। আলোচ্যসূচিতে রয়েছে সীমান্ত সংক্রান্ত ৪০টি সমস্যা। হাইভোল্টেজ এই বৈঠকের নিরাপত্তা নিয়ে তাই সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। তবে মূল বৈঠকের পরে অমিত শাহ ও মমতার আলাদা বৈঠকও হতে পারে বলেও খবর। সূত্রের খবর, বৈঠকে গোরুপাচার ও বিএসএফ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। রাজ্যের নাম বদলের প্রস্তাবে কেন এখনও অনুমোদন মিলল না? সেই প্রসঙ্গও তুলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অমিত শাহ-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠক হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নবান্ন সভাঘরের পাশে সচিবালয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ছাড়াও তিনি বিএসএফ ক্যাম্পে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। সেক্টর ফাইভে অ্যানথ্রোপলজি ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। শনিবার বিকেলেই দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বিএসএফ নয়, সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহাররে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাবদ এবং ওড়িশার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে আন্তর্দেশীয় সীমান্ত ছাড়াও আন্তর্রাজ্য সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    কী বললেন অমিত

    বিশেষ সূত্রে খবর, এদিন অমিত শাহ বৈঠকে বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব যতটা বিএসএফের, ঠিক ততটা রাজ্যেরও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। আগের সরকারের খামতি ছিল। আমরা তা অনেকটা পূরণ করেছি। আরও উন্নয়নের জন্য এগোচ্ছি।” পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের চার রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড এই কাউন্সিলের সদস্য। মূলত প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ আলোচনা ও সমাধানের পথ খুঁজতেই সদস্য রাজ্যগুলিতে ঘুরে ঘুরে এই কাউন্সিলের বৈঠক বসে প্রতি বছর। 

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সীমান্ত নিরপত্তায় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অর্থ দাবির পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের পাওনা টাকার কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার নামে বিএসএফের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানরা এই বৈঠকে ছিলেন। সদস্য রাজ্যগুলির সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। নবান্নে শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর শহরে আরও কয়েকটি কাজ সেরে বিকেলেই দিল্লি উড়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • J & K: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা হাসপাতালের সামনে গুলি, হত ২

    J & K: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা হাসপাতালের সামনে গুলি, হত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও রক্তাক্ত কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরিতে (Rajouri) সেনা হাসপাতালের (Military hospital) সামনেই অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিদের (unidentified terrorists) গুলিতে মৃত্যু (death) হল দুই ব্যক্তির। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ ও নিরাপত্তা আধিকারিকেরা।

    কী হয়েছিল

    এপ্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পসের (White Knight Corps) তরফ থেকে ট্যুইট বার্তায় জানান হয়, “শুক্রবার ভোরে রাজৌরির সেনা হাসপাতালের কাছে অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিরা আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। এর ফলে সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ (Police), নিরাপত্তা বাহিনী (security forces) ও স্থানীয় প্রশাসনের (civil administration) আধিকারিকরা (officials) রয়েছেন।” এই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও এক যুবক। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  মৃতদের নাম শালিন্দর কুমার ও কমল কিশোর। দুজনেই রাজৌরির বাসিন্দা। এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ভেতরে ক্য়ান্টিন রয়েছে। সম্ভবত সেদিকেই যাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই গুলি চালান হয়।

    আরও পড়ুন: আজ না হয় কাল, জম্মু ও কাশ্মীর ফের রাজ্যের তকমা পাবে! ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    স্থানীয়দের বিক্ষোভ

    এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনজন রোজই ভোর সাড়ে ৫টা-৬টা নাগাদ ক্যান্টিনে যেত। এদিনও সকাল ৬টা ১৫ নাগাদ তারা আলফা গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সেনা সূত্রে খবর, মৃত দুই যুবক সেনা ছাউনিতে পোর্টারের কাজ করতেন। জখম সিভিলিয়ানের অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার পরই  এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে পাথর ছুঁড়তে থাকে। জম্মু-পুঞ্চ হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে গুলি চালানোর সঠিক কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। গোটা এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জম্মু থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে রাজৌরি সেক্টরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সুপ্রিম দুয়ারে আবেদন খারিজ! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য

    Suvendu Adhikari: সুপ্রিম দুয়ারে আবেদন খারিজ! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল কাণ্ডে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালত আর্জি শুনলই না। মামলা নিয়ে ফিরতে হল হাইকোর্টেই। শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছে হাইকোর্ট, সেকারণে গ্রেফতার করা যাবে না তাঁকে। এদিকে আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি দাবি করেছে শাসক দল।

    হাইকোর্টেই ফিরতে হল রাজ্যকে

    আসানসোলে বুধবার সন্ধ্যার ওই দুর্ঘটনার জেরে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়ে রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের উচিত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পরামর্শ নেওয়া। এর ফলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় রাজ্যকে। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে দুপুর ২টোয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের নির্দেশ পরিবর্তিত করার আর্জি জানানো হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় পুরসভার প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী তথা বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি আয়োজিত একটি কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সেখান থেকে শুভেন্দু বেরিয়ে যাওয়ার পরই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলেন রাজ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘কিছু ঘটনা ঘটে যেটা কারও হাতে থাকে না। দুর্ঘটনা হয়েছে। দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। না ঘটলেই ভাল হত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup 2022: জোড়া গোল আলভারেজের! মেসি-ম্যাজিকেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

    FIFA World Cup 2022: জোড়া গোল আলভারেজের! মেসি-ম্যাজিকেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধুর প্রতিশোধ। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কাতারে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে সেই ৩-০ গোলেই চূর্ণ করে বিশ্বকাপ (Fifa World Cup 2022) ফাইনালে গেল মেসিরা। লড়াইটা ছিল মেসি (Lionel Messi)বনাম মদ্রিচের। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার হয়ে সব থেকে ভাল ফুটবল খেললেও মেসি-ম্যাজিকে ভ্যানিস হয়ে গেলেন মদ্রিচ। মেসি গোল করলেন,গোল করালেন।

    অপ্রতিরোধ্য মেসি

    ম্যাচের ৩২ মিনিটে দলের প্রথম গোল পেনাল্টি থেকে করলেন মেসি। সেই সঙ্গে গড়ে ফেললেন নতুন নজির। গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড ভেঙে দিলেন মেসি। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১০ গোল করার নজির ছিল বাতিস্তুতার। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করে সেই রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন মেসি। এদিন সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। বিশ্বকাপে ১১টি গোল হয়ে গেল মেসির। সেই সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপেকেও ধরে ফেললেন মেসি। ফ্রান্সের তারকা চলতি বিশ্বকাপে ৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। মেসি তাঁর চেয়ে এক গোলে পিছিয়ে ছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে এমবাপেকেও গোলসংখ্যায় ধরে ফেললেন মেসি। চলতি বিশ্বকাপে তাঁরও ৫ গোল হয়ে গেল। 

    আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নতুন বল! জানেন এর বৈশিষ্ট্য?

    তবে এদিন আর্জেন্টিনার হয়ে জোড়া গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। মেসি গোল করার ৬ মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল করেন আলভারেজ। প্রায় ৪০ গজ দৌড়ে ক্রোয়েশিয়া বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। তারপর পায়ের ছোট্ট টোকায় ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ ব্যবধানে। দ্বিতিয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়া বক্সে আক্রমণের ঝড় তোলে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের বয়স তখন ৬৯ মিনিট। কার্যত একক কৃতিত্বে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ক্রোয়েশিয়া বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। তাঁর গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে ব্যর্থ ক্রোটরা। বক্সের ডানদিক থেকে টার্ন করে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে পাস বাড়ান মেসি। গোল করতে ভুল করেননি আলভারেজ। আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। আর সেই ব্যবধান কমাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।

    আক্রমণাত্মক ফুটবল

    কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক পরিকল্পনা করে নেমেছিলেন লুকা মদ্রিচরা। কিন্তু আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করেন তাঁরা। ক্রোয়েশিয়া প্রেসিং ফুটবল খেলছিল। মেসিদের পায়ে বল থাকলেই তাড়া করছিলেন মদ্রিচরা। ফলে বলের দখল বেশি রাখতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। দুই প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সজাগ ছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণ। ফলে পুরো ম্যাচে গোলের মুখ খুলতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। রক্ষণকে শক্ত করে বার বার আক্রমণে যায় মেসিরা। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট খেলা সমানে সমানে হলেও বাকি ৬০ মিনিট মাঠ ছিল আর্জেন্টিনার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: নিজের রাজ্যে খুঁজুন পাপ্পুকে দেখতে পাবেন! মহুয়াকে কড়া জবাব নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: নিজের রাজ্যে খুঁজুন পাপ্পুকে দেখতে পাবেন! মহুয়াকে কড়া জবাব নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের রাজ্যে খোঁজ করুন, ‘পাপ্পুর’দেখা পেতে পারেন।  তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে কড়া জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ‘পাপ্পু’ প্রসঙ্গ তুলে আগে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিলেন মহুয়া। দেশের অর্থনীতি পরিচালনা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ। এর জবাবে নির্মলা বলেন, তৃণমূল নেত্রী পশ্চিমবঙ্গে নিজের আঙিনায় যদি খোঁজ করেন সেখানে ‘পাপ্পুর’দেখা পেতে পারেন।

    মহুয়ার কথা

     প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লোকসভায় মহুয়া বলেন দেশের আর্থিক উন্নতি নিয়ে মিথ্যা কথা বলছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘প্রত্যেক ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে দেশের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে, সকলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা যেমন গ্যাস সিলিন্ডার, বাড়ি ও বিদ্যুৎ পরিষেবা পাচ্ছেন। এগুলো সবই মিথ্যা।’ তিনি আরও বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। দেশের অর্থনীতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে অনুরোধ করছি দেশের অর্থনীতি সামলান।’ এসবের পাশাপাশি তিনি ‘পাপ্পু’ বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষও করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার ও শাসক দল এই পাপ্পু শব্দটি তৈরি করেছে। চরম অক্ষমতা বোঝাতে এবং তার নিন্দা করতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে আসল পাপ্পু কে।’ এবার মহুয়া মৈত্রের এই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সংসদে দাঁড়িয়ে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন তিনি। 

    নির্মলা যা বললেন

    এর আগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছিলেন যে পাগলের হাতে ম্য়াচিস কে দিল? সরকারের দিকে আয়না ধরুন। দেখে নিন আসল পাপ্পু কে? তারই জবাবে নির্মলা জানিয়েছেন, দেশলাই কার হাতে রয়েছে। এটা উদ্বেগের ব্যাপার। কাদের হাতে দেশলাই দিলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ মানুষ দিয়েছেন। জনতা দিয়েছেন। এটা আমরা ছোট করে দেখতে পারি না। কিন্তু কাদের হাতে দেশলাই কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি গুজরাটে বিজেপির বড় জয় হয়েছে। ভোট পরবর্তী সময়ে কী হয়েছে সেখানে? শান্তির বাতাবরণ। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একবার তুলনা করে দেখুন। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় কী হয়েছিল। নির্মলা বলেন, দেশলাই কাদের হাতে কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে দেখুন। এটাই প্রশ্ন। আমাদের হাতে যখন দেশলাই ছিল তখন আমরা উজ্জ্বলা দিয়েছি, পিএম কিষান দিয়েছি স্বচ্ছ ভারত দিয়েছি। আর আপনাদের হাতে যখন দেশলাই এল তখন কী করলেন, ধর্ষণ হল, নির্যাতন হল, হিংসা হল, আমাদের কার্যকর্তাদের ঘর জ্বালিয়ে দিলেন। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমএস মুরলিধরনের উপর এমন হামলা হল যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও নিরাপদে থাকলেন না। জেপি নাড্ডার গাড়িও ভাঙা হল। এটাই ভোট পরবর্তী বাংলা।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

  • School Teacher Transfer: সব শিক্ষক কলকাতায় এলে গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে তো! মন্তব্য বিচারপতির

    School Teacher Transfer: সব শিক্ষক কলকাতায় এলে গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে তো! মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব শিক্ষকরাই যদি বদলি নিয়ে কলকাতা বা আশপাশের স্কুলে কাজ করতে চান তাহলে তো গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে। শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় (Teachers Transfer Case) বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এব্যাপারে রাজ্যের নীতি কী তা স্পষ্ট করে জানতে চাইলেন বিচারপতি। এই বিষয়টা নিয়ে রাজ্য সরকারের গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত বলে জানান বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    কী বললেন বিচারপতি

    আদালতে দাখিল হওয়া রাজ্যের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বসু এদিন অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, “কলকাতায় ১১৫টি স্কুল আছে যেখানে ৫০০-র বেশি শিক্ষক আছেন, কিন্তু স্কুল প্রতি ৫০ জনের কম পড়ুয়া। ছাত্র রয়েছে এমন স্কুলে বদলির আবেদনও শুনতে হয়েছে !” পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ, “যদি রাজ্যের মনে হয় শিক্ষক বেশি হয়ে গেছে, তাহলে নতুন নিয়োগ কেন ? যেখানে ছাত্র নেই সেখানকার শিক্ষকদের অন্য স্কুলে পাঠানো হোক।’ এই বিষয়ে নীতি তৈরিতে রাজ্যের বাধা কোথায় ? রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি বসু। 

    আরও পড়ুন: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    বিচারপতি জানান, বদলি চেয়ে অনেকেই হাইকোর্টে আসছেন। বেশির ভাগ শিক্ষকই কলকাতা বা তার আশপাশের স্কুলে বদলি চাইছেন। বুধবারই এমন এক শিক্ষক আদালতে এসেছিলেন, যিনি একটি নির্দিষ্ট স্কুলে বদলি চাইছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্য কী ভাবছে জানতে চান বিচারপতি। রাজ্যের তরফে জানান হয়, শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা চলছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই বিস্তারিত জানিয়ে একটা রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোথায় কী অবস্থা তার সব তথ্য সেখানে দেওয়া আছে। মামলাকারীকে রিপোর্ট পড়ে তাঁর মতামত জানাতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: অন্য অভিযুক্তদের থেকে অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী! জামিন প্রসঙ্গে মত হাইকোর্টের

    Anubrata Mondal: অন্য অভিযুক্তদের থেকে অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী! জামিন প্রসঙ্গে মত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টেও জামিন মিলল না বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার বড়দিনও জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রতকে। তাঁর জামিনের পথে মূল কাঁটাই হচ্ছে ‘প্রভাবশালী’ তকমা। অনুব্রত জেলে থাকা সত্ত্বেও শুধু সাক্ষী নন, এই মামলায় বিচারককেও হুমকি শুনতে হয়েছে, তাহলে তিনি জেলের বাইরে থাকলে কী হতে পারে তা ভেবেই শঙ্কিত সকলে। সে কথা মেনে নিল হাইকোর্টও। 

    কী বললেন বিচারক

    গরুপাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে মামলা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘শুধু কয়েক জন সাক্ষী নন, বিচারকও হুমকির শিকার! মামলায় অন্য জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের থেকে অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী এটা স্পষ্ট।’’এদিন সওয়াল চলাকালীন অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘এই মামলায় অভিযুক্ত ইমানুল হক জামিন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট থেকে। জামিন দেওয়া হয়েছে সতীশ কুমারকেও। যিনি এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত।’’তাহলে অনুব্রত কেন এতদিন পরেও জামিন পাবেন না? সিব্বলের এই প্রশ্ন শুনে বিচারপতি বাগচী পাল্টা বলেন, ‘‘এটা বাস্তব যে যাঁরা জামিন পেয়েছেন, তাঁদের থেকে মামলাকারী অনেক বেশি প্রভাবশালী। এক বিচারক হুমকির কথা জানিয়েছেন। এটা আদালত লঘু করে দেখতে পারে না। সিবিআই জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এক সাক্ষী নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছেন।’’

    আরও পড়ুন: সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! অনুব্রতর হয়ে মামলার খরচ চালাচ্ছে কে? তদন্তে ইডি

    বিচারকের যুক্তির পর সিব্বল বলেন,‘এই বিষয়গুলি কেস ডায়রিতে লেখা থাকলেও প্রমাণিত সত্য নয়। প্রমাণ হলে তখন জামিন দেবেন না। এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডল মূলচক্রী নন। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়নি সিবিআই।’‌এর বিরোধিতা করে সিবিআই জানায়, ‘বগটুই মামলার সঙ্গে যুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর পর এই মামলার তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাই এই অবস্থায় অনুব্রতকে জামিন দেওয়া উচিত নয়।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর। ওই দিন সব পক্ষকে প্রয়োজনীয় নথি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ranji Trophy: মনোজের দুরন্ত ইনিংস! জয় দিয়েই রঞ্জি অভিযান শুরু বাংলার

    Ranji Trophy: মনোজের দুরন্ত ইনিংস! জয় দিয়েই রঞ্জি অভিযান শুরু বাংলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়েই রঞ্জি ট্রফির অভিযান শুরু করল বাংলা। দুরন্ত ইনিংস উপহার দিলেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। শুক্রবার, শেষ দিনে বাংলাকে জিততে হলে করতে হতো ১০১ রান, হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিন ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। অর্ধশতরান করেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি, কৌশিক দাস ও অনুষ্টুপ মজুমদার। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাত উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ঈশান পোড়েল।

    ম্যাচের হাল হাকিকত 

    টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলা। প্রথম ইনিংসে উত্তরপ্রদেশ তোলে ১৯৮ রান। জবাবে খেলতে নেমে বাংলার প্রথম ইনিংস থেমেছিল ১৬৯ রানে। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার লাভ অবশ্য তুলতে পারেনি উত্তরপ্রদেশ। বাংলার বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সের জেরে ২২৭ রানে শেষ হয় উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।  রিঙ্কু সিংহ ৮৯ রান করেন। শতরানের কাছে এসেও ব্যর্থ হন তিনি। আকাশদীপ নাথ করেন ৫৩ রান। বাকি আর কোনও ব্যাটার সে ভাবে রান করতে পারেননি। শেষ বেলায় শিবম শর্মা ৩১ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলার হয়ে আকাশ নেন তিনটি উইকেট। দু’টি করে উইকেট নেন ঈশান পোড়েল, প্রীতম চক্রবর্তী এবং সায়নশেখর মণ্ডল। একটি উইকেট নেন শাহবাজ আহমেদ। বোলাররা দাপট দেখালেও কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা রিঙ্কুকে থামাতে পারেনি বাংলা। তাঁর ব্যাটের দাপটেই বাংলার সামনে জয়ের জন্য ২৫৭ রানের লক্ষ্য রাখে উত্তরপ্রদেশ। 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে অনিশ্চিত জাদেজা, শামি! পরিবর্তে ভারতের হয়ে খেলবেন কে?

    সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আউট হন অভিষেক দাস। ৯ রান করে আউট হন শিবম মাভি। সুদীপ কুমার আউট হন ২২ রান করে। তাঁর উইকেটটিও নেন মাভি। ৬১ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাকে রানে ফেরান কৌশিক এবং অনুষ্টুপ। শেষ বেলায় অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন মনোজ। ১০৮ বলে ৬০ রানে অপরাজিত রইলেন, তাঁর ইনিংস সাজানো সাতটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে। বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ভারতের টেস্ট দলে থাকায় মনোজ ইউপি ম্যাচে নেতৃত্ব দিলেন বাংলাকে। বারবারেই তিনি বলে থাকেন, অবসরের আগে বাংলাকে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন করাতে চান। সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপ পার করলেন। মনোজের সঙ্গে ৫ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ আহমেদ। শিবম মাভি ২টি এবং অঙ্কিত রাজপুত ও রিঙ্কু সিং একটি করে উইকেট দখল করেন। লক্ষ্মীরতন শুক্লা বাংলার হেড কোচ হিসেবে এদিনই প্রথম রঞ্জি ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share